21/06/2025
ইনসুলিন রেজিস্টেন্স — শয়তানের আধুনিক ফাঁদ, দেহের অপবিত্রতা আর আত্মার ভারী হওয়া…
আমরা আজকাল নতুন নতুন নাম শিখছি —
ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, ইনফার্টিলিটি, হার্টের সমস্যা…
আসলে এসব অনেক রোগের পেছনে লুকিয়ে আছে একটা মূল কথা — ইনসুলিন রেজিস্টেন্স।
এই ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কী?
এটা শুরু হয় আমাদের প্রতিদিনের অতিরিক্ত খাওয়া দিয়ে।
প্রসেসড খাবার, চিনিযুক্ত খাবার, মিষ্টি পানীয়, ময়দা, ফাস্টফুড — এসব খেতে খেতে দেহের ভেতরে আস্তে আস্তে চিনির বোঝা জমতে থাকে।
প্রতিটা কোষের ভেতরে বেশি বেশি ফ্যাট জমে জমে কোষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
শরীর তখন ইনসুলিনের কথা শুনতে চায় না। ইনসুলিন তার কাজ ঠিকমত করতে পারে না।
এটাকে বলে — ইনসুলিন রেজিস্টেন্স।
👉 এভাবে দেহের ভেতর শুরু হয়:
• টক্সিন জমা
• স্নায়ু দুর্বলতা
• chronic inflammation (অন্তর্দাহ, প্রদাহ)
• হরমোনের গোলমাল
• রোগের মিছিল
✅ সমস্যা এখানেই শেষ না…
এই দেহের ভারী হওয়া আসলে আত্মার ওপরও প্রভাব ফেলে।
শরীর ক্লান্ত → নামাজে মন বসে না
মাথা ভার → কুরআন পড়তে ইচ্ছে করে না
অশান্ত মন → দোয়া করতেও অলসতা লাগে।
কিন্তু আল্লাহ আমাদের আগেই বলে দিয়েছেন:
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا
“তোমরা খাও, পান কর, কিন্তু সীমালঙ্ঘন করোনা।”
(সূরা আরাফ ৩১)
✅ আমাদের রাসূল ﷺ-ও বারবার বুঝিয়েছেন:
“কেউ তার পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো পাত্র ভর্তি করে না। সামান্য কয়েক লোকমা আদম সন্তানের জন্য যথেষ্ট।”
(তিরমিজি)
এই সীমালঙ্ঘনটাই আসলে শয়তানের ফাঁদ।
শয়তান চায় আমরা লোভ করি, বেশি খাই, শরীর ভারী হই, যেন ইবাদতে অলসতা আসে।
কিন্তু আল্লাহর রাস্তা খুব সুন্দর:
• রোজা → কোষ থেকে টক্সিন বের করে
• হালাল-পরিমিত খাবার → কোষের ভার লাঘব করে
• হাঁটা → রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
• ঘুম → শরীর রিপেয়ার করে
• প্রশান্তি → কর্টিসল কমিয়ে আত্মা শান্ত করে
এই হলো প্রকৃত “কোষের পবিত্রতা”।
✅ দেহ পবিত্র → আত্মা হালকা
✅ আত্মা হালকা → ইবাদতে মজা
✅ ইবাদত মিষ্টি → দোয়া কবুল
💡 আজ নিজেকে প্রশ্ন করি:
আমি কি শুধু খাবারের স্বাদ নিচ্ছি?
নাকি আল্লাহর ইবাদতের স্বাদ খুঁজছি?
🌸 যারা নিজের কোষকে পবিত্র রাখে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে সফল।
Cp