30/04/2025
✅✅✅গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে গর্ভবতী মায়েদের শরীরে হরমোনগত পরিবর্তনের বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন বমিভাব, বমি, মাথা ঘোরা, শরীর খারাপ লাগা, ক্লান্তিবোধ, স্তনের পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, বুক জ্বালাপোড়া করা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। গর্ভাবস্থায় এগুলো স্বাভাবিক। কিন্তু এ সময় কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। সুতরাং প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা ও সঠিক চিকিৎসা
গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রথম তিন মাসের জন্য উপদেশ :
১.গর্ভধারণের আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে ও কোনো রোগ নির্ণয় হলে চিকিৎসা করতে হবে।
২.গর্ভধারণের এক মাস আগে থেকে ফলিক অ্যাসিড সেবন করতে হবে।
৩.গর্ভধারণের সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
৪.আলট্রাসনোগ্রাফি: গর্ভধারণের প্রথম দিকে আলট্রাসনোগ্রাফি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। যেমন ভ্রূণের সংখ্যা ও বয়স, বাচ্চা প্রস্রবের সম্ভাব্য তারিখ, ভ্রূণের হৃৎস্পন্দন, এক্টোপিক বা মোলার প্রেগন্যান্সি ইত্যাদি।
৫.বিশ্রাম: এ সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার। কমপক্ষে রাতে আট ঘণ্টা ও দুপুরে দুই ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে।
৬.খাদ্যাভাস: আনারস, পেঁপে, কামরাঙা, কম সেদ্ধ খাবার পরিহার করতে হবে ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ক্যাফেইন, ধূমপান, মদ্যপান ছাড়তে হবে।
৭.এ সময় দূরের যাত্রা বা ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন এড়িয়ে চলতে হবে।
৮.ঝুঁকিপূর্ণ ও ভারী কাজ এড়াতে হবে।
৯.প্রথম তিন মাস সহবাস নিষেধ।
সর্বোপরি, সদ্য গর্ভবতী মায়ের শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য পরিবারের সবাইকেই পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে। আর কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বা ইনবক্স করবেন আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করব।(c)