Farid Diabetic & Asthma Centre

Farid Diabetic & Asthma Centre স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক পেইজ

 #কুরবানির_ঈদে_সাময়িক_কোষ্ঠকাঠিন্য: কারন ও প্রতিরোধের উপায়"  কুরবানি ঈদের পর এবং বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর কি...
08/06/2025

#কুরবানির_ঈদে_সাময়িক_কোষ্ঠকাঠিন্য:
কারন ও প্রতিরোধের উপায়"

কুরবানি ঈদের পর এবং বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর কিছু মানুষ সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভোগেন এবং এই নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ চেয়ে থাকেন।আজ চেষ্টা করবো এ বিষয়ে করনীয় কিছু বিস্তারিত আলোচনা।

কোষ্ঠকাঠিন্যঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য শব্দটি একেকজনের কাছে একেক রকম অর্থবহন করে। কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে খুব শক্ত মলত্যাগ হওয়া, কিংবা সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ হওয়া কিংবা মলত্যাগ করতে প্রচুর সময় ব্যয় হওয়া, খুব জোরাজুরি কিংবা বল প্রয়োগ করে কিংবা মলদ্বারে কোন কিছু প্রবেশ করিয়ে মলাশয় খালি করা বা মলত্যাগ করার পর মনে হওয়া যে, মলাশয় খালি হয়নি এরকম। কোষ্ঠকাঠিন্য দুই ধরনের-
১। Acute Constipation বা সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্য
২। Chronice Constipation বা দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য

সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যঃ
যদি অল্প কয়েক দিনের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যতার উপসর্গ দেখা দেয়, অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যতার সময় যদি তিন মাসের কম হয়, তাহলে এই অবস্থাকে সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যতা বলে।
উদাহরণস্বরুপ, কোথাও কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচুর পরিমান গোস্ত খাওয়ার পর দেখা গেলো দুই-তিন দিন মলত্যাগ হচ্ছেনা কিংবা খুব শক্ত অল্প অল্প মলত্যাগ হচ্ছে, তাহলে এই অবস্থাকে Acute constipation বা সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্য বলে।

অথবা দেখা গেলো, প্রতিদিন তিন বেলায় গোস্ত, মাছ, ডিম ইত্যাদি দিয়ে ভাত খাচ্ছে, তাই নিয়মিত মলত্যাগ হচ্ছে না, হলেও শক্ত মলত্যাগ হচ্ছে কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যতা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, তা যদি তিন মাসের কম সময় হয়ে থাকে, তাহলে একে সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হবে। অথবা সারা বছর সুস্থ, কিন্তু কুরবানি ঈদের দিন, ঈদের পরে প্রচুর পরিমান গোস্ত খাওয়ার পর দেখা গেলো মলত্যাগ হচ্ছেনা, পেট ফুলে যাচ্ছে, পেটে ব্যাথা হচ্ছে, তবে এই অবস্থাকেও Acute Constipation বা সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়।

সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যতার উপসর্গঃ

মল ত্যাগের সাধারন রুটিন পরিবর্তন হয়ে যাবে

শক্ত মলত্যাগ হবে

মলত্যাগের সময় মলাশয়ে ব্যথা হবে

মলত্যাগ করতে গেলে জোর প্রয়োগ করতে গিয়ে অনেক সময় ব্যয় হবে

মলত্যাগ অল্প অল্প হতে পারে

পেট ফুলে যেতে পারে

পেটে ব্যথা হতে পারে

কিছুক্ষন পরপর বায়ু ত্যাগ হতে পারে

খাওয়ার রুচি কমে যাবে

দুশ্চিন্তা ও অবসাদগ্রস্ত মনে হতে পারে

স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটবে

সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যতার ফলে যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে তা হলো-
* হেমোরয়েড বা পাইলস: পায়ুপথের আশেপাশের রক্তনালী সমূহে প্রদাহ হতে পারে এবং মলত্যাগ করার সময় পায়ুপথে রক্ত যেতে পারে, এমনকি ব্যথাও হতে পারে, পায়ু পথে চুলকানি দেখা দিতে পারে।
* এনাল ফিস্টুলা দেখা দিতে পারে।
* ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স/প্রসাবে অনিয়ম দেখা দিতে পারে।

সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যতার কারণঃ
Acute constipation বা সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যতা মূলত অস্বাভাবিক লাইফ স্টাইলের কারণে দেখা দেয়। যেমন-

আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া তথা শাক সবজি কম খাওয়া

নিয়মিত মলত্যাগ না করা, মলত্যাগ আটকিয়ে রেখে কাজ কর্ম করা

নিয়মিত খাবার না খাওয়া

পরিমিত ঘুম না যাওয়া, চিন্তা অবসাদগ্রস্ত থাকা ইত্যাদি

আইবিএস এর সমস্যা থাকা

মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যথা- ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, এন্টি স্পাজমোডিক, এন্টি ডায়েরিয়াল ড্রাগস, আয়রন ট্যাবলেট, এলুমিনিয়াম যুক্ত এন্টাসিড ইত্যাদি

দৈনিক অত্যাধিক পরিমান প্রোটিন খাওয়া যেমন অধিক পরিমান গোস্ত খেলে সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যতা দেখা দিতে পারে।

দৈনিক প্রোটিনের পরিমান কতটুকু হওয়া চাই?
ইনস্টিটিউট অব মেডিসিন ইউএসএ'র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রোটিন চাহিদা হচ্ছে ১ গ্রাম/কেজি বডি ওয়েট। অর্থাৎ একজন মানুষের ওজন যদি ৬০ কেজি হয়ে থাকে, আর সে যদি ভারি কোনো কাজ না করে, তাহলে তার দৈনিক প্রোটিন দরকার পড়ে ৬০ গ্রাম। আর ভারি কাজ করলে আরো ৩০ গ্রাম বাড়বে, অর্থাৎ ৯০ গ্রাম প্রোটিন দরকার। এটা হচ্ছে স্বাভাবিক শারিরীক ক্রিয়া প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন।

তবে একজন সুস্থ মানুষ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যতীত দৈনিক সর্বোচ্চ ২ গ্রাম/কেজি বডি ওয়েট করে প্রোটিন খেতে পারবে। সুতরাং একজন ৬০ কেজি ওজনের মানুষ দৈনিক সর্বোচ্চ ১২০ গ্রাম প্রোটিন খেতে পারবে কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া ব্যতীত। এর চেয়ে বেশি খেলে ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। প্রোটিনের উপাদান হচ্ছে গোস্ত, মাছ, ডিম ইত্যাদি।

এবার বুঝে নিই, ১২০ গ্রাম প্রোটিন খেতে পারলে কত গ্রাম গোস্ত খাওয়া যাবে?
আমরা অনেকে মনে করে থাকি যে, এক গ্রাম গোস্ত মানে এক গ্রাম প্রোটিন, যা ভুল ধারণা। আমেরিকার ইন্সটিটিউট অব মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম রান্না করা গোস্তের মাঝে ২৬ গ্রাম প্রোটিন, ১০ গ্রাম ফ্যাট, ৬১-৬৩ গ্রাম পানি থাকে।
তার মানে, গোস্ত থেকে ২৬ গ্রাম প্রোটিন পেতে হলে ১০০ গ্রাম গোস্তের প্রয়োজন, তথা ১ গ্রাম প্রোটিনের জন্য প্রায় ৪ গ্রাম গোস্তের দরকার। আমরা একটু আগে জেনেছি, একজন ৬০ কেজি ওজনের সুস্থ লাইট ওয়ার্কার মানুষের দৈনিক প্রোটিন চাহিদা হচ্ছে ৬০ গ্রাম, সুতরাং সে স্বাভাবিক গোস্ত থেকে সেই পরিমান প্রোটিন নিতে চাইলে ৬০x৪=২৪০ গ্রাম গোস্ত খেলেই যথেষ্ট।
আবার ৬০ কেজি ওজনের মানুষ দৈনিক সর্বোচ্চ ১২০ গ্রাম প্রোটিন কিংবা ৪৮০ গ্রাম গোস্ত খেতে পারবে। তবে তা হতে হবে তিন বেলায় ভাগ করে অল্প অল্প করে। অন্যথায় Malabsorption syndrome কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিবে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ২০০ গ্রামের বেশি গোস্ত খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে করণীয়ঃ

লাইফস্টাইল পরিবর্তন করার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা যায়। যেমন-

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান শাক সবজি খেতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।

ফাস্টফুড জাতীয় খাবার কম খেতে হবে

অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পরিহার করতে হবে

অত্যাধিক গোস্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে

দৈনিক ১০০-১৫০ গ্রামের চেয়ে বেশি গোস্ত না খাওয়াই উত্তম

নিয়মিত ইসবগুলের শরবত খেতে হবে

সম্ভব হলে প্রতিদিন আপেল খাওয়া উত্তম, আপেলে পর্যাপ্ত ফাইবার রয়েছে

নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

অবশ্যই যেটা খেয়াল রাখবেন, যেদিন বেশি পরিমানে গোস্ত খাওয়া হবে, সেদিন গোস্তের সাথে শাক সবজি, গাজর, শসা ইত্যাদি খেতে হবে। এবং সকাল, দুপুর, রাত্রে এক গ্লাস পানিতে দুই টেবিল চামচ ইসবগুলের ভূসি মিশিয়ে ইসবগুলের শরবত খেতে পারেন। এতে করে কোলনের মধ্যে কিছু পরিমান পানি রিটেনশন হবে এবং মল তরল থাকবে, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। যারা নিয়মিত ইসবগুলের শরবত খায়, তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যতার প্রবণতা ৯০% কমে যায়।

ঈদ উৎসবে পরিমিত এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। হঠাৎ করে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। এতে দেহ ও মন সুস্থ থাকবে। সবার উৎসব আনন্দময় হোক।

ডা. ইসমাইল আজহারি

https://therisingcampus.com/%e0%a6%8f%e0%a6%87%e0%a6%9a%e0%a6%8f%e0%a6%ae%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf-%e0%a6%ad%...
08/01/2025

https://therisingcampus.com/%e0%a6%8f%e0%a6%87%e0%a6%9a%e0%a6%8f%e0%a6%ae%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%bf/

চীনে এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণকে ঘিরে সারা বিশ্ব উত্তাল! এরই মধ্যে বিশ্বের একাধিক শহরে এইচএমপিভি (হিউম্যান মেট....

24/12/2023

দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম একজন সাধারণ মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। কিন্তু, এই ঘুম যদি হয় কোনো ব্যক্তির আতঙ্ক....

15/11/2022

॥ গল্পে গল্পে ডায়াবেটিস ॥
॥ ১ ॥

ডায়াবেটিস মানে রক্তে সুগার বেশী৷ কি সমস্যা হয়, রক্তে সুগার বেড়ে গেলে? আর কেনই বা এই সুগার বাড়ে? কোথা থেকে আসে এই সুগার? সুস্থ মানুষের রক্তে এই অতিরিক্ত সুগার থাকে না কেন?

আমাদের শরীর কোটি কোটি কোষ দিয়ে তৈরী এবং স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য, প্রত্যেকটি কোষেরই খাবার প্রয়োজন হয়৷ আমরা মুখে যা-ই খাই না কেন, হজম হয়ে সেগুলো এই সুগার তৈরী করে, যা সকল কোষের জন্যই আদর্শ খাবার৷ কিন্তু কোষগুলোর দেয়াল চর্বি দিয়ে তৈরী, আর চিনি তো তেলে মেশানো যায়না! সুতরাং ব্যতিক্রমী কিছু কোষ ছাড়া, বেশীরভাগ কোষই রক্ত থেকে সরাসরি তাদের খাবার, এই সুগারকে গ্রহন করতে পারেনা৷ কোষগুলোর দেয়ালে একটি দরজা থাকে, যেটা আবার লক করা থাকে৷ ইনসুলিন হলো সেই লকের চাবি৷ ইনসুলিন এসে, দরজা খুলে দিলেই কেবল — কোষগুলোতে রক্ত থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সুগার প্রবেশ করে৷ ফলে কোষগুলোও খাবার পায়, আবার রক্তেও অতিরিক্ত সুগারের জটলা থাকে না!

রাস্তার জ্যামের কথা চিন্তা করুন৷ কখন জ্যাম লাগে — যখন গাড়ীগুলো তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনা এবং সব রাস্তাতেই আটকে থাকে... সেটাই তো জ্যাম! একই রকমভাবে, ডায়াবেটিস হলো রক্তে সুগারের জ্যাম, কেননা সুগারগুলো তাদের গন্তব্য, "কোষে" পৌঁছাতে পারছে না!

॥ ২ ॥

রক্তে বেশী সুগার থাকা মানেই হলো, আমাদের শরীরের কোষগুলি তাদের খাবার ঠিকমতো নিতে পারছেনা এবং তারা ক্ষুধার্ত আছে৷ সুতরাং শরীরে দূর্বলতা বোধ হয় এবং কোষগুলোর ক্ষুধার হাহাকারে মস্তিস্ক "পেটের ক্ষুধা" আরো বাড়িয়ে দেয়, ফলে রোগী বেশী খায়৷ কিন্তু সেই অতিরিক্ত খাবার থেকে তৈরী হওয়া সুগারগুলো... কেবল রক্তে সুগারের জটলাই বাড়ায় — কোষের ক্ষুধা মেটায় না৷

আরেকটু গভীরভাবে চিন্তা করি৷ কখন আপনি একটি দরজার লক খুলতে পারবেন না? ১) যখন চাবি হারিয়ে গেছে৷ ২) চাবি আছে, কিন্তু সেটা আঁকা বাঁকা হয়ে গেছে বলে, তালা খুলছে না৷ ৩) তালার চাবি ঢোকানোর মুখটি কোন কিছু দিয়ে আটকে আছে — যেজন্য আপনি চাবিই ঢোকাতে পারছেন না৷

ডায়াবেটিস রোগীদের একই সাথে এই তিনটি সমস্যাই থাকে — ইনসুলিনের অভাব, ইনসুলিন রেজিষ্ট্যান্স এবং ইনসুলিন রিসেপ্টর ব্লক৷ তাই ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ এবং ইনসুলিন একসঙ্গে ব্যবহার করতে হয় ... রোগীর শরীরের ভেতরের অবস্থা অনুধাবন করে৷

॥ ৩ ॥

আচ্ছা, যদি মাসের পর মাস রক্তের সুগার বেশীই থেকে যায় — তাতে কি সমস্যা? পানি থেকে শরবৎ তো কিছুটা ঘন তাইনা? তাহলে বেশী সুগার রক্তের ঘনত্বকেও কিছুটা বাড়িয়ে দেবে৷ আমাদের শরীরে এমন সূক্ষ্ম শিরা উপশিরাও আছে, যেগুলোকে খালি চোখে দেখা পর্যন্ত যায়না! এইসব সূক্ষ্ম রক্তনালী দিয়ে দিনে গড়ে এক লক্ষ পনের হাজার বার রক্ত চলাচল করে — আর মাসে প্রায় সাড়ে চৌত্রিশ লক্ষ বার! আমাদের পানির লাইনে যদি একমাস ধরে টানা ময়লা পানি আসে — তাহলে কত শক্ত মোটা পাইপের ভেতরেও আস্তরণ পড়ে ... ব্লক হয়! তাহলে ভেবে দেখুন, আমাদের দেহের অতি সূক্ষ্ম রক্তনালী গুলোর কি অবস্থা হতে পারে?! সেগুলো ব্লক হওয়া শুরু হয় এবং যেই কোষগুলোকে তারা রক্তের মাধ্যমে পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে আসছিলো — সেগুলো আস্তে আস্তে মরে যেতে শুরু করে৷ এজন্যই মস্তিস্ক, চোঁখ, কিডনী, নার্ভ, হার্ট ইত্যাদির ক্ষয় শুরু হয়!

॥ ৪ ॥

এবার আবার একটু পেছনে ফিরে যাই৷ যাদের ডায়াবেটিস অনেক বেশী অর্থাৎ যাদের কোষগুলো খুব বেশী ক্ষুধার্ত থাকে, তাদের শরীরের কোষ মরে যেয়ে কোন যায়গায় পচন ধরেনা কেন? কারণ, কোষগুলো তখন নিজ দেহের চর্বি খেয়ে (পুড়িয়ে) বেঁচে থাকে৷ যেহেতু তাদের দেয়ালও চর্বি দিয়ে তৈরী, তাই চর্বি কোষে প্রবেশ করতে কোন সমস্যাও হয়না! কিন্তু এক্ষেত্রে বিপদ হয় অন্য৷ শরীর ভেঙ্গে পড়তে থাকে, ওজন কমতে থাকে, ত্বকের কমনীয়তাও নষ্ট হয়ে যায় এবং রক্তে বিষাক্ত কেমিক্যাল জমতে থাকে!

আপনাকে একটা হোমওয়ার্ক দিই৷ গ্যাসের চুলার উপর এক টুকরা গরু বা খাশির চর্বি পোড়ান তো! দেখবেন, সারা বাড়ী উৎকট দূর্গন্ধে ভরে গেছে৷ কারণ চর্বি পোড়ালে বিষাক্ত কিছু কেমিক্যাল তৈরী হয়৷ সুতরাং উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস রোগী যাদের কোষগুলোকে, শরীরকে খেয়েই বেঁচে থাকতে হচ্ছে, তাদের রক্তে প্রতিনিয়ত বিষাক্ত কেমিক্যালও জমা হচ্ছে... যা কখনো কখনো মানুষটিকে মৃত্যুর মুখোমুখিও নিয়ে যেতে পারে!

॥ ৫ ॥

আর রক্তের ওই অতিরিক্ত সুগার যা দীর্ঘসময় ধরে থাকলে, আমাদের সব ভাইটাল অর্গান যেমন, ব্রেন, কিডনী, চোঁখ, নার্ভ, হার্ট ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যাবে, এই অবস্থা থেকে বাঁচানোর জন্য ব্রেন কি কিছুই করেনা? হ্যাঁ করে৷ সেটা হলো, প্রস্রাব দিয়ে যতোটা পারা যায়, রক্তের সুগার বের করে দেয়৷ কিন্তু সুগার আবার পানিকে খুব ভালোবাসে৷ তাই একটি সুগার বের হয়ে যাবার সময় কয়েকটি পানিকেও সঙ্গে করে নিয়ে যায়৷ ফলে শরীরে পানির সংকট দেখা দেয়.... গলা শুকিয়ে যায়, রোগীর ঘন ঘন পিপাসা পায়! জটিল আকার ধারণ করলে, এই পানিশূন্যতা মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে!

॥ ৬ ॥

অন্য যেকোন রোগের চেয়ে, ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সম্পূর্ণ আলাদা৷ রোগীর বয়স, পেশা, ওজন, লিঙ্গ, জীবন ধারন পদ্ধতি, সামাজিক অবস্থান, খাদ্য অভ্যাস, অন্যান্য অসুখের উপস্থিতি ইত্যাদি বহু বিষয়ের উপর ডায়াবেটিসের সঠিক চিকিৎসা নির্ভর করে৷ এজন্যই একই ঔষধ বা ইনসুলিনের একই ডোজ, বিভিন্ন রোগীর শরীরে বিভিন্ন মাত্রার ফলাফল প্রদর্শন করে৷ আবার একই চিকিৎসা একই রোগীর ক্ষেত্রে, বেশীদিন একই ফলাফল বজায় রাখতেও পারেনা৷ সুতরাং নির্দিষ্ট সময় পরপর চিকিৎসা modify বা adjust করতে হয়!

॥ ৭ ॥

এবার আসি আমাদের দেশে, ডায়াবেটিসের প্রচলিত চিকিৎসা প্রসঙ্গে৷ একজন রোগী ২/৩ মাসে একবার ডায়াবেটিস সেন্টার গুলোতে যান এবং তাদের মাত্র ১ দিনের সকালের ১টি বা ২টি সুগারের মাত্রার উপর ভিত্তি করে, পরবর্তী ২/৩ মাসের চিকিৎসা দেয়া হয়৷ অনেক রোগীই এই রক্ত পরীক্ষা উপলক্ষে, তার আগের ২-৩ দিন খুব নিয়ম মেনে চলেন, বেশী হাঁটাহাটি করেন এবং খাবারেও নিয়ন্ত্রন আনেন — যেন রিপোর্ট ভালো আসে৷ আবার উল্টোটাও ঘটে — অনেকে পরীক্ষা করার দিন, ঔষধ খেতে ভুলে যান বা আনতে ভুলে যান বলে আর খান না৷ ফলে, ঔষধ বিহীন সেই ত্রুটিপূর্ণ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই ঠিক হয় তাদের পরবর্তী চিকিৎসা!

এখানে চিন্তা করার বিষয়গুলো হচ্ছেঃ

১) শুধু সকালে সুগার ভালো রেখে, দুপুরে এবং রাত্রে বেশী থাকলে — আপনার চিকিৎসা কতখানি সুফল বয়ে আনছে আপনার জন্য ? উপরের আলোচনার ভিত্তিতে একটু চিন্তা করুন!

২) নিজেকে ফাঁকি বা ডাক্তারকে ফাঁকি দেবার পরিণাম, কাকে ভোগ করতে হবে ?

৩) আপনার ডাক্তার কি আপনার সব দিক বিবেচনায় এনে আপনার চিকিৎসা দিচ্ছেন? যেমনঃ আপনার পেশা কি, আপনি কি জাতীয় খাবার খান, আপনি কিভাবে জীবন যাপন করেন, আপনার টেনশন কেমন, অন্য আর কি কি রোগে আপনি ভুগছেন — ইত্যাদি৷ এছাড়া, আপনার ২৪ ঘন্টা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে — উনি কি সচেতন ?

"ডায়াবেটিস রাখুন নিয়ন্ত্রণে
সুস্থ থাকুন দেহ মনে!"

ডা. মোঃ এজাজ বারী চৌধুরী৷

জিরো ক্যালরির নামে নকল চিনি, কতটা নিরাপদ?॥ ১ ॥১৮৭৯ সাল৷ খনিজ আলকাতরা নিয়ে গবেষণা করছিলেন আমেরিকান বিজ্ঞানী ফালবার্গ৷ একদ...
08/10/2022

জিরো ক্যালরির নামে নকল চিনি, কতটা নিরাপদ?

॥ ১ ॥
১৮৭৯ সাল৷ খনিজ আলকাতরা নিয়ে গবেষণা করছিলেন আমেরিকান বিজ্ঞানী ফালবার্গ৷ একদিন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে তিনি তার হাতে মিষ্টি স্বাদ পেলেন৷ এভাবেই আলকাতরা থেকে accidentally আবিস্কার হলো Zero Calorie চিনি বা Artificial চিনি বা নকল চিনি "স্যাকারিন" যা আসল চিনির চেয়ে প্রায় ৬০০ গুন মিষ্টি৷

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে চিনির সংকট দেখা দিলে, স্যাকারিনের চাহিদা বেড়ে যায়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উৎপাদনকারী কোম্পানীগুলো স্যাকারিনের চাহিদা ও গ্রহনযোগ্যতা আরো বাড়ানোর জন্য, ওজন কমানোর কার্যকরী উপায় হিসেবে স্যাকারিনের প্রচারণা শুরু করে৷ ফলে বিশ্বব্যাপী স্যাকারিনের ব্যবসা ফুলে ফেঁপে ওঠে৷ কোমল পানীয়, কেক, বিস্কুট, চকলেট, মিষ্টি, মিষ্টি খাবার, জুস, জেলী, আইসক্রীম এমনকি বিভিন্ন ঔষধেও স্যাকারিন ব্যবহার হতে থাকে৷ এবং এসব Sugar Free বা জিরো ক্যালরি খাবার এবং পানীয়গুলো খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে৷

স্যাকারিনের ব্যবসায়িক সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এরপর একের পর এক Zero calorie sugar বাজারে আসতে থাকে এবং তারা নিজেকে অন্যগুলোর চেয়ে আরো উন্নত, আরো নিরাপদ দাবি করতে থাকে৷ এগুলোর মধ্যে Aspartame এবং Sucralose আমাদের দেশে বেশি জনপ্রিয়৷ খাবার এবং পানীয়ে ব্যবহৃত এসব নকল চিনি, সত্যিকারের চিনি থেকে ২০০ থেকে ২০০০ গুন পর্যন্ত বেশি মিষ্টি হয়!

॥ ২ ॥
ওজন কমানো এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা - এই দুটো কারণেই মানুষ কৃত্রিম চিনি বা Zero ক্যালরী নকল চিনির প্রতি ঝুঁকেছে৷ কিন্তু এগুলো দীর্ঘমেয়াদে গ্রহনের ফলে বাস্তবে কি ঘটছে আমাদের শরীরের ভেতরে? সমস্ত নকল চিনির প্রভাবকে আমরা ১) পেট - যার ভেতর এগুলো যাচ্ছে এবং ২) Brain যার নির্দেশে আমাদের শরীর পরিচালিত হয়, এদের response এর আলোকে ব্যাখ্যা করবো৷

॥ পেটের ভেতর ক্যালরীবিহীন নকল চিনির প্রভাব ও সম্ভাব্য ফলাফল॥

জেনে অবাক হবেন, ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস যেমন আমাদের শত্রু এবং বিভিন্ন রোগের কারণ আবার ঠিক ব্যাক্টিরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস দিয়েই আল্লাহ আমাদের শরীরের বিভিন্ন যায়গায় প্রতিরক্ষা ব্যুহ এবং অতি প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনের কারখানা তৈরী করে রেখেছেন৷

মুখ, পেট, ফুসফুস, চামড়া এবং যোনীপথে অবস্থিত এসব কারখানাকে বলে Microbiota. মজার ব্যাপার হলো, মানুষের Fingerprint যেমন একজনের সাথে আরেকজনের হুবহু মেলেনা, ঠিক তেমনই এই Microbiota গুলোও একেকজনের একেকরকম composition এ তৈরি৷ এজন্যই একেকজনের শরীরের সুস্থ থাকার ক্ষমতা কিংবা রোগাক্রান্ত হবার ধরণ একেক রকম৷

মুখ থেকে পরিপাকতন্ত্রের পুরোটা জুড়ে আছে Gut Microbiota যেখানে শুধু ব্যাকটেরিয়াই আছে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন, যা আমাদের মোট দেহের কোষসংখ্যার দ্বিগুনেরও বেশি৷ ৷

খাবার হজম, পুষ্টি শোষণ, পরিপাকতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখা, ক্ষতিকর ভাইরাস-ব্যাক্টিরিয়া-ছত্রাকের আক্রমণ থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করা, প্রয়োজনীয় ভিটামিন - এমাইনো এসিড - লিপিড তৈরী করা, বেশি ক্যালরী পুড়িয়ে শরীরকে সুঠাম রাখা, দেহের immune system বা সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো, ইনসুলিনের কার্যকারিতা বজায় রাখা, ক্যান্সার প্রতিরোধ করা, আমাদের মস্তিস্কের কিছু কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে এই Gut Microbiota.

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, Zero Calorie নকল চিনি গুলো এই microbiota কে পরিবর্তিত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত করে৷ ফলে কারো কারো শরীরের glycemic response পরিবর্তিত হয়, ইন্সুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরী হয়, শরীরের ওজন বেড়ে যায় এমনকি ডায়াবেটিসও হতে পারে৷

॥ Brain এর উপর Zero ক্যালরী নকল চিনির প্রভাব ও সম্ভাব্য ফলাফল ॥

১) Zero Calorie Sugar যুক্ত যেকোন খাবার আমরা যখন মুখে দিই, তখন তার মিষ্টি স্বাদে আমাদের Brain বিভ্রান্ত হয় এবং ইনসুলিন নিঃসরণ ঘটায়৷ কিন্তু যেহেতু এটা চিনি নয়, তাই ইনসুলিন কোন কাজও খুঁজে পায়না৷ এভাবে দিনের পর দিন অতিরিক্ত ইনসুলিন নিঃসরণ হবার কারণে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়, অর্থাৎ ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করেনা৷

আবার এমন সময়ও আসতে পারে, যখন সেই মিথ্যেবাদি রাখালবালক আর বাঘের গল্পের মতো ঘটে৷ অর্থাৎ ইনসুলিন দরকার, অথচ প্রয়োজন মাফিক ইনসুলিন নিসৃত হয়না, ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে থাকে৷ এজন্যই নিয়মিত এবং দীর্ঘদিন Zero ক্যালরী নকল চিনি খেলে ডায়াবেটিস রোগিদের সুগার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে এবং সুস্হ মানুষদেরও ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়৷

২) গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ক্যালরিবিহীন কোমল পানীয় বা চা-কফি যেটাই পান করা হোক না কেন, যেহেতু সেটা শরীরে ক্যালরির যোগান দেয়না, সেহেতু brain মানুষকে অন্য খাবার বেশি খাবার জন্য প্রলুব্ধ করে এবং এজন্যই তাদের ওজন কমার পরিবর্তে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে৷

৩) যেহেতু আমাদের Brain এ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে, জিরো ক্যালরীর সব নকল চিনি নিরাপদ, তাই এসব চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবারের প্রতি মানুষের সংযম কমে যায় এবং বেশি বেশি খেতে থাকে৷ কিন্তু brain যখন বুঝতে পারে, এগুলো আসল চিনি নয়, তখন তার একমাত্র খাবার সত্যিকারের চিনি (glucose) খাবার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়৷ এভাবে নকল চিনি গ্রহনকারীদের Brain এর sugar craving বা মিষ্টি খাবারে আসক্তি দিন দিন বেড়েই চলে৷

৪) Artificial sugar এ অভ্যস্ত মানুষরা আস্তে আস্তে প্রাকৃতিক পুষ্টিকর মিষ্টি ফলগুলো খেয়েও তৃপ্তি পাননা, যেহেতু তাদের brain ভিন্ন রকম মিষ্টতাতে অভ্যস্ত হয়ে যায়৷ এজন্য তাদের মনে ফলমূলের প্রতি অনীহা তৈরী হয় এবং পুষ্টিকর ফলগুলোর ভিটামিন ও মিনারেল থেকেও তাদের শরীর বন্চিত হতে থাকে৷

॥ ৩ ॥ অন্যান্য গবেষনায় খুঁজে পাওয়া নকল চিনির ক্ষতিকর প্রভাব ॥

মানবদেহে Aspartame, Sucralose এবং Acesulfame এই তিন রকম জিরো ক্যালরীর নকল চিনির প্রভাব নিয়ে এক লক্ষেরও বেশি মানুষের উপর ফ্রান্সে একটি গবেষণা করা হয়৷ ২০০৯-২০২১ দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চলে গবেষণা এবং ফলাফল বিশ্লেষণ৷

ফলাফলে পাওয়া যায়, যেকোন ধরনের নকল চিনি গ্রহনকারীদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে ১৩% - ১৪%৷ এদের মধ্যে Aspartame গ্রহনকারী মহিলাদের breast cancer এর ঝুঁকি বাড়ায় ২২%! (অর্থাৎ প্রতি ৫ জনে একজন আক্রান্ত হতে পারেন)৷

একই গবেষণায় আরো জানা যায়, নিয়মিত Diet Coke, Energy drinks, Diet Soda পানকারীদের Stroke এর ঝুঁকি বাড়ে ২৩%৷ এছাড়া, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, প্রেশার বেড়ে যাওয়া এবং হার্টের আর্টারী ব্লকের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়৷

এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন কমানো বা সুন্দর ফিগারের আশায় যারা নিয়মিত এবং দীর্ঘমেয়াদে নকল চিনি খেয়েছেন অথবা Diet coke, Energy drink, Diet soda, Weight control খাবার খেয়েছেন, তাদের ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি ৬৭% বেড়ে যায়৷ University of Texas এর গবেষণায় বেরিয়ে আসে, উপরোক্ত পানীয় ও খাবার গ্রহনকারীদের Brain tumor ও কিডনী ড্যামেজ এর হারও আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ে৷

গর্ভবতী মায়েরা যারা এসব নকল চিনি খেয়েছেন, তাদের সন্তানদের ১ বছর বয়সেই oveweight হয়ে যাবার ঝুঁকি বাড়ে৷

॥ ৪ ॥ বিতর্ক এবং ব্যবসায়িক শক্তি॥

নকল চিনি এবং সেসব ব্যবহার করে পানীয় ও খাদ্য প্রস্ততকারকদের ব্যবসায়িক শক্তি অপরিসীম৷ ১৯০৭ সালে USFDA প্রধান, বিষাক্ত স্যাকারিন নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে গেলে, প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের রোষানলে পড়েন এবং চাকুরীচ্যুত হন৷ ১৯৭৭ সালে ইঁদুরে ক্যান্সার তৈরী করায় আবার স্যাকারিনের উৎপাদন নিষিদ্ধের চেষ্টা করে USFDA. কিন্তু এবারো উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচারণা এবং কিছু মানুষের বিক্ষোভের মুখে সেটা পন্ড হয়ে যায়৷

এছাড়াও শতাধিক গবেষণাপত্র তৈরী করা হয়েছে, যেগুলোর ফলাফল দেখানো হয়েছে Zero Calorie নকল চিনিগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং মানবদেহের জন্য কোনরকম ক্ষতিকর প্রভাব এগুলোর নেই৷ দূর্ণাম আছে, এগুলোর বেশিরভাগই প্রস্তুতকারক কোম্পানী গুলোর টাকায় পরিচালিত ফরমায়েশী গবেষণা৷ বিপরীতে অনেক কম সংখ্যক গবেষণায় এগুলোর ক্ষতিকর দিকগুলো উন্মোচিত হয়েছে৷

সুতরাং এসব নকল চিনি দিনে দিনে তাদের ব্যবসায়ে আরো চটকদার বিজ্ঞাপনী ভাষা যোগ করবে এবং এগুলোর উৎপাদন কখনোই বন্ধ হবেনা৷

স্বাস্থ্য আপনার, দায়িত্বও আপনার৷ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্বাস্হ্যের পাহারাদারও আপনি৷ সুতরাং জানুন, বুঝুন, নিজের logic প্রয়োগ করুন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিন৷
(Collected)

27/09/2022

শিশুর জ্বর নিয়ে সচেতনতা মূলক তথ্য/পোষ্ট,
যা শিশুর বাবা-মায়ের জানা ভীষণ প্রয়োজন:

১. যে কোনো ভাইরাস জ্বর ৩ দিন থেকে ৫ দিন টানা ১০২°/১০৩°F হতে পারে এবং কমলেও ১০১°F এর নিচে জ্বর নাও নামতে পারে। কাজেই জ্বর শুরু হওয়ার পরের বেলাতেই বা পরের দিনই জ্বর কমছে না কেন, কমছে না কেন বলে,অস্থির হওয়া যাবে না।

২. একদিনে জ্বর কমিয়ে দেয়ার কোনো মেডিসিন বা ম্যাজিক ডাক্তারদের বইয়ে লেখা নাই। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজে লাগে না যদি না কোন ইনফেকশনের সোর্স পাওয়া যায়‌। ইনফেকশনের সোর্স প্রকাশ পেতে অনেক সময় ৩-৫ দিন সময় লেগে যায়।

৩. জ্বর হলে বাচ্চা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিবে। বড়দের বেলায়ও এরকম হয়ে থাকে।।এই সাময়িক অরুচির প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা নাই। সবার মতো আপনাকেও বুঝিয়ে শুনিয়ে অল্প অল্প করে পানি তরল/জাউ/স্যুপ/শরবত বা বাচ্চা যেটা খেতে চায় তাই খাওয়াবেন (এমন কিছু দিবেন না যা আবার বমি/পাতলা পায়খানা ঘটায়)

খেয়াল রাখবেন বাচ্চার প্রসাব ২৪ ঘন্টায় যেন অন্তত ৪/৫ বার হয়। মুখে একদমই খেতে না পারলে, প্রসাব কমে গেলে, বমি বন্ধ না হলে বা খিঁচুনি হলে দেরি না করে বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে যাবেন।

৪. হালকা জ্বরে (১০০°F থেকে ১০২°F) প্রথমে সারা শরীর কুসুম গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে সেটা দিয়ে মুছে দিবেন, সাথে মুখে ওষুধ খাওয়াবেন। একবার ওষুধ খাওয়ানোর পর পুনরায় ওষুধ খাওয়াতে অন্তত ৪/৬ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। আর পায়ুপথে সাপোসিটারী দিতে হলে অন্তত ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।

৫. বেশী জ্বরে (১০২°F এর উপরে গেলে) তাড়াতাড়ি জ্বর কমানোর প্রয়োজন হলে পায়ুপথে সাপোসিটারী ব্যবহার করতে পারেন (যদিও এটা বাচ্চাদের জন্য অস্বস্তিকর), এতে জ্বর সাময়িকভাবে হয়তো ১০২°F এর নিচে নামতে পারে তবে জ্বর পুরোপুরি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা কমই ১ম তিনদিনে। একটা সাপোসিটারী দেয়ার ৮ ঘন্টার মধ্যে আরেকটা সাপোসিটারী দিতে পারবেন না। তবে ৪/৬ ঘন্টা পর সিরাপ দিতে পারবেন।

৬. জ্বরের ঔষধ ডাবল ডোজে বা ঘন ঘন খাওয়ালে, এন্টিবায়োটিক দিলেই জ্বর ভালো হয়ে যাবে এমন নয়। ভাইরাসের পরিমানের উপর, কতদিন এরা এক্টিভ থাকে তার উপর জ্বরের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে।

৭. জ্বরের ওষুধ খাওয়ানোর চেয়ে বাচ্চার যত্ন নিন, ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ভিজা গামছা বা সুতি কাপড় দিয়ে গা মুছে দিন, গরম ও নরম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন, সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাকে বিশ্রাম নিতে দিন। ভালো ঘুমাতে দিন, ঘুমের মধ্যে জ্বর থাকলেও তাকে ঘুম ভাঙিয়ে জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর দরকার নাই।

৮. ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার দিয়ে শিশুর বগলে ৩ মিনিট সময় ধরে মেপে জ্বর ১০০°F বা তার বেশী পেলেই জ্বরের ঔষধ খাওয়াবেন। গায়ে হাত দিয়ে গরম লাগা/জ্বর ৯৮°F/৯৯°F/জ্বরের আগে শীত শীতভাব/শরীরে অস্থির লাগছে দেখে জ্বরের ঔষধ খাওয়াবেন না।

৯. বাচ্চাদের এসিডিটি কম হয়, তাই একদম সম্ভব না হলে, খালিপেটে জ্বরের ঔষধ দিতে পারবেন।

১০. জ্বর হলে বাচ্চার এক আধটু বমি হতে পারে, কিছু জ্বরের ঔষধেও বাচ্চাদের বমি হয়। এসব ক্ষেত্রে বমির ঔষধ লাগে না। প্রয়োজনে জ্বরের ঔষধ পাল্টান। ঔষধ খাওয়ার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে বমি করলে ১৫/২০ মিনিট পর আবার পরিমাণ মতো জ্বরের ঔষধ খাওয়াতে হবে।

ডেঙ্গু সিজন এখন। পাশাপাশি COVID-19 বা করোনার প্রকোপ আবার বাড়ছে। কাজেই এসব সন্দেহ হলেই শিশু বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে রক্ত/প্রসাব ইত্যাদি পরীক্ষা করে নিবেন।

আপনার শিশুকে সাবধানে রাখুন ও আপনারা সবাই সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ!
সংগৃহীত।

 #ইউরিক_এসিডঃবেশকিছু কারণে শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যেমনঃ®ডাইইউরেটিক®এ্যালকোহল®ওবিসিটি বা ওজনাধিক্য®কিড...
28/08/2022

#ইউরিক_এসিডঃ

বেশকিছু কারণে শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যেমনঃ
®ডাইইউরেটিক
®এ্যালকোহল
®ওবিসিটি বা ওজনাধিক্য
®কিডনির সমস্যা
®হাইপোথাইরয়েডিজ
®সোরিয়াসিস বা পাঁচড়া জাতীয় চর্মরোগ,
®জেনেটিকস,
®টিউমার,
®ইমিউন সাপ্রেসিং ড্রাগস,
®নায়াসিন বা ভিটামিন বি-৩,
®অতিরিক্ত পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার ইত্যাদি।

রক্তের ইউরিক এসিডের ৩ ভাগের ২ ভাগ আসে দেহের পিউরিন নামক পদার্থ ভেঙ্গে এবং ১ ভাগ আসে খাবার থেকে। খাবারে থাকা পিউরিন এবং প্রোটিন ডিগ্রেডেশন শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।


#যে_খাবারে_ইউরিক_এসিড_বেশিঃ
* সামুদ্রিক মাছ, গরু ও খাসির মাংস, হাঁস বা ভেড়ার মাংস, কলিজা, মগজ, ফুসফুস, গুর্দা, মাশরুম, মুরগির চামড়া, চিংড়ি, কাঁকড়া, শুঁটকি, ইলিশ মাছ, মাংসের স্যুপ, পায়া, মাছের কাঁটা, মাছের ডিম।
* মসুর ডাল, মাষকলাই ডাল, মটর, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, তিল, সিমের বীচি।
* পুঁই শাক, পালং শাক, মুলা শাক, পাট শাক।
* মুলা, ঢ়েঁড়স, মিষ্টি কুমড়া, বীচি জাতীয় খাবার, মিষ্টি আলু, ওলকপি, বিট, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সজনে, সিম, বরবটি, কাঁঠালের বীচি, সিমের বীচি, বেগুন।
* সব ডাল, বাদাম ও বাদাম জাতীয় খাদ্য, লবণ যুক্ত খাদ্য, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও তেলে ভাজা খাবার, হাঁসের ডিম, কফি, আচার, ইস্ট বা ইস্টের তৈরি যে কোনো খাবার, পনির।

#যে_খাবার_গ্রহণ_করা_যেতে_পারেঃ
* প্রোটিন- যেহেতু এ সব রোগীদের ক্ষেত্রে প্রোটিন জাতীয় খাবার বর্জন করার পরামর্শ দেয়া হয় তাই সারা দিনের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মিঠা পানির মাছ ও চামড়া ছাড়া মুরগী, ডিমের সাদা অংশ, টক দই, দুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।
* শাক- লাল শাক, ডাটা শাক, সরিষা শাক, লাউ শাক।
* সবজি- কাঁকরোল, পেঁপে, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, পটল, করলা (অবশ্যই বীচি ছাড়া)।
* ফল- সবুজ আপেল, নাশপাতি, পাকা পেঁপে, বীচি ছাড়া পেয়ারা, বীচি ছাড়া পাকা বেল।
* অন্যান্য- চাল, আটা, ময়দা, সুজি, ভুট্টা, সেমাই, চিড়া, মুড়ি, কর্নফ্লেক্স, সাবুদানা, মুগ ডাল (অল্প পরিমাণে)।
* পানি- অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না। পানি আপনার শরীরের ইউরিক এসিডকে ইউরিনের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে ফেলে রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে।

 #গর্ভবতী_মায়ের_আল্টাসনোগ্রামঃবেশিরভাগ সময়ে গর্ভবতী মায়েরা আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে আসেন ৮মাস/৯ মাসের সময়। এতো দেরিতে কেন আস...
18/08/2022

#গর্ভবতী_মায়ের_আল্টাসনোগ্রামঃ

বেশিরভাগ সময়ে গর্ভবতী মায়েরা আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে আসেন ৮মাস/৯ মাসের সময়। এতো দেরিতে কেন আসলেন প্রশ্ন করলে উত্তর আসে,"কি বাবু সেটা তো এখনই ভালো বুঝা যাবে।"

নিয়মিত ফলোআপে আসা রোগীকে যদি ৩ মাসের সময় বলি একটা আল্ট্রা করে ফেলেন। উত্তর আসবে,"এখন না ম্যাডাম।৭/৮ মাসের সময় করাবো।"

ব্যপারটা এমন হয়ে দাড়িয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রামের একমাত্র লক্ষ্য গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ জানা। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এতো কষ্ট করে এতো বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম করে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন তৈরি কি শুধুই ছেলে না মেয়ে জানার জন্য?

♠আজকে জানবো গর্ভকালীন সময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার উদ্দেশ্য। অন্তত ৩ বার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা উচিত।

♦ ১ম আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে হবে ৩মাসের মধ্যে। ২য় মাসে করানোই সবচেয়ে ভালো। এসময় আমরা জানতে পারবো-

~রোগী আসলেই গর্ভবতী কিনা।

অনেক সময় দেখা যায় প্রস্রাব টেস্টে পজিটিভ দেখালেও আসলে গর্ভে সন্তান নেই। অনেক সময়ই শুধুমাত্র বাচ্চার থলি আসে কিন্তু বাচ্চা থাকেনা।

~বাচ্চা জরায়ুতে আছে নাকি অন্য কোথাও। জরায়ুতে না থেকে অন্য কোথাও থাকাকে বলে এক্টপিক প্রেগন্যান্সি। এ ক্ষেত্রেও প্রস্রাব টেস্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু বাচ্চা বেশিদিন বাঁচে না।

~ বাচ্চা কি গর্ভে একটি নাকি একের অধিক

~অনেকে মাসিকের তারিখ মনে রাখতে পারেনা। এসময়ই বাচ্চার বয়স জানা যায়।

~মায়ের জরায়ুতে কোন সমস্যা আছে কিনা। সমস্যা থাকলে অনেক সময় গর্ভপাত হয়ে যায়।

♦২য় বার করাতে হবে ৫ম মাসে। এসময় জানা যাবে-

~ বাচ্চার কোন জন্মগত ত্রুটি আছে কিনা। আগে থেকে জানা থাকলে সে অনুযায়ী বাচ্চার ডেলিভারির পরপরই চিকিৎসার ব্যবস্থা কিরা যায়।

~ প্লাসেন্টা যেটা অনেকেই ফুল নামে জানে তার অবস্থান কোথায়। প্লাসেন্টার অবস্থানের উপর ডেলিভারি কতটা নিরাপদ হবে বুঝা যায়। অনেক মা ই ডেলিভারির পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায়। তার কারণ হলো আগে থেকে প্লাসেন্টার অবস্থান না জেনে ব্যবস্থা নিতে না পারা।

~ ডেলিভারির ডেট কবে তা জানা যায়।

~বাচ্চা জীবিত কিনা

♦ শেষ আল্ট্রা করতে হয় ৮/৯ মাসে।এ সময় জানতে পারবে-
~ বাচ্চার ওজন

~ জরায়ুতে পানি কতটা আছে। পানি কম থাকলে বাচ্চা প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন পায়না।এতে বাচ্চার নির্দিষ্ট ডেলিভারির তারিখ পর্যন্ত বেচে থাকা কঠিন। তাই বলে অতিরিক্ত পানি থাকাও ভালোনা।

~প্লাসেন্টাতে কোন সমস্যা আছে কিনা

~ বাচ্চার পজিশন। সাধারণত মাথা নিচের দিকে থাকলে নরমাল ডেলিভারি করা সহজ।

♠ রায়পুরে এই প্রথম সর্বাধুনিক ডুয়েল মনিটর ডিজিটাল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন- দ্বারা প্রেগ্ন্যেসি সহ সকল ধরনের আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয় "ফরিদ ডায়গনস্টিক সেন্ট্রার"
যোগাযোগঃ ০১৭১১ ৭০৮৮৯২
Farid Diabetic & Asthma Centre

26/07/2022
08/06/2022
 #তাপপ্রবাহ_হিটস্ট্রোক_প্রতিকার #হিটস্ট্রোক_কি?দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড গরমে থাকার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছা...
26/04/2022

#তাপপ্রবাহ_হিটস্ট্রোক_প্রতিকার

#হিটস্ট্রোক_কি?
দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড গরমে থাকার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিটস্ট্রোক হয়।
এ অবস্থায় শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং অনেক সময় মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

#হিটস্ট্রোকের_লক্ষণগুলো:

• শরীর প্রচণ্ড ঘামতে শুরু করে আবার হঠাৎ করে ঘাম বন্ধ হয়ে যায়
• নিঃশ্বাস দ্রুত হয়
• নাড়ির অস্বাভাবিক স্পন্দন হওয়া অর্থাৎ হঠাৎ ক্ষীণ ও দ্রুত হয়
• রক্তচাপ কমে যায়
• প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়
• হাত পা কাঁপা, শরীরে খিঁচুনি হয়
• মাথা ঝিমঝিম করা
• তীব্র মাথাব্যথা
• ব্যবহারে অস্বাভাবিকতার প্রকাশ
• কথা-বার্তায় অসংলগ্ন হওয়া।

#স্ট্রোক_হলে_করনীয়:

• হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলেই প্রথমে শরীরের তাপ কমানোর জন্য ঠাণ্ডা বরফ পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন
• আক্রান্ত ব্যক্তিকে শীতল পরিবেশে নিয়ে আসুন
• শরীরের কাপড় যথাসম্ভব খুলে নিন
• প্রচুর ঠাণ্ডা পানি, ফলের শরবত অথবা স্যালাইন পান করতে দিন
• হিট স্ট্রোক হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় হাসপাতালে নিতে হবে।

Address

Upazila Parishad Road, Raipur/Lakshmipur
Raipur

Opening Hours

Monday 08:00 - 20:00
Tuesday 08:00 - 20:00
Wednesday 08:00 - 20:00
Thursday 08:00 - 20:00
Friday 08:00 - 20:00
Saturday 08:00 - 20:00
Sunday 08:00 - 20:00

Telephone

+8801711708892

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Farid Diabetic & Asthma Centre posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share