26/04/2024
সমকামিতার কারণে অভিশপ্ত কওমে লুতের উপর আল্লাহ তায়ালা যে আযাবের অগ্নি পাথর বৃষ্টি ঝড়িয়ে ছিলেন, বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন সেগুলো ছিল সালফার যা বারুদ তৈরি প্রধান উপাদান । আর এ সালফার গুলো পৃথিবীর আর সকল স্থানে প্রাপ্ত সালফারের বেশি পিওর এবং অধিক তেজস্ক্রিয় । কেমিস্ট্র, আর্কিওলজিস্ট এবং বিজ্ঞানীদের মতে এ সালফার গুলো ক্রমান্বয়ে তেজস্ক্রিয়তা হারাচ্ছে । তেজস্ক্রিয়তা হারিয়েই এখনো এত পিওর, তাহলে আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে যখন এগুলো আকাশ থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল তখন এর তেজস্ক্রিয়তা কেমন ছিল ? বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে ধারণা করেছেন, সে সময়ে এ সালফার গুলোর উত্তপ্ততা নিক্ষিপ্ত করার ক্ষমতা ছিল সূর্যের চেয়েও চারগুণ বেশি। অভিশপ্ত এ জায়গাটার উপর দাঁড়িয়ে আছে আজকের ডেড সি, আল্লাহ ভূমিকম্প দিয়ে তা এতটা ধসিয়ে দেন যে তা পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের সবচাইতে নিম্নতম স্থানে পরিণত হয় এবং এ সাগরের পানি পানি এতই বিষাক্ত যে ওখানে উদ্ভিদ বা প্রাণী কিছুই জন্মায় না আর অতি লবণাক্ততার কারণে কেউ ডুবে না।
এ তো পবিত্র কোরআনে বর্ণিত , আল্লাহ বলেছেন , মুসলিমরা জেনেছে এবং বিশ্বাস করেছে । অধুনা বিজ্ঞান তা প্রমাণ করেছে । Buried secrets of the bible with Albert Lin : S***m & Gomorrah ( Full Episode ) | National Geographic লিখে ইউটিউবে সার্চ দেন । ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেল কিছুদিন আগে এ নিয়ে ভিডিও প্রকাশ করে , যা অল্প কিছুদিনে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে । Albert Lin নামক এই আর্কিওলজিস্ট ২০ বছর এই অভিশপ্ত জায়গায় গবেষণা করেছেন, কথা বলেছেন এ জায়গা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বিজ্ঞানীর সাথে এবং তিনি তথ্য প্রমানের মাধ্যমে এ সত্যতা প্রকাশ করেছেন ।
কওমে লুতের উপর আল্লাহর আযাবের কারণ ছিল, তারা ছিল সমকামী ।
পেনিস থাকা সত্ত্বেও মনে মনে ভাবলো মেয়ে, তাই সে মেয়ে ! পুরুষ যৌন চাহিদা মেটাতে পুরুষের কাছে যাবে , এরকম জঘন্য অশ্লীল অরুচিকর বিষয় নিয়ে লিখতে হবে, এদেশে এত দ্রুত তার প্রসারে মিডিয়া এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে যাবে, এক দু বছর আগেও আমি তা ভাবিনি । কানে কানে বলতে ও যা লজ্জা লাগতো, আমি ভাবতাম হয়তো একশো বছরও আসবে না এদেশে, অথচ এত দ্রুত তা ছাড়িয়ে গেল ! পবিত্র বাচ্চাদের পাঠ্যপুস্তকে পর্যন্ত দিয়ে দেওয়া হল। জমিনে আল্লাহর দুশমনদের সংখ্যা অল্প হলেও, আল্লাহ তাদের কারণে জমিনের বাকিদেরও রেহাই দেন না। বাকিদের দোষ, তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ কেন করেনি ।
তাপমাত্রা ৪০ ছাড়িয়েছে আজকে, আমার জীবনে আমি এরকম গরম দেখিনি । আগুনের শাস্তি দিবেন আল্লাহ জাহান্নামিদেরকে আখেরাতে । ৪০ ডিগ্রিতে আমাদের প্রাণ যায় যায়, এতো সামান্য নমুনা, জাহান্নামের গরমের তীব্রতা আমাদের ধারণারও বাইরে ।
আল্লাহ যখন বান্দার উপর খুব রেগে যান তখন বিক্ষুব্ধ বাতাস পাঠান, আকাশ থেকে অনবরত পানি ঝরিয়ে জমিন ভাসিয়ে দেন, প্রচন্ড তাপদাহ, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প দিয়ে শাস্তি দেন ।
"তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ত তি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।" (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২)
এটা আমাদের আল্লাহর ওয়াদা, চলুন সবাই বেশি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, নিশ্চয়ই তিনি অচিরেই রহমতের বৃষ্টি ঝড়াবেন ।
/
আস্তাগফিরুল্লাহ ।