ইসলামের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞান- Islamer Aloke Chikitsa Biggan

  • Home
  • Bangladesh
  • Rajshahi
  • ইসলামের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞান- Islamer Aloke Chikitsa Biggan

ইসলামের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞান- Islamer Aloke Chikitsa Biggan ইসলামের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলে ?

দুধের উপকারিতা এবং কিভাবে খাবেন?প্রাথমিক কথা:দুধ মহান আল্লাহর বড় একটি নেয়ামত। এ নেয়ামতের কথা পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর গব...
13/11/2021

দুধের উপকারিতা এবং কিভাবে খাবেন?

প্রাথমিক কথা:
দুধ মহান আল্লাহর বড় একটি নেয়ামত। এ নেয়ামতের কথা পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর গবাদিপশুর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষা। তার উদরস্থিত গোবর ও রক্তের মধ্য থেকে পান করাই বিশুদ্ধ দুধ, যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু।’ (সুরা নাহল : ৬৬)।
প্রিয় নবী (সা.) দুধ খুব পছন্দ করতেন। মেরাজের রাতে নবী (সা.) এর সামনে জিবরাইল (আ.) দুধ আর মধু পেশ করে যে কোনো একটি গ্রহণের কথা বলেন। নবী (সা.) দুধ গ্রহণ করে পান করেন।

দুধের উপকারিতা:
১। দুধ ক্যালসিয়ামের সব চাইতে ভালো উৎস। ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠন মজবুত করে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি এর সাহায্যে আমাদের হাড় ও দাঁতে শোষিত হয়ে হাড় ও দাঁতের গড়ন দৃঢ় করে এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। বাচ্চাদের ছোটকাল থেকেই দুধ পানের অভ্যাস করানো উচিৎ। এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই অভ্যাসটি অপরিবর্তিত থাকলে দেহে বার্ধক্যও আসবে দেরিতে।
২। কর্মব্যস্ততার পর ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস গরম দুধ খুবই উপকারী। গরম দুধ ক্লান্ত পেশি সতেজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া, দুধ খেলে শরীরে মেলটনিন ও ট্রাইপটোফ্যান হরমোন নিঃসৃত হয়, এই হরমোনগুলো ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
৩। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা মাংশপেশির গঠনে অনেক বেশি সহায়তা করে। দুধ মাংশপেশির আড়ষ্টতা দূর করতে সক্ষম।
৪।। দুধে রয়েছে পটাশিয়াম যা হৃদপিণ্ডের পেশির সুস্থতা বজায় রাখে। তাছাড়া এর খনিজ উপাদান হৃদপিণ্ড সতেজ রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও করতে পারে।
৫। দুধে আছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা চুলের জন্য খুব উপকারী।
৬। প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধ পান করলে আজেবাজে খাবারের চাদিহা কমে। এতে করে ওজনও কমে যায়।

৭। যারা পাকস্থলীর আলসার তথা গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগী, তাদেরও দুধ খাওয়া উচিত নয়। এ ধরনের রোগী দুধ খেলে পেট ব্যথা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন।
৮। যারা প্যানক্রিয়েটিটিস (Pancreatitis) বা অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ রোগে আক্রান্ত, তাদের উচিত দুধ না-খাওয়া। দুধে স্নেহজাতীয় পদার্থ আছে। এ ধরনের উপাদান হজমের জন্য পিত্ত ও অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত এনজাইম প্রয়োজন হয়। যদি অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি দুধ খান, তবে তার অসুস্থতা বেড়ে যাবে।
৯। এলার্জি থাকলে, দুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান হোন। কারণ, এলার্জির রোগীদের দুধ খেতে নিষেধ করেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। দুধ আপনার এলার্জি বাড়িয়ে দিতে পারে। এলার্জির রোগী দুধ খেলে তার পেট ব্যথা ও ডায়রিয়াও হতে পারে। তা ছাড়া, অন্ত্র ফুটো হয়ে রক্তপাতও হতে পারে।

গরুর দুধে হজমে সমস্যা, পেটের গণ্ডগোল কিংবা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত লোকের কয়েকটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প যা দুধের মতোই পান করা বা রান্নায় ব্যবহার করা যায়:
১। সয়া দুধ।
গরুর দুধের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিকল্প হলো সয়া দুধ। সয়াবিনের নির্যাস থেকে এ দুধ তৈরি হয়। এটি চিনি মিশিয়ে মিষ্টি করে কিংবা চিনি ছাড়াও খাওয়া যায়। এ ছাড়া বাজারে এটি চকলেট ও ভ্যানিলা স্বাদেও পাওয়া যায়।
২। রাইস দুধ।
চালে খুব কম মানুষেরই অ্যালার্জি বা অনুরূপ সমস্যা হয়। আর এ কারণে সেদ্ধ চালের গুঁড়া থেকে তৈরি এ দুধ অনেকেই পছন্দ করে। গরুর দুধের সঙ্গে তুলনায় এ দুধে রয়েছে উচ্চমাত্রার কার্বহাইড্রেট ও নিম্নমাত্রায় প্রোটিন।
৩। নারিকেল দুধ।
গরুর দুধের সঙ্গে তুলনায় নারিকেল দুধ ঘনত্ব ও রঙের দিক দিয়ে মিল রয়েছে। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্যাট। অনেকটা বাদামের মতো স্বাদ থাকায় এটি বেকিংয়ে ব্যবহার করা যায়।
৪। অ্যামন্ড দুধ।
অ্যামন্ড বা কাঠ বাদামের নির্যাস থেকে এ দুধ তৈরি হয়। এতে গরুর দুধের তুলনায় কম কম প্রোটিন থাকলেও স্বাদ ও গন্ধ আকর্ষণীয়। এটি রান্নাতেও ব্যবহার করা যায়।
৫। হেম্প দুধ।
যারা দুধে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত তাঁরা পান করতে পারেন হেম্প দুধ। এটি হেম্প বীজ, মিষ্টি ও পানি মিশ্রণ করে তৈরি হয়। সাধারণ দুধের চেয়ে বেশি সময় এটি সংরক্ষণ করা যায়।

শেষ কথা:
প্রতিদিন খাবার তালিকায় মাত্র এক গ্লাস দুধ আমাদের দেহের যতোটা উপকার করে তা অন্য কোনো খাবার করতে পারে না। এই কারনেই দুধকে বলা হয় সর্বগুণ সম্পন্ন খাবার অর্থাৎ ‘সুপারফুড’।দুধ খুবই ভালো একটি খাদ্য; অথচ এ খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রেও আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
"পুষ্টি বিষয়ে সচেতন হলে,
মেধাবী জাতি উঠবে গড়ে।"

13/11/2021

Subhanallaah

28/08/2021

********হিজামা নিয়ে কিছু কথা*******

📷📷হিজামা কী::
হিজামা এমন একটি চিকিৎসা যাতে অন্যান্য মেডিকাল ড্রাগসের মত কোন সাইড ইফেক্ট নেই। কেবল নিরাময় আছে (সুবাহনাল্লাহ)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি সাল্লাম তাঁর নিজের জন্য এ চিকিৎসাটি করিয়েছিলেন।
হিজামা (حِجَامَة ) একটি নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা।
এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া।
আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং),বাংলাতে শিংগা লাগানো।

📷📷হিজামা কিভাবে কাজ করে::
শরিরের বিভিন্ন স্থান থেকে নেগেটিভ সাকশনের মাদ্ধমে চামড়ার নিচে ছড়িয়ে থাকা অপ্রয়োজনীয় রক্ত বের করে আনা হয়।এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।

📷📷আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা:)বলেছেন-
জিবরীল আমাকে জানিয়েছেন যে মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে তার মধ্যে হিজামাই হল সর্ব উত্তম।
আল-হাকিম, হাদিস নম্বরঃ ৭৪৭০.
📷📷জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।
” সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০২

📷📷হিজামা দ্বারা যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে

১। দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা(মাইগ্রেনসহ)
২। রক্তদূষণ
৩। উচ্চরক্তচাপ
৪। চুল পড়া
৫। ঘুমের ব্যাঘাত
৬। পায়ে ব্যথা
৭। বাতের ব্যথা
৮।নার্ভের সমস্যা
৯। আথর্রাইটিস
১০।গেটে বাত
১১। ত্বকের বর্জ পরিস্কার
১২।ঘাড়ে ব্যথা
১৩। দীর্ঘ মেয়াদী চর্ম রোগ
১৪। কিডনী রোগ
১৫। মাংস পেশীর ব্যথা
১৬।হাড়ের স্হানচু্তি জনিত ব্যথা
১৭।সাইনুসাইটিস
১৮।অবস(প্যরালাইসিস)
১৯।গ্যাস্ট্রিক পেইন,এসিডিটি
২০।হাঁপানি (Asthma)
২১।হৃদরোগ
২২।থাইরয়েড
২৩। শারিরিক দুর্বলতা
২৪।গোড়ালি ব্যাথা
২৫।ব্লাক ম্যাজিক বা কালো জাদুর সমস্যা
২৬।বমির সমস্যা
২৭।হাটু ব্যাথা
২৮।কোমর ব্যাথা
২৯।হাড় ক্ষয়জনিত ব্যাথা
৩০।লিভার ডিজিজ
৩১।মিসক্যারেজের সমস্যা
৩২।ইরেগুলার প্রিয়োড
৩৩।হরমনাল সমস্যা
৩৪।ডিপ্রেশন ...
ইত্যাদি ভিবিন্ন রোগ...।।
📷📷যোগাযোগঃ
আমাদের ঠিকানাঃ আব্দুস সাত্তার সুপার মার্কেট, নওদাপাড়া বাজার,রাজশাহী।
মোবাইলঃ 01937364681, 01537736170

জনৈক ব্যক্তিঃ শায়েখ, কুরআনে বলা হয়েছে বিয়ে করলে রিজিক বাড়ে, কই আমার তো বাড়লো না। বরং আরো খারাপ হলো..শায়েখঃ তুমি বিয়ে করে...
27/07/2021

জনৈক ব্যক্তিঃ শায়েখ, কুরআনে বলা হয়েছে বিয়ে করলে রিজিক বাড়ে, কই আমার তো বাড়লো না। বরং আরো খারাপ হলো..
শায়েখঃ তুমি বিয়ে করেছো কত বছর বয়সে?
জনৈক ব্যক্তিঃ বত্রিশে।
শায়েখঃ মানুষের যৌবনের সবচে বিপজ্জনক সময়টি হচ্ছে ২১-২৫ বছর বয়সের সময়টুকু, ওই সময়ে তুমি সবধরনের পাপ থেকে মুক্ত ছিলে?
জনৈক ব্যক্তিঃ একটু আধটু পাপ তো সবারই হয় শায়েখ, মানুষ কি ফিরিশতা নাকি?
শায়েখঃ একটু আধটু পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখার জন্য তখন বিয়ে করোনি বলেই তোমার বিয়ের পরে অভাব যায়নি কারণ কুরআনে বলা হয়েছে চরিত্র রক্ষার্থে বিয়ে করলে আল্লাহ দায়িত্ব নেবেন। তুমি তো সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণের জন্য বিয়ে করেছো, চরিত্র রক্ষার্থে নয়।
জনৈক ব্যক্তিঃ ইয়ে মানে... তখন বিয়ে করলে তো আমার ক্যারিয়ার নষ্ট হতো..
শায়েখঃ বিয়ের পর তোমার অভাব বৃদ্ধি পাওয়ার দ্বিতীয় কারণ এটা! তুমি আল্লাহর চেয়ে একটু বেশি বুঝতে চেয়েছো, মুমিনের সফলতা আল্লাহর সন্তুষ্টিতে। তুমি আসল সফলতার চিন্তা না করে কোন সফলতার দিকে দৌড়াচ্ছিলে? তোমাকে বলা হয়েছে যখনই বিয়ের সময় হবে বিয়ে করো, ধনী বানানোর দায়িত্ব আল্লাহর। তুমি ঠিক সময়ে বিয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে নিজে কেনো ধনী হতে চেয়েছিলে?
জনৈক ব্যক্তিঃ শায়েখ আমি ঈমান রক্ষার্থে সচেষ্ট ছিলাম তবুও কেনো কোনো পুরস্কার পেলাম না আল্লাহর কাছ থেকে?
শায়েখঃ স্ত্রীর নির্বাচনের সময় কোন জিনিসের প্রাধান্য সবচে বেশি দিয়েছো?
জনৈক ব্যক্তিঃ অভাব অনটনে জীবনটা শেষ শায়েখ, সম্পদটাই বেশি দেখেছি।
শায়েখঃ তোমার অভাব বৃদ্ধি পাওয়ার তিন নম্বর কারণ এটা। হাদীসে এসেছে যে ব্যক্তি স্ত্রী নির্বাচনে স্ত্রীর সম্পদের প্রতি লোভ করবে বিয়ের পর তার অভাব অনটন বেড়ে যাবে।
জনৈক ব্যক্তিঃ উফফফ...
শায়েখঃ শান্ত হও পুত্র! মুমিন কখনো হতাশ হয় না। মুমিনের ভুল সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও আল্লাহর ক্ষমার কাছে তা অতি ক্ষুদ্র! কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তওবা করো। আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন এবং তোমার রিজিকে বারাকাহ দান করবেন ইনশাআল্লাহ...

©কালেক্টেড।

 #স্পেনে_ছুরি-চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে যখন হাজার হাজার ষাঁড়কে হত্যা করা হয় তখন তারা বলে- এটি তো একটি খেলা!! #ডেনমার্কে_...
17/07/2021

#স্পেনে_ছুরি-চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে যখন হাজার হাজার ষাঁড়কে হত্যা করা হয় তখন তারা বলে- এটি তো একটি খেলা!!

#ডেনমার্কে_প্রতি বছর সাগরের মধ্যে শত শত ডলফিনকে হত্যা করা হয়, এমন কি সমুদ্রের পানি পর্যন্ত তাদের রক্তে লাল হয়ে যায়, তখন তার বলে- এটি একটি উৎসব!!

#ইয়াহুদীদের_একটি গোত্র প্রতি বছর হাজার হাজার মুরগিকে পাথর মেরে হত্যা করে। তাদের আক্বীদাহ্ হলো এভাবে পাথরের উপর মুরগী হত্যা করা হলে তাদের গুনাহ্ মাপ হয়ে যায়। তখন তারা বলে এটি তাদের ধর্ম ও বিশ্বাস!!

#খ্রিস্টানরা_নববর্ষ উদযাপনের নামে খাওয়ার জন্য হাজার হাজার ভারতীয় পাখিকে হত্যা করে। এই পাখি খাওয়াকে তারা নববর্ষের উত্তম খাবার মনে করে!!

#নেপাল_ভারতের হিন্দুরা ডিরেক্ট গরদান থেকে শরীর বিচ্ছিন্ন করে লাখ লাখ মহিষ এবং পাঠা বলী করে প্রত্যেক বছর! এটিও তাদের ধর্মিয় উৎসর্গ হিসেবে পরিচিত !

#কিন্তু_মুসলমানরা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনো প্রাণীকে কোরবানি করে, আর সেই পশুটিকে কোরবানির সময় ছুরিকে খুব ভালে করে ধার করে নেয়, তাকে আদর যত্ন করে খাবার খাওয়ায়, পানি পান করায়, জবাইয়ের সময় অন্য পশুদের থেকে দূরে নিয়ে কোরবানি করে, জবাইয়ের পর তার গোস্ত গরীব মুসলমানদের মাঝে বিতরণ করে... তখন অমুসলিমদের কাছে হয়ে যায় পশু হত্যার মত পাপ!!

#অন্যান্য_জাতির পাশবিকভাবে পশু হত্যার সময় হলুদ মিডিয়াগুলো মুখে তালা ঝুলিয়ে রাখলেও কিন্তু মুসলমানদের এই কোরবানির সময় তারা বের হয়ে আসে। ইসলামের শত্রুদের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে তাদের উচ্ছিষ্টভোগের রাস্তা উন্মুক্ত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়া কান্না জুড়ে দেয়। কারণ কি? ইসলাম সত্য ধর্ম!!!

আর ডেভিলরা(শয়তানরা) সত্যকে ভয় পায় তাই

।আল্লাহ আমাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক বুজ দান করুক আমিন৷

বিয়ের প্রশ্ন আসলেই বাবা-মায়েরা যেসব কথা বলে থাকেঃ১. বিয়ে যে করবি বউকে খাওয়াবি কি?২. আগে চাকরি-বাকরি কিছু কর এরপর ওসব ভেব...
02/07/2021

বিয়ের প্রশ্ন আসলেই বাবা-মায়েরা যেসব কথা বলে থাকেঃ
১. বিয়ে যে করবি বউকে খাওয়াবি কি?
২. আগে চাকরি-বাকরি কিছু কর এরপর ওসব ভেবে দেখা যাবে।
৩. এখন তোর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবার সময় ওসব মাথা থেকে ঝরে ফেল।
৪. তোর এখনো বিয়ের বয়স হয় নি।

অথচ ছেলে-মেয়ের বিয়ের বয়স অনেক আগেই হয়ে গেছে। ছেলে ঘুমাতে গেলে, তার কল্পনায় চলে আসে ডানা কাটা পরী! মেয়ে ঘুমাতে গেলে কল্পনা করতে থাকে রাজপুত্রের মতো ছেলের! এসব কল্পনা ঘুরপাক খেতে খেতে শয়তান মশাইও বিশাল চান্স পেয়ে যায়। ব্যাস ছেলে-মেয়েরা হারাম রিলেশন করা শুরু করে দেয়। পর্নগ্রাফি দেখা হয়ে যায় নিত্য দিনের রুটিন। ঘন্টার পর ঘন্টা প্রেমিকার সাথে কথা বলা, পার্কে গিয়ে নষ্টামিতে জড়িয়ে পরা, রুমডেট করা, ধর্ষণ করা, ইভ টিজিং করা ইত্যাদি আজকাল ডাল ভাত হয়ে গেছে। আর পত্রিকার পাতা খুলে এসব যখন আংকেল আন্টিদের সামনে ভেসে উঠে তখন তারা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বলে-

“আজ কালকার যুবসমাজদের কি যে হলো! একেবারে গোল্লায় চলে গেছে, ছি! ছি! ছি! এদের এতো অধপতন!"

আমি বলি- ও আংকেল, ও আন্টি, আপনি কি জানেন এই অধপাতের জন্য আপনারা দু'হাতে সাহায্য করেছেন!
আংকেল আন্টি হয়তো চমকে গিয়ে বলবে - "কি বলো বাবা এসব!"
জ্বি ঠিকি বলছি, আপনি আপনার সন্তানকে বিয়ের বয়স হওয়া মাত্র বিয়ে দিলেন না কেনো?
আংকেল আন্টি হয়তো আরও অধিক চমকে গিয়ে বললে-
"কি যে বলো বাবা! ওর কি এখন বিয়ের বয়স হয়েছে? মাত্র তো অনার্স এ পড়ে!"

অথচ, ছেলেদের দাড়ি গজানোর দ্বারা আর মেয়েদের ঋতু শুরু হওয়ার দ্বারা বোঝায় বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। হিসেব করে দেখুন, সেই কয়েক বৎসর আগেই বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। তাহলে আপনি জেনে শুনে বিয়ে দিতে নারাজ কেনো? আপনার ছেলের বয়স ২০, মেয়ের বয়স ১৬ বছর। আর আপনার পরিকল্পনা হলো ছেলের ২৫/২৬ বছর আর মেয়ের ১৮/২০ বছরে বিয়ে দেওয়ার! অনেকে তো আবার ২৮ বছর হওয়ার পরেও বিয়ের কোনো পাত্তা নেই! ভেবে দেখুন, তাহলে তারা এই মধ্যবর্তী সময়টা কি করবে এতদিন?

প্রেম করবে?
যেনা করবে?
পর্ন গ্রাফী দেখবে?
ইভ টিজিং করবে?
ধর্ষন করবে?
আর আপনি বসে বসে এসব পেপার পত্রিকায় দেখে গাঢ় লিকারে চা খাবেন আর দোষ দিবে শুধু যুব সমাজকে? আপনার কোনো দোষই নেই, তাইনা?

অথচ, সময় মতো যদি ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া না হয়, আর একারণে ছেলে-মেয়ে কোন গুনাহে লিপ্ত হয়, অন্য কারো সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে যায়, ইন্টারনেটে অশ্লীল ছবি দেখে, তাহলে এ গুনাহের দায়দায়িত্ব পিতা-মাতার উপর বর্তাবে। দলীল চান? আসুন একটা হাদিস শরিফ দেখি-

"সন্তান জন্মগ্রহণের পর পিতা-মাতার দায়িত্ব হলো তার সুন্দর নাম রাখা এবং দীন শিক্ষা দেয়া, আর বালেগ হয়ে গেলে বিবাহ করিয়ে দেয়া। যদি বালেগ হওয়ার পরও বিয়ে না করায়, আর সন্তান কোন গুনাহে লিপ্ত হয়, তাহলে এর দায়ভার পিতার উপরই বর্তাবে।" - [বায়হাকী, হাদীস নং ৮২৯৯]

আপনার সন্তান গুনাহ করছে আর আপনি বসে বসে গুনাহের ভাগ পাচ্ছেন। কাল হিসাবের ময়দানে এই গুনাহ যদি আপনাকে জাহান্নামে যেতে হয়, তখন?
এই হাদিস শরিফ অনেক অবিভাবকরা জানেন, জানা সত্বেও বিয়ে দিতে নারাজ।
তাদের যুক্তি- "ছেলেকে বিয়ে দিলে সে খাওয়াবে কি? সে তো এখনো ছাত্র।"

অথচ, তিনিনজানে না, সে চিন্তা তার নয়, সে চিন্তা তো আল্লাহ পাকের। তিনি সকল মাখলুকের রিজিকের জিম্মাদারি নিয়ে নিয়েছেন। সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগেই রিযিকের ফায়সালা করে দিয়েছেন। তাছাড়া ছেলে কি পড়াশুনার পাশাপাশি দু’একটা টিউশনি করে কিছু রোজগার করতে পারবে না? যদি না-ও পারে তাহলে আমাদের প্রিয় রাসূল কি বলেছেন জানেন?
- রাসুল (সঃ) বলেছেন, "একজনের খাবার দু’জনের জন্য যথেষ্ট। দু’জনের খাবার তিন জনের জন্য যথেষ্ট।" [মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ২০৫৯]

আপনার ফ্যামিলিতে দু’চারজন সদস্য অবশ্যই আছে, আরেক জন আসলে কি তার জন্য ব্যবস্থা হবে না? অবশ্যই হবে। তো পড়া লেখা শেষ হওয়ার আগেই বিয়ে দিচ্ছেন না কেনো? রিযিকের মালিক আল্লাহ। নাকি আপনি চাকরিকে মনে করছেন? আপনার ইমান ঠিক আছে তো! জবাব দিন। অনেক সময় দেখা যায় তাদের প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেটি নিজে লজ্জার কারণে বলতে না পেরে বন্ধু-বান্ধবদের মাধ্যমে প্রস্তাব দেয়, "আংকেল আপনার ছেলে গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য বিয়ে করার প্রয়োজন মনে করছে ।" আর আপনি তখন বলেন- তার তো এখনো লেখা-পড়াই শেষ হয়নি, বিয়ে করে বউকে খাওয়াবে কোত্থেকে?

আপনাকে বলছি আংকেল। আপনি আল্লাহর প্রতিজ্ঞার ব্যাপারে কতোটুকু বিশ্বাসী? আপনি জানেন না আল্লাহ্ তায়ালা প্রতিজ্ঞা করেছেন “ বিয়ে করলেই তোমাদের ধনী করে দিবো।” তবুও ছেলেকে বিয়ে দেন না আপনি! আবার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময় কেবলই চাকুরীজীবী ছেলে খুঁজেন। এটা কি আল্লাহ্ তায়ালার উপর অনির্ভরশীলতারই ইঙ্গিত বহন করে না?

অথচ, একটা ভালো চাকরির পূর্বশর্তই হওয়াই উচিত “বিয়ে”। কেননা, তখন তাকে রিজিক প্রদান করার দায়িত্ব স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা নিয়ে নেন।

আল্লাহ পাক বলেছেন -
"তোমাদের মধ্য হতে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ দিয়ে দাও এবং দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরকেও। তারা যদি নিঃস্বও হয়ে থাকেন তবে স্বয়ং আল্লাহ্ তাকে ধনী বানিয়ে দেবেন।" [সূরা নুর, আয়াতঃ ৩২]

অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, আজ মুসলিম উম্মাহ ইহুদী-খ্রিষ্টানদের নানামুখি ষড়যন্ত্রের শিকার। এদেশে যত এন.জি.ও আছে, এর অধিকাংশই ইহুদী-খ্রিষ্টানদের অর্থে পরিচালিত। তারা সমন্বিত প্রচেষ্টায় সরকারকে দিয়ে এ আইন পাশ করিয়েছে যে, ১৮ বছরের আগে কোন মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না। তাদের ভাষায় এটা হল “বাল্যবিবাহ”। অথচ মেয়েরা সাধারণত আরো চার/পাঁচ বছর আগেই বালেগা হয়ে থাকে।

কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একবার বলেছিলেন, এই আইনটা ১৬ বছরে করা হোক, কারণ মেয়েরা এতটা সময় (১৮ বছর) বসে থাকে না। পারিপার্শিকতাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের পক্ষে চারিত্রিক পবিত্রতা ধরে রাখা সম্ভবপর হয়না। বন্ধু-বান্ধবের হাত ধরে চলে যায়, নানা অঘটন ঘটায়। কিন্তু এনজিওদের হৈচৈয়ের কারণে সেটা আর সম্ভবপর হয়নি। এনজিওরা এই আইনটি পাশ করিয়েছে মূলত যিনা-ব্যভিচারকে ব্যাপক করার জন্য। এর জন্য তারা মুড়ি-মুড়কির মতো দেদারসে জন্মবিরতিকরণ ট্যাবলেট ও বিভিন্ন উপকরণ সাপ্লাই দেয়। এরপরও কোন মেয়ে যদি বিপদে পড়ে যায়, পেটে অবৈধ সন্তান চলে আসে- এর জন্য তারা ‘মেরী স্টোপস’ প্রতিষ্ঠা করেছে, যার কাজ হল-মাতৃসেবার ছদ্মনামে অবৈধ গর্ভপাতের নিরাপদ আলয় তৈরি করা। আর মুসলমানরা মনে করছে, আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য সরকার কত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। (হামারে আয়েলী মাসায়েল, ১৬০)

তাই অবিভাবকের প্রতি রিকুয়েষ্ট, আপনার ছেলে মেয়েকে গুনাহ থেকে বাঁচাতে, যেনা-ব্যাভিচার থেকে বাঁচাতে, ধর্ষন- ইভ টিজিং থেকে বাঁচতে, সমাজকে সুন্দর করতে, বিয়ের বয়স হওয়া মাত্র বিয়ের ব্যাবস্থা করে দিন। এটা সন্তানের হক।

সাহায্যকারী বয়ান: মুফতি মনসূরুল হক (দাঃ বাঃ)
শাইখুল হাদিস ও প্রধান মুফতি, জামিআ রাহমানিয়া মাদ্রাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

হিজামা এমন একটি চিকিৎসা যাতে অন্যান্য মেডিকাল ড্রাগসের মত কোন সাইড ইফেক্ট নেই। কেবল নিরাময় আছে (সুবাহনাল্লাহ)। রাসূল ...
25/06/2021

হিজামা এমন একটি চিকিৎসা যাতে অন্যান্য মেডিকাল ড্রাগসের মত কোন সাইড ইফেক্ট নেই। কেবল নিরাময় আছে (সুবাহনাল্লাহ)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি সাল্লাম তাঁর নিজের জন্য এ চিকিৎসাটি করিয়েছিলেন।

হিজামা (حِجَامَة ) একটি নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা।

এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া।

আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং)। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।

আবু_হুরাইরা_রাঃ_থেকে_বর্ণিত_রাসূলুল্লাহ (সা:)বলেছেন-

জিবরীল_আমাকে_জানিয়েছেন_যে_মানুষ_চিকিৎসার_জন্য_যতসব_উপায়_অবলম্বন_করে_তার_মধ্যে_হিজামাই_হল_সর্ব_উত্তম।

আল-হাকিম, হাদিস নম্বরঃ ৭৪৭০.

জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।

” সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫

হিজামা_বা_wet_Cupping Therapy দ্বারা যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

১। দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা(মাইগ্রেনসহ)

২। রক্তদূষণ

৩। উচ্চরক্তচাপ(হাই প্রেসার)

৪। যেকোন ধরনের ব্যাথা

৫। ঘুমের ব্যাঘাত

৬। পায়ে ব্যথা

৭। বাতের ব্যথা

৮। জয়েন্ট পেইন

৯। আথর্রাইটিজ

১০।গেটে বাত

১১। ত্বকের বর্জ পরিস্কার

১২।ঘাড়ে ব্যথা

১৩। দীর্ঘ মেয়াদী চর্ম রোগ

১৪। কিডনী রোগ

১৫। মাংস পেশীর ব্যথা(Muscle pain)

১৬।হাড়ের স্হানচু্তি জনিত ব্যথা

১৭।সাইনুসাইটিস(nasal sinus)

১৮।অবস(প্যরালাইসিস)

১৯।গ্যাস্ট্রিক পেইন,এসিডিটি

২০।অবস(প্যরালাইসিস)

২১।হাঁপানি (Asthma)

২২।হৃদরোগ(Cardiac Disease)

২৩।থাইরয়েড

২৪। শারিরিক দুর্বলতা...

ইত্যাদি ভিবিন্ন রোগ...।।

যোগাযোগঃ

 আমাদের ঠিকানাঃ সাত্তার সুপার মার্কেট, ৪র্থ তলা, নওদাপাড়া বাজার, রাজশাহী।

চিকিৎসা নিতে ফোন করুনঃ ✆ 01937364681

 রাজশাহী সিটির ভিতরে হোমসার্ভিস দেওয়া হয়।

(বিঃদ্রঃ ফোনে যোগাযোগ করে আসবেন)

 আমাদের ঠিকানাঃ ভাই বন্ধু ফার্মাসী ,সদর হাসপাতাল,ঝিনাইদহ

চিকিৎসা নিতে ফোন করুনঃ ✆ 01937364681

21/03/2021

যে দুয়ায় বিষ ব্যথা কমে। কিভাবে, কয়বার, রুকিয়াটি করবেন নিজের ও অন্যের জন্য দেখেদেখে শিখে নিন

 #জেনে_রাখা_ভালো ***মানবদেহ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ১। হাড় সংখ্যা - ২০৬২। পেশী সংখ্যা - ৬৩৯৩। কিডনি সংখ্যা - ২...
23/02/2021

#জেনে_রাখা_ভালো
***মানবদেহ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
১। হাড় সংখ্যা - ২০৬
২। পেশী সংখ্যা - ৬৩৯
৩। কিডনি সংখ্যা - ২
৪। দুধ দাঁতের সংখ্যা - ২০
৫। পাঁজড় সংখ্যা - ২৪ (১২ জোড়া)
৬। হৃদয়ের চেম্বার সংখ্যা - ৪
৭। স্বাভাবিক রক্তচাপ - ১২০/৮০
৮। রক্তের PH - ৭.৪
৯। মেরুদন্ড মেরুদন্ডের সংখ্যা - ৩৩
১০। নেক মধ্যে সংখ্যা - ৭ টি
১১। মাঝারি কানের হাড়ের সংখ্যা - ৬
১২। মুখে হাড় #সংখ্যা - ১৪
১৩। স্কাল মধ্যে হাড় সংখ্যা - ২২
১৪। বুকে হাড় সংখ্যা - ২৫
১৫। অস্ত্র হাড় সংখ্যা - ৬
১৬। মানুষের প্রতিটি কানের ভিতরে ৩টি করে হাড় থাকে। এগুলোর নাম হলঃ ম্যালিয়াস, ইনকাস, স্টেপিস (কানের বাহির থেকে ভিতরের দিকে সিরিয়াল অনুযায়ী। মনে রাখার সূত্র: MIS।)
২ কানে মোট ৬ টি হাড় থাকে। এগুলোর মধ্যে স্টেপিস হল মানব দেহের ক্ষুদ্রতম হাড়।
১৭। মানুষের বাহুতে পেশীর সংখ্যা - ৭২
১৮। হৃদয়ের পাম্প সংখ্যা - ২
১৯। বৃহত্তম #অঙ্গ - চামড়া
২০। বৃহত্তম গ্রান্তি - লিভার
২১। ছোট কোষ - রক্তের কোষ
২২। বৃহত্তম #কোষ - ডিম সেল (ডিম্ব)
২৩। ছোট হাড় - স্ট্যাপ
২৪। সর্বাধিক #ধমনী - বারোটাবারোটা
২৫। আমাদের দেহের রক্তে একটি সমুদ্রের সম পরিমাণ লবন রয়েছে।
২৬। দৈনিক আমাদের হৃদপিণ্ড ১০০বার করে আমাদের দেহে রক্ত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রবাহিত করে।
২৭। আমাদের চোখের একটি পাপড়ি ১৫০ দিন বেঁচে থাকে। এর পর নিজে থেকেই ঝড়ে পড়ে।
২৮। আমাদের চোখের ওপর ভ্রুতে তে ৫০০ টি লোম আছে।
২৯। ১০০ বিলিয়ন এর অদিক নার্ভ সেল নিয়ে আমাদের দেহ গঠিত।
৩০। মানুষ চোখ খুলে হাঁচি দিতে পারেনা।
৩১। পাথর থেকে মানুষের দেহের হাড় ৪ গুণ বেশি শক্তিশালী।
৩২। আমরা যখন খাবার খাই আমাদের মুখে সে খাবারের স্বাদ ১০ দিন পর্যন্ত থাকে।
৩৩। মানুষ হাঁটুর ক্যাপ ছাড়া জন্মগ্রহণ করে এবং তা ২ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত দেখা যায়না।
৩৪। মানব শিশু বসন্ত কালে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
৩৫। আমাদের চোখ সবসময় একই রকম থাকে কিন্তু কান ও নাক বৃদ্ধি পাওয়া কখনোই থেমে থাকেনা।
৩৬। আমরা জন্মগ্রহণ করি ৩০০ হাড় নিয়ে কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর আমাদের দেহে ২০৬ টি হাড় থাকে।
৩৬। আমাদের মাথার খুলি ২৬ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন হাড় দিয়ে তৈরি।
৩৮। আমাদের হাতের নখে যেই পদার্থ আছে ঠিক সেই পদার্থ দিয়ে আমাদের চুল তৈরি হয়ে থাকে, ফলে হাত এবং চুল উভয়ই একই জিনিস তবে দুইটির ঘনত্ব আলাদা।
৩৯। অবাক হবেন না, আমরা যখন হাঁচি দেই তখন আমাদের শরীরের ভিতর সমস্ত ধরণের কাজ বন্ধ হয়ে যায় এমনকি হার্টবীটও থেমে যায়।
৪০। মানুষের দেহের সবচেয়ে শক্তিশালী পেশি হচ্ছে জিহ্বা।
৪১। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ প্রতিদিন ৬ বার বাথরুমে যায়।
৪২। আমাদের মুখ থেকে পেটে খাদ্য পৌছাতে মাত্র ৭ সেকেন্ড সময় লাগে।
৪৩। প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে শিশুদের মুখে যেকোন খাবারের স্বাদ থাকে বেশি।
৪৪। মানুষ হাঁচি দিলে যে বাতাস বের হয় তা প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতিতে বাহির হয়।
৪৫।মানব দেহের সবচেয়ে বড় হাড় হল উরুর হাড় (Thighbone)। এর নাম হল ফিমার।
৪৬। আমাদের শরীরের ক্ষুদ্রতম হাড় হল কানের হাড়।
৪৭। রাতের তুলনায় সকালে আমাদের দেহ লম্বা হয় দ্রুত।
৪৮।মুত্র প্রস্তুত হয় কিডনীতে। মুত্র হলুদ দেখায় বিলিরুবিনের জন্য।
৪৯। নার্ভের মাধ্যমে প্রবাহিত আবেগের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১২৫ মিটার।
৫০। একজন সুস্থ মানুষের একটি হৃদ কম্পন সম্পূর্ণ হতে কত সময় ০.৪ সেকেন্ড।

প্রশ্ন: মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন- কালিজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ। তাহলে নিয়মিত কালজিরা খেলেও রোগ সারে না কেন? কালিজ...
18/01/2021

প্রশ্ন: মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন- কালিজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ। তাহলে নিয়মিত কালজিরা খেলেও রোগ সারে না কেন? কালিজিরা খাওয়ার কি কোনো নিয়ম আছে?

উত্তর:
প্রথমে আমরা কালোজিরা সম্পর্কে হাদিসে কী বলা হয়েছে তা জেনে নিব। এ সম্পর্কে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা হল:
▪ ১) আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
عَلَيْكُمْ بِهَذِهِ الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ فَإِنَّ فِيهَا شِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ السَّامَ ‏”‏ ‏.‏ وَالسَّامُ الْمَوْتُ
“তোমরা এই কালোজিরা ব্যবহার করবে। কেননা, এতে মৃত্যু ছাড়া সব রোগের প্রতিষেধক রয়েছে।” [সূনান তিরমিযী, হাদিস নম্বরঃ [2048]অধ্যায়ঃ ৩১/ চিকিৎসা (كتاب الطب عن رسول اللَّهِ ﷺ), ইসলামিক ফাউন্ডেশন]

▪ ২) আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন:
فِي الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ، إِلاَّ السَّامَ
“কালোজিরায় মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের আরোগ্য রয়েছে। (বুখারী পর্ব ৭৬ অধ্যায় ৭ হাদিস নং ৫৬৮৮; মুসলিম ৩৯/২৯ হাঃ ২২১৫)
▪ ৩) বুরায়দা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إِنَّ هَذِهِ الْحَبَّةَ السَّوْدَاءَ فِيهَا شِفَاءٌ ، قَالَ وَفِي لَفْظٍ : قِيلَ وَمَا الْحَبَّةُ السَّوْدَاءُ ؟ قَالَ الشُّونِيزُ قَالَ
وَكَيْفَ أَصْنَعُ بِهَا ؟ قَالَ : تَأْخُذُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ حَبَّةً فَتَصُرُّهَا فِي خِرْقَةٍ ، ثُمَّ تَضَعُهَا فِي مَاءٍ لَيْلَةً فَإِذَا أَصْبَحْتَ قَطَرْتَ فِي الْمَنْخِرِ الْأَيْمَنِ وَاحِدَةً وَفِي الْأَيْسَرِ اثْنَتَيْنِ ، فَإِذَا كَانَ مِنَ الْغَدِ قَطَرْتَ فِي الْمَنْخِرِ الْأَيْمَنِ اثْنَتَيْنِ وَفِي الْأَيْسَرِ وَاحِدَةً ، فَإِذَا كَانَ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ قَطَرْتَ فِي الْأَيْمَنِ وَاحِدَةً وَفِي الْأَيْسَرِ اثْنَتَيْنِ
নিশ্চয় এই কালোজিরায় আরোগ্য রয়েছে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, কালোজিরা কী? তিনি বললে, শুনীয। প্রশ্ন করলেন: কিভাবে তা ব্যবহার করবো?
তিনি বললেন:
“২১টি কালোজিরার ১টি পুটলি তৈরি করে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখবে এবং সকালে (পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাসারন্ধ্রে ব্যবহার করবে) “প্রথমবার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। পরের দিন বাম নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। তৃতীয় দিন ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা ও বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।” (আবু নুআইম-কিতাবুত ত্বিব, মুস্তাগফিরী-কিতাবুত ত্বিব-সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থ ফাতহুল বারী থেকে নেয়া)
কালোজিরা সম্পর্কে একাধিক বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই হাদিসগুলো অবশ্যই সত্য। এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই। কারণ তিনি, যা বলতেন আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহীর মাধ্যমে বলতেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىٰ- إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ
এবং তিনি মনগড়া কথা বলেন না। এটি (আল্লাহর পক্ষ থেকে তার নিকট) প্রেরিত ওহী ছাড়া অন্য কিছু নয়।” (সূরা নজম: ৩ ও ৪)

♻ কালোজিরা থেকে উপকৃত হতে হলে কী করণীয়?

কালোজিরা থেকে প্রকৃত উপকার পেতে হলে অবশ্যই তার ব্যবহার পদ্ধতি জেনে সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
কখনো কালোজিরার তেল, কখনো পাউডার, কখনো মধু বা অন্যান্য জিনিসের সাথে মিশ্রণ, কখনো ফোটা আকারে ঢেলে, কখনো ব্যান্ডেজ করে এবং ব্যবহারের সঠিক সময় ও নিয়ম-পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যবহার করতে হবে। এ বিষয়গুলো গবেষণা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে বিশেষজ্ঞদের নিকট থেকে জানতে হবে। তাহলে আশা করা যায়, কালোজিরা ব্যবহার করে সকল প্রকার রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ইচ্ছে মত কালোজিরা ব্যবহার করলেই সকল রোগের ক্ষেত্রে সমান ভাবে সাফল্য নাও পাওয়া যেতে পারে।

♻ তবে মনে রাখতে হবে, রোগ থেকে আরোগ্য দান কারী একমাত্র আল্লাহ। ঔষধ-পথ্য কেবল মাধ্যম। সুতরাং আল্লাহ যদি না চান তাহলে কোন ওষুধই কাজ করে না।
কারণ আল্লাহ হয়তো বান্দাকে রোগব্যাধি দিয়ে পরীক্ষা করেন অথবা এর মাধ্যমে তার গুনাহ মোচন করেন, আখিরাতে মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং সেখানে তাকে এর চেয়েও বড় পুরস্কারে ভূষিত করেন যা দুনিয়ার সকল কল্যাণ এর থেকেও অধিক উত্তম। এ মর্মে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

সুতরাং ঝাড়ফুঁক, কালোজিরা, মধু, হোমিও, এলোপ্যাথি, ইউনানি সকল প্রকার ওষুধ ব্যবহার করে 100% রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে- এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা রোগ থেকে মুক্তি দান কারী। এটা একমাত্র তাঁর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।
আমাদের কাজ হবে, আল্লাহর উপর ভরসা করা এবং বিভিন্ন পথ্য ও ঔষধ ব্যবহার করা।
আল্লাহ চাইলে অবশ্যই সুস্থতা অর্জিত হবে। অন্যথায় তিনি অন্যভাবে বান্দাকে এর বিনিময় দান করবেন। এ বিশ্বাস রাখাই মুমিনের কর্তব্য।
যেমন জমিনে সঠিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ ও চাষাবাদ করেও অনেক সময় ফসল পাওয়া যায় না, সঠিকভাবে গাছ পরিচর্যা করার পরেও তাতে ফল ও ফুল ধরে না, দাম্পত্য জীবন সঠিকভাবে অতিবাহিত করার পরেও সন্তান ভাগ্যে জোটে না, এ্যালোপ্যাথিক, হোমিও, ইউনানি ইত্যাদি ঔষধ যথার্থ নিয়মে ব্যবহার করার পরেও অনেক সময় রোগ সারে না। কারো উপকার হয়; কারো হয় না।
সুতরাং এই বিষয়গুলো সর্বদা মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু যথার্থ নিয়মে কালোজিরা ব্যবহার না করার ফলে প্রত্যাশিত ফলাফল লাভ না করলে কোনোভাবেই হাদিসের প্রতি কু ধারণা পোষণ করা বৈধ নয়। যদিও ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকরা এ হাদিসের ব্যাপারে নানা অভিযোগ উত্থাপন করে থাকে।
আমরা দোয়া করি, আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত করুন। আমীন।

বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞান কালোজিরা গবেষণা করে এর মাধ্যমে অনেক রোগের চিকিৎসায় বিস্ময়কর ফলাফল অর্জন করেছে। আশা করি, সময়ের ব্যবধানে এর আরও ওষধি গুণ মানবজাতির সামনে প্রতিভাত হবে ইনশাআল্লাহ।
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব

প্রশ্ন: অনেকে ডিপ্রেশনে পড়লে নিজের হাত বা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটে। এ বিষয়ে ইসলাম কী বলে?উত্তর:আমাদের মনে রাখা...
18/01/2021

প্রশ্ন: অনেকে ডিপ্রেশনে পড়লে নিজের হাত বা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটে। এ বিষয়ে ইসলাম কী বলে?
উত্তর:
আমাদের মনে রাখা কর্তব্য যে, পার্থিব জীবনে বিষণ্ণতা (depression) দু:খ-কষ্ট, বিপদ, বিপর্যয়, ব্যর্থতা, রোগ-ব্যাধি, ক্ষয়-ক্ষতি, স্বপ্নভঙ্গ, না পাওয়ার বেদনা ইত্যাদি মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এগুলো মানুষকে সর্বদাই ঘিরে থাকে। এটাই দুনিয়ার প্রকৃত স্বরূপ।
এ সব কিছু থেকে মুক্তির একটি মাত্র স্থান রয়েছে। তা হল, জান্নাত। জান্নাত ছাড়া মানুষের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা আর কোথাও পূর্ণ হবে না আর কোথাও তারা সকল দু:খ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে না।
যাহোক, একজন ইমানদারের জীবনে ভাল-মন্দ যা কিছুই ঘটুক না কেন তার কর্তব্য, সর্বাবস্থায় আল্লাহর তকদিরের উপর সন্তুষ্ট থাকা, তার রহমত থেকে হতাশ না হওয়া , ধৈর্য ধারণ করা এবং কথাবার্তা ও আচার-আচরণে হাহুতাশ ও অস্থিরতা প্রকাশ না করা। কারণ বিপদ-মসিবত দিয়ে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে পরীক্ষা করেন, তার গুনাহ মোচন করে এবং আখিরাতে মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।
জং ধরা লোহাকে যেভাবে ভাপরের আগুনে পুড়িয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খাঁটি ও পরিশুদ্ধ করা হয় তেমনি মানুষকে নানা পরীক্ষা ও বিপদাপদে ফেলে আল্লাহ তার গুনাহ মোচন করে খাঁটি, পবিত্র ও পরিশুদ্ধ মানুষে পরিণত করেন।
সতুরাং মুমিনের কর্তব্য, সুখ, সমৃদ্ধি ও ভালো অবস্থায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করা আর দু:খ, দুর্দশা ও কষ্টে ধৈর্যের পরিচয় দেয়া। উভয় অবস্থায় তার জন্য অবারিত কল্যাণ রয়েছে আল হামদুলিল্লাহ।
কবি যথার্থই বলেছেন,
সকল ব্যথার বোঝা বইতে পারে,
সব জ্বালা যাতনাও সইতে পারে,
বিপদ-আপদ এলে আল্লাহকে ডাকে।
তাঁর দয়া করুণায় ভরসা রাখে।
হারায় না হুঁশ।
সেই তো মানুষ…সেই তো মানুষ!
(একটি ইসলামি সঙ্গীতের রিলিক্স)
◈◈ বিপদাপদে মুমিনের কর্তব্য:
আল্লাহ ভীরুদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বেদনাদায়ক নিয়তির উপর ধৈর্য ধারণ করা। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَٱلصَّٰبِرِينَ فِى ٱلْبَأْسَآءِ وَٱلضَّرَّآءِ وَحِينَ ٱلْبَأْسِ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ صَدَقُوا۟ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُتَّقُونَ
”আর অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই তাকওয়া বান (আল্লাহ ভীরু)।” (সূরা বাকারা: ১৭৭)
● দুনিয়ার জীবনটাই মূলত: দুঃখ-কষ্ট দ্বারা পরিপূর্ণ। তাই আল্লাহ তাআলা আমাদের উদ্দেশ্যে বলেন,
وَبَشِّرِالصَّابِرِينَ – الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّـهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ولَـٰئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ ۖ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ
“আর ধৈর্য ধারণকারীদেরকে সু সংবাদ দাও। যারা বিপদ এলে বলে: “ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্নালিল্লাইহি রাজিঊন” (নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর অধীনস্থ এবং তার কাছেই প্রত্যাবর্তনকারী)। এদের উপরই আল্লাহর পক্ষ থেকে দয়া ও করুণা বর্ষিত হয় এবং এরাই সুপথে প্রতিষ্ঠিত।” (সূরা বাকারা: ১৫৫)
● সহিহ বুখারিতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
ما مِن عبدٍ تُصيبُه مُصيبةٌ، فيقولُ: إنَّا لله وإنَّا إليه راجعونَ، اللهُمَّ أْجُرْني في مُصِيبتِي، وأَخْلِفْ لي خيرًا منها، إلَّا أَجَرَه اللهُ في مُصِيبته، وأَخْلَفَ له خيرًا منها
“যে আল্লাহর বান্দা বিপদে আপতিত হলে বলে: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইল্লাইহি রাজিঊন, “আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুসীবাতী ওয়াখলুফ লাহু খাইরান মিনহা” অর্থাৎ নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য নিবেদিত এবং তার কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, বিপদে আমাকে প্রতিদান দাও এবং এর থেকে উত্তম বিকল্প দান কর।”
তাকে আল্লাহ তাকে তার বিপদে উত্তম প্রতিদান দিবেন এবং তারচেয়ে ভালো বিকল্প ব্যবস্থা করবেন।” (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, কিতাবুল জানাইয)
● রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন,
وَإِنْ أَصَابَكَ شَيْءٌ فَلَا تَقُلْ : لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ كَانَ كَذَا وَكَذَا ، وَلَكِنْ قُلْ : قَدَرُ اللَّهِ وَمَا شَاءَ فَعَلَ ، فَإِنَّ لَوْ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ “
“যদি তোমার কোন কাজে কিছু ক্ষতি সাধিত হয়, তখন তুমি এভাবে বলো না যে, “যদি আমি কাজটি এভাবে করতাম তা হলে আমার এই এই হত।” বরং বল, “আল্লাহ এটাই তকদীরে রেখেছিলেন। আর তিনি যা চান তা-ই করেন।” কেননা ‘যদি’ শব্দটি শয়তানের কাজের পথকে উন্মুক্ত করে দেয়।” (মুসলিম, মিশকাত হা/৫২৯৮)।
◈◈ শরীরে আঘাত করা, মাথার চুল মুণ্ডন করা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটা বা রক্তাক্ত করা হারাম ও গুনাহের কাজ:
বিপদাপদ, হতাশা, অস্থিরতা, কারো মৃত্যু শোক ইত্যাদি কারণে মাথার চুল মুণ্ডন করা, মাথার চুল ছেঁড়া, কাপড় ছেঁড়া, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটা বা রক্তাক্ত করা, শরীরে আঘাত করা বা অন্য কোনভাবে নিজেকে কষ্ট দেয়া হারাম ও গুনাহের কাজ। এটি আল্লাহর তকদিরের প্রতি আক্ষেপ ও ধৈর্য হীনতার প্রকাশ।
● আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ
“আর তোমরা নিজেরকে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করো না।” (সূরা বাকারা: ১৯৫)
● নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
لَيْسَ مِنّا مَنْ ضَرَبَ الْخُدُودَ، وَشَقَّ الْجُيُوبَ، وَدَعا بِدَعْوى الْجاهِلِيَّةِ
“যে ব্যক্তি গালে চপেটাঘাত করে, পকেট ছিঁড়ে এবং জাহেলিয়াতের মত আহবান করে আমাদের দলভুক্ত নয়।” (সহিহ বুখারি ও মুসলিম। মজমু ফাতাওয়া শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া ২৫/৩০২, ৩০৭)
● নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন,
أَنا بَرِيءٌ مِمَّنْ بَرئَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَرِئَ مِنَ الصَّالِقَةِ وَالْحالِقَةِ وَالشَّاقَّةِ
“যে মহিলা (বিপদ-মুসিবতে) চিৎকার করে, মাথা মুণ্ডন করে, কাপড় ছিঁড়ে তার থেকে আমি সম্পর্ক মুক্ত।” (সহীহ মুসলিম)
● আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও উবাদাহ ইবনুস সামিত থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ
‘‘তোমরা নিজের বা অন্যের ক্ষতি করতে পারবে না এবং তোমরা একে অপরেরও ক্ষতি করতে পারবে না।’’। (ইবনে মাজাহ ২৩৬৯, ২৩৭০)
অর্থাৎ যে সকল কথা, কাজ ও আচরণ দ্বারা নিজের অথবা অন্যের শারীরিক, মানসিক, অর্থ-সম্পদ, মর্যাদা-সম্ভ্রম ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইসলামে তা করা বৈধ নয়। আল্লাহু আলাম।
আল্লাহর নিকট দুআ করি, তিনি যেন, আমাদেরকে সর্ববস্থায় তার লিখিত তাকদিরের উপর সন্তুষ্ট থাকার এবং ধৈর্য ধরার তাওফিক দান করেন। আমিন।
▬▬▬▬ ◐◯◑ ▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।।

ব্রণ সমস্যা | কারণ, প্রতিকার ও এড়াতে ৭টি খাবার বর্জন করুন:তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের একটি খুব সাধারণ সমস্যা হল ব্রণ। ক...
15/01/2021

ব্রণ সমস্যা | কারণ, প্রতিকার ও এড়াতে ৭টি খাবার বর্জন করুন:
তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের একটি খুব সাধারণ সমস্যা হল ব্রণ। কেউ কেউ এই ব্রণ সমস্যা থাকার কারণে মানসিকভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকে। অনেক কারণেই ব্রণ সমস্যা হতে পারে। তবে শরীরে হরমোন পরিবর্তনের সময় ব্রণের খুব প্রকোপ দেখা দেয়। চলুন জেনে নেই, ব্রণ হবার কারণ, প্রতিকার ও এড়াতে চলতে কোন খাবারগুলো বর্জন করা প্রয়োজন!
ব্রণ সমস্যা হবার কারণ ও এড়াতে যে খাবারগুলো বর্জন করা উচিত
কারণ
১. অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক
২. হোয়াইট হেডস
৩. ব্ল্যাক হেডস
৪. বংশগত কারণ বা হেরিডিটারি ফ্যাক্টর
৫. অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন (androgen) হরমোনের কারণে
৬. ৭টি খাবার যা ব্রণ তৈরিতে সাহায্য করে
কিছু কিছু খাবারও ব্রণ তৈরিতে সাহায্য করে। যদি আপনার ত্বকে ব্রণের প্রকোপ হয় ,তাহলে নিচে বর্ণিত ৭টি খাবার এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ব্রণ সমস্যা থেকে বাঁচতে যে ৭টি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
১.অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার
বর্তমান সময়ে ফাস্ট ফুড খাবার খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে তেল। যা ত্বকে ব্রণ তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই এসব খাবার বাদ দেয়া উচিত। ভাজা খাবার যদি খেতেই হয় তবে স্বল্প পরিমাণে প্রাকৃতিক তেলে ভাজা খাবার খাওয়া যেতে পারে।
২.অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি আমাদের শরীরে দরকার। তবে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার যেমন চকলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি বিস্কুট, এমনকি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যার কারণে ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই শরীরে আক্রমণ করে। আর ব্রণ ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে।
৩.অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার
কার্বোহাইড্রেট-এর মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল গ্লুকোজ। এটি নির্দিষ্ট পরিমাণে শরীরের জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা যেমন, অতিরিক্ত পরিমাণে ভাত, রুটি, পাস্তা ক্ষতিকর। কারণ, এই অতিরিক্ত গ্লুকোজ পরে ভেঙ্গে চিনি বা সুগার তৈরি করে যা ব্রণ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৪.দুগ্ধজাত খাবার
অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাবার পরিমাণে বেশি খেলে সেবাম উৎপন্ন হয় যা ব্রণের কারণ।
৫.ক্যাফেইন
অতিরিক্ত চা বা কফি খেলে ব্রণ হয়। কারণ এইসব পানীয়তে রয়েছে ক্যাফেইন নামক পদার্থ যা সেবাম তৈরি করে। এই সেবাম ত্বকের পোর-গুলো বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্রণ তৈরি হয়।
৬.লবনাক্ত খাবার
লবনাক্ত খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন যা ব্রণ হতে সাহায্য করে।
৭.বাদাম
এতে থাকে প্রচুর ফ্যাট বা চর্বি ও প্রোটিন বা আমিষ। এমনিতে বাদাম খাওয়া ত্বকের জন্য ভালো। কিন্তু যাদের ব্রণ হওয়ার প্রকোপ খুব বেশী তাদের এই খাবারটি এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
#ব্রণ সমস্যা প্রতিকার:
ব্রণের কারণ সম্পর্কে অনেক জানা হল। এবার ব্রণ থেকে মুক্তির প্রাকৃতিক কিছু উপায় জেনে নিন। ঘরে বসেই করুন ব্রণের মোকাবেলা!
১.কমলার খোসা
কমলার খোসা শুকিয়ে বেটে পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট করুন। এই পেস্ট আক্রান্ত স্থানে মেখে ২৫-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
২.ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ ভালোমতো ফেটে নিন। এই ফেটানো মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে থাকে হিলিং প্রোটিন যা ব্রণের জন্য অনেক উপকারী।
৩.বেকিং সোডা
বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে নিন অথবা টুথপেস্ট আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৪.পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতা বেটে রসটুকু মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫.মধু ও দারুচিনি গুড়া
মধু ও দারুচিনি গুড়া একসাথে মিশিয়ে রাতের বেলা মেখে পরের দিন হালকা গরম পানিতে সকাল বেলা মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৬.জয়ফল ও কাঁচা দুধ
জয়ফল ও কাঁচা একসাথে মিশিয়ে মুখে ২ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৭.হলুদ ও নিমপাতা
হলুদ ও নিমপাতা বেটে মুখে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে ভালো ফল পাবেন।
৮.গোলাপ জল ও লেবুর রস
গোলাপ জল ও লেবুর রস মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৯.লেবুর রস ও কাঁচা দুধ
লেবুর রস ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে লাগালে উপকার পাবেন।
১০.গোলাপ জল ও চন্দন
গোলাপ জল ও চন্দন মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
জানলেন তো ব্রণের সাতকাহন। তবে যাদের অনেক অনেক বেশী ব্রণের প্রকোপ , তাদের ক্ষেত্রে একজন ভালো ডার্মাটোলজিস্ট-এর সাথে যোগাযোগ করা ভালো।

Address

Rajshahi

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইসলামের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞান- Islamer Aloke Chikitsa Biggan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share