Zaman Pathology & Counselling Centre

Zaman Pathology & Counselling Centre There is treatment available to you. Let us know what you need.

Six ethics of life...
31/05/2025

Six ethics of life...

আবেগ নিয়ন্ত্রণের কৌশল।
26/05/2025

আবেগ নিয়ন্ত্রণের কৌশল।

21/05/2025

সিচুয়েশনশীপে আছেন ? কি করবেন ?

বিস্তারিত জানুন বিশেষজ্ঞের আলোচনায়-

👉 মানসিক রোগ বিষয়ে যেকোনো পরামর্শ ও চিকিৎসা পেতে যোগাযোগ করুন-

ডা. মো: Rakibuzzaman Chowdhury Saikat
🎓 শিক্ষাগত যোগ্যতা:
• এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) এমসিপিএস (সাইকিয়াট্রি)
• পিএইচডি ফেলো (who)

🎓 বর্তমান পদবি:
কনসালটেন্ট, সাইকিয়াট্রি বিভাগ
250 বেড জেনারেল হাসপাতাল, নওগাঁ

ডা. Rakibuzzaman Saikot তার আন্তরিকতা, অভিজ্ঞতা এবং বিশেষজ্ঞ দক্ষতার মাধ্যমে রোগীদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য কাজ করছেন।

যেকোনো ধরনের তীব্র #মানসিক রোগের #চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন এবং নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনুন!

যোগাযোগের জন্য -

🏥চেম্বারঃ০১
Zaman Pathology & Counselling Centre
23, greater road laxipur rajshahi

রোগী দেখার দিন ও সময় :
মঙ্গল ও শুক্র বাদে প্রতিদিন
বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্য: 01723 300778

👉 বিঃদ্রঃ প্রতিদিন অনলাইন এ রোগী দেখা হয় ।

📞 এপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুনঃ
01723 300778

👉 Email:

👉 Youtube channel :

👉 website:

. #ফেসবুক

স্পিচ ডিলে (Speech Delay) বা বাচ্চার কথা বলতে দেরি হলে বাবা-মায়ের ধৈর্য্য ও সঠিক পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে ...
20/05/2025

স্পিচ ডিলে (Speech Delay) বা বাচ্চার কথা বলতে দেরি হলে বাবা-মায়ের ধৈর্য্য ও সঠিক পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে করণীয় কিছু বিষয় নিচে দেওয়া হলো:

১. **শিশুর সাথে বেশি বেশি কথা বলুন**
প্রতিদিনের কাজগুলো (গোসল, খাওয়া, খেলা) সম্পর্কে বর্ণনা করুন। যেমন: "এখন আমরা হাত ধুবো," "এইটা লাল বল।"
সহজ ও ছোট বাক্য ব্যবহার করুন, উচ্চারণ স্পষ্ট করুন।
শিশুর আওয়াজ বা শব্দের উত্তর দিন (যদি সে "বা-বা" বলে, আপনি বলুন "হ্যাঁ, বলো বাবা !")

২. **ইন্টারেক্টিভ খেলা বাড়ান**
গান, ছড়া, আঙুলের খেলা (যেমন: "টোকা-টোকি মনিমনি") বলুন।
পুতুল/স্টাফড অ্যানিম্যাল দিয়ে স্টোরি টেলিং করুন।
বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করুন: "বলটা কোথায়?" বা "কুকুরটা কি বলছে?"

৩. **বাচ্চার যোগাযোগের চেষ্টাকে উৎসাহিত করুন**
যখন সে আঙুল দিয়ে কিছু দেখায় বা শব্দ করে, সেটার নাম বলুন (যেমন: "ওহ, তুমি গাড়ি দেখেছো! গাড়ি যায় ব্রুম ব্রুম!")।
তাকে কথা বলার সময় দিন, জবাব দিতে চাপ দেবেন না।

৪. **বই পড়ার অভ্যাস করুন**
রঙিন ছবির বই দিন, গল্প বলুন এবং তাকে ছবি দেখিয়ে নাম বলতে উৎসাহিত করুন।
একই বই বারবার পড়ুন—এটি শব্দ শেখার জন্য সহায়ক।

৫. **স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন**
টিভি/মোবাইল শিশুর ভাষা বিকাশে বাধা দেয়। বদলে লাইভ ইন্টারঅ্যাকশন গুরুত্বপূর্ণ।

৬. **শিশুর শুনার দক্ষতা পরীক্ষা করুন**
যদি শিশু নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেয় বা শব্দের দিকে না তাকায়, অডিওলজিস্টের পরামর্শ নিন।

৭. **বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন**
যদি ২ বছর বয়সে ৫০টির কম শব্দ বলে বা ২-৩ শব্দের বাক্য না বোঝে, **স্পিচ থেরাপিস্ট** বা **শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞ** (Pediatrician/Developmental Specialist) দেখান।
অটিজম বা অন্য ডেভেলপমেন্টাল ডিলে আছে কিনা তা নির্ণয় করুন।

৮. **ধৈর্য্য রাখুন ও ইতিবাচক থাকুন**
শিশুর ছোট ছোট প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করুন (হাসি, ক্ল্যাপ, জড়িয়ে ধরা)।
তুলনা করবেন না—প্রতিটি শিশুর বিকাশের গতি আলাদা।

৯. **সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বাড়ান**
পার্কে বাচ্চাদের সাথে মিশতে দিন। দেখাদেখি শব্দ শেখার সুযোগ পাবে।

১০. **বাড়ির পরিবেশ পরীক্ষা করুন**
অতিরিক্ত শোরগোল বা স্ট্রেসফুল পরিবেশ ভাষা শিখতে বাধা দিতে পারে।

**মনে রাখবেন:** অনেক শিশুই স্পিচ ডিলে কাটিয়ে পরে স্বাভাবিকভাবে কথা বলে। তবে প্রাথমিক হস্তক্ষেপ (Early Intervention) সবচেয়ে কার্যকরী। যদি চিন্তা হয়, দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রতি শুক্রবার আমি শিশু খাদ্য শিশু রোগ শিশু স্বাস্থ্য ও সমসাময়িক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে লিখি এবং লিখবো ইনশাআল্লাহ। আজকের ...
04/05/2025

প্রতি শুক্রবার আমি শিশু খাদ্য শিশু রোগ শিশু স্বাস্থ্য ও সমসাময়িক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে লিখি এবং লিখবো ইনশাআল্লাহ।

আজকের বিষয় পর্ব # ২৪৬(২)শিশুর ভাষা বিকাশগত সমস্যা।

শিশুর জন্মের পর থেকে শিশুর ভাষাগত দ্রুত বিকাশ হয়। শিশুর ভাষাগত বিকাশ নির্ভর করে দৈহিক বৃদ্ধি, ব্রেনের পরিপক্ব ও পরিবেশের উপর।

সাধারণত জন্ম থেকে তিন মাসের মধ্যে মায়ের ভাষা সনাক্ত করতে পারে।
৩- ৬ মাসের মধ্যে শব্দ বা কথার উৎসের দিকে তাকায়।
৬-৯ মাসের মধ্যে নাম ধরে ডাকলে সারা দেয়।
৯-১৫ মাসের মধ্যে হা-না বুঝতে পারে,আদেশ নিষেধ বুঝতে পারে।
একটা শব্দ বলবে।অর্থাৎ মা-বাবা দাদা নানা ইত্যাদি।
২ বছর থেকে বিভিন্ন রং চিনতে পারে, প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
দুইটি শব্দ বলতে পারে অর্থাৎ আমি বাড়ি -----, আমি ভাত ------ইত্যাদি।
৩-৫ বছর এ, গল্প করতে পারে, অন্যের সাথে ভাষাগত যোগাযোগ করতে পারে।
কিভাবে বুঝবেন ভাষাগত সমস্যা হচ্ছে ::::::

১।সঠিক ভাবে আবেগ প্রকাশ করতে না পারা।
২।আচরণ গত সমস্যা
৩।চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারা।
৪।সমবয়সীদের মিশতে না পারা বা খেলাধুলা না করা।
৫।একই কথা বার বার বলা। একই খেলা বার বার খেলা ইত্যাদি।

শিশুদের মা-বাবা বা কেয়ার গিভারদের (লালন-পালনকারী) বলব,

আপনারা ছোটবেলা থেকেই, সাধারণ বাচ্চা হোক বা বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ন বাচ্চাআছে,
তাদের ওয়ানওয়ে কমিউনিকেশন (একমুখী যোগাযোগ) করতে দেবেন না। সবসময়ই চেষ্টা করবেন দ্বিমুখী বা ততোধিক যোগাযোগ যেন হয়।

শিশুটির সঙ্গে ধীরে, সহজ, শুদ্ধ, স্পষ্ট বাংলা ভাষায় কথা বলবেন।

যদি কখনো দেখেন একটি শিশুর অনুধাবনে, প্রকাশে ও ব্যবহারে তিনটি জায়গায় অসুবিধা হচ্ছে, তখন মনে করবেন বাচ্চার কোথায়ও সমস্যা হচ্ছে, তখন মনে করবেন আপনার সাহায্য প্রোয়জন, তখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

যখন আমরা আমাদের ভাষাকে পরিবেশ ও প্রতিবেশ অনুযায়ী প্রকাশ করতে পারব না, তখন আমার আচরণগত অসুবিধা হবে। বাচ্চাটি খুব বিরক্ত থাকবে,কারো সাথে মিশবে না, ভালো ব্যবহার করবে না,উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করবে, হৈচৈ করবে। চিৎকার-চেঁচামেচি করবে।

তবে বাচ্চা যেমনই হউক তাদের প্রতি সহন শীল ইতিবাচক হতে হবে।
প্রশংসা করতে হবে।

অটিজম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আগ্রাসনমূলক, আত্মঘাতীমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয়। এ ধরনের সমস্যা দেখলে শিশুদের Zaman Pathology & Counselling Centre এ নিয়ে আসতে হবে ।
বাচ্চাদের জন্য বাসায় শিশু বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

ধন্যবাদ
দোয়া করবেন
আমার পেজ ও প্রোফাইল ফলো করুন
জাকারিয়া সরকার
শিশু কিশোর মনোবিজ্ঞানী
শিশু বিকাশ কেন্দ্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Contact: 01719341435

মানসিক স্বাস্থ্য: আনন্দ আর বিষাদের এক রোগ বাইপোলার ডিসঅর্ডার (পর্ব-০১)কখনো খুবই আনন্দিত, আবার কখনো খুবই বিষণ্ণ। সহজ ভাষা...
03/05/2025

মানসিক স্বাস্থ্য: আনন্দ আর বিষাদের এক রোগ বাইপোলার ডিসঅর্ডার (পর্ব-০১)

কখনো খুবই আনন্দিত, আবার কখনো খুবই বিষণ্ণ। সহজ ভাষায় বলতে, দীর্ঘসময় ধরে একজন ব্যক্তির মুডের, আবেগের বা মানসিক অবস্থার বিপরীতমুখী পরিবর্তন ঘটতে থাকলে তাকে বাইপোলার ডিসঅর্ডার বলে।

অর্থাৎ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কখনো কখনো দীর্ঘসময় ধরে বিষণ্ণতা বা মন খারাপের মধ্যে থাকেন। কখনো কখনো সেটা কয়েক মাস ধরে চলতে থাকে। আবার একই ব্যক্তি একসময় সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী আচরণ করতে শুরু করেন। সেই সময় তিনি অতিরিক্ত হাসিখুশি বা উচ্ছ্বাস প্রবণ হয়ে ওঠেন।

বাইপোলার মানে হচ্ছে দুই মেরু। অর্থাৎ একজন ব্যক্তির মানসিকতার এক প্রান্তে থাকে উৎফুল্লতা, অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস প্রবণতা, যাকে চিকিৎসকরা বলেন ম্যানিয়া এপিসোড। রোগী অতিরিক্ত উৎফুল্ল থাকেন, কথা বেশি বলেন, অনেক সময় জিনিসপত্র বিলিয়ে দেন।

আরেকপ্রান্তে থাকে বিষণ্ণতা, যাকে চিকিৎসকরা বলেন ডিপ্রেশন এপিসোড। এই সময় তার কিছুই ভালো লাগে না, হতাশায় ভোগেন, দুঃখ বোধ প্রবল থাকে। অনেকের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও দেখা যায়।

এই দুইয়ের মাঝামাঝি সময়ে রোগী ভালো থাকেন। সেই সময় অন্য সব মানুষের মতোই স্বাভাবিক আচরণ করেন।

ডায়াবেটিসের মতো বাইপোলার ডিসঅর্ডার একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। ওষুধ এবং চিকিৎসার মাধ্যমে রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা যায় না।

👉 মানসিক রোগ বিষয়ে যেকোনো পরামর্শ ও চিকিৎসা পেতে যোগাযোগ করুন-

ডা.রুবাইয়াৎ ফেরদৌস
🎓 শিক্ষাগত যোগ্যতা:
• এমবিবিএস, এমসিপিএস, এফসিপিএস (সাইকিয়াট্রি)
• বিশেষ প্রশিক্ষণ: সেক্স্যুয়াল মেডিসিন (ইন্ডিয়া)

🎓 বর্তমান পদবি:
সহকারী অধ্যাপক, সাইকিয়াট্রি বিভাগ
ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

ডা. রুবাইয়াৎ ফেরদৌস তার আন্তরিকতা, অভিজ্ঞতা এবং বিশেষজ্ঞ দক্ষতার মাধ্যমে রোগীদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য কাজ করছেন।

যেকোনো ধরনের তীব্র মানসিক রোগের চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন এবং নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনুন!

যোগাযোগের জন্য -

🏥চেম্বারঃ
Zaman Pathology & Counselling Centre
23 greater road, laxipur, rajshahi

রোগী দেখার দিন ও সময় :
শুক্রবার বাদে প্রতিদিন
বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা

👉 বিঃদ্রঃ প্রতিদিন অনলাইন এ রোগী দেখা হয় ।

📞 এপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুনঃ ০১৭১৯৩৪১৪৩৫

💔 আপনি কি জানেন, শিশুর ব্রেইনের ৯০% বিকাশ ৫ বছরের মধ্যেই হয়ে যায় ?✅ এই বয়সেই যদি শেখার অভ্যাস গড়ে না ওঠে, তাহলে ভবিষ...
03/05/2025

💔 আপনি কি জানেন, শিশুর ব্রেইনের ৯০% বিকাশ ৫ বছরের মধ্যেই হয়ে যায় ?
✅ এই বয়সেই যদি শেখার অভ্যাস গড়ে না ওঠে, তাহলে ভবিষ্যতে সে কীভাবে এগিয়ে যাবে?

😢 আজকাল বাচ্চারা শুধু মোবাইল আর টিভিতে সময় কাটায়…...কিন্তু শেখার সময় কোথায়? আপনার একটি সিদ্ধান্ত আজ, আপনার সন্তানের পুরো ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে!

স্মার্টফোনের আসক্তি দূর করে তার শেখার শুরুটা কিভাবে করবেন বুঝতে পারছেন না❓

✅আপনি যদি চান আপনার শিশু স্বেচ্ছায় পড়াশোনা করুক, তাহলে আমাদের শিশু বিকাশ কেন্দ্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর শিশু কিশোর মনোবিজ্ঞানী জাকারিয়া সরকার এর কাছে কাউন্সেলিং নিন।

সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিন!

ঠিকানা: Zaman Pathology & Counselling Centre
Contact: 01719341435

নয়মাস দশদিনের সফল গর্ভধারণ শেষে ওটি টেবিলের অসহনীয় যন্ত্রণা কিংবা হাসপাতালের বারান্দায় ভয়ার্ত অপেক্ষার প্রহর শেষে ফুটফুট...
03/05/2025

নয়মাস দশদিনের সফল গর্ভধারণ শেষে ওটি টেবিলের অসহনীয় যন্ত্রণা কিংবা হাসপাতালের বারান্দায় ভয়ার্ত অপেক্ষার প্রহর শেষে ফুটফুটে সন্তানকে প্রথমবার কোলে নেয়ার মধুরতম মুহূর্ত, পুরনো পৃথিবীতে নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করা, সন্তানের মুখে মা/বাবা ডাক শোনা। এসবই তো মানুষের প্রতি মহান আল্লাহ পাকের শ্রেষ্ঠতম উপহার।

সেই সন্তানের বৃদ্ধি ও বিকাশ নিয়ে নতুন বাবা-মায়ের চিন্তার শেষ নেই। সারাক্ষণ একটাই চিন্তা, বাবুটা ঠিকমতো বেড়ে উঠছে তো? আসুন মিলিয়ে নেয়া যাক আপনার প্রিয় সন্তানের সাথে...

বিভিন্ন বয়সে শিশুদের আদর্শ ওজনঃ

০ মাসঃ ২.৫-৩.৩ কেজি
১ মাসঃ ৩-৪.৪ কেজি
২ মাসঃ ৩.৬-৫.৩ কেজি
৩ মাসঃ ৪.১-৬ কেজি
৪ মাসঃ ৪.১-৬.৭ কেজি
৫ মাসঃ ৫.১-৭.৩ কেজি
৬ মাসঃ ৫.৫-৭.৩ কেজি
৭ মাসঃ ৬-৭.৩ কেজি
৮ মাসঃ ৬.৪- ৮.৮ কেজি
৯ মাসঃ ৬.৭-৯.২ কেজি
১০ মাসঃ ৭.১-৯.৫ কেজি
১১ মাসঃ ৭.৩-৯.৯ কেজি
১২ মাসঃ ৭.৫-১০.২ কেজি
১৩ মাসঃ ৭.৮-১০.৫৪ কেজি
১৪ মাসঃ ৮-১০.৭ কেজি
১৫ মাসঃ ৮.২- ১০.৯ কেজি
১৬ মাসঃ ৮.৩-১১.১ কেজি
১৭ মাসঃ ৮.৫-১১.৩ কেজি
১৮ মাসঃ ৮.৭-১১.৫ কেজি
১৯ মাসঃ ৮.৮-১১.৭ কেজি
২০ মাসঃ ৯-১১.৯ কেজি
২১ মাসঃ ৯.১-১১ কেজি
২২ মাসঃ ৯.৩-১২.১ কেজি
২৩ মাসঃ ৯.৪-১২.৩ কেজি
২৪ মাসঃ ৯.৬-১২.৫ কেজি
২৫ মাসঃ ৯.৭-১২.৭ কেজি
২৬ মাসঃ ৯.৯-১২.৯ কেজি
২৭ মাসঃ ১০-১৩ কেজি
২৮ মাসঃ ১০.২-১৩.২ কেজি
২৯ মাসঃ ১০.৩-১৩.৪ কেজি
৩০ মাসঃ ১০.৫-১৩.৬ কেজি
৩১ মাসঃ ১০.৬-১৩.৭ কেজি
৩২ মাসঃ ১০.৮-১৩.৯ কেজি
৩৩ মাসঃ ১০.৯-১৪.১ কেজি
৩৪ মাসঃ ১১-১৪.২ কেজি
৩৫ মাসঃ ১১.১-১৪.৪ কেজি
৩৬ মাসঃ ১১.৩-১৪.৫ কেজি
৩৭ মাসঃ ১১.৪-১৪.৮ কেজি
৩৮ মাসঃ ১১.৬-১৫ কেজি
৩৯ মাসঃ ১১.৮-১৫.১ কেজি
৪০ মাসঃ ১১.৯-১৫.৩ কেজি
৪১ মাসঃ ১২-১৫.৪ কেজি
৪২ মাসঃ ১২.১-১৫.৬ কেজি
৪৩ মাসঃ ১২.৩-১৫.৮ কেজি
৪৪ মাসঃ ১২.৪-১৬ কেজি
৪৫ মাসঃ ১২.৫-১৬.১ কেজি
৪৬ মাসঃ ১২.৬-১৬.৩ কেজি
৪৭ মাসঃ১২.৮-১৬.৫ কেজি
৪৮ মাসঃ ১২.৯-১৬.৬ কেজি
৪৯ মাসঃ ১৩-১৬.৮ কেজি
৫০ মাসঃ ১৩.১-১৭ কেজি
৫১ মাসঃ ১৩.২-১৭.১ কেজি
৫২ মাসঃ ১৩.৩-১৭.৩ কেজি
৫৩ মাসঃ ১৩.৪-১৭.৫ কেজি
৫৪ মাসঃ ১৩.৫-১৭.৭ কেজি
৫৫ মাসঃ ১৩.৬-১৭.৮ কেজি
৫৬ মাসঃ ১৩.৭-১৮ কেজি
৫৭ মাসঃ ১৩.৮-১৮.২ কেজি
৫৮ মাসঃ ১৩.৮-১৮.৪ কেজি
৫৯ মাসঃ ১৩.৯- ১৮.৫ কেজি
৬০ মাসঃ ১৪-১৮.৭ কেজি

শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধির আদর্শ হারঃ
১ম বছরঃ ২৫ সেমি/বছর।
২য় বছরঃ ১২ সেমি/বছর।
৩য়-৪র্থ বছরঃ ৭ সেমি/বছর।
৫ম-৬ষ্ঠ বছরঃ ৫ সেমি/বছর।

বয়স অনুযায়ী শিশুর আদর্শ উচ্চতাঃ
১ বছরঃ ৭৫ সেমি।
২ বছরঃ ৮৭ সেমি।
৩ বছরঃ ৯৫ সেমি।
৪ বছরঃ ১০০ সেমি।
৫ বছরঃ ১১০ সেমি।
৬ বছরঃ ১১৭ সেমি।

বয়সের সাথে সাথে শিশুর মগজের পরিমাণ ঠিকমতো বাড়ছে কিনা তা জানা দরকার। মাথার পরিধি মেপে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মাথার ভেতরের মগজের পরিমাণ ও ক্রমবৃদ্ধি বোঝা যায়। কারণ মগজ বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথার পরিধিও বৃদ্ধি পায়, মগজ বৃদ্ধি না পেলে মাথার পরিধিও বাড়েনা।

কানকে মাথার সাথে চেপে ধরলে যে জায়গায় স্পর্শ করে ঠিক সেই বরাবর ফিতা ধরে মাথার চারদিকে ঘুরিয়ে মাপ নেবেন যাতে ফিতাটি কপালের ভ্রুর ঠিক উপরে এবং মাথার সবচেয়ে পেছনের অংশটি ছুঁয়ে থাকে।

বিভিন্ন বয়সে শিশুর মাথার পরিধিঃ

বয়সঃ ছেলেঃ মেয়েঃ
০ মাস - ৩৪.৮ সেমি ৩৪.৩ সেমি
১ মাস - ৩৭.২ সেমি ৩৬.৪ সেমি
২ মাস - ৩৯ সেমি ৩৮ সেমি
৩ মাস - ৪০.৬ সেমি ৩৯.৫ সেমি
৪ মাস - ৪১.৮ সেমি ৪০.৫ সেমি
৫ মাস - ৪২.৮ সেমি ৪১.৫ সেমি
৬ মাস - ৪৩.৮ সেমি ৪২.৪ সেমি
৭ মাস - ৪৪.৬ সেমি ৪৩.১ সেমি
৮ মাস - ৪৫.৪ সেমি ৪৩.৭ সেমি
৯ মাস - ৪৫.৮ সেমি ৪৪.৩ সেমি
১০ মাস - ৪৬.১ সেমি ৪৪.৮ সেমি
১১ মাস - ৪৬.৬ সেমি ৪৫.২ সেমি
১২ মাস - ৪৭ সেমি ৪৫.৬ সেমি
১৩ মাস - ৪৭.৪ সেমি ৪৫.৯ সেমি
১৪ মাস - ৪৭.৬ সেমি ৪৬.২ সেমি
১৫ মাস - ৪৭.৮ সেমি ৪৬.৫ সেমি
১৬ মাস - ৪৮ সেমি ৪৬.৭ সেমি
১৭ মাস - ৪৮.২ সেমি ৪৬.৯ সেমি
১৮ মাস - ৪৮.৪ সেমি ৪৭.১ সেমি
১৯ মাস - ৪৮.৬ সেমি ৪৭.৩ সেমি
২০ মাস - ৪৮.৮ সেমি ৪৭.৫ সেমি
২১ মাস - ৪৮.৯ সেমি ৪৭.৭ সেমি
২২ মাস - ৪৯ সেমি ৪৭.৯ সেমি
২৩ মাস - ৪৯.১ সেমি ৪৮ সেমি
২৪ মাস - ৪৯.২ সেমি ৪৮.১ সেমি
৩৬ মাস - ৫০ সেমি ৫০ সেমি
৪৮ মাস - ৫০.৩ সেমি ৫০.৩ সেমি
৬০ মাস - ৫০.৮ সেমি ৫০.৮ সেমি

কখন বুঝবেন আপনার শিশুর বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না?

✅ ঘাড়ের নিয়ন্ত্রণঃ ৫ মাস বয়স।
✅ সাহায্য ছাড়া বসতে পারাঃ ১২ মাস বয়স।
✅ সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতে পারাঃ ১৮ মাস বয়স।
✅ ঠিকমতো হাঁটতে পারাঃ ২০ মাস বয়স।
✅ ২-৩ শব্দের বাক্য বলতে পারাঃ ৩৬ মাস বয়স।
✅ নিজের নাম বলতে পারাঃ ৪৮ মাস বয়স।
✅ পায়খানা নিয়ন্ত্রণঃ ৬০ মাস বয়স।

উল্লেখিত বয়সের মধ্যে শিশুর এই বৃদ্ধিগুলো না হলে তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় "Developmental dealy" বলা হয়।

শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য নিম্নোক্ত খাবারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চর্বিহীন মাংসঃ শিশুদের ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার চর্বিহীন মাংস। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন এবং ক্যালরি থাকে।

ডালঃ ডাল খেলে শিশুদের ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
ডালে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, আয়রণ, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক থাকে যা শিশুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

মিল্কশেকঃ খেজুর, বাদাম ও দুধ মিলিয়ে মিল্কশেক বানিয়ে খাওয়ালে শিশুদের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

কলাঃ কলায় প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন সি থাকে যা শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

মিষ্টি আলুঃ শিশুদের ওজন বেশ দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য চমৎকার একটি খাবার হচ্ছে 'মিষ্টি আলু'। পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিনে ভরপুর এই খাবারটি ৬ মাস বয়সের পর থেকে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

পেঁপেঃ শিশুদের হজমশক্তি এবং স্বাস্থ্য বাড়াতে নিয়মিত পেঁপে খাওয়ান। এতে আছে প্রচুর ক্যালরি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট।

এছাড়াও পর্যাপ্ত বিকাশের জন্য শিশুকে গাজর, টমেটো, লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, বীট, ডালিম, মিষ্টিকুমড়া, পাকা আম, কাঁঠাল, মলা, ঢেলা মাছ, দুধ, মাখন, পনির, কলিজা, ডিম, কডমাছ, মাছের মাথা খাওয়াবেন।

প্রায় সব মায়েদের একটি কমন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। "স্যার, আমার বাচ্চাটা কিছুই খেতে চায়না। কি করবো?"

কিছু কিছু বাচ্চা সত্যিই খেতে চায়না। বয়স অনুযায়ী বৃদ্ধি এবং বিকাশও ঠিকমতো হয়না। বাচ্চা এক্টিভ না থেকে সবসময় চুপচাপ বসে থাকে। এর জন্য বেশ কিছু কারণ দায়ী। যেমন অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা, কৃমি, বিভিন্ন জীবানু দ্বারা বারবার ইনফেকশন হওয়া। এসব ক্ষেত্রে কালবিলম্ব না করে সরাসরি চিকিৎসকে দেখিয়ে বাচ্চার চিকিৎসা করাবেন।

এবার আসি বাচ্চার খাবার রুচি বাড়াতে মা বাবার করণীয়গুলো কি কি..

✅ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মা-বাবার অসচেতনতা, অতিরিক্ত সচেতনতা এবং অনিয়মই বাচ্চার খেতে না চাওয়ার প্রধান কারণ। তাই এ ব্যপারে মা-বাবাকে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে।

✅ বাচ্চার আবদার মেটানোর জন্য বাইরের মুখরোচক খাবারে অভ্যস্ত করে তুললে বাচ্চা ঘরের পুষ্টিকর খাবার খেতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। চাওয়ার সাথে সাথে আইসক্রিম, চকলেট, চিপস, বিস্কুট, পিজ্জা, বার্গার, প্যাকেটজাত জুস এনে দেবেন না। এগুলো বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবারের প্রতি অনাগ্রহী করে তোলে।

✅ বাচ্চাকে যখন তখন খেতে না দিয়ে তার খাবারের সময় নির্দিষ্ট করে ফেলুন। অন্য সময়ে তাকে খাওয়াতে যাবেন না। খেয়ালখুশি মতো যখন তখন খাইয়ে বাচ্চার ক্ষুধা নষ্ট করবেন না।

✅ পরিবারের অন্য সবার খাবার সময়ে বাচ্চাকেও সাথে রাখুন। বাচ্চারা অনুকরণপ্রিয়। বড়দের দেখাদেখি আনন্দ নিয়ে খাবে।

✅ বাচ্চার পেটে যতটুকু ক্ষুধা সে ততটুকুই খেতে চাইবে। বাচ্চারা বড়দের মতো থালা ভরে খাবেনা। এটা মেনে নিন। কখনোই জোড় জবরদস্তি করে বাচ্চাকে খাওয়াতে যাবেন না। এতে করে বাচ্চা ভয় পায়। আস্তে আস্তে খাবারের প্রতি তীব্রতা অনীহা তৈরি হয়।

✅ বাচ্চাকে পর্যাপ্ত খেলাধুলা করতে দিন। বাচ্চা খেলতে খেলতে ক্লান্ত হবে এবং ক্ষুধা লাগবে।

✅ বাচ্চারা কোন খাবারটি খেতে পছন্দ করে তা খুঁজে বের করুন। তার পছন্দমতো পুষ্টিকর খাবার রান্না করুন। প্রতিদিন একই খাবার না দিয়ে মাঝেমধ্যে খাবারে বৈচিত্র্য আনুন।

✅ বাচ্চাকে আকর্ষণীয় রঙিন প্লেটে খেতে দিন। এতে করে খাবারের প্রতি তার আগ্রহ বাড়বে।

✅ টিভি বা ফোনে কার্টুন দেখিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াবেন না। এতে করে বাচ্চা খাবারের স্বাদ পায় না। অন্যদিকে মনোযোগের কারণে পরিপাকের প্রয়োজনীয় এনজাইমগুলো নিঃসৃত হয়না। ফলে বদহজমের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

✅ বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে বুঝান। বাইরের খাবারের খারাপ দিকগুলো বুঝান। আদর করে বুঝালে আপনার নাড়ি ছেঁড়া ধন আপনার কথা বুঝবে না, এটা হতেই পারেনা। আপনার এবং আপনার সোনামণির জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।

Collected

জাকারিয়া সরকার
শিশু কিশোর মনোবিজ্ঞানী

26/04/2025
 #জ্বিন নয়,   psychosis!নাসরিন সদ্য মা হয়েছে। প্রথম সন্তান।ঘর আলো করে এসেছে ফুটফুটে একটা মেয়ে।সবাই খুশি, কিন্তু নাসরিনের...
23/04/2025

#জ্বিন নয়, psychosis!

নাসরিন সদ্য মা হয়েছে। প্রথম সন্তান।
ঘর আলো করে এসেছে ফুটফুটে একটা মেয়ে।
সবাই খুশি, কিন্তু নাসরিনের মধ্যে অদ্ভুত পরিবর্তন দেখা দিলো—
কখনো হঠাৎ কাঁদে, কখনো কানে কানে ফিসফিস করে, কাউকে দেখতে চায় না, নিজের সন্তানকেও দূরে সরিয়ে দেয়।
একদিন দেখা গেল, নাসরিন নিজের সন্তানকে মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা করছে!

গ্রামের মানুষ চিৎকার করে উঠলো —
"ওরে, জ্বিন ধরেছে! জ্বিন শরীরে ঢুকে গেছে!"
ডেকে আনা হলো এক 'কবিরাজ'।
তিনি ধোঁয়া ধরিয়ে ঘর ভরিয়ে দিলেন, মাথার ওপর দিয়ে হাঁসের ডিম ঘুরালেন, পাঁঠা কাটার আয়োজন করলেন।
নাসরিনের গলায় রশি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে তাবিজ-কবচ পরানো হলো।
মেয়ে হাহাকার করছিল, কাঁদছিল... কিন্তু কারো কর্ণপাত নেই।
মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছিল একটা অসহায় মায়ের আর্তনাদ।

ঠিক তখনই শহর থেকে এলেন নাসরিনের মামাতো ভাই রবিউল।
রবিউল ঢাকায় মনোরোগবিদ্যা (psychiatry) পড়েছে।
তিনি এসে পুরো পরিস্থিতি দেখে বিস্মিত!
তিনি সবাইকে থামিয়ে বললেন,
"এটা জ্বিনের আছর নয়। এটা Postpartum Psychosis — প্রসবের পর এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা।"

রবিউল ব্যাখ্যা করলেন,
"সন্তান জন্মের পর অনেক মায়ের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ভেঙে যায়।
তার ওপর প্রসবের শারীরিক কষ্ট, দুশ্চিন্তা, ঘুমের ঘাটতি—সব মিলিয়ে মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।
এর ফলে তৈরি হয় বিভ্রান্তি, অবাস্তব চিন্তা, হতাশা, এমনকি শিশুকে ক্ষতি করার প্রবণতা।
এটা কোনো পাপ নয়, কোনো জ্বিনের ব্যাপার নয়—এটা চিকিৎসাযোগ্য মানসিক সমস্যা।"

রবিউলের কথায় প্রথমে কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি।
কিন্তু তিনি নাসরিনকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করান।
চিকিৎসা শুরু হয়:

উপযুক্ত ওষুধ দিয়ে মস্তিষ্কের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা,

নিয়মিত মনোচিকিৎসা (psychotherapy),

পরিবার থেকে ভালোবাসা, সহানুভূতি আর ধৈর্য।

হিপনোথেরাপি ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে নাসরিনের মধ্যে পরিবর্তন আসে।
এক সময় সে নিজেই সন্তানকে আদর করে কোলে নেয়।
তার চাহনিতে ফিরে আসে মমতার আলো।

শেষ কথা:
আজও আমাদের সমাজে অনেক মা postpartum psychosis-এ ভোগেন, কিন্তু অজ্ঞতার কারণে তাদের 'জ্বিনে ধরেছে' বলে অপমান করা হয়।
কবিরাজদের ভণ্ডামির ফাঁদে পড়ে আসল চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়।
কেউ কেউ নির্যাতনের ভয়ে আজীবন মানসিক রোগী হয়ে থাকেন।

সচেতন হই।
কুসংস্কার দূর করি।
মানসিক রোগ লুকাবেন না — চিকিৎসা করান।

১. জীবনে সফল হতে চাইলে দুটি জিনিস প্রয়োজন: জেদ আর আত্মবিশ্বাস।২. সাফল্য মাপার মানদন্ড আপনি কি অর্জন করেছেন সেটা নয়, বরং...
11/04/2025

১. জীবনে সফল হতে চাইলে দুটি জিনিস প্রয়োজন: জেদ আর আত্মবিশ্বাস।

২. সাফল্য মাপার মানদন্ড আপনি কি অর্জন করেছেন সেটা নয়, বরং আপনি পড়ে যাবার পর কতবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটা।

৩. পরাজয়ের ভয়, পরাজয়ের চেয়েও মারাত্মক।

৪. সাফল্য হলো ৯৫% কঠোর পরিশ্রম, ৪% অনুপ্রেরণা আর ১% ভাগ্যের যোগফল।

৫. পরাজিতরা যা যা পারে তার উপর গুরুত্ব দেয়। অন্যদিকে, বিজয়ীরা জয়ী হতে গেলে কি কি করতে হবে সেটার উপর গুরুত্ব দেয়।

৬. "End" মানে সবকিছু শেষ নয়, "End" শব্দের অর্থ হচ্ছে "Efforts never die" অর্থাৎ প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই।

৭. একটা পরাজয় আরো পরাজয়ের জন্ম দেয়। প্রত্যেকটি পরাজয়ের পর মানুষ তার আত্মমূল্য হারিয়ে ফেলে যেটা তার পরবর্তী হারের কারণ।

৮. পরাজিতরা কোনো কিছু ঘটার অপেক্ষায় থাকে, তারা কখনই কোনো কিছু ঘটাতে পারে না।

৯. যে সবকিছু তৈরি অবস্থায় পেতে চায়, সে জীবনে কিছু করতে পারে না।

১০. "NO" শব্দের অর্থ "না" নয়। "NO" মানে হলো "Next Opportunity" বা পরবর্তী সুযোগ।

১১. আজ থেকে ৫ বছর পর আপনি কোথায় যাবেন তা নির্ভর করবে এখন আপনি কতটুকু পরিশ্রম করছেন এবং কোন ধরনের মানুষের সাথে মিশছেন তার উপর।

১২. ফার্স্ট ইমপ্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজনের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই তার সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হয়ে যায়।

১৩. সম্পর্ক তৈরি করা একটি প্রক্রিয়া বা প্রচেষ্টার ফলাফল, কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।

১৪. মানুষের ইচ্ছাশক্তি তার ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করে।

১৫. গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবার সময় যে আবেগকে কম মস্তিষ্ককে বেশি প্রাধান্য দেয় সে জীবনে সফল হয়।

Address

23, Greater Road
Rajshahi
6000

Telephone

+8801723300778

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Zaman Pathology & Counselling Centre posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share