31/08/2025
Obstructed defecation syndrome (ODS) বাংলায় যাকে বলা যায় বাধাগ্রস্ত মলত্যাগ। এর ফলে মলাশয়ে মল এসে থাকলেও সেই মল আর বের হতে চায় না, মনে হয় কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে।গুটি গুটি হয়ে মল বের হতে পারে, অনেক সময় মলদ্বারে আঙ্গুল ঢুকিয়ে টয়লেট করতে হয়। এতে মলত্যাগে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়, অনেকের সারা শরীরে জ্বালাপোড়া করতে থাকে, পেটে অস্বস্তি থাকে এবং রোগী সারা দিনই অস্বস্তির মধ্যে দিন কাটান, কারণ কোষ্ঠ পরিষ্কার না হওয়ার কারণে তার সব সময় শরীরের অস্বস্তি থেকেই যায়। ODS বা বাধাগ্রস্ত মলত্যাগ একটি জটিল রোগ। এই রোগের রোগী যখন মলত্যাগের জন্য চাপ দেন তখন রেকটাম বা মলাশয়টি ভাঁজ হয়ে যায়, এবং সেই ভাঁজ মলদ্বারের পথটি আটকে দেয়। ফলে কোষ্ঠ আর পরিষ্কার হয় না।
এটাকে বলা হয় Re**al intussusceptions এছাড়াও আরও কয়েক মেকানিজমে বাধাগ্রস্ত মলত্যাগ রোগটি হয়। পূর্বে এ রোগটি যথাযথভাবে নির্ণয় করা যেত না, ফলে চিকিৎসাও যথাযথ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে এ রোগ বেশ চমৎকারভাবেই নির্ণয় করা যাচ্ছে।
ফলে চিকিৎসাও আবিষ্কৃত হচ্ছে। সর্বাধুনিক যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয় তাহলো বায়োফিডব্যাক থেরাপি, অথবা অপারেশন।এ অপারেশনটির জন্য আর পেটে কাটাছেঁড়া করতে হয় না।
পায়ুপথ দিয়েই মেশিন ঢুকিয়ে এ অপারেশন করা হয়। তবে অপারেশনের পূর্বে অবশ্যই রোগীকে সঠিকডায়াগনসিস করতে হবে নতুবা রোগ ভালো
হবে না।এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া সুতরাং সঠিক চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে নইলে হিতে বিপরীত হবে। প্রাথমিকভাবে মলদ্বার পরীক্ষা করে যদি সন্দেহ হয় তবে আরো অনেক ধরনের test করতে হয়। তারপর সঠিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পরামর্শ দিতে হয়।অনেক ক্ষেত্রে ODS এর সাথে piles বা fissure থাকে। কোন সার্জন যদি না বুঝে piles বা fissure এর অপারেশন করে দেন তাহলে রুগীর রোগ আরো জটিল হয়ে যায়।
অনেকেই পায়ুপথের রোগ চেপে রাখেন। মনে করেন বিষয়টি প্রকাশ করা লজ্জার কথা। পায়ুপথের রোগ অন্য অঙ্গের রোগের মতোই, এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ করে সুন্দর জীবনযাপন করা সম্ভব।
যোগাযোগঃ “রয় পাইলস্ এন্ড ফিস্টুলা সেন্টার”
০১৭৭৩৪১১১৩৩