Tashfiya - Center for Ruqyah Shariyah

Tashfiya - Center for Ruqyah Shariyah একটি শরিয়তসম্মত রুকইয়াহ সেন্টার। পরামর্শ ও রুকইয়ার প্রয়োজনে মেসেজে কথা বলুন।

29/06/2025

রুকইয়ার সাপ্লিমেন্ট: পরিচিতি, ব্যবহার ও সতর্কতা

রুকইয়ার সাপ্লিমেন্ট বলতে সেই উপকরণগুলোকে বোঝানো হয়, যেগুলো সরাসরি রুকইয়া না কিন্তু রুকইয়ার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এগুলো শরিয়াহসম্মত ও চিকিৎসাগতভাবে উপকারী হওয়া জরুরি। মধু, পানি, তেল ইত্যাদি অনেক জিনিসই রুকইয়ার সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে প্রতিটি উপকরণের একটি নির্দিষ্ট ব্যবহারবিধি ও সীমা রয়েছে।
সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের নিয়ম
---------
প্রথমে (পানি বা তেলের মত) সাপ্লিমেন্ট প্রস্তুত করার জন্য- এর কাছে মুখ নিয়ে কুরআনের আয়াত বা দোয়া পড়া হয়। অথবা স্বাভাবিকভাবে পড়ার পর ফুঁক দেওয়া হয়, কখনো হালকা থুথুসহ ফুঁ দেয়া হয়। কেউ কেউ হাত বা আঙুল সাপ্লিমেন্টের উপর রেখে তেলাওয়াত করেন, ফুঁ দেননা।
সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস ইত্যাদি যেসব আয়াত বা দোয়া পড়ে রুকইয়াহ করা হয়, একই জিনিস পড়ে সাপ্লিমেন্ট তৈরি করা হয়। একই জিনিস একাধিকবার বা কয়েক দিন ধরে পড়া যেতে পারে, কিংবা অন্য কেউ পড়ে দিলে ব্যবহার করা যেতে পারে, এতে সমস্যা নেই। এছাড়া পূর্বে তৈরি সাপ্লিমেন্ট মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়, (এভাবে মেশানোর ফলে উপকারিতায় কিছু কমতি হতে পারে, তবুও কিছুক্ষেত্রে এটা সহায়ক)।
পড়া হয়ে গেলে পরে এসব খাওয়া, পান করা, গোসল করা, মালিশ করা এবং ঘরে ছিটানো হয়। পড়ার সময় মনোযোগ ও দৃঢ় বিশ্বাস রাখা জরুরি। নির্দিষ্ট নিয়ত মনে রেখে পড়া এবং ব্যবহার করা অধিক কার্যকর।
কয়েকটি উপকারী সাপ্লিমেন্ট পরিচিতি
--------
পানি:
রুকইয়ার পানি বা পড়া পানি পান করা, গোসল করা এবং ঘরে ছিটিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে জমজমের পানি সবচেয়ে উত্তম, এরপর বৃষ্টির পানি। সবশেষে সাধারণ পানি দ্বারাও রুকইয়াহ করা যায়। প্রয়োজনে জমজম বা বৃষ্টির পানি সাধারণ পানিতে মিশিয়ে নেওয়া যায়। গোসলের জন্য রুকইয়ার পানির সাথে গরম পানি মেশানো যায়, তবে পড়া পানি গরম করা উচিত না।
মধু:
এটি আরোগ্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সরাসরি খাওয়া বা পানিতে গুলিয়ে পান করা—দুইভাবেই বেশ উপকারী।
অলিভ অয়েল (যায়তুনের তেল):
কুরআনে একে বরকতময় বলা হয়েছে। সাধারণত সমস্যার স্থানে তেল মালিশের জন্য ব্যবহৃত হয়। রেচক হিসেবে পান করা হয়। এক্সট্রা ভার্জিন কোল্ড প্রেসড তেল উত্তম, না পেলে শরীরে ব্যবহারের উপযোগী ভালো অলিভ অয়েলের মাঝে রুকইয়াহ করে ব্যবহার করবেন।
অলিভ অয়েল দুষ্প্রাপ্য হলে অন্য তেলও ব্যবহার করা যায়, তবে এটা অধিক উপকারী।
কালোজিরা:
এটি খাওয়া ও ব্যবহার করা যায়। কালোজিরার তেলও রুকইয়ার সহায়ক হিসেবে উপকারী।
বরই পাতা:
জাদু বা জিনের সমস্যায়- সাতটি সবুজ বরই পাতা পিষে পানিতে মিশিয়ে আয়াতুল কুরসি ও তিনকুল তিনবার করে পড়ে পান করা ও গোসল করা হয়।
ফ্রেশ পাতা না পেলে শুকনা পাতা বা গুড়া এর বিকল্প হতে পারে। কিংবা একসাথে বেটে নিয়ে ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করতে পারেন।
সোনা পাতা (অথবা এর গুড়া):
এটিও উপকারী সাপ্লিমেন্ট হিসেবে বিবেচিত। সামান্য সোনাপাতা দিয়ে চা তৈরি করে অথবা গরম পানির সাথে মিশিয়ে তারমধ্যে দোয়া-কালাম পড়ে খেতে হয়। বিশেষতঃ কাউকে জাদুর জিনিস খাওয়ালে, তার চিকিৎসায় এটা উপকারী।
আজওয়া খেজুর:
হাদিসে এসেছে, সকালে খালি পেটে ৭টা আজওয়া খেজুর খেলে জাদু ও বিষের ক্ষতি থেকে বাঁচা যায়। এছাড়া চিকিৎসা হিসেবেও সিহরের আয়াত পড়ে নিয়মিত খাওয়া যায়। মদিনার আজওয়া খেজুর সবচেয়ে উপকারী।
আতর বা সুগন্ধি:
রুকইয়ার সময় দোয়া পড়ে বারবার ঘ্রাণ নেয়া, ঘুমের সময় আশেপাশে ব্যবহার করা, পানির সাথে মিশিয়ে ঘরে ছিটানো… ইত্যাদি কাজে আতর ব্যবহার হয়। দুষ্ট জিনেরা সাধারণত আতরের ঘ্রাণ সহ্য করতে পারে না।
কুস্ত (কস্টাস):
কুস্ত এর শেকড়ের গুড়া (কস্টাস রুট পাউডার) গরম পানিতে গুলিয়ে খাওয়া হয়। এছাড়া তেলের মধ্যে গুলিয়ে ড্রপ হিসেবে নাকে দেয়া যায়।
অডিও এবং গোসল:
রুকইয়ার অডিও এবং রুকইয়ার গোসল - এই দুটি বহুল ব্যবহৃত সহায়ক উপকরণ। এগুলো নিয়ে আমাদের ব্লগে স্বতন্ত্র ও বিস্তারিত প্রবন্ধ আছে। পড়ে দেখতে পারেন।
অন্যান্য উপকরণ:
লবণ, ভিটামিন, পুষ্টিকর খাবার, এমনকি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার সময়েও এসবের উপর আয়াত বা দোয়া পড়া উপকারী হতে পারে।..
বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যবহারের দিকনির্দেশনা
--------
১. মাসিকের সময় রুকইয়ার সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা যায়, তবে কোরআন পড়া যায় না। তাই অন্য কেউ এসব পড়ে ফুঁ দিয়ে দেবে অথবা আগে থেকে পড়া পানি ব্যবহার করবে। এছাড়া শুধু দোয়া পড়েও পানি তৈরি করা যেতে পারে।
২. গর্ভাবস্থায় সাধারণত জটিল রুকইয়া বা সাপ্লিমেন্ট থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়, সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কায়। তবে হিফাজতের দোয়া ও আমল অবশ্যই করা উচিত। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ অনুযায়ী সীমিতভাবে নিয়মিত রুকইয়াও করা যাবে।
৩. রোজার দিনে: দিনের বেলায় কিছু খাওয়া যায় না যেহেতু, তাই সাহরী বা ইফতারের সময় বা রাতে খেতে হবে। গোসল বা তেল মালিশ জাতীয় সর্বদাই করা যায়।
৪. ৭দিনের ডিটক্স রুকইয়াহ প্রোগ্রাম: এতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট, যেমন- পানি, মধু, কালোজিরা, তেল নির্দিষ্ট নিয়মে ব্যবহার করা হয়। এটা দারুণ উপকারী রুটিন। ..
সতর্কতা
--------
১. যেকোনো সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের আগে নিশ্চিত হতে হবে যে তা “শরিয়াহসম্মত এবং চিকিৎসকদের মতেও উপকারী।” মনে রাখতে হবে, আরোগ্য দানকারী আল্লাহ তাআলা, আর এসব শুধু সহায়ক বস্তু মাত্র।
২. সাপ্লিমেন্ট নিয়ে অতিরিক্ত এক্সপেরিমেন্ট বা গবেষণা করা ঠিক নয়। সাপ্লিমেন্ট পবিত্র স্থানে তৈরি করতে হবে (টয়লেট ও গোসলখানা একত্রে থাকলে সেখানে কোরআন পড়া যাবে না)।
৩. সাপ্লিমেন্ট তৈরির পর যত দ্রুত ব্যবহার করে ফেলা যায়, তত ভাল। এগুলো ঢেকে রাখবেন, প্রয়োজনে বিসমিল্লাহ বলে মুখ বন্ধ করবেন।
৪. যদি সাপ্লিমেন্ট তৈরির জন্য রাকির কাছে যান, তবে আকিদা, আমল, সততা এবং পর্দাসহ শরিয়াহর নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে।
__________________
এই আলোচনাটি “রুকইয়াহ” বইয়ের “রুকইয়াহ সাপ্লিমেন্টারি” অধ্যায় থেকে নিয়ে সংক্ষেপন করা হয়েছে। রুকইয়াহ বইয়ে রুকইয়া করার বিস্তারিত নিয়মের পাশাপাশি কীভাবে এসব উপকরণ ব্যবহার করতে হয়, তার নির্দেশনা, রেফারেন্স এবং সতর্কতা উপস্থাপন করা হয়েছে।

 # **মাসনুন আমল : যাদু এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়**-------------------------------**ক. পূর্বকথা -**বিসমিল্লাহ্‌...
21/06/2025

# **মাসনুন আমল : যাদু এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়**

-------------------------------

**ক. পূর্বকথা -**

বিসমিল্লাহ্‌! …যারা যাদু আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা তো বটেই, তাঁদের সাথে আমাদের সবারই যাদু এবং জ্বিন-শয়তানের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিখিয়ে দেয়া আ'মলগুলো যত্নসহকারে করা উচিত। এগুলোকে মাসনুন আমল অর্থাৎ সুন্নাহসম্মত আ'মল বলে। এসবের অসাধারণ সব উপকারিতার পাশাপাশি বড় যে লাভ রয়েছে, তা হচ্ছে আল্লাহর ওপর তাওয়াককুল বাড়ে।

সব সুন্নাতই গুরুত্বপূর্ণ, আর সারাদিনের; বিশেষত সকাল-সন্ধ্যার ফযিলতপূর্ণ অনেক দুয়া ও যিকর হাদিসে আছে, সবকিছু বিস্তারিত এখানে উল্লেখ করা তো সম্ভব না। আর সবসময় সবগুলোর ওপর আমলও সম্ভব না। তাই আমরা এখানে অল্প কিছু মাসনুন দোয়া এবং আ'মল নিয়ে আলোচনা করবো। আল্লাহ্‌ আমাদের এসবের প্রতি যত্নবান হবার তাওফিক দেন। আমিন।
..

সংযুক্তি-

➫ প্রতিদিনের মাসনুন আমলগুলো করার সুবিধার্থে এই প্রবন্ধের দোয়াগুলোর সাথে প্রয়োজনীয় আরও অনেক দোয়াসহ একটি* মোবাইল অ্যাপ* বানানো হয়েছে। যা পাওয়া যাবে এই লিংকে-

https://ruqyahbd.org/blog/1386/

➫ এই লেখার প্রিন্ট উপযোগী *পিডিএফ *পাবেন এখানে -

https://bitly.com/3nmdhCW

⋆ আরেকটা কথা, আরবি দোয়া অথবা কোরআনের আয়াতের উচ্চারণ বাংলায় দেয়া আমরা অপছন্দ করি! কিন্তু অতীতে এই ধরনের পোস্টে অনেকেই উচ্চারণ চেয়ে পীড়াপীড়ি করেছে, তাই কয়েকটার উচ্চারণ লিখে দিলাম।
...
# **খ. সকাল-সন্ধ্যার আমল**

১. আ’উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মা-তি, মিং-শাররি মা-খলাক্ব।

**أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ**

সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার পড়া। বিষ, যাদু এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে বাঁচতে। (জামে তিরমিযী, ৩৫৫৯)


২. বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-ইয়াদ্বুররু মা‘আসমিহী, শাইউং ফিলআরদ্বী ওয়ালা- ফিসসামা-ই, ওয়াহুওয়াস সামি’উল ‘আলীম।

**بِسْمِ اللهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ**

সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার পড়া। সব ধরনের ক্ষতি এবং বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকতে..। (জামে তিরমিযী, ৩৩৩৫)


৩. জিন-শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচতে সকাল সন্ধ্যায় **আয়াতুল কুরসি** (সুরা বাকারা ২৫৫নং আয়াত) পড়া। (হাকিম ১/৫৬২)


৪. **সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস: প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে পড়া।** সব ধরনের অনিষ্ট থেকে বাঁচতে এটা রাসুল স. এর শিখানো আ'মল। (সুনানে আবি দাউদ)


৫. লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হ্ামদ, ওয়াহুওয়া 'আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর

**لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ ، وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ**

প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের পর ১০বার করে পড়া। (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ) সম্ভব হলে প্রতিদিন সকালে ১০০বার পড়া। এর ফজিলত অনেক বেশি এবং জ্বিন-শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচতে এটা পরিক্ষিত আমল। (বুখারি, মুসলিম হাদিস নং ৪৮৫৭)


৬. সুরা তাওবাহ ১২৯ নং আয়াতের অংশ-

**حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ**

যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় সাতবার এটি পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন। (সুনানে আবি দাউদ)
...
# **গ. ঘুমের আগের আমল**

১. ওযু করে ঘুমানো, তাহলে ফিরিশতারা হিফাজতের জন্য দুয়া করতে থাকে। ডান কাত হয়ে ঘুমানো। এমনিতেও সর্বদা ওযু অবস্থায় থাকা সুন্নাত। (তাবারানী; আওসাত)

২. শোয়ার পূর্বে কোন কাপড় বা ঝাড়ু দিয়ে বিছানা ঝেড়ে নেয়া। (মুসলিম)

৩. **আয়াতুল কুরসি** পড়া। (বুখারী)

৪. সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া। (বুখারী)

৫. **সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস** পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দেয়া, এরপর পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে নেয়া। **এভাবে তিনবার** করা। (বুখারী)

৬. খারাপ স্বপ্ন দেখলে তিনবার হালকা থুতু ফেলা, এরপর আল্লাহর কাছে স্বপ্নের ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাওয়া, এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করে ঘুমানো। **এই স্বপ্নের কথা আম মানুষের সাথে না বলা**। এছাড়া ঘুমের সময় ভয় পেলে শেষের দোয়াটা (ঘ/৭নং) পড়া যেতে পারে।
....
# **ঘ. অন্যান্য সময়ের আমল**

১. বিসমিল্লাহ্‌ বলে দরজা-জানালা লাগানো। ঘরে প্রবেশ করতে এবং খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ্‌ বলা।


২. সম্ভব হলে মদিনার আজওয়া খেজুরের ব্যবস্থা করা, না হয় যে কোন আজওয়া খেজুরেও হবে। রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর সকাল বেলায় আহার করবে সেদিন তাঁকে কোন বিষ ও যাদু ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারী)


৩. টয়লেটে ঢুকার পূর্বে দোয়া পড়া-

**بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ**

বিসমিল্লাহি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা, মিনাল খুবসি ওয়াল খবা-ইছ।

অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি খারাপ পুরুষ ও মহিলা জ্বিন থেকে। (সহীহ মুসলিম, ৩৭৫)


৪. বিয়ের প্রথম রাতে স্ত্রীর কাছে গিয়ে, সম্ভব হলে মাথায় হাত রেখে পড়া-

**اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ**

(আবু দাউদ ২২৪৩ এবং ইবনে মাযাহ ১৯০৮ দ্রষ্টব্য)


৫. স্ত্রী সহবাসের পূর্বে দোয়া পড়া।

**بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا**

বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ শাইত্বা-না, ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা-রযাকতানা। (বুখারী, ৪৮৭০)


৬. দৈনিক একবার হলেও মসজিদে প্রবেশের দোয়া পড়া

**أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ**

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: মসজিদে প্রবেশের সময় কেউ এটা পড়লে শয়তান বলে, এই ব্যক্তি আজ সারাদিনের জন্য আমার থেকে রক্ষা পেয়ে গেল। (সুনানে আবি দাউদ, ৩৯৩)


৭. ঘুমের সময় ভয় পেলে বা অন্যসময় খারাপ অনুভূতি হলে এই দোয়াটি পড়া

**أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ الله التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وشَرّ عِبَادِهِ ، ومِنْ هَمَزَاتِ الشّيَاطِينِ وأَنْ يَحْضُرُونِ**

উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লাহিত্তা-ম্মাতি মিন্ গাদ্বাবিহি ওয়া ইক্বা-বিহি ওয়া শাররি ‘ইবা-দিহি ওয়ামিন হামাযা-তিশ্শায়া-ত্বীনি ওয়া আন ইয়াহ্দুরূন। (আবু দাউদ ৩৮৯৩)
..

**শেষ কথাঃ **

এই যিকরগুলো যতটা গুরুত্ব ও মনযোগের সাথে করা হয়, এর উপকারও তত বেশি হয়। আর কোনোদিন দোয়া পড়তে ভুলে গেলে পরে মনে পড়ার সাথে সাথেই পড়ে ফেলতে হয়। আর উল্লেখ্য, নারীদের মাসিকের সময়ে নামাজ-তিলাওয়াত না থাকলেও দোয়া-দরুদ পড়তে কোনও সমস্যা নেই, তাই এই দিনগুলোতে হিফাজতের আমলে অবহেলা করা উচিত না।

এগুলো সব ঠিকমত অনুসরণ করুন, ইনশাআল্লাহ্‌ জাদু, জিন, বদনজর, ইত্যাদিসহ অসংখ্য বিপদ-আপদ ও ক্ষতি থেকে হেফাজতে থাকবেন।
..

সিরিয়াল নেয়ার পূর্বে লক্ষণীয়
20/06/2025

সিরিয়াল নেয়ার পূর্বে লক্ষণীয়

নিদ্রাহীনতা এবং ঘুম সংক্রান্ত সমস্যায় করণীয়-------------[ক]প্রতিদিন ঘুমের সময় কিছু কাজ সবারই করা উচিত। কোন সমস্যা থাকুক ...
04/05/2025

নিদ্রাহীনতা এবং ঘুম সংক্রান্ত সমস্যায় করণীয়
-------------

[ক]
প্রতিদিন ঘুমের সময় কিছু কাজ সবারই করা উচিত। কোন সমস্যা থাকুক অথবা না থাকুক, সবারই...
১. ওযু করে বিছানায় যাওয়া।
২. শোয়ার পূর্বে বিছানা ৩বার ঝেড়ে নেয়া।
৩. ডান কাত হয়ে শোয়া, পরে অন্য দিকে ঘোরা যাবে। গালের নিচে হাত রাখা।
৪. আয়াতুল কুরসি এবং বাকারার শেষ ২ আয়াত পড়া
৫. সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়া এবং হাতে ফুঁ দিয়ে শরীর মুছে নেয়া। এভাবে ৩বার করা।
৬. ঘুমের দোয়া পড়া, বিশেষতঃ বিসমিকা – আল্লাহুম্মা… এবং বিসমিকা রব্বী… দোয়া দুইটি
৭. সুবহানাল্লাহ ৩৩বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩বার, আল্লাহু আকবার ৩৪বার পড়া।
* সম্ভব হলে এসময়ের আরও অন্যান্য মাসনুন যিকর করা।
* প্রতি রাতে সুরা মূলক তিলাওয়াত এর চেষ্টা করা।
(ঘুমের আগের যিকরগুলো একত্রে পাওয়া যাবে হিসনুল মুসলিম বই এবং আমাদের “মাসনুন আমল” অ্যাপে। লিংক কমেন্টে দেয়া হল।)
[খ]
যাদের নিদ্রাহীনতার সমস্যা আছে, রাতে ঠিকমত ঘুম আসে না, এপাশ ওপাশ করে রাত কেটে যায়, তাদের জন্য কিছু টিপস এবং রুকইয়াহ –

১. ওপরের কাজ এবং যিকরগুলো করুন।
২. সুরা কাহফ; আয়াত ১১, ত্বহা; আয়াত ১০৮, নাবা; আয়াত ৯ - সবগুলো তিনবার/সাতবার পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে মাথা থেকে পুরো শরীর (স্বাভাবিকভাবে যতদূর হাত যায়) মাসাহ করুন, পানিতে ফুঁক দিয়ে পান করুন। এভাবে লাগাতার সপ্তাহখানেক করুন। ইনশাআল্লাহ সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
৩. চাই প্রতি রাতে যায়দ বিন সাবিত রা. এর দোয়াটা পড়তে পারেন। (আল্লাহুম্মা গারাতিন নুজুম…)
৪. এরপরেও সমস্যা থাকলে ঘুমের আগে সুরা বাকারা অথবা ৮সুরার রুকইয়াহ শুনুন। প্রতিদিন রুকইয়ার গোসল করুন।
(এই অংশটি শাইখ হাসান বিন ইলিয়াসের মেসেজ অবলম্বনে..।)
[গ]
ঘুমের সময় জ্বিন সেক্সুয়াল হ্যারাশমেন্ট করলে বা ফিজিক্যাল টর্চার করলে “রাত্রিতে জ্বিনের সমস্যা” লেখাটা ফলো করুন। লিংক কমেন্টে দেয়া হবে।
এক্ষেত্রে সমস্যা বেশি হলে, স্থায়ী আরোগ্যের জন্য গুরুত্বের সাথে সময় নিয়ে রুকইয়াহ করে যেতে হবে।
আল্লাহ আমাদের পেরেশানি দূর করে দিক, প্রশান্তির ঘুম এনে দিক।। আমিন।

14/04/2025

আসসালামু আলাইকুম। উস্তাদ মাহমুদ ভাইয়ের সিরিয়াল নেবার জন্য নক দিসিলেন তারা আবার কস্ট করে একটু নক দেন। কিছু স্লট ফাকা আছে ১৬, ১৭ তারিখে।

30/03/2025

যারা রুকইয়াহ করতেছেন, ঈদের সময় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন:

• ঈদে অনেকরই গ্রামের বাড়ি/ আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রেগুলার আমলের ছন্দপতন হয়ে যায়, যা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এজন্য যেখানেই বেড়াতে যান না কেন আমল জারি রাখবেন।
• রোজা ও রোজার বাহিরে সমপরিমাণ প্রচেষ্টায় রুকইয়াহ চলামন রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে।
• আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলেও কমপক্ষে রেগুলার বেসিক মাসনুন আমলগুলো করবেন। যেমন: সকাল সন্ধ্যার আমল, ফাতিহা ৩ কুল, আয়াতুল কুরসি, ঘুমের আমল, আউযুবি.....মা-খলাক, বিসমিল্লাহিল্লাজি....সামিউল আলিম, লা ইলাহা...শাইয়িন কদির, সুরা বাকারার মাসনুন দুআ সহ ইত্যাদি...
• অবশ্যই রুকইয়াহ রুটিন কন্টিনিউ রাখবেন। আমল একদম বাদ না দিয়ে অল্প হলেও করবেন। যাদের ২-৩ ঘন্টার তিলাওয়াত শোনার রুটিন তারা অন্তত ৩০ মিনিট বা ১ ঘন্টা শোনার চেষ্টা করবেন। সবচেয়ে উত্তম হয় এমন সময় নিয়ে নিজে তিলাওয়াত করা।
• যাদের সাপ্লিমেন্ট দেয়া হয়েছে তারা আগেই সেসব প্রস্তুত করে নিবেন, যেন ঈদের দিন আলসেমিতে বাদ না যায়। আগেই পানি রেডি করে রেখে দিবেন, পারলে মিক্সড করে খাবেন।
• বাচ্চাদের বেড়াতে গিয়ে নজর লেগে যায়। যেমন আত্মীয়রা অনেক সময় পরে দেখে চেহারার পরিবর্তন নিয়ে ভাবপ্রকাশ করে ফেলে... সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিজে হেফাজতের আমল করার সময় বাচ্চাকেও ফুঁ দিয়ে দিবেন।
• বাচ্চা যদি আক্রান্ত হয়ে যায় অর্থাৎ বাচ্চার অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিলে (যেমন: খাবারে সমস্যা, পেটব্যথা, কান্নাকাটি, অস্বস্তি ইত্যাদি) দ্রুত রুকইয়াহ করে নিবেন।
• গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো, ঈদের দিন/রাতে দুআ কবুল হয়। তাই বেশি দুআ করবেন নিজের ও অন্যের জন্য। অবশ্যই ঈদের সুন্নাহগুলো খেয়াল রেখে আমল করবেন... ইংশাআল্লাহ।

12/03/2025

রমজান মাস, ইবাদতের মাস। দোয়া কবুলের মাস। আপনার সমস্যা, অসুখ, বিপদ আপদ, সবকিছু আপনার রব আল্লাহর কাছে বলুন।
রমজান মাসে প্রতিদিন প্রতিরাতে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয় চাইতে থাকুন। আপনার কাছে যেটা অসম্ভব মনে হচ্ছে, আল্লাহর হুকুমের কাছে সেটা খুবই সামান্য ব্যাপার। তাই চাইতে থাকুন।
শেষ দশ দিনে চেষ্টা করুন ইতেকাফ করতে, রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে, বেশি বেশি দরুদ ও ইস্তেগফার করে দোয়া করতে। জোড় বেজোড় সব রাতেই দোয়া করতে থাকুন।
হাদীসে আছে, প্রতি রাতেই দোয়া কবুলের একটা মুহূর্ত আছে, ওই সময় মানুষ দোয়া করলে আল্লাহ দিয়ে দেয়।
নিজের জন্য দোয়া করার পাশাপাশি অন্য মুসলিম ভাইদের জন্য, এই জমিনে ইসলাম দায়েম-কায়েম হওয়ার জন্যও দোয়া করুন। দোয়ার আগে পরে দরুদ, ইস্তেগফার, হামদ ও সানা পড়ুন (কমেন্টে দোয়ার আদবের বিস্তারিত থাকবে।)
--
এমন অসংখ্য মানুষ আছে, যারা রমজানে বেশি বেশি নফল ইবাদতের পাশাপাশি দোয়া করেছে, আর আল্লাহ তাআলা সারাবছর তাদেরকে একেরপর এক নিয়ামত দিয়ে ভরে রেখেছেন, একেরপর এক প্রয়োজন পুরা করে দিয়েছেন। এত সহজে যা পূরণ হওয়া তাদের চিন্তারও অতীত ছিল...

সবার জন্য অনুসরণযোগ্য প্রাথমিক পরামর্শ-----------১. সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস- সবগুলো ৩বার/৭বার করে প...
08/02/2025

সবার জন্য অনুসরণযোগ্য প্রাথমিক পরামর্শ
-----------

১. সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস- সবগুলো ৩বার/৭বার করে পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে প্রতিদিন ২/৩বেলা খাবেন আর গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করবেন।
২. সকাল-সন্ধ্যা এবং ঘুমের আগের হিফাজের আমল গুরুত্বের সাথে পালন করবেন
https://facebook.com/groups/ruqyahbd/posts/2482722625248375/ বা http://ruqyahbd.org/masnun
৩. বেশি বেশি ইস্তেগফার করবেন আর সমস্যা ভালো হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
৪. (সমস্যা বেশি থাকলে) সাধারণ রুকইয়ার আয়াতগুলো প্রতিদিন আধাঘন্টার মত তিলাওয়াত করবেন অথবা যেকোন ক্বারির তিলাওয়াত শুনবেন।
রুকইয়ার অডিও পাবেন এই লিংকে - https://ruqyahbd.org/d
আর পিডিএফ এখানে- https://ruqyahbd.org/pdf
রুকইয়ার সব আয়াত পড়া সম্ভব না হলে শুধু "সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস"- এগুলোই ১৫-২০মিনিট ধরে বারবার পড়ে নিজেকে ফুঁ দিবেন, দুই হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীর মুছে নিবেন।
৫. প্রতিদিনের ফরজ ওয়াজিব ইবাদাত ঠিকভাবে করবেন। হারাম থেকে বেঁচে থাকবেন।

অন্তত এক সপ্তাহ এভাবে রুকইয়াহ করে আপডেট জানান।.
নোটঃ
যাদের জ্বিন, জাদু, বদনজর এধরনের সমস্যা আছে মনে করছেন, তাঁরা যে কেউ এটা নিশ্চিন্তে ফলো করতে পারেন। সমস্যা কমুক অথবা বাড়ুক, ভয়ের কিছু নেই।
এই সাজেশন এক সপ্তাহ ফলো করার পরেও যদি আপনার সমস্যা বাকি থাকে, তাহলে গ্রুপে আপডেট জানাবেন। তাহলে ইনশাআল্লাহ নতুন পোস্টের চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি উত্তর পাবেন। আর আমাদের জন্যও সহজ হবে। শুধু শুরুতে বলবেন ( # আপডেট আমি প্রাথমিক পরামর্শ ১ এক সপ্তাহ ফলো করেছি..)
রুকইয়াহ সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে আগে এই পোস্টে উত্তর খুঁজবেন
https://facebook.com/groups/ruqyahbd/posts/800108556843132/
ওখানে উত্তর না পেলে প্রশ্ন করবেন।

12/01/2025

রুকইয়াহ সেন্টারের আপডেটঃ *১২.০১.২০২৫*
আমাদের সেন্টারের কার্যক্রম চালু আছে আলহামদুলিল্লাহ। নিয়মিত রুকইয়াহ করা হচ্ছে। আপনাদের রুকইয়াহ বা পরামর্শের জন্য সিরিয়ালের প্রয়োজন হলে মেসেজ দিতে পারেন।
কমেন্টের লেখাটায় সিরিয়ালের ব্যাপারে বিস্তারিত থাকবে।
--
তবে আমাদের সেন্টার রাজশাহীতে। অনেকে ঢাকার ভেবে মেসেজ দেন। রাজশাহী বা উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য এদিকে আসা সুবিধা হবে। ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে দূরে হবে।
এছাড়া আমাদের একজন রাকি বগুড়া-রংপুরের দিকে মাঝেমাঝে হোম সার্ভিস দেন, এরকম দরকারেও বলতে পারেন।

Send a message to learn more

19/12/2024

সেন্টারের আপডেট -
এই মাসে কিছুদিন আমাদের কার্যক্রম বিরতি ছিল। একদম বন্ধ না, বরং স্লো ছিল বলা যায়।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভাই এই মাসে মাত্র একদিন বসেছেন, আর অন্যরা সপ্তাহে এক-দুইদিন দেখেছে।
যাহোক, আজ থেকে আবার সিরিয়াল নিতে পারবেন। সিরিয়াল নেয়ার আগে অবশ্যই রুকইয়াহ বিষয়ে জেনেশুনে এরপর সিরিয়াল নিবেন।
কমেন্টের লেখা দ্রষ্টব্য

রুকইয়াহ বিষয়ে ধারণা পেতে কি করবেন? ---যদি আপনার রুকইয়াহ বিষয়ে একদমই জানা না থাকে, তাহলে উচিত হবে একটা স্বচ্ছ ধারনা নিয়ে...
13/11/2024

রুকইয়াহ বিষয়ে ধারণা পেতে কি করবেন?
---
যদি আপনার রুকইয়াহ বিষয়ে একদমই জানা না থাকে, তাহলে উচিত হবে একটা স্বচ্ছ ধারনা নিয়ে এরপর সিরিয়াল নেয়া। কারণ, রুকইয়াহ বিষয়ে জানাশোনা না থাকলে সেন্টারে সরাসরি রুকইয়াহ করা মুশকিল হয়। এটা হয়তো কবিরাজি টাইপের কিছু ভাবে, অথবা মনে করে একদিন রুকইয়া করলেই দশ বছরের সমস্যা ভালো হয়ে যাবে, অথবা মনে করে এখানেই সব করা হবে উনাকে আর কিছু করা লাগবে না... ইত্যাদি ইত্যাদি।
অল্প সময়ের মধ্যে সবাইকে এগুলো খুটিনাটি বুঝানো কঠিন কাজ। তাই আগে থেকে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে, সম্ভব হলে কয়েকদিন নিজে থেকে রুকইয়া করে এরপর সিরিয়াল নিলে সবার জন্যই ভালো হয়।
----
প্রাথমিক ধারনার জন্য এই দুইটা লেখা পড়বেন -
১। মুখতাসার রুকইয়াহ শারইয়াহ - https://ruqyahbd.org/mukhtasar
২। বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর -
https://ruqyahbd.org/faq
অথবা
* ইউটিউবে এই আলোচনাটা শুনবেন - https://youtu.be/w3x4SXIfg9s

কমপক্ষে এগুলো পড়ে/শুনে এরপর আসলে আপনার জন্য ভালো হবে।

-----
আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে আপাতত দুইটা সহজ উপায় বলি -
১। রুকইয়াহ গ্রুপের ব্লগ থেকে এই বিষয়ের লেখাগুলো পড়া - https://ruqyahbd.org/blog
(আরও স্পেসিফিকভাবে বললে, সেলফ রুকইয়া সিরিজের প্রতিটা লেখা, এবং লেখার মধ্যে যেসবের লিংক দেয়া আছে সেগুলো পড়া।)
২। "রুকইয়াহ" বইটা পড়া। যেটা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের রচনা, সন্দিপন প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে। এখানে অনেক খুটিনাটি বিষয় সহজ করে লেখা আছে, এটা পড়লে এবং আমল করতে থাকলে অনেক কিছু জানা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
ওয়াফিলাইফ - https://www.wafilife.com/rukiyah/dp/640031
রকমারি - https://rkmri.co/e0m03MI2M3MA/
- এছাড়াও ইসলামী বইয়ের ভালো দোকানগুলোতে খোজ করলেও বইটা পাবেন। (বিস্তারিত পড়াশোনা করতে গিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটা রুকইয়া সাপোর্ট গ্রুপে পোস্ট করলে উত্তর পাবেন ইনশাআল্লাহ।)

**সেন্টারের আপডেট**  ০৬.১১.২০২৪আগামী দুই-তিন সপ্তাহ প্রতি রবি ও বৃহঃবার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভাই এখানে সময় দিবেন/দেয়ার চ...
06/11/2024

**সেন্টারের আপডেট** ০৬.১১.২০২৪
আগামী দুই-তিন সপ্তাহ প্রতি রবি ও বৃহঃবার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভাই এখানে সময় দিবেন/দেয়ার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ। আপনারা এই পেজে মেসেজ দিয়ে পরামর্শ অথবা রুকইয়ার জন্য সিরিয়াল নিতে পারবেন। তবে কোনো সপ্তাহে মঙ্গলবারও হতে পারে।
আর যারা পূর্বে নক দিয়েছিলেন, অনুগ্রহ করে আরেকবার নক দিয়ে সময় নিবেন। এছাড়া নিয়মিত অন্য রাকি ভাইয়েরাও সেন্টারে সময় দিচ্ছেন। চাইলে তাদেরও দেখাতে পারবেন।
-
একটা বিষয় হলো, আমরা রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড সময় রাখি। অর্থাৎ অবস্থা অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্য একঘন্টা থেকে আড়াইঘন্টা পর্যন্ত আলাদাভাবে সময় রাখা হয়, এরপর হয়তো কম-বেশি লাগে। এখন কেউ যদি সিরিয়াল নিয়ে না আসেন, কিংবা আগে না জানান যে আসতে পারবেন না। তাহলে বিষয়টা আমাদের জন্য মুশকিল হয়ে যায়। অন্তত আগের রাতে জানালেও এই সময়টা অন্য কাউকে দেয়া যায়।
আমরা আগে যেটা করতাম, কেউ একবার সিরিয়াল নিয়ে অবহেলা করে না আসলে তাকে আর কখনওই সিরিয়াল দেয়া হত না। তখন বিষয় একটু রুঢ় মনে হইলেও আমাদের স্বভাব অনুযায়ী এটা ঠিকই লাগে এখন। ইদানীং অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে নিয়মটা আবার চালু করা লাগবে।
-
যাহোক, অনেক কথা হলো।
আমাদের রুকইয়াহ সেন্টার রাজশাহীতে, তালাইমারি নর্দার্ন মোড়ের কাছে। সিরিয়াল দরকার হলে এই পেজেই মেসেজ করবেন।

Address

Northern Mor, Adorsho School Theke (vodrar Dike Jete) 100m Uttore Bus Garage Er Pechone
Patgram
6000

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Telephone

+8801326040006

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tashfiya - Center for Ruqyah Shariyah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram