Tashfiya - Center for Ruqyah Shariyah

Tashfiya - Center for Ruqyah Shariyah একটি শরিয়তসম্মত রুকইয়াহ সেন্টার। পরামর্শ ও রুকইয়ার প্রয়োজনে মেসেজে কথা বলুন।
(1)

01/12/2025

প্রশ্নঃ জ্বিন জাদুর সমস্যার কি স্থায়ী সমাধান নেই?

উত্তরঃ
এটা মাঝে মাঝে শুনি। কিছুদিন রুকইয়াহ করে, শরীর ভাল লাগে, অফ করে দেয়। এরপর আবার যখন খারাপলাগে তখন আবার রুকইয়াহ করে। এভাবেই কয়েকবার চলার পর প্রশ্ন চলে আসে, এভাবেই কি সারাজীবন থাকতে হবে, স্থায়ী সমাধান কি?

আবার দীর্ঘদিন থেকে রুকইয়াহ করছে, সমস্যা বাড়ে-কমে, কিছুদিন ভাল থাকে- আবার খারাপ লাগে। তাদের মুখেও অনুচ্চারিত প্রশ্ন, আর কত করবো। ভাল/স্থায়ী কিছু নেই?

মাঝে মাঝে ভাবি দুনিয়ার জীবনের পেরেশানির সমাধান কি? যা স্থায়ী? একটাই চিন্তা আসে, তা হল মৃত্যু। মৃত্যুই হল এসব পেরেশানির স্থায়ী সমাধান। মরে গেলে আর জিন, জাদুতে আসর করবে না।

কিন্তু এই কথাতো বলা যাবে না। তাই চুপ থাকি, অন্য কথায় চলে যাই। মানুষ মনে হয় বোঝেই না বদনজর, জ্বিন, জাদু এসব একটা রোগ। রোগ একবার ভাল হলে আবার হতেই পারে। আর ভাল হয়েছে কিনা সেটাও তো কোনো বিশেষজ্ঞ বলে নি। নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আচ্ছা আপনারা কি ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলেন, ডাক্তার সাহেব ছোট বেলায় জর এসেছিল বা সর্দি লেগেছিল। ওষুধ খেয়ে ভাল হয়েছিল। এখন আবার জর/সর্দি হল কেন? এমন মেডিসিন নেই যা খেলে আর এসব হবে না? পার্মানেন্ট সলুশন নেই? সামান্য জ্বর, সর্দির পার্মানেন্ট সলুশন নাই?

না করে থাকলে করে দেখবেন। ইংশা আল্লাহ তারা আমার মত এড়িয়ে যাবে না।

জ্বি, আপনার অধিকার আছে ডাক্তারকে প্রশ্ন করার। তার সময় আপনি টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছেন। তাকে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন। আর ডাক্তারও উত্তর দিবে। দিয়ে তার ফি হালাল করবে।

যেখানে ফ্রী পরামর্শ পাবেন সেখানে কিন্তু এই প্রশ্ন করবেন না। আপনি সমস্যা বলবেন তিনি পরামর্শ দিবেন। এখানেই শেষ। আপনার কৌতূহল নিবৃত্ত করতে চাইলে যেখানে গেলে সার্ভিস ফি নেয় সেখানেই যাবেন। তারা ধৈর্য্য ধরে, এটিচিউড ঠিক রেখে আপনার কথা শুনে জবাব দিবেন। আর যারা ফ্রী দেয় তাদের সময় কম, অন্যরাও যেন পরামর্শ নিতে পারে সেদিকে খেয়াল করবেন। আপনিই বাড়তি কথা বললে/শুনতে চাইলে আরেকজন পিছনে পড়ে যাবে। তার হয়ত টাকা দিয়ে সার্ভিস নেয়ার ক্ষমতা নেই, আবার কৌতুহল কম। আপনিও বেচে গেলেন, অন্যের ইটিচিউড দেখা লাগলো না, আবার জবাবও পেলেন।

21/11/2025

যাদু ও জ্বিনে আক্রান্তদের মানসিকভাবে আরও দূর্বল করে দেয় রাক্বীদের 'ভয়ংকর যাদু', 'শক্তিশালী যাদু', আশিক জ্বিন, অমুক জ্বিন, তমুক জ্বিন, 'সহজে ছাড়বে না', 'তিলে তিলে ক্ষতি করে', 'শুধুমাত্র যাদু/জ্বিনে আক্রান্তই বুঝে কতো কষ্ট'... এসব টাইপের পোস্ট আর সরাসরি রোগীকে এসব বলার দ্বারা। আরো আছে ২০/৩০/৫০ বার রুকইয়াহ করতে হবে। আরো কত কি।

রাক্বীদের বিষয়টা বিবেচনা করে দেখা উচিৎ মনে করি।

19/11/2025

আসসালামু আলাইকুম। রুকিয়া শোনার সময় অন্য কাজ করলে কি গুনাহ হবে? আমি যদি পড়ার সময়, ফেসবুক চালানোর সময় বা অন্য ঘরের কাজ করার সময় রুকিয়া চালিয়ে শুনি কোন সমস্যা হবে?

Answer: ওয়ালাইকুমুসসালাম, রুকইয়া আপনি যত গুরুত্ব দেখিয়ে শুনতে পারবেন তত ভালো, অর্থাৎ আপনি পাকসাফ হয়ে দুরাকাত নফল পড়ে ইস্তিগফার দরুদ পড়ে একদম মনোযোগ দিয়ে যদি শুনতে পারেন তবে সবচেয়ে ভালো। এসবের যতটা শিথিল হবে, উপকারও তত কম হবে। আর এমনিতেই কোরআন তিলাওয়াত হলে, মনোযোগ দিয়ে শোনাই উচিত।

এজন্য মনোযোগ দিয়ে শোনা ভালো, তবুও রুকইয়ার সময় ছোটখাটো কাজ করতে চাইলে করেন, তবে খেয়ালটা ওইদিকে রাখবেন।

ব্রেইন খাটিয়ে করতে হয় এরকম কাজ হলে ইয়ারফোন/হেডফোন ইউজ করে রুকইয়া শোনা উচিত। সম্ভব না হলে অনেক জোরে সাউন্ড দিয়ে শুনবেন যেন এটা আপনার মাথা দখল করে রাখে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অবিরত জিনের রুকইয়ার ঘটনা শেয়ার করা প্রসঙ্গে উন্মুক্ত চিঠি…কেন রুকইয়ার ঘটনা খুব সতর্কতার সঙ্গে শেয়ার করা ...
04/11/2025

সোশ্যাল মিডিয়ায় অবিরত জিনের রুকইয়ার ঘটনা শেয়ার করা প্রসঙ্গে উন্মুক্ত চিঠি…
কেন রুকইয়ার ঘটনা খুব সতর্কতার সঙ্গে শেয়ার করা উচিত? কারণ –
১. এসব লেখাকে ভায়োলেন্সের প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে হিন্দু বা সেক্যুলাররা কাজে বাধা দেয়ার সুযোগ পাবে। তখন অন্যদের কাজের ক্ষেত্র নষ্ট হবে।তান্ত্রিকরা ওদের পরিচিত এলিটদের দিয়ে ঝামেলা পাকাতে পারে। যেহেতু ওদের ইমারত ধ্বংস করতেসি আমরা।
২. এভাবে জ্বিনের ঘটনা শেয়ার করার কারনে রুকইয়ার ব্যাপারে মানুষের অতিপ্রাকৃত বিশ্বাস বাড়ছে, আমাদের তো উচিত বিষয়টা সহজ ও স্বাভাবিক বানানোর চেষ্টা করা।নইলে সুস্থতা পেতে দেরি হলে বা কোন কারনে তাৎক্ষণিক উপকার কম পেলে মানুষ বিষয়টার ওপরেই আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর এরকম ঘটনা ইদানীং আসলেই ঘটছে। ফেসবুকের গল্প পড়ে গিয়ে বিভিন্ন রাক্বিদের সাথে রোগীরা তর্ক করছে – “অমুক অমুক ভাই তো এত এত জিন হাজির করে ওয়াদা নিয়ে বিদায় করে, আপনি আমার বেলায় করছেন না কেন? কত টাকা দিলে করবেন?!!” আগে যে কথা মানুষ কবিরাজদের রেফারেন্স টেনে বলত, আজ রাক্বিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে। এটা আমাদের জন্য কষ্টের ব্যাপার।
৩. আপনি অনেক রোগীর রুকইয়া মাসের পর মাস করছেন, যেগুলোর আলোচনা পাবলিক প্লেসে আসেনি। কিন্তু মানুষ তো আপনাদের এসব স্ট্রাগল বুঝবে না।আর আপনি শেয়ার করছেন ১০০ জন মানুষের ১০০টা কেস। এদিকে পাঠক কিন্তু ঘুরে ফিরে একই। এদের ওপর এতগুলা ঘটনার বিরাট ইফেক্ট পড়তেসে।এজন্য আমি অনেককেই বলতাম দরকার না থাকলে রুকইয়াহ গ্রুপ আনফলো করে রাখেন, এত জনের অস্বাভাবিক ঘটনার পোস্ট যখন আপনি একা মানুষ পড়বেন। তখন খুব সহজেই আপনার ওপর এর মন্দ প্রভাব দেখা যাবে।কারণ, চিকিৎসক হিসেবে একশ জনকে দেখা, আর এমনি পাঠক দর্শক হিসেবে দেখার কিন্তু পার্থক্য আছে।
৪. সার্বিকভাবে চিন্তা করে দেখেন, রেগুলার এসব স্ট্যাটাস দেয়াতে আদতে রুকইয়াহ ফিল্ডের জন্য ফায়দা হচ্ছেনা। উম্মাহর দীর্ঘমেয়াদি ফায়দা তো আরওই না।আপনার ভালোভালো ঘটনা একসাথে করে একটা ডক বানালে বা ব্লগে রাখলে তখন ভিন্ন বিষয়, অল্প কজন যারা রুকইয়া নিয়ে কাজ করবে তারা বারবার পড়ে শিখতে পারবে।কিন্তু শত শত সাধারন মানুষের কাছে পোস্ট করে দিলে এসব মানুষের মনে জীন-জাদু সম্পর্কে যেসব ফ্যান্টাসি আছে, সেগুলো আরো উসকে যাচ্ছে।আর নিজের ওয়ালে দিতে চাইলে আমভাবে সবার জন্য শিক্ষনীয় ঘটনা একদম ফিল্টার করে দেয়া উচিত, সাথে এই ঘটনা থেকে কি বুঝা গেল, এটা কেন ইউনিক, এথেকে কি কি উপদেশ গ্রহণ করার আছে এগুলো উল্লেখ করে দেয়া উচিত।নইলে দিন শেষে এগুলো পড়া আর ভুত এফএম বা রূপকথার গল্প পড়ার মাঝে খুব একটা ব্যবধান থাকবে না।
আবু ইবরাহিমের আলোচনাগুলো খেয়াল করলে এই জিনিসটা পাবেন, সে প্রতিটা ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে শিক্ষণীয় বিষয় কি কি সেটা উল্লেখ করে দেয়।রুকইয়াহ গ্রুপের ওয়েবসাইটে কিন্তু কেস স্ট্যাডি সেকশন আছে, কিন্তু পুরা খালি। সবরকম ঘটনা শেয়ার করলে সেটা অনেক আগেই ভরে যেত। আপনি/আপনারা চাইলে সেটা ব্যবহার করতে পারেন।বেছে বেছে ঘটনা সেন্সর এবং সম্পাদনা করে সংরক্ষণ করলেন। ভবিষ্যতে যারা রুকইয়াহ নিয়ে কাজ করবে তাদের ফায়দা হবে।হ্যা, লাভের লাভ একটা আছে কিছু লোকের! তা হচ্ছে, “এগুলা গল্প বা ভিডিও দিয়ে কাস্টমার ধরে।” এই কারণেই ওয়েস্টের বহু রাক্বি জায়েজ-নাজায়েজ বিবেচনা না করে, রোগীর প্রাইভেসির পাত্তা না দিয়ে ইউটিউবে রুকইয়ার অস্বাভাবিক অবস্থার ভিডিও আপলোড করতে থাকে। রোগীর অপ্রস্তুত অবস্থার ভিডিও আপলোড দিয়ে কাস্টমার ধরা নিসন্দেহে জঘন্যতম কাজগুলোর একটা।যাহোক।
শেষ কথা বলি –
৫. আপনিও একটা বিষয় জানেন, সেটা হলো “রাক্বিদের কাজ হল রুকইয়াহ আর মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা। জ্বিনের সাথে বেশি কথা বলা ঠিক না। নাম, ধর্ম, কেন এসেছে। বিধর্মি হলে দাওয়াত দেয়া। এরপরে চলে যেতে বলা। গেলে ওয়াদা নেয়া আর না গেলে তাকে শাস্তির ভয় দেখানো” এটুকুই।হ্যাঁ, অন্য কথা বললে রোগীকে করা যাদুর জিনিসপত্রের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা যায়। তবে পুরাপুরি বিশ্বাস করা যাবে না।এসব কথার বাইরে বেশি কথা বললে কোরআনে বলা “জ্বিন থেকে ফায়দা নেয়ার দিকে” যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। আমরা শুরুর দিকে লোক হিসেবে আগুন কেন, ধুয়া থেকেও দূরে থাকব তাইনা? যেন ভবিষ্যতের জন্য উদাহরণ হতে পারি।যেমন, বেন হালিমা শয়তান জিনের থেকে দাজ্জালের গল্প শুনে, ভালো জিন(!) ডেকে খারাপ জিন তাড়ায়। চিন্তা করেন অবস্থা…। (এমন শয়তানি পরামর্শও নতুন রাক্বি ভাইদেরকে কেউ কেউ ইনবক্সে পাঠাচ্ছে)এগুলা বাদ, আপনার স্ট্যাটাসেই অনেকে বলছে জিনকে ওখানে পাঠান / এটা ওটা করতে বলেন। কেউ কেউ নিজের স্বপ্ন কিংবা হ্যালুসিনেশনের কথা এমনভাবে বলছে, যেন এটা যে এতে কোন সন্দেহের সুযোগ নাই। আপনি এসব স্বপ্ন কিংবা ভ্রমকে পাত্তা দিতে মানা করলে আপনাকেই মন্দ ভাবা শুরু করবে।এভাবে তো শয়তান খেলার সুযোগ পাচ্ছে আমাদের নিয়ে।
কবিরাজদের ব্যাপারে একটা ফেমাস উক্তি হচ্ছে “ওরা ভাবে যে শয়তানকে বশ করে নিজের কাজ করাচ্ছে, আসলে শয়তানই ওদেরকে বশ করেছে।”আমাদের ক্ষেত্রে যেন এমন সম্ভাবনা তৈরি না হয়।অনেক কথা বললাম। একটু সতর্ক থাইকেন প্লিজ। প্রয়োজনে প্রতিটা লেখার পূর্বে আলেমদের সাথে মাশওয়ারা করেন, লাভ-ক্ষতি চিন্তা করেন, ইস্তিখারা করেন, এসব আমাদের পূর্বসূরিবড়দের অভ্যাস ছিল।পরামর্শগুলো একটু সময় নিয়ে ভাববেন।আল্লাহ আপনাকে ও আমাকে সবসময় কল্যাণের মাঝে রাখুক।

আমিন।

© উস্তাদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

29/10/2025

প্রশ্নঃ

রুকইয়াহ সেশনের ভিডিও অর্থাৎ যেসব ভিডিওতে জিন আক্রান্ত রোগীর বিভিন্ন মুভমেন্ট দেখায় আর রাকি তিলাওয়াত করতে থাকে, এরকম ভিডিও কি আদৌ রুকইয়াহর প্রচারের জন্য প্রয়োজন আছে?

উত্তরঃ

১।
না, কোনও প্রয়োজন নেই। বরং এতে সামগ্রিকভাবে উম্মাহর ক্ষতিই নিয়ে আসে। এসব ভিডিও দেখে একটি অথর্ব জিন-জাদু আক্রান্ত জাতি তৈরী হয়। আমি যেহেতু সরাসরি এই ফিল্ডের সাথে সম্পৃক্ত, তাই আমি সাধারণ জনগণ যাদের দ্বীনের মৌলিক জ্ঞানটুকু নেই তাঁদের দেখেছি তাঁরা আমাদের কাছে ভিডিওর এই রাকির মতো জিন হাজির করে জিনকে বের করে দিতে বলে(লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)!! আমাদের কাছে আসে কারণ ঐজন্য যে ঐ রাকিদের শিডিউল পাচ্ছে না তাই! তখন ৯০% রোগীদের বোঝানো অসম্ভব হয়ে যায়, কারন তাঁদের অন্তরে রাকির প্রতি মোহ তৈরী হয়েছে যা ঐ রাকির সাথে সাক্ষাৎ করা ছাড়া যাবে না।

আর এসব ভিডিও দেখে যারা রুকইয়াহ করতে আসে, তাঁরা কি রুকইয়াহ শারইয়াহর শর্তগুলো জেনে বুঝে রুকইয়াহ করতে আসে নাকি রাকিকে বিশেষ ক্ষমতাধর মনে করে আসে। অবশ্যই তাঁরা ভিডিও দেখে ইতোমধ্যে রাকির প্রতি মুগ্ধ হয়েই এসেছে এবং রাকির উপর এমন আস্থা তৈরী হয়েছে যে রাকি আমার শরীরের সমস্যাগুলো দূর করে দিতে পারবে। ফলে রুকইয়াহ জায়েজ হওয়ার প্রথম শর্ত যে- আল্লাহই যা করার করবে রাকি শুধু প্রচেষ্টাকারী বা আল্লাহর কালাম আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কাজ করে না সেই শর্ত নষ্ট হয়ে যায়।

২।

এসব ভিডিও করে ভাইরাল হওয়া রাকিদের বিরুদ্ধে জনগণের অভিযোগ বেশি থাকে এবং এখানে এদের জন্য ও আরো কিছু দেশে একই টাইপের রাকির জন্য রুকইয়াহ ফিল্ডটাই ক্ষতির স্বীকার হয় বা হচ্ছে, কারন কি? কারন এটাই যে জনগণ তাঁদের বিশেষ কিছু মনে করেই গিয়েছিলো। যাওয়ার পর দেখে সেখানে আরো অনেক বিপরীত বিষয় আছে যা তাঁরা ভিডিওতে দেখায় না। ফলে অন্তরে রোগ ভরা এমন মুসলিমরা পুরো রুকইয়াহ সেক্টরকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। কারন এই রাকিগুলো শুধু জিন হাজিরের মূহুর্ত দেখিয়ে জনগণকে একটি ভূল তথ্য দেয় যে এভাবে তিলাওয়াত করলেই শরীরে থাকা জিন হাজির হয়ে যায় বা চলে যায় (সেটা তাঁরা মুখে না বললেও জনগণ এমন মেসেজই নিচ্ছে)। অথচ এমন অগণিত রোগী আছে যাদেরকে কেয়ামত পর্যন্ত রুকইয়াহ করলেও জিন হাজির হবে না।

আর জিন হাজির হলেই কি রোগী সুস্থ হয়ে যায়? কিংবা রুকইয়াহর উদ্দেশ্য কি জিন হাজির করা!? এসব কি ধরনের কাজ যার উদ্দেশ্য বা মাকসাদ আজও কেউ স্পষ্ট করতে পারলো না। বলবে কুরআনের মুজিজা দেখানো, আরে ভাই এটা তো মানুষ কুরআনের মুজিজা হিসেবে নিচ্ছে না, কারন যদি তাঁরা কুরআনের মুজিজাও মনে করতো তাহলে রাকির থেকে সাপোর্টে সুস্থ না হয়ে রাকির প্রতি অভিযোগ না করে নিজের প্রতি অভিযোগ করতো যে আমার কুরআনের সাথে সম্পর্ক ভালো না, তাই সুস্থতা বিলম্বিত হচ্ছে বা কুরআন বলছে আমার ব্যক্তিগত এই এই বিষয় ঠিক করতে হবে, না হলে আমি জালিম। আর এটা জালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।

আর যারা রুকইয়াহ বিষয়ক জ্ঞান অর্জন ও তাঁর প্রায়োগিক শিক্ষার মাধ্যমে প্রচার করে তাঁদের আশেপাশে এমন অস্থির বা রাকিমুগ্ধ টাইপের রোগীও দেখা যায় না বা তাঁদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রোগীরা দাঁড় করায় না যে রুকইয়াহ ফিল্ডকেই অপদস্ত করে ছাড়ে।

এজন্য এই দ্বীন আমাদের শেখায় আল্লাহমুখী হতে, এবং শেখায় দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করে যেতে। নিজের নামকে প্রতিষ্ঠা করতে দ্বীন শেখায় না, (তবে আল্লাহ কারো প্রতি দয়া করে মানুষের অন্তরে তার বিষয়ে আকর্ষণ সৃষ্টি করলে সেটা আল্লাহর অনুগ্রহ মাত্র)।

লিখেছেন – Farhad Hussain,

09/10/2025

একটা অতি চমৎকার দুআ শেখাব। তবে তার আগে একটু ভূমিকা টানি এই দুআর। ভূমিকাটার দরকার খুব একটা নেই। তবুও বলা আর কি...

আমার মায়ের ইন্সমনিয়া আছে। যাকে বলে অনিদ্রা রোগ। দীর্ঘ বছর যাবত ঘুম হয় না। সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। কতশত চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। ডাক্তার-কবিরাজ সব দেখানো শেষ। শেষমেশ সারা শরীর ও মাথায় যন্ত্রপাতি বসিয়ে স্লিপ টেস্ট করে জানা গেলো আম্মু ঘুমানোর সময় তার ব্রেইনের কিছু নার্ভ জেগে থাকে। ফলে ঘুমালেও সেই ঘুম তিনি অনুভব করেন না। এমন ঘুম আসলে না ঘুমানোর মতই।

জিনগতভাবে এই রোগের কিছুটা আমিও পেয়েছি। ঘুম হয় না। এমনও হয় যে আমি টানা জার্নি করে এসে শুইলাম কিন্তু ঘুম কিছুতেই আসছে না। নার্ভ এক্টিভ থাকে। নানা পরিকল্পনা অথবা কোনো শিডিউল মাথায় ঘুরতে থাকে। অথবা কোনোকিছু জানা বা পড়া দরকার। ডিস্টার্বিং এলেমেন্টস ঘুমাতে দিচ্ছেই না। আবার ঘুমালেও ঘুমের ব্যাপারটা আয়োজন করে করতে হয়। সারা ঘর অন্ধকার করে শীতল করে গায়ে পাতলা কাঁথা টেনে পিনড্রপ সাইলেন্টে ঘুমুতে হয়। অনেক দূরের ইট ভাঙার শব্দও কানে এলে গভীর ঘুম ভেঙে যায়। এমনিতেও ঘুম যে আসে না তা না। কিন্তু সেই ঘুম হয় আধখ্যাচড়া। কিছুটা অভ্যাসজনিত কারণও আছে। বায়োলজিক্যাল ক্লক সেট হয়ে আছে এভাবেই।

তো এই লম্বা কেচ্ছা বিশেষ জরুরী না। এই যে অনিদ্রা রোগ এটা শুধু আমাদের না। সাহাবাদেরও ছিলো। তারাও তো মানুষ ছিলেন। মানসিক চাপ বা অন্যান্য কারণে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হতো। তাদের সমস্ত সমস্যার একমাত্র সমাধান ছিলো নবী আলাইহিস সালামকে খুলে বলা। আল্লাহর নবীও তাদেরকে কোনোকিছুরই সমাধান না দিয়ে ফেরাতেন না। ঠিক তেমনি ঘুমের সমস্যা নিয়ে যায়েদ ইবনে সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু গেলেন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে। বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাতে অনেক চেষ্টা করি। ঘুম আসে না। বিছানায় শুধু গড়াগড়ি করি। কী করতে পারি?

রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রিয় সাহাবীর সমস্যা শুনে কি চমৎকার একটা দুআ শেখালেন দেখুন! বললেন: যায়েদ! বলো...

اَللّٰهُمَّ غَارَتِ النُّجُوْمُ، وَهَدَأَتِ الْعُيُوْنُ، وَأَنْتَ حَيٌّ قَيُّوْمٌ، لاَ تَأْخُذُكَ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ أَهْدِئْ لَيْلِيْ، وَأَنِمْ عَيْنِيْ

আল্লা-হুম্মা গা-রাতিন নুজুম, ওয়া হাদাআতিল উ’য়ুন, ওয়া আনতা ‘হাইয়ুন ক্বাইয়ুম, লা তাঅ্খুযুকা সিনাতুউ ওয়ালা নাওম, ইয়া ‘হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ুম, আহদিঅ্ লাইলী ওয়া আনিম ‘আইনি।

হে আল্লাহ! তারকারাজি নিভে গেছে। (মানুষের) চোখগুলো (ঘুমে) শান্ত হয়ে গেছে। আর আপনি তো চিরঞ্জীব-চিরস্থায়ী—তন্দ্রা ও নিদ্রা যাকে স্পর্শ করতে পারে না। হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আমার রাতকে শান্তিময় করুন এবং আমার চোখে ঘুম দিন।

[ইবনে হিব্বান, তাবারানী]

এরপর থেকে যায়েদ ইবনে সাবিত আর কখনোই ইন্সমনিয়ায় আক্রান্তই হননি। সীরাতে আসলে নাই কী! ঘুম না এলে কী করতে হবে তাও নবী আলাইহিস সালাম শিখিয়ে দিচ্ছেন। ভাবা যায়!
©

08/10/2025

বান্দা যদি সূরাহ ফাতিহা দ্বারা ভালোভাবে চিকিৎসা করে, তাহলে আরোগ্য লাভে সে সেটার আশ্চর্যজনক প্রভাব দেখতে পাবে।
___
ইমাম ইবনু কায়্যিমিল জাওযিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ আদ দাউ ওয়াদ দাওয়া : ১/৮ ]

07/10/2025

স্বপ্নে খাওয়াদাওয়া করার সমস্যা নিয়ে অনেক প্রশ্ন পাই। প্রায় প্রতিটা লাইভে দেখা যায় কেউ না কেউ জিজ্ঞেস করছে, ইনবক্সেও মাঝেমাঝে মেসেজ আসে এটা নিয়ে।
এই বিষয়ে সংক্ষেপে কয়েকটা কথা বলছি, বাকি বিস্তারিত কমেন্টে দেয়া লিংকে পড়ে নিন।
---
১. এমনিতে যদি আপনার জিনজাদুর সমস্যা না থাকে, তাহলে স্বপ্নে কিছু খেতে দেখলেই চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।
২. যদি জিন জাদু সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, আর স্বপ্নে ক্ষেত্রে দেখার পরে অসুস্থতা বাড়ে মনে হয়। তাহলে একটু সাবধান হওয়া উচিত।
রুকইয়াহ এবং হিফাজতের আমল ঠিকমত করা উচিত। দিনে ঘুমালে দিনেও কিছু আমল করা উচিত। কমেন্টের লিংকে পাবেন বিস্তারিত।
৩. তবে ভাই, এটা নিয়ে বেশি আপসেট হওয়া উচিত না। অতিরিক্ত চিন্তা করলে হয়তো শয়তান স্বপ্ন না দেখাইলেও আপনি দেখবেন, কারণ মানুষ যেটা নিয়ে বেশি চিন্তা করে সেটা স্বপ্ন দেখে। নুসুস ও সালাফদের কওল থেকে যেসব স্বপ্নের কথা পাওয়া যায়, তার মাঝে নিজের ভাবনা থেকে তৈরি স্বপ্নও একটা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিফাজত করুক। আমিন।

27/09/2025

যাদুর পেশেন্ট'রা যাদুর আসবাব যেখানে আছে বা যাদুর স্থানের কাছাকাছি যতবেশি থাকবেন ততবেশি কষ্ট অনুভব করবেন এবং সমস্যা ফেইস করবেন।

যেমন : অনেক পেশেন্ট নিজের রুমে, নিজের বাসায় থাকলে কষ্ট বেশি হয়। কিন্তুু বাসার বাইরে থাকলে সুস্থবোধ করেন। তাই জাদুর জিনিস খোঁজার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।

25/09/2025

আমাদের সেন্টারের একজন রাকি আজকে সৈয়দপুর,নীলফামারী এবং কালকে রংপুরে অবস্থান করবে। ইনশাআল্লাহ। কারো ইমার্জেন্সি রুকইয়াহ হোম সার্ভিস + সেন্টার সার্ভিস দরকার পড়লে ইনবক্সে নক দিতে পারেন৷

21/09/2025

বরই পাতার গোসল যা জাদু নস্টের ক্ষেত্রে অন্তত কার্যকর। অনেকেই লেখা পড়ে বুঝেন না কিভাবে বরই পাতার গোসল করবেন। তাদের জন্য সহজ করে দেয়া হয়েছে ভিডিওতে।
আপনারা তিনকুল কুরসির সাথে সিহরের আয়াত(আরাফ ১১৭-১২২, ত্বহা ৬৯, ইউনুস ৮১-৮২) আয়াত গুলোও পড়ে নিবেন ১/৩ বার করে। আর গোসল বাথ রুমে করতে সমস্যা নাই। এখানে বরই পাতার অবশিষ্ট পানি বাথরুমে ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে।

20/09/2025

সামনে দুর্গাপূজা শয়তানদের খুশির দিন আসছে। জ্বিন জাদুর রোগি যারা আছেন আগে থেকেই নিরাপত্তা বাড়িয়ে নিন। প্রতিরক্ষার দোয়া গুলো ঠিকভাবে পালন করুন। সমস্যা বেশি হলে৷ রুকইয়াহ ডিটক্স করুন। না পারলে অন্তত ১৫/৩০ দিনের টার্গেট নিয়ে সুরা বাকারাটা একবার শেষ করুন। আর পুজার দিনগুলোতে বাইরে বের হবেন না যথা সম্ভব। ঢোল,বাদ্যযন্ত্রের শব্দ অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।

Address

Northern Mor, Adorsho School Theke (vodrar Dike Jete) 100m Uttore Bus Garage Er Pechone
Rajshahi
6000

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Telephone

+8801326040006

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tashfiya - Center for Ruqyah Shariyah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram