Dr. Md. Abdul Wahed

Dr. Md. Abdul Wahed Contact Mob: 88o1913375820 8801774582320

12/05/2025
ডিসমেনোরিয়া ও পেমফিগাসএক নারীর নারীত্বের অস্বীকৃতি থেকে আত্মধ্বংসের দিকে যাত্রা, এবং হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে পুনর্জন্মএক ১৯...
12/05/2025

ডিসমেনোরিয়া ও পেমফিগাস
এক নারীর নারীত্বের অস্বীকৃতি থেকে আত্মধ্বংসের দিকে যাত্রা, এবং হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে পুনর্জন্ম

এক ১৯ বছরের কিশোরী এসেছিল আমার চেম্বারে, যার মুখে-পিঠে ও দেহজুড়ে ছিল যন্ত্রণাদায়ক পেমফিগাসের ফোসকা। মুখগহ্বর ও ওরোফ্যারিংক্স পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিল এ রোগ। পাশাপাশি সে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিল তীব্র ডিসমেনোরিয়ায়। প্রতি মাসে মাসিকের সময় এতটাই প্রচণ্ড ব্যথা হতো যে, তাকে বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হতো এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যথানাশক দিতে হতো, কারণ ট্যাবলেট সে সহ্য করতো না। টানা তিনটি সাইকেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। চতুর্থ মাসে ধীরে ধীরে তার পেমফিগাস শুরু হয়। এই পেমফিগাস চলেছিল প্রায় ৪-৫ বছর ধরে।
চেম্বারে প্রথমবার সে যখন ঢোকে, আমি লক্ষ করলাম সে পরে এসেছে জিন্স আর ফর্মাল বোতাম দেওয়া শার্ট। ডান হাতে পরে ছিল একটি মোটা 'কড়া' (সাধারণত পুরুষরা পরে) এবং অপর হাতে একটি বড়ো, পুরুষালি ডিজাইনের ওয়াচ। তার এই বেশভূষা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল Ammonium carb টাইপ রোগীদের, কিন্তু পরে দেখা গেল এটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের এক মানসিক গঠনের অভিব্যক্তি।
রোগীর মুখে নিজের কথা: “ডাক্তার, আমার মুখের ভেতর ভরে গেছে ঘায়ে। কিছুই খেতে পারছি না, এসিডের মতো পোড়ে। পানি খেতেও পারি না- খালি যন্ত্রণা।"
আমি জিজ্ঞাসা করলাম- "এই সব শুরু হলো কবে থেকে?"
সে বলল- "নবম শ্রেণির পর থেকে।"
আরও জানতে চাইলে সে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, "সেই সময়টা আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে সময় ছিল। আমার জীবন তো কত সুন্দর ছিল!" "কিন্তু যখন প্রথম আমার মাসিক শুরু হলো, আমি ভেঙে পড়ি। আমি তো ছিলাম ফ্রি বার্ড! আমার পাড়া-প্রতিবেশে আমি ছিলাম টমবয়। ছেলেদের সঙ্গেই খেলতাম, ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি- আমি একজন স্পোর্টি মেয়ে ছিলাম। মেয়েদের একদম ভালো লাগতো না। কেন জানি না!"
"মেয়েরা সারাদিন শুধু মেকআপ আর গসিপ নিয়েই পড়ে থাকে। আমি এইসব একেবারে সহ্য করতে পারি না। আমার মামারা, বাবা- ওদের সঙ্গে খুব খোলামেলা সম্পর্ক। কিন্তু আমার মায়ের সঙ্গে কখনোই খোলামেলা কিছু বলতে পারি না। কারণ, কিছু বললেই মা কাঁদতে শুরু করে। আমি এই মেয়েলি আবেগ সহ্য করতে পারি না!"
তার কণ্ঠে ঘৃণা, বিরক্তি, অপছন্দ-সবকিছুই স্পষ্ট ছিল।
সে বলল- "মাসিক শুরুর পর থেকে আমার মা বলতে লাগল- ‘তুমি এখন বড়ো মেয়ে, ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করা চলবে না’। আমি তো ভাবলাম, কেন? কী দোষ করেছি আমি?? আমার জীবনটা একদম শেষ হয়ে গেল এই ‘মাসিক’ শুরু হবার পর থেকে!"
প্রতীক ও বিশ্লেষণ
এই কিশোরীর ভেতরে এক অদ্ভুত ঘৃণা জন্ম নিয়েছে নিজের নারীত্বের প্রতি, নিজের শরীরের প্রতি, নিজের অস্তিত্বের প্রতি। সে চায় ছেলে হতে, কারণ ছেলেদের কোনো সামাজিক বাধা নেই, ছেলেরা জীবন উপভোগ করে, আর মেয়েরা শুধু গসিপ, আবেগ আর সাজসজ্জা নিয়ে পড়ে থাকে।
এই প্রবল মানসিক সংঘাত তার শরীরেও ছাপ ফেলেছে - প্রতি মাসের ডিসমেনোরিয়া, যা সে মনে করে তার জীবন নষ্ট করেছে। এবং ধীরে ধীরে শরীর নিজেকেই আক্রমণ করছে - অটোইমিউন ডিজিজ - পেমফিগাস।
এই কেসে আমরা দেখি, নিজের নারীত্বের প্রতি ঘৃণা কিভাবে ধ্বংসাত্মক রূপ নেয় - একপ্রকার আত্মধ্বংসের অনবদ্য রূপ।
রেমেডি: Raphanus
এই কেসটি ছিল এক অসাধারণ উদাহরণ যেখানে Raphanus তার প্রকৃত কার্যকারিতা দেখিয়েছে। কারণ এখানে রোগী কেবল ছেলেদের মতো আচরণ করতে চায়নি (যেমনটা দেখা যায় Ammonium carb-এ), বরং সে ছেলেদের সঙ্গ উপভোগ করে, তাদের জীবনযাপন পছন্দ করে, নারীত্বকে ঘৃণা করে।
তার রয়েছে:
নিজের লিঙ্গের প্রতি বিতৃষ্ণা
মেয়েদের প্রতি ঘৃণা
ছেলেদের মতো স্বাধীনতা ও আনন্দের প্রতি আকর্ষণ
নারীত্বকে দুর্বলতা মনে করা
নিজের নারীত্বকে অস্বীকার করা
এগুলি সবই Raphanus-এর গভীর মানসিক রুব্রিকের সঙ্গে মিলে যায়।
ফলো-আপ: নারীত্বের পুনর্জাগরণ।
একদিন সে চেম্বারে এসে প্রথমেই বলল: "ডাক্তার! দেখুন, আমি আজ পাঞ্জাবি ড্রেস পরে এসেছি! আমি সেই বড়ো ঘড়িটা খুলে দিয়েছি, এখন দেখুন এই মেয়েলি ঘড়ি! এই দেখুন আমার দুল - কত সুন্দর, আগে পরতামই না!"
আমি লক্ষ করলাম - তার ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক, মুখে উজ্জ্বলতা, চোখে কোমলতা, আচরণে শোভা ও স্নিগ্ধতা।
সে যেন এক নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
তার নারীত্ব ফিরে এসেছে। এই পরিবর্তন শুধু বাহ্যিক নয় - এটি ছিল এক আত্মিক রূপান্তর। সে আর নিজের লিঙ্গকে ঘৃণা করে না - বরং নিজের নারীসত্তাকে আপন করে নিয়েছে।
উপসংহার
এই কেসটি বহু সেমিনার ও শিক্ষামূলক সেশনে আমি উপস্থাপন করেছি। আমি এই কেসটি আমার বইয়ে সংযোজন করেছি কারণ আমি সকল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, অভিভাবক ও সমাজকে সচেতন করতে চাই - মাসিকের সময় বা 'মেনার্ক' হল একজন মেয়ের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের সময়। এই সময় তার দৃষ্টিভঙ্গি, মানসিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা তার ভবিষ্যতের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ভিত্তি তৈরি করে।
একজন মেয়ে যদি তার নিজস্ব নারীসত্তাকে গ্রহণ না করতে পারে, সেটি ধীরে ধীরে দেহ, মনের গভীরে আত্মধ্বংসাত্মক শক্তি তৈরি করতে পারে।
আর সেই আত্মধ্বংসের অন্ধকার থেকে তাকে ফেরাতে পারে একমাত্র হোমিওপ্যাথির পূর্ণাঙ্গ, গভীর ও সম্মানজনক চিকিৎসা।
From: Third Eye Prescription

Dr. Md. Abdul Wahed
H M Homoeo Hall
RC Tower, Uposhahor, Bogura
Mob: 01913375820

14/12/2024

প্রবন্ধ: ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ স্যার – একজন আলোকিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও সমাজ সেবক।

বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ স্যার ছিলেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল এসোসিয়েশন বগুড়ার সম্মানিত উপদেষ্টা। তিনি একজন বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজ সেবক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। তাঁর মত একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মানুষ আমাদের মাঝ থেকে চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে একটি অপূরণীয় ক্ষতি।
ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ স্যার ২০২৪ সালের ১৩ই ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১২:৪৩ টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) । তিনি বগুড়া জেলার গাবতলি থানার অন্তর্গত দূর্গাহাটায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর শৈশব থেকেই মানবসেবার প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে তিনি ছিলেন একজন পন্ডিত এবং এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।

ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ স্যার তাঁর পেশাগত জীবনে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে শুধু রোগ নিরাময়ের মাধ্যম হিসেবেই দেখেননি, তিনি এটিকে মানুষের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর অসামান্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য রোগীকে আরোগ্য দান করেছেন। তিনি ছিলেন একজন সুনিপুণ শিক্ষক, যিনি ছাত্রছাত্রীদের সঠিক পথে পরিচালিত করতেন এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরতেন।
বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বগুড়াসহ দেশের অন্যান্য জেলাতেও অসংখ্য দক্ষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক তৈরি করেছেন। তাঁর আদর্শ, অধ্যবসায়, এবং কর্মপ্রচেষ্টার ফলেই আজ এই কলেজ দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।

ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ স্যার একজন অনুপ্রেরণাদায়ক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং সমাজ সেবক ছিলেন। মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো, দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবা প্রদান, এবং সমাজে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি শুধুমাত্র একজন চিকিৎসক ছিলেন না, বরং একজন অবিভাবক ছিলেন, যিনি মানুষকে জীবনের সঠিক পথে এগিয়ে চলার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ স্যার এর মৃত্যুতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সমাজ একজন সত্যিকারের অভিভাবককে হারিয়েছে। তাঁর অভাব কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অটুট থাকবে। আমরা মহান রবের দরবারে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের প্রিয় স্যারকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন এবং তাঁর পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দেন।

ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ স্যার এর জীবন আমাদের সকলের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর আদর্শ ও কর্ম আমাদের চলার পথে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে। তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে এই প্রবন্ধের ইতি টানি। মহান রবের দরবারে প্রার্থনা আমাদের প্রিয় স্যারকে জান্নাতের সু-উচ্চ মোকাম জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য্য ধারণ করার শক্তি দিন। আমিন।

ডাঃ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক,
সাবেক প্রভাষক, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাস্পাতাল
চেম্বার: এইচ এম হোমিও হল, আর সি টাওয়ার, উপশহর, বগুড়া।
মোবাইল: ০১৯১৩-৩৭৫৮২০, ০১৭৭৪-৫৮২৩২০।

14/12/2024

কবিতা: ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ – এক আলোকিত জীবন

তুমি ছিলে পথের আলো, নিভৃতচারী দীপ,
মানবতার বন্ধনে ছিলে তুমি অতি স্নিগ্ধ।
রোগের অন্ধকারে তুমি ছিলে আশ্রয়,
সবার হৃদয়ে রেখেছো তুমি অমর পরিচয়।

হোমিওপ্যাথির জগতে তুমি ছিলে দিশারী,
তোমার জ্ঞান ছড়িয়েছে আকাশের তারি।
বগুড়ার মাটিতে গড়েছিলে তুমি প্রাসাদ,
শিক্ষা ও সেবার পথে রেখে গেলে সার্থক ইতিহাস।

দূর্গাহাটার মাটিতে জন্মেছিলে তুমি,
মানবতার সেবায় উৎসর্গিত হলে জীবনী।
তোমার মৃত্যুতে ঝরছে চোখের অশ্রু,
তবুও থাকবে স্মৃতি—চিরদিন অক্ষয়।

মহান রবের কাছে করি এই প্রার্থনা,
তোমার জন্য খুলুক জান্নাতের দিগন্তের জানালা।
তোমার আদর্শের আলোতে চলবে প্রজন্ম,
তোমার দানে গড়বে আগামীর ক্ষেত্র।

স্যার, তুমি ছিলে আমাদের অভিভাবক,
তোমার শূন্যতায় নীরব হয়েছে সব।
তবুও আমরা স্মরণে রাখবো তোমাকে,
তোমার আলো জ্বালবে আমাদের হৃদয়ধ্বনিতে।

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিবেদন করি,
তোমার জীবন—একটি পূণ্যতীর্থের সৃষ্টি।
ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ, চির শান্তিতে থাকো,
আমাদের হৃদয়ে চিরদিন জ্বলবে তোমার আলো।

ডাঃ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক,
সাবেক প্রভাষক, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাস্পাতাল
চেম্বার: এইচ এম হোমিও হল, আর সি টাওয়ার, উপশহর, বগুড়া।
মোবাইল: ০১৯১৩-৩৭৫৮২০, ০১৭৭৪-৫৮২৩২০।

09/12/2024

ডাঃ নুরুল ইসলাম: এক খ্যাতিমান হোমিওপ্যাথিক সেবক

ডাঃ নুরুল ইসলাম—একটি নাম, একটি প্রেরণা, একটি অবিস্মরণীয় অধ্যায়। গাইবান্ধা জেলার মাটিতে জন্ম নেয়া এই মানুষটি সারাজীবন নিজেকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করেছিলেন। “৫ পাই এর ডাক্তার” নামে খ্যাত ডাঃ নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন দক্ষ ও খ্যাতিমান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, যাঁর জীবন ছিল সাধারণ মানুষের জন্য নিবেদিত।
গাইবান্ধা জেলার পবিত্র মাটি তাঁকে জন্ম দিয়েছিল। শৈশব থেকেই তিনি মানুষের সেবায় অনুপ্রাণিত ছিলেন। দারিদ্র্যের কঠিন বাস্তবতাকে জয় করে তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন।
প্রায় ষাট বছর ধরে তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে গেছেন। ধনী-গরিব নির্বিশেষে, সব শ্রেণির মানুষের জন্য তাঁর চেম্বারের দরজা ছিল সবসময় খোলা। নামমাত্র ৫ পাই পারিশ্রমিকে তিনি রোগ নির্ণয় করতেন এবং সেবা দিতেন। এই নামমাত্র ফি-ই তাঁকে “৫ পাই এর ডাক্তার” হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত করেছিল।
ডাঃ নুরুল ইসলাম ছিলেন এক অনন্য মানবদরদি। তাঁর চিকিৎসা শুধু পেশা ছিল না, ছিল এক মহৎ ধর্ম। মানুষের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা এবং নিঃস্বার্থ সেবা তাঁকে জনগণের হৃদয়ে অমর করে তুলেছে। গরিব-অসহায় রোগীদের চিকিৎসা করাই ছিল তাঁর জীবনের প্রধান ব্রত।
মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে এই মহান ব্যক্তিত্ব পরলোক গমন করেছেন। কিন্তু তাঁর কর্ম এবং আদর্শ আজও জীবিত। গাইবান্ধা তথা সারা দেশের মানুষের হৃদয়ে তিনি চির অম্লান হয়ে আছেন।
ডাঃ নুরুল ইসলাম ছিলেন এমন একজন মানুষ, যাঁর জীবন অন্যদের জন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে আমরা মানবতার সেবা এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসার শিক্ষা নিতে পারি। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন এই মহৎ ব্যক্তিরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। তাঁর দেখানো পথ আমাদের জীবনকে আরও মানবিক করে তুলুক।

ডাঃ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক,
সাবেক প্রভাষক, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাস্পাতাল
চেম্বার: এইচ এম হোমিও হল, আর সি টাওয়ার, উপশহর, বগুড়া।
মোবাইল: ০১৯১৩-৩৭৫৮২০, ০১৭৭৪-৫৮২৩২০

08/12/2024

বর্তমান ভারত-বাংলাদেশ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয়-

বর্তমান ভারত-বাংলাদেশ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় হতে পারে, যা মানবিকতা, পেশাদারিত্ব এবং জাতীয় দায়িত্ববোধকে সবার আগে রাখবে। নিচে এসব করণীয় তুলে ধরা হলো:
১. রোগীদের সাথে আন্তরিক যোগাযোগ
• রোগীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো এবং তাদের সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনা।
• স্বাস্থ্য সমস্যার যথাযথ কারণ ও সম্ভাব্য সমাধান সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা।
• প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে স্বচ্ছতা রাখা।
২. চিকিৎসার মানোন্নয়ন
• নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করা।
• আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করা।
• সঠিক ও সময়মতো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা দেওয়া।
৩. সুলভ চিকিৎসাসেবা প্রদান
• অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী বা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
• প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা।
৪. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চিকিৎসা মান বজায় রাখা
• বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।
• প্রতিবেশী দেশের সাথে চিকিৎসা ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা।
৫. বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তোলা
• অপচিকিৎসা ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি পরিহার করা।
• রোগীদের গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং তাদের প্রতি সম্মান দেখানো।
• চিকিৎসা ক্ষেত্রে সেবার মান বজায় রেখে সুনাম অর্জন করা।
৬. কমিউনিটি হেলথ ক্যাম্প
• প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা শিবির আয়োজন করা।
• সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজন করা।
৭. গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার
• নিজের কাজের সফলতা ও উদ্যোগগুলো গণমাধ্যমে প্রচার করা।
• সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোগীদের স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য পরামর্শ দেওয়া।
৮. মানবিক উদ্যোগ
• জরুরি পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা দেওয়া।
• সামাজিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
বাংলাদেশের চিকিৎসকদের এই উদ্যোগগুলো সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এবং একইসঙ্গে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নেও সহায়তা করবে।
ডাঃ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক,
সাবেক প্রভাষক, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাস্পাতাল
চেম্বার: এইচ এম হোমিও হল, আর সি টাওয়ার, উপশহর, বগুড়া।
মোবাইল: ০১৯১৩-৩৭৫৮২০, ০১৭৭৪-৫৮২৩২০

05/12/2024

মানব সেবার পথিক

আমি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, জীবন আমার ধ্যান,
মানব সেবার পবিত্র মন্ত্রে জুড়াই রোগীর প্রাণ।
চেম্বারের প্রতিটি কোণে জাগে আশার আলো,
দুঃখ-কষ্ট ভাঙতে এসে রোগী খুঁজে ভালো।
তাদের ব্যথা, তাদের চোখে হাজার প্রশ্ন লুকায়,
স্নেহের স্পর্শ, কথা দিয়ে ব্যথার জাল ভাঙায়।
বিষাদময় জীবনের পথে দিই আমি আশ্বাস,
সুস্থতার গান শুনিয়ে, করি অন্তর উদাস।
সকাল থেকে রাতের শেষে সময়টা কেটে যায়,
রোগীর মুখের হাসি দেখে ক্লান্তি মুছে যায়।
এই জীবন, এই কর্মই আমার বড় পরিচয়,
মানব সেবার এপথ ধরেই খুঁজে পাই আনন্দময়।
ঔষধ নয়, সেবার টানে বেঁধেছি জীবনের গান,
মানবতাই আমার ধর্ম, এটাই চির সনদান।
আমি ডাক্তার, রোগের সাথে লড়াই আমার ব্রত,
মানব সেবায় নিবেদন করি আমার সকল যত।

ডাঃ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক,
সাবেক প্রভাষক, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাস্পাতাল
চেম্বার: এইচ এম হোমিও হল, আর সি টাওয়ার, উপশহর, বগুড়া।
মোবাইল: ০১৯১৩-৩৭৫৮২০, ০১৭৭৪-৫৮২৩২০

Address

H M Homoeo Hall, R C Tower, Uposhohor, Bogura
Rajshahi
5800

Telephone

+8801913375820

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Abdul Wahed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Md. Abdul Wahed:

Share

Category