Hijama Therapy Rajshahi

Hijama Therapy Rajshahi Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Hijama Therapy Rajshahi, Sagorpara, Rajshahi.

✨ Enhancing Your Natural Beauty ✨
Discover expert skincare tips, premium beauty products, and self-care essentials – all tailored to make you feel confident and radiant every day. 💄💆‍♀️
📦 Nationwide Delivery | 💬 DM for Orders & Inquiries

কাজী নজরুল ইসলাম যখন বেঁচে ছিলেন, তখন বেচারার সমস্যা ছিল এই যে মোল্লারা তাঁকে ডাকতেন কাফের, এবং হিন্দুরা বলতো যবন। যেহেত...
06/09/2025

কাজী নজরুল ইসলাম যখন বেঁচে ছিলেন, তখন বেচারার সমস্যা ছিল এই যে মোল্লারা তাঁকে ডাকতেন কাফের, এবং হিন্দুরা বলতো যবন। যেহেতু তিনি বিলেত ফেরত ছিলেন না, তাই বিদ্বানরা তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার দৌড় নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো।

পুরুষেরা গালি দিত, তিনি নাকি প্রচন্ড নারীঘেঁষা, এবং নারীরা তাঁকে জ্ঞান করতো নারী বিদ্বেষী হিসেবে।
তাঁর কবিতায় উর্দু ফার্সি শব্দের ছড়াছড়ি ছিল, ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি, তাই পন্ডিতরা তাঁকে নিয়ে করতেন সমালোচনা, "শনিবারের চিঠিতে" চলতো হাসাহাসি।
শুধু এই না, ইংরেজরা যে তাঁকে জেলে ভরে দিত, সেটাতো আমরা সবাই জানি, কিন্তু যারা স্বরাজ আন্দোলন করতেন, তাঁরাও যে ধরে নিতেন কবি কাজী একজন পাজি, যে স্বরাজেতে নিমরাজি, এইটা কয়জন জানেন?

মোট কথা, তখনকার যুগে, সেই সমাজে যত রকমের উপগোত্র ছিল, সবাই ছিল এই কবির উপর খ্যাপা। সবাই তাঁর দোষ ধরতেন, গালাগালি করে দূরে ঠেলে দিতেন।

তারপরে তিনি হলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি। জীবিতাবস্থায় যে সম্মান আর ভালবাসা তাঁর প্রাপ্য ছিল, বোধশক্তি হারানো ও দৈহিক মৃত্যুর পরে সেটা পেলেন।

তবে সমস্যা এখনও দূর হয়নি। দৃশ্য উল্টে গেছে, তবু লেন্সের ফোকাস জুম আউট করলে বুঝা যায়, মূল চিত্র পাল্টে যায়নি।

সে যুগে নাস্তিকরা তাঁকে আস্তিক বলে গালাগাল করলেও বর্তমান নাস্তিকরা দাবি করে নজরুল ছিলেন ধর্মবিদ্বেষী। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, যে লোক জিন্দেগীতে নজরুলের একটি কবিতাও পড়েনি, সে তাঁরই কবিতার এক দুইলাইন কোট করে বলে, এই যে দেখুন, নজরুল এই যুগে জন্মালে কোপ খেতেন।
উদাহরণ,
"বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখনও বসে
বিবি-তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি ফেকা ও হাদিস চষে!"
কিংবা,
"মূর্খরা সব শোনো,
মানুষ এনেছে গ্রন্থ; গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো।"
প্রথম উক্তিটি কবির "খালেদ" কবিতা থেকে নেয়া। "খালেদ" মানে আমাদের মুসলিমদের অতি প্রিয় খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ), সাহাবী, ইসলামের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বসেরা জেনারেল, বিশ্ব বিজয়ী বীর। যাকে নবী (সঃ) ভালবেসে নাম দিয়েছিলেন "আল্লাহর তরবারি।" এই কবিতাটি সেই মহাবীরের প্রতি একজন "সিপাহী" কবির শ্রদ্ধার্ঘ্য। পুরো কবিতা পড়লে যে লোক দাবি করছিল/করে/করবে যে নজরুল ধর্মবিদ্বেষী কিংবা নাস্তিক, সেই একই লোক বলবে, "এই কবিতো জঙ্গি! জিহাদের ডাক দেয়! তরবারি হাতে শহীদ হতে চায়!"

দ্বিতীয় কবিতাটি কবির "মানুষ" কবিতা থেকে নেয়া। বিশ্ব সাহিত্য রত্নভাণ্ডারে এমন হীরা কোহিনূর দ্বিতীয়টি আছে কিনা কে জানে! সাতদিন ধরে ক্ষুধার্ত এক ভুখারীর আর্তনাদ এই কবিতার চরণে ফুটে উঠেছে। একবার শুধু পড়ে দেখুন। যদি "মানুষ" হয়ে থাকেন, আগামী হাজার বছর পরেও এই কবিতা পাঠককে মানসিকভাবে ভীষণ নাড়া দিবে, আবেগ ছিন্নভিন্ন করে দিবে, চোখের বাঁধে বিস্ফোরণ ঘটাবে। উপরে উল্লেখিত চরণগুলির ঠিক পরের লাইনগুলোই পড়ুন,
"আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মদ
কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবির, —বিশ্বের সম্পদ,
আমাদেরি এঁরা পিতা-পিতামহ, এই আমাদের মাঝে
তাঁদেরি রক্ত কম-বেশী করে প্রতি ধমনীতে বাজে।
আমরা তাদেরি সন্তান, জ্ঞাতি, তাঁদেরি মতন দেহ।
কে জানে কখন মোরাও অমনি হয়ে যেতে পারি কেহ
হেসো না বন্ধু! আমার আমি সে কত অতল অসীম,
আমিই কি জানি কে জানে কে আছে
আমাতে মহামহিম।"

এরপর শুধু পড়তে থাকুন, এবং অবাক হয়ে ভাববেন এ কি লিখে গেলেন কবি! আমরা কেন কখনও এইভাবে ভেবে দেখিনা! কবিতাটিতে নবীজির এক বিখ্যাত হাদিসের উল্লেখ আছে, কবি বলছেন, "তবু জগতের যত পবিত্র গ্রন্থ ভজনালয়/ঐ একখানি ক্ষুদ্র দেহের সম পবিত্র নয়!" এটুকু পড়ে আস্তিক লোকে গালাগালি করতে পারে শুনে। বলে কি ব্যাটা! দুনিয়ার সব মন্দির মসজিদ গির্জা নাকি একটি মানুষের ক্ষুদ্র দেহের সমান নয়!

কিন্তু সুনান ইবনে মাজায় বর্ণিত হাদিস বলে, এই যে মহাপবিত্র কাবা ঘর, যার সমকক্ষ পবিত্র আর কিছুই নয় মুসলিমদের কাছে, সেটিও মানুষের প্রাণের তুলনায়, জান মালের তুলনায় সমকক্ষ নয়। মূল ভাব হলো, একটি মানুষকে অকারনে হত্যা করা, তাঁর জানমালের ক্ষতি করা, তাঁকে কষ্ট দেয়া, তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো, কাবা ঘরে হামলার চাইতেও গর্হিত কাজ।
মূর্খেরা তর্ক করতে পারে, নবীজি বলেছেন "মুমিনের প্রাণ/জান/মাল" আপনি বা নজরুল কেন বললেন, "মানুষ"?

তা এই মূর্খ কি এই তর্ক করার আগে এই প্রশ্নের উত্তর দিবে, কে মুমিন, কে মুনাফেক ইত্যাদি বিচারের দায়িত্ব কি আল্লাহ একে দিয়েছেন? সে কি মানুষের অন্তরে কি আছে জেনে বুঝে ফেলেছে?

যদি আমরা এই সহজ সত্যটাই বুঝতাম!
এবং তা বুঝিনা বলেই কবিতাটি শুরু হয় দুই ভন্ডের ভণ্ডামি দিয়ে, মন্দিরের পূজারী ও মসজিদের মোল্লা, একজন ক্ষুধার্তকে তাড়িয়ে দিয়ে ভজনালয়ের দরজায় তালা ঝুলিয়ে শিরনি/প্রসাদ নিয়ে বাড়ি চলে যায়। খোদার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষকে লাথি দিয়ে এরাই দাবি করে এরা খোদার আপনজন!

মোট কথা, যারা দাবি করে নজরুল নাস্তিক ছিলেন, ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন, এরা জীবনেও তাঁর লেখা পড়েনি। পড়েনি তাঁর লেখা ইসলামী গজল, গান, কবিতাগুলো। পড়েনি তাঁর "এক আল্লাহ জিন্দাবাদ" "অনাগত" সহ অসংখ্য কবিতা। নজরুল সমস্ত জীবন আরাধনা করে গেছেন "শহীদ" হবার মধ্য দিয়ে পৃথিবী ছাড়তে, এই কথা অস্বীকার করবে কিভাবে? "আমপারা কাব্য" নামে কুরআন শরীফের শেষ অধ্যায়টি যে এই কবি আস্ত তর্জমা করে ফেলেছেন, এবং এজন্য তাঁকে প্রচন্ড পরিশ্রম করে একই সাথে আরবি ও ফার্সি ভাষা শিখতে হয়েছে, তা এরা জানেই না।
এবং এ সূত্র ধরেই একবার এক মোল্লা আমাকে বললেন, "নজরুলের রেফারেন্স নেয়া উচিৎ না। তাঁর ঈমানের ঠিক নাই।"

আমি বলেছিলাম, "তাহলে উনার সমপর্যায়ে বাংলা সাহিত্যে ইসলামী লেখা কেউ লিখেছেন কিনা আমাকে জানান। একশো বছর পেরিয়ে গেল, বাংলার এত এত মুসলিম সাহিত্যিক "রমজানের ঐ রোজার শেষে" বা "তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে" কিংবা "ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ" গানগুলোর বিকল্প তৈরী করতে পারলো না, আর আপনারা ফতোয়া দিয়ে দিচ্ছেন তাঁর ঈমানের ঠিক নাই?"

নজরুলের জীবনকালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমেরই এই ধারণা ছিল। তাঁর কাব্যে দেবদেবীর নাম উল্লেখ করা হয়, কাজেই তিনি মুমিন হতেই পারেন না। তাছাড়া বিয়েও করেছেন হিন্দুকে। এখন আবার উল্টো দৃশ্য। লোকজন দাবি করেন তিনি এক্সক্লুসিভলি ইসলামের কবি। এরপক্ষে রেফারেন্সের অভাব নেই। আগেই বলেছি, তাঁর পর্যায়ে ইসলামিক কবিতা বাংলার কোন বাপের ব্যাটা সাহিত্যিক লিখতে পারেনি, পারবেও না। সেই ভাষা, সেই অলংকারই গত হয়েছে বহুদিন হলো। তবে ওরা যেটা ভুল করে তা হচ্ছে, নজরুলের আরও অন্যান্য সাহিত্যকর্মকে তাঁরা ঢেকে রাখেন।

"আনন্দময়ীর আগমন" "শ্যামা সংগীত" ইত্যাদি থেকে নজরুলকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তিনি যে হিন্দু রমণী বিয়ে করেছিলেন, সেটাও চেপে যান। এইটাওতো আরেক পর্যায়ের এক্সট্রিমিজম।
ধর্ম থেকে সরে রাজনীতিতে আসা যাক।

এই কথা আমরা সবাই জানি যে নজরুল ছিলেন ইংরেজদের জুলুম বিরোধী। কিন্তু এও সত্য, একই সাথে তিনি স্বরাজীদেরও চাঁদা আদায়ের বিরোধী ছিলেন। বিশেষ করে ভারতে যেখানে কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে মরছে, সেখানে "স্বরাজ এনে দেব" - প্রতিশ্রুতি দিয়ে এদের কাছ থেকেই টাকা তুলে নেয়া নজরুল সমর্থন করতেন না। তিনি নিজে দেখেছেন ক্ষুধার্ত মা তাঁর শিশুদের না খাইয়ে সেই টাকা তুলে দিয়েছেন নেতাদের হাতে। তিনি দেখেছেন বাড়িতে ছেলের লাশ ঢেকে রেখে মা গিয়েছেন ভিক্ষা করতে। এইসব দৃশ্য তিনি নিতে পারতেন না। রক্তে বিদ্রোহী সৈনিক হলেও, একজন বীর যোদ্ধা হলেও, তিনিইতো ছিলেন একজন প্রেমিক কবি। মানব প্রেমকে নিজের আত্মা থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন কিভাবে? তাঁর নিজের ভাষায়, "বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে!
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে।" (আমার কৈফিয়ৎ)

সাহিত্যিকরা তাঁর কবিতা নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতো। মর্মাহত হয়ে তিনি প্রেমের গান/গজল লেখা শুরু করেন। এই সময়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনিই বলেন, "ঈশ্বর তোমাকে তলোয়ার দিয়েছেন যুদ্ধ লড়তে, আর তুমি কিনা তা দিয়ে দাড়ি কামানো শুরু করে দিলে?"
গুরুর স্নেহে কবি আবারও তাঁর মনোবল খুঁজে পান। তাঁর হাত ধরে আবারও ঝলসে উঠে তলোয়ার। কণ্ঠ পায় নিপীড়িতের আর্তনাদ।

এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, কবি কাজী নজরুল ইসলামের আসল পরিচয়টা তবে কি? তিনি বিদ্রোহী? তিনি প্রেমিক? তিনি আস্তিক? তিনি নাস্তিক? স্বদেশী? বিদেশির গোলাম? তিনি কী?

উত্তরটা তিনিই দিয়েছেন "রাজবন্দীর জবানবন্দি"তে। যেখানে তিনি বলেন তাঁর ভগবান হচ্ছে "ন্যায়।" তিনি ন্যায়ের পক্ষে কণ্ঠ তুলে গেছেন, তিনি অন্যায়ের বিরোধিতা করে গেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি যা বলেন, তা তাঁর হয়ে ভগবান/ঈশ্বর/খোদা তাঁকে দিয়ে বলান। তিনি বিশ্বাস করেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আসামির কাঠগড়ায় তাঁকে যখন দাঁড়াতে হয়, তাঁর পেছনে পরমকরুনাময় ঠিক সেভাবেই থাকেন যেভাবে তিনি ছিলেন যীশু বা গান্ধীর সময়ে।
নজরুল কোন মহান সাহিত্যকর্ম, সাহিত্যের সেবা, মহাকাব্য রচনা, কিংবা সাহিত্য জগতে নিজের নাম চিরস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে কলম ধরেননি। তিনি বলেছেন, ওটা তাঁরাই করুক, যারা সুখে শান্তিতে থাকেন। তাঁর সাহিত্যিক জীবনের ব্রত ছিল একটিই, অন্যায়ের প্রতিবাদ, ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান এবং জালিমের সর্বনাশ ঘটানো। কাজী নজরুল ইসলামকে তাই বিশেষ কোন বিশেষণে বিশেষায়িত না করে এইভাবেই গ্রহণ করতে শিখুন। তিনি আমাদের জাতীয় কবি, তাই দোহাই লাগে, নজরুল রচনাবলী একবার হলেও পড়ুন। ভাবুন। এতে লাভ ভিন্ন ক্ষতি হবে না।
নাস্তিক বলে আমরা ছাগল পুষি, ছাগলের রাখাল বলে আমাদের তারা ডাকে "ছাখাল।"

প্রিয়তম কবি কাজী নজরুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে স্মরণ করছি, এবং তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। লিখে দিতে পারি, আসানসোলের দুখু মিয়া যদি পৃথিবীতে না আসতেন, তবে সম্পদশালী বাংলা সাহিত্য তাঁর বিপুলাংশের ঐশ্বর্য্য, স্বর্ণ রৌপ্য মনিমুক্তা ভান্ডার হতে বঞ্চিত হতো নিশ্চিত।

৪১ বছর আগে, একজন সোভিয়েত ক্রীড়াবিদ পেশাদার খেলাধুলা থেকে চিরতরে দূরে চলে গেলেন। প্রথম নজরে, এটি হয়তো আরেকটি ভুলে যাওয...
06/09/2025

৪১ বছর আগে, একজন সোভিয়েত ক্রীড়াবিদ পেশাদার খেলাধুলা থেকে চিরতরে দূরে চলে গেলেন। প্রথম নজরে, এটি হয়তো আরেকটি ভুলে যাওয়া গল্পের মতো মনে হতে পারে — ক্রীড়া জগতের হাজার হাজার খেলোয়াড়ের মধ্যে একটি। কিন্তু এটি ভিন্ন।

আমরা ১১ বারের বিশ্ব রেকর্ডধারী, ১৭ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, ১৩ বারের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন এবং ৭ বারের ইউএসএসআর চ্যাম্পিয়নের কথা বলছি। এমন রেকর্ডধারী ক্রীড়াবিদদের এক হাতের আঙুলে গণনা করা হয়। তবুও, তার খ্যাতির শীর্ষে, তিনি হঠাৎ করে সবকিছু পিছনে ফেলে এসেছিলেন। কেন? কারণ একটি মাত্র দিন সবকিছু বদলে দিয়েছিল।

১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬ — ইয়েরেভান, আর্মেনিয়া।

একটি ট্রলিবাস বাঁধ থেকে হ্রদে পড়ে যায়, যার ভেতরে ৯২ জন যাত্রী আটকা পড়ে। তাদের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু সেই সকালেই, তীরে, শাভার্শ কারাপেটিয়ান নামে একজন চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু তার প্রশিক্ষণ দৌড়ে ছিলেন।

এরপর যা ঘটেছিল তা বিশেষজ্ঞরা অসম্ভব বলে মনে করবেন। হিমশীতল, কাদা জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তিনি পিছনের কাঁচের ভেতর দিয়ে লাথি মেরে লোকদের টেনে বের করতে শুরু করেন — এক এক করে। ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে তিনি অন্ধকার, বরফ-ঠান্ডা পানি এবং নিজের সীমাবদ্ধতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সেদিন তিনি ২০টি জীবন বাঁচিয়েছিল।

পরে, তিনি স্বীকার করেন যে তাকে সবচেয়ে বেশি তাড়া করেছিল:
"ওই শূন্য-দৃশ্যমান জলে, আমি যা অনুভব করতে পারতাম তা ধরেছিলাম। একবার, আমি একজন ব্যক্তির পরিবর্তে কেবল একটি সিট কুশন ধরে বেরিয়ে এসেছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার ভুল কারও জীবন কেড়ে নিয়েছিল। সেই কুশন বছরের পর বছর ধরে আমার স্বপ্নকে তাড়া করেছিল।"

তার বীরত্বের মূল্য ছিল অপরিসীম: তীব্র নিউমোনিয়া, সেপসিস এবং তার ক্রীড়া জীবনের সমাপ্তি ঘটে। তিনি প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছিলেন, আর কখনও প্রতিযোগিতা করতে পারননি। কিন্তু একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে তিনি যা হারিয়েছিলেন, তা তিনি তার মানবতার ঐশ্বর্যে বহুগুণে বৃদ্ধি করেছিলেন।

এটি কেবল ত্যাগের গল্প নয়।

এটি আভিজাত্য, সাহস, সম্মান, ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, নিজের চেয়েও বড় কিছুর সেবার গল্প।

শাবার্ষ কারাপেতিয়ানের মতো বীরদের উদাহরণ হওয়া উচিত পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমাদের দেওয়া। তার কাজ আমাদের মনে করিয়ে দেয়: মহত্ত্ব কোনও পদক বা খেতাব নয়। মহত্ত্ব হল অন্যদের বাঁচানোর পছন্দ - এমনকি নিজের মূল্য দিয়েও। 🙏☀️❤️‍🔥

41 years ago, a Soviet athlete walked away from professional sports forever. At first glance, it might seem like just another forgotten story — one of thousands in the sporting world. But this one is different.

We’re talking about an 11-time world record holder, 17-time world champion, 13-time European champion, and 7-time USSR champion. Athletes with such a record are counted on the fingers of one hand. And yet, at the peak of his fame, he suddenly left it all behind. Why? Because of a single day that changed everything.

📍 September 16, 1976 — Yerevan, Armenia.
A trolleybus fell from the dam into the lake, sinking with 92 passengers trapped inside. Their fate seemed sealed. But on that very morning, along the shore, a champion swimmer named Shavarsh Karapetyan was on his training run.

What happened next would be called impossible by experts. Diving into the freezing, muddy water, he kicked through the rear glass and began pulling people out — one by one. For more than 20 minutes he fought against darkness, ice-cold water, and his own limits. He saved 20 lives that day.

Later, he admitted what haunted him most:
"In that zero-visibility water, I grabbed anything I could feel. Once, I surfaced holding only a seat cushion instead of a person. I realized that my mistake cost someone their life. That cushion haunted my dreams for years."

The price of his heroism was immense: severe pneumonia, sepsis, and the end of his sporting career. He became disabled, never to compete again. But what he lost as an athlete, he multiplied in the richness of his humanity.

This is not just a story of sacrifice.
It’s a story of Nobility. Courage. Honor. Love. Selflessness. Service to something greater than oneself.

Heroes like Shavarsh Karapetyan should be the examples we give to the next generation. His act reminds us: greatness is not medals or titles. Greatness is the choice to save others — even at the cost of yourself. 🙏☀️❤️‍🔥

06/09/2025

ঈদ মুবারক। আজ পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

31/08/2025

এখন থেকে আমাদের সেন্টারে অভিজ্ঞ রাকি'র মাধ্যমে রুকিয়া চিকিৎসা করা হবে ইন শা আল্লাহ।

11/08/2025

এ মাসে হিজামা'র সুন্নাহ তারিখ ১২/১৪/১৬ অগাস্ট, ২০২৫

🩸 হিজামা – সুন্নাহর চিকিৎসা, আধুনিক বিজ্ঞানেও প্রমাণিত! 🩸আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা, স্ট্রেস কিংবা দুর্বলতা অনুভব করছেন?...
06/08/2025

🩸 হিজামা – সুন্নাহর চিকিৎসা, আধুনিক বিজ্ঞানেও প্রমাণিত! 🩸

আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা, স্ট্রেস কিংবা দুর্বলতা অনুভব করছেন?
হিজামা থেরাপি হতে পারে আপনার জন্য প্রাকৃতিক ও কার্যকর সমাধান!

🔸 মাথাব্যথা, ব্যাক পেইন ও জয়েন্ট পেইনে চমৎকার ফল
🔸 শরীর থেকে দূষিত রক্ত ও টক্সিন অপসারণ
🔸 হরমোন ব্যালেন্স ও ব্লাড সার্কুলেশন উন্নত করে
🔸 মানসিক চাপ ও অনিদ্রা দূর করতে সহায়তা করে
🔸 সুন্নাত হিসেবে আত্মিক প্রশান্তিও মেলে

🕌 হিজামা শুধু একটি চিকিৎসা নয়, বরং এটি নবীজীর (সা.) সুন্নাহ।
আপনি যখন হিজামা করেন, আপনি নিজের শরীর ও আত্মার প্রতি দায়িত্ব পালন করেন।

📍 ঠিকানা: সাগরপাড়া, রাজশাহী
📞 বুকিং ও তথ্যের জন্য: 01782-048922
🔹 পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে

🙏 শরীর ও মনের ভারমুক্ত জীবনের জন্য আজই হিজামা করুন!
বিস্তারিত জানতে দেখুন: www.naturentech.com

04/08/2025

দ্রুত চুল পরে যাচ্ছে! মাথায় খুস্কি, চুলকানি হচ্ছে! সাইনাস এর ব্যথা / মাথা ব্যাথা / ঘুমের সমস্যা। মাথা সব সময় গরম হয়ে থাকে! মনে হচ্ছে রাগে মাথায় রক্ত উঠে যায়! মানসিক সমস্যা বা স্মৃতি শক্তি কমে গেছে! চোখের সমস্যা বা কানে কম শুনতে পাচ্ছেন! হিজামা থেরাপি নিয়ে সুস্থ হতে পারেন আপনি সহজেই।

চুলের সমস্যা ছাড়াও হিজামা কাপিং থেরাপি মাথা ব্যথা, মাইগ্রেন, বাত ব্যথা, হাই প্রেসার, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, যৌন দুর্বলতা, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস সহ যে কোন রোগের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর।

হিজামা থেরাপি একটি সুন্নতি চিকিৎসা যা সুস্থ ও অসুস্থ উভয় অবস্থায় করা খাছ সুন্নত। সুস্থ অবস্থায় হিজামা থেরাপি নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং অসুস্থ অবস্থায় হিজামা থেরাপি নিলে রোগ ভাল হয়। এটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি, তাই এটি সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট মুক্ত। এটি সুন্নতী চিকিৎসার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।

"হিজামা'র সাথে কী চুল গজানোর কোন যোগসূত্র আছে? অনেকেই আজকাল জানতে চান আমাদের কাছেঃ-
মাথায় বিভিন্ন রোগের জন্যেই দেখা যায় হিজামা'র পয়েন্টস রয়েছে। আমরা যেহেতু বিভিন্ন রোগের জন্যেই হিজামা করি তাই মাথাতেও সংশ্লিষ্ট রোগের জন্যে হিজামা করা হয়েছে বিভিন্ন রোগীর! আমরা দেখলাম, রোগীদের ভাষ্যমতে এসব জায়গাগুলোতে নাকি খুব দ্রুত চুল গজাচ্ছে এবং আশেপাশের জায়গাগুলোতেও চুল পড়ে যাওয়ার মাত্রা বেশ কমে যাচ্ছে! থিওরিটিক্যালি চুল গজানোর ক্ষেত্রে হিজামা'র উল্লেখযোগ্য অবদান আছে। এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত অনেক আগে থেকেই ! যেভাবে হিজামা কাজ করে তা সত্যিই ভীষণ আশান্বিত হবার মত!

কাপিং থেরাপি (হিজামা) এর মাধ্যমে সাধারণত যেসব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ-
১। মাইগ্রেন জনিত মাথাব্যথা, ২। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যথা, ৩। কোমর ব্যথা, ৪। ঘাড় ব্যথা, ৫। পিঠের ব্যথা, ৬। মেরুদন্ডের ব্যথা, ৭। হাটুর ব্যথা, ৮। পায়ের পাতা/গোড়ালি ব্যথা, ৯। অস্থিসন্ধির ব্যাথা/ গেটেবাত (gout), ১০। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscle strain), ১২। হাড়ের ক্ষয়জনিত ব্যথা, ১৩। হাত-পা চাবানো ব্যথা, ১৪। গ্যাস্ট্রিক, আলসার, ১৫। উচ্চ রক্তচাপ, ১৬। ঘুমের ব্যাঘাত ( insomnia problems), ১৭। সাইনোসাইটিস, ১৮। চুলপড়া (Hair fall), ১৯। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Skin Diseases Treatment), ২০। হাপানি (asthma), ২১। হৃদরোগ (cardiac disease), ২২। ডায়াবেটিস, ২৩। কিডনির সমস্যা, ২৪। ওজন বেড়ে যাওয়া, ২৫। থায়রয়েড সমস্যা, ২৬। ব্রেইন ডিজিজ ও ডিজঅর্ডার, ২৭। পুরুষের যৌন দূর্বলতা, ২৮। ব্রন, ২৯। অনিয়মিত মাসিক, ৩০। মেয়েদের অন্যান্য সমস্যা, ৩১। রক্তদূষণ, ৩২। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন, ৩৩। ব্ল্যাক ম্যাজিক (কালো যাদু), যাদুটোনা, বদনজর ইত্যাদির ক্ষতি থেকে মুক্তি এবং আরো অনেক রোগ।

আমাদের ঠিকানাঃ সাগরপাড়া, (কেমিকো ঔষধ ফ্যাক্টরির বিপরীতে), রাজশাহী। ফোনঃ 01782048922 (বি.দ্র: মহিলাদের চিকিৎসার জন্য মহিলা ডাক্তার আছেন। মহিলা পেসেন্টকে মহিলা ডাক্তারের সাথে ফোনে কথা বলে অফিসে আসতে হবে।)

14/07/2025

🟥 দীর্ঘস্থায়ী যৌন দুর্বলতা? ক্লান্তি আর আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি?
🟩 সমাধান এখন হাতের মুঠোয় – প্রাকৃতিক জিংসেং ক্যাপসুল!

✅ শারীরিক দুর্বলতা দূর করে
✅ যৌন ক্ষমতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে
✅ মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
✅ স্ট্যামিনা বৃদ্ধি করে এবং ক্লান্তি দূর করে
✅ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত

🌿 কোরিয়ান রেড জিংসেং ও অন্যান্য শক্তিবর্ধক ভেষজে সমৃদ্ধ
💊 প্রতিদিন মাত্র ১ ক্যাপসুলেই দেখবেন চমৎকার পরিবর্তন!
👨‍⚕️ প্রাকৃতিক চিকিৎসায় অভিজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষিত ও অনুমোদিত

📦 হোম ডেলিভারি সার্ভিস সারাদেশে
📞 অর্ডার করতে কল করুন: 01782-048922

🔴 নিজেকে আবার ফিরে পান, স্বাভাবিক জীবনের আনন্দে বাঁচুন!

#ভেষজচিকিৎসা #পুরুষস্বাস্থ্য

27/05/2024

Address

Sagorpara
Rajshahi
6100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hijama Therapy Rajshahi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Hijama Therapy Rajshahi:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram