13/02/2018
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
উদ্যোক্তা অর্থ কি?
উদ্যোক্তা মানে সততা, ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে সকলকে নিয়ে সময়মতো কাজ শেষ করে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
তীরে কি?
সায়াহ্নের সাঁঝে হঠাৎ স্তিমিত সূর্যের রোশনাই।
মূর্ছান্বিত বহ্নি। ক্ষীণালোক।
আঁধারের প্রবেশ।
চন্দ্রাতপ তিমিরে অলীক তরিতালোক।
বহু দূরে বাতিস্তম্ভের হাতছানি।
তরির আকর্ষণ তীরের তালাশে.................
তীরে মূলত একটি স্বপ্নের বাস্তব রুপ । তীরের মূল বিষয় হল পুরো বাংলাদেশের একটি তথ্য সংগ্রহশালা প্রস্তুত করা এবং সেই তথ্য সংগ্রহশালার তথ্য দিয়ে পুরো বাংলাদেশকে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন নতুন প্রকল্প উপহার দেওয়া। বাংলাদেশের ৮৭১৯১টা গ্রাম ৪৫৫০টা ইউনিয়ন ৪৫৯টা উপজেলা ৬৪টা জেলা ৮টা বিভাগ এর প্রতিটি স্তর থেকে উদ্যোক্তা প্রস্তুত করা। তীরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অদক্ষ ও বেকার জনশক্তিকে দক্ষ করে প্রস্তুত করা। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাদের চাহিদা মত সকল সুযোগ,সুবিধা ও সেবা সমূহ তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য প্রকল্প প্রস্তুত করা। বর্তমানে আমরা তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারে অতঃপতভাবে জড়িয়ে পড়েছি। ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমাদের আশে পাশের অধিকাংশ মানুষই তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সেবা গ্রহণ করছেন এবং দিন দিন এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন।তাই আমাদেরও প্রধান প্রকল্প হল তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা প্রদান,কিন্তু এই ব্যপারে তীরের যে উদ্যোগ তা হল তীরে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সুযোগ,সুবিধা ও সেবা সমূহ পৌঁছিয়ে দিবে।
তীরের লক্ষ কি?
বাংলাদেশে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করা ও বাংলাদেশের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রবেশ করে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান করা।
তীরের উদ্দেশ্য কী?
পুরো বাংলাদেশের তথ্য সংগ্রহশালা প্রস্তুত করা এবং তার মাধ্যমে জনগনকে সেবা প্রদান করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের তীরেকে মেলে ধরা।
তীরের কাজ কখন থেকে শুরু হবে?
সাহেবঃ কি মাঝি! সারাদিন কি এ পানির উপরই আমায় ভাসিয়ে রাখবা?
মাঝিঃ না বাবু না ; সারাদিন কি পানির উপর ভেসে থাকা যায়?
সাহেবঃ মাঝি! তাড়াতাড়ি বাও,
সাহেবঃ হিজলের ঘাটে আমার অপেক্ষায় যে নাতি-নাতনিরা পথ চেয়ে আছে!
মাঝিঃ সায়াহ্নের পুর্বেই সেই তীরে আপনাকে আমি ভীড়িয়ে দেব বাবু............
তীরে কিভাবে কাজ করে বা করবে?
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ । এই জনশক্তিকে দক্ষ করে উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে তীরের এই প্রচেস্টা। এই প্রচেস্টা সফল করতে তীরে প্রথমে বাংলাদেশকে বিভাগ অনুযায়ী আট (০৮) ভাগে ভাগ করেছে।এই আট বিভাগ হতে তীরে প্রথমে আট (০৮) জনকে দক্ষ উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে সহায়তা প্রদান করবে। এই আট (০৮) জন আবার প্রত্যেক জেলা থেকে একজনকে নির্বাচন করবে এইভাবে প্রত্যক উপজেলা/থানা, উনিয়ন, গ্রাম ইত্যদি থেকে ওই আট (০৮) জন আবার একজনকে নির্বাচন করবে এবং তীরে প্রত্যেক জনকে দক্ষ উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে সহায়তা প্রদান করবে।এই জনশক্তিকে দক্ষ উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন তথ্য যা তারা নিজ নিজ এলাকা হতে সংগ্রহ করবে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে।এই তথ্য, তথ্য সংগ্রহশালার মাধ্যমে সংরক্ষন করা হবে। সেই সংগ্রহশালার তথ্য এর ভিত্তিতে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন নতুন প্রকল্প প্রস্তুত করা হবে এবং যার মালিকানা পর্যায়ক্রমে সর্বোচ্চ ছেষট্টি শতাংশ (৬৬%) হারে উদ্যোক্তাগণকে হস্তান্তর করা হবে।অবশিষ্ট শতাংশে তীরের অংশীদারিত্ত্ব থাকবে।মালিকানা সর্বোচ্চ ছেষট্টি শতাংশ (৬৬%) হারে উদ্যোক্তাগণকে হস্তান্তর এর পর তারা তীরের অঙ্গ-সংগঠন হিসাবে তাদের (উদ্যোক্তাগণ) নিজস্ব ব্যবসায়ীক মুলনীতি অনুযায়ী তীরের সাথে সংযুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করবে।
তীরের প্রকল্প সমূহ কি কি?
তীরের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রকল্প সমূহঃ
¬ তথ্য সংগ্রহশালা
¬ তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা সেবা
¬ হস্ত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
¬ ভ্রমণ ও পর্যটন সেবা
¬ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
¬ তথ্য ও প্রকৌশল প্রযুক্তির ব্যবহার
¬ তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রদান
¬ তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে পোশাক ও অন্যান্য বাণিজ্য সেবা
¬ পত্রিকা সেবা
¬ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
¬ আউটসোর্সিং সুবিধা
¬ তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে খাদ্য সেবা
¬ তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা
¬ তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে পণ্য স্থানান্তর
¬ তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে টিকেটিং সেবা
কিভাবে তীরের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে?
প্রথমে সকলকে http://teerebd.com/info/den এর মাধমে নিবন্ধিত হতে হবে।
নিবন্ধন ব্যয় নিম্নরুপঃ
প্রথম একশত (১০০) জন ১,১০০.০০/= (এক হাজার একশত টাকা) মাত্র।
পরবর্তী একশত (১০০) জন ১,৬০০.০০/= (এক হাজার ছয়শত টাকা) মাত্র। তারপরবর্তী আটশত (৮০০) জন ২,১০০.০০/= (দুই হাজার একশত টাকা) মাত্র।
এর পরবর্তীতে যারা সংযুক্ত হবেন তা আলোচনা স্বাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে।
তবে কেউ চাইলে অতিথি সদস্য (বিনা নিবন্ধন ব্যয়ে) হিসেবে তীরের সাথে নিবন্ধিত হয়েও কাজ করতে পারবেন। সকল নিবন্ধন ব্যয় পরিশোধের পর তা অফেরতযোগ্য।উক্ত নিবন্ধন ব্যয় কোন ক্রমেই বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না।
নিবন্ধন ব্যয় পরিশোধ করার উপায় কি?
সকল অর্থ ব্যাংক/বিকাশ/রকেট এর মাধমে পরিশোধ করা যাবে।
ব্যাংকঃ
ব্যাংক এর নামঃ অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
হিসাব এর নামঃ তীরে
হিসাব এর ধরনঃ চলতি
হিসাব নম্বরঃ ০২০০০০৯৮৬৬৭৬৪
শাখাঃ কোর্ট বাজার, রাজশাহী
বিকাশঃ
+৮৮০-১৭০৭-৯৯৮৬০৪ (ব্যক্তিগত)
+৮৮০-১৬৭৪-৯৯৮৬০৪ (ব্যক্তিগত)
রকেটঃ
+৮৮০-১৬৭৪-৯৯৮৬০৪-৭ (ব্যক্তিগত)
অর্থ লেনদেনের স্বচ্ছতার স্বার্থে ব্যাংক ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। ব্যাংক/বিকাশ/রকেট এ অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে লেনদেনের সকল নম্বর/রশিদ/নথিপত্র সংরক্ষণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
* Please provide details as follows: House No., Street No., Area/ Vill., Police Station/ Upozilla, Post Office with code, District, Division