05/10/2025
#জলাতঙ্ক_রোগ (Rabies) #কুকুরের_কামড়ঃ
জলাতঙ্ক একটি ভয়ানক ভাইরাসজনিত রোগ, যা সাধারণত রেবিস ভাইরাস (Rabies virus) দ্বারা হয়ে থাকে। এটি মূলত সংক্রামিত প্রাণীর বিশেষ করে #কুকুর_বিড়াল এর কামড়, আঁচড় বা লালার সংস্পর্শে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।
🦠 রোগের কারণ:
জলাতঙ্ক ভাইরাস (Rabies virus), যা Lyssavirus গণভুক্ত।
ভাইরাসটি কামড়ের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং স্নায়ুতন্ত্রে (nervous system) পৌঁছে মস্তিষ্কে প্রদাহ (encephalitis) সৃষ্টি করে।
🧍♂️ সংক্রমণের উপায়:
সংক্রমিত কুকুর, বিড়াল, বা অন্য প্রাণীর কামড়
আঁচড় বা ত্বকের ক্ষতস্থানে সংক্রমিত প্রাণীর লালা লাগা
কখনও কখনও চোখ, মুখ বা নাকে লালা প্রবেশ করলেও সংক্রমণ হতে পারে
⚠️ লক্ষণসমূহ:
ইনকিউবেশন পিরিয়ড (লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগে সময়): সাধারণত ১–৩ মাস, তবে ১ সপ্তাহ থেকে ১ বছরও হতে পারে।
প্রধান লক্ষণ:
1. কামড়ের স্থানে ব্যথা, জ্বালাপোড়া বা অস্বাভাবিক অনুভূতি
2. জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি
3. পানি দেখলে ভয় পাওয়া (Hydrophobia)
4. বাতাসে ভয় পাওয়া (Aerophobia)
5. অস্থিরতা, ঘুমের সমস্যা, মানসিক বিভ্রান্তি
6. খিঁচুনি ও পক্ষাঘাত
7. অবশেষে কোমা ও মৃত্যু
💉 প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
জলাতঙ্ক রোগ চিকিৎসাযোগ্য নয়, একবার লক্ষণ প্রকাশ পেলে প্রায় সবসময় মৃত্যু ঘটে।
তবে সময়মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
1. কামড় বা আঁচড়ের সঙ্গে সঙ্গে:
ক্ষতস্থান ভালোভাবে সাবান ও পানি দিয়ে ১৫ মিনিট ধুয়ে ফেলুন
অ্যান্টিসেপ্টিক (যেমন পভিডন আয়োডিন) লাগান
2. তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
3. রেবিস ভ্যাকসিন (Post Exposure Vaccine) — কামড়ের পরে নির্দিষ্ট ডোজে দেওয়া হয়
4. গুরুতর ক্ষেত্রে Rabies Immunoglobulin (RIG) প্রয়োগ করা হয়
5. প্রাণীদের (কুকুর, বিড়াল) নিয়মিত টিকা দেওয়া জলাতঙ্ক প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
🐕 #প্রতিরোধমূলক_ভ্যাকসিন (Pre-Exposure Vaccine):
আগে থেকে টিকা নিতে হবে, বিশেষ করে যারা নিয়মিত প্রাণীর সংস্পর্শে থাকেন বা যে এলাকাতে কুকুরের উপদ্রব বেশি। (যেমন ভেটেরিনারিয়ান, ল্যাব কর্মী, পশুপালক ইত্যাদি), তাদের জন্য পূর্বেই রেবিস টিকা নেওয়া পরামর্শযোগ্য।
ডাঃ মাহ্ফুজ আলী মামুন