09/06/2025
তারমানে দাদাদের দেশের সাংবাদিক এবং আমাদের দেশের সাংবাদিকই সবচেয়ে ক্ষমতাধর। আর জনগণের সমর্থন পেতে একজন ডাক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধ একশন নেওয়া যেন নিয়ম হয়ে গেছে।
একজন রোগী গোয়ার জিএমসি-র Photography বিভাগে এসে injection vit- B12 দাবি করেন। B12 কোনো জরুরি অবস্থা নয় — এটি যেকোনো জায়গা থেকেই নেওয়া যায়, এমনকি কিছুদিন দেরিতেও ক্ষতি হয় না। সিএমও (চিফ মেডিক্যাল অফিসার) নাকি ওই রোগীকে একটি সিএইচসি-তে (কমিউনিটি হেলথ সেন্টার) যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পরে জানা গেল, ওই রোগী একজন সাংবাদিকের আত্মীয়, যার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানের সঙ্গে। এরপর শুরু হলো সার্কাস।
রানে ওপিডি-তে ঢুকে পড়েন যেন তিনি কোনো নিম্ন বাজেটের বলিউড পুলিশ, সঙ্গে ছিল তাঁর স্টাফ এবং ক্যামেরা ক্রু। তিনি প্রকাশ্যে ওই সিএমও-কে ডাকেন — যিনি একজন সম্মানিত চিকিৎসক, বছরের পর বছর ধরে জনসেবা ও শিক্ষকতায় যুক্ত — এবং তাঁকে জুনিয়রদের সামনে অপমান করেন, হুমকি দেন এবং ঘটনাস্থলেই সাসপেন্ড করে দেন, কোনো ব্যাখ্যা শোনার প্রয়োজনও মনে করেননি।
এখন এই মন্ত্রী বলছেন তিনি নাকি “গরিবের জন্য লড়াই” করছিলেন? ধুর! কোনো গরিব মানুষ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরাসরি ফোন করার সুযোগ পায় না। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোগী ছিলেন এক সাংবাদিকের আত্মীয়, কোনো দরিদ্র বা অসহায় মানুষ নন যাঁর চিকিৎসা পাওয়াটা কঠিন।
ধরে নিলাম, যদি ওই চিকিৎসক কোনো ভুল করেও থাকেন, তাহলে তারও একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়া রয়েছে: তদন্ত হওয়া উচিত, শোকজ নোটিশ ইস্যু করা উচিত, তাঁর জবাব নেওয়া উচিত, প্রয়োজন হলে সাক্ষ্য-প্রমাণ সহ বিশ্লেষণ — তারপরেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এই রাস্তার মাতব্বরি দেখানো কি কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি’র শোভা পায়? অফিসের মর্যাদা রক্ষা করা শিখুন, প্রশাসনকে মিডিয়া সার্কাসে পরিণত করবেন না।