শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ

শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ A page about your child's health and well-being from a child physician.

22/07/2025

Welcome to Bangladesh
হঠাৎ করে মরে যাওয়ার হাজারো উপায়

আপনি ফুটপাত দিয়ে হাঁটছেন, অপরিকল্পিত নির্মাণাধীন ভবন থেকে আপনার মাথায় ইট পড়ে আপনি প্রাণ হা'রাবেন।

রেস্টুরেন্টে পরিবারের সঙ্গে এক খুশির উপলক্ষ্য নিয়ে খেতে গেছেন, অননুমোদিত গ্যাস লাইনের বি'স্ফো'রণে আপনি প্রাণ হা'রাবেন৷

নিয়ম মেনে ড্রাইভিং বা রাইডিং করছেন, ধনীর নেশাগ্রস্ত আদুরে দুলাল গাড়িচা'পা দিয়ে আপনার প্রাণ'না'শ করবে৷

প্রভাবশালীদের সাথে দ্ব'ন্দ্বে জড়াবেন, পাথর দিয়ে পি'ষে আপনার প্রাণ'না'শ করা হবে, আপনার লা'শের উপর উঠে নৃত্য করা হবে।

মানুষের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবেন, আয়না ঘর আপনাকে বলবে, "আহো ভাতিজা, আহো!"

গ্রাম থেকে ঢাকা এসে একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে ঘষেমেজে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন, ভবন ধ্ব'সে প্রাণ হা'রাবেন।

নারী হয়ে নির্বিঘ্নে লেখাপড়া, চাকরি-বাকরি করতে যাবেন, যৌ'ন হয়'রানির শিকার হবেন একশোতে একশো৷ ধ'র্ষি'তা হওয়ার সুযোগও কম না৷

শাসনযন্ত্রের অপ'শাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলবেন, আপনার পরিবার আপনার মৃ'তদেহটাও খুঁজে পাবে না৷

আপনার সন্তান বাহিরে খেলছে, সিটি কর্পোরেশনের অবহেলিত উন্মুক্ত ম্যানহোলে পড়ে প্রাণ হা'রাবে।

সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন, তার মৃ'তদেহ পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে।

সর্বশেষ, আপনার সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন, প্রশিক্ষণ বি'মান বি'ধ্ব'স্ত হয়ে আরো দুয়েকশো সন্তানের সাথে আপনার সন্তানেরও প্রাণ নিবে৷

আর হ্যাঁ, এগুলোর ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন? তাহলে বলবো আপনারা বড্ড বোকা৷

জি, এটাই এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর মাছে ভাতে বাঙালির বাংলাদেশ।

© মূল লেখকের নাম পাওয়া যায়নি

21/07/2025
21/07/2025

বিমান বাহিনী কুর্মিটোলা দখল করে রেখেছে। ঢাকার বিশাল এলাকা জুড়ে একাধিক ক্যান্টনমেন্ট। এতগুলো DOHS এই জনবহুল শহরে। অথচ সামরিক স্থাপনা হওয়ার কথা যেখানে জনবসতি কম। এই যে শিশুগুলো পুড়ে গিয়ে হেটে হেটে যাচ্ছে এর দায় কি বিমানবাহিনী নিবে?

প্রায় ৯০% পুড়ে যাওয়া শিশুটাকে হেটে যেতে দেখে আমি চিকিৎসক হয়েও ট্রমাটাইজড৷ আহা কত সাধের সন্তান। স্কুলে পাঠিয়ে বাবা মা নিশ্চিন্তে ছিল ওদিকে কি ভয়াবহ মৃত্যু।

অনেকেই দেখলাম পাইলটকে নিয়ে মহাকাব্য লিখছেন। দয়া করে বালছাল লিখবেন না। আমাদের সামরিক বাহিনীর কোন জবাবদিহিতা নেই কোন কালেই। পাইলট বিমানটিকে কোথাও ডাম্প করতে পারতেন। তার দেহ ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে পাওয়া গেছে। মানে তিনি আগেই ইজেক্ট করে নিজের জীবন বাচাতে গিয়েছেন। ফলাফল বিমান স্কুলে পড়ে এতগুলো জীবনের যন্ত্রণাময় সমাপ্তি। অবশ্য তাকে একা দোষও দেয়া যায় না। এর আগেও দুইজন পাইলট সিভিলিয়ান লাইফ বাচাতে নিজেদের জীবন দিয়েছিলেন। কিন্তু মহান বিমান বাহিনীর টনক নড়েনি। লক্কর ঝক্কর ভাংগারি দিয়ে লোকাল বাসের মত লোকাল প্লেন অপারেশন চালু রেখেছে তারা।

আর যেই শুয়োরের বাচ্চারা এইসব ভাঙারি বিমান কিনে এনে ওদের সন্তান নাতি নাতনীদের বিদেশে মদ জুয়া আর মৌজমাস্তির ব্যবস্থা করেছে তাদের যেন এরচেয়ে করুণ মৃত্যু হয়।
Credit: আসিফ ইশতিয়াক

পুড়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য, প্রথমে পোড়া স্থানটি ঠান্ডা (ঠান্ডা নয় এমন) পানির নিচে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রাখুন বা ঠান...
21/07/2025

পুড়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য, প্রথমে পোড়া স্থানটি ঠান্ডা (ঠান্ডা নয় এমন) পানির নিচে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রাখুন বা ঠান্ডা সেঁক দিন। এরপর, পোড়া স্থানে পরিষ্কার গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন। পোড়া স্থানটি পরিষ্কার করার জন্য সাবান এবং পানি ব্যবহার করুন, তবে ফোসকা গলানো বা কোনো মলম লাগানোর চেষ্টা করবেন না। যদি পোড়া গুরুতর হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বিস্তারিত:
ঠান্ডা করুন:
পোড়া স্থানটিকে ঠান্ডা (ঠান্ডা নয় এমন) পানির নিচে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রাখুন বা ঠান্ডা সেঁক দিন। এটি পোড়ার তীব্রতা কমাতে এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে।
পরিষ্কার করুন:
পোড়া স্থানটি পরিষ্কার করার জন্য হালকা সাবান এবং পানি ব্যবহার করুন। তবে, কোনোভাবেই ফোসকা গলানোর চেষ্টা করবেন না।
ব্যান্ডেজ করুন:
পোড়া স্থানটি পরিষ্কার করার পর, একটি জীবাণুমুক্ত গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন। এটি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
মলম ব্যবহার করবেন না:
টুথপেস্ট, গাছের ছাল বা অন্য কোনো ঘরোয়া উপাদান পোড়া স্থানে লাগাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
পোড়া গুরুতর হলে, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে, যদি পোড়া শরীরের বড় অংশ জুড়ে হয় বা ফোসকা পড়ে, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই ভালো।
করণীয় নয়:
পোড়া স্থানে বরফ লাগাবেন না, কারণ এটি ত্বককে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ফোসকা গলানোর চেষ্টা করবেন না, কারণ এটি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
পোড়া স্থানে কোনো মলম বা তেল লাগানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🛡️ টাইফয়েড টিকা এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায়! 🛡️১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হচ্ছে EPI-এর অধীনে টাইফয়েড ভ্যাকসিন কার্যক্র...
21/07/2025

🛡️ টাইফয়েড টিকা এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায়! 🛡️

১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হচ্ছে EPI-এর অধীনে টাইফয়েড ভ্যাকসিন কার্যক্রম।
৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ১ ডোজ করে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে — একদম বিনামূল্যে!

👧👦 অন্তর্ভুক্ত থাকছে –
প্লে গ্রুপ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা।

💉 টাইফয়েড টিকা কেন জরুরি?
টাইফয়েড একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এই টিকা আপনার শিশুকে টাইফয়েড জ্বর থেকে নিরাপদ রাখে।

📌 টিকা নিতে যা দরকার:
✔️ ১৭-ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ
(না থাকলে এখনই করে ফেলুন)
✔️ EPI ক্যাম্পেইনের সময় ঘোষণার পর আপনার এলাকার EPI (Expanded Programme on Immunization) সেন্টারে যান
✔️ সঙ্গে নিন শিশুকে ও জন্মনিবন্ধনের সনদ

🌐 রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করুন:
👉 https://vaxepi.gov.bd

🔄 আগে যারা HPV টিকার সময় নিবন্ধন করেছেন, তাদের নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন করার দরকার নেই।
➤ শুধু লগইন করে টাইফয়েড টিকার জন্য রেজিস্টার করলেই হবে।
➤ মোবাইল নম্বর ভুলে গেলে “Forget Mobile Number” অপশন ব্যবহার করুন।

🚨 যারা এখনো রেজিস্ট্রেশন করেননি –
১️. প্রথমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
২️. এরপর টাইফয়েড টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করুন

সঠিক তথ্য জেনে, সময়মতো প্রস্তুতি নিন।
আমাদের শিশুদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য একসাথে এগিয়ে আসুন। ❤️

https://www.facebook.com/share/19jbF8gE92/আহারে মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি, নামাজ পড়ে কপালে দাগ পড়ে গেছে, তবুও জেনে বুঝে ...
20/07/2025

https://www.facebook.com/share/19jbF8gE92/

আহারে মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি, নামাজ পড়ে কপালে দাগ পড়ে গেছে, তবুও জেনে বুঝে অন্যায় করেই যাচ্ছে।

মানুষ এত বোকা হয় কি করে, যে দালালের খপ্পরে পড়ে বাচ্চার জীবনটা শেষ করে দিলো।

ভোলার বোরহানউদ্দিনের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) শফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নিয়ে ৮ বছর বয়সী মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র তানভীর হাত-পা হারিয়েছেন। জ্বর নিয়ে এসে ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ওই শিশুর মা মিতু বেগম স্যাকমোর বিরুদ্ধে ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে শনিবার (১৯ জুলাই) সংশ্লিষ্ট স্যাকমোকে গ্রেফতার করেন স্থানীয় থানা পুলিশ। তানভীর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ফুলকাচিয়া ৬নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মোসলেম মেয়ার সন্তান। বিষয়টি মেডিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন বোরহানউদ্দিন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান।

তানভীরের বাবা মো. মোছলেম, মা মিতু ও এজহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রাতে তানভীর জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের সামনে অবস্থিত আকিব মেডিকেল হলের মালিক দালাল আকিবের সাথে দেখা হয়। ভালো ডাক্তার দেখানোর কথা বলে তার ফার্মেসিতে নিয়ে যান। আকিব, স্যাকমো শফিকুলকে দেখান। সফিক টেস্ট লিখে দেন। টেস্টের জন্য আকিব তাদেরকে নিয়ে যান আহসানিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

টেস্ট শেষে রিপোর্ট দেখে শফিকুল ইসলাম জানায়, ছেলের ডেঙ্গু হয়েছে। শফিক তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে বলেন। এরপর আকিব ৪টি ইনজেকশন পুশ করেন। সাথে সাথে তানভীরের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। বিষয়টি শফিকুল ইসলামকে জানায় তারা। তিনি অ্যালার্জির সমস্যার কথা বলেন। ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতাল এরপর বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ এবং পরে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।

মিতু বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের উদ্ধৃতি দিলে বলেন, বোরহানউদ্দিনে ভুল চিকিৎসার কারণে তার সন্তানের এ অবস্থা। চলতি মাসের (১৫ জুলাই) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তানভীরের দুটি হাতের কবজি ও একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শফিকুল ইসলাম বোরহানউদ্দিনের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্যাকমো হিসেবে কর্মরত। এছাড়া হাসপাতাল সড়কে আকিব মেডিকেল হল ও দেউলা মেডিকেল হল নামে দুটি ঔষধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ব্যক্তিগত চেম্বার করেন।

স্যাকমো শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিন মাস আগে তানভীর নামে রোগীকে নিয়ে তার স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করছিল। কেউ তাকে চিকিৎসা দেয়নি। পরে তাকে আমি দেখেছি। তার সারা গায়ে অ্যালার্জি, ক্রাশ, ফোড়ার মতো এবং প্রচণ্ড জ্বর ও খিঁচুনি ছিল। আমি তাকে জ্বরের সিরাপ, জ্বরের সাপোজিটর ও খিঁচুনি কমার জন্য সেডিল ইঞ্জেকশন হাপ এম্পুল দিয়েছি। যাতে তাঁর খিঁচুনি না হয়। আমি তাকে শুধু জ্বরের ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। আপনার ব্যবস্থাপত্রে ডেঙ্গু লিখছেন এবং অ্যান্টিবায়োটিক লিখছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি নীরব থাকেন, এ সময় কোন উত্তর দিতে পারেন নি।

20/07/2025

॥জরুরী চিকিৎসা সচেতনতা॥

বক্তৃতার সময় বক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ার কিংবা অচেতন হয়ে পড়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। (মোবাইলে ভিডিও ধারণের সুবাদে) এমনকি বক্তব্যের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ার দৃশ্যও আজকাল দেখা যায়।

এর অনেক কারণ রয়েছে। যেমনঃ বক্তা যদি বক্তব্যের কোনো পর্যায়ে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তাহলে যাদের হৃদরোগ আছে, তাদের হার্ট অ্যাটাক হতে পারে কিংবা হার্টের স্পন্দনের ছন্দ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা করাতে না পারলে, এমন ঘটনায় বক্তার মৃত্যু হয়। এমনও দেখা যায় যে, বক্তা আগে জানতেনই না তার হার্টের সমস্যা রয়েছে।

তবে হৃদরোগ ছাড়াও অন্যান্য অনেক কারণে বক্তব্যের মধ্যে বক্তা অচেতন হয়ে পড়ে যেতে পারেন।

গরমে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করলে কিংবা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তখন মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ সাময়িক কমে যায়। বয়স্ক এবং ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।

এইসময় উপস্থিত শ্রোতা-দর্শক কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং তড়িঘড়ি করে কিছু ভুল পদক্ষেপ নেন। যেমনঃ রোগীকে বসিয়ে দেওয়া, মাথায় পানি ঢালা, বা পাখা দিয়ে বাতাস করা। এই কাজগুলো মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ আরও কমিয়ে রোগীর ক্ষতি বাড়ায়। জনসম্মুখে (যেমনঃ রাজনৈতিক সমাবেশ, নামাজের জামাত) এই ভুলগুলো প্রায়ই ঘটে। অজ্ঞতাবশত সাহায্য করতে গিয়ে এমনটি ঘটে।

প্রাথমিকভাবে কি করা উচিত?

১) মাথা নিচে, পা উপরেঃ রোগীকে মাটিতে সোজা চিৎ করে শুইয়ে পা উঁচুতে তুলে ধরে রাখুন (চেয়ার, বালিশ, বা কাপড়ে জড়িয়ে)। এরফলে মাধ্যাকর্ষণের কারণে মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ বাড়বে।

২) পায়ের পেশী ম্যাসাজঃ পায়ের পিছনের সোলিয়াস পেশী (গোড়ালির ওপরে) চেপে ম্যাসাজ করুন। এই পেশীতে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালন হয়। এটা ম‍্যাসাজ করলে জমা রক্ত হৃদপিণ্ডে ফিরবে, রক্তচাপ স্বাভাবিক হবে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

- পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের ফলে পড়ে গিয়ে থাকলে রোগী সচেতন থাকলে অল্প অল্প করে স্যালাইন দিন (বসে বা অর্ধশোয়া অবস্থায়)।

- অসচেতন রোগীকে মুখে খাবার বা পানীয় দেবেন না। এক্ষেত্রে ফুসফুসে খাবার চলে গিয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।

অন‍্য দুটি জরুরি অবস্থাঃ

- হৃদরোগে অচেতনঃ হার্ট অ্যাটাক কিংবা হার্টের স্পন্দনের ছন্দ নষ্ট হয়ে গেলে রোগী সহসা অচেতন হয়ে পড়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে বুকে দ্রুত CPR শুরু করতে হবে। সিপিআর একটি প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি যা সকল সচেতন নাগরিকের জানা এবং শেখা জরুরি।

- ডায়াবেটিস রোগীঃ রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতে পারেন। সচেতন থাকলে মিষ্টি খাবার (গ্লুকোজ, চিনি, জুস) দিন।অসচেতন হলে কিছুই খাওয়াবেন না। এরজন‍্য দ্রুত শিরাপথে গ্লুকোজ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। অতএব দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যেতে হবে।

মনে রাখুনঃ

- পা উপরে, মাথা নিচে – এই নিয়মটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

- CPR শিখে রাখুন (হৃদরোগে জরুরি)। সিপিআর একটি জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা। দেশের সকল সচেতন নাগরিকের এটা শেখা জরুরি।

- ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন দ্রুত জাতীয় জরুরী সেবা এবং নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

[এই পোস্টটি সাধারণ সচেতনতার জন্য, চিকিৎসকের পরামর্শ বিকল্প নয়]

20/07/2025

ডিভাইস খতনা : একটি অতিরঞ্জিত প্রচারের শিকার অভিভাবক ও তাদের আদরের ছেলেরা।

হাজামরা ও এতোটা ক্ষতি করেনি বাচ্চাদের।
গত এক মাসের মধ্যে ২ টা বাচ্চার চিকিৎসা চলছে যারা ডিভাইস দিয়ে খতনা করানোর কারনে পেনিসের মুল স্কিন এর ৭০% এর মতো ডিভাইস দিয়ে রিমোভ হয়ে গেছে। ফেলে পুরো পেনিসটি চামছোলা হয়ে দিনের পর দিন আমার কাছে চিকিৎসাধীন আছে।
মেজর রিকন্সট্রাক্টিভ প্লাস্টিক সার্জারি করে ঠিক করতে হবে।
অথচ ওর বাবা উচ্চশিক্ষিত এবং ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষক।
তিনি বললেন, প্রচারের প্ররোচনায় প্রলুব্ধ হয়ে তিনি ডাক্তারের কোয়ালিটি না দেখে শুধু বিজ্ঞাপন দেখে একমাত্র ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করলেন।
এই ছেলের মতো আরও অনেক ছেলে আজকে এই অতিরঞ্জিত প্রচারের শিকার।
হাজামরা ও এতোটা খারাপ ছিলেন না কারন তারা বংশ পরম্পরায় এটা প্র্যাক্টিস করেছিলেন কিন্তু তারা স্কিন কম কাটেন।অনেক সময় চামড়া আবার আগের জায়গায় চলে আসে।
কিন্তু ডিভাইস দিয়ে খতনা করানোর জটিলতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাচ্ছি অতিরিক্ত চামড়া কর্তন।অথচ লিঙ্গের এই চামড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রপার ইরেকশন বা উত্থানের জন্য।
তাই খুব এক্সপার্ট না হলে কারো মাধ্যমে এই ডিভাইস লাগানো মানে ছেলের পেনিস নিয়ে ভয়বহ রিস্ক নেওয়া।
হয়তো যারা এই পদ্ধতি প্রমোট করেন তারা যুক্তি দিবেন কিন্তু আমি দিবো ভয়াবহ প্রমান, ছবি, ভিডিও, অভিভাবকের কান্না আর আফসোসের উদাহরণ।
তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই, আপনার ছেলের জন্য পরিক্ষিত ও নিরাপদ খতনা পদ্ধতি কোনটা তা যাচাই করতে হবে।
Source: মোর্শেদ আলী https://www.facebook.com/morshed.ali.77

৩ দিন জ্বর, তারপর হঠাৎ মৃত্যু — সতর্ক হোন, সচেতন হোন!ছবির বাচ্চাটি,  যে মাত্র ৩ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল — আর আজ হঠাৎ মারা গ...
19/07/2025

৩ দিন জ্বর, তারপর হঠাৎ মৃত্যু —
সতর্ক হোন, সচেতন হোন!

ছবির বাচ্চাটি, যে মাত্র ৩ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল — আর আজ হঠাৎ মারা গেলো। মায়ের কোলে নিথর শিশুটির মুখ দেখেই বুকটা কেঁপে উঠল। কীভাবে, কেন এমন হলো?

একজন শিশুর হঠাৎ মৃত্যুর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, কিন্তু সবচেয়ে সাধারণ ও ভয়ানক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:

• (সেপ্টিসেমিয়া): সংক্রমণ রক্তে ছড়িয়ে পড়ে পুরো শরীরকে অকেজো করে দেয়।
•নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা
•ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা
•মেনিনজাইটিস (মস্তিষ্কের ঝিল্লিতে সংক্রমণ)

•জন্মগত হৃদরোগ

•SIDS (হঠাৎ শিশুমৃত্যু)

★কি করা উচিত ছিল? যদি কোনো শিশুর ২ দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর থাকে, খেতে না চায়, অতিরিক্ত নিস্তেজ বা অস্বাভাবিক শান্ত হয়ে পড়ে — তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। সময়মতো চিকিৎসা হলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব।

অনুরোধ: শিশুদের ছোট জ্বরকেও হালকা করে দেখবেন না। প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান।

এই পোস্টটা শেয়ার করুন — একজন অভিভাবকও যদি সচেতন হন, তবেই এই পোস্ট সার্থক।
©️collected

আমরা সবাই ভারতীয় ডাক্তার  দেবী শেঠীকে চিনলেও বাংলাদের একজন সুনামধন্য  ডাক্তার অধ্যাপক নুরুন্নাহার ফাতেমা মেডামকে  চিনি ...
15/07/2025

আমরা সবাই ভারতীয় ডাক্তার দেবী শেঠীকে চিনলেও বাংলাদের একজন সুনামধন্য ডাক্তার অধ্যাপক নুরুন্নাহার ফাতেমা মেডামকে চিনি না। ডাঃ দেবিশেঠী কে আমরা প্রোমোট করি কিন্তু ফাতেমা মেডামকে করি না?

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা মেডাম সিলেট বিভাগের মৌলভী বাজার জেলার বড়লেখায় জন্ম গ্রহন করেন, তিনি সিলেট তথা সারা বাংলাদেশের গৌরব, বাংলাদেশের প্রথম পেডিয়েট্রিক কার্ডিওলজিস্ট। তিনি ৭ হাজার শিশুর হার্টের জন্মগত রোগের (যেমন হার্টের ভেতর ছিদ্র) অপারেশন ( ইন্তটারভেনশন)ও অনান্য ইমার্জেন্সি ইন্টারভেনশন করেছেন। ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পদক অর্জন করেন।
আমরা ভারতের দেবি শেঠী কে চিনলেও ঘরের মানুষ ছিনিনা, আসুন আমরা সবাই আমাদের নিজেদের ঘরের মানুষকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে দেই।

Dr. Nurun Nahar Fatema Begum is a Pediatrics Cardiologist doctor in Dhaka. Her qualification is MBBS, FCPS (PED), FRCP (EDIN), FACC (USA), FSCAI (USA).

07/07/2025

ডাক্তার সুপর্ণা বড়ুয়া এবং ডাক্তার অসীমা বড়ুয়া। ফটিকছড়ির দুটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের 'মাঠ উন্নয়ন পরিদর্শক' হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন। অবসরের কাছাকাছি চলে এসেছে। এই দুইজনের গল্প করি আজকে।

একজন ধর্মপুর ইউনিয়নে কাজ করেন, আরেকজন কাজ করেন বখতপুর ইউনিয়নে। স্থানীয়ভাবে এরা ডাক্তার হিসেবে বিখ্যাত। গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আমি ভিজিট করতে যেতাম সুপর্ণা বড়ুয়াকে। আমার সাথে ভালই সম্পর্ক। গিয়ে দেখতাম রোগীরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে, আর সে তার ব্যক্তিগত আয়াকে দিয়ে চা-নাস্তা বানিয়ে খাচ্ছে। আমি গিয়ে বাইরে দাঁড়াতে চাইলেও ডেকে চেম্বারে ঢুকিয়ে ফেলতেন। চা-নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। আমি কোম্পানির দেওয়া গিফট দিয়ে ভিজিট করতাম। রোগীদের দিকে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। কোন রোগী চেম্বারে ঢুকার জন্য আগ্রহ দেখালেই রাগ দেখিয়ে কথা বলেন। তারপর তার মর্জি অনুযায়ী ডাকতেন। তাকিয়ে দেখি প্রায় সবার কাছ থেকে ফি নেয়। অফিস টাইমে সরকারি অফিসে বসে গাইনি চিকিৎসক হিসেবে প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে ১০০ টাকা করে ফি নেয়!

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ডিউটি কতক্ষণ তা আমার জানা নাই। কিন্তু তাকে একটার পরে কদাচিৎ অফিসে দেখা যায়। বাসার সাথে লাগানো প্রাইভেট চেম্বার আছে। সেখানে বিকেলের দিকে রোগীর সিরিয়াল বসে। রোগীদের ধারণা তারা শ্রেষ্ঠ ডাক্তারের কাছে আসেন। যথারীতি প্রাইভেট চেম্বারেও রোগীদের সাথে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মত আচরণ করেন। তবুও তারা খুশি। কারণ, শ্রেষ্ঠ গাইনি চিকিৎসকের সেবা পাওয়া যাচ্ছে নিজের এলাকাতেই। তাও মাত্র ২০০ টাকা ফি।

সুপর্ণা কোন ডাক্তার না। ধাত্রী ও নারী স্বাস্থ্যের উপরে একটা ট্রেইনিং দিয়ে তাদেরকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। আর সে হয়ে গেছে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

সুপর্ণাকে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি টাকা দেয় মাসে ১২০০০ টাকা। এরিস্টোফার্মা, অপসোনিন, রেডিয়েন্ট, স্কয়ার, এসকেএফ, ম্যাক্স কোম্পানি দেয় গড়ে ৫০০০ টাকা। এছাড়াও তার বিশেষ চাহিদা মিটাতে হয় হঠাৎ হঠাৎ। বাড়িতে ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে? কোন সমস্যা নাই। কোন না কোন এক কোম্পানি কিনে দেয়। মোবাইল নষ্ট হয়ে গেছে? তাও দেয়। হেলথকেয়ার থেকে আমি নিজে একবার ১৫০০০ টাকা দিয়েছিলাম মোবাইলের জন্য।

এত দ্রুত অবাক হবেন না প্লিজ। হাটহাজারি থেকে শুরু করে ফটিকছড়ি পর্যন্ত যত হাসপাতাল আছে তারা সবাইতো আসেই, সাথে চট্টগ্রাম শহরের শেভরণ পর্যন্ত তার কাছে মার্কেটিং করতে আসে। প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য সবাই এসে অনুরোধ করেন। রোগী পাঠালেই মাস শেষে কমিশন চলে আসে খামে ভরে।

এই অ-শিক্ষিত মহিলা ডাক্তারি করে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের সাথে কীরকম আচরণ করে তা একটু বলি এবার। একদিন কল দিয়ে আমাকে চেম্বারে ডাকল। গেলাম। হাতে ১ লাখ টাকার চেক একটা ধরিয়ে দিয়ে বলল রাউজান থেকে টাকা উঠিয়ে তাকে এনে দিতে। দিলাম। আরেকদিন আবার কল দিল। বাজারে যেতে বলল। গেলাম। মাছ ও তরকারির ব্যাগ একটা ধরিয়ে দিয়ে তার ভাগনির বাসায় দিয়ে আসার জন্য বলল। অনেক কিছু করা গেলেও অনেক কিছু আবার করা যায় না। বাধ্য হয়ে দিয়ে আসছিলাম।

সুপর্ণা নিজের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল ভারতে। সেখানে তাকে এন্টিহিস্টামিন লিখেছিল অলপাটাডিন। বাংলাদেশের বাজারে তখনও অলপাটাডিন আসেনি। অবশ্যই চোখের ড্রপ ছিল। হঠাৎ তার অসুখ বেড়ে যাওয়ায় ইন্ডিয়ান প্রেসক্রিপশনের ঔষধগুলি খেতে গিয়ে অলপাটাডিন ট্যাবলেটটা কী তা বুঝতে না পেরে আমাকে কল দিয়ে বাসায় যেতে বলল। অলপাটাডিন যে এন্টিহিস্টামিন তা সে জানেই না। অথচ গুগল করলেও সব জানা যায়।

একটা প্রোগ্রামে বক্তব্য দিতে হবে। নব্বইয়ের দশকে এসএসসি পাশ করেছিল। ব্যাচমেটরা শহরে মিলনমেলার আয়োজন করেন। সেখানে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য দিতে হবে। আমাকে ডাক দিল। বক্তব্য লিখে দিতে। তার স্কুল, তার বন্ধু-বান্ধব। নব্বইয়ের দশকে আমি যখন শিশু তখনকার সময়ে এসএসসি পাশ করা সুপর্ণার স্মৃতি নিয়ে আমাকে বক্তব্য লিখে দিতে হবে। দিয়েছিলামও।

বঙ্গে কারা ডাক্তারি করে তার একটি চিত্র দেখালাম জাস্ট। আমি যদি কি_ম জং উ-ন হতাম তাহলে পারমাণবিক বো*_মা মেরে আগে ব-ঙ্গ-কে দুনিয়া থেকে বি-লুপ্ত করে দিতাম।

~ মামুন আল আজাদ!

ইতিহাস সবার জানা উচিত,  বাচ্চাদের জন্য নিজের ওয়ালে জমা রাখলাম। # # #ইহুদী ধর্মের জাতির পিতা এবং ইসলাম ধর্মের জাতির পিতা ...
28/06/2025

ইতিহাস সবার জানা উচিত, বাচ্চাদের জন্য নিজের ওয়ালে জমা রাখলাম।
# # #
ইহুদী ধর্মের জাতির পিতা এবং ইসলাম ধর্মের জাতির পিতা একজন ই, হযরত ইবরাহীম(আঃ)।
ইবরাহীম(আঃ) এর দুই পুত্র, ইসহাক(আঃ) আর ইসমাইল(আঃ)।

হয়রত ইসহাক(আঃ) এর পুত্র ছিলেন হযরত ইয়াকুব(আঃ), উনার আরেক নাম ইস/রা/ইল। এই ইয়াকুব(আঃ) এর বংশকে আল্লাহ্ তা'আলা বনি-ই/সরা/ইল নামে সম্বোধন করেছেন।

হযরত ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১জনের নাম ছিলো ইয়াহুদা। এই ইয়াহুদা এর বংশই পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করে।
তাই, বনি-ই/সরা/ইল এর আরেক নাম ই/হু/দী।

ই/হু/দী ধর্ম আর বংশ দুটো আলাদা।
সব ইহুদী বংশের লোক ইহুদী ধর্মের হলেও সব ইহুদী ধর্মের লোক ই ইয়াহুদার বংশ নয়।
এই ইয়াহুদা ই কিন্তু তার আপন ভাই ইউসুফ(আঃ) কে কূপে ফেলে হত্যা করতে চেয়েছিল!

৪ হাজার বছর আগে ইসহাক(আঃ) এর মৃত্যুর পর ইয়াকুব(আঃ) আল্লাহ্‌'র নির্দেশে শামনগরী (সিরিয়া) থেকে কেনানে হিজরত করেন। এই কেনান ই বর্তমানের ফিলিস্তিন।

এরপর কেনানে (ফিলিস্তিন) দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ইয়াহুদা তার সব ভাই এর সাথে মিশরে চলে যায় এবং মিশরে বসবাস শুরু করে।

মিশরের তখনকার রাজা ছিলেন ইউসুফ(আঃ), যিনি ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১১তম। সেই কারণে ইয়াহুদা ও তার বংশ মিশরে অনেক দাপটের সাথে থাকতে শুরু করে।

তারপর কালের পরিক্রমায় ক্ষমতা যায় ফারাও রাজাদের হাতে। ফেরাউন এসে বনি-ই/সরা/ইলদের এত অত্যাচার শুরু করে যে এরা সারাদিন 'ইয়া নাফসী' 'ইয়া নফসী' করতো।
তখন আল্লাহ্ তাদের কাছে পাঠালেন মূসা(আঃ) আর তাওরাত কিতাব। মুসা(আঃ) ফেরাউনকে নীলনদে ডুবানোর মাধ্যমে বনি-ই/সরা/ইল মুক্তি পায়।

তারপর মূসা(আঃ) সবাইকে নিয়ে কেনানে (ফিলিস্তিন) ফিরে যান। পরে তারা সেখানে গিয়ে আল্লাহ্‌'র অশেষ রহমত পাওয়া সত্ত্বেও মুসা(আঃ) এর ওফাতের পর আবার আল্লাহ্‌ কে ভুলে যায়, গরুপূজা সহ নানা রকম অনাচার শুরু করে।

তারপর তাদের মধ্যে ক্ষমতার লোভে নিজেদের একতা ভেঙ্গে যায়, ভিনদেশীরা তাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের আবার গোলাম বানিয়ে অত্যাচার করতে থাকে।
এর ১০০বছর পরে দাউদ(আঃ) আর উনার ছেলে সুলাইমান(আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আবারও এই অত্যাচার থেকে তাদেরকে মুক্তি দেন।

কিন্তু সুলাইমান(আঃ) এর মৃত্যুর পর ই/হু/দীরা আবার শয়তানের পূজা শুরু করে। তাদের ভিতরে থাকা ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাওরাত কিতাবের মধ্যে নিজেদের সুবিধামত সংযোজন-বিয়োজন করার মতন ধৃষ্টতা দেখায়।
তারা তাওরাতে সংযোজন করে যে, "আল্লাহ্ তায়ালা ইসহাক(আঃ) এর স্বপ্নে কেনানকে ইহুদীদের জন্য প্রমিজ ল্যান্ড হিসেবে দিয়েছেন, এটা তাদের জয় করে নিতে হবে।"
এটাকে তারা 'জেকব লেডার ড্রিম' বলে।

তাদের এমন নির্লজ্জতা ও ধৃষ্টতার কারণে তারা বারবার আল্লাহ্‌'র শা/স্তির মুখে পড়েছে। যেমনঃ
কখনো গৃহহীন হয়ে যাযাবরের মতো ঘুরেছে,
ব্যবিলনীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা গণহ/ত্যার শিকার হয়েছে,
রোমান সাম্রাজ্যের দ্বারা সিরিয়া থেকে আরব দেশে বিতাড়িত হয়েছে।
মহানবী(সাঃ) এর সময় তারা আরব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে চলে যায় ইউরোপে।
আর উমার(রা:) ফিলিস্তিন ও আল-আকসা বিজয় করেন।
আজ ইস/রা/য়েলের এতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইউরোপও তখন তাদেরকে আশ্রয় দেয়নি।

বনি-ইস/রা/ইলের এমন পরিণতির কারণ আল্লাহ তায়ালা এর শা/স্তির পাশাপাশি তাদের ব্যবহার!
তখনকার লোকদের ভাষ্যমতে, তারা অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ ছিল।
তাদেরকে যে জায়গায় আশ্রয় দেয়া হতো সেই জায়গাতেই তারা তাদের প্রতিবেশীর জমি দখল করতো!

ই/হু/দীরা বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ছিল আর তাদের ব্যবসা অন্যদের থেকে কৌশলগতভাবে আলাদা ছিলো, যার কারণে যাযাবরের মতো ঘুরলেও তাদের অর্থ-সম্পদ ভালোই ছিল। সেই অর্থ-সম্পদ এর দাপট দেখিয়ে তারা সেইসব এলাকার স্থানীয় লোকদের উপরই ছড়ি ঘুরাতো।
তাই তারা সেইসব এলাকার রাজা ও বাসিন্দাদের দ্বারা বার বার বিতাড়িত হতো।

বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করার পর তারা একসময় বুঝতে পারে যে, যেকোনো সমাজকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে শিক্ষা ও অর্থের বিকল্প নেই।
তাই তারা শিক্ষা অর্জন ও অর্থ উপার্জনের উপর গুরুত্ব দেয়।
তারা বিশ্বাস করে, কেনান তাদের জন্য সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভূমি।
তারা এটাও বিশ্বাস করে যে, একসময় তাদের একজন মসিয়াহ্‌(দাজ্জাল) এসে তাদের এই ভূমিকে উদ্ধার করে দিবে।

১৮ শতাব্দীতে ই/হু/দীরা তাদের ধর্ম-পরিচয় গোপন করে ইউরোপে বসবাস শুরু করে।
তখন থিওডোর হার্জেল নামে তাদেরই একজন ব্যবসায়ী ফিলিস্তিনকে নিজেদের দখলে আনার লক্ষ্যে ১৮৯৭ সালে জিওনিজম আন্দোলন শুরু করে ই/হু/দীদেরকে আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখানো শুরু করে।
এই আন্দোলনকে যারা সমর্থন করে, তাদেরকে জিওনিস্ট বলে।

যেহেতু ই/হু/দীরা অনেক শিক্ষা অর্জন আর অর্থ উপার্জন করেছিলো, তাই তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ ইউরোপে ধর্ম গোপন করে থাকলেও কেউ কেউ মেধার জোরে ইউরোপে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করতে, বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে শুরু করে।
তখন তারা শুধুমাত্র পদ দখল করেই থেমে থাকেনি, সেই সাথে নিজেদের একটা রাষ্ট্র গঠনেও প্রচুর সমর্থন সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে থাকে।

তখন ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো, তাদেরকে আফ্রিকার উগান্ডায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
ঠিক এমন সময় শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে যুক্তরাজ্য নিজেদের অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য এক ধরনের গ্লিসারিন ইউজ করতো, যেটা আসতো জার্মানি থেকে।
কিন্তু যুদ্ধের সময় জার্মানি যুক্তরাজ্যের বিপক্ষে থাকায় গ্লিসারিন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

তখন যুক্তরাজ্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে চাইম ওয়াইজম্যান নামক একজন ই/হু/দী গবেষক ও ব্যবসায়ী। তিনি গ্লিসারিন এর বদলে এসিটোন দিয়ে অস্ত্র সংরক্ষণের পদ্ধতি শিখিয়ে দেন এবং যুদ্ধে প্রচুর অর্থ সহায়তা দেন।
তার এমন অভুতপূর্ব অবদানের জন্য যুদ্ধের পর যুক্তরাজ্য যখন তাকে পুরস্কৃত করতে চায়, তখন সে জানায় যে তার একমাত্র পুরস্কার হবে তাদের প্রমিজল্যান্ড মানে ফিলিস্তিনে তাদের বসবাসের সুযোগ করে দেয়া!
এখানে উল্লেখ্য, চাইম ছিলেন জিওনিজম আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

ফিলিস্তিন তখন ছিল উসমানী সালতানাতের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর তুরস্কের ক্ষমতা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়। সেই সুযোগে ধাপে ধাপে ই/হু/দীরা ফিলিস্তিনে প্রবেশ করতে থাকে।
প্রথমে তারা ফিলিস্তিনিদের কাছে ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করে, তারপর বেশি দামের লোভ দেখিয়ে সেগুলো কিনতে থাকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি পরাজয়ের পর পুরো বিশ্বের ক্ষমতা ইউরোপের হাতে চলে যায়।
ই/হু/দীরা তখন স্থানীয় ফিলিস্তিনিদেরকে অত্যাচার-জোর-জবরদস্তি করা শুরু করলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ করে।

তখনই ইউরোপ থেকে ঘোষণা আসে, পুরো ফিলিস্তিনের ৫৫ ভাগ থাকবে ফিলিস্তিনিদের দখলে আর বাকি ৪৫ ভাগ হবে ই/হু/দীদের।
৬লাখ ই/হু/দীর জন্য ৪৫% আর ১২কোটি ফিলিস্তিনির জন্য ৫৫% জায়গা!

জাতিসংঘ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার পর ই/হু/দীরা ইজ/রা/য়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।নবগঠিত এই রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয় চাইম ওয়াইজম্যান।

ইজ/রায়ে/ল রাষ্ট্র গঠন হওয়ার ঠিক ৬ মিনিটের মধ্যে আমেরিকা তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়!

আর এভাবেই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে তারা ইয়াকুব(আঃ) এর সাথে কেনানে আসা যাযাবর থেকে আজকে গাজাকে ধ্বংসকারী দানবে পরিণত হয়েছে!

আর বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানেরা মুখে কুলুপ এঁটে চুপ করে বসে আছেন আর চোখে ঠুঁলি পরে সবকিছুকে না দেখার ভান করছেন!

আল্লাহ, ফিলিস্তিনের জনগণকে রক্ষা করো। আমিন

সংগৃহীত।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শিশু ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরামর্শ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share