
19/08/2025
হোমিওপ্যাথিক ছাত্র শিক্ষক চিকিৎসক এবং হোমিও নেতৃবৃন্দের জ্ঞাতার্থেঃ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জুজুর ভয় দেখায় স্বাস্থ্যের বিএমডিসি!
ডা.হেমন্ত দাস
সদস্য,হোমিও পেশাজীবি সমিতি(হোপেস)বাংলাদেশ।
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,
দৈনিক হুংকার।
বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদে হোমিওপ্যাথিক আইন পাশ হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে।সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ করিয়া সর্বসাধারণের অবগতির জন্য ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর গেজেটভুক্ত হয়।
এই আইন ২০২৩ সনের ৬৩ নং আইন।
Bangladesh Homoeopathic Practitioners Ordinance,1983
রহিতক্রমে সময়োপযোগী করিয়া নুতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, Bangladesh Homoeopathic Practitioners Ordinance,1983(Ordinance No. XLI of 1983) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নুতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হল:-
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।-
(১) এই আইন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন,২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। সংজ্ঞা।-বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(১) "কাউন্সিল" অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল;
(৩) "গভর্নিং বডি" অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত গভর্নিং বডি;
(৪) "চেয়ারম্যান" অর্থ ধারা ১২ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নির্বাহী চেয়ারম্যান;
(১১) "রেজিস্ট্রার" অর্থ কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার;
(১৩) "হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (Homoeopathic Doctor)" অর্থ এই আইনের অধীন নিবন্ধিত কোনো হোমিওপ্যাথিক ডা.;
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় কিছুদিন পর পর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জুজুর ভয় দেখায় বিএমডিসি।দেখতে পাচ্ছি বিএমডিসি তাদের মনমতো একটি করে নোটিশ দিয়ে হয়রানি করে আসছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের।জাতীয় সংসদে পাশকৃত একটি আইনের বিরুদ্ধে এমন নোটিশে বিএমডিসি কোন ক্ষমতাবলে বলেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ তাদের নামের পূর্বে ডা. লিখতে পারবেন না, মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা আইনগত অপরাধ এবং যা নিন্দনীয় কাজ।
আমরা আশা করি অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে মহান জাতীয় সংসদকে সম্মান দেখাবে বিএমডিসি।
যে মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বিএমডিসি সেই মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও ঐ মন্ত্রণালয়েরই একজন উপসচিব রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছেন।একই মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বে থাকাকালীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের এধরণের হেনস্তার স্বীকার হতে হওয়ার কারণের দ্বায়, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রার মহোদয় এড়াতে পারেনা বলে মনে করছি।
উপরিউক্ত কর্মকর্তাগণ দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে যদি হোমিওপ্যাথিক ছাত্র শিক্ষক চিকিৎসকদের স্বার্থ রক্ষা না হয়, তবে সে পদ থেকে সরে গিয়ে হোমিওপ্যাথদের সে পদে বসানোর দাবি জানাই।
ডা.হেমন্ত দাস
সদস্য
হোমিও পেশাজীবি সমিতি(হোপেস)বাংলাদেশ।
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক হুংকার।