Dr.Shahjalal Mahi

Dr.Shahjalal Mahi Hi,This is,MD.shahjalal mahi Im a video content.creator পেজটিকে ফলো করুন, প্রতিদিন ভিডিও দেখুন।

19/08/2025

হোমিওপ্যাথিতে "সাইকোসিস" (Sycosis) একটি গভীর মিয়াজম্যাটিক (miasmatic) অবস্থার নাম, যা রোগের একধরনের মৌলিক গঠনমূলক ধারা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি শুধু মানসিক রোগ বোঝায় না—বরং এটি শরীর ও মনের গভীর স্তরের বিকৃতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই ধারণাটি হ্যানেমান তাঁর "ক্রনিক ডিজিজেস" (Chronic Diseases) তত্ত্বে বিশ্লেষণ করেছেন।

---

🔬 সাইকোসিস কী? (Sycosis Explained)

সাইকোসিস হচ্ছে একটি ক্রনিক মিয়াজম, যার মূল বৈশিষ্ট্য হলো অতিরিক্ত গঠন (overgrowth) এবং অতিরিক্ত সিক্রেশন (over-secretion)। এর মূল ভিত্তি হলো সিফিলিটিক বা গনোরিয়াল ইনফেকশন – যা হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গিতে "সাইকোটিক মিয়াজম" তৈরি করে।

---

🧬 সাইকোসিসের বৈশিষ্ট্য:

1. অতিরিক্ততা (Excessiveness):

শারীরিক গঠনে অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়।

যেমন: ওয়ার্ট (warts), পলিপ, টিউমার, ফিস্টুলা, হাইপারট্রফি।

2. নির্গমন প্রবণতা (Discharges):

ঘন, সাদা বা হলুদ রঙের কফ বা স্রাব (pus, catarrh)।

নাক, চোখ, যৌনাঙ্গ থেকে ঘন ও দুর্গন্ধযুক্ত নির্গমন।

3. ধর্মভীতির প্রবণতা:

অনেক রোগী অকারণ অপরাধবোধ, পাপবোধ, বা অতিমাত্রায় ধার্মিক হয়ে পড়ে।

4. মানসিক উপসর্গ:

সন্দেহপ্রবণতা, অপরাধবোধ, অহংকার বা আত্মবিশ্বাসের অতিরিক্ততা।

---

🧪 সাধারণ সাইকোটিক লক্ষণসমূহ:

শারীরিক মানসিক

ওয়ার্ট / পলিপ অপরাধবোধ
আর্থ্রাইটিস ধর্মীয় উন্মাদনা
হাঁপানি সন্দেহপ্রবণতা
পুরু সিক্রেশন আত্মবিশ্বাসের অভাব / অহংকার

---

🌿 হোমিওপ্যাথিতে সাইকোসিসের চিকিৎসা

সাইকোসিসের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রোগীর সম্পূর্ণ ইতিহাস, লক্ষণসমূহ, মিয়াজম্যাটিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিবেচনা করে ওষুধ নির্বাচন করেন।

সাধারণ সাইকোটিক ওষুধ:

Thuja occidentalis – ওয়ার্ট, ইউরিনারি সমস্যা, মানসিক ভয় ইত্যাদির জন্য।

Medorrhinum – গভীর সাইকোটিক মিয়াজমে ব্যবহৃত হয়।

Nitric acid – দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, ফিশার, ফিস্টুলা ইত্যাদির জন্য।

Natrum sulphuricum – হাঁপানি বা হেপাটিক কন্ডিশন।

---

📌 সংক্ষেপে:

সাইকোসিস মানে শুধু মানসিক সমস্যা নয়—এটি একটি গভীর মিয়াজম যা শরীর ও মনের নানা ধরণের বিকৃতি ঘটায়।

এটি সাধারণত অতিরিক্ততা ও সিক্রেশন দ্বারা চিহ্নিত হয়।

এর চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে রোগীর সম্পূর্ণ চিত্র বিচার করে করা হয়।

লেখক ডাঃ শাহজালাল মাহি

হোমিওপ্যাথিতে "সাইকোসিস" (Sycosis) একটি গভীর
4. মানসিক উপসর্গ:

সন্দেহপ্রবণতা, অপরাধবোধ, অহংকার বা আত্মবিশ্বাসের অতিরিক্ততা।

---

🧪 সাধারণ সাইকোটিক লক্ষণসমূহ:

শারীরিক মানসিক

ওয়ার্ট / পলিপ অপরাধবোধ
আর্থ্রাইটিস ধর্মীয় উন্মাদনা
হাঁপানি সন্দেহপ্রবণতা
পুরু সিক্রেশন আত্মবিশ্বাসের অভাব / অহংকার

---

🌿 হোমিওপ্যাথিতে সাইকোসিসের চিকিৎসা

সাইকোসিসের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রোগীর সম্পূর্ণ ইতিহাস, লক্ষণসমূহ, মিয়াজম্যাটিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিবেচনা করে ওষুধ নির্বাচন করেন।

সাধারণ সাইকোটিক ওষুধ:

Thuja occidentalis – ওয়ার্ট, ইউরিনারি সমস্যা, মানসিক ভয় ইত্যাদির জন্য।

Medorrhinum – গভীর সাইকোটিক মিয়াজমে ব্যবহৃত হয়।

Nitric acid – দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, ফিশার, ফিস্টুলা ইত্যাদির জন্য।

Natrum sulphuricum – হাঁপানি বা হেপাটিক কন্ডিশন।

---

📌 সংক্ষেপে:

সাইকোসিস মানে শুধু মানসিক সমস্যা নয়—এটি একটি গভীর মিয়াজম যা শরীর ও মনের নানা ধরণের বিকৃতি ঘটায়।

এটি সাধারণত অতিরিক্ততা ও সিক্রেশন দ্বারা চিহ্নিত হয়।

এর চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে রোগীর সম্পূর্ণ চিত্র বিচার করে করা হয়।
লেখক ডঃ শাহজালাল মাহি https://www.facebook.com/drshahjalalmahi

18/08/2025

🍽️ খাবারের গুণাগুণের প্রধান দিকগুলো

১. পুষ্টিগুণ (Nutritional Value)

খাবারের মধ্যে যে পুষ্টি উপাদানগুলো থাকে, যেমন:

প্রোটিন: শরীর গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় (মাছ, মাংস, ডাল)

কার্বোহাইড্রেট: শক্তির উৎস (ভাত, রুটি, আলু)

চর্বি: শক্তি দেয় এবং ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে (তেল, ঘি, বাদাম)

ভিটামিন ও খনিজ: শরীরের নানা কার্যক্রম ঠিক রাখতে সাহায্য করে (সবজি, ফল, দুধ)

২. স্বাস্থ্য উপকারিতা

খাদ্যটি স্বাস্থ্যকর কিনা

এটি হজমযোগ্য কিনা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কিনা (যেমন হলুদ, আদা, লেবু ইত্যাদি)

৩. নিরাপত্তা ও বিশুদ্ধতা

খাবারে কোনো ভেজাল আছে কি না

রাসায়নিক বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে কিনা

সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়েছে কি না

৪. স্বাদ ও গন্ধ

খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও রঙ এর মানও গুণাগুণের অংশ। এটা খাবারের আকর্ষণ বাড়ায়।

৫. পচন ও নষ্ট হওয়ার ক্ষমতা

কিছু খাবার সহজে পচে যায় (যেমন দুধ, মাছ)

কিছু খাবার দীর্ঘদিন ভালো থাকে (যেমন ডাল, চাল, মসলা)

---

🥗 উদাহরণ:

খাবার প্রধান উপাদান উপকারিতা

ভাত কার্বোহাইড্রেট শক্তি দেয়
ডিম প্রোটিন, ভিটামিন শরীর গঠনে সাহায্য করে
ফল ভিটামিন, ফাইবার হজম ভালো করে, রোগ প্রতিরোধ করে
সবজি ভিটামিন, খনিজ স্বাস্থ্য ভালো রাখে

লেখক

ডক্টর শাহজালাল মাহি
---
https://www.facebook.com/drshahjalalmahi

Hi,This is,MD.shahjalal mahi Im a video content.creator পেজটিকে ফলো করুন, প্রতিদিন ভিডিও দেখুন।

16/08/2025

আপনি বেশি বেশি করে ইস্তেগফার করুন আপনার সকল মুশকিল আহসান হবে।
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

ধৈর্য (বা সহনশীলতা) একটি অমূল্য মানসিক গুণ, যা মানুষের ব্যক্তিত্ব, মনোসংযম এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের পরিচায়ক। এটি শুধু কোনো পর...
12/08/2025

ধৈর্য (বা সহনশীলতা) একটি অমূল্য মানসিক গুণ, যা মানুষের ব্যক্তিত্ব, মনোসংযম এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের পরিচায়ক। এটি শুধু কোনো পরিস্থিতিতে স্থির থাকা নয়, বরং কষ্ট, প্রতিকূলতা কিংবা দীর্ঘ প্রতীক্ষার মাঝেও শান্ত ও সংযত থাকার ক্ষমতা। নিচে ধৈর্য নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো:

---

🔹 ধৈর্যের

ধৈর্য হলো সেই মানসিক শক্তি বা গুণ, যা মানুষকে প্রতিকূল অবস্থাতেও শান্ত, সংযত ও সহনশীল থাকতে সহায়তা করে। এটি এমন এক শক্তি, যা ব্যক্তি নিজের আবেগ, ক্রোধ বা হতাশাকে নিয়ন্ত্রণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়।

---

🔹 ধৈর্যের

1. ব্যক্তিগত উন্নয়নে: ধৈর্যবান ব্যক্তি জীবনের যেকোনো সমস্যার মোকাবিলা ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে করতে পারেন। এটি তার আত্মবিশ্বাস এবং আত্মনিয়ন্ত্রণকে বাড়িয়ে তোলে।

2. সম্পর্ক রক্ষায়: ধৈর্য সম্পর্কের মাঝে বোঝাপড়া, সহানুভূতি এবং ক্ষমাশীলতা বাড়ায়। বন্ধু, পরিবার বা কর্মক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

3. সাফল্যের চাবিকাঠি: ধৈর্য ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। অনেক সময় ফল পেতে সময় লাগে, এবং সেই প্রতীক্ষার সময়টুকুতে ধৈর্যই মানুষকে চালিয়ে নেয়।

4. মানসিক শান্তির জন্য: ধৈর্যবান মানুষ হঠাৎ রাগ বা আবেগে প্রভাবিত হন না। এতে তারা মানসিকভাবে অনেক বেশি স্থির ও শান্ত থাকেন।

---

🔹 ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ধৈর্য:

ইসলামে: ধৈর্যকে "সবর" বলা হয়। কোরআনে বহুবার ধৈর্য ধারণের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন বলে উল্লেখ রয়েছে (সূরা বাকারা ১৫৩)।

হিন্দুধর্মে: ধৈর্য বা "ধৃতি" এক মহৎ গুণ হিসেবে বিবেচিত। ভগবদ গীতায় বলা হয়েছে, কেবল ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই মোক্ষ বা মুক্তি সম্ভব।

বৌদ্ধধর্মে: ধৈর্য হলো পারমিতা বা পরম গুণগুলোর একটি। এটি আত্মশুদ্ধির একটি অপরিহার্য অংশ।

---

🔹 ধৈর্য অর্জনের উপায়:

1. নিয়মিত ধ্যান ও প্রার্থনা: মানসিক প্রশান্তি ধৈর্য বাড়াতে সাহায্য করে।

2. ছোটখাটো বিষয়কে বড় করে না দেখা: সবসময় নিজেকে প্রশ্ন করুন—"এটা কি সত্যিই এত গুরুত্বপূর্ণ?"

3. নিয়মিত আত্মবিশ্লেষণ: নিজের প্রতিক্রিয়া, রাগ বা অস্থিরতার কারণ খুঁজে বের করুন।

4. সময় নিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে: হঠাৎ সিদ্ধান্তে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।

5. নেতিবাচক পরিস্থিতিকে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখুন: প্রতিটি বাধা আপনাকে কিছু না কিছু শেখায়।

---

🔹 ধৈর্যের ফল:

সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ

জীবনে স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য

সম্পর্কের স্থায়িত্ব

আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বৃদ্ধি

মানসিক প্রশান্তি ও সুখ

-

ধৈর্য কেবল সহ্য করার ক্ষমতা নয়, এটি একজন মানুষের পরিপক্বতা, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের মাপকাঠি। এটি অর্জন সহজ নয়, কিন্তু যার মধ্যে এই গুণ আছে, সে জীবনের যেকোনো চ্যালেঞ্জকে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত জীবনে ধৈর্যচর্চা করা এবং নিজেকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করা।

-লেখক ডঃ শাহজালাল মাহি

12/08/2025

ফুসফুস কি

---

🫁 ফুসফুসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা:

১. অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন:

আমরা যখন শ্বাস নেই, তখন বাতাসের অক্সিজেন ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করে।

রক্তের মাধ্যমে এই অক্সিজেন শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে যায়।

কোষসমূহ অক্সিজেন ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করে এবং এই প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়।

ফুসফুস সেই কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয় শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে।

২. অ্যাসিড-বেস ভারসাম্য রক্ষা:

রক্তে pH বা অ্যাসিড-বেস ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে ফুসফুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড শরীরে অ্যাসিডিক পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা ফুসফুসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।

৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:

ফুসফুসে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কিছু হরমোন যেমন ACE (Angiotensin Converting Enzyme) তৈরি হয়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

৪. ফিল্টার হিসেবে কাজ:

ফুসফুস রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর কণা বা ছোট জমাট বাঁধা উপাদানগুলিকে আটকাতে সাহায্য করে, যা হৃৎপিণ্ডে বা মস্তিষ্কে পৌঁছালে মারাত্মক হতে পারত।

৫. আবরণ সিস্টেমের অংশ হিসেবে:

ফুসফুস রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর অভ্যন্তরের মিউকাস ও সিলিয়া (ক্ষুদ্র চুলের মতো গঠন) ধুলা, জীবাণু ও অন্যান্য অশুদ্ধি দূর করতে সাহায্য করে।

---

🛑 ফুসফুসের ক্ষতির ফলাফল:

যদি ফুসফুস ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

এতে শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি এবং দীর্ঘমেয়াদে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

---



ফুসফুস আমাদের দেহের জীবন রক্ষাকারী একটি অঙ্গ। এর সঠিক কার্যকারিতা আমাদের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। তাই ধূমপান পরিহার, দূষণ থেকে রক্ষা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ফুসফুস সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

-

শক্তি এবং মেধার মধ্যে পার্থক্যমানবজীবনের সফলতার জন্য শক্তি এবং মেধা—দুইটি উপাদানই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই দুইটির প্রকৃতি, প...
12/08/2025

শক্তি এবং মেধার মধ্যে পার্থক্য

মানবজীবনের সফলতার জন্য শক্তি এবং মেধা—দুইটি উপাদানই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই দুইটির প্রকৃতি, প্রভাব এবং প্রয়োগের ধরনে রয়েছে স্পষ্ট পার্থক্য। চলুন, শক্তি এবং মেধার মধ্যে সেই পার্থক্য নিয়ে একটু সুন্দরভাবে আলোচনা করি।

---

🔹 শক্তি কী?

শক্তি বলতে আমরা সাধারণত শারীরিক, মানসিক বা আর্থিক ক্ষমতাকে বুঝি যা দিয়ে মানুষ কাজ করতে পারে, প্রতিবন্ধকতা জয় করতে পারে বা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারে। শক্তি অনেক সময় বাহ্যিক হয় এবং তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলে। যেমন—শারীরিক শক্তি দিয়ে একজন শ্রমিক সারাদিন পরিশ্রম করতে পারেন, বা রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে কেউ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারেন।

---

🔹 মেধা কী?

মেধা হলো মানুষের চিন্তাশক্তি, বুদ্ধিমত্তা, সৃজনশীলতা এবং শেখার ক্ষমতা। এটি একধরনের অভ্যন্তরীণ গুণ, যা মানুষকে কৌশলগতভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। মেধা একজনকে সমস্যার সঠিক সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করে, যেখানে শক্তি হয়ত শুধুমাত্র প্রতিক্রিয়ায় কাজ করে।

---

🔹 মূল পার্থক্যসমূহ

বিষয় শক্তি মেধা

প্রকৃতি বাহ্যিক ও দৃশ্যমান অভ্যন্তরীণ ও সূক্ষ্ম
প্রভাব তাৎক্ষণিক স্থায়ী ও গভীর
ব্যবহার পরিশ্রম বা বল প্রয়োগ পরিকল্পনা, বিশ্লেষণ ও কৌশল
নিয়ন্ত্রণ শক্তি প্রয়োগে সীমা থাকতে পারে মেধার উন্নয়ন প্রায় সীমাহীন
পরিণাম হয়ত ভয় বা বাধ্যতা তৈরি করে শ্রদ্ধা ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে

---

🔹 প্রতিযোগিতায় শক্তি বনাম মেধা

শুধু শক্তি দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সফলতা অর্জন সম্ভব নয়, যদি না তার সঙ্গে মেধা যুক্ত হয়। একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি তার মেধা দিয়ে কম পরিশ্রমেও বেশি ফল পেতে পারে, যেখানে একজন শুধুমাত্র শক্তিশালী ব্যক্তি হয়ত বেশি পরিশ্রম করেও কাঙ্ক্ষিত ফল না পেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি কঠিন গিঁট কেউ যদি কেবল টানাটানিতে খোলার চেষ্টা করে (শক্তি), তবে তা আরও জটিল হতে পারে। কিন্তু যদি কেউ ধৈর্য ধরে বুঝে গিঁট খুলে (মেধা), তবে তা সহজেই সম্ভব।

---

🔹

শক্তি এবং মেধা — উভয়ই জীবনের প্রয়োজনীয় অংশ। তবে শক্তির সঠিক ব্যবহার তখনই সম্ভব, যখন তার পেছনে থাকে মেধার সঠিক দিকনির্দেশনা। তাই বলা যায়, শক্তি প্রয়োজন কাজের গতি বাড়ানোর জন্য, আর মেধা প্রয়োজন সঠিক পথে কাজ করার জন্য। প্রকৃত সফলতা আসে তখনই, যখন মেধা ও শক্তি একসাথে কাজ করে।

---

"মেধা শক্তিকে পথ দেখায়, আর শক্তি মেধার নির্দেশে এগিয়ে চলে — এই সমন্বয়ই সাফল্যের আসল চাবিকাঠি।" 🌟

লেখক ডঃ শাহ জালাল মাহী

গরুর কলিজা (Beef Liver) হলো একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য, যা প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের দারুণ উৎস। এটি "সুপারফুড" নামেও ...
11/08/2025

গরুর কলিজা (Beef Liver) হলো একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য, যা প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের দারুণ উৎস। এটি "সুপারফুড" নামেও পরিচিত, কারণ এতে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। নিচে গরুর কলিজার প্রোটিন সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা তুলে ধরা হলো:

---

🧬 গরুর কলিজায় থাকা প্রোটিনসমূহ

গরুর কলিজায় প্রধানত পূর্ণমানের প্রোটিন (complete protein) রয়েছে। অর্থাৎ এতে মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ৯টি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড (essential amino acids) সম্পূর্ণভাবে থাকে। এগুলো হলো:

1. লিউসিন (Leucine)

2. আইসোলিউসিন (Isoleucine)

3. লাইজিন (Lysine)

4. মেথিওনিন (Methionine)

5. ফেনিলএ্যালানিন (Phenylalanine)

6. থ্রিওনিন (Threonine)

7. ট্রিপটোফ্যান (Tryptophan)

8. ভ্যালিন (Valine)

9. হিস্টিডিন (Histidine)

এই প্রোটিনগুলো শরীরের কোষ গঠন, হরমোন উৎপাদন, ইমিউন ফাংশন এবং পেশি পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

---

🥩 গরুর কলিজা খাওয়ার উপকারিতা

✅ ১. প্রোটিন সমৃদ্ধ — পেশি ও টিস্যু গঠনে সহায়ক

প্রতিটি ১০০ গ্রাম গরুর কলিজায় প্রায় ২০–২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা শরীরের পেশি গঠন ও মেরামতের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

✅ ২. ভিটামিন A-এর উচ্চমাত্রা

গরুর কলিজা হলো ভিটামিন A (retinol)-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎস। এটি চোখের স্বাস্থ্য, ত্বকের সৌন্দর্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

✅ ৩. আয়রনের দুর্দান্ত উৎস

গরুর কলিজায় প্রচুর হিম আয়রন (heme iron) থাকে, যা সহজে শরীরে শোষিত হয়। এটি রক্তাল্পতা (anemia) প্রতিরোধে সাহায্য করে।

✅ ৪. ভিটামিন B12 ও B কমপ্লেক্স

গরুর কলিজা হলো ভিটামিন B12 এবং অন্যান্য B ভিটামিন যেমন B2 (riboflavin), B3 (niacin), B6-এর চমৎকার উৎস। এগুলো নার্ভ ফাংশন, রক্ত কোষ উৎপাদন, এবং শক্তি উৎপাদনে সহায়ক।

✅ ৫. জিঙ্ক, সেলেনিয়াম ও কপার-এর ভালো উৎস

এই খনিজগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, হরমোন ব্যালেন্স এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফাংশনে গুরুত্বপূর্ণ।

---
সাবধানতা:

গরুর কলিজা যতটা পুষ্টিকর, ততটাই পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ভিটামিন A গ্রহণ গর্ভবতী নারীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

যাদের হাই কোলেস্টেরল বা গাউট (gout) আছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।

---

লেখক ডঃ শাহজালাল মাহী
ডি এইচ এম এস (বি এইচ বি)ঢাকা হোমিওপ্যাথ

---ডাক্তার হ্যানিম্যান: হোমিওপ্যাথির জনকভূমিকা:হোমিওপ্যাথি আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। এই...
11/08/2025

---

ডাক্তার হ্যানিম্যান: হোমিওপ্যাথির জনক

ভূমিকা:

হোমিওপ্যাথি আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তক ছিলেন ডা. ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিখ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Dr. Christian Friedrich Samuel Hahnemann)। তিনি ছিলেন একজন জার্মান চিকিৎসক, রসায়নবিদ ও দার্শনিক। হ্যানিম্যান এমন একটি চিকিৎসাপদ্ধতি উপস্থাপন করেন, যেখানে রোগের চিকিৎসা রোগের অনুরূপ ওষুধ দিয়ে করা হয়—এই তত্ত্বকেই বলা হয় “Like cures like” অর্থাৎ “সদৃশ সদৃশকে নিরাময় করে”।

---

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন:

স্যামুয়েল হ্যানিম্যান জন্মগ্রহণ করেন ১০ এপ্রিল ১৭৫৫ সালে জার্মানির মেইসেন (Meissen), স্যাক্সনি-তে। তাঁর পিতার নাম ছিল ক্রিস্টিয়ান গটফ্রিড হ্যানিম্যান, যিনি একজন চিত্রশিল্পী ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই হ্যানিম্যান অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন এবং ভাষা ও বিজ্ঞানে বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছিলেন।

তিনি লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশোনা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে ১৭৭৯ সালে Erlangen University থেকে মেডিকেল ডিগ্রি লাভ করেন।

---

চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন পথের সন্ধান:

চিকিৎসা পেশায় প্রবেশের পর হ্যানিম্যান প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। সেই সময় চিকিৎসায় রক্তপাত, বিষাক্ত ধাতু (যেমন পারদ) ব্যবহার ইত্যাদি প্রথাগত পদ্ধতি রোগীর জন্য প্রায়ই ক্ষতিকর ছিল। তাই তিনি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির খোঁজে মনোনিবেশ করেন।

একবার ‘চিনছোনা (Cinchona)’ গাছের ছালের গুণাগুণ পরীক্ষা করার সময় তিনি লক্ষ করেন যে, এই ঔষধটি যদি সুস্থ ব্যক্তি গ্রহণ করেন, তাহলে সে ম্যালেরিয়ার মতো উপসর্গে ভুগতে থাকে। আবার, ম্যালেরিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ আরোগ্য প্রদান করে। এখান থেকেই তিনি ধারণা পান—যে ওষুধ সুস্থ মানুষের মধ্যে কোনও রোগের উপসর্গ তৈরি করতে পারে, সেই ওষুধ ক্ষুদ্রমাত্রায় দিলে রোগীর আরোগ্য ঘটতে পারে।

---

হোমিওপ্যাথির জন্ম:

১৮১০ সালে তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "Organon of the Rational Art of Healing" (পরবর্তীতে সংক্ষেপে “Organon of Medicine”) প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি হোমিওপ্যাথির মূল তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, "Similia Similibus Curentur" অর্থাৎ “Let like be cured by like”।

হ্যানিম্যান চিকিৎসার জন্য ওষুধের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মাত্রা ব্যবহার করতেন, যা তিনি নাম দেন "potentization" বা "dynamization"। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই ক্ষুদ্রমাত্রাই রোগ প্রতিরোধে শরীরকে উদ্দীপ্ত করে।

---

মৃত্যু:

ডা. হ্যানিম্যান তাঁর জীবনের শেষ সময় কাটিয়েছিলেন প্যারিসে। সেখানে তিনি বহু রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন এবং হোমিওপ্যাথিকে আরও জনপ্রিয় করেন। অবশেষে, তিনি ২ জুলাই ১৮৪৩ সালে প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন।

ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ছিলেন একজন দূরদর্শী চিকিৎসাবিজ্ঞানী, যিনি প্রচলিত ধ্যানধারণার বাইরে গিয়ে এক নতুন চিকিৎসাপদ্ধতির সূচনা করেছিলেন। আজ বিশ্বের বহু দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আস্থা রাখেন। হ্যানিম্যানের জীবন ও কাজ আজও চিকিৎসাজগতে প্রেরণার উৎস।

---
লেখক ডঃ শাহজালাল মাহী
ডি এইচ এম এস, (বি এইচ বি), ঢাকা হোমিওপ্যাথ

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি  , যার ভিত্তি "Like cures like" বা "সমান সমানকে নিরাময় করে" এই তত্ত্বের উ...
27/07/2025

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি , যার ভিত্তি "Like cures like" বা "সমান সমানকে নিরাময় করে" এই তত্ত্বের উপর। এই পদ্ধতিতে ধারণা করা হয়, কোনো পদার্থ যদি কোনো সুস্থ মানুষের মধ্যে নির্দিষ্ট উপসর্গ সৃষ্টি করে, তবে সেই পদার্থের অতি ক্ষুদ্র পরিমাণ (ডাইলিউটেড আকারে) ব্যবহার করে ঐ উপসর্গের চিকিৎসা করা যায়।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রধান বৈশিষ্ট্য:

1. উৎস: হোমিওপ্যাথি ওষুধ সাধারণত উদ্ভিদ, খনিজ ও প্রাণিজ উৎস থেকে তৈরি হয়।

2. অতি-মিশ্রণ (Dilution): ওষুধগুলি এতটাই মিশ্রিত বা ডাইলিউট করা হয় যে মূল পদার্থ প্রায় অণুর স্তরেও থাকেনা, কিন্তু বিশ্বাস করা হয় এটির “শক্তি” থেকে যায়।


3. ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসা: রোগের পাশাপাশি রোগী কী রকম অনুভব করছে তা বিবেচনা করে ওষুধ নির্ধারণ করা হয় — মানসিক অবস্থা, ঘুম, খাদ্যাভাস, আবহাওয়ার প্রতি প্রতিক্রিয়া ইত্যাদিও গুরুত্ব পায়।

4. সাইড ইফেক্ট কম: হোমিওপ্যাথিকে সাধারণত নিরাপদ ধরা হয় কারণ এতে কেমিক্যাল কম বা নেই বললেই চলে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সাধারণত ব্যবহৃত হয়:

সর্দি, কাশি, অ্যালার্জি

হজমের সমস্যা

ত্বকের সমস্যা (যেমন: একজিমা, ছুলি)

মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ইনসোমনিয়া

দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা বা অস্থিসন্ধির ব্যথা

শিশুদের সাধারণ অসুস্থতা
ক্যান্সার আলসার জন্ডিস লিভার সিরোসিস হার্নিয়া ব্রেন টিউমার
এজমা টিউমার ইত্যাদি পুরা মানবদেহের পুরো বডির হোমের ভেতর ওষুধ কার্যকারিত করে

লেখক ডাক্তার শাহজালাল মাহি
ডি এইচ এম এস বিএইচপি ঢাকা হোমিওপ্যা
রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত
চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন কনসাল্টাসন হিসাবে
যেকোনো জটিল ও কঠিন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক
মাহি হোমিও হেলথ কেয়ার
পীরগঞ্জ জাহাঙ্গীরাবাদ কদমতলী বাজার রংপুর #

ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ইনজেকশন এর মাধ্যমে নয় চিকিৎসা সেবানি হোমিওপ্যাথি ওষুধও এর মাধ্যমে। ও খাবারের মেনুর মাধ্যমে। ---🌿 চ...
24/07/2025

ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ইনজেকশন এর মাধ্যমে নয় চিকিৎসা সেবানি হোমিওপ্যাথি ওষুধও এর মাধ্যমে। ও খাবারের মেনুর মাধ্যমে।

---

🌿 চিকিৎসা একটি সমাধান — হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায়! 🌿

💊 প্রকৃতির ছোঁয়ায় সুস্থতা, হোমিওপ্যাথি আপনার নির্ভরতার নাম!

আপনার দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, থাইরয়েড, এলার্জি, হাঁপানি, নারীদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা কিংবা অনিদ্রা – এসব রোগ এখন আর কোনো দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা নয়।

"চিকিৎসা একটি সমাধান" ক্লিনিকে পাচ্ছেন আধুনিক ও পরীক্ষিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে রোগমুক্তির নিশ্চয়তা।
আমরা বিশ্বাস করি,
➡️ প্রতিটি রোগের মূলে রয়েছে শরীরের ভারসাম্যহীনতা
➡️ আর হোমিওপ্যাথি কাজ করে সেই মূলে গিয়ে

🔹 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত ওষুধ
🔹 ব্যক্তিনির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি
🔹 নিয়মিত ফলোআপ ও পরামর্শ
🔹 অনলাইন চিকিৎসা সুবিধা উপলব্ধ

👉 এখনই যোগাযোগ করুন এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ফিরে পান সুস্থ জীবন।

📞 যোগাযোগ: ০১৭৭৩৪৩০৩০৬
📍 ঠিকানা: [দশ মৌজা কদমতলী বাজার পীরগঞ্জ রংপুর ]
🌐 ওয়েবসাইট/ফেসবুক: মাহি হোমিও হেলথ কেয়ার ]

---

🩺 ডায়াবেটিস কত প্রকার এবং কী কী?

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ডায়াবেটিস মূলত রোগীর উপসর্গ ও কারণভেদে বিভিন্ন প্রকারে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। সাধারণভাবে, ডায়াবেটিস প্রধানত ২ প্রকার:

১. টাইপ ১ ডায়াবেটিস (Type 1 Diabetes)

এটি ইনসুলিন-নির্ভর ডায়াবেটিস।

সাধারণত কম বয়সে দেখা যায়।

প্যানক্রিয়াস ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।

হোমিওপ্যাথিতে রোগীর দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা জাগ্রত করার মাধ্যমে ইনসুলিন উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করা যায়।

২. টাইপ ২ ডায়াবেটিস (Type 2 Diabetes)

এটি ইনসুলিন-প্রতিরোধী ডায়াবেটিস।

সাধারণত মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধদের মধ্যে দেখা যায়।

শরীর ইনসুলিন তৈরি করলেও তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না।

🌿

👉 এখনই যোগাযোগ করুন এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ফিরে পান সুস্থ জীবন।

📞 যোগাযোগ: ০১৭৭৩৪৩০৩০৬]
📍 ঠিকানা: কদমতলী বাজার পীরগঞ্জ রংপুর ]
🌐 ওয়েবসাইট/ফেসবুক: [মাহি হোমিও হেলথ কেয়ার ]

---🌍 বর্তমান বিশ্বে হোমিওপ্যাথির ব্যবহারWHO-র ২০১৯ রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১০০টিতে হোমিওপ্যাথি ব্যব...
24/07/2025

---

🌍 বর্তমান বিশ্বে হোমিওপ্যাথির ব্যবহার

WHO-র ২০১৯ রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১০০টিতে হোমিওপ্যাথি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ১৩টি দেশে স্বাস্থ্যবীমা কাভারেজে রয়েছে ।

Toluna Harris Interactive চতুর্দশে দেশের জরিপ (২০২২‑২৩) অনুযায়ী, মোট বিশ্বজুড়ে ৫৭ % মানুষ আজমধ্যে কখনও হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করেছেন, এবং ৪৮ % বিগত ১২ মাসে ব্যবহার করেছেন ।

Homeopathy Research Institute অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত ২০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ নিয়মিত হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করেন ।

ইউরোপে প্রায় ২৯ % (100 মিলিয়ন ইউরোপীয়) নিয়মিত হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করেন ।

ভারতের উদাহরণে: প্রায় ১.২ বিলিয়ন মানুষ (৮৩ %) কখনো হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করেছেন; ১০ কোটি জন শুধুমাত্র এর উপর নির্ভর করেন ।

বিশ্বব্যাপী মোট জনসংখ্যার কার্যকরভাবে প্রায় ২‑৪০ % পর্যন্ত মানুষ আজমন্দে বা অতীতকালে হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করেছেন। যদিও নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী ১২‑মাসের ব্যবহারে ৩‑৫ % হতে পারে, বিশেষ কোনো দেশ যেমন ভারতে এটি অত্যন্ত উচ্চ ।

কোথায় কার্যকর বলেও দেখানো হয়েছে:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক পর্যালোচনা অনুযায়ী, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবহারকারীর মনে হয়েছে হোমিওপ্যাথি উপকারী।

নিরাপত্তা ও বিধিবিধান:

হোমিওপ্যাথি সাধারণত সুরক্ষিত ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম,

---

হস্তমৈথুন 🔶 হস্তমৈথুন করলে জীবনে কী কী ক্ষতিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে?🔸 ১. শারীরিক ক্ষতি ও ঝুঁকি✅ ‍অতিরিক্ত হস...
29/06/2025

হস্তমৈথুন

🔶 হস্তমৈথুন করলে জীবনে কী কী ক্ষতিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে?

🔸 ১. শারীরিক ক্ষতি ও ঝুঁকি

✅ ‍অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে হতে পারে:

দ্রুত বীর্যপাত (Premature Ej*******on)
– অতিরিক্ত হস্তমৈথুন লিঙ্গের নার্ভকে সংবেদনশীল করে তোলে। ফলে ভবিষ্যতে যৌন মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি থাকে।

ইরেকশন সমস্যা (Erectile Dysfunction)
– অতিরিক্ত চাপের কারণে লিঙ্গের রক্তপ্রবাহে সমস্যা হতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ইরেকশন ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

লিঙ্গে জ্বালা বা ব্যথা
– ঘন ঘন ঘর্ষণের ফলে লিঙ্গে জ্বালা, লালচে ভাব, কখনো ক্ষতও হতে পারে।

শরীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি
– অতিরিক্ত বীর্যপাত শরীর থেকে শক্তি ও প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যখন পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া হয়।

---

🔸 ২. মানসিক ও আবেগজনিত সমস্যা

✅ ‍অতিরিক্ত হস্তমৈথুন মানসিকভাবে কীভাবে ক্ষতি করে:

অপরাধবোধ ও আত্মগ্লানি
– অনেকেই হস্তমৈথুন করার পর মনে করেন “আমি পাপ করেছি”, যার ফলে নিজেকে ছোট মনে করা শুরু হয়।

আত্মবিশ্বাসের অভাব
– হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে বাস্তব জীবনে মানুষের সামনে যেতে, কথা বলতে, কিংবা সম্পর্ক গড়তে ভয় ও সংকোচ তৈরি হয়।

মেজাজের পরিবর্তন (Mood Swings)
– অতিরিক্ত হস্তমৈথুনে মানসিক অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ, বিষণ্নতা ইত্যাদি বেড়ে যেতে পারে।

---

🔸 ৩. সামাজিক ও সম্পর্কগত ঝুঁকি

✅ ‍এটি কীভাবে ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করে:

একাকীত্ব ও সমাজবিচ্ছিন্নতা
– পর্ন ও হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে অনেকেই বাস্তব জীবন থেকে দূরে সরে যান। পরিবার, বন্ধু বা সঙ্গীর সাথে সময় কাটানো কমে যায়।

বাস্তব যৌন সম্পর্কের প্রতি অনাগ্রহ
– পর্নের অতিরিক্ত দেখা ও হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত হলে, বাস্তব যৌন মিলনে আগ্রহ কমে যেতে পারে।

দাম্পত্য কলহ
– বিবাহিত জীবনে যৌন অসন্তুষ্টি ও সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হয়, যদি একজন পার্টনার পর্ন বা হস্তমৈথুনে অতিরিক্ত আসক্ত থাকে।

---

🔸 ৪. আসক্তি ও নির্ভরশীলতা (Addiction Risk)

✅ ‍সবচেয়ে বড় ঝুঁকি:

পর্নোগ্রাফি আসক্তি
– হস্তমৈথুন করতে গিয়ে অনেকেই পর্ন দেখতে শুরু করেন। একপর্যায়ে এটি মস্তিষ্কে “ডোপামিন হাইজ্যাক” ঘটায়, ফলে নিয়মিত পর্ন না দেখলে মন খারাপ, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

নিয়ন্ত্রণহীন আচরণ
– কাজ, পড়াশোনা বা সামাজিক জীবনের সময়ও মনে শুধু হস্তমৈথুন করার চিন্তা ঘুরতে থাকে। এটি ব্যক্তিকে মনোযোগহীন করে তোলে।

নিদ্রাহীনতা ও ক্লান্তি
– রাত জেগে পর্ন দেখা ও হস্তমৈথুন করার ফলে ঘুম কমে যায়, যা শরীর ও মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

---

🔸 ৫. ভবিষ্যৎ জীবনে প্রভাব

✅ ‍দীর্ঘমেয়াদে কী হতে পারে:

ক্যারিয়ারে ব্যর্থতা:
– মনোযোগ হারালে পড়াশোনা বা কাজকর্মে সফল হওয়া কঠিন হয়।

সুখী দাম্পত্য জীবন ব্যাহত:
– যৌন দুর্বলতা ও মানসিক সমস্যা সম্পর্ককে ভেঙে দিতে পারে।

চিরস্থায়ী আত্মবিশ্বাসহীনতা:
– নিজেকে “দুর্বল”, “অক্ষম” ভাবার ফলে নিজের প্রতি সম্মান কমে যায়।

---

🔸 করণীয়:

✅ নিজেকে বোঝা: হস্তমৈথুন স্বাভাবিক, কিন্তু সীমার মধ্যে থাকা জরুরি।
✅ সময় বেঁধে দেওয়া: প্রতি দিন বা ঘন ঘন নয় — সপ্তাহে ২-৩ বার স্বাভাবিক ধরা যায়।
✅ পর্ন থেকে দূরে থাকা: পর্নই অনেক সময় অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের মূল কারণ।
✅ শরীরচর্চা ও ব্যস্ততা: শরীরচর্চা, কাজ, সৃজনশীলতা এবং যোগাযোগমূলক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা ভালো।
✅ বিশেষজ্ঞের সহায়তা: আসক্তি নিয়ন্ত্রণে না আসলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা যৌন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উওম

ডাঃমোঃশাহজালাল(মাহি)
ডি, এইচ, এম, এস, (বি এইচ বি)ঢাকা হোমিওপ্যাথ
পি,ডি,টি(ঢাকা)
প্যাথলজি(ঢাকা)
জটিল ও কঠিন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক
ঠিকানা ১১ নং পাঁচগাছি ইউনিয়ন দশ মৌজা কদমতলী বাজার পীরগঞ্জ রংপুর মাহি হোমিও হেলথ কেয়ার।

Address

Rangpur
5012

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Shahjalal Mahi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram