Health Club Rangpur - স্বাস্থ্য সংস্থা রংপুর।

  • Home
  • Bangladesh
  • Rangpur
  • Health Club Rangpur - স্বাস্থ্য সংস্থা রংপুর।

Health Club Rangpur - স্বাস্থ্য সংস্থা রংপুর। রংপুর হেলথ ক্লাবের নিবন্ধনধারী সদস্যরা সকল টেষ্ট এবং অপরাশনে সর্ব্বোচ ছাড় পাবে-বিস্তারিত ০১৭৫৭৫৫০৭০৭.

থাইরয়েড রোগের লক্ষন জেনে রাখুন।
01/07/2025

থাইরয়েড রোগের লক্ষন জেনে রাখুন।

গর্ভবতীর ৫টি বিপদ চিহ্ন💁💁💁💁💁💁💁সেগুলো হলো :🚑১. হঠাৎ রক্তপাত শুরু হলে :প্রসবের সময় ছাড়া গর্ভাবস্থায় যেকোনো সময় রক্তক্ষ...
21/06/2025

গর্ভবতীর ৫টি বিপদ চিহ্ন
💁💁💁💁💁💁💁
সেগুলো হলো :

🚑১. হঠাৎ রক্তপাত শুরু হলে :
প্রসবের সময় ছাড়া গর্ভাবস্থায় যেকোনো সময় রক্তক্ষরণ বা প্রসবের সময় বা প্রসবের পর খুব বেশি রক্তক্ষরণ বা গর্ভফুল না পড়া বিপদের লক্ষণ। তাই এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে কোনো রকম চিন্তা না করে পরিবারের সবারই উচিত মাকে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। অন্যথায় তা বাচ্চা এবং মা দু’জনের জীবনেই হুমকি ডেকে আনতে পারে।

🚑২. খিচুনি হলে :
গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা প্রসবের পর যেকোনো সময় যদি খিচুনি দেখা দেয় তবে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষায়িত হাসপাতালে মাকে ভর্তি করাতে হবে। খিচুনি একলামসিয়ার প্রধান লক্ষণ। তাই দ্রুত পদক্ষেপ ও চিকিৎসায় বাচ্চা এবং মা দু’জনের জীবনকেই রক্ষা করতে পারে। তা না হলে এ রোগে দু’জনই মারা যেতে পারে।

🚑৩. চোখে ঝাপসা দেখা বা তীব্র মাথাব্যথা হলে :
গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা প্রসবের পর শরীরে পানি আসা, খুব বেশি মাথাব্যথা বা চোখে ঝাপসা দেখা পাঁচটি প্রধান বিপদ চিহ্নের মধ্যে একটি। তাই এ ব্যাপারে মায়েদের বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। যদিও গর্ভাবস্থায় মায়ের পায়ে সামান্য পানি আসা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। একটু বেশি হাঁটলে এ পানি চলেও যায়। কিন্তু যদি পায়ে অতিরিক্ত পানি আসে এবং অস্বস্তির সৃষ্টি করে ও পা ভারি হয়ে আসে তবে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

🚑৪. ভীষণ জ্বর হলে :
গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর তিন দিনের বেশি জ্বর বা দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব প্রধান বিপদ চিহ্নের একটি। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় যদি কেঁপে কেঁপে ভীষণ জ্বর আসে এবং প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় তবে তা অনেক সময় মূত্রনালির সংক্রমণের ইঙ্গিত বহন করে। সময়মতো উপযুক্ত চিকিৎসা করলে অল্প সময়ে এ জটিলতা দূর হয়ে যায়।

🚑৫. বিলম্বিত প্রসব হলে :
প্রসবব্যথা যদি ১২ ঘণ্টার বেশি হয় অথবা প্রসবের সময় যদি বাচ্চার মাথা ছাড়া অন্য কোনো অঙ্গ বের হয়ে আসে, তবে বাসাবাড়িতে প্রসবের চেষ্টা না করে সবারই উচিত মাকে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া।

👍🏿গর্ভবতীকে লক্ষ রাখতে হবে :
গর্ভবতী মায়েদেরও কিছু বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে

👍🏿বাচ্চার নড়াচড়া
গর্ভাবস্থায় সাধারণত মা ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করেন। পেটের ভেতর বাচ্চা ঘুমায় ও খেলা করে, যার অনুভূতি মা বাইরে থেকে বুঝতে পারেন। বাচ্চার নড়াচড়ার একটা নির্দিষ্ট সীমা এবং সময় রয়েছে যা শুধু মা-ই অনুভব করেন। এর কোনো ব্যতিক্রম হলে মা সেটা খুব দ্রুত বুঝতে পারেন। বাচ্চার অধিক নড়াচড়া বা কম নড়াচড়া দু’টিই ক্ষতিকর এবং এসব ক্ষেত্রে নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর ডাক্তারকে দেখানো উচিত।

👍🏿রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর মায়ের রক্তচাপ লক্ষ রাখা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময় মায়ের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় এবং এটি একলামসিয়ার একটি লক্ষণও। তাই যাঁরা আগে থেকেই রক্তচাপে আক্রান্ত বা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং নিজ ও বাচ্চা উভয়ের সুস্থতা নিশ্চিত করা।

👍🏿তলপেটে তীব্র ব্যথা:
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে (সাধারণত তিন মাসের মধ্যে) যদি কোনো সময় তলপেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, রক্তক্ষরণ ও পেট শক্ত হয়ে যায় তবে দ্রুত ডাক্তারকে দেখানো উচিত। এ ক্ষেত্রে জরায়ু ছাড়া নালিতে (অন্যান্য স্থান যেমন : পেটের ভেতর, ডিম্বাশয়ের মধ্যে ইত্যাদি) গর্ভধারণ (যা একটোপিক প্রেগন্যান্সি নামে পরিচিত) হয়ে থাকে এবং অনেক সময় এটি ফেটে গিয়ে মায়ের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এ ক্ষেত্রে দ্রুত অপারেশন ছাড়া মাকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।

তাই গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩৬ সপ্তাহে নূন্যতম প্রতি মাসে একবার এবং ৩৬ সপ্তাহের পর প্রতি সপ্তাহে একবার করে মাকে স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তার দেখানো উচিত।
Health Club Rangpur-(স্বাস্থ্য পরামর্শ-রংপুর)।

📌 Topic: জন্মের পর শিশুকে Inj. K-one (Vitamin K1) কেনো দেয়া বা খাওয়ানো হয়, জেনে রাখুন 👇🔴 ইনজেকশন K-One কী ?Inj. K-One...
17/06/2025

📌 Topic: জন্মের পর শিশুকে Inj. K-one (Vitamin K1) কেনো দেয়া বা খাওয়ানো হয়, জেনে রাখুন 👇

🔴 ইনজেকশন K-One কী ?

Inj. K-One (Vitamin K1 বা Phytomenadione) হলো একটি ফ্যাট-সলিউবল ভিটামিন যা রক্ত জমাট বাঁধাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

🔹 Vitamin K-এর ভূমিকা:

Vitamin K শরীরের liver এ চারটি গুরুত্বপূর্ণ coagulation factor (রক্ত জমাট বাঁধানোর উপাদান) তৈরিতে সাহায্য করে:
1. Factor II (Prothrombin)
2. Factor VII
3. Factor IX
4. Factor X

👉 এই ফ্যাক্টরগুলো ছাড়া শরীর রক্তপাত থামাতে পারে না।

✅ কেনো জন্মের পর শিশুকে Inj. K-One দেয়া হয় ?

নবজাতকদের শরীরে জন্মের পর স্বাভাবিকভাবে ভিটামিন কে-র মাত্রা খুব কম থাকে। এর কারণ হলো:

1. প্লাসেন্টা দিয়ে ভিটামিন কে কম পরিমাণে আসে।
2. নবজাতকের অন্ত্রে ভিটামিন কে উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে না।
3. মায়ের বুকের দুধে ভিটামিন কে-এর পরিমাণ কম থাকে।

এই কারণে নবজাতকরা Vitamin K Deficiency Bleeding (VKDB) নামক একধরনের মারাত্মক রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

✅ Vitamin K Deficiency Bleeding (VKDB) কী ?

এটি ৩ ধরনের হতে পারে:

1. Early VKDB – জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেখা যায়
➤ মায়ের ওষুধ (যেমন anticonvulsants, anti-tuberculosis drugs) গ্রহণের কারণে হতে পারে।
▪️লক্ষণঃ intracranial bleeding, GI bleeding

2. Classic VKDB – ১ থেকে ৭ দিন বয়সে দেখা যায়
➤ সাধারণত না খাওয়ানোর বা ভিটামিন কে না দেয়ার কারণে হয়।
▪️লক্ষণঃ নাভি থেকে রক্ত, মাড়ি থেকে রক্ত, চামড়ার নিচে রক্ত জমা

3. Late VKDB – ২ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত যে কোন সময় হতে পারে
➤ এটি সবচেয়ে মারাত্মক। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে (Intracranial Hemorrhage)।
▪️লক্ষণঃ মাথার ভিতরে রক্তক্ষরণ (intracranial), খিঁচুনি, চোখে সমস্যা, মৃত্যুঝুঁকি.

✅ নবজাতকের শরীরে Vitamin K ঘাটতির কারণ:

1. Placental transfer কম: গর্ভাবস্থায় মা থেকে শিশুর শরীরে খুব কম পরিমাণ Vitamin K যায়।

2. Gut flora অনুপস্থিত: শিশুর অন্ত্রে জন্মের সময় কোনো ব্যাকটেরিয়া থাকে না, যারা সাধারণত Vitamin K তৈরি করে।

3. মায়ের দুধে পরিমাণ কম: Breast milk-এ Vitamin K খুব অল্প পরিমাণে থাকে (15 µg/L)।

4. Liver অপরিপক্ব: নবজাতকের লিভার Vitamin K থেকে clotting factor তৈরি করতে দেরি করে।

✅ Inj. K-One কিভাবে দেয়া হয় ?

▪️ IM (Intramuscular) Route:
জন্মের পরপরই এক ডোজ 1 mg Vitamin K intramuscularly দেয়া হয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতি।

▪️ Oral Route (oral drops):
যেখানে ইনজেকশন দেওয়া হয় না, সেখানে ২-৩ বার করে মুখে খাওয়ানো হয় (প্রথম ডোজ জন্মের পর, পরবর্তী ডোজ সপ্তাহখানেক পর)। তবে এটা IM-এর চেয়ে কম কার্যকর।

✅ Inj. K-One না দিলে কী হতে পারে ?

▪️নাক, চোখ, নাভি বা পায়খানা দিয়ে রক্ত পড়তে পারে
▪️চামড়ার নিচে কালশিটে পড়ে
▪️মাথার ভেতর রক্তক্ষরণ হয়ে প্রাণহানিও ঘটতে পারে
▪️বমিতে রক্ত (Hematemesis) দেখা দিতে পারে
▪️পায়খানা কালো ও পিচ্ছিল (Melena) হয়ে যেতে পারে (GI bleeding এর কারণে)
▪️চামড়ায় ছিটিয়ে ছিটিয়ে রক্ত জমাট (Petechiae) বা বড় কালচে দাগ (Ecchymosis) দেখা যায়
▪️নাভি কাটা জায়গা থেকে দীর্ঘ সময় রক্ত পড়ে বন্ধ হয় না
▪️খৎনার পর অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে (Circumcision complication)
▪️Hypovolemic shock হতে পারে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে
▪️খিঁচুনি (Seizure) বা কোমা পর্যন্ত চলে যেতে পারে মাথার ভিতর রক্ত পড়লে
▪️মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণে মানসিক বিকাশে দেরি হতে পারে (Delayed Development)
▪️রক্তশূন্যতা (Anemia) দেখা দিতে পারে লুকানো অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে

✅ Clinical Evidence & Recommendation :

▪️ WHO, CDC, এবং American Academy of Pediatrics (AAP) সবাই জন্মের পর Vitamin K প্রয়োগকে strongly recommend করে।

▪️ গবেষণায় দেখা গেছে—
IM Vitamin K দেয়ার পর VKDB এর ঝুঁকি 80-90% পর্যন্ত কমে যায়।
আর না দিলে ১,০০০ শিশুর মধ্যে 5-10 জন VKDB তে আক্রান্ত হতে পারে।

✅ একজন নার্সের করণীয়:

1. জন্মের পর নবজাতককে Inj. K-One IM Route-এ দিতে হবে।
2. মায়ের থেকে সম্মতি নেওয়া (Informed Consent) নিশ্চিত করতে হবে।
3. ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
4. প্রয়োগের সময় ও মাত্রা সঠিকভাবে ডকুমেন্ট করতে হবে।

✅মাইগ্রেন: এক অসহ্য যন্ত্রণার নাম::কখনো আপনার এমন হয়েছে যে হঠাৎ মাথার একদিকে প্রচণ্ড ঝিনঝিনে ব্যথা হচ্ছে? ব্যথায় মাথা ছি...
14/06/2025

✅মাইগ্রেন: এক অসহ্য যন্ত্রণার নাম::
কখনো আপনার এমন হয়েছে যে হঠাৎ মাথার একদিকে প্রচণ্ড ঝিনঝিনে ব্যথা হচ্ছে? ব্যথায় মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে! মনে হচ্ছে গোটা পৃথিবী অন্ধকার হয়ে আসছে! আলো ও শব্দ সহ্য হচ্ছে না? আমাদের অধিকাংশেরই এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে, কারও বেলায় তা নিয়মিত। এই অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার নামই মাইগ্রেন। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫% মাইগ্রেনে আক্রান্ত।

✅ মাইগ্রেন কী?
মাইগ্রেন শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ‘হেমিক্রানিয়া’ থেকে, যার অর্থ মাথার একদিকে ব্যথা।

রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের সহকারী অধ্যাপক এম. এস. জহিরুল হক চৌধুরী বলেন, সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয়। দৃষ্টিস্বল্পতা, মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় অন্য সমস্যার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। মাইগ্রেন এক ধরনের প্রাইমারি হেডেক, যা নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। চিকিৎসকের অধীনে এবং নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা উচিত।

✅ মাইগ্রেন কেন হয়?
মাইগ্রেন কেন হয় তা পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে এটি বংশগত বা অজ্ঞাত কোনো কারণে হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হরমোনের প্রভাব রয়েছে বলেও কিছু গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে। বিভিন্ন বয়সে নারী-পুরুষের আক্রান্ত হবার হারের পার্থক্য তারই সাক্ষ্য দেয়। এটি সাধারণত পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি হয়। নারীদের ঋতুস্রাবের সময় মাথাব্যথা বাড়ে।

✅ লক্ষণ::
মাথাব্যথা শুরু হলে তা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাথাব্যথা, বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তিবোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। শব্দ ও আলো ভালো লাগে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
প্রচন্ড মাথাব্যথার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিবিভ্রম এবং বমির ভাব থাকতে পারে। সাধারণত রক্তে সেরোটোনিন অথবা ফাইভ এইচটির মাত্রা পরিবর্তিত হলে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। মস্তিষ্কের বহিরাবরণে যে ধমনীগুলো আছে সেগুলো মাইগ্রেন শুরুর প্রারম্ভে ফুলে যায় তাই মাথাব্যথার তীব্রতা ব্যাপক হয়।

মাইগ্রেনের কয়েকটি ধরন আছে। তার একটি হচ্ছে ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেন। ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেনের শুরুটা অধিকাংশ সময়েই আপনি বুঝতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে দৃষ্টিবিভ্রম হয়। চোখের সামনে আলোর ঝলকানি, চোখে সর্ষে ফুল দেখেন। হাত-পা, মুখের চারপাশে ঝিনঝিনে অনুভূতি হয়।

শরীরের এক পাশে দূর্বলতা বা অবশভাব হতে পারে। এরপর শুরু হয় মাথাব্যথা, যা মাথার একপাশের একটি স্থান থেকে শুরু হয়ে আস্তে আস্তে সেই পাশের পুরো স্থানেই বিস্তৃত হয়। প্রচণ্ড দপদপে ব্যথা আপনাকে কাহিল করে ফেলে।

প্রচুর ঘাম হয়। বমি কিংবা বমি ভাব হয়। আলো আর শব্দ একদম সহ্য হয় না। কথা বলতেও অনীহা লাগে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। চুপচাপ অন্ধকার ঘরে থাকতেই বেশি ভালো লাগে।

✅ প্রতিকার::
মাইগ্রেনের ব্যথার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয় হচ্ছে যথাসম্ভব অন্ধকার ও শব্দবিহীন পরিবেশে ঘুমানো, অন্তত কয়েক ঘন্টা।

✅যেসব খাবার মাইগ্রেন প্রতিরোধে সহায়ক::
১) ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার। যেমন- ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, আলু ও বার্লি মাইগ্রেন প্রতিরোধক।
২) বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে।
৩) সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি (বিশেষত পালংশাক) নিয়মিত খেলে উপকার হয়।
৪) ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে।
৫) আদার টুকরো বা আদার রস দিনে দুইবার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
৬) প্রতিদিন রোদে ১০ মিনিট থাকতে পারলে ভালো হয়। সম্ভব না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।
৭) মেনোপজের সময় ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্যের অভাবের কারণে অনেক সময় মাথা ধরে। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান। লো ফ্যাট ডায়েট মেনে চলুন।

♦️যেসব খাবার খাবেন না::
১) চা, কফি ও কোমলপানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, দই, দুধ, মাখন, টমেটো ও টক জাতীয় ফল
২) গমজাতীয় খাবার, যেমন রুটি, পাস্তা, ব্রেড ইত্যাদি।

তবে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় একটা ডায়েরি রাখা। যাতে আপনি নোট করে রাখতে পারেন কোন কোন খাবার ও কোন কোন পারিপার্শ্বিক ঘটনায় ব্যথা বাড়ছে বা কমছে। এরকম এক সপ্তাহ নোট করলে আপনি নিজেই নিজের সমাধান পেয়ে যাবেন। তবে ব্যথা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

✅ মাইগ্রেন থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায়:: মাইগ্রেন চিকিৎসায় তাৎক্ষণিক এবং প্রতিরোধক ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।
১) প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত।
২) কোনো বেলার খাবারই বাদ দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে সকালের নাশতা কখনোই বাদ দেওয়া যাবে না। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়।
৩) অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা।
৪) কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা পরিহার করতে হবে।
৫) উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা।
৬) বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা।
৭) মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা (বিশেষ করে বমি হয়ে থাকলে)
৮) বিশ্রাম করা, ঠান্ডা কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখা উচিত।✔✔

“ডেলিভারিতে কেন পুরুষ ডাক্তার?” — এই প্রশ্নের পেছনে আছে ইতিহাস, বাস্তবতা, পেশাগত দক্ষতা, এবং সামাজিক কাঠামোর এক মিশ্র জট...
13/06/2025

“ডেলিভারিতে কেন পুরুষ ডাক্তার?” — এই প্রশ্নের পেছনে আছে ইতিহাস, বাস্তবতা, পেশাগত দক্ষতা, এবং সামাজিক কাঠামোর এক মিশ্র জটিলতা।

১. ঐতিহাসিক ও পেশাগত পটভূমি:

চিকিৎসাশাস্ত্রের শিক্ষার শুরু থেকেই পুরুষদের আধিক্য ছিল। ফলে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বিভাগে, বিশেষ করে সার্জারি বা গাইনোকোলজি/অবসেট্রিকস (যেখানে ডেলিভারি পড়ে), পুরুষ ডাক্তাররাই অনেক বছর ধরে আধিপত্য ধরে রেখেছেন।

এটা একটা ধারাবাহিকতা তৈরি করেছে যেখানে অনেক পুরুষ ডাক্তার গাইনোকোলজিস্ট হয়ে উঠেছেন।

২. দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা:

চিকিৎসক নির্বাচন অনেক সময় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে, লিঙ্গ নয়।

যেহেতু গাইনোকোলজি ও অবসেট্রিক্স একটি উচ্চ প্রশিক্ষণ ও চাপপূর্ণ শাখা, তাই অনেক সময় রোগীর পরিবার অভিজ্ঞ ডাক্তারই চায় — তিনি পুরুষ বা নারী যেই হোন না কেন।

৩. নারী ডাক্তারদের স্বল্পতা:

এখন নারী ডাক্তার বাড়লেও, দীর্ঘ সময় ধরে এই শাখায় নারী ডাক্তার কম ছিল।

পাশাপাশি কিছু নারী ডাক্তার গাইনোকোলজি না নিয়ে অন্য শাখায় যেতে চান, কারণ গাইনোকোলজি অনেক সময়, শিফট, এবং মানসিক চাপের কাজ — যা ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে।

৪. পেশাগত নিরপেক্ষতা:

চিকিৎসাশাস্ত্রে একটি নীতি হলো রোগী এবং চিকিৎসকের মাঝে বিশ্বাসের সম্পর্ক।

যদি একজন পুরুষ ডাক্তার পেশাগতভাবে ও শ্রদ্ধার সাথে তার কাজ করেন, তাহলে লিঙ্গ বাধা হওয়া উচিত নয় — যদিও অনেক রোগী এই বিষয়ে আরামবোধ করেন না, সেটা একদমই গ্রহণযোগ্য অনুভূতি।

৫.এনেস্থিসিয়া ডাক্তার ফ্যাক্ট:-
যেকোনো সার্জারীতে একজন সার্জন এর থেকে একজন এনেস্থিসিয়া ডাক্তার বেশি গুরুত্ব বহন করে।এটা আমরা অনেকেই মানিনা।বর্তমানে মহিলা এনেস্থিসিয়া ডাক্তারের সংখ্যা পুরুষ ডাক্তারের তুলনায় কম এটাও অন্যতম কারন।

#তাহলে কী আপনি নারী ডাক্তার চাইতে পারেন?

অবশ্যই! আপনার ব্যক্তিগত আরাম, পছন্দ এবং সম্মান বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে: আগে থেকেই জানাতে পারেন যে আপনি নারী ডাক্তার চান।
হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নারী গাইনোকোলজিস্ট আছেন কি না তা খোঁজ নিতে পারেন।

#শেষ কথা:

আপনার অনুভূতি একেবারেই স্বাভাবিক। একজন নারী হিসেবে আপনি নিশ্চয় চাইবেন একজন এমন চিকিৎসকের কাছে থাকতে যিনি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হবেন।তবে একইসাথে, পেশাগত দক্ষতা ও জরুরি পরিস্থিতির বাস্তবতাও মাথায় রাখা জরুরি।

Health Club Rangpur-(স্বাস্থ্য পরামর্শ-রংপুর).

🌸 প্লাসেন্টা: কিছু চমকপ্রদ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:🔹 প্লাসেন্টা হলো গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে তৈরি হওয়া একটি বিশেষ অঙ্গ, যা শু...
12/06/2025

🌸 প্লাসেন্টা: কিছু চমকপ্রদ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
🔹 প্লাসেন্টা হলো গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে তৈরি হওয়া একটি বিশেষ অঙ্গ, যা শুধু গর্ভের শিশুর জন্য তৈরি হয়।
🔹 এটি নাভির ডোরির মাধ্যমে শিশুর সাথে মায়ের শরীরকে সংযুক্ত রাখে।
🔹 শিশুর খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং শিশুর শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।
🔹 এটি একটি সুরক্ষাকবচ হিসেবেও কাজ করে — কিছু সংক্রমণ থেকে শিশুকে রক্ষা করে।
🔹 প্লাসেন্টা প্রোজেস্টেরন, এইচসিজি সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরি করে, যা গর্ভাবস্থাকে সঠিকভাবে চালিয়ে যেতে সাহায্য করে।
🔹 এটি জরায়ুর উপরে, নিচে, সামনে বা পেছনে যে কোনো পাশে থাকতে পারে।
🔹 যদি প্লাসেন্টা নিচে লেগে থাকে (Placenta previa), তাহলে বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন হতে পারে, এবং স্বাভাবিক প্রসব ঝুঁিপপূর্ণ হতে পারে।
🔹 শিশুর জন্মের পর প্লাসেন্টাও জন্ম নেয় — একে বলা হয় "আফটারবার্থ"।
🔹 গর্ভে থাকা পুরো সময়জুড়ে শিশুর জীবনধারণ, বৃদ্ধি ও সুস্থতায় প্লাসেন্টার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

🩺 প্লাসেন্টার সুস্থতার জন্য মায়ের যত্ন নেওয়া জরুরি —কারণ মা সুস্থ থাকলেই প্লাসেন্টা সুস্থ থাকবে — আর প্লাসেন্টা ভালো থাকলেই গর্ভের শিশুটি সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে। 🤰❤️

#গর্ভাবস্থা #মায়েরজ্ঞান #গর্ভেরসন্তান #মায়েদেরজন্য #সন্তানেরজন্যযত্ন
Health Club Rangpur-(স্বাস্থ্য পরামর্শ-রংপুর)

📌 Topic: অপারেশনের আগে এবং পরে রোগীকে খাবার খেতে না দেয়ার কারণ সম্পর্কে জেনে নিন 👇🔴 অপারেশনের আগে ও পরে রোগীকে খাবার খে...
31/05/2025

📌 Topic: অপারেশনের আগে এবং পরে রোগীকে খাবার খেতে না দেয়ার কারণ সম্পর্কে জেনে নিন 👇

🔴 অপারেশনের আগে ও পরে রোগীকে খাবার খেতে না দেওয়ার কারণটি মূলত নিরাপত্তাজনিত ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত।

✅ অপারেশনের আগে খাবার না দেওয়ার কারণ :

⏳ ১. অ্যানেস্থেশিয়া নেওয়ার সময় বমি হয়ে যেতে পারে (Risk of Aspiration):

▪️অপারেশনের সময় রোগীকে অজ্ঞান বা শরীরের নির্দিষ্ট অংশ অবশ করানো হয়। এতে শরীরের রিফ্লেক্স কমে যায়।
▪️যদি পেট ভর্তি থাকে, তাহলে খাদ্য বা পানি উল্টো উঠে শ্বাসনালীতে ঢুকে যেতে পারে, যাকে বলে Aspiration।
▪️এটি মারাত্মক শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়া তৈরি করতে পারে — এমনকি প্রাণঘাতী হতে পারে।

🕒 ২. পরিপাকতন্ত্রের কাজ ধীর হয়ে যায়:

▪️অ্যানেস্থেশিয়া পেটের কাজও স্লো করে দেয়।
▪️ফলে খাবার হজম হতে দেরি হয়।
▪️তাই অপারেশনের ৬-৮ ঘণ্টা আগে থেকে কিছু খেতে না বলা হয়।

🚫 ৩. অপারেশন চলাকালে বমি হলে Surgical Site-এ সংক্রমণ ছড়াতে পারে

▪️এটি জটিলতা বাড়িয়ে রোগীর ঝুঁকি বাড়ায়।

✅ অপারেশনের পরে খাবার না দেওয়ার কারণ -

1️⃣ অ্যানেস্থেশিয়ার প্রভাব শরীরে থাকে

অপারেশন করার সময় রোগীকে Spinal বা General Anesthesia দেওয়া হয়।
▪️এর প্রভাবে রোগীর গিলার ক্ষমতা (swallowing reflex) কিছু সময়ের জন্য কমে যায়।
▪️খাবার দিলে তা শ্বাসনালীতে (aspiration) ঢুকে গিয়ে শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়া ঘটাতে পারে।

2️⃣পেট ও অন্ত্রের গতি ধীর হয়ে যায়

অ্যানেস্থেশিয়া ও অপারেশনের কারণে অন্ত্র কিছু সময়ের জন্য কাজ বন্ধ করে দেয় – একে বলে Paralytic Ileus।
▪️ খাবার দিলে হজম হবে না
▪️ পেটে ফাঁপা, বমি বা ব্যথা হতে পারে
▪️ এমনকি Surgical Site-এ চাপ পড়ে সেলাই ছিঁড়ে যেতে পারে

3️⃣ বাওয়েল সাউন্ড (Bowel Sound) না আসা পর্যন্ত খাবার দেওয়া নিষেধ

অপারেশনের পর চিকিৎসক লক্ষ্য করেন:
▪️ রোগীর পেট থেকে গ্যাস বের হচ্ছে কিনা
▪️ Stethoscope-এ অন্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে কিনা
এইগুলো না থাকলে, রোগীর অন্ত্র এখনও সচল নয়, তাই খাবার দিলে বিপদ হতে পারে।

4️⃣ বমি বা বমির ভাব (Nausea) খুব স্বাভাবিক

অপারেশনের পর অনেক রোগী nausea/vomiting অনুভব করেন।
▪️ খাবার দিলে তা আরও বেড়ে যেতে পারে, এবং surgical wound-এর ওপরে চাপ পড়ে রক্তপাত পর্যন্ত হতে পারে।

5️⃣ অপারেশনের ধরন ও স্থানের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত:

✔️ অপারেশনের ধরন → খাবার কবে থেকে দেওয়া হয়

▪️Eye / ENT Surgery → ৪–৬ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হলে শুরু করা যায়
▪️Abdominal Surgery → Bowel sound না আসা পর্যন্ত কিছু খাওয়ানো হয় না
▪️Orthopedic Surgery → অ্যানেস্থেশিয়া কাটার কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে শুরু
▪️C-Section → গ্যাস বের হওয়ার পর তরল দিয়ে শুরু

6️⃣ Vital Sign Stable আছে কিনা (BP, Pulse, Respiration):

➡️ যদি Vital sign স্টেবল না হয়, তাহলে খাওয়ানো যায় না। কারণ সে তখন শক বা জটিলতায় থাকতে পারে।

🩺 চিকিৎসক কীভাবে সিদ্ধান্ত নেন ?

চিকিৎসক নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করেন:

🔹 Consciousness level
🔹 Swallowing ability
🔹 Presence of bowel sound
🔹 Nausea/vomiting status
🔹 Vital signs stability
🔹 Surgical wound condition
🔹 Drain tube বা NG tube আছে কি না

➡️ সবকিছু স্বাভাবিক হলে তিনি "Clear liquid start" অনুমোদন দেন। তারপর ধাপে ধাপে ডায়েট বাড়ানো হয়।

🥣 খাবার দেওয়ার ধাপ (Post-op Diet Progression):

▪️ Clear Liquid Diet – পানি, গ্লুকোজ, স্যালাইন, ক্লিয়ার স্যুপ
▪️ Full Liquid Diet – দুধ, সুজি, সেমাই, স্যুপ
▪️ Soft Diet – খিচুড়ি, পাতলা ভাত
▪️ Normal Diet – স্বাভাবিক খাবার ধীরে ধীরে শুরু করা হয়

✔️ Note -
"Post-operative feeding is not based on time, it’s based on clinical recovery."

বৃষ্টির পানিতে ভিজলে পাবেন যে ৫টি উপকারিতা:১. ত্বকের যত্নে সহায়ক – বৃষ্টির নরম ও প্রাকৃতিক পানি ত্বককে করে মসৃণ ও উজ্জ্ব...
30/05/2025

বৃষ্টির পানিতে ভিজলে পাবেন যে ৫টি উপকারিতা:

১. ত্বকের যত্নে সহায়ক – বৃষ্টির নরম ও প্রাকৃতিক পানি ত্বককে করে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
২. চুলের সৌন্দর্য রক্ষায় – রাসায়নিকমুক্ত এই পানি চুল রাখে নরম, ঝরঝরে ও খুশকিমুক্ত।
৩. মানসিক প্রশান্তি আনে – বৃষ্টির ছোঁয়া মনকে করে হালকা, চাপ কমিয়ে আনে প্রশান্তি।
৪. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে – স্বাভাবিকভাবে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
৫. প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হয়- বৃষ্টি প্রকৃতির
কাছাকাছি আনে, যা মানসিক শান্তি দেয়।

✅ আপনার হার্ট সুস্থ আছে কি না তা সহজভাবে বুঝে নিন এক পায়ে দাঁড়িয়ে।হৃদরোগে আ'ক্রান্ত হলে শরীরে একাধিক লক্ষণ দেখা দিতে পার...
27/05/2025

✅ আপনার হার্ট সুস্থ আছে কি না তা সহজভাবে বুঝে নিন এক পায়ে দাঁড়িয়ে।

হৃদরোগে আ'ক্রান্ত হলে শরীরে একাধিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যদিও ব্যক্তিভেদে লক্ষণ পরিবর্তন হতে পারে। তাই অনেকেই হৃদ'রোগের বিভিন্ন লক্ষণ দেখেও অবহেলা করেন আবার অনেকে নিজের অজান্তেই ভোগেন হৃদরোগে।

তবে একটি পরীক্ষা করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন, আপনার হার্ট ভালো আছে কি না। ঘরে এক পায়ে দাঁড়িয়ে করতে হবে এই পরীক্ষা।

✅✅✅আমেরি"কান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য এক পায়ে দাঁড়াতে পারলে বুঝবেন আপনার হৃদয'ন্ত্রসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো আছে।

✅✅এই গবেষণায় ৮৪১ জন নারী ও ৫৪৬ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। তাদের গড় বয়স ছিল ৬৭ বছর। এক পায়ে দাঁড়ানোর সময় অংশগ্রহণকারী তাদের চোখ খোলা রেখেছিলেন। এক পা উঁচু করে রাখার সর্বোচ্চ সময় ছিল ৬০ সেকেন্ড।

এই পরীক্ষায় যেসব অংশগ্রহণকারী নিজেদের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি তাদের হার্ট অ্যা'টাক বা স্ট্রো'কের ঝুঁকি বেশি ছিল।

গবেষণার প্রধান লেখক ও কিয়ো'টো ইউনিভার্সিটি গ্র্যা'জুয়েট স্কুল অব মেডিসিনের সে'ন্টার ফর জেনোমিক মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াসুহা'রু তাবারার এ বিষয়ে জানান,

✅এক পায়ে দাড়ানোর সক্ষমতা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।

তার মতে, এক পায়ে যারা দাঁড়াতে পারেন না তাদের মধ্যে মস্তি'ষ্কের রোগ ও মানসিক স্বা'স্থ্যের ঝুঁ'কি বেশি। আবার হার্ট অ্যা'টাক বা স্ট্রো'কের ঝুঁকি আছে কি না সেটিও জানা যায় এই পরীক্ষার মাধ্যমে।

সূত্র: ব্রাইট সাইড/হার্ট.অর্গ/ফ্রাইডে ম্যাগাজিন। ✅

আদার উপকারীতা,
26/05/2025

আদার উপকারীতা,

স্বাস্থ্যসচেতনতা মূলক পোস্ট Dr Belal Aliপ্রেশার বেশি থাকলে শরীরে কি কি উপসর্গ ( Symptoms)দেখা দেয়?আপাত সহজ এই প্রশ্নটির ...
17/05/2025

স্বাস্থ্যসচেতনতা মূলক পোস্ট
Dr Belal Ali

প্রেশার বেশি থাকলে শরীরে কি কি উপসর্গ ( Symptoms)দেখা দেয়?

আপাত সহজ এই প্রশ্নটির উত্তর - গুগল, মায়ো ক্লিনিক, ওয়েব এমডি, প্রফেসর, ইঞ্জিনিয়ার, চার্টার্ড আ্যকাউন্ট্যান্ট,পুলিশ অফিসার, সদাগারি অফিসের কেরানি, ওষুধ দোকানের রবুল, থেকে শুরু করে ঠেলাওয়ালা, রিকশাওয়ালা, পাড়ার মুদি দোকানের জব্বার, চা দোকানের লতিফ চাচা, ধোপা, নাপিত সহ সবাই জানে! এবং শুধু যে জানে তাইই না, সুযোগ দিলে একদম হাতে নাতে প্রমাণ ও করে দেবে!

আশ্চর্যজনক ভাবে এই প্রশ্নের উত্তরটা জানে না শুধুমাত্র এক্টাই প্রফেশনের লোকেরা - ডাক্তাররা!

এবার আসি উত্তরে -

" প্রেশার বাড়লে মাথা ঘোরে" ( ধারণা)

" আমার তো কোন অসুবিধা হচ্ছেনা, তাহলে প্রেশারের ওষুধ খাব কেন?" ( সিদ্ধান্ত)

প্রথম ধারণা এবং দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত - শুধুমাত্র এই দুটো জিনিসের যুগলবন্দীতে হাজার হাজার ফ্যামিলিকে আমি ধ্বংস হতে দেখেছি।

বেশিরভাগ মানুষ জানেইনা তার প্রেশার আছে নাকি - কেননা তার তো আর মাথা তো ঘোরে না! ( যেটা ধ্রুবসত্যের ন্যায় প্রেশারের কারণে ঘোরার কথা ছিল!)

জীবনে প্রথমবার প্রেশার ডিটেক্ট হয় - হাসপাতাল /মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সিতে অচেতন অবস্থায় স্ট্রেচারে করে আসার পর!

তারপরের সিনারিও মোটামুটি এরকম -

ডাক্তারঃ প্রেশার ছিল আগে থেকে, কোন ওষুধ খেতেন উনি?

কিছু রোগির বাড়ির লোকঃ না, ডাক্তারবাবু প্রেশারের তো কোন লক্ষ্মণ ছিলনা, কোনদিন বোঝাই যায়নি প্রেশার আছে ( যেন বোঝার কতরকম উপায় ছিল!)

অন্য কিছু রোগির ( Defaulter) বাড়ির লোকঃ মাঝে মাঝে খেত যখন প্রেশার বেড়ে যেত!

এই উত্তর শোনার পরে ডাক্তারের নিজের প্রেশার এতো বেড়ে যায় সে কহতব্য নয়!

ডাক্তারঃ ওনার কি '24 hour Ambulatory Blood Pressure মনিটরিং' - লাগানো থাকতো নাকি?? - প্রেশার বেড়ে গেলে বুঝতেন কিভাবে?

দ্বিতীয় গ্রুপ ওফ পেশেন্টের বাড়ির লোকঃ না, ওই মাথা টাথা যখন ঘুরতো, তখন আবার ওষুধ খেত!

রাগান্বিত ডাক্তারঃ খুব ভালো করত! এখন মাথায় রক্ত জমে গেছে, অপারেশন করতে হবে, পিজি নিয়ে যান!

অতঃপর অতি দ্রুততার সাথে পিজি গমন এবং ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে ততোধিক দ্রুততার সাথে -

" Regrett, No bed vacant... Ref to SNPH/KPH/CNMC/ Any other govt. Hospitals " স্ট্যাম্প মারা একটি টিকিট নিয়ে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার প্ল্যান করা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবার ব্যাট হয়ে ফেরত এসে অকূলপাথারে পড়া!

এমতাবস্থায় মুশকিল আসানে আ্যম্বুলেন্স ড্রাইভারের আবির্ভাব - এদের সবসময় তাড়া থাকে - আম্বানি, আদানি, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির থেকেও এদের সময়ের দাম অনেক বেশি - এবং সবসময় এরা একটা "ভালো নার্সিংহোম" এর কথা জানে!

অতঃপর সেই নার্সিংহোমে গমন - এবং রোগি যদি ২-৩ দিনের মধ্যে মারা যায় তাহলে নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে খুবই ভালো!

কিন্তু যদি মরা বাঁচার মাঝে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় কাটিয়ে দেয় বেশ কিছুদিন - তাহলে বাড়ির লোকের সর্বশান্ত হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।

আর এই সমস্ত কিছু শুধুমাত্র একটাই ভুল ধারণার কারণে -

"প্রেশার বাড়লে মাথা ঘোরে!"

একটা ভুল ধারণা একটা ফ্যামিলিকে পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারে কেননা মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটা ফ্যামিলিকে নিম্নবিত্তে পরিণত করতে - একটা হসপিটাল বিল ই যথেষ্ট!

গতকাল ও যে মানুষটি আপনাকে ভালবাসা দিয়েছে, স্নেহ করেছে আজ হঠাৎ সে আর আপনাকে চিনতেও পারছে না, তার কোন মমতা আপনাকে আর আর্দ্র করছেনা -

হঠাৎ ঘটা এ অসুখে বেঁচে গেলেও সে যেন এক অচেনা মানুষ! বাড়ির লোকের কাছে মূর্তিমান বোঝা!

অতর্কিত অসুস্থ করে ফেলা এ রোগটির নাম ''স্ট্রোক''।

ধনী-গরীব, তরুন-বৃদ্ধ নিমেষেই মারা যেতে বা বেঁচে থেকেও নির্জীব হয়ে যেতে পারে এ রোগে।

স্ট্রোকের কারণ এবং ধরণ বিবিধ - ডিটেইলস আলোচনার স্কোপ এখানে কম, সবথেকে মারাত্মক এবং খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যায় যেটাকে সেটা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই আমার আজকের এই পোস্ট -

হেমারেজিক স্ট্রোক ডিউ টু হাইপারটেনশন ( প্রেশার)।

আকস্মিক স্ট্রোকের ধাক্কায় ফ্যামিলিকে নিয়ে পথে বসে যেতে না চাইলে নিচের খুব সহজেই এবং একদমই স্বল্প খরচে করা যায় এমন প্রতিরোধের উপায়গুলো ফলো করতে পারেন -

১. পরিবারের সকল সদস্য যাদের বয়স ৩৫ পেরিয়েছে তাদের প্রেশার নিয়মিত ব্যবধানে চেক করতে থাকুন ( অন্তত বছরে একবার, ৬ মাস অন্তরে হলে আরো ভালো হয় এবং একটা ডায়েরিতে তারিখ দিয়ে লিখে রাখুন) - কারও মাথা ঘুরুক বা না ঘুরুক, অন্য কোন অসুবিধা হোক বা না হোক, অন্যকোন রোগ থাকুক বা না থাকুক - মনে রাখবেন প্রেশার হচ্ছে সাইলেন্ট কিলার, এর কোন রকম কোন উপস্বর্গ নেই, অন্তত বড় বড় ডাক্তারি বইতে আমি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাইনি!

"প্রেশার বেড়ে গেলে মাথা ঘোরে" এবং " আমার প্রেশার বেড়ে গেলে আমি বুঝতে পারি"

এর চেয়ে ধ্রুব মিথ্যা এই পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর একটিও নেই!

যাচাই করতে গুগলের সাহায্য নেবেন না, ডাক্তারিটা অতোটা সহজ বিষয় নয় - মনে করে দেখুন আপনার এলাকার সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রীটি একের পর এক কঠিন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করার পরেই ডাক্তার হয়েছে - সুতরাং তার মেধার উপর ভরসা করুন।

স্ক্রিনিংয়ে প্রেশার বেশি এলে তার সাহায্য নিন। নর্ম্যাল বা কম এলে ৬ মাস ব্যবধানে চেক করতে থাকুন - এটা খুব সহজেই করা যায় এবং বিশেষ কিছু টাকাপয়সাও লাগেনা এর জন্য।

২. যাদের প্রেশার বেশি আছে - বা যাদের ফ্যামিলি তে কারও প্রেশার আছে - তারা লবণ খাওয়া কম করুন, মোটামুটি ভাবে রেকমন্ডেশান হচ্ছে ৫ গ্রামের থেকেও কম লবণ খাওয়া যাবে সারাদিনে ( কাঁচা, ভাজা,সেদ্ধ সবরকম লবণ মিলিয়ে!)

৩. "প্রেশারের ওষুধ একবার খাওয়া শুরু করলে সারাজীবনই খেয়ে যেতে হবে" - এই গ্রুপের অসংখ্য রোগি আমি পেয়েছি - এনাদের নিয়ে যে কি করি - আজ পর্যন্ত ভেবে পেলাম না!

শুধু জিজ্ঞেস করি - " আপনার কাছে, অন্যকোন বিকল্প কোন পথ আছে লাইফস্টাইল মডিফিকেশন এবং ডায়েটারি চেঞ্জেস ছাড়া? কোন তাবিজ/ কবচ/ গাছ-পালা? কলা গাছের রস?"

ওষুধ শুরু এবং কন্টিনিউ করতে হবে কিনা সেটা নির্ভর করবে আপনার বেসলাইন প্রেশার কত তার উপর। প্রেশার যদি অনেকটাই বেশি থাকে সেক্ষেত্রে শুধু লাইফস্টাইল / ডায়েট/ ওয়েট কন্ট্রোলে প্রেশার কন্ট্রোল হবেনা - এগুলোর সাথে সাথে ওষুধ শুরু করতে হবে - সিদ্ধান্ত নেবেন আপনার ডাক্তারবাবু, আপনি নন।

এইখানে ড্যাশ ডায়েট ( DASH Diet - Dietary Approach to Reduce Systolic Hypertension) ফলো করতে পারেন - এটা গুগল করে নিন - কোন ক্ষতি নেই! ( পাতি বাংলায় - কম লবণ, শাক সবজি, ফল মূল বেশি বেশি/ মাছ মাংস, তেল, চর্বি, প্যাকেজড ফুড, জাঙ্কফুড কম)।

৪. যাদের প্রেশার বেশি আছে এবং যারা ওষুধ অলরেডি খাচ্ছেন - তারা কন্টিনিউ করুন এবং মাঝেমাঝেই প্রেশারটা মাপান এবং সেগুলো নোট রাখুন কোথাও - ওষুদের কার্যকারিতা দেখার জন্য - প্রেশার ঠিকঠাক কন্ট্রোল আছে নাকি দেখার জন্য।

যদি দেখেন ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও প্রেশার নর্ম্যাল হচ্ছে না - তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার প্রেশারের ওষুধের ডোজ বাড়াতে হবে বা নতুন কোন শ্রেণির আ্যন্টি হাইপারটেন্সিভ ড্রাগ ( প্রেশারের ওষুধ) যোগ করতে হবে - যেটি করবেন আপনার ডাক্তারবাবু আপনার অন্যান্য কি কি কো-মর্বিডিটিস বা রোগ আছে তার উপর নির্ভর করে।

প্রেশার বেশি থাকলেও শরীরে তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়না কেন?

মনে করুন আপনি পাথর বইবার একটা ১৬ চাকা ট্রাক কিনলেন যার বহন ক্ষমতা ১০ টন - এখন আপনি যদি তাতে ওভারলোড করে ১৭ টন পাথর চাপান - তাতে কি গাড়ি আর চলতে পারবেনা নাকি প্রথম দিনেই তার টায়ার বার্স্ট করবে??

এক্ষেত্রেও গাড়ির চলতে কিন্তু কোন অসুবিধাই হবেনা- কিন্তু ওভারলোডের কারণে টায়ারের বিট বেশি বেশি করে ক্ষয় পেতে থাকবে - তাতেও গাড়ির চলতে কোন অসুবিধা হবেনা - এমন চলতে চলতে হঠাৎ একদিন টায়ার বার্স্ট করবে বা পিছলে গিয়ে কোন আ্যক্সিডেন্ট করে বসবে।

প্রেশারের কারণেও শরীরে একই জিনিস ঘটতে থাকে - এন্ড অর্গান ড্যামেজ - হঠাৎ কোনদিন স্ট্রোক এবং সেই প্রথমে লেখা ঘটনার পুনরাবৃত্তি! সুতরাং প্রেশারকে হাল্কা ভাবে নেবেন না।

"প্রেশার কমে গেলেও ওষুধ খেয়ে যেতে হবে?" -

হ্যাঁ, খেয়ে যেতে হবে, হয়তো ডোজ রিডাকশন লাগতে পারে- কতটা কম আছে তার উপর নির্ভর করে।

স্ট্রোকের চিকিৎসায় চিকিৎসাবিজ্ঞান বেশ এগিয়েছে। তারপরও চিরন্তন সত্য হলো ''Prevention is better than cure''। একবার বড়মাপের স্ট্রোক হয়ে গেলে যা কিছুই করেন না কেন আগের স্বনির্ভর জীবনটা ফিরে পাওয়া যাবেনা, আপনার ব্যবসা, বাণিজ্য, আয় - ইনকাম সবকিছুই হারিয়ে যেতে পারে।

আর ছোট স্ট্রোক হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে আরো আরো স্ট্রোক আপনার অপেক্ষায় আছে।

প্রতিরোধ বা prevention তাই যে কোন পর্যায়েই জরুরী। বিশ্বে প্রতি ৬ জনের একজন জীবনের যে কোন পর্যায়ে এসে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে বা দীর্ঘদিন পঙ্গু হয়ে থাকবে।

অথচ জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের কিছু নিয়মকানুন ও নিয়মিত ওষুধ খেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ স্ট্রোক থেকে নিজেকে ও স্বজনদের বাঁচানো যায়।

সুতরাং নিজে ডাক্তারি না করে আপনার ডাক্তারবাবুকে ডাক্তারিটা করতে দিন - নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যান- নিজে বাঁচুন - আপনার ফ্যামিলিকে বাঁচান।

Doctor Belal Ali...MBBS, MD ( Medicine), CCEBDM ( Diabetes), Senior Resident...SSKM Hospital ( উপরে উল্লেখিত পিজি হাসপাতাল!)....

13/05/2025

পঞ্চগড়ে দুই মাথাওয়ালা শিশুর জন্ম।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন ।
আমীন।

Address

Rangpur

Telephone

+8801757550707

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Health Club Rangpur - স্বাস্থ্য সংস্থা রংপুর। posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Health Club Rangpur - স্বাস্থ্য সংস্থা রংপুর।:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram