RNG Health Care

RNG Health Care RNGhealthcare.com is a Medical Consultation and Diagnostic providing online consultation and home service in all areas of medicine, including radiology.

Utilizing the power of the internet, we are connecting patients around the Rangpur city with some of

মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চা, সুষম খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চ্যালেঞ্জিং কাজ করা জরুরি। য...
28/10/2025

মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চা, সুষম খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চ্যালেঞ্জিং কাজ করা জরুরি। যেমন, নতুন পথে হাঁটা বা মনে মনে অঙ্ক কষা, এবং মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাবার যেমন – বাদাম, চর্বিযুক্ত মাছ ও সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত। জীবনযাপন ও অভ্যাসে পরিবর্তন নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: অ্যারোবিক ব্যায়াম যেমন - দৌড়ানো, সাঁতার কাটা বা বাইক চালানো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী এবং নতুন মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন: প্রতিদিনের রুটিন থেকে বেরিয়ে আসুন। যেমন, অন্য হাতে দাঁত ব্রাশ করা বা নতুন পথে অফিসে যাওয়া। এই ধরনের ছোট পরিবর্তন মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করে, যা মানসিক নমনীয়তা বাড়ায়।মস্তিষ্কের জন্য চ্যালেঞ্জ: ক্যালকুলেটর ব্যবহার না করে মনে মনে ছোট ছোট হিসাব করার চেষ্টা করুন।পর্যাপ্ত ঘুম: মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাবার: মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।বাদাম ও বীজ: বাদাম (যেমন আখরোট, কাজু, পেস্তা) এবং কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।চর্বিযুক্ত মাছ: স্যামন ও ট্রাউটের মতো ওমেগা-\(3\) ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার: ব্রকলি, ডার্ক চকোলেট, ডিম এবং অ্যাভোকাডোও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।মধু: মধুতে থাকা মুক্ত চিনিকোষ মস্তিষ্কের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ゚viralシalシ

26/10/2025
১৩-১৫ বছর বয়সে প্রথমবার গাইনোকোলজিস্টের কাছে যাওয়া উচিত, এমনকি যৌনভাবে সক্রিয় না হলেও। এছাড়াও, মাসিক বা যৌনমিলনের সময...
25/10/2025

১৩-১৫ বছর বয়সে প্রথমবার গাইনোকোলজিস্টের কাছে যাওয়া উচিত, এমনকি যৌনভাবে সক্রিয় না হলেও। এছাড়াও, মাসিক বা যৌনমিলনের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা, অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত রক্তপাত, বা গর্ভধারণ সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে দ্রুত গাইনোকোলজিস্টের কাছে যেতে হবে।
সাধারণ কারণসমূহ
প্রথম গাইনোকোলজিক্যাল চেক-আপ:
আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস (ACOG) ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে প্রথমবার গাইনোকোলজিস্টের কাছে যাওয়ার সুপারিশ করে, যদি না এর আগেও প্রয়োজন হয়।
এই প্রথম পরিদর্শনে সাধারণত পেলভিক পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না।
বার্ষিক চেক-আপ এই বয়স থেকে শুরু করা উচিত।
মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা:
অত্যন্ত কষ্টদায়ক মাসিক বা পিরিয়ডের ক্র্যাম্পস যা দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে।
অনিয়মিত মাসিক চক্র।
অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক রক্তপাত।
অন্যান্য শারীরিক সমস্যা:
পেলভিক বা তলপেটে ব্যথা, বিশেষ করে ব্যায়াম বা যৌনমিলনের সময়।
পেট ফুলে যাওয়া বা ভারী লাগা।
যোনিপথে অস্বাভাবিক স্রাব, চুলকানি বা জ্বালাপোড়া।
জ্বর এবং বমি হওয়া, যা গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
গর্ভধারণ সংক্রান্ত বিষয়:
গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময়।
যদি একজন সুস্থ মহিলা এক বছর চেষ্টার পরও গর্ভধারণ না করতে পারে, তাহলে উর্বরতা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কখন দেখা করা উচিত
মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়, অর্থাৎ মাসিক শুরু হওয়ার এক থেকে দুই সপ্তাহ পরে গাইনোকোলজিস্টের সাথে দেখা করা আদর্শ। প্রসূতি বন্ধ্যাত্ব ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আয়শা সিদ্দিকা এমবিবিএস বিসিএস (স্বাস্থ্য) এমসিপিএস (গাইনী এন্ড অবস) কনসালটেন্ট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

“যা দেখছেন এগুলো নুডলস নয়একটি শিশুর পেট থেকে বের করা জীবন্ত কৃমি”একটি ছোট্ট শিশু, চোখে স্বপ্ন আর মুখে হাসি।কিন্তু শরীর ক...
26/09/2025

“যা দেখছেন এগুলো নুডলস নয়
একটি শিশুর পেট থেকে বের করা জীবন্ত কৃমি”

একটি ছোট্ট শিশু, চোখে স্বপ্ন আর মুখে হাসি।
কিন্তু শরীর ক্রমে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
মা প্রতিদিন ভয়ে ঘুম ভেঙে দেখেন
সন্তান কান্না করছে, পেট ধরে ধড়ফড় করছে, খিদে কমে গেছে।
চোখে জ্বালা, মুখে রঙহীনতা… কেমন করে এই নিঃশব্দ শত্রু তার শরীরে বাস করল?

ডাক্তার দেখালে জানা গেল
শিশুর পেটে রাউন্ডওয়ার্ম বাসা বেঁধেছে।
একটি নীরব, ছোট্ট কিন্তু ভয়ঙ্কর শত্রু, যা তার শক্তি, রক্ত আর খুশিকে চুপিচাপ ছিনিয়ে নিচ্ছিল।
শেষমেশ অস্ত্রোপচার করে সেই কৃমিগুলো বের করা হলো যা দেখলে হৃদয় কাঁপে।

পেটের কৃমি কেন ভয়ঙ্কর?

খাবারের সব পুষ্টি নিজেরা খেয়ে ফেলে, শিশু দুর্বল ও ক্ষীণ হয়

বারবার পেট ব্যথা, অস্থিরতা

পায়ুপথের চারপাশে চুলকানি

ওজন কমে যাওয়া, রক্তশূন্যতা

পড়াশোনা ও মনোযোগে প্রভাব

মারাত্মক ক্ষেত্রে অন্ত্র বন্ধ হয়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন

কৃমি আসে কোথা থেকে?
অপরিষ্কার পানি, অস্বাস্থ্যকর খাবার, ময়লা হাত মুখে দেওয়া, খালি পায়ে মাটিতে খেলা

শিশুর এই দুষ্টু আনন্দই কৃমিকে ডাক দেয়, ছোট্ট শরীরকে শত্রুর নীড় বানায়।

(WHO–এর পরামর্শ অনুযায়ী):
প্রতি ৬ মাস অন্তর সব শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ দেওয়া আবশ্যক।

Albendazole :

২ বছরের নিচে: 200 mg (সিরাপ 5 ml)

২ বছরের বেশি: 400 mg (সিরাপ 10 ml বা ২ ট্যাবলেট একবারেই যথেষ্ট)

Mebendazole :

একবারে 500 mg

অথবা 100 mg সকাল-সন্ধ্যা, ৩ দিন

প্রতিরোধ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ:

খাওয়ার আগে ও টয়লেটের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া

সবসময় বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার

ফল ও সবজি ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া

শিশুদের খালি পায়ে বাইরে হাঁটতে না দেওয়া

স্কুল ও মাদ্রাসায় সমষ্টিগত Deworming ক্যাম্পেইন

এই নীরব শত্রু, পেটের কৃমি, শিশুর জীবনের আনন্দ ও শক্তি চুরি করে নেয়।
মা-বাবা, আপনার ভালোবাসাই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা।
প্রতি ৬ মাসে কৃমিনাশক ওষুধ দিন,
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভ্যাস গড়ে তুলুন।

শিশুর হাসি, তার শক্তি, তার ভবিষ্যৎসবই আপনার হাতেই।

শেয়ার করুন, সেভ করে রাখুন, ফলো করুন, বেড়ে উঠুক আমাদের সন্তান সুস্থভাবে
Dr-Abdur Rahman

কৃতজ্ঞতা ডা: আরশাদ মেহমুদ স্যারের প্রতি

#শিশুর_স্বাস্থ্য #পেটের_কৃমি . (সংগৃহিত)....................................................................

🚨 রংপুর অঞ্চলে এনথ্রাক্স (তড়কা) পরিস্থিতি রিপোর্টবর্তমান অবস্থা (সেপ্টেম্বর ২০২৫)সাম্প্রতিক সময়ে রংপুর অঞ্চলে এনথ্রাক্স ...
20/09/2025

🚨 রংপুর অঞ্চলে এনথ্রাক্স (তড়কা) পরিস্থিতি রিপোর্ট
বর্তমান অবস্থা (সেপ্টেম্বর ২০২৫)

সাম্প্রতিক সময়ে রংপুর অঞ্চলে এনথ্রাক্স রোগের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে ৫ জন মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ৩০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই পশু জবাই বা মৃত পশুর দেহ স্পর্শ করার সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। এ রোগটি মানুষের মাঝে জুনোটিক রোগ হিসেবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

প্রধান আক্রান্ত এলাকা:

রংপুর সদর

গঙ্গাচড়া

কাউনিয়া

মিঠাপুকুর

রোগের কারণ

এনথ্রাক্স একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ যা Bacillus anthracis দ্বারা সৃষ্ট।

এটি মানুষের পাশাপাশি গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার মধ্যেও ছড়ায়।

বর্ষাকালে বন্যার পানিতে মাটির নিচে থাকা স্পোর (spore) সক্রিয় হয়ে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে।

গরুর প্রধান লক্ষণ

হঠাৎ মারা যাওয়া (Sudden death)

উচ্চ জ্বর (১০৪-১০৬°F)

নাক, মুখ, কান, পায়ুপথ দিয়ে কালচে, জমাট না বাঁধা রক্ত বের হওয়া (আলকাতরার মতো)

মারা যাওয়ার পর পেট ফেঁপে যাওয়া

গলা ও বুকে ফোলাভাব

অতিরিক্ত লালা ঝরা ও শ্বাসকষ্ট

মানুষে সংক্রমণের উপায়

এনথ্রাক্স মানুষের মধ্যে প্রধানত তিনভাবে ছড়ায়—

1️⃣ ত্বক (Cutaneous Anthrax)

পশুর মৃতদেহ, চামড়া বা রক্ত স্পর্শ করলে ত্বকের ক্ষত দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে।

ত্বকে কালো দাগ (Black Eschar) তৈরি হয়।

রংপুরে এ ধরণের কেস সবচেয়ে বেশি (প্রায় ৯৫%)।

2️⃣ শ্বাসতন্ত্র (Pulmonary Anthrax)

সংক্রমিত পশুর লোম, চামড়ার ধুলো শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করলে।

3️⃣ খাদ্য (Intestinal Anthrax)

কাঁচা বা সঠিকভাবে রান্না না করা মাংস খেলে।

কীভাবে ছড়ায়

সংক্রমিত ঘাস বা খড় খাওয়ার মাধ্যমে প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করে।

মৃত পশুর রক্ত, মাংস, চামড়া স্পর্শ করলে।

বন্যার পানি ও মাটির স্পোরের মাধ্যমে।

কাঁচা মাংস খেলে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।

⚠️ মনে রাখবেন: Bacillus anthracis ব্যাকটেরিয়া স্পোর তৈরি করতে পারে, যা বছরের পর বছর মাটিতে বেঁচে থাকতে পারে। অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসলে স্পোর সক্রিয় হয়ে যায় এবং সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা
১. ভ্যাক্সিনেশন (পশুর টিকা)

৬ মাস বা তার বেশি বয়সের গরু বা মহিষকে প্রতি বছর ১ বার এনথ্রাক্স টিকা দিতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রাথমিকভাবে ১০০% টিকা কভারেজ নিশ্চিত করা জরুরি।

২. মৃত প্রাণীর দেহ সৎকার

কখনোই পোস্টমর্টেম করা যাবে না (এতে জীবাণু আরও ছড়ায়)।

রক্ত বের হওয়া জায়গায় তুলা বা গজ দিয়ে শক্ত করে বাঁধতে হবে।

গভীর গর্ত (৬-৮ ফুট) খুঁড়ে চুন/ফর্মালিন/ব্লিচিং পাউডার দিয়ে কবর দিতে হবে।

প্রয়োজনে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ফেলতে হবে (Incineration)।

৩. গোয়ালঘর পরিষ্কার

মৃত প্রাণীর গোয়ালঘর ভালোভাবে জীবাণুনাশক দিয়ে ধুতে হবে।

বর্ষার পানি জমে থাকা ঘাস খাওয়ানো যাবে না।

মানুষের জন্য সতর্কতা

খালি হাতে কাঁচা মাংস বা মৃত পশু স্পর্শ করবেন না।

আক্রান্ত পশুর দেহের কাছাকাছি যাবেন না।

কাঁচা বা আধা সেদ্ধ মাংস খাবেন না।

অসুস্থ বা হঠাৎ মারা যাওয়া পশুর খবর দ্রুত ভেটেরিনারি অফিসারকে জানান।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

সরকারি পদক্ষেপ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (DLS) এবং স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে আক্রান্ত এলাকায় জরুরি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে।

জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ চলছে।

মাঠ পর্যায়ের ভেটেরিনারি সার্ভিস টিম সক্রিয় করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক ডাটা (সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫ পর্যন্ত)
বিষয় সংখ্যা
মৃত মানুষ ৫ জন
সংক্রমিত মানুষ ৩০ জন
মৃত গরু/মহিষ ৪৫টি
আক্রান্ত উপজেলা ৪টি (রংপুর সদর, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, মিঠাপুকুর)
ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প সংখ্যা ১২টি
ভ্যাক্সিন দেওয়া গরু/মহিষ ৬,৫০০+

এনথ্রাক্স একটি মারাত্মক জুনোটিক রোগ যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিরোধমূলক টিকা, সঠিকভাবে মৃতদেহ সৎকার এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
এ মুহূর্তে আক্রান্ত এলাকায় দ্রুত টিকা প্রদান ও সচেতনতা কার্যক্রম সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ।
🇧🇩🇧🇩 সংগৃহিত

👉 “মেদভুঁড়ি শুধু সৌন্দর্য নষ্ট করে না, নীরবে ধ্বংস করে শরীর ও মন! এখনই জানুন সত্যিকারের সমাধান 💪🔥”📝 মূল পোস্ট🔶 অতিকায় স্...
30/08/2025

👉 “মেদভুঁড়ি শুধু সৌন্দর্য নষ্ট করে না, নীরবে ধ্বংস করে শরীর ও মন! এখনই জানুন সত্যিকারের সমাধান 💪🔥”

📝 মূল পোস্ট
🔶 অতিকায় স্থূলতা / মেদভুঁড়ি – আমাদের নীরব শত্রু!
আজকের আধুনিক জীবনে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা সমস্যাগুলোর মধ্যে অতিকায় স্থূলতা (Obesity) এবং মেদভুঁড়ি অন্যতম। এক সময় মানুষ ভাবত, একটু বেশি খাওয়া-দাওয়া বা পেটের ভুঁড়ি মানেই সুখী জীবন, “ভালো খাই ভালো থাকি” টাইপের বিষয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো—এই বাড়তি মেদ শুধু শরীরের সৌন্দর্যই নষ্ট করে না, বরং অজান্তেই আমাদের জীবনকে গ্রাস করতে থাকে।

স্থূলতা শুধু একটি শারীরিক সমস্যা নয়, বরং এটি এক ধরনের রোগ (Chronic Disease)।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে বলা হয় “Lifestyle Disorder” বা জীবনযাপনের ব্যাধি।

🔶 কেন হয় মেদভুঁড়ি?
মেদভুঁড়ি বা স্থূলতার পেছনে একাধিক কারণ থাকে। সাধারণতঃ—
অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ – প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভাজা-পোড়া, জাঙ্ক ফুড, মিষ্টি খাওয়া।
শরীরচর্চার অভাব – অফিস-ঘরে সারাদিন বসে থাকা, হাঁটা-চলা কম করা।
হরমোনজনিত সমস্যা – থাইরয়েড বা অন্যান্য হরমোনের অসামঞ্জস্যতা।
স্ট্রেস ও ঘুমের অভাব – কর্টিসল হরমোন বেড়ে গিয়ে শরীরে মেদ জমতে সাহায্য করে।
জেনেটিক ফ্যাক্টর – পারিবারিক কারণে সহজে মেদ জমা।
বয়স – বয়স বাড়লে মেটাবলিজম ধীরে যায়, ফলে সহজে ফ্যাট জমে।

🔶 মেদভুঁড়ির ক্ষতিকর দিক (Silent Killer Facts)
পেটের অতিরিক্ত মেদকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয় “Visceral Fat”, যা ভীষণ ভয়ানক। কারণ এ মেদ আমাদের লিভার, হার্ট, কিডনি, ফুসফুসের চারপাশে জমে শরীরকে ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

⚠️ মেদভুঁড়ির কারণে যেসব মারাত্মক রোগ হতে পারে—
উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)
ডায়াবেটিস (Type 2 Diabetes)
হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাক
স্ট্রোক
ফ্যাটি লিভার
হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট
জয়েন্ট পেইন ও হাঁটু ব্যথা
ক্যানসারের ঝুঁকি (বিশেষ করে কোলন ও ব্রেস্ট ক্যানসার)
মানসিক সমস্যা – আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া, ডিপ্রেশন

🔶 কিভাবে বুঝবেন আপনি স্থূল বা মেদভুঁড়ি?
BMI (Body Mass Index):
নরমাল: ১৮.৫ – ২৪.৯
ওভারওয়েট: ২৫ – ২৯.৯
স্থূল (Obese): ৩০ বা তার বেশি
Waist Circumference (পেটের মাপ):
পুরুষ: ৯০ সেমি (৩৫ ইঞ্চি) এর বেশি হলে ঝুঁকি
নারী: ৮০ সেমি (৩২ ইঞ্চি) এর বেশি হলে ঝুঁকি

🔶 মেদভুঁড়ি কমানোর উপায় (প্রমাণিত ও কার্যকর):

👉 ওষুধ নয়, লাইফস্টাইল পরিবর্তনই সবচেয়ে বড় সমাধান।

✅ খাবারের অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন::
ভাজা-পোড়া, মিষ্টি, জাঙ্ক ফুড কমান
লবণ ও চিনি নিয়ন্ত্রণ করুন।
বেশি পরিমাণে শাকসবজি, ফল, সালাদ খান।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন

✅ নিয়মিত ব্যায়াম করুন::
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা
যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, দড়ি লাফ, সাঁতার
বিশেষ করে প্ল্যাঙ্ক, ক্রাঞ্চ, স্কোয়াট মেদ কমাতে কার্যকর

✅ জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন:::
পর্যাপ্ত ঘুম (৬–৮ ঘণ্টা)
স্ট্রেস কমান, ধ্যান করুন
ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন

🔶 মেদভুঁড়ি কাটানোর জন্য জনপ্রিয় ৫টি টিপস (Viral Tricks)
“ডিনার লাইট রাখুন” – রাতে ভারী খাবার খাবেন না।
“মিষ্টি বাদ, ফল বেশি” – মিষ্টি ও সফট ড্রিঙ্কস বন্ধ করুন।
“খাবারের পর হাঁটুন” – অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটুন।
“প্রতিদিন ২ লিটার পানি” – মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।
“সকালে খালি পেটে লেবু-পানি” – ফ্যাট বার্নে সহায়ক।

🔶 মানসিক দিক::
স্থূলতা শুধু শরীর নয়, মনকেও প্রভাবিত করে। সমাজে অনেকেই শরীর নিয়ে কটুক্তি করে, যা আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে। মনে রাখবেন—
👉 আপনার শরীর আপনার নিজের, তাই নিজেকে ছোট মনে করবেন না।
👉 ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
👉 সবার আগে নিজের মানসিক শক্তি তৈরি করুন।

🔶 শেষ কথা::
👉 স্থূলতা / মেদভুঁড়ি আজকের সবচেয়ে বড় নীরব ঘাতক।
👉 অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক – এসবের প্রধান কারণ অতিরিক্ত মেদ।
👉 এখনই সচেতন না হলে, কাল হয়তো দেরি হয়ে যাবে।

💡 মনে রাখবেন::– “ওষুধে নয়, নিয়মিত অভ্যাসেই মুক্তি”।
আপনার স্বাস্থ্য আপনার সম্পদ—তাই নিজের যত্ন নিন, পরিবারকে সুস্থ রাখুন।

📢 CTA (Call to Action)
👉 এই পোস্টটি শেয়ার করুন, হয়তো আপনার এক শেয়ারের কারণে কারো জীবন বদলে যেতে পারে।
👉 কমেন্টে লিখুন—আপনি মেদভুঁড়ি কমাতে কোন উপায়গুলো মেনে চলছেন?

🔥 #স্থূলতা #মেদভুঁড়ি #স্বাস্থ্যসচেতনতা #ফিটনেস #সুস্থজীবন #ডায়েটপ্ল্যান #মেদকমান

 #ক্যান্সার” শব্দটা যতটা ভয়াবহ শোনায়, তার পেছনের গোপন খেলা তার চেয়েও ভয়ংকর। এটা কেবল একটা রোগ না, বরং একটি বহুজাতিক চিকি...
29/08/2025

#ক্যান্সার” শব্দটা যতটা ভয়াবহ শোনায়, তার পেছনের গোপন খেলা তার চেয়েও ভয়ংকর। এটা কেবল একটা রোগ না, বরং একটি বহুজাতিক চিকিৎসা ও ফার্মাসিউটিক্যাল দানবের আখড়া, যেখানে মানুষকে রোগী বানিয়ে আজীবন শোষণ করা হয়।

#ক্যান্সারের প্রকৃত কারণ গোপন করা হয় কেন জানেন?

কারণ ক্যান্সার হচ্ছে “দেহের প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া”ক্যান্সার কোষ অনেক সময় শরীরের ডিটক্স বা টক্সিন বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবেও তৈরি হয়।
টক্সিন, রেডিয়েশন, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, এবং বিষাক্ত খাদ্য শরীরের কোষগুলোকে মিউটেট করে তোলে।
কিন্তু এই root cause গুলো তারা সরিয়ে না দিয়ে শুধু লক্ষণ (symptoms) কন্ট্রোল করে।

ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ট্রিলিয়ন ডলার ব্যবসা করে এই ক্যান্সার দিয়ে-

এক কথায় ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট = ট্রিলিয়ন ডলার ব্যবসা।

একবার ক্যান্সার ধরলে রোগী অন্তত ১০–৫০ লাখ টাকায় শেষ হয়ে যায়। কেমো, রেডিওথেরাপি, ওষুধ, হসপিটাল বিল… সবই লাভের খনি।
তাদের দরকার ক্যান্সার সারানো না, রোগীকে বাঁচিয়ে রেখে ধীরে ধীরে শেষ করা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে বড় বড় তারকারা, বিলিওনিয়ার, রাজনীতিকেরা ক্যান্সার হলে কেন তারা বেশিরভাগ সময় বেঁচে যায়? অথচ সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ক্যান্সার মানেই প্রায় মৃত্যু?

এর পেছনে ৩টা স্তরে লুকানো সত্য আছে

১-তারা মুলত Alternative গোপন চিকিৎসা পায় যা সাধারণ মানুষ জানে না।

বিশ্বের এলিটদের জন্য রয়েছে
Gerson Therapy > শরীরকে ডিটক্স করে, লিভার রিকভার করে, ক্ষারীয় খাবার দিয়ে ক্যান্সার কোষকে মারে।

Ozone Therapy > শরীরে অতিরিক্ত অক্সিজেন ঢুকিয়ে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে।

High-dose Vitamin C IV therapy > IV এর মাধ্যমে শরীরে বিশাল মাত্রার ভিটামিন C ঢুকিয়ে কোষকে শক্তিশালী করে।

Hyperbaric Oxygen Chamber > বায়ুচাপ ও অক্সিজেন দিয়ে ক্যান্সার কোষের পরিবেশ নষ্ট করে

Alkaline therapy + raw food > শরীরের pH এমন জায়গায় নিয়ে যায়, যেখানে ক্যান্সার টিকতেই পারে না।

এই থেরাপিগুলোকে FDA / WHO কখনো অনুমোদন দেয় না কারণ ফার্মা মাফিয়ারা এতে টাকা কামাতে পারে না। তাই এসব পদ্ধতি “unscientific” বলে দমন করা হয়।

২-তাদের Chemotherapy-ও হয় “customized & cleaner version”

আমরা যেটা পাই-
Toxic chemo যা ভালো কোষও ধ্বংস করে দেয়। চুল পড়ে যায়, ইমিউন সিস্টেম ভেঙে পড়ে।

তারা যা পায়-
Ultra-high tech personalized chemo + targeted therapy + stem cell support
Supplement + ইমিউন সিস্টেম বুস্টার দিয়ে side effect কমিয়ে ফেলে

৩. তারা জানে ক্যান্সার হলো “Metabolic Disease”Genetic না!
তারা বিশ্বাস করে না যে ক্যান্সার হলো “দুর্ভাগ্যজনিত জেনেটিক রোগ”।

তাদের চিকিৎসকরা জানে:
“ক্যান্সার কোষ = অস্বাভাবিকভাবে গ্লুকোজ খাওয়া কোষ”
তাই চিনি বন্ধ করে, ক্ষারীয় খাবার দিয়ে, শরীর ডিটক্স করে ফলে ক্যান্সার কোষ না খেয়ে মারা যায়।

অথচ সাধারণ মানুষকে শেখানো হয়:
“এটা কপাল, জেনেটিক, কেমো ছাড়া উপায় নাই।ক্যান্সার মানেই মৃত্যু। আপনাকে হতাশ করে তুলবে। আপনাকে চিন্তিত করে তুলবে। এবং এই সুযোগে ক্যান্সার আপনার শরীরে আরও ভয়ানক রুপ ধারন করে।”

তাহলে ক্যান্সার কি আসলেই “অপরিবর্তনীয় মৃত্যুদণ্ড?

না। প্রচলিত মেডিকেল সিস্টেম যে চিত্র তুলে ধরে ক্যান্সার মানেই মৃত্যু সেটা অনেকাংশে মিথ্যা।

ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়ার প্রকৃত পথ হচ্ছে

Alkaline Diet (pH ব্যালেন্স করে):
ক্যান্সার কোষ এসিডিক পরিবেশে বাড়ে, আলকালাইন খাদ্য এটা বন্ধ করে।
Dr. Sebi নামে এক হোলিস্টিক হিলার ছিলেন যিনি শুধু alkaline food খাইয়ে হাজারো ক্যান্সার রোগীকে সারিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু তাকে পরে “ভুয়া চিকিৎসক” বলে হঠাৎ করে May 2016 এ গ্রেফতার করে মেরে ফেলা হয়।

Vitamin B17 (Laetrile):
প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান, যা FDA নিষিদ্ধ করেছে।
Vitamin B17 নামে পরিচিত এই জিনিসটা আসলে একটুও ভিটামিন না।
এটি হলো একটি প্রাকৃতিক ক্যান্সার-নাশক যৌগ যার প্রকৃত নাম Amygdalin, এবং প্রক্রিয়াজাত রূপ হলো Laetrile।
এটি প্রাকৃতিকভাবে কিছু নির্দিষ্ট ফলের বীজ থেকে নেওয়া হয়। বিশেষ করে আপেল, খেজুর, তেঁতুল, আঙ্গুর, বিশেষ করে আবেগ বিচি (Apricot kernel) এ।
এটা শরীরে গিয়ে সায়ানাইড (cyanide) ছাড়ে। কিন্তু শুধু ক্যান্সার কোষের মধ্যেই।
তাই স্বাভাবিক কোষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে শুধু ক্যান্সার কোষ ধ্বংস হয়।

১৯৭০ দশকে Dr. Ernst Krebs নামে একজন গবেষক বলেন:
“B17 হচ্ছে প্রকৃত ক্যান্সার প্রতিরোধক। ক্যান্সার আসলে B17 ঘাটতির রোগ।”
তিনি Laetrile দিয়ে বহু ক্যান্সার রোগী সুস্থ করেছিলেন।কিন্তু পরে FDA এটাকে নিষিদ্ধ করে।

কারণ:
ক্যান্সার একটি ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা।
তারা ক্যান্সার সারাতে চায় না। চায় রোগীকে চিরস্থায়ী খদ্দর বানাতে।

আমাকে নিয়ে আপনারা যা-ই বলুন না কেন, তাতে আমার কোন সমস্যা নাই কারণ আপনাদের মন্তব্য করার অধিকার আছে।
তবে আমি মানুষ, ভুল হতেই পারে। যদি কোনো ভুল বলে ফেলি, দয়া করে ভালোবাসার সাথে আমাকে সেই ভুলটা ধরিয়ে দিন। 💙

ইনশাল্লাহ, আমি সেটি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবো।
Dr_Ammar Hossain Amit Pal Md Muttaki Billah Sami Samir Hossain Samim Islam MD Hrm Sami Md Sabbir Ahmmed Sabbir Ahmed N Habib Khan Habibur Rahaman Saikat Jahan Mim Md Jahangir Alom Tanvir Khan Tanvir Ahmed Arman Hussain Akramul Haque Akram Akramul Haque Md Gazirul Islam MD Azizul Haque Azizul Hakim Shuvo MD Alamin Islam Md Alamin MD Alamin Islam Alamin Gogon Ab Alamin Ab Alamin Alamgir Badsha MD Hamidul Islam Rifat Md Hamidul Islam Rashidul Haque MD Rashidul Islam Rashid Rashidul Islam Rashidul Md Ridoy Hosen MD Anwar Hossaion Muntahin Afroj Afroja Akter Pinky Nourin Islam Monjurul Islam Md Kawsar Habib MD Habibur Rohman Siddiki Kh Amirul Haque Ruhul Amin Ferdous Bappy Nazma Parvin Naznin Nahar Nupur Atiqur Rahman Asif Md Forhad Hossain Pasha MD Forhad Ahammed Hannan Md Nurhossen Liton Md. Tarif Osman Goni #লাইক_কমেন্ট_শেয়ার_করে_মানবতার_সেবায়_নিয়োজিত_থাকুন

★ভালবাসা আসলে যে পিটুইটারির খেলা আমরা বোকারা বলি প্রেম। ★🧠মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও ভালবাসায় পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের ভূমিকা👨...
29/08/2025

★ভালবাসা আসলে যে পিটুইটারির খেলা আমরা বোকারা বলি প্রেম। ★

🧠মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও ভালবাসায় পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের ভূমিকা👨‍🦰

লেখক: Durjoycu

ভূমিকা: মানুষের আবেগের রহস্য ও বিজ্ঞান

মানুষ জন্মগতভাবে আবেগী প্রাণী। আমাদের হাসি, কান্না, রাগ, ভয়, মমতা কিংবা ভালোবাসা—সবকিছুই এক জটিল স্নায়বিক ও হরমোনাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। আমরা যখন কাউকে ভালোবাসি, বন্ধুত্ব করি, সন্তানের প্রতি মমতায় ভরে উঠি বা বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করি—তখন মস্তিষ্কের ভেতর নানা রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি ছোট অথচ শক্তিশালী অঙ্গ, যার নাম পিটুইটারি গ্ল্যান্ড। আকারে এটি মাত্র একটি মটরদানার মতো হলেও, একে বিজ্ঞানীরা বলেন “মাস্টার গ্ল্যান্ড”। কারণ, শরীরের প্রায় প্রতিটি হরমোনের উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ এটির মাধ্যমেই পরিচালিত হয়।

পিটুইটারি গ্ল্যান্ড: অবস্থান ও গঠন

পিটুইটারি গ্ল্যান্ডটি মস্তিষ্কের নীচে, নাকের একটু পিছনে একটি হাড়ের খাঁজে (sella turcica) অবস্থিত। এর দুইটি প্রধান অংশ—

1. Anterior pituitary (সামনের অংশ)

2. Posterior pituitary (পিছনের অংশ)

প্রতিটি অংশ ভিন্ন ভিন্ন হরমোন নিঃসরণ করে এবং সেই হরমোন মানুষের শারীরিক ও মানসিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের হরমোনসমূহ

পিটুইটারি গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত হরমোনগুলোর মধ্যে যেগুলো মানুষের আবেগ ও ভালোবাসায় সরাসরি ভূমিকা রাখে, সেগুলো হলো—

অক্সিটোসিন (Oxytocin) → ভালোবাসা, আস্থা, সম্পর্কের বন্ধন

প্রোল্যাকটিন (Prolactin) → মায়ের দুধ উৎপাদন ও মাতৃত্বের মমতা

এন্ডোরফিন (Endorphin) → আনন্দ, সুখানুভূতি, ব্যথা নিয়ন্ত্রণ

ভাসোপ্রেসিন (Vasopressin) → সামাজিক বন্ধন ও বিশ্বাস

অক্সিটোসিন: ভালোবাসার হরমোন

ভালোবাসার মুহূর্তে বা প্রিয়জনকে স্পর্শ করার সময় অক্সিটোসিনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এ হরমোনকে বলা হয় “love hormone” বা “cuddle hormone”। এটি—

সম্পর্কের মধ্যে আস্থা ও নিরাপত্তা বাড়ায়

মাতৃত্বকালীন সময়ে মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন দৃঢ় করে

সঙ্গীর প্রতি টান ও আবেগকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে

প্রোল্যাকটিন: মাতৃত্ব ও মমতার স্রোত

সন্তান জন্মের পর মায়ের শরীরে প্রোল্যাকটিন হরমোন দুধ উৎপাদনে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি মায়ের ভেতরে অপরিসীম মমতা, ধৈর্য ও স্নেহ তৈরি করে।

ভাসোপ্রেসিন: সামাজিক বন্ধনের রক্ষক

ভাসোপ্রেসিনকে বলা যায় “commitment hormone”। এটি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক, দায়িত্ববোধ ও বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত। গবেষণায় দেখা গেছে, ভাসোপ্রেসিনের মাত্রা যাদের বেশি, তারা সম্পর্কের প্রতি বেশি দায়িত্বশীল ও একাগ্র।

এন্ডোরফিন: সুখ ও প্রশান্তির উৎস

আমরা যখন ভালোবাসার মানুষকে দেখি বা তাদের সঙ্গে সময় কাটাই, তখন মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়। এটি আমাদের আনন্দিত করে, চাপ কমায় এবং মানসিক শান্তি আনে।

মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সমন্বয়

পিটুইটারি গ্ল্যান্ড একা কাজ করে না। এটি হাইপোথ্যালামাস, অ্যামিগডালা এবং লিম্বিক সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে।

হাইপোথ্যালামাস → পিটুইটারিকে নির্দেশ দেয়

অ্যামিগডালা → ভয় ও রাগের নিয়ন্ত্রক

লিম্বিক সিস্টেম → ভালোবাসা ও আবেগের কেন্দ্র

ভালোবাসার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

যখন মানুষ প্রেমে পড়ে তখন—

1. মস্তিষ্কে ডোপামিন বেড়ে যায় → আনন্দ

2. অক্সিটোসিন ও ভাসোপ্রেসিন → বন্ধন ও আস্থা

3. সেরোটোনিন → আবেগের ভারসাম্য

4. এন্ডোরফিন → সুখ ও প্রশান্তি

সব মিলিয়ে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড একে সুসংগঠিত করে।

মানসিক স্বাস্থ্য ও পিটুইটারি কার্যকলাপ

হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে বিষণ্নতা, উদ্বেগ বা সম্পর্কের সমস্যা দেখা দেয়।

অতিরিক্ত চাপ (Stress) পিটুইটারির কাজ ব্যাহত করে।

সঠিক জীবনযাপন, ব্যায়াম, ঘুম ও সম্পর্কের উষ্ণতা পিটুইটারিকে সক্রিয় রাখে।

দর্শন, সাহিত্য ও পিটুইটারির ভূমিকা

ভালোবাসা শুধু জৈবিক বা রাসায়নিক ব্যাপার নয়, এটি দর্শন ও সাহিত্যেরও মূল বিষয়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, মানুষের মনের ভেতর প্রেমের যে আলো জ্বলে, তার নিয়ন্ত্রকও হলো পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের নিঃসৃত হরমোন।

উপসংহার: ভালোবাসার বিজ্ঞানের আলোয়

মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসা—সবকিছুর কেন্দ্রে আছে এক মটরদানার মতো ছোট্ট অঙ্গ, পিটুইটারি গ্ল্যান্ড। এ গ্ল্যান্ড ছাড়া মানুষের জীবন হতো নিরাবেগ, শূন্য ও অচেনা। ভালোবাসার সমস্ত মমতা, আস্থা ও সুখানুভূতি আসলে এর হরমোনাল সিম্ফনির ফল।

✍️ লেখক: Durjoycu

25/08/2025
টাইম লাইনে রেখে দেন কাজে আসতে পারে 🩺 রোগ অনুযায়ী কোন ডাক্তার দেখাবেন🔹 মাথা, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর সমস্যামাথা ব্যথা, খিঁচুনি...
24/08/2025

টাইম লাইনে রেখে দেন কাজে আসতে পারে

🩺 রোগ অনুযায়ী কোন ডাক্তার দেখাবেন

🔹 মাথা, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর সমস্যা

মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, পক্ষাঘাত, স্নায়ুর ব্যথা → নিউরোলজিস্ট (Neurologist)

মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার, টিউমার → নিউরোসার্জন (Neurosurgeon)

---

🔹 চোখের সমস্যা

চোখের ঝাপসা, লাল হওয়া, ছানি, গ্লুকোমা → চক্ষু বিশেষজ্ঞ (Ophthalmologist)

---

🔹 কান, নাক ও গলার সমস্যা

কানে কম শোনা, কানে পুঁজ পড়া, টনসিল, সাইনাস, নাক দিয়ে রক্ত পড়া → ইএনটি বিশেষজ্ঞ (ENT Specialist)

---

🔹 দাঁত ও মুখের সমস্যা

দাঁতের ব্যথা, মাড়ির সমস্যা, দাঁত তোলা/ব্রেস → ডেন্টিস্ট (Dentist)

---

🔹 হৃদরোগ ও রক্তচাপ

বুক ধড়ফড়, হার্ট ব্লক, হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ/নিম্ন রক্তচাপ → কার্ডিওলজিস্ট (Cardiologist)

হার্টের অপারেশন লাগলে → কার্ডিয়াক সার্জন (Cardiac Surgeon)

---

🔹 শ্বাসকষ্ট / ফুসফুস

হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, যক্ষ্মা → মেডিসিন / চেস্ট বিশেষজ্ঞ (Pulmonologist)

---

🔹 পেট ও হজমের সমস্যা

গ্যাস্ট্রিক, পেট ব্যথা, লিভারের সমস্যা, আলসার → গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট (Gastroenterologist)

---

🔹 কিডনি / প্রস্রাবের সমস্যা

কিডনির পাথর, প্রস্রাবে জ্বালা, ইউরিন ইনফেকশন → নেফ্রোলজিস্ট (Nephrologist)

অপারেশন লাগলে → ইউরোলজিস্ট (Urologist)

---

🔹 হাড়, জয়েন্ট ও মেরুদণ্ড

কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, হাড় ভাঙা, বাত → অর্থোপেডিক সার্জন (Orthopedic Doctor)

---

🔹 ত্বক ও যৌন রোগ

চুলকানি, চুল পড়া, ফুসকুড়ি, যৌন রোগ → ডার্মাটোলজিস্ট (Skin & VD Specialist)

---

🔹 নারী রোগ

মাসিকের সমস্যা, গর্ভাবস্থা, সন্তান জন্ম → গাইনোকলজিস্ট (Gynecologist & Obstetrician)

---

🔹 শিশু রোগ

শিশুদের জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া → পেডিয়াট্রিশিয়ান (Child Specialist)

---

🔹 মানসিক রোগ

দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন, ঘুম না আসা, সিজোফ্রেনিয়া → সাইকিয়াট্রিস্ট (Psychiatrist)

---

🔹 সাধারণ অসুখ

সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, শরীর ব্যথা → মেডিসিন বিশেষজ্ঞ (Medicine Specialist)

জরুরি বা ছোটখাটো সমস্যা → MBBS ডাক্তার (General Physician)

C......P

পাকস্থলীর ক্যান্সার (Stomach Cancer), যাকে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারও বলা হয়, এটি পাকস্থলীর ভিতরের আস্তরণ থেকে শুরু হয়। নি...
23/08/2025

পাকস্থলীর ক্যান্সার (Stomach Cancer), যাকে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারও বলা হয়, এটি পাকস্থলীর ভিতরের আস্তরণ থেকে শুরু হয়। নিচে এর কারণ ও লক্ষণ তুলে ধরা হলো:
কারণসমূহ:
১. হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
২. দীর্ঘদিনের গ্যাস্ট্রিক বা আলসার সমস্যা
৩. খাবারে উচ্চ লবণ, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ধূমপান
৪. পারিবারিক ইতিহাস (জিনগত প্রভাব)
৫. বয়স ও লিঙ্গ: সাধারণত ৫০ বছর বয়সের পর বেশি দেখা যায় এবং পুরুষদের মধ্যে বেশি
৬. রক্তশূন্যতা (Pernicious anemia)
৭. অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান
৮. পূর্বে পেটের সার্জারি করানো থাকলে
লক্ষণসমূহ:
১. বুক জ্বালা বা গ্যাস্ট্রিকের মতো অনুভব
২. খাওয়ার পর অস্বস্তি বা পূর্ণভাব অনুভব
৩. বমি বমি ভাব বা বমি
৪. ওজন কমে যাওয়া (অকারণে)
৫. ক্ষুধা হ্রাস

৬. পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি, বিশেষত পেটের ওপরের অংশে
৭. মল কালো বা রক্তযুক্ত হওয়া (অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ইঙ্গিত)
৮. দুর্বলতা বা ক্লান্তিভাব
পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে খুব একটা উপসর্গ না-ও দিতে পারে, তাই এই লক্ষণগুলো অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
খারাপ ক্যান্সার এর মধ্যে পাকস্থলীর ক্যান্সার অন্যতম। আশার কথা হলো প্রাথমীক পর্যায়ে ধরা পড়লে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়া যায়।

C........P

Address

Rangpur

Website

RNG (Rangpur) Health care

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when RNG Health Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category