Nilphamari

Nilphamari Nilphamari (Bengali: নীলফামারী জেলা) is a district in Northern Bangladesh.
(21)

15/10/2024

“স্বপ্ন দেখা শুধু শুরু নয়, সেই স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটা জরুরি। শুরুটা আজই হোক! 💪🌟 ”

15/10/2024

“আমরা সবসময় ভাবি কালকের জন্য অপেক্ষা করবো, কিন্তু সত্যি বলতে আজকের এই মুহূর্তটাই সব থেকে সুন্দর। 🌿✨ ”

15/10/2024

“জীবনটা খুব ছোট, তাই যতটা সম্ভব ভালোবাসা ছড়িয়ে দাও, হাসো, এবং সবকিছু উপভোগ করো। 💖🌸 ”

নীলফামারীতে আজও পাওয়া যায় এক টাকায় চা ও পিয়াজুনীলফামারীর একটি দোকানে আজও পাওয়া যায় এক টাকায় চা ও পিয়াজু। সুস্বাদু ...
04/09/2024

নীলফামারীতে আজও পাওয়া যায় এক টাকায় চা ও পিয়াজু

নীলফামারীর একটি দোকানে আজও পাওয়া যায় এক টাকায় চা ও পিয়াজু। সুস্বাদু পিয়াজু আর চায়ের স্বাদ নিতে তাই দূর-দূরাঞ্চল থেকে অনেকেই আসছেন এই দোকানে। ১ টাকায় চা আর ১টাকায় পেঁয়াজু! খানিকটা অবাক লাগার মত হলেও ব্যতিক্রমী এই দোকানটির দেখা মিলেছে নীলফামারীর সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী সন্ন্যাসীতলা বাজারে। দীর্ঘ দুই যুগের বেশী সময় ধরে চলা এই দোকানে দাম কম রাখলেও গুণমানে কোনও আপোষ করেননি ‘ভাই ভাই টি স্টোর’ স্বত্বাধিকারী আপন আহম্মেদ। ২০২৩ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ খাদ্য ব্যবসায়ী হিসেবে অর্জন করেছেন ‍‍`সিআরবি‍‍` কনজিউমার এ্যাওয়ার্ড‍‍`।

বর্তমান দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এক টাকায় যেখানে তেমন কিছুই মেলে না সেখানে মাত্র এক টাকায় চা ও পেঁয়াজু বিক্রি করার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আপন আহমেদ। তার দোকানে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বিক্রি হচ্ছে এই এক টাকার চা ও পিয়াজু। প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থেকে আপন আহমেদের চা-পিঁয়াজু বিক্রি। দোকানের সামনে অটো কিংবা বাইক থামিয়ে পিয়াজু খাবার দৃশ্য এখানকার নিয়মিত।

দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে প্রতিদিন প্রায় ২০ কেজি ডালের চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার পেঁয়াজু বিক্রি করেন বলে জানিয়েছেন আপন আহাম্মেদ। তিনি জানান, বর্তমান দ্রব্যমূলের উর্ধগতির এ বাজারে সীমিত লাভ দিয়েই সংসার এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ যোগান এবং দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে যে ব্যবসা তিনি চালিয়ে আসছেন সেটা ভবিষ্যতেও ধরে রাখতে চান।

মাত্র ১ টাকায় চা পিয়াজু বিক্রি করে খুব বেশি লাভ না হলেও অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসাতেই ভালো লাগে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আপন আহমেদের ১ টাকায় চা-পিয়াজু বিক্রির খবর ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এখন সবাই এক টাকার চা আর এক টাকার পেঁয়াজুর দোকান বলেই চেনেন এলাকাটিকে। এ জন্য গর্বিত এলাকার মানুষ।

খোকশা বাড়ি এলাকার মইনুল ইসলাম বলেন, আপন চাচার এই চায়ের দোকানটির শুধু খোকসা বাড়ি ইউনিয়ন নয় বরং নীলফামারী জেলা কে সারা বাংলাদেশের কাছে পরিচিতি এনে দিয়েছে।

নীলফামারীতে মার্কেটের পাশাপাশি জমজমাট ফুটপাত
29/03/2024

নীলফামারীতে মার্কেটের পাশাপাশি জমজমাট ফুটপাত

নীলফামারী সিভিল সার্জনের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪চাকরির বর্ণনা : নীলফামারী সিভিল সার্জনের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ...
22/03/2024

নীলফামারী সিভিল সার্জনের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪

চাকরির বর্ণনা : নীলফামারী সিভিল সার্জনের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ (CSNIL Job Circular 2024) প্রকাশিত হয়েছে। সিভিল সার্জন এর কার্যালয় নীলফামারী নিয়োগটি তাদের www.cs.nilphamari.gov.bd অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করেছে ১১ মার্চ ২০২৪ তারিখে। ০৬ টি পদে মােট ৮৮ জন লােক নিয়ােগ দেওয়া হবে। নীলফামারী সিভিল সার্জন অফিস সার্কুলার ২০২৪ আগ্রহী নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পাবে আবেদন শুরু হয়েছে।

এই পােস্টের মাধ্যমে আমরা সিভিল সার্জন এর কার্যালয় নীলফামারী নিয়োগ ২০২৪ সার্কুলারটির আবেদন যোগ্যতা, অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম, নিয়োগ পরীক্ষা, পরীক্ষার তারিখ, ফলাফল এবং প্রবেশপত্র ডাউনলোড ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবাে। তাহলে চলুন Nilphamari Civil Surgeon Office Job Circular 2024-এর আলােকে বিস্তারিত জেনে আসি।

সিভিল সার্জন এর কার্যালয় নীলফামারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পদ সমূহ:

পদের নামঃ কম্পিউটার অপারেটর
পদ সংখ্যাঃ ০২ টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
অন্যান্য যোগ্যতাঃ কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় অন্যূন ২৫ শব্দ এবং ইংরেজীতে প্রতি মিনিটে ৩০ শব্দসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে Standard Aptitude Test এ উত্তীর্ণ হতে হবে।
মাসিক বেতনঃ গ্রেড-১৩ (১১০০০-২৬৫৯০/-) টাকা।

পদের নামঃ পরিসংখ্যানবিদ
পদ সংখ্যাঃ ০৪ টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে পরিসংখ্যান, গণিত, অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রী থাকতে হবে।
অন্যান্য যোগ্যতাঃ কম্পিউটার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে।
মাসিক বেতনঃ গ্রেড-১৪ (১০২০০-২৪৬৮০/-) টাকা।

পদের নামঃ কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান
পদ সংখ্যাঃ ০১ টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কোন স্বীকৃত বোর্ড হতে রেফ্রিজারেশন বা এয়ার কন্ডিশনিং ট্রেডে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
মাসিক বেতনঃ গ্রেড-১৫ (৯৭০০-২৩৪৯০/-) টাকা।

পদের নামঃ স্টোর কিপার
পদ সংখ্যাঃ ০২ টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কোন স্বীকৃত বোর্ড হতে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
অন্যান্য যোগ্যতাঃ স্টোর কিপার পদধারীগণকে সরকারি বিধি অনুযায়ী জামানত প্রদান করিতে হইবে।
মাসিক বেতনঃ গ্রেড-১৬ (৯৩০০-২২৪৯০/-) টাকা।

পদের নামঃ স্বাস্থ্য সহকারী
পদ সংখ্যাঃ ৭৭ টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কোন স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড হতে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
মাসিক বেতনঃ গ্রেড-১৬ (৯৩০০-২২৪৯০/-) টাকা।

পদের নামঃ ড্রাইভার
পদ সংখ্যাঃ ০২ টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কোন স্বীকৃত বোর্ড হতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
অন্যান্য যোগ্যতাঃ হালকা গাড়ি চালনার বৈধ হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
মাসিক বেতনঃ গ্রেড-১৬ (৯৩০০-২২৪৯০/-) টাকা।

তিস্তায় পানি না থাকায় হেঁটেই নদী পাড়ি দিচ্ছে পথচারীরা!আজ বিশ্ব পানি দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা...
22/03/2024

তিস্তায় পানি না থাকায় হেঁটেই নদী পাড়ি দিচ্ছে পথচারীরা!

আজ বিশ্ব পানি দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সংস্থা এ দিবসটি পালন করছেন। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ ২২ মার্চকে বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

বাংলাদেশ অংশে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রংপুর ও নীলফামারী জেলায় ১১৫ কিলোমিটার তিস্তা নদী প্রায় পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে, নদীটি শুকিয়ে অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে। আর বুকজুড়ে জেগে উঠেছে মাইলের পর মাইল বালুচর।

হাজার বছর ধরে যে নদীকে ঘিরে উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা শুরু হয়েছে। যে তিস্তাকে নিয়ে নানা গান তৈরি হয়েছে। সেই তিস্তা আজ যেন মৃত। নদীটির বুকজুড়ে খরস্রোতের জলের ধারা আর নেই।
ধু-ধু বালু চর এখন ফসলের দখলে। চাষ করা হচ্ছে ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, আলু, বাদাম, পেঁয়াজ, রসুন, গমসহ নানান জাতের ফসল। পানি না থাকায় মিলছে না মাছ, মৎস্যজীবীরাও অনেক সংকটে পড়ছেন। নদীপাড়ের মানুষ কষ্টে জীবযাপন করছেন।

এসব বালুচর হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে তিস্তাপাড়ের কয়েক লাখ মানুষকে। কোথাও ৬ মাইল, আবার কোথাও ৮ মাইল বালুচর পাড়ি দিতে হচ্ছে তাদের। আবার পানি না থাকায় নৌকা চলাচল করতে পারছে না। ফলে, নৌকা ঘাটগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন কয়েকশ মাঝি। জীবীকার জন্য পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক নদী হওয়া সত্ত্বেও ভারত একতরফা তিস্তার পানি প্রত্যাহার করছে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক হলেও শেষ পর্যন্ত সান্তনা ছাড়া কিছুই জোটেনি। উজানে ভারত সরকার ব্যারাজ (বাঁধ) নির্মাণ করে তিস্তার স্বাভাবিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় বাংলাদেশে এই নদী শুকিয়ে এখন মৃত। নদীর ওপর নীলফামারী ও লালমনিরহাটের ডালিয়া ও দোয়ানীতে নির্মিত তিস্তা ব্যারাজের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলে কৃষিজমিতে যে সেচ দেয়ার কথা, তাও অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

এদিকে ভয়াবহ পানি সংকটের শঙ্কা নিয়ে চলতি বোরো মৌসুমে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৫ জানুয়ারি। ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ বলছে, এবারও তিস্তার পানি দিয়ে শতভাগ সেচ দেয়া সম্ভব হবে না। ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের কথা থাকলেও এ বছর সেচ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার হেক্টরে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, তিস্তা নদী নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা হয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারীর ভেতর দিয়ে ১২৪ কিলোমিটার অতিক্রম করে ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। ১৯৭৭ সালে তিস্তার ওপর ব্যারাজ, হেড রেগুলেটর ও ক্লোজার ড্যাম তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার। বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নজরে গেলে গজলডোবায় (বাংলাদেশ থেকে ৬৩ কিলোমিটার উজানে) তারা ব্যারাজ নির্মাণ করে, যার মাধ্যমে ভারত তিস্তার মোট পানিপ্রবাহের ৮০ শতাংশ নিয়ে তাদের কৃষিজমিতে সেচ প্রদান করছে।

সূত্রটি আরও জানান, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টের উজানে ১২০০-১৫০০ কিউসেক পানি পাওয়া যাচ্ছে। তা দিয়ে কোনো রকমে সেচ সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। তবে, ব্যারেজের ভাটিতে প্রায় ১০২ কিলোমিটার তিস্তায় ১০০ কিউসেক পানি সরবরাহ নেই। ১৯৮৩ সালে উজানে ভারতের গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণের পর থেকে বাংলাদেশে তিস্তা নদীর এ অবস্থা হয়েছে। এ বাঁধটি নির্মাণের আগে বাংলাদেশে তিস্তা নদীতে সারাবছর পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ছিল।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না গ্রামের মকবুল হোসেন ও আশরাফ হোসেন বলেন, তিস্তা নদীতে পানি নেই বললেই চলে। মাইলের পর মাইল বালুচর। এই বালুচর দিয়ে যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিস্তার বুকে ফসল চাষাবাদ করছি, অথচ সেচের পানি পেতে হচ্ছে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে।

পাশ্ববর্তী হলদিবাড়ী গ্রামের নৌকার মাঝি মোশারফ হোসেন বলেন, তিস্তায় পানি না থাকায় নৌকা ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। লোকজন পায়ে হেঁটে তিস্তা পাড়ি দিচ্ছেন। নৌকা চলাচল না করায় নৌকা চালানোর কাজে নিয়োজিত মাঝিরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে পরিবার পরিজন নিয়ে করতে হচ্ছে মানবেতর জীবনযাপন।

তিস্তা বাচাঁও নদী বাচাাঁ সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক সফিয়ার রহমান বলেন, তিস্তা নদী খননসহ ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি চুক্তি বাস্তবায়ন হলে এবং তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তা জেগে উঠবে আগের রুপে। এতে তিস্তাপাড়ে আসবে অর্থনৈতিক উন্নতি, বাড়বে কৃষি উৎপাদন। জীবীকা নির্বাহের উৎস সৃষ্টি হবে তিস্তাপাড়ের কয়েক লাখ মানুষের। রক্ষা হবে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, কয়েক বছর ধরে তিস্তা নদীতে বছরে ৩-৪ মাস পানি প্রবাহ থাকে। তিস্তা শুকিয়ে অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজের উজানে সামান্য কিছু পানি থাকলেও ভাটিতে কোনো পানি নেই।

বছর না পেরোতেই চিলাহাটি এক্সপ্রেস কোচের অবস্থা লক্কড়ঝক্কড়নীলফামারীতে দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক মাস আগে চীন থে...
22/03/2024

বছর না পেরোতেই চিলাহাটি এক্সপ্রেস কোচের অবস্থা লক্কড়ঝক্কড়

নীলফামারীতে দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক মাস আগে চীন থেকে আনা নতুন কোচ যুক্ত করে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি থেকে রাজধানী পর্যন্ত দিনের বেলায় চালু করা হয় চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেন। কিন্তু বছর না যেতেই চাকা ক্ষয়ে বাঁকা হয়ে যাওয়া, রানিংয়ে এক্সেল কয়েল স্প্রিং ভেঙে পড়া, রুফ সিলিং খুলে যাওয়াসহ কোচগুলোতে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

যাত্রীরা বলছেন, ট্রেনটি অনেকটাই লক্কড়ঝক্কড় হয়ে পড়েছে। ফলে বিরক্ত তারা। সেই সঙ্গে রেল সংশ্লিষ্টরা যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ জুন চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল শুরু করে। ওই দিন ট্রেনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চীনের থাংশানের কোম্পানি সিআরআরসি থেকে প্রায় এক বছর আগে এ ট্রেনের কোচগুলো আমদানি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এসব কোচের ওয়ারেন্টি দুই বছরের। কিন্তু কোচগুলো ট্রেনে যুক্ত করার পরপরই দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রেন পরীক্ষক (টিএক্সআর) ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোচের চাকা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্ষয় হচ্ছে। চলন্ত অবস্থায় ব্রেক প্যাড পড়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে নতুন কোচের স্প্রিং দুই থেকে তিন বছর পরে ভাঙলেও এসব কোচের এক বছর না যেতেই রানিংয়ে এক্সেল কয়েল স্প্রিং ভেঙে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রাইমারি ডাম্পার অকার্যকর, অস্বাভাবিকভাবে তেল লিকেজ হচ্ছে। দ্রুত পাওয়ার কার গরম হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি কোচের দরজা বরাবর ওপরের রুফ সিলিং নিচে নেমে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ফ্যানই অচল। এক বছর না যেতেই এ ট্রেন যেন লক্কড়ঝক্কড় বাহনে পরিণত হয়েছে।

চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের নিয়মিত যাত্রী রাশেদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোচে পানির ট্যাংক ভরা থাকলেও হ্যান্ড শাওয়ারে ও পানির কলে পানি আসে না। জানালার স্যুট বোল্ট খুলে যায়। বায়ো টয়লেটের সরবরাহ লাইন দিয়ে মল ও নোংরা পানি পড়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ অবস্থায় ভোগান্তি নিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে হচ্ছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সিঅ্যান্ডডব্লিউ মেশিন শপ সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিজি এমডি-৫২৩ (চায়না-২০২৩) ১০০টি কোচ রেলওয়ের যানবাহন বহরে যুক্ত হয়। এ কোচগুলো নিয়মমাফিক প্রতি এক বছর পরপর মেরামতে আসার কথা থাকলেও চাকার বিভিন্ন ত্রুটির কারণে এক বছরের আগেই বিশেষ রিপেয়ারের প্রয়োজন পড়ছে। এসব কোচ বিভিন্ন সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতে এলে চাকা টার্নিংয়ের সময় চাকায় ব্লোহোল বা ক্র্যাক দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে চাকা ৮ মিলিমিটার থেকে ১০ মিলিমিটার টার্নিংয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু চায়না কোচে ব্লোহোল বা ক্র্যাকের কারণে অনেক বেশি অর্থাৎ ১৫ মিলিমিটার থেকে ২০ মিলিমিটার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি টার্নিংয়ের প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে চাকার স্থায়িত্বকাল আগের চেয়ে অনেক কমে যাচ্ছে।

রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন সৈয়দপুর কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচগুলো চীন থেকে এক বছরের কম সময়ে কেনা হয়েছে। এখনই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অথচ ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে আনা রেলের কোচ গত ছয়-সাত বছর চলছে সমস্যা ছাড়াই।

এ নিয়ে কথা হয় রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক (যান্ত্রিক) তাবাসসুম বিনতে ইসলামের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওয়ারেন্টি সময়ে চুক্তি অনুযায়ী দেখভাল করার দায়িত্ব আমদানি করা কোম্পানির। কিন্তু এ সময় ত্রুটি দেখা দিলে বিষয়টি আমাকে বিভাগীয়ভাবে জানানোর কথা। তবে এখনো আমাকে জানানো হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হবে।

নীলফামারীতে মিতালী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুইজনেরনীলফামারীতে আন্তদেশীয় ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে...
03/03/2024

নীলফামারীতে মিতালী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুইজনের

নীলফামারীতে আন্তদেশীয় ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের ধাক্কায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ চওড়া (গাঠাংটারী) ও সংগলশী ইউনিয়নের সূর্বণখুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ চওড়া (গাঠাংটারী) এলাকার মৃত তছির উদ্দিনের স্ত্রী আনিছা বেগম (৫৫) ও একই উপজেলার সুবর্ণখুলী এলাকার মানিক চন্দ্র রায়ের ছেলে সৌরভ রায় (২০)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পার্বতীপুর থেকে আন্তদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনটি চিলাহাটির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এ সময় রেললাইনের পাশে লাকড়ি আনতে যাচ্ছিলেন আনিছা বেগম। চোখে কম দেখা ও কানে কম শোনায় ইঞ্জিনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

অন্যদিকে একই ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় সূবর্ণখুলি এলাকায় শ্রবণপ্রতিবন্ধী সৌরভ রায় মারা যান। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আজম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই পরিবারের অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

বগুড়া-নীলফামারী পাইপলাইনের কাজ শেষ, গ্যাস মিলবে কবে?
27/02/2024

বগুড়া-নীলফামারী পাইপলাইনের কাজ শেষ, গ্যাস মিলবে কবে?

বগুড়া-নীলফামারী পাইপলাইনের কাজ শেষ, গ্যাস মিলবে কবে? | Nilphamari-Bogura | Gas News | Somoy TVআরও বিস্তারি...

নীলফামারীতে ৫৩ ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ৪৪, সৈয়দপুরে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা হাইকোর্টের নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন অবৈধ ...
27/02/2024

নীলফামারীতে ৫৩ ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ৪৪, সৈয়দপুরে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা

হাইকোর্টের নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, তখন উল্টো চিত্র নীলফামারী জেলার। এ জেলায় ৫৩টি ইটভাটা চালু রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ছয়টির নিবন্ধন রয়েছে, তিন আবেদনকৃত। এছাড়া বাকি ৪৪টি ইটভাটার না আছে পরিবেশ ছাড়পত্র, না আছে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন। মাঝে মধ্যে অভিযান চললেও এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ৪ ধারায় বলা আছে, ইটভাটা যে জেলায় অবস্থিত, সেই জেলার জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি ভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত করতে পারবে না। ওই আইনের ৮(১) ধারায় বলা আছে, ছাড়পত্র থাকুক বা না থাকুক, আইন কার্যকরের পর আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সংরক্ষিত এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান, জলাভূমি, কৃষিজমি এবং বিশেষ কোনো স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ভাটা স্থাপন করা যাবে না।

তবে জেলার ইটভাটাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ভাটা মালিকদের সিংঘভাগই এ আইনে তোয়াক্কা করেননি। অধিকাংশ ইটভাটা ফসলি মাঠে স্থাপন করা হয়েছে। এসব ইটভাটা থেকে বসতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দূরত্ব খুবই কম।

নীলফামারী পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ছয়টি উপজেলা মিলে বৈধ ও অবৈধ মোট ইটভাটার সংখ্যা ৫৩। এরমধ্যে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা ছয়টি।

নীলফামারী সদর উপজেলায় ১১টি ইটভাটার মধ্যে বৈধ একটি। এছাড়া হাইকোর্টের রিট রয়েছে তিনটির বিরুদ্ধে। ডোমারে চাটি ভাটার মধ্যে বৈধ একটি, বন্ধ রয়েছে একটি।কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দুটি ভাটা থাকলেও সেগুলো হাইকোর্টের রিট করে চলছে। জলঢাকায় পাঁচটি ভাটার মধ্যে বৈধ দুটি, হাইকোর্টের রিট রয়েছে ২টির। সৈয়দপুরে ৩১টি ভাটার তিনটি বৈধ, তিনটির পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদনকৃত।

নীলফামারীর কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি হচ্ছে। আবাদি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাসে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নীলফামারী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মন বলেন, পরিবেশ অধিদফতর ও স্থানীয় প্রশাসন নীলফামারী অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে ভ্রামামাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করছে। গত একবছরে ২১ ইট ভাটায় জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।

নীলফামারীতে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের মানববন্ধননীলফামারীতে ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান...
22/10/2023

নীলফামারীতে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের মানববন্ধন

নীলফামারীতে ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে স্মৃতি অম্লান প্রাঙ্গণে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় শিক্ষক ও কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মৃনাল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সুপার মোহাম্মদ আলী, প্রধান শিক্ষক আবু হেনা গোলাম মোস্তফা, প্রভাষক পরিতোষ কুমার রায়, কাজী দৌলত হোসেন, অধ্যাপক আবুল কালাম প্রমুখ।

শিক্ষক ও কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি নীলফামারী সদর উপজেলার আয়োজনে মানববন্ধনে ৯টি সংগঠনের নেতাসহ শিক্ষক ও কর্মচারীরা অংশ নেন।

নীলফামারীতে জুয়ার আসর থেকে ইউপি সদস্যসহ আটক ৪নীলফামারী জেলার বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের অফিস ঘর ছাড়াও বিভিন্ন হাট-বাজারের প...
17/10/2023

নীলফামারীতে জুয়ার আসর থেকে ইউপি সদস্যসহ আটক ৪

নীলফামারী জেলার বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের অফিস ঘর ছাড়াও বিভিন্ন হাট-বাজারের পরিত্যক্ত ঘরে জমজমাট জুয়ার আসর বসার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার রাতে সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ বাজারস্থ ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব জজের ব্যক্তিগত অফিস থেকে ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিমসহ ৪জন জুয়ারিকে পুলিশ আটক করেছে।

আটককৃতরা হলেন, এলাকার প্রখ্যাত জুয়ারু বেলাল বেগ, জিয়াউর রহমান ও ব্রজেন।

এলাকাবাসী জানায়, গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ বাজারস্থ ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব জজের ব্যক্তিগত অফিস ঘরে প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়ারুরা জুয়া খেলতে আসেন।

এছাড়া ভবানীগঞ্জ বাজারের আশপাশে আরো কয়েকটি স্থানে জমজমাট জুয়ার আসর বসছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, নীলফামারী জেলা শহরের শাখামাছা বাজার, বাস টার্মিনাল এলাকা ও শাহীপাড়াসহ অন্তত ১০টি ক্লাব ও সংস্থার ঘরে দিনরাত সমানে বসছে জমজমাট জুয়ার আসর।

শহরের চিহ্নিত জুয়ারু ছাড়াও আসরগুলিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকেও জুয়ারুরা আসছেন দল বেঁধে। অনেক জুয়ারু তাদের ব্যক্তিগত কার, মাইক্রোবাস নিয়ে জুয়া খেলতে আসছেন।

শেষরাত পর্যন্ত জমজমাট হয়ে থাকা জুয়ার আসরগুলিতে ব্যাংকার, কলেজ শিক্ষক, ঠিকাদার, সংবাদকর্মী, কলেজ শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে দেখা যায়। ওদিকে উপজেলা শহর সৈয়দপুরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়, রেলের পরিত্যক্ত ঘর ও রেললাইনের ধারে গড়ে ওঠা ঝুঁপড়ি ঘরগুলিতে জমে উঠেছে বিভিন্ন প্রকার জুয়া।

তবে জুয়ারিদর মাঝে মোবাইলে ক্রিকেট জুয়া ও লুডু সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। জুয়ার এ আসর গুলিতে গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন ও বিক্রির ঘটনাও ঘটছে বলে সূত্রগুলি দাবী করছে।

নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম জানান, ভবানীগঞ্জ বাজারস্থ ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন এলাকায় আমি নিজেই অভিযান পরিচালনা করেছি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নীলফামারী শহরের পৌর সুপারমার্কেটে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছবি: প্রথম আলো
25/02/2023

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নীলফামারী শহরের পৌর সুপারমার্কেটে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারী সদর বনাম সৈয়দপুর হ্যান্ড বল খেলা। নীলফামারী বড় মাঠ
04/01/2023

নীলফামারী সদর বনাম সৈয়দপুর হ্যান্ড বল খেলা। নীলফামারী বড় মাঠ

নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি - প্রথম আলোনীলফামারী জেলায় মাঘ মাসের হাড়কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে।...
28/01/2022

নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি - প্রথম আলো

নীলফামারী জেলায় মাঘ মাসের হাড়কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে। শীতের দাপটে কাহিল হয়ে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কার্যালয় জানায়, এবার শীতে ১৩ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল। শুক্রবার হঠাৎ তাপমাত্রা নেমে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আসে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার। কয়েক দিনের তুলনায় কুয়াশার ঘনত্ব কম থাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল দেড় হাজার মিটার পর্যন্ত। জেলায় ২৬ জানুয়ারি ১২ দশমিক ৮ ও ২৭ জানুয়ারি ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

বিজ্ঞাপন
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম বলেন, দুই থেকে তিন দিন নীলফামারী অঞ্চলে একই রকম তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে।

জেলায় হঠাৎ শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। সেচনির্ভর বোরো আবাদের ভরা মৌসুমে কৃষকেরা অনেক কষ্টে খেতে কাজ করছেন। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজারে ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে।

জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালন গ্রামের কৃষক তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, ‘আইজকার ঠান্ডাত হামার অবস্থা খারাপ হয়া গেইছে। এই ঠান্ডাত ঘর থাকি বেড়ায় যায়ছে না।’

ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের শালমারা গ্রামে আগুন পোহাতে দেখা যায় নগেন চন্দ্র রায়কে (৬০)। তিনি বলেন, ‘আইজ যে ঠান্ডা পইড়ছে, খ্যাত-খামারে কাজ করা যায়ছে না। চাঁদর গাওত দিয়াও ঠান্ড কমে না। এই জন্য জাবুরা জঙ্গল জড়ে আগুন তাপেছি।’ একই গ্রামের সাল্টু বর্মণ (৮৫) ও তাঁর স্ত্রী সরুবালা (৮০) আগুন পোহাচ্ছিলেন। সাল্টু বর্মণ বলেন, ‘ঠান্ডায় কাহিল হয়া গেইছি। ঠান্ডা সহ্য করির পাইছি না।’

নীলফামারী জেলা শহরের রিকশাচালক সাহেব আলী বলেন, ‘শুক্রবার সকালে শহরে লোকজন কম সমাগম থাকলে বিকেলে সমাগম বাড়ে। আরও দুই-এক দিন এমন অবস্থা চললে আয়রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে।’

Address

Nilphamari Sadar
Rangpur
5300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nilphamari posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nilphamari:

Share