16/09/2015
উজ্জল হোমিও হল রংপুর
আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ আব্দুর রহমান চৌধুরী
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। একবার দেখা
দিলে আর ভালো হতে চায় না। এটিকে মানিয়ে
নিয়ে চলতে হয়। এটি একটি বিপাকজনিত রোগ।
শরীরে ইনসুলিনের সম্পূর্ণ বা আপেক্ষিক
ঘাটতিতে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়ে রক্তে
গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। এক সময় তা
প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে।
সুস্থ ব্যক্তির রক্তরসে গ্লুুকোজের পরিমাণ
খালি পেটে ৬.৪ মিলি মোলের কম এবং খাওয়ার
দুই ঘণ্টা পর ৭.৮ মিলি মোলের কম থাকে।
অভুক্ত অবস্থায় রক্তরসে গ্লুকোজের
পরিমাণ ৭.৮ মিলি মোল বা এর বেশি হলে অথবা
৭৫ গ্রাম গ্লুুকোজ খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর
রক্তরসে গ্লুকোজের পরিমাণ ১১.১ মিলি
মোল কিংবা এর বেশি হলে ডায়াবেটিস
নিশ্চিতভাবে বলা যায়। একই সঙ্গে ক্ষুধাধিক্য,
অতিরিক্ত পিপাসা, প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়।
এছাড়া হঠাৎ একাধিক ফোঁড়া ও ওজন কমে যায়।
ক্লান্তি ও দুবর্লতা দেখা দেয়, দৃষ্টিশক্তি কমে
যায়, শরীরে ব্যথা হয়, দেহের চামড়া খসখসে
হয়, চুল শুকনো ও পাতলা হয়, নখ সহজে
ভেঙে যায়, দাঁতে ক্ষত হয়, ঠোঁট শুকিয়ে
যায়, শরীরের কোনো স্থানে ক্ষত হলে
তা সহজে শুকায় না, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
এবং রোগী জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে পড়েন।
করণীয় : চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বর্জন
করতে হবে। উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী
শরীরের ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে। রান্নায়
তেল কম খেতে হবে। চাল, আটা দিয়ে তৈরি
খাবার, মিষ্টি ফল কম করে খেতে হবে।
কোনো বেলায় খাওয়া বাদ দেওয়া যাবে না।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় খেতে হবে। নিয়মিত
ব্যায়াম করা বা ৪৫ মিনিট হাঁটা উত্তম। পা, দাঁত ও
চোখের যতœ নিতে হবে।
সতর্কতা : হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করা
স্বল্পতা) শর্করা ২.৫ মিলি মোলের কম হওয়া।
হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় যা করতে হবে : ৪
থেকে ৮ চা-চামচ গ্লুকোজ বা চিনি এক গ্লাস
পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। অজ্ঞান
রোগীদের ক্ষেত্রে ইন্টাভেনাস
গ্লুকোজ ও অক্সিজেন দিতে হবে।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
রক্তের চর্বি কমাতে খাওয়া নিষেধ : ধূমপান,
অ্যালকোহল, নারিকেল, চিংড়ি মাছ, গরু-খাসির মাংস,
হাঁস-মুরগির চামড়া, ডিমের কুসুম, কলিজা, মগজ,
মাছের ডিম, দুধের সর, ক্রিম, ঘি, মাখন, পনির
ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
যা খেতে হবে : পেয়ারা, আমলকী,
কালোজাম, বরই, জলপই, পাকা টমেটো, কামরাঙা,
আমড়া, জাম্বুরা, ইলিশ, পাঙ্গাশ, সরপুঁটি, কৈ, টেংরা,
সামুদ্রিক মাছ, বুটের ডাল, বুটভাজা, মটর ডাল, পুঁইশাক,
লালশাক, ডাঁটাশাক, ঢেঁড়শ, শিম, বরবটি, শিমের বিচি,
গাজর, রসুন, পাকা টমেটো ও মাশরুম খেতে
হবে।
পরামর্শ : যেহেতু হোমিওপ্যাথি লক্ষণভিত্তিক
চিকিৎসা পদ্ধতি, সেহেতু সঠিকভাবে রোগলিপি
প্রস্তুত করে রেপার্টরি ও ড্রাগ ফিল্টার করে
সুনির্দিষ্ট মাত্রা ও সঠিক পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগের
মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষেত্রবিশেষ
নিরাময় সম্ভব। প্রয়োজনে হোমিও
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
আলহাজ্ব ডাঃ আব্দুর রাহমান চৌধুরী বকুল
01942228648