04/04/2023
বাচ্চা বাঁচানোর জন্য কিছুই করা গেলনা || ডা. নার্গিস পারভীন
গর্ভবতী রোগী প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে নয়মাসে, তার আগে সে একটাও ডাক্তার দেখায় নাই। নিজে নিজে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে রিপোর্ট লেখা ডেইট দেখে নিজেই বুঝে নেয় তার ডেলিভারির ডেইট কবে। এই ডেইট ওভার হওয়ার পর আরেকটা করে, সেটা ওভার হবার পর আরেকটা করে, তারপর আরেকটা, একগুচ্ছ আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট তার। নয়মাসে করা আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট এর একমাস পর তার ব্যথা উঠে। ততদিনে তার গর্ভফুল শুকিয়ে গেছে পানি শুকিয়ে গেছে। ব্যাথা উঠার আগে বাচ্চাটাও মরে গেছে। রোগী অবশ্য বলছে যে তার বাচ্চা এখনো নড়ে। শুনেন, আপনারা হয়ত জানেন না, মরা বাচ্চার জরায়ুও নড়ে।
গভীর রাতে রিপোর্ট করে পাওয়া গেল তার উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিস, তার গায়ে কোন রক্তই নাই, তার শরীরে সেপসিস।
মা বাঁচানোই তো কঠিন বিষয় এখন, বাচ্চাতো গেলই।
নিয়মিত চেক আপ করতে হবে, ডাক্তার দেখাতে হবে, তারপর আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে হবে।
নিজে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে নিজেই রিপোর্ট রিড করা ভাল ফলাফল আনেনা।
সবার মঙ্গল কামনায়
ডা. নার্গিস পারভীন
এফসিপিএস (গাইনী ও প্রসূতী)
গাইনী ও প্রসূতী বিশেষজ্ঞ