16/04/2025
"তেতো সত্য"
যদিও কাছের অনেক মানুষ মন খারাপ করতে পারেন তবুও বলা উচিত।
দেখেন,উন্নত মানের হাসপাতাল সব এলাকাতেই প্রয়োজন।তবে ১০০০ শয্যার হাসপাতাল নিয়ে আমার কথা আছে!
যেনো-তেনো জায়গাতে কেনো হতে হবে?
ধরেন,পঞ্চগড় বা ঠাকুরগাঁওয়ের কথাই বলি,
জেলা দুইটা খুবই ছোট সেই সাথে একটা সীমান্তের কোল ঘেষে একদম উত্তরে আর একটা অনেকটাই একপেশে আর বাকি জেলা গুলো থেকে অনেক দূরত্বে অবস্থিত।
আমি জেলা দুটোকে ছোট করছি না বরং এতো বড় হাসপাতাল ওখানে দেয়ার বিপক্ষে।
ওখানে সর্বোচ্চ ২০০ শয্যার উন্নত হাসপাতাল গড়ে দেয়ার পক্ষে।এতে ওই এলাকা গুলোর মানুষ উপকৃত হবেন।
এবার আসি হাসপাতালটা কেনো উত্তরের মাঝামাঝি হওয়া জরুরি আর কেনো রংপুর বা দিনাজপুরে নয় সে প্রসঙ্গে।
দিনাজপুরে মেডিকেল কলেজ আছে অনেক দিন যাবৎ।আর দিনাজপুরের কল্যাণে সৈয়দপুর আর আশেপাশের জেলাগুলাও সুবিধা পেয়ে আসছে।আর রংপুরকে কি বলবো,উত্তরের চিকিৎসা কেন্দ্র বলা যায়।রংপুর মেডিকেল কলেজসহ অসংখ্য মেডিকেল কলেজ,নার্সিং ইন্সটিটিউট রয়েছে সেখানে।ঠাকুরগাঁও,নীলফামারিসহ কাছাকাছি বেশ কয়েকটি জেলা এর উপর নির্ভরশীল।
এবার আসা যাক, ১০০০ শয্যার হাসপাতালটা কোথায় হলে ভালো হয়??
উত্তর:উত্তরবঙ্গের মাঝামাঝি।আর সেই মাঝামাঝি জায়গাটা হলো গাইবান্ধা!
ভাবছেন নিজের জেলা জন্য সিম্পাথি দেখাচ্ছি,এটা ভুল ধারণা!
শুধু যৌক্তিকতা তুলে ধরছি।
কেনো গাইবান্ধাতে এতো বড় হাসপাতালটা হওয়া জরুরি?
আপনারা জানেন উত্তরবঙ্গের প্রবেশ দ্বার বলতে পূর্বে যতটা না বগুড়াকে বোঝানো হতো বর্তমানে ততোটাই বেশি গাইবান্ধাকে বোঝায়।রংপুর তথা উত্তরবঙ্গের প্রবেশ দ্বার হলো গাইবান্ধা।
গাইবান্ধা অনেক গুলো জেলাকে ঘিরে রয়েছে।
রংপুর,দিনাজপুর,কুড়িগ্রাম,বগুড়া,জয়পুরহাট,জামালপুর আর সেই সাথে রংপুরের বাকি জেলাগুলো গাইবান্ধাকেই তাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
যেহেতু যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোটাই গাইবান্ধাকে ঘিরেই আর সেই সাথে বর্তমানে উত্তরবঙ্গের যাতায়াতের নতুন মাইল ফলকের নাম তিস্তা সেতু,সেটাও গাইবান্ধার উপর দিয়েই গিয়েছে।
এতো এতো মানুষের চলাচল যে জেলার উপর দিয়ে,যে জেলা সেতু হিসেবে কাজ করছে উত্তরবঙ্গের অথচ সেখানে কোনো হাসপাতাল নেই।এটা দুঃখজনক।
তাই ১০০০ শয্যার চীনা হাসপাতালের একমাত্র দাবীদার গাইবান্ধাই।
রাজশাহী এবং রংপুর জেলার মিলনস্থল এই গাইবান্ধা।
এখানে উন্নতমানের এই হাসপাতাল নির্মিত হলে দুই বিভাগের মানুষ সমান ভাবে উপকৃত হবে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজও চাপমুক্ত থাকতে পারবে গাইবান্ধাতে হাসপাতাল নির্মিত হলে।এতে চিকিৎসা ব্যবস্থার ভারসাম্য তৈরি হবে।
দুই বিভাগের মানুষের দাবীই হোক এমন জায়গায় হাসপাতাল নির্মাণ করা যাতে দুই বিভাগের মানুষই সমানভাবে চিকিৎসা সেবা পায় আর সেখানে থাকা মেডিকেল গুলো চাপমুক্ত ভাবে সেবা দিতে পারে।
সবার যৌক্তিক দাবী হোক একটাই-
গাইবান্ধায় ১০০০ শয্যার হাসপাতাল চাই।