17/07/2021
ালামু_আলাইকুম। লেখাটি পড়তে গিয়ে দুচোখ পানিতে ভিজে গেলো! পড়ে দেখুন আপনার চোখেও পানি আসবে।
াসুল (সাঃ) এর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রাঃ) মারা যাওয়ার আগে রাসুল (সাঃ) এর দুটো হাত ধরে বললেন > >
আপনি আমাকে কথা দিন। আপনার গায়ের জোব্বা দিয়ে আমার কাফনের কাপড় বানাবেন আর নিজ হতে আমাকে কবরে নামিয়ে দিয়ে আমার সওয়াল-জবাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি কবরের পাশেই থাকবেন। আমাকে একা ফেলে যাবেন না। রাসুল (সাঃ) অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন >
হে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী, আমি কথা দিচ্ছি আমি তাই করবো। খাদিজা (রাঃ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। গোসল, জানাজা শেষ করে রাসুল (সাঃ) তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিজেই কবরে শুইয়ে দিলেন এবং কবরের পাশে অশ্রুজল চোখে দাড়িয়ে রইলেন। হাবীবের এমন বিমর্ষ মানসিক অবস্থা দেখে মহান আল্লাহ ফেরেস্তা জিবরাইল (আঃ) কে পাঠালেন। জিবরাইল (আঃ) এসে সালাম দিয়ে জানতে চাইলেন >
হে আল্লাহর রাসুল আপনি এভাবে আপনার স্ত্রীর কবরের পাশে দাড়িয়ে আছেন কেন? >
রাসুল (সাঃ) বললেন >
হে জিবরাইল, আমি আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে কথা দিয়েছি তাঁর কবরের সওয়াল-জবাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে নড়বো না। >
জিবরাইল (আঃ) বললেন >
হে আল্লাহর রাসুল, আপনি জেনে রাখুন আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, খাদিজা (রাঃ) কে করা মুনকার-নাকীর এর সওয়ালের জওয়াব আল্লাহ আরশে আজীম থেকে নিজেই দিয়ে দিবেন।
ুবহানাল্লাহ। এই সেই খাদিজা (রাঃ), যাকে মহান আল্লাহ সালাম দিয়েছেন।
ুবহানআল্লাহ। যেখানে খাদিজা (রাঃ) কবরের সওয়াল-জবাবকে ভয় পেয়েছেন। অথচ সেখানেই আমরা যেনো চিন্তাই করিনা কবরের জীবন নিয়ে। হায়রে দুনিয়াদারি। দুনিয়াতে আমরা কি করছি।
্লাহ্ ই ভালো জানেন কবরে আমাদের কি অবস্থা হবে। > খাদিজা (রাঃ) এর মৃত্যুর পর প্রায় প্রতি রাতেই আয়িশা (রাঃ) এর ঘুম ভেঙে গেলে উঠে এসে দেখতেন রাসুল (সাঃ) কাঁন্নারত অবস্থায় আল্লাহর কাছে মিনতি করছেন। > হে আল্লাহ! যখন শেষ বিচারের দিন ছেলে বাবাকে চিনবে না, বাবা ছেলেকে চিনবে না, স্বামী স্ত্রীকে আর স্ত্রী স্বামীর চেহারা দেখে বিস্তৃত হবে। তখন যেনো আমি আমার প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজাকে চিনতে পারি এবং তাঁকে দেখে যেন বিস্তৃত না হই। > খাদিজা (রাঃ) গোশত খেতে পছন্দ করতেন। যদিও খুব কম সুযোগ হতো। কিন্তু কখনো হঠাৎ কোন উট, দুম্বা কিংবা খাসির গোশতের ব্যবস্থা হতো, তিনি তৃপ্তি করে খেতেন। উনার মৃত্যুর পর রাসুল (সাঃ) যখনি কোন গোশত হাদিয়া পেতেন কিংবা কোনো দিন হঠাৎ কোন পশু জবাই হতো, তখন রাসুল (সাঃ) খুব যত্নে এক ভাগ মাংস সরিয়ে রাখতেন। সেটা একটা পোটলায় ভরে মদীনার রাস্তায় চোখ মুছতে মুছতে হাটঁতেন, প্রিয়তমা খাদিজা (রাঃ) এর কোন পুরনো বান্ধবীর দেখা পান কিনা সেই আশায়। কোনো বান্ধবীকে দেখলে, পোটলাটা দিতেন।
্লাহ সকল হালাল সম্পর্কের বারাকাহ দান করুক। প্রত্যেক স্বামী স্ত্রী কে আল্লাহ ভালবাসা এবং স্নেহের আঁচলে আবৃত করুক।
িন। (সংগৃহীত
Mahabub Aual | Rangpur Sadar Upazila, Rajshahi, Bangladesh | Rangpur R M C H at Rangpur Medical College & Hospital | 103 connections | View Mahabub's homepage, profile, activity, articles