ডাক্তারখানা - GP Center

ডাক্তারখানা - GP Center Official page to promote DaktarKhana-GP Center

19/09/2025

সর্প দংশনে করণীয়

আমাদের দেশে সর্প দংশনে প্রতি বছর ৭৫০০ মানুষ মারা যান। এই মানুষগুলো সাধারনত কর্মক্ষম এবং ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। একটু সচেতন হলেই এই মৃত্যুগুলো আমরা অনায়াসেই প্রতিরোধ করতে পারি।

সাপ কামড়ানোর ঘটনাগুলো সাধারনত এরকম-
১।মাঠে মাছ ধরতে গিয়ে সাপে কামড়ের শিকার হোন।
২। বর্ষার সময় চারিদিকে যখন পানি থাকে তখন সাপ শুকনো জায়গার জন্য বাসার ভিতরে আশ্রয় নেয়। সাধারনত খড়ি রাখার জায়গায়, বিছানা, রান্না ঘর, আলনা, খড়ের গাদা ইত্যাদিতে আশ্রয় নেয়। এসব জায়গায় অন্ধকারে/শব্দহীন ভাবে গেলে সাপ কামড়ানোর ঝুকি অনেক থাকে।
৩। রাতের বেলা অন্ধকারে রাস্তায় চলার সময়। (কারন সাপ সাধারনত রাতের বেলা চলাচল বেশি করে)।
৪। মুরগী বা হাঁসের ঘরে সাপ ডিম বা মুরগীর বাচ্চা খেতে আসে।
৫। গরমের সময় বারান্দায় বা উঠানে ঘুমানোর সময়।

সাপ কামড়ালে কি করবেন?
১। আতংকিত হবেন না। কারন সাধারনত সর্প দংশনের মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষের শরীরে বিষক্রিয়া হয়।
২। যে জায়গায় সাপ কামড় দিয়েছে সে জায়গাটা নাড়ানো যাবে না। পাতলা গামছা বা শাড়ির কাটা অংশ দিয়ে লুস করে বেঁধে যেতে পারে। দংশিত স্থান নড়াচড়া করলে বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
৩। রোগীকে ঝারফুক ও কবিরাজী করা, সাপ কাটার জায়গা ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলা ইত্যাদি করা যাবেনা।
৪। রোগীকে দ্রুত কাছের হাঁসপাতাল যেখানে সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করার ঔষধ দেবার ব্যাবস্থা আছে সেখানে নিয়ে যেতে হবে।
৫। রোগীকে সাপ কামড়ানোর সময় থেকে ২৪ ঘন্টা অবজার্ভ করতে হবে। কারন সাধারনত সাপ কামড়ানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে শরীরে বিষক্রিয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে বিষক্রিয়ার কোন লক্ষন না হলে আর ভয়ের কোন কারন নেই।

কেন কবিরাজরা ঝারফুক করলে সাপ কামড়ানো রোগী ভালো হয়?
আমাদের দেশের বেশির ভাগ সাপ হলো অবিষাক্ত। এছাড়াও সর্প দংশনের মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষের শরীরে বিষক্রিয়া হয়। তাই যে সব রোগীর শরীরের সাপের বিষক্রিয়া হয় না, তাদেরকে কবিরাজ চিকিৎসা দিলে সে সুস্থ হয়ে যাবে। যে রোগীর শরীরে বিষক্রিয়া হয়েছে, তাকে বিষ নিষ্ক্রিয় করার ঔষধ না দিলে মৃত্যু অবধারিত।

ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মণ্ডল
সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ
প্রাইম মেডিকেল কলেজ

31/08/2025

প্রেসারের ঔষধ খেতে ভুলে গেলে কি করবেন??
প্রেসারের ঔষধ নিয়মিত খেতে হয়। হটাৎ প্রেসারের ঔষধ বন্ধ করলে প্রেসার বেড়ে গিয়ে জটিলতা বিশেষ করে ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে। এই কারনে প্রেসারের ঔষধ খেতে ভুলে গেলে যখনই মনে পড়বে তখনই খেতে হবে। এরপরের দিন থেকে ওই সময়েই প্রেসারের ঔষধ কন্টিনিউ করতে হবে।

প্রেসার ও ডায়াবেটিসের ঔষধ প্রতিদিন একই সময়ে খেতে হবে। একেকদিন একেক সময় ঔষধ খাওয়া পরিহার করতে হবে।

ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মন্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন কেন নিবেন...শীত আসলেই শুরু হয় ঘন ঘন সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর। এজমা রোগীদের জন্য এই সর্দি জ্বর এর ...
25/08/2025

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন কেন নিবেন...
শীত আসলেই শুরু হয় ঘন ঘন সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর। এজমা রোগীদের জন্য এই সর্দি জ্বর এর সাথে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।

যাদের এজমা তারা অবশ্যই আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন নিন।

যাদের এজমা নেই কিন্তু অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, হার্টে সমস্যা আছে তারাও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন নিন।

যাদের এগুলোর কোনটিই নেই তারাও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন নিন। শীতের সময় সুস্থ থাকার জন্য 1000-1300 টাকা খরচ করুন।
ডাঃ রতীন্দ্রা নাথ মন্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

আজকে একজন 70 বছর বয়স্ক রোগী দেখলাম। উনার ডায়াবেটিস আছে, গত ১০ দিন থেকে উনার জ্বর, কাশি, কিছুই খেতে পারছেন না। আমি পরীক্ষ...
25/08/2025

আজকে একজন 70 বছর বয়স্ক রোগী দেখলাম। উনার ডায়াবেটিস আছে, গত ১০ দিন থেকে উনার জ্বর, কাশি, কিছুই খেতে পারছেন না।

আমি পরীক্ষা করলাম, উনার নিউমোনিয়া হয়েছে। অবস্থা বেশ খারাপ, ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।

এই রোগীকে নিউমোনিয়ার ভ্যাক্সিন দেয়া হলে তার এই নিউমোনিয়া হতো না। এমন লাইফ রিস্ক রোগে ভোগান্তি হতো না। টাকার হিসেবে যদি বলেন তবে 6500 টাকায় দুটি ভ্যাক্সিন দেয়া যেতো। এখন চিকিৎসায় ব্যয় 6500 টাকারও বেশি হবে, সাথে রোগীটা ভোগান্তি এবং জীবনের রিস্ক তো আছেই।

পরিবারে যাদের বয়স 65 এর বেশি, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ডায়াবেটিস আছে তারা দ্রুত নিউমোনিয়ার ভ্যাক্সিন নিন।
ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মন্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ১০০০ মিগ্রা ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। মেনোপজের পর এবং ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক পুরুষের জন্...
24/08/2025

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ১০০০ মিগ্রা ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। মেনোপজের পর এবং ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক পুরুষের জন্য দরকার ১২০০ মিগ্রা। এত বিপুল পরিমাণ ক্যালসিয়াম আমাদের খাবারের মাধ্যমে পাওয়া খুব কঠিন।

ক্যালসিয়ামের ভালো সোর্স হলো
১) দুধ ২৫০ মিলি দুধে প্রায় ২৫০-৩০০ মিগ্রা ক্যালসিয়াম থাকে। দই এ ও সমান পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে।

২) শুটকি মাছ খুব ভালো ক্যালসিয়াম এর সোর্স। ১০০ গ্রাম শুঁটকি মাছে ১২০০-১৫০০ মিগ্রা ক্যালসিয়াম থাকে।

৩) তিল বীজ ১০০ গ্রামে ৯০০ - ১০০০ মিগ্রা ক্যালসিয়াম থাকে।

৪) ছোট মাছ কাটাসহ ১০০ গ্রামে ২০০-৩০০ মিগ্রা ক্যালসিয়াম থাকে।

ক্যালসিয়ামের অভাবে জয়েন্ট, কোমরে ব্যথা সহ নানান জটিলতা হয়। তাই প্রতিদিন ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খান, অন্তত প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খান (সর ছাড়া)।
ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মন্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

22/08/2025

ওজন কমানোর ঔষধ……………

বর্তমান যুগে একটা বড় সমস্যা হলো ওজন রিলেটেড অসুখগুলো। অন্যতম হলো ডায়াবেটিস, হাইপ্রেসার, রক্তে কোলেস্টেরলের অধিক্যা, কোমড় ও হাঁটুতে ব্যথা ইত্যাদি। এই রোগগুলোর জন্য ওজন কমানো বাধ্যতামূলক।

ওজন কমানোর জন্য শর্ট-কাট রাস্তা নেই। টাইমলি খাওয়া-দাওয়া, খাবার পরিমিত খাওয়া, উচ্চ ক্যালরীযুক্ত খাবার পরিহার করা এবং প্রতিদিন এক্সারসাইজ বা হাঁটা ইত্যাদির সমন্বিত প্রচেস্টাই ওজন কমানোর মূল অস্ত্র।

রোগীরা প্রায়ই বলেন- ওজন কমানোর ঔষধ দেন। ওজন কমানোর ঔষধ খুবই কম আবিষ্কার হয়েছে। খুব রিসেন্টলী একটা ইনজেকশন বের হয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের দেয়া হয়, তবে এই ইঞ্জেকশনটি যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদের ওজন কমানোর জন্যও ব্যবহার করা হয়।

তবে এই ইঞ্জেকশন নিলেই যে ওজন কমে যাবে তা নয়। আবার সবাই এই ইনজেকশন নিতে পারবেন তাও নয়। এই ইনজেকশন হলো যাদের বিএমআই ৩০ বা ২৭ kg/m2 এর বেশি এবং সাথে ওজনের আধিক্য রিলেটেড যে কোন একটি অসুখ আছে তাদের জন্য এই ইনজেকশন ব্যবহারের নির্দেশনা আছে। তবে যাদের প্যানক্রিয়েটাইটিস হয়েছে তারা এই ইনজেকশন নিতে পারবেন না। এই ইঞ্জেকশনে সপ্তাহে একবার করে নিতে হয়, মূল্য সপ্তাহে ১৩০০ থেকে ৩০০০ টাকা।

এই ইনজেকশন নিলেই কি ওজন কমবে? উত্তর হলো না। যারা খাবার নিয়ম করে খান, নিয়মিত হাঁটেন তাদেরই শুধু এই ইনজেকশন নিলে ওজন কমবে। যদি ৩ মাসের মধ্যে ওজন না কমে তবে এই ইনজেকশন নেয়া বন্ধ করে দিতে হবে।

এই ইনজেকশন কখনোই নিজে নিজে নেয়া যাবে না। অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। ওজন আমাদের মারাত্নক একটি বোঝা। ওজন সীমার মধে রাখতেই হবে। বেশি হলেও সমস্যা, কম হলেও সমস্যা। আপনার ওজন কম না বেশি এটি বিএমআই দিয়ে নির্ধারণ করা হয়। তবে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন- আপনার উচ্চতাকে সেন্টিমিটার এ প্রকাশ করুন, এরপর সেখান থেকে ১০০ বিয়োগ করুন, তাহলে আপনার ওজন কত থাকা উচিত তা বের হবে। ধরুন কারো ইচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, সেন্টিমিটারে তা আসে ১৫৮ সেন্টিমিটার। উনার ওজন থাকবে হবে ১৫৮-১০০= ৫৮ কেজি।

পরিমিত খান, স্বাস্থ্যকর খাবার খান, নিয়মিত হাঁটুন, সুস্থ থাকুন, দীর্ঘদিন বাঁচুন।
ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মণ্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল ।

বুকে ব্যথা হলে অবহেলা করবেন না??আজকে সন্ধ্যায় বাসায় কাজ করছি, আমাদের এপার্টমেন্ট এর একজন বাসিন্দা হটাৎ বাসায় আসলেন। হাতে...
20/07/2025

বুকে ব্যথা হলে অবহেলা করবেন না??

আজকে সন্ধ্যায় বাসায় কাজ করছি, আমাদের এপার্টমেন্ট এর একজন বাসিন্দা হটাৎ বাসায় আসলেন। হাতে একটা ইসিজি নিয়ে।

উনি হাইপ্রেসার ও ডায়াবেটিসের রোগী, নিয়মিত ঔষধ খান, নিয়মিত হাঁটেন, প্রেসার ও ডায়াবেটিস কন্ট্রোল থাকে। আজকে বিকেলে উনার বুকে চাপ অনুভূত হয়। উনি অত্যন্ত সচেতন, দ্রুত একটা ইসিজি করেন এবং আমার বাসায় আসেন। আমি ইসিজি দেখলাম- উনার হার্ট এট্যাক হয়েছে (acute inferior MI). আমি ঔষধ দিয়ে দ্রুত ভর্তি হতে বললাম।

বুকে ব্যথা হলেই দ্রুত একজন চিকিৎসককে দেখান, উনার পরামর্শমত ইসিজি ও অন্যান্য পরীক্ষা করুন।

ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মন্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত রোগ নিয়ে সচেতনতা জরুরী…১) আমার বড় দিদির ২০০৭ সালে হঠাত করে হাত এবং পায়ের জয়েন্টগুলোতে ...
19/06/2025

রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত রোগ নিয়ে সচেতনতা জরুরী…
১) আমার বড় দিদির ২০০৭ সালে হঠাত করে হাত এবং পায়ের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা শুরু হয়। পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত ধরা পড়ে। ওই সময় দিদি, আমার বাবা-মা সবাইকে বুঝিয়ে চিকিৎসা শুরু করাতে পারি নাই। সবাই মিলে কবিরাজী করা শুরু করলো আমাকে না জানিয়ে। দিন দিন ব্যথা বাড়তে থাকল। দিদিকে নিয়ে নদী পাড় হয়ে কবিরাজের বাড়ি যাওয়া আসা, চিকিৎসা নেয়া চলছিল। ২০১২ সালের মার্চ মাসে দিদির হাতের আঙ্গুলগুলো বেকে যাওয়া শুরু হয়। এরপর বাবা-মা আমাকে বলেন উনারা ভুল করেছেন-আমি যেন দ্রুত চিকিৎসা শুরু করি। এরপর দিদির চিকিৎসা শুরু হয়। ওর ব্যথা কমে যায়, আঙ্গুলগুলো আর বেঁকে যায় না। তবে দেরীতে চিকিৎসা শুরু করার কারনে ওর কিছু জটিলতা তৈরী হয়। সেগুলোর চিকিৎসা নেয়ায় এখন ভালো আছেন।

২) আমার বন্ধু রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. কনক পারভেজের শ্বশুর ব্যথায় ভুগছিলেন অনেকদিন। একদিন কনক আমাকে ফোন দিয়ে আমার কাছে নিয়ে আসলো। উনি হাঁটতে পারতেন না। হুইল চেয়ারে আমার কাছে আসতেন। উনার অবস্থা অনেক খারপ ছিল, আমি আশ্বস্ত করেছিলাম যে সময় বেশি লাগলেও উনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারবেন। প্রায় ৬ মাস পর উনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটা শুরু করেছিলেন। এখন একাই আমার চেম্বারে ফলোআপে আসেন।

রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত রোগ কি?
রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত রোগ শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের একটি রোগ। এটি সাধারনত ৩০ থেকে ৬০ বছরের মানুষের বেশি হয়, তবে যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে। মহিলাদের এই রোগ পুরুষের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এটি একটি অনিরাময়যোগ্য রোগ। চিকিৎসা করে এই রোগ কন্ট্রোল রাখাই প্রধান উদ্দেশ্য। তবে যদি সঠিক চিকিৎসা না হয় তবে জয়েন্টগুলো বেঁকে যেতে পারে এবং জয়েন্ট বেঁকে গেলে সেগুলোকে আর আগের অবস্থায় ফিরে আনা সম্ভব হয় না।

আপনি কখন বুঝবেন যে রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত রোগ হয়েছে?
১) দুই হাতের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে শুধু পায়ের ছোট ছোট জয়েন্ট এমনকি হাত এবং পা দুই জায়গার জয়েন্টগুলোই ফুলে যেতে পারে। এই রোগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছোট ছোট জয়েন্টগুলোতে সমস্যা দেখা যায় যেমন-হাত এবং পায়ের জয়েন্টগুলোতে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বড় বড় জয়েন্ট যেমন- হাঁটু, ঘারের জয়েন্ট, কনুই এর জয়েন্টও সমস্যা হতে পারে।
২) সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ব্যথা বেড়ে যায়, জয়েন্টগুলো নাড়ানো সম্ভব হয় না। ধীরে ধীরে চলাফেরা করতে করতে কিছুটা কমে যায়।
৩)এছাড়াও জ্বর, খাবার অরুচী, শারীরিক দুর্বলতা থাকতে পারে।

রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত রোগের লক্ষন দেখা দিলে কি করবেন?
এসব লক্ষন দেখা দিলে দ্রুত আপনি একজন এমবিবিএস চিকিৎসকে দেখাবেন। এই রোগ কনফার্ম করার জন্য কিছু পরীক্ষা করতে হবে। রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত রোগ কনফার্ম হলে ঔষধ দেবার জন্য কিডনী, লিভার পরীক্ষা করতে হবে। এরপর সবকিছু দেখে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত রোগের চিকিৎসা কতদিন করতে হবে?
এই রোগ অনিরাময়যোগ্য রোগ। হাইপ্রেসার এবং ডায়াবেটিসের মত এই রোগের ঔষধ সারাজীবন ক্ষেতে হবে।

রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত রোগ এর রোগীর কি নিয়মিত ফলোআপ করতে হবে?
অবশ্যই। এই রোগের রোগীর জন্য ফলোআপ অত্যন্ত জরুরী, রোগীর অবস্থা এবং কোন ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা পাচ্ছেন তার প্রকারভেদে ৩-৬ মাস পর পর ফলোআপ করতে হবে। কারন ফলোআপের সময় দেখতে হবে উনার বর্তমান ঔষধে উনার রোগ কন্ট্রোল আছে কিনা এবং উনাকে যে ঔষধগুলো দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেগুলোর কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা।

শেষ কথা-আপনি যদি দেখেন যে হাত এবং পায়ের জয়েন্টগুলো ব্যথা করছে, সকালে বেশি হচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত রোগ এর সুচিকিৎসা আছে। এই রোগের রোগী সঠিক চিকিৎসায় একদম সুস্থ হয়ে যান। তবে চিকিৎসা শুরু করতে দেরী হয়ে গেলে বা কোন জয়েন্ট নষ্ট হয়ে গেলে সেই জয়েন্ট আর ভালো করা সম্ভব হয় না।
ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মণ্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল
প্রতিষ্ঠাতা- ডাক্তারখানা।

আজ ১৯শে মে, বিশ্ব পারিবারিক চিকিৎসক দিবস। মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য পারিবারিক চিকিৎসকদের ভূমিকা ...
19/05/2025

আজ ১৯শে মে, বিশ্ব পারিবারিক চিকিৎসক দিবস।

মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য পারিবারিক চিকিৎসকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

'বাংলাদেশ সোসাইটি অব জেনারেল ফিজিশিয়ান্স' পরিচালিত 'ডাক্তারখানা' আমাদের দেশে পারিবারিক চিকিৎসার মডেল হিসেবে সারাদেশে পারিবারিক চিকিৎসক প্রথা চালু করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

For 36-year-old homemaker Tania Akter, falling ill meant anxiety over costly treatment and unreliable healthcare.

আগামীকাল ১৯শে মে বিশ্ব পারিবারিক চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান: "বিশ্ব পারিবারিক চিকিৎসক দিবস ও বাংলাদেশ"। ...
18/05/2025

আগামীকাল ১৯শে মে বিশ্ব পারিবারিক চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান: "বিশ্ব পারিবারিক চিকিৎসক দিবস ও বাংলাদেশ"।

দেখার আমন্ত্রণ-

পর্ব- ২৪৬
১৯.০৫.২০২৫ সোমবার
সকাল ৯:০০-৯:১০ মিনিট

উপস্থাপিকা
ডাঃ শাবনাজ আফরিন

আলোচক: ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মন্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক
প্রাইম মেডিকেল কলেজ, রংপুর।
প্রতিষ্ঠাতা, ডাক্তারখানা।
সভাপতি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব জেনারেল ফিজিশিয়ান্স

Address

House No. 21, Road No. 10, Medical East Gate
Rangpur
5400

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডাক্তারখানা - GP Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ডাক্তারখানা - GP Center:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category