Dr.Aramana Jabin Kanta

Dr.Aramana Jabin Kanta "Wear the white coat with dignity and pride—it is an honor and privilege to get to serve the public as a physician.”

গর্ভাবস্থায় ওষুধের নিরাপত্তা: Pregnancy Drug Categoryগর্ভাবস্থায় একজন মায়ের দেওয়া প্রতিটি ওষুধ শুধু মায়ের শরীরেই নয়, অনা...
09/09/2025

গর্ভাবস্থায় ওষুধের নিরাপত্তা: Pregnancy Drug Category

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের দেওয়া প্রতিটি ওষুধ শুধু মায়ের শরীরেই নয়, অনাগত শিশুর শরীরেও প্রভাব ফেলতে পারে। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে ওষুধগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন Pregnancy Category–তে ভাগ করা হয়েছে, যাতে মা ও ভ্রূণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

কেন প্রয়োজন এই শ্রেণিবিন্যাস?

গর্ভকালীন সময়ে ভ্রূণ খুব সংবেদনশীল থাকে। বিশেষ করে প্রথম ১২ সপ্তাহে (organogenesis period) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠন হয়। এ সময়ে কিছু ওষুধ জন্মগত ত্রুটি (congenital anomaly), ভ্রূণের বৃদ্ধি কমে যাওয়া, এমনকি গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই চিকিৎসকরা ঝুঁকি–সুবিধা বিচার করে ওষুধ নির্ধারণ করেন।

পুরনো (FDA) Pregnancy Category

যুক্তরাষ্ট্রের Food and Drug Administration (FDA) ওষুধগুলোকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছিল:

Category A 🟢

পর্যাপ্ত গবেষণায় দেখা গেছে—মা ও শিশুর জন্য নিরাপদ।

উদাহরণ: Folic acid, Levothyroxine

Category B

প্রাণীতে পরীক্ষায় ঝুঁকি নেই, তবে মানুষের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।

উদাহরণ: Amoxicillin, Metformin

Category C ⚠️

প্রাণীতে ক্ষতিকর প্রমাণ আছে, কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে পরিষ্কার তথ্য নেই। প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়।*****

উদাহরণ: Fluoroquinolones, Methomol (Paracetamol কিছু ডোজে এখানে ধরা হয়)

Category D 🔴

ভ্রূণের ক্ষতি হওয়ার স্পষ্ট প্রমাণ আছে, কিন্তু মায়ের জীবন রক্ষায় প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে।

উদাহরণ: Tetracycline, Phenytoin

Category X ❌

মা ও শিশুর জন্য সম্পূর্ণ ক্ষতিকর। কখনো ব্যবহার করা উচিত নয়।

উদাহরণ: Isotretinoin, Thalidomide
---

নতুন ব্যবস্থা (Pregnancy and Lactation Labeling Rule - PLLR)

২০১৫ সাল থেকে FDA পুরনো অক্ষর-ভিত্তিক সিস্টেম বাদ দিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা-ভিত্তিক লেবেলিং চালু করেছে। এখন প্রতিটি ওষুধের লেবেলে তিনটি বিষয় উল্লেখ থাকে:

1. Pregnancy risk summary

2. Lactation safety

3. Reproductive potential

এর ফলে চিকিৎসকরা শুধু অক্ষর দেখে নয়, বরং গবেষণা ও ঝুঁকি–সুবিধার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ জেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।******

---

বাস্তব জীবনে গুরুত্ব

মায়ের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মৃগী বা সংক্রমণ থাকলে ওষুধ প্রয়োজন হয়।

চিকিৎসকরা সাধারণত সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প বেছে নেন।

অপ্রয়োজনীয় Self-medication গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

---

উপসংহার

Pregnancy Category শুধু একটি দিকনির্দেশনা। সঠিক সময়ে সঠিক ডোজে ওষুধ ব্যবহার করলে মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষা ও শিশুর সুস্থ জন্ম নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই গর্ভাবস্থায় কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 🌸

ইদানীং আল্ট্রাসোনোগ্রাম করতে মেয়েদের প্রায়ই যে রোগ ধরা পড়ে সেটা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা pcos.রোগীরা জিজ্ঞেস করে ...
21/08/2025

ইদানীং আল্ট্রাসোনোগ্রাম করতে মেয়েদের প্রায়ই যে রোগ ধরা পড়ে সেটা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা pcos.
রোগীরা জিজ্ঞেস করে থাকেন ম্যাডাম এটা কি জিনিস।
আজকে PCOS সম্পর্কে কিছু লেখার চেস্টা করবো সবার জানার সুবিধার জন্য।

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) নিয়ে বিস্তারিত

PCOS কী?
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (Polycystic O***y Syndrome – PCOS) হলো এক ধরনের হরমোনজনিত সমস্যা যা মূলত প্রজননক্ষম বয়সী নারীদের মধ্যে দেখা যায়। এতে ডিম্বাশয়ে (O***y) ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মাসিক চক্র অনিয়মিত হয় এবং নানা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

PCOS এর লক্ষণসমূহ:

1. মাসিক চক্র অনিয়মিত বা বন্ধ হয়ে যাওয়া

2. মুখে বা শরীরে অতিরিক্ত লোম (হিরসুটিজম)

3. মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা ঝরে যাওয়া

4. ব্রণ বা ত্বকের সমস্যা

5. ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়া

6. সন্তান ধারণে সমস্যা (Infertility)

কারণসমূহ:
PCOS এর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে কয়েকটি বিষয়কে প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়:

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স: শরীরে ইনসুলিন কাজ না করলে রক্তে শর্করা বেড়ে যায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

জেনেটিক কারণ: পরিবারে কারো PCOS থাকলে ঝুঁকি বেশি থাকে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: এন্ড্রোজেন হরমোন বেশি থাকলে ডিম্বস্ফোটন (Ovulation) হয় না।

PCOS এর জটিলতা:
চিকিৎসা না করালে PCOS থেকে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে:

বন্ধ্যাত্ব (Infertility)

টাইপ ২ ডায়াবেটিস

উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ

গর্ভাবস্থায় জটিলতা

মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশন
--

চিকিৎসা ও প্রতিকার:
PCOS পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়, তবে জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

1. জীবনযাত্রার পরিবর্তন:

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস (চিনি ও ফাস্টফুড কমানো, শাক-সবজি ও প্রোটিন খাওয়া)

নিয়মিত ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণ

পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমানো

2. ঔষধ সেবন:

মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণে হরমোনাল ওষুধ

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে কিছু ওষুধ

ব্রণ ও অতিরিক্ত লোমের চিকিৎসা

3. গর্ভধারণের জন্য চিকিৎসা:

ডিম্বস্ফোটন ঘটাতে ঔষধ

প্রয়োজনে আইভিএফ (IVF) সহ আধুনিক চিকিৎসা---

✅ সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত করা ও নিয়মিত ফলো-আপ করাই PCOS নিয়ন্ত্রণের মূল উপায়।

ধন্যবাদ

আমার ছেলে এখন সুস্হ আলহামদুল্লিলাহ্।আজকে থেকে আবার চেম্বার শুরু করছি ইনশাআল্লাহ। এতদিন যারা আমাকে খোঁজ করেছিলেন আজকে ৩টা...
07/08/2025

আমার ছেলে এখন সুস্হ আলহামদুল্লিলাহ্।

আজকে থেকে আবার চেম্বার শুরু করছি ইনশাআল্লাহ।
এতদিন যারা আমাকে খোঁজ করেছিলেন আজকে ৩টার পরে চলে আসবেন চেম্বারে।
ধন্যবাদ 💓

Doctor is a nobel profession but now a days it becomes cursed! তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, মানুষের অশিক্ষার জন্য...
29/07/2025

Doctor is a nobel profession but now a days it becomes cursed!
তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, মানুষের অশিক্ষার জন্য।
আজকে এরকম একটা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

গর্ভাবস্থার ৫/৬ সপ্তাহে শুধু স্যাক দেখা যাচ্ছে কিন্তু ফিটাল পোল (fetal pole) দেখা যাচ্ছে না – বিষয়টি বিস্তারিতভাবে সহজ বাংলায় ব্যাখ্যা:
✅ প্রথমে কিছু শব্দ বোঝা দরকার:

Gestational Sac (জেস্টেশনাল স্যাক):
গর্ভে প্রথম যেটা দেখা যায়, সেটা হলো স্যাক বা থলে। এতে পরবর্তীতে ভ্রূণ (শিশু) তৈরি হওয়ার কথা।

Yolk Sac:
এই স্যাকের ভেতরে প্রথমে ইয়োক স্যাক দেখা যায় – এটা ভ্রূণের খাবার দেয়।

Fetal Pole (ফিটাল পোল):
এই ফিটাল পোলই হলো ছোট ভ্রূণের প্রাথমিক আকার – যেটা পরবর্তীতে শিশুতে পরিণত হয়।

📆৫/ ৬ সপ্তাহে সাধারণত কী দেখা যায়?

Gestational sac: দেখা যায়

Yolk sac: সাধারণত দেখা যায়

Fetal pole: অনেক সময় ৫.৫–৬ সপ্তাহে দেখা যেতে শুরু করে

Heartbeat: ৬.৫–৭ সপ্তাহে প্রথম পাওয়া যেতে পারে

⚠️ তাই ৬ সপ্তাহে ফিটাল পোল না দেখা গেলেও সবসময় চিন্তার বিষয় না – কিছু সময় দিতে হয়।

❓কেন ৬ সপ্তাহে ফিটাল পোল নাও দেখা যেতে পারে?

১. Late ovulation বা দেরিতে গর্ভধারণ হয়েছে:
– আপনি ভাবছেন ৬ সপ্তাহ, কিন্তু বাস্তবে হয়ত গর্ভের বয়স ৫ সপ্তাহ মাত্র। তখন ফিটাল পোল দেখা যায় না।

২. গর্ভাবস্থার স্বাভাবিক বৃদ্ধি একটু ধীর:
– কিছু গর্ভধারণে শুরুতেই একটু ধীরে বাড়ে।

৩. Blighted o**m (অ্যানএম্ব্রিওনিক প্রেগন্যান্সি):
– যদি সঠিক সময়ে গর্ভের ভেতরে ভ্রূণ (fetal pole) না আসে, তবে সেটা ব্লাইটেড ওভাম হতে পারে (ফাঁপা গর্ভধারণ)।

🔬 ডাক্তার কী করবেন?

১. Follow-up ultrasound (USG):
– ডাক্তার ৭-১০ দিন পর আবার স্ক্যান করতে বলবেন।
– তখন ফিটাল পোল ও হার্টবিট দেখা যেতে পারে।

২. β-hCG রক্ত পরীক্ষা:
– এই হরমোনের মাত্রা ঠিকভাবে বাড়ছে কিনা সেটা দেখে বোঝা যায় গর্ভধারণ ঠিকমতো বাড়ছে কিনা।

🧘‍♀️ আপনার করণীয়:

ঘাবড়াবেন না

ডাক্তার যা বলেন তা ঠিকমতো ফলো করুন

৭–৮ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করলে অনেক সময় স্বাভাবিকভাবে সব দেখা যায়

সঠিকভাবে USG ও রিপোর্ট পড়া গুরুত্বপূর্ণ

📌 যদি পরের USG-তেও ফিটাল পোল না দেখা যায়?

তখন হয়তো গর্ভটি থেমে গেছে বা ব্লাইটেড ওভাম।

ডাক্তার তখন ওষুধ বা D&C-এর পরামর্শ দিতে পারেন।

blighted o**m বা এনইম্ব্রায়নিক প্রেগন্যান্সি সম্পর্কে পরবর্তী পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

মানুষের জীবন কতটা অনিশ্চিত সেটা আমরা মাইলস্টোনের ঘটনা থেকে বুঝতে পারি।আল্লাহ সকল কে জান্নাতবাসী করুক। আমীন।
22/07/2025

মানুষের জীবন কতটা অনিশ্চিত সেটা আমরা মাইলস্টোনের ঘটনা থেকে বুঝতে পারি।
আল্লাহ সকল কে জান্নাতবাসী করুক।
আমীন।

আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখবো।আমি প্রায়ই দেখি কৃমির ঔষুধ নিয়ে কিছু মিথ প্রচলিত আছে গ্রাম বা উপজেলা এরিয়া গুলোতে।তাদ...
16/07/2025

আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখবো।
আমি প্রায়ই দেখি কৃমির ঔষুধ নিয়ে কিছু মিথ প্রচলিত আছে গ্রাম বা উপজেলা এরিয়া গুলোতে।
তাদের ধারণা কৃমির ঔষুধ এমন একটি জিনিস যেটা মাসিক নিয়মিতকরণে সাহায্য করে বা গর্ভপাত করাতে সাহায্য করে।
কৃমির ওষুধ খেলে বাচ্চা নস্ট হতে পারে তাই অনেক সময় দেখা যায় একদম সুস্থ বাচ্চা ও তারা নস্ট করে ফেলতে আসে। সেদিন এক রোগী তো রীতিমতো বলেই দিলো যে সে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে কৃমির ওষুধ ব্যবহার করে 😒

না, সাধারণভাবে কৃমির ওষুধ খেলে গর্ভপাত (abortion) হয় না। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা দরকার:

---

🔍 কৃমির ওষুধ ও গর্ভপাতের সম্পর্ক:

গবেষণায় দেখা গেছে—

Albendazole এবং Mebendazole জাতীয় ওষুধ সাধারণভাবে গর্ভপাতের কারণ নয়।

তবে গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাসে (১ম ট্রাইমেস্টার) এসব ওষুধ এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ এই সময় গর্ভের শিশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠন হয়।

কিছু প্রাণী-ভিত্তিক গবেষণায় গর্ভের বিকাশে ক্ষতি দেখা গেছে, কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এর তেমন প্রমাণ নেই।

⚠️ তবে কখনো কখনো কিছু ভুল ধারণা হয়:

অনেক সময় গর্ভাবস্থায় কাকতালীয়ভাবে কৃমির ওষুধ খাওয়ার পরে গর্ভপাত হলে, মানুষ মনে করে ওষুধই কারণ।

অথচ প্রকৃতপক্ষে গর্ভপাতের কারণ হতে পারে—

হরমোনজনিত সমস্যা

গর্ভে বিকল বিকাশ

ইনফেকশন

জেনেটিক সমস্যা ইত্যাদি
✅ WHO এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য নির্দেশিকা:

WHO বলছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে কৃমির চিকিৎসা করা নিরাপদ — বিশেষ করে যদি মায়ের রক্তশূন্যতা থাকে।

প্রথম ট্রাইমেস্টারে সাধারণত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়, শুধুমাত্র ঝুঁকি বেশি হলে চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়।

🩺 আপনি যদি গর্ভবতী অবস্থায় কৃমির ওষুধ খেয়ে থাকেন:

তাহলে দুশ্চিন্তা না করে একজন গাইনি ডাক্তার বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

প্রয়োজনে আল্ট্রাসাউন্ড করে শিশুর অবস্থা দেখে নেওয়া সম্ভব

কৃমির ওষুধ দিয়ে গর্ভপাত হয় না, তবে ভুল সময়ে বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেলে ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই যেকোনো ওষুধ গর্ভাবস্থায় নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের অনুমতি নেওয়া উচিত।

সুতরাং অযাচিত কৃমির ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন এবং ভুল ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন।

ধন্যবাদ 😊

উপজেলা লেভেলে প্রাকটিস করার কারণে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের সাথে প্রতিনিয়ত deal করতে হয়।তাই আজকে গর্ভাবস্থার সাথে সম্পর্...
04/07/2025

উপজেলা লেভেলে প্রাকটিস করার কারণে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের সাথে প্রতিনিয়ত deal করতে হয়।
তাই আজকে গর্ভাবস্থার সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রচলিত কুসংস্কার এবং তার বৈজ্ঞানিক সত্য তুলে ধরা হলো, যা অনেক পরিবারে এখনো বিশ্বাস করা হয় — কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক নয়।

🤰 গর্ভাবস্থায় প্রচলিত কিছু কুসংস্কার ও তাদের সত্যতা

১. ❌ মায়ের পেটে বেশি গোলাকার হলে মেয়ে হবে, আর তীক্ষ্ণ বা নিচে ঝুলে থাকলে ছেলে হবে।

✅ সত্য: শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ হয় পুরুষের শুক্রাণুর মাধ্যমে গর্ভধারণের সময়ই। পেটের আকার নির্ভর করে গর্ভের অবস্থান, গর্ভফুলের (placenta) স্থান এবং মায়ের শরীরের গঠনের ওপর, লিঙ্গের ওপর নয়।

---

২. ❌ গর্ভাবস্থায় নারকেল বা ডিম খেলে শিশুর চুল বেশি হবে।

✅ সত্য: শিশুর চুলের ঘনত্ব নির্ভর করে বংশগতির ওপর। ডিম ও নারকেল স্বাস্থ্যকর হলেও, তা চুল বাড়ায় এমন কোনো প্রমাণ নেই।

---

৩. ❌ সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণে বাইরে বের হলে শিশুর বিকলাঙ্গতা হবে।

✅ সত্য: এটি সম্পূর্ণ কুসংস্কার। সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ গর্ভাবস্থার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে সূর্যের অতিরিক্ত তাপে হিটস্ট্রোক হতে পারে, তাই সাবধান থাকা ভালো।

---

৪. ❌ গর্ভাবস্থায় লবণ খেলে বাচ্চা গায়ে ময়লা বা দাগ নিয়ে জন্মাবে।

✅ সত্য: এটি ভ্রান্ত ধারণা। খাওয়াদাওয়ার সাথে বাচ্চার গায়ে দাগ পড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে লবণ বেশি খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, যা প্রিক্ল্যাম্পসিয়া বা গর্ভকালীন উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।

---

৫. ❌ যদি গর্ভবতী মা সুন্দর কিছু দেখেন, তাহলে বাচ্চা সুন্দর হয়।

✅ সত্য: শিশুর চেহারা নির্ভর করে মা-বাবার জিনের ওপর। মা কী দেখলেন বা ভাবলেন, তার চেহারায় কোনো প্রভাব পড়ে না।

---

৬. ❌ গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করলে গর্ভপাত হবে।

✅ সত্য: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হালকা ব্যায়াম (যেমন হাঁটা, প্রেনেটাল যোগা) গর্ভাবস্থায় নিরাপদ এবং উপকারী। এটি মা ও শিশুর উভয়ের জন্য ভালো।

---

৭. ❌ গর্ভাবস্থায় দুটি মানুষের খাবার খেতে হয়।

✅ সত্য: গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজন বাড়ে, তবে মাত্র 300-500 অতিরিক্ত ক্যালোরি যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং তা ডায়াবেটিস বা অন্যান্য জটিলতা বাড়াতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পরিবার বা আশপাশ থেকে এরকম আরো অনেক ধরণের কথা শোনা যায়। তবে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। 😊

ব্যস্ততা ও ব্যাক্তিগত কারণে পেজে নিয়মিত ছিলাম না।অনেকদিন পর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখতে বসলাম।ইচ্ছে আছে আবার নিয়মি...
28/06/2025

ব্যস্ততা ও ব্যাক্তিগত কারণে পেজে নিয়মিত ছিলাম না।
অনেকদিন পর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখতে বসলাম।
ইচ্ছে আছে আবার নিয়মিত পেইজে এক্টিভ থাকার।

ইদানীং ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেড়ে গিয়েছে।
ডেঙ্গু ও ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে কিছু important information লেখার চেস্টা করলাম..

---

🦟 ডেঙ্গু জ্বর: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

🔍 ডেঙ্গু কী?

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। এই মশাটি সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়, বিশেষ করে সকাল ও বিকেলের দিকে। ডেঙ্গুর ভাইরাসের চারটি ধরন (DEN-1, DEN-2, DEN-3, DEN-4) রয়েছে।

---

📌 ডেঙ্গু সংক্রমণের কারণ

Aedes aegypti নামক মশা ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে।

আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে কামড়ানো মশা যদি আরেকজনকে কামড়ায়, তখন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।

---

⚠️ ডেঙ্গুর লক্ষণসমূহ (৩–৭ দিন ইনকিউবেশন পিরিয়ড)

✅ সাধারণ ডেঙ্গু:

হঠাৎ উচ্চ জ্বর (১০৪°F পর্যন্ত)

তীব্র মাথাব্যথা (বিশেষ করে চোখের পেছনে)

শরীর ও গাঁটে ব্যথা (bone-breaking fever বলা হয়)

গায়ে র‍্যাশ/লালচে দানা

বমি বমি ভাব বা বমি

দুর্বলতা

🔴 জটিল ডেঙ্গু (Severe Dengue / Dengue Hemorrhagic Fever):

শরীর বা মুখ দিয়ে রক্তপাত

পেটে ব্যথা, বমি

শ্বাসকষ্ট

রক্তচাপ কমে যাওয়া (Shock)

চেতনা হারানো

---

🧪 রোগ নির্ণয়

NS1 Antigen Test – শুরুতে করা হয়

IgM/IgG Antibody Test – রোগের ৫+ দিন পর

CBC (Complete Blood Count) – প্লাটেলেট সংখ্যা ও হেমাটোক্রিট পর্যবেক্ষণ

Dengue Duo Test – NS1 ও IgM একসাথে

---
💊 ডেঙ্গুর চিকিৎসা

ডেঙ্গুর জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই মূল ভরসা।

চিকিৎসা নির্দেশনা:

প্রচুর পানি ও তরল খাবার (ORS, স্যুপ, ফলের রস)

বিশ্রাম

প্যারাসিটামল (জ্বর ও ব্যথার জন্য)

🚫 এড়িয়ে চলুন:

Aspirin, Ibuprofen – এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার লক্ষণ:

রক্তচাপ কমে যাওয়া

শ্বাসকষ্ট

শরীরে রক্তপাত

প্লাটেলেট খুব কমে যাওয়া (

09/06/2025
নবজাতক শিশুর জন্মের পর সঠিক যত্ন নেওয়া তার সুস্থ বিকাশ ও সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে জন্মের পর শিশুর যত্ন ...
31/05/2025

নবজাতক শিশুর জন্মের পর সঠিক যত্ন নেওয়া তার সুস্থ বিকাশ ও সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে জন্মের পর শিশুর যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:

---

👶 জন্মের পর শিশুর যত্ন: ধাপে ধাপে গাইডলাইন

🕐 প্রথম ২৪ ঘন্টা:

1. ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ (Skin-to-Skin Contact):

মা ও শিশুর মধ্যে ত্বকের সংস্পর্শ শিশুর শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

স্তন্যপান শুরু করতেও সাহায্য করে।

2. প্রথম দুধ (Colostrum) খাওয়ানো:

জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে স্তন্যপান করানো শুরু করুন।

মায়ের প্রথম হলুদ রঙের দুধ (কলস্ট্রাম) শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

---

🍼 খাওয়ানো ও পুষ্টি:

শিশুকে কেবল মায়ের বুকের দুধ দিন প্রথম ৬ মাস।

কোনো পানি, মধু, ফর্মুলা দুধ বা অন্য কিছু দেবেন না।

২–৩ ঘণ্টা পরপর দুধ খাওয়ানো উচিত বা যখনই শিশু ক্ষুধার ইঙ্গিত দেয়।

---

🌡️ উষ্ণতা ও পরিবেশ:

নবজাতকের শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখা জরুরি।

অতিরিক্ত কাপড় না পরিয়ে, হালকা মোটা কাপড়ে ঢেকে রাখুন।

ঘরের তাপমাত্রা ২৫–২৮°C রাখার চেষ্টা করুন।

---

🛁 স্নান ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা:

জন্মের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় শিশুকে না স্নান করিয়ে পরিষ্কার গরম পানিতে স্পঞ্জ দিয়ে মুছে নিন।

নাড়ির গুঁড়ি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন শুকনো ও পরিষ্কার রাখুন।

সাবান, পারফিউমযুক্ত ক্রিম এড়িয়ে চলুন।

---

👁️ স্বাভাবিক লক্ষণ যা ভয় পাওয়ার কিছু নেই:

হালকা ত্বকের খোসা উঠা

জন্মের পরে কয়েকদিনে সামান্য হলুদাভ রঙ (জন্ডিস)

নাক দিয়ে কিছুটা সাদা স্রাব বা চোখে পাতলা পানি

জন্মের দুধ (mammary discharge) – মেয়েদের ক্ষেত্রে সামান্য সাদা স্রাব

---

🚨 কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে:

শিশু খেতে না চাইলে

বারবার বমি করলে

জ্বর বা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেলে

খুব বেশি হলুদ রঙ ধারণ করলে (জন্ডিস)

শ্বাস নিতে কষ্ট হলে বা খুব দ্রুত শ্বাস নিলে

পায়খানা বা প্রস্রাব না হলে

---

💉 প্রয়োজনীয় টিকা ও মেডিকেল চেকআপ:

জন্মের পরপরই:

BCG (যক্ষা প্রতিরোধে)

Oral Polio Vaccine (OPV-0)

Hepatitis B (Birth dose)

নবজাতককে নিয়মিত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে ফলোআপে নেওয়া উচিত।

---

❤️ মা ও পরিবারের ভূমিকা:

শিশুর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা, ছোঁয়া ও চোখে চোখ রাখা আবেগীয় বিকাশে সাহায্য করে।

মা’র পুষ্টি ও বিশ্রাম নিশ্চিত করা দরকার যাতে তিনি ভালোভাবে দুধ খাওয়াতে পারেন।

---

আমি পুরোপুরি নির্ভুল না,কারণ আমি মানুষ, যন্ত্র নই।ভুল আমার চলার সঙ্গী,তবু শেখার ইচ্ছেটা অটুট।প্রতিটি ভুল আমাকে শেখায়,নতু...
28/05/2025

আমি পুরোপুরি নির্ভুল না,
কারণ আমি মানুষ, যন্ত্র নই।
ভুল আমার চলার সঙ্গী,
তবু শেখার ইচ্ছেটা অটুট।

প্রতিটি ভুল আমাকে শেখায়,
নতুন করে ভাবতে, বোধ গড়ে তুলতে।
নির্ভুল হবার দাবি আমি করিনি,
চেষ্টাটুকু করছি প্রতিনিয়ত সৎভাবে।

আমি ভুল করি, তবুও দাঁড়াই,
নিজেকে শুধরাই, এগিয়ে যাই।
কারণ জীবনটা নিখুঁত নয়,
তবু প্রতিটি ভুলে আছে বোঝার সুযোগ।

---
সমালোচনা, অভিযোগ থাকবেই। আমি ১০০ টা ভালো করলে সেখানে ১০ টা ভুল হতেই পারে। কিন্তু আমি সব কিছু গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে পছন্দ করি 😊

Address

Rangpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Aramana Jabin Kanta posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram