Doctor's Tips

Doctor's Tips ★ কোনো বিষয়ে পোষ্ট দেখতে চাইতে আমাদের

আপনাদের সুবিধার জন্য এই পেজটি খোলা হয়েছে। আপনাদের যে কোন সমস্যার সমাধান দিতে আমরা কয়েকজন কাজ করে যাচ্ছি। আপনি আপনার সমস্যা মেসেজ করে জানান,আমরা যদি পারি তো উত্তর পাবেন। এছাড়াও আপনি ই-মেইল করতে পারেন। আমাদের ই-মেইল হচ্ছে doctorstips@yahoo.com
তবে সেটা অবশ্যই মেডিকেল বিষয়ক হতে হবে। আশা করি আপনারা আমাদের সমর্থন দিয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।

আপনার অতিরিক্ত ভালোবাসায় বাচ্চার হাত ডিসলোকেট হতে পারে।একটি ছোট শিশুকে হাত ধরে টেনে বা তুলে নেওয়ার সময় সাবধান থাকতে হব...
31/05/2025

আপনার অতিরিক্ত ভালোবাসায় বাচ্চার হাত ডিসলোকেট হতে পারে।

একটি ছোট শিশুকে হাত ধরে টেনে বা তুলে নেওয়ার সময় সাবধান থাকতে হবে। "নার্সমেইডস এলবো" বা "পুল্ড এলবো" হলো এমন একটি অবস্থা, যখন শিশুর কনুই হঠাৎ টানা, টানাটানি, ঝাঁকুনি বা দোলানোর কারণে স্থানচ্যুত (Dislocate) হয়ে যায়।
সুতরাং,সাবধানে বাচ্চাকে তুলবেন বা কোলে নিবেন।


শ্বাসকষ্ট নিরাময় ও শ্বাসকষ্টের কারন দুটোই একসাথে। 🤣বিঃদ্রঃ এরকম রোগী থাকলে টাকার আর অভাব হয় না। 😑
28/05/2025

শ্বাসকষ্ট নিরাময় ও শ্বাসকষ্টের কারন দুটোই একসাথে। 🤣

বিঃদ্রঃ এরকম রোগী থাকলে টাকার আর অভাব হয় না। 😑

এস.এস.সি. তে যারা একটু হ্যাবলা টাইপের তারাই শুধু মেডিকেলে চান্স পায় এবং টপার হয়! 😑
25/05/2025

এস.এস.সি. তে যারা একটু হ্যাবলা টাইপের তারাই শুধু মেডিকেলে চান্স পায় এবং টপার হয়! 😑

27/07/2023

#পায়ের_আঙুলের_ফাঁকে_ছত্রাকের_সংক্রমণ

গরমের এ সময়ে পায়ের আঙুলের ফাঁকে ঘা হতে দেখা যায়। প্রচণ্ড চুলকায় ও জায়গাটি লাল হয়ে যায়। কখনো ত্বক ফেটে যায়, আবার কখনো ফুসকুড়ির মতো হয়, জ্বালাপোড়াও করে। এ সমস্যাকে ‘টিনিয়া পেডিস’ বা ‘অ্যাথলেটস ফুট’ বলে।

এটি সংক্রামক। সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেলে আঙুলের ফাঁকে ক্ষত তৈরি হয়ে থাকে।

সাধারণত ছত্রাক সংক্রমণ মারাত্মক কিছু নয়। কিন্তু কখনো কখনো এর নিরাময় কঠিন হতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে অথবা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হলে এমন সংক্রমণের চিকিৎসা নিতে দেরি করা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।

#কেন_হয়ঃ
সাধারণত গরমকালে ও আর্দ্র স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ছত্রাকের সংক্রমণ বেশি হয়।

পা সব সময় ভেজা থাকা, একই মোজা বারবার পরা, সারা দিন আঁটসাঁট জুতা পরার কারণে পা ঘেমে গেলে ছত্রাকের সংক্রমণ বেশি ঘটে।

সংক্রমিত ব্যক্তির কাপড়, মোজা, বিছানা ব্যবহারে অন্য ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারেন।

খালি পায়ে হাঁটলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

#চিকিৎসাঃ
সংক্রমণ সারাতে কিছু ছত্রাকনাশক ব্যবস্থাপত্র ছাড়া সরাসরি দোকান থেকে কিনে ব্যবহার করতে পারবেন।

আবারও সংক্রমণ ঠেকাতে উপসর্গ চলে যাওয়ার পরও কমপক্ষে আরও এক সপ্তাহ ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। এরপরও না সারলে চিকিৎসকের পরামর্শে হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড সরাসরি সংক্রমিত স্থানে ঢেলে দেওয়া যায়। তবে এতে জ্বালাপোড়া করতে পারে এবং বাবল দেখা যেতে পারে।

টি ট্রি অয়েলে (চা–পাতার তেল) ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াবিনাশী উপাদান রয়েছে। টি ট্রি অয়েলে নারকেল তেলের মতো কোনো ক্যারিয়ার অয়েল মিশিয়ে ২৫-৫০ শতাংশের কনসেন্ট্রেশন তৈরি করুন। তারপর দিনে দুবার করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে।

নিমপাতার নির্যাস ছত্রাক সংক্রমণ নিরাময়ে বেশ কার্যকর। নিমের তেল বা নির্যাস দিনে দুই-তিনবার সরাসরি সংক্রমিত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন।

সামুদ্রিক লবণেও ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকবিনাশী ক্ষমতা রয়েছে। একটি গামলায় কুসুম গরম পানি নিন এবং এতে এককাপ লবণ মিশিয়ে পায়ের আঙুলকে ২০ মিনিটের মতো ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে মুছে ফেলুন।

#প্রতিরোধঃ
পায়ের শুষ্কতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য। আঙুলের ফাঁক শুকিয়ে নিন।

নিয়মিত মোজা পরিবর্তন করুন বা ধুয়ে ফেলুন।

পাবলিক প্লেসে খালি পায়ে হাঁটবেন না।

সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে, এমন জুতা পরুন।

09/07/2023

#ডেঙ্গু_জ্বরে_সাবধানঃ

এখন জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। জ্বর আসার কারণ নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনেরাও চিন্তিত থাকেন। বিশেষ করে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় যেভাবে পালাক্রমে প্রতিবছর মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস (গ্রীষ্ম ও বর্ষার সময়) পর্যন্ত দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী আক্রান্ত হচ্ছে। তাই এই সময়ে জ্বর মানেই আতঙ্ক।

এ সময়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। প্রথমবার ডেঙ্গু হলে এটি শরীরে জটিলতা ছাড়া এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। যাঁরা আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের শরীরে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে কয়েক দিনেই ডেঙ্গু পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।

#কীভাবে_ছড়ায়?
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বর দুটোই এডিস মশার কারণে হয়। এই দুটি রোগের লক্ষণে যেমন নানা মিল রয়েছে তেমনি আবার ভিন্নতাও রয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।

#চেনার_উপায়_কী?
ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। জ্বর হওয়ার চার বা পাঁচ দিনের সময় সারা শরীরে লালচে দানা দেখা যায়। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব এমনকি বমি হতে পারে।
রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ করে এবং রুচি কমে যায়। এ অবস্থাটা যেকোনো সময় জটিল হয়ে উঠতে পারে। যেমন অন্য সমস্যার পাশাপাশি যদি শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তপড়া শুরু হয়। যেমন: চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত থেকে, কফের সঙ্গে রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে ও চোখের বাইরে রক্ত পড়তে পারে।
মেয়েদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব বা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেক দিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি হতে পারে। এই রোগের বেলায় অনেক সময় বুকে পানি, পেটে পানি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস, কিডনিতে আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।

িকিৎসকের_কাছে_যাবেন
ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে এই জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসা যথেষ্ট। তবে যাদের আগে ডেঙ্গু হয়েছিল, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে। যেমন—
♦ শরীরের যেকোনো অংশে রক্তপাত হলে
♦ প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে
♦ শ্বাসকষ্ট হলে, পেট ফুলে পানি এলে
♦ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে
♦ জন্ডিস দেখা দিলে
♦ অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে
♦ প্রচণ্ড পেটব্যথা বা বমি হলে।

#চিকিৎসাঃ
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চলতে হবে, যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো গুরুতর জটিলতা না হয়। সাধারণত লক্ষণ বুঝেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।

♦ সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে।
♦ যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
♦ খেতে না পারলে দরকার হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।
♦ জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামলজাতীয় ব্যথার ওষুধই যথেষ্ট। অ্যাসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ব্যথার ওষুধ কোনোক্রমেই খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে।
♦ জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে।


#শেয়ার_করুন

20/06/2023

#অন্তঃসত্ত্বা_মায়ের_হৃদ্‌রোগঃ

নতুন মা হতে যাচ্ছেন, এমন নারীরা কি নিজের হৃৎস্বাস্থ্য সম্পর্কে জানেন? গর্ভধারণকালীন বা সন্তান প্রসবের সময় অনেক নারীই কিন্তু হৃদ্‌রোগজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হন। অনেকের করুণ মৃত্যুও ঘটে।

গর্ভকালীন সময়ে একজন নারীর হৃদ্‌যন্ত্রকে আগের তুলনায় মিনিটে ৪০ শতাংশ বেশি রক্ত পাম্প করতে হয়। রক্তের আয়তনও যায় বেড়ে। এমনকি রক্তচাপেও তারতম্য ঘটে। এসবই স্বাভাবিক। নারীর শরীরের সঙ্গে মানিয়ে যায়। কিন্তু যাঁদের লুক্কায়িত কোনো হৃদ্‌রোগ আছে (যেমন জন্মগত ভালব ত্রুটি), বা ছোটবেলায় বাতজ্বরের ইতিহাস, কিংবা আগে থেকে উচ্চরক্তচাপ ছিল —তাঁদের জন্য সন্তানধারণ বাড়তি ঝুঁকি ডেকে আনে বৈকি। তাঁদের জন্য চাই বাড়তি সচেতনতা।

যাঁদের ছেলেবেলায় বাতজ্বর বা বাতজ্বরজনিত হৃদ্‌রোগ হয়েছিল বা জন্মগত বা বংশগত হৃদ্‌রোগের ইতিহাস আছে, তাঁরা অবশ্যই গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হবেন ঝুঁকি কতটুকু।

কিছু জন্মগত হৃদ্‌রোগ বা ত্রুটির চিকিৎসা করে সারিয়ে নিয়ে বা শল্য চিকিৎসা করার পর গর্ভধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার পর নিরাপদ মাতৃত্ব সম্ভব।

উচ্চরক্তচাপ অনেকেরই থাকে। হয়তো ওষুধও খাচ্ছেন। কিন্তু সন্তান ধারণের আগে এই ওষুধ নিরাপদ কি না, ওষুধ পাল্টাতে হবে কি না বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, সে বিষয়ে পরামর্শ নিন।

আগে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন এমন নারীরও গর্ভধারণের পর নানা সমস্যা হতে পারে। ৮ শতাংশ নারীর ২০ সপ্তাহের পর উচ্চরক্তচাপ দেখা দিতে পারে। গর্ভকালীন উচ্চরক্তচাপ, পা ফোলা, খিঁচুনিসহ নানা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। এ সময় নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনে চিকিৎসা নেওয়া দরকার।

গর্ভকালীন শেষ তিন মাস ও প্রসবের পর পাঁচ মাস পর্যন্ত হৃদ্‌যন্ত্র বড় হয়ে হার্ট ফেইলিউর হতে পারে। এতে শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের জন্য শুতে না পারা, পায়ে মুখে পানি আসা জাতীয় লক্ষণ দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এ সময় অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস রোগ থাকলে ঝুঁকি বেশি।

ডা. শরদিন্দু শেখর রায় : হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

15/06/2023

#হৃদরোগীদের_অস্ত্রোপচারে_ঝুঁকিঃ

হৃদরোগীদের কোনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। হার্টের সমস্যা যাঁর আছে, তিনি কি অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নিতে পারবেন? ধকল সইতে পারবেন? অচেতন করার ওষুধ তাঁকে দেওয়া কি ঠিক হবে? কিন্তু একজন হৃদ্রোগীর হঠাৎ অ্যাপেনডিকস, গল ব্লাডারে পাথর বা কোথাও কোনো টিউমারের অস্ত্রোপচার লাগতেই পারে।
হার্ট ফেইলিউর, হার্টে বাইপাস বা স্টেন্টিং করা, কার্ডিওমায়োপ্যাথি, ত্রুটিপূর্ণ ভালভের রোগীদের অস্ত্রোপচারে অন্যদের তুলনায় ঝুঁকি একটু বেশিই থাকে। মধ্যম ঝুঁকি রয়েছে অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, মৃদু বা মধ্যম ভালভের ত্রুটি ইত্যাদিতে। ছোটখাটো অস্ত্রোপচার যেমন: ফোঁড়া কাটা, চোখের ছানি কাটা, দাঁতের অস্ত্রোপচার ইত্যাদিতে এবং যেখানে লোকাল অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহার করা হয়, তা মোটামুটি ঝুঁকিমুক্ত। আবার বড় অস্ত্রোপচার যদি জরুরি ও প্রাণ রক্ষাকারী হয়, তবে সব ঝুঁকি নিয়ে হলেও তা করতে হবে। অর্থোপেডিক, মস্তিষ্ক বা রক্তনালির কিংবা পেটের বড় ও দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্রোপচারে ঝুঁকি বেশি।

#হৃদরোগীদের_অস্ত্রোপচারে_সতর্কতাঃ
■ অস্ত্রোপচারের আগে সার্জন, অবেদনবিদ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, প্রয়োজনে ডায়াবেটিস ও কিডনি বিশেষজ্ঞ সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও সমন্বিত চিকিৎসা দরকার।
■ আগে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা থাকলেও অস্ত্রোপচারের আগে আবার হার্টের অবস্থা, ইনজেকশন ফ্র্যাকশন, ভালভের অবস্থা, রোগীর চাপ নেওয়ার মাত্রা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা দরকার।
■ রক্ত পাতলা করার ওষুধ কত দিন আগে থেকে বন্ধ থাকবে ইত্যাদি বিষয় পরিষ্কার জেনে নেওয়া উচিত। রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় কোনো পরিবর্তন (যেমন ওষুধের বদলে ইনসুলিন শুরু করা) আনার জন্য আগে থেকেই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে নিন।
■ ভালো কার্ডিয়াক সাপোর্ট ও সিসিইউর সুব্যবস্থা আছে, এমন হাসপাতালে রোগীদের অস্ত্রোপচার করা ভালো।
■ এ ধরনের রোগীরা আগে থেকেই নাজুক অবস্থায় থাকেন, তাই পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার খুব নিখুঁত হওয়া চাই। সংক্রমণ ঠেকাতে দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণসহ সেবাদানকারীর পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
ইদানীং অবেদনবিদ্যার প্রভূত উন্নতি ও ইনটেনসিভ কেয়ার সাপোর্টের কারণে হৃদ্রোগীদের যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারও সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। তারপরও মনে রাখতে হবে যে এ ধরনের রোগীদের যেকোনো অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

ডা. শরদিন্দু শেখর রায় , হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
#প্রথম_আলো

14/06/2023

#ব্রেইন_টিউমারঃ

প্রাপ্ত বয়সের পাশাপাশি শিশু বয়সেও ব্রেইন টিউমার হতে পারে। তবে ব্রেইন টিউমারের কারণ এখনো অজানা। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে এর হার কিছুটা বেশি। দুই ধরনের ব্রেইন টিউমার দেখা যায়।

১। প্রাইমারিঃ টিউমারের উৎপত্তি ব্রেইনেই বা মগজেই হয়ে থাকে।

২। সেকেন্ডারিঃ এই টিউমারের উৎপত্তিস্থল থাকে শরীরের অন্য কোনো অংশে। পরবর্তী সময়ে ক্যানসার কোষ মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে টিউমার তৈরি করে।

#প্রাইমারি_ব্রেন_টিউমারঃ
এগুলো ব্রেইনের অভ্যন্তরের যেকোনো কোষ থেকে উৎপন্ন হতে পারে। টিউমার নীরব প্রকৃতির বা জাগ্রত (ক্যানসার) দুই রকমই হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রাইমারি ব্রেন টিউমার নিরীহ ধরনের হয়। এ টিউমার নিজস্ব স্থানে থাকে,অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়ে না বা ব্রেইনের অন্য অংশ ধ্বংস করে না।
অপ্রাপ্ত বয়সে দুটি প্রধান ব্রেন টিউমার হতে দেখা যেতে পারে।

ক) গ্লাইওমা টিউমারঃ শিশু বয়সে এস্ট্রোসাইটোমা ও এবোনডাইমোমাঃ এ দুই শ্রেণির বেশি হতে দেখা যায়।

খ) ব্রেন স্টেমঃ সেরিবেলাম থেকে ব্রেইনের অন্যান্য অংশে বা মেরুদণ্ডের স্নায়ুতন্ত্রে ছড়িয়ে যেতে পারে।

#লক্ষণঃ
ব্রেইনের কোন অংশে টিউমার উৎপন্ন হয়েছে,তার ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন সেরিবেলামে গজানো টিউমারের কারণে শিশু স্থিরভাবে সরলরেখা ধরে হাঁটতে পারে না। এছাড়াও শিরঃপীড়া,বমি অথবা বমিবমি ভাব,খিঁচুনি,পরবর্তী সময়ে জ্ঞান লোপ,অল্প বয়সী শিশুর মাথার আকার বেড়ে যাওয়া।

#পরীক্ষাঃ
★ব্রেইনের এমআরআই বা সিটি স্ক্যান।
★চোখ ও শ্রবণশক্তির পরীক্ষা।
★রক্ত পরীক্ষা ও বুকের এক্স-রে।
★অস্ত্রোপচারের পর টিউমার বায়োপসি। এটি করতে হবে এর প্যাথলজিক্যাল শ্রেণি নির্ণয়ের জন্য।

#চিকিৎসাঃ
সার্জারির মাধ্যমে টিউমার সম্পূর্ণ অপসারণ সম্ভব না হলে বা কিছু ক্যানসার কোষ থেকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলে রেডিওথেরাপির সাহায্য নিতে হয়।
এছাড়া স্টেরয়েড ব্রেন টিউমারের চারপাশের স্ফীতি কমাতে সাহায্য করে। খিঁচুনি থাকলে খিঁচুনি নিরোধক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।


13/06/2023

#হিট_স্ট্রোক

প্রচণ্ড গরমে শরীর উত্তপ্ত হয়ে অতি দুর্বলতা,বমির ভাব,মাথাব্যথা,শরীর ঝিমঝিম করা,খিঁচুনি,শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণকে হিট স্ট্রোক বলে। হঠাৎ করে এমন সমস্যা দেখা দেয়। এটি একটি অতি জরুরি অবস্থা। যাকে বলা হয় মেডিকেল ইমার্জেন্সি। এর সঙ্গে মারাত্মক পানিশূন্যতাও থাকতে পারে।

কারা বেশি আক্রান্ত হতে পারেনঃ
রোদে বেশি পরিশ্রমকারীরা বেশি আক্রান্ত হয়ে পরে। যেমন ভ্যান-রিকশা-ঠেলাগাড়ির চালক,কারখানার শ্রমিক ও কৃষক। এছাড়াও শিশু হিট স্ট্রোক করতে পারে যারা রোদে দৌড়ঝাঁপ,খেলাধুলা করে।

কি করণীয়ঃ
প্রথমেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে ছায়াময় ও অপেক্ষাকৃত শীতল স্থানে সরিয়ে নিন। সব জামাকাপড় ঢিলে করে দিন। পানি বা ভেজা কাপড় দিয়ে অনবরত সারা শরীর মুছে দিন। বরফের টুকরা ভেজানো ঠান্ডা পানি দিয়েও শরীর মোছা যাবে। জ্ঞান থাকলে খাওয়ার স্যালাইন বা পানি খাওয়ান।

দ্রুত ভালো হাসপাতালে নিন। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা হয়,তত ভালো। দেরি করলে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে,এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

শরীরের তাপমাত্রা বেশি বলে জ্বর ভেবে কোনো ওষুধ দেবেন না। হাসপাতাল খুব দূরে হলে রোগীর পাশে বরফের বড় বড় চাকা রেখে বাতাস দিতে থাকুন। রোগীকে কাত করুন। মুখে জমে থাকা লালা পরিষ্কার করুন।

সতর্কতাঃ
কিছু পথ অবলম্বন করলে হিট স্ট্রোকের সমস্যা ঠেকানো সম্ভব। যেমনঃ

১। রোদে অধিক সময় কাজ না করে মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।
২। আগুনের কাছে কাজ করার সময় বিরতি নিয়ে ফ্যানের কাছে বসুন।
৩। এ সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করুন (খাওয়ার স্যালাইনও খেতে পারেন)।
৪। প্রচণ্ড গরমে চা-কফি পান না করাই ভালো।
৫। হালকা সুতির পোশাক পরিধান করুন।
৬। শিশুদের প্রচণ্ড রোদে বাইরে খেলাধুলা করতে দেবেন না।
৭। শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা পর্যাপ্ত পানি পান করছেন কি না,সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৮। রোদের মধ্যে দাঁড়ানো যানবাহনে বসে না থেকে নিচে নেমে হাঁটাহাঁটি করুন।


12/06/2023

#গ্যাস্ট্রিক_বা_অ্যাসিডিটি

গ্যাস্ট্রিক আমাদের দেশের একটা পরিচিত রোগ। এটা মূলত কিছু বদভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১। দিনের ৩ বেলার খাবার প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে গ্রহণ করার অভ্যাস করুন।

২। তৈলাক্ত খাবার যথাসম্ভব বর্জন করুন। যদি তা নাও পারেন সমস্যা নেই। তবে তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার আগে বা পরে অতিরিক্ত পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৩। রাতে শাকসবজি, কলা, ঢেঁড়স, ছোট মাছ ইত্যাদি দিয়ে হালকা খাবার খান।

৪। ভাত খাওয়ার আগে এক-দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিন। তারপরে ভাত খান। খাওয়ার পরপরই অনেক বেশী পানি খাওয়ার প্রবণতা বর্জন করুন।

৫। দিনে কিংবা রাতে- খাওয়ার পরপরই অনেকে শুয়ে পড়তে পছন্দ করেন। এটা বর্জন করুন। কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে হাঁটাচলা করতে পারেন অথবা বসে থাকতে পারেন সোজা হয়ে। অন্তত ৩০ মিনিট পর শুতে যান।



11/06/2023

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

11/06/2023

Address

Rangpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Doctor's Tips posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Doctor's Tips:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram