Bangladesh Dementia Research Institute and Hospital

Bangladesh Dementia Research Institute and Hospital This will
give medical care to people with dementia
will educate physicians about dementia treatmen

Dementia screening, typing and free consultation service
Finding out underlying cause by appropriate investigations
Preventing and Treating reversible components
Supporting people with dementia and its care givers
Raising awareness, education and research activities
Hospital and home care services

10/06/2025

শয়তানের ভাষা
Language নিয়ে অনেক সমস্যা। এক এক দেশের ভাষা একেক রকম। ফিরিঞ্চি, চায়না, রাশান, জাপানিজ, জর্মন আরো বড় বড় ভাষায় কথা বলে মানুষ। তবে মনে হয় ভাষার দূরত্ব যতটা না এফেক্ট করে তার চেয়ে বেশী করে নিজের ভাষাটাকে ভদ্র-উন্নত আর কুলি-মজুর-কৃষকের ভাষাকে খেত-বাজে-অভদ্র মনে করা। বাংলায় যে ক্যালকাটান ভার্সন মার্জিত হিসাবে কালার দেওয়া হয় বাংলাদেশের গ্রামীন মুসলিম দরিদ্র জনগোষ্ঠী তা বলে না। বঙ্গীয়,আরবী-উর্দু-ফার্সীর এক কথ্য ভার্সন তাদের যেটা হারিয়ে যায় ভাষা আন্দোলনের তোড়ে। সিরাজুদ্দৌলা বাংলা জানতো না।তাছাড়া শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, বেগম রোকেয়া, শেখ মুজিবদের পারবারিক ভাষা সহ, ঢাকা-বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র খাস উর্দু চলতো, মোর দেন ফিফটি পারসেন্ট।তবে ইংরেজী ছিল উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম। সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের চেষ্টা অন্ততঃ মেডিকেল শিক্ষায় কখনই সফল হয়নি।

মুসলিম দেশ হিসাবে পাকিস্তান ভাইরাস আক্রমন করে দাদাদের। ভারতের সব দেশীয় মুসলিম রাজ্য খেয়ে হজম করে ফেলে তা যার পরিমান পাকিস্তানের কয়েকগূণ। খোদ পাকিস্তান খেয়ে হজম করবার জন্য চেষ্টার ত্রুটি করে নাই। বৃটিশরাজ শেষে ভারতে মুসলমানদের উপর মালুরা যে হত্যাযঞ্জ চালায় তার কাছে হালাকু নস্যি। মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলো মুসলিম শূণ্য হয়ে পড়ে, অধিকাংশই মারা পড়ে। কিছু পালিয়ে এপার এসে উর্দূভাষী বিহারী হিসাবে থাকে। মুক্তি যূদ্ধের কালে তারা আবার কচুকাটা হয় আর অবশিষ্টরা বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তারা হয়ে যায় আটকে পড়া পাকিস্তানী।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম সফল মালুয়ানী এজেন্ডা ছিল ভাষা আন্দোলন। পুরোটাই ছিল মালুদের সুপরিকল্পিত সাবোটাজ, পুলিশ যখন মিছিলকারীদের মারলো না তা দেখে মালুদের এক চর হাইকোর্ট মাজার থেকে বের হয়ে দ্রুত এলোপাথারী বন্দুক চালনা করে বেশ কয়েকজন পথচারীকে হত্যা করে ও সেই বিষয়টি নিউজ হবার আগেই ঘাঘু মালুরা সেটা সংসদে প্রকাশ করে – চলমান সংসদ অধিবেশন বন্ধ হয়ে যায়। সরকার জানবার আগেই তারা জানলো কেমনে যদি না কাজটা তারা নিজেরা করতো!!! অতঃপর দেশের রাজনীতিতে ভাষানী মুজিবদের সাবোটাজের প্রাকটিস চলতে থাকে পাকিস্তান ভারতের নিকট সারেন্ডার পর্যন্ত। পহেলী কি এন্ড তক ওহী ইন্ডিয়ান হামলা ছিল তাতে কুছ ভুল নেহী।

ভাষাশহীদের মিনার তৈরী হলো দেশব্যাপী-পূজাও শুরু হয় নূতন আদলে। কেউ বলুক না শহীদ কারে কয় আর শহীদের সম্মান কেমনে দিতে হয়!! আর তাকে ঘিরে শেষতক তথাকথিত স্বাধীনতার আর এক গগনচুম্বী স্তম্ভ বানায় সাভারে যা ছিল হিন্দু বিজয়ের এক কুতুব মিনার। কিন্তু ওগুলোর সবটিই যে ইন্ডিয়ান প্রোগ্রাম ছিল তা মনে হয় এখনও কেউ বুঝে নাই।

হযরত ইবরাহিম (আঃ) এর জন্মের আগে নমরূদকে এক গণক জানায় তার পতন হবে যে শিশুর দ্বারা তার আগমনের। নমরূদ সব পুরুষ শিশুকে হত্যা করতে থাকে কিন্তু তার মূর্তি নির্মাতা প্রধান আজরের ঘরে জন্মে যে শিশু তা আজর লুকিয়ে ফেলে দূর মরুভুমির এক গর্তে। সেখানে একাকী বড় হলেও তাঁর মুখে জন্মায় নতুন এক ভাষা আর মনে এক নতুন ভাব। সে অনেক কথা – পরে তাঁর বিয়ে হয় বিবি সারার সাথে যার কোন বাচ্চাকাচ্চা হচ্ছিল না। বিবি সারা চাইলেন দত্তক নিতে তাতে হযরত ইবরাহিম (আঃ) রাজী না হওয়ায় তাঁর এক দাসী হাজেরাকে দিয়ে বিয়ে দেন স্বামীকে আর তাতে জন্ম নেন এক পুত্র সন্তান। তবে ইতোমধ্যে ঐশ্বরিক কৃপায় সারাও গর্ভবতী হয়ে জন্ম দেন আর একছেলে। এসব কাহিনী চলতে থাকে হাজেরার আরবে নির্বাসন, কাবাঘর নির্মাণ, পুত্রের কোরবানী যা মুসলমানেরা গরূছাগল দ্বারা সম্পন্ন করে থাকে। ইহুদীদের মাঝে এ প্রথা না থাকলেও কপট ইহূদীরা আজো ছোট ছেলে ইসহাককে জাবীহুল্লাহ দাবী করে থাকে। আর তাদের জমজ হিন্দুরা নরবলী দিতে থাকে।

আরবের মরুভুমিতে ভাষা শিক্ষার কোন স্কুল কলেজ ভার্সিটি হয় নাই। কিন্তু তারা অটোমেটিক যে শব্দগুলো বলতো তাই কালক্রমে একটি সুন্দর স্বভাবজাত ভাষায় রূপ নেয় যাকে বলে ক্লাসিক আরবী ভাষা। তবে সৌদীদের দ্বারা এটি প্রচুর কাটছাঁটের পর মডার্ন আরবীতে রূপ নিয়েছে। তারা কোরআনের ভাষাকে মাতৃভাষা রাখেনি। রাসুল (সাঃ) এর জন্মের পর আরবের মরুভুমিতে মা হালিমার কোলে লালিত পালিত হবার কারণে এই মরুর ভাষাই হয়ে যায় তাঁর মাতৃভাষা।

এ ভাষার স্বভাবজাত বৈশিষ্ট প্রতিটি শব্দ প্রাকৃতিক যাকে আমরা বলি আল্লাহর দেয়া। তার অর্থ ও বিন্যাস সর্বদাই একটি মূল বা মসদর থেকে উদ্গত হয়, একটি গাছের শিকড়, কান‌ড, শাখা-প্রশাখা, পাতা, ফুল ফলের মত অভিন্ন উৎস নির্দেশ করে। পৃথিবীর সব অঞ্চলেই গ্রামের দূর কর্ণারে মানুষের মুখের ভাষা ছিল একই রকম। কিন্তু শহর গুলোতে এসে তা বদলে যেত। মানুষ ওই ভাষাতে নিরুৎসাহিত হতো কারণ শহরেরা ওসব কথাকে বলতো কথ্য বা অসভে্যের ভাষা। বাংলার মুসলমানদের কথ্য ভাষাতেও বিস্তর আরবী শব্দ বিদ্যামান কিন্তু শহিদ মিনারীরা সেগুলো মারিয়ে কেলকাটান ভাষা চালু করে। কথ্য ভাষা নিয়ে আমাকে ও আামার মা বাবাকে সহ বাংলার সাধারন মুসলমানকে যত অপমান করা হয়েছে তা দিয়ে অনেক বড় গ্রন্থ লেখা যাবে।

আজতক ভাষা নিয়ে অরাজকতা শেষ হয় নাই। তবে জেনে রাখা প্রয়োজন আরবী হলো সর্বত্র বিরাজিত প্রাকৃতিক ভাষা যা আয়ত্ব করতে বেশীদূর যাওয়া লাগবে না। কারণ ইহাই মানুষের মনের ভাষা, সহজ ও সুন্দর। তবে তার আগে বাবুদের দাদাদের ভাষা বর্জন করতে হবে। মিনারগুলো ও স্তম্ভ ধুলায় পরিণত করতে হবে, কোরআনের তথা নামাজের ভাষাকে নিজের ভাষা হিসাবে কবুল করতে হবে। শুরু থেকেই যারা মুসলমান হয়েছিল তারা কোরআনের ভাষাকেই মাতৃভাষা হিসাবে গ্রহন করেছিল, তাই কুরাঈশ কুরা বা পাড়ার ভাষা আজ পঞ্চাশটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্র ভাষা। আর আমাদের পাকভারতে, তুর্কিয়ে, মালয়ের আরবী স্ক্রিপ্ট বদলে কামাল-পাশার মত যে শয়তানগুলো অন্যরকম স্ক্রিপট চালু করেছিল তা সংশোদন খুবই জরুরী।

শয়তানের ভাষা থেকে বের হয়ে আল্লাহর ভাষায় যেতে না পারলে আল্লাহর রাজ্যে বোবা হয়ে যেতে হবে। আমার কথা আপনার ভাল না লাগলে কিচ্ছু করার নেই। আমি সত্য বলে যাব। আর সত্য হলো সবচেয়ে অপ্রিয় ও তিতা জিনিস। কিন্তু খারাপ লাগলেও রোগের ঔষধ খেতে হয়, সেলাইন, ইন্জেকশন দিতেই হয় বাঁচার তাগিদে।

এম আই রাইট?

07/06/2025

দ্য ডিসিভিং লুসিফার
002:11 وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لاَ تُفْسِدُواْ فِي الأَرْضِ قَالُواْ إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ
এরা কারা তার পরিচয় উল্লেখ না করেই তারা মানুষের মধে্যকার কিছু তথাকথিত peace maker হিসাবে বর্নণা করা হয়েছে। তবে তাদের কাজকর্ম প্রমান করে তারা ফাসাদ বাধানো আমেরিকা-ইসরাইল-ইয়োরোপ বা এরকম কিছু হবে। যেহেতু "আমরা" (নাহনু) ব্যবহৃত হয়েছে তাই এরা কোন ব্যক্তি বিশেষ না বরং সংঘবদ্ধ দল, খুব সম্ভব এটা জাতিসংঘ বা UN হবে। কারণ এদের কথাগুলো হলো তারা যুদ্ধ না বাধে বা শান্তিস্থাপনের কাজটা আনজাম দেয়। তার মানে এদেরকে সোজাসুজি শয়তান হিসাবে আইডেনটিফাই করা যাবে না। এদের লোগো সুন্দর আসলে বান্দর। মুসলমানদের মধে্যও তাদের খদ্দের আছে। و فيكم سمشعون لهم – তাদের শ্রোতা আছে তোমাদের অনেকেই।এই শ্রোতাগণ মুসলমানদের জন্য বড়ই সমস্যা। সন্দেহ নেই আপনি আমিও এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকতে পারি। আর এজন্যেই কাফেরদের বয়ান গেলাটা সেফ না। এরা চিরদিন মুসলমানদেরকে ডিসিভ করে এসেছে।

পহেলি প্রব্লেমটা বুঝতে হবে। রোগীর দালাল যেরকম শুভাকাংখী সেজে জেচে কথা বলে ও সৎ পরামর্শ হিসাবে পপুলার-ল্যাবএডের ভাল ডাক্তারের ঠিকানা দেয় বা কোন ভাল ক্লিনিক বা ডায়াগনোষ্টিকের এড্ড্রেস ধরিয়ে দিয়ে বা আরো মঙ্গলাকাংখী হিসাবে সাথে করে নিয়ে যায় বা ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইটের ভাল ডাক্তারের সাথে সাক্ষাত ঘটায় তখন রোগী বা তার লোকেরা তাকে শুধু বিশ্বাস না বরং দুলাভাই হিসাবেও ভাবতে পারে। শান্তিস্থাপক জাতিসংঘের লুসিফারেরাও একই কাজ করে। আসলে এরা হলো শয়তানের দুলাভাই। এবং অবশ্যই মানবজাতির অন্তর্ভুক্ত। ১৪টি দেশ যখন ভোট দিল তখন এমেরিকা দিল ভেটো। কারণ এরা ইসরাইলের দুলাভাই লাগে কিনা!!!
বিশ্বজুড়ে সন্তাসের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করে বেড়ায় শান্তির সেই ফেরিওয়ালারা এই মুসলেহুন। ব্যাপারটা বুঝা জলবৎ তরলং হলে বিষয়টি কোরআনে এভাবে আসতো না। এই শান্তির বাণীবাদকদের কোরাস আর ড্রামের হাই সাউন্ড আপনার মাথা ঘোল করে দিবে।

এদের সাথে শয়তান এলিয়েনদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে যারা মানবজাতির বাইরে যাদের সাথে এরা সাক্ষাত করে নিভৃতে তখন নিজেদেরকে উন্মোচন করে বলে আমরা তোমাদের সাথেই আছি – আমরা ওই লোকদের সাথে মশকরা করছিলাম যাতে ওরা আমাদের হিতাকাংখী মনে করে। এতে বুঝা গেল ওরা আসলে তাদের পিছনে থাকা এলিয়েনদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এবার আসল মজাটা বুঝুন। তবে ঘটনাটা প্রতারণা তা বুঝতে না দেয়াটাই মূল বিষয় না। মানুষ বিশেষ করে মুসলিম জাহানের নেতারাও এরাই যাদেরকে মানা ইসলামের নির্দেশ। এরাই মুসলমানের পরিচয় দিয়ে কোথাও সালমান কোথাও সিসি হিসাবে মুসলিম জগতের কেন্দ্রে বসে জনগনকে মূলা দেখিয়ে পিছনে কাফেরদের সাথে মিলে তাদের পারপাস সার্ভ করছে। বাংলার ছাত্রজনতা এইসব বি‌‌‌‌‌‌‌‌‌ভ্রান্ত মুসলামনদের আলোকবর্তিকা হতে পারে যাতে করে তাদের এলিয়েনবেজড্ শাসকরা জয়বাংলা হয়ে যায় ও মুসলিম জনতা তাদের স্বাধীনতা ফিরে পায়।

আমরা ভারতেও এলিয়েনদের দেখতে পাব যারা যুগযুগ ধরে মুসলিম নিধনে কসাই হিসাবে শান্তিস্থাপনে নিয়োজিত। এটা তাদের দাবী অনুযায়ী কোন ঐতিহাসিক রামরাজ্য ছিল না-- বরং হাজার বছর ধরে মুসলিমরা এদেশ শাসন করে এসেছে। যে বাবরী মসজিদ ভেঙে তারা রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছে তাতে অরিজিনালী কুনো রামমূর্তি বা রামমূর্তি বা রাম মনদির থাকার কোন রায় তাদের মালু জাজেরাও কোর্টে দিতে পারে নি। পারলেও তা দ্বারা কোন মসজিদ ভাঙার বৈধতা দিতে পারতো না। তাছাড়া কোরআনে এমন বিধান আছে যাতে কোন ইবাদতগাহ ভাঙা চলে না। সেটা যে ধর্মেরই হোক না কেন। অথচ এলিয়েনরা তা ধ্বংস করে রামমূর্তি সাজিয়ে মন্দির বানালো। হিন্দুরা ঈশ্বর বা ভগবান নয় এলিয়েন বা দেব-দেবীর মূর্তিপূজা করে এবং তাদের উপর ভূত-প্রেতের প্রভাব খুবই বেশী। তা জানা সত্বেও কোন মুসলমান শাসক বা জনগন তাদের উপাসনা স্থান আক্রমন করে নাই কারণ তাদের হৃদয়ের ড্রাইভিং ফোর্স হলো স্বয়ং আল্লাহ যিনি বলেছেন তোমরা এমনস্থান কখনই স্পর্শ করবে না যেখানে মানুষের হৃদয় আললাহকে প্রচুর পরিমাণে স্মরণ করে।

তাছাড়া ইসলাম তো নতুন এক নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া আলেহী ওয়া সাল্লাম ছাড়া কিছুই আনেনি। একবার তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আল্লাহর ধারণা ও ধর্ম তথা ইসলাম তো আদম (আঃ) থেকেই বিদ্যমান। পিতা ইব্রাহিম (আঃ) এর জাতির নাম তিনি নিজেই রেখেছিলেন "মুসলমান"। তো আপনার নবী হয়ে নতুন ভাবে প্রচারণায় যুক্ত হবার জাষ্টিফিকেশন কি? হুন। কোশ্চেনটা বেজায় কঠিন ছিল তাই না?

তার মানে ঐ ইসলাম শব্দটাও নতুন, আল্লাহ শব্দটাও না। হিন্দু-বৌদ‌ধরাও তাদের বইতে তা পেতে পারে। এ বিষয়ে অনেক বই বা ভিডিও আছে দেখতে পারেন। ধর্মের কথা কমবেশী সবাই বলেছে, খারাপ কি তাও বলেছে, তাছাড়া সরাসরি আল্লাহ -নবী মোহাম্মদের উল্লেখও আছে-কল্কি অবতার হিসাবে। ইবরাহিমিয়ান, ব্রাহিমিয়ান, বরাহ, ব্রাহমন, ব্রাহ্মন হলো এরিয়ান আর্য আর খৃষ্টান ইহুদীদের ধর্মীয় পিতা তো সেই একই আব্রাহাম যা ইসলামে বলে ইবরাহিম। যাও কোথাও মিয়াভাই? হিন্দু বলে তউয় মোচরমান কোপাস ক্যামনে? তই আসলে কুন জাত একবার খবর লয়া দ্যাখ।

আসলে ইসলাম অর্থটা হলো শান্তি না বরং আত্মসমর্পন। আল্লাহর নিকট। লুসিফার লুসিফাই কিভাবে করেছে বুইজা লন। সব্বার মাথা ঘোল কইরা দিছে। নেতানিয়াহু ট্রাম‌প মোদী হগলির ব্রেন লুসিফার হাসিনা বানাই দিছে।গোটা মানবজাতিকে এভাবে ডিসিভ করেছে লুসিফার। এভাবে জাতিসংঘ নামক একটি লুসিফিং সংঘ বানিয়ে বিশ্বজুড়ে চালাচ্ছে মুসলিম কোপানোর মহোৎসব।

আজকের দিনে ঐ কোশ্চেনের উত্তর কি হতে পারে তা আপনিই খুঁজে বের করার চেষ্টা করন যা রাসুলে পাক হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া আলেহী ওয়া সাল্লামকে করা হয়েছিল। মেইন সমস্যা ছিল ডাঙানি ছাড়া লুসিফার হাসিনার মত আসন ছাড়তে নারাজ। সে স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে সকল শক্তি দিয়ে ধর্ম আর মানবতাকে বলি দেয় এলিয়েন শয়তানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের জন্য। এতে তার কোন আফসোস বা অনুশোচনা নেই। আর তাকে শক্তি দিয়ে মেকাবিলা না করতে পারলে সে কখনও তার রাজাসন, রাজত্ব বা সিংহাসন ছাড়বে না। হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া আলেহী ওয়া সাল্লাম এর আগমনের জাষ্টিফিকেশনটা এখানেই।

অতএব বুঝহে সুজন।

06/06/2025

শয়তানের বয়ান
আল্লাহ তায়ালার জন্য মানুষের সৃষ্টি, ইবাদত মানে ভক্তি সালাম করে প্রসাদ খাওয়া নয়। আবদ (দাস) থেকে আবদিয়াত। মালিকের নিজস্ব এজেন্ডা এক্জিকিউট বা বাস্তবায়ন করার জন্য তাঁর নির্দেশিত কর‌মকান্ড যথাযতভাবে সম্পন্ন করাই দাসের জন্য ইবাদত। আল্লাহ তায়ালা রহমের দরিয়া--রহীম। রহমকারীদের সর্বশ‌্রেরষ্ঠ—রহমান। আল্লাহ রহমানুর রাহীম।
الرحمان – علم القران- خلق الانسان- علمه البيان
(রাহমান আল্লাহ কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন, মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। তাকে শিক্ষা দিয়েছেন বয়ান।)
হা অক্ষর দুটি --একটি সাধারন উচ্চারনের গোল হা, অন্যটি শক্তভাবে গলা বা হলক্বের গোড়া থেকে উচ্চারিত 'হা। বাঙালীরা যেভাবে রহমান-রহীম উচ্চারন করে তাতে অর্থ বিগড়ে যায়। সেটা এমন যে যার নিজের কোন ইচ্ছা বা কর্মক্ষমতা নাই –নির্বোধ, প্রতিবন্ধী। (পৃষ্ঠা ৪৩৯, Steingass 1884). jim ha Kha তিনটি অক্ষর হয় নুক্তা নীচে উপরে করে। খায়িন অর্থ খেয়ানতকারী। তুর্কীরা বলে হায়িন, খালিলকে হালিল আর খালিদকে হালিল, খাতুনকে হাতুন। তাতে দেখা যায় দুটি অক্ষর একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ লিখতে জিম ব্যবহার করা হয়, তাতে বানজালা না হয়ে বাংলাই সঠিক উচ্চারন।
রহমান আল্লাহ কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন। মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।

রাহমান আল্লাহ কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন, মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। তাকে শিক্ষা দিয়েছেন বয়ান। বয়ান (মনের ভাব প্রকাশের জন্য) যার অর্থ হয় কথামালা। কোরআন শিখয়েছেন তাকে যে এর উপযুক্ত ছিল। ঐই কোরআন সেই আলো যা পথ দেখায়। সেই পথ গ্রহন করে শিক্ষা নিতে হবে কোরআনের মত বয়ান, বক্তব্য, নিউজ, কথামালা তৈরী করার জন্য।

তবে মানুষের তৈরী বয়ান আর কোরআনের গুরুতর ভিন্নতা বা পার্থক্য লক্ষনীয়। আল্লাহর আলোর ভিতর থেকে যে কোরআন আসলো তাতে আয়াতে মুহকামাত ও আয়াতে মুতাশাবিহাত (দুর্বোধ্য, অবোধ্য, ভিন্ন ঈশারার) আয়াত বিদ্যামান। আয়াতে মুহকামাত হুকুম বা বিধান সম্বলিত আয়াত যাতে কোন ঘোরপ্যাঁচ বা বক্রতা ছাড়াই করনীয় ও বর্জনীয় বিষয় স্পষ্ট। আর আয়াতে মুতাশাবিহাত শুবহুন বা সন্দেহ বিশিষ্ট আয়াত যার অর্থ আল্লাহ জানেন। এসব নিয়ে বিবাদ না করে বিষয়টি আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে সবটুকু নিঃসন্দেহে আল্লাহর কালাম হিসাবে বিশ্বাস বাঞ্ছনীয়।

এখানে মানুষের সৃষ্টির পূর্বেই কোরআন শিক্ষা দেবার কথা বলা হয়েছে। সেটাকে আয়াতে মুতাশাবিহাত বলতে চাই এজন্যে যে এখানে কাকে তা শেখঅনো হয়েছে তার উল্লেখ করা হয়নি। সেই শিক্ষার্থী কারা এর বয়ান বা ব্যাখ্যা কি হতে পারে? হতে পারে যাদেরকে মানুষের আগেই সৃষ‌টি করা হয়েছিল। তারা আল্লাহর নূর, ফেরেশতা, জিন বিশ্বজগতের অন্য সবকিছু। কোরআন শিখিয়ে তাদেরকে মানুষ সৃষ্টির ঘোষণা দেয়া হয় যাতে করে এই কোরআনকে বাস্তব জীবনে প্রাকটিস করার জন্য যারা নিয়োজিত হবে, যারা কোরআনকে নিজের বয়ানে পরিণত করবে তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল নিয়ামত হাজির করবেন। এখানে মানুষের বয়ানে কোরআন আসবে এ বিষয়টির আকাংখা স্পষ্ট। তার মানে মানুষের নিয়ত, কথা, কাজ সবকিছু কোরআন থেকে আসুক ও কোরআন অনুযায়ী হোক এটাই রাহমান চান। মানুষের জীবনে কোরআন প্রতিষ্ঠিত হোক এটা আল্লাহর নির্দেশিত ও কাম্য। যারা এ নির্দেশিত কর্ম করবেন তারা অদৃশ্য- আল গায়েব আল্াহর প্রতি বিশ্বাস রেখে, তাঁকে ঋয় করে পথ নির্দেশনা চাইবেন যা রয়েছে কোরআনের ভুমিকা-মুখবন্ধ সূরা আল ফাতিহায়।

সেই প্রার্থনার উত্তরে রাহমানের বয়ান আসলো পথ দেখাতে। আল বায়ান সেই আল কোরআন যাকে মানব সৃষ্টির বহু আগে সবাইকে শিক্ষা দিয়ে লওহে মাহফুজে রেকর্ড করে রাখঅ হয়েছিল। بل هو قران مجيد- في لوح محفوظ
বাল হুয়া কোরআনুম মাজীদুন ফি লাওহিম মাহফুজ।
এ থেকে কোরআন গোপনীয়ভাবে না বরং সুরক্ষিত রাখঅ হয়েছিল যাতে কারো কোন হেরফের করার সুযোগ রহিত করা হয়েছে। এটা জগৎ সৃষ্টির undeletable program, record, rules এবং যা দ্বারা কিয়ামতের দিন মানুষের কর্ম বা আমলনামাকে তুলনা বা পরীক্ষা করা হবে। মানুষের আমলনামার সম্পূর্ণ বা আংশিক কতটা কোরআন অনুযায়ী সম্পাদিত হয়েছে তার বিচার হবে।

বর্তমানের উন্নত প্রোগ্রামে এ আই বা চ্যাট জিপিটি যেভাবে নিরপেক্ষ বিচার করতে পারে মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই অনেকটা সেরকমভাবে এ বিচার ব্যাবস্থার টুলনা করা যায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে আল্লাহর জ্ঞান ও বিচার ক্ষমতার সাথে এ আই বা চ্যাট-জিপিটি তুলান করবার মত কিছই নয়। শুধুমাত্র একটা ধারণা করা যায় মাত্র।

মানুষ কি বয়ান তৈরী করে? করে, তবে তা মিথ্যা ও মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য। হিন্দু বৌদ্ধ-ইহুদী খৃষ্টান সহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর নিকট তাদের ও তাদের পূর্ব-পুরুষদের তৈরী বয়ান বিদ্যমান। সেগুলি কতটা সত্য, যুক্তি-সংগত ও কোরআনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ তা দেখঅ যাক। প্রায় সব ধর্মেই সত্য কথা বলার নির্দেশ আছ। কিন্তু বাস্তবে তারা যা বে, বিশ্বাস করে, আমল করে তা কি সত্য বা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত? না। হলেও তা অতি সামান্য। তারা নিজেদের বা পূর্বপুরুষদের বানানো বানোয়াট বয়ান বিশ্বাস ও পালন করতে অভ্যস্ত। বর্তমান যুগে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করতে বেশীদূর যাওয়া বা বেশীক্ষণ লাগে না। তা সত্বেও বিশ্বাসের ক্ষেত্রে কেন এই অসংগতি ও দৈন্য? এর কারণ তাদের মধ্যেকার হাকিম বা বিজ্ঞরা সত্য়কে ঠেকানোর জন্য সত্য গোপন করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ পৃষ্ঠার জাল, মিথ্যা বয়ান ও কনটেন্ঠ তৈরী করে মিডিয়া, ইন্টারনেট ইুটিউবে ছড়াচ্ছে। এগুলি ওসওয়াসা। এগুলি তৈরী করে মানুষের বা নাছের এক খান্নাছ প্রজাতি যাদের সাথে আছে জীনদের মধ্যেকার মহাশয়তান ইবলিস।

সত্যকে ধামাচাপা দেবার চক্রান্ত আজকের না। এরাও জানে আল্লাহ কি করেন, ইসলাম কি জিনিষ, সত্য কি? কিন্তু মুসলিম জাতিকে ইসলাম থেকে সরিয়ে এনে বাঙ্গালী জনগনকে ভারতের হিন্দুত্ববাদের শিকারে পরিণত করার মত কাজ এরা ইসলামের জন্মের প্রথম প্রহর থেকেই করে আসছে। এদের মার দিলেও দেখবেন এদের এই মহাপাপের জন্য কোন অনুশেচনা নেই। তারা কোন অপকর্মকেই অন্যায় মনে করে না। শেখ হাসিনা, শেখ মুজিবদের মত তারা ইসলাম ও মুসলিম কোপানোকেই তাদের জীবনের ব্রত বলে মনে করে।

বৃটিশরা ভূগর্ভে এদের জন্য মাদ্রাসা বানিয়েছিল যা সাকসেসফুল হবার পরে এখন পরিত্যাক্ত। কারণ তাদের দেয়া শিক্ষাটাকেই এখন আরব বা মুসলিম জাহান সহি ইসলাম ধরে নিয়েছে। তারা এমন হুজুর মওলানা তৈরী করতো যারা নামাজ কালামে পারদর্শী, ওয়াজে ইমাম গাজ্জালী (একজন নিষ্ঠাবান খৃষ্টান ছিলেন) এবং কাজে কর্মে সৌদী (এরাও ইহুদী)। এরাই বানিয়েছে বাহাই, আহলে হাদীস, ওয়াহাবী, কাদিয়ানী, তাবলীগ প্রভৃতি কোরআন বিমুখ ও জেহাদ বিরোধী ফেরকা। তাদের তৈরী কোলকাতা আলিয়া বা ঢাকা আলিয়ার মৌলানা-মুফতি-ফকীহরা বের হয়েছিল ইসলাম ও মুসলিম জাতিকে ভিতরে থেকে ঘুনপোকা ও উইপোকা হয়ে খেয়ে শেষ করার জন্য। এরাই শত শত বৎসর ধরে মুসলিম জাতিকে মিথ্যা বয়ান দিয়ে বিভ্ড়ান্ত করে আসছে।

তারাই শিখিয়েছে শিয়ারা কাফের। আজ যখন গাজাবাসী মরছে তখন হুথি-হিজবুল্লাহ-শিয়া ইরান ছাড়া মুসলমানদের পাশে কেউ নেই। বলি হে আরব বা মুসলিম জাহানের সুন্নী নামের মুসলমানেরা, তোমরা কি কোরআন হাদীস থেকে কাফিরদের সহায়তা করা শিখেছ? কই পেলে এই বয়ান? নাকি সেই বয়ান গলছো যা তৈরী করে দিয়েছে আমেরিকা বৃটিশ-ইসরাইলের খান্নাছেরা? তোমাদের আলখাল্লা ও এরাবিয়ান পাগড়ীর নীচে কি খঅন্নাছেরা সেবাদান করছে? এই বয়ান তো সেই আল্লাহর বয়ান নয়। তোমরা কি তারা নও যাদের নিকট সর্বাগ্রে এসেছিল আল্লাহর কোরআন যা রাহমান আল্লাহ সেই মদীনা -মক্কার রাজা হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া আলেহী ওয়া সাল্লামের নিকট প্রকাশ করেছিলেন? আল্লাহ কাদেরকে আগে কোরআন শিখিয়েছিলেন? তোমাদেরকে নয় কি? তারপর সেই কোরআন শিখে কোন বয়ান তোমরা প্রচার করছ?

পবিত্র মক্কা ও মদীনার তথাকথিত খাদেম-হেফাজতকারীরা ইসলামের কেন্দ্রে থাকার সুবাদে ইসলামের নামে, কোরআনের নামে একের পর এক বিভ্রান্তিকর বয়ান প্রচার করেআসছে। এরা যতদিন আছে বা থাকবে ততদিন বয়ান কোরআন থেকে না--আমেরিকা, ইসরাইলের ও বৃটিশ ইহুদী হিন্দু-খৃষ্টান-বৌদ্ধদের নিকট থেকে আসবে, এরা মুসলিমদের তাই গেলাবে যা খান্নাছেরা তৈরী করে।

আমরা জানব কোরআন। আমরা বয়ান নিব কোরআনের কাছ থেকে। জগৎ জানুক তোমরা কিভাবে খান্নাছের ওসওয়াসা দিয়ে মুসলিম জাতিকে বিভ্রানত করে। ও ইসলামকে ধ্বংস করে যাচ্ছ। কথা একটাই – কোরআন শিখে সেটাই বয়ানে পরিণত করাই হলো মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও মানুষের উদ্দিষ্ট কাজ। কারণ, ইনছান মানে মানুষ, কেবল মুসলমান না।সকল ধর্মের সকল জাতির সবাইকেই সত্য বলতে হবে, ইহাই বয়ান। কারণ আল্লাহ, বলেন, ভগবান বলেন, ঈশ্বর, উপরঅলা, গড, খোদা, জিহোবা, জিউস যাই বলেন তিনিই শিখিয়েছেন যা বলার তা সত্য বলো- Always speak the truth and never tell a lie.

27/04/2025

নিউরোমেডিসিন, মেডিসিন, ডিমেনশিয়া, ডায়াবেটিস, হরমোনাল ডিজিজেস স্পেশালিষ্ট
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম
ভূতপূর্ব সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
নিউরোলজী বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বার -- গ্রামীন ডিজিটাল ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার (একতা)
মেট্রোল্যাব সংলগ্ন।
সাক্ষাতের সময়- সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা।

Excuse me!!!
দালালেরা আামার নাম করে আপনাকে মিসগাইড করে ভুল জায়গায় নিতে পারে।
আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত / অহেতুক হয়রানী থেকে বাঁচুন।
দালাল আপনার মোবাইল লক করে দেবার আগেই 01712126591 এ কল করে সোজা চলে আসবেন।

22/05/2021

সামান্য মদপানেও মস্তিষ্কের ক্ষতি : গবেষণা

নয়া দিগন্ত অনলাইন ২০ মে ২০২১, ১৪:৪৩

মদপানের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে মদপানের প্রচলন যত বাড়ছে ততই মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের পরিচালিত এই গবেষণার প্রতিবেদন গত ১২ মে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবেষণার জন্য তারা ব্রিটেনের ২৫ হাজার মদ পানকারী ব্যক্তির মস্তিস্কের মেডিক্যাল স্ক্যান পর্যালোচনা করেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ক্লিনিকাল রিসার্চার আনিয়া টোপিওয়ালার মতে, গবেষকরা দেখেন যে মদপান করার ফলে মস্তিষ্কের ধূসর অংশের ক্ষতি হয়। মস্তিষ্কের এই অঞ্চল একটি অতি গুরত্বপূর্ণ অংশ, এখানে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রস্তুত হয়।

আনিয়া টোপিওয়ালা বলেন, ‘মানুষ যত মদপান করে ততই তাদের মস্তিষ্কের ধূসর অংশের পরিমান কমে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসে এবং আরো মারাত্মক অবস্থায় ব্যক্তির স্মৃতিভ্রংশ দেখা দেয়। মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে গেলে স্মৃতির পরীক্ষায় তার কর্মক্ষমতা দুর্বল হয়।'

টোপিওয়ালা বলেন, 'যদিও এতে অ্যালকোহলের প্রভাব সীমিত (শূণ্য দশমিক আট ভাগ), তথাপি অন্য পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকি থেকে এর প্রভাব বেশি।'

বয়সের বাড়ার বিপরীতে অন্য কোনো কারণে মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসা ও স্মৃতিভ্রংশ তৈরি হওয়াকে 'পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকি' হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, যে কোনো ধরনের মদপান মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। বিভিন্ন প্রকার মদ, পান করার ধরন ও অন্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা মদপানে মস্তিষ্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ কোনো 'মদ' গবেষকরা খুঁজে পাননি। ওয়াইন, স্পিরিট বা বিয়ার, সব ধরনের মদই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

অপরদিকে অল্প মদপানেও পানকারী মস্তিষ্কের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন না।

চিকিৎসা সাময়িকী দ্যা ল্যানসেটে ২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যে মদপানের কারণে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন মানুষ মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছেন। মদ বিভিন্ন রোগের সূচনা করে। এর ফলে পানকারীর অকাল মৃত্যুর বিপুল ঝুঁকি থাকে।

এতে বলা হয়, ২০১৬ সালে সারাবিশ্বে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মদপানের কারণে মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের মাদক বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক স্যাডি বনিফেস বলেন, 'বছরের পর বছর মনে করা হতো যে বেশি মদ পানেই মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। এখন সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মদপানের নিরাপদ কোনো মাত্রা নেই, অল্প মদপানও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আসলে মদ শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রতঙ্গকে ক্ষতি করে আর বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে।'

সূত্র : সিএনএন

07/11/2020

১০টাকার চিনাবাদামেই স্বাস্থ্যর গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে!
প্রকাশিত: নভে ৭, ২০২০ / ০১:১৯অপরাহ্ণ
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
১০টাকার চিনাবাদামেই স্বাস্থ্যর গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে!

শীতের এই সিজনকে খাবার ও পানীয়ের সময় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই সময়ে অনেকেই বাদাম খায়। এতে রয়েছে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান। একে সস্তা বাদামও বলা হয়। আসলে এই বাদামের মধ্যে স্বাস্থ্যর গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে। আসুন জেনে নিই কেন শীতে চিনাবাদাম খাওয়া উচিত।

প্রোটিন সমৃদ্ধ – বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় যা শারীরিক বৃদ্ধির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি কোনও কারণে দুধ পান করতে না পারেন তবে চিনাবাদাম খাওয়া আরও ভালো বিকল্প।

ওজন কমে – চিনাবাদাম ওজন কমাতে খুব সহায়ক। চিনাবাদাম খাওয়ার পরে অনেকক্ষণ তা পেটে থাকে। যার ফলে অনেকক্ষণ খাবার খেতে হয় না, ফলে ওজন কমে।

হৃদরোগ দূর করে- চিনাবাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজগুলি পরিপূর্ণ থাকে। এটি স্ট্রোক এবং হার্টের সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করে। চিনাবাদামে উপস্থিত ট্রাইপটোফান হতাশা থেকে মুক্তি পেতেও সহায়ক।

ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস – চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্টেরল থাকে যা বিটা-সিটোস্টেরল নামে পরিচিত। এই ফাইটোস্টেরল ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে কার্যকর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার চিনাবাদাম খাওয়া নারী এবং পুরুষদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে – বাদামে প্রচুর মাত্রায় খনিজপদার্থ থাকে। এই খনিজগুলি ফ্যাট, শর্করা, বিপাক, ক্যালসিয়াম শোষণ এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে, চিনাবাদাম খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমে যায়। তবে যদি কারোর আগে থেকে ডায়বেটিস থাকে, তবে কিন্তু বাদাম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি।

চেহারায় গ্লো- ত্বকের পাশাপাশি চিনাবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। চিনাবাদামে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকে গ্লো এনে দেয়।

07/11/2020

১০টাকার চিনাবাদামেই স্বাস্থ্যর গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে!
প্রকাশিত: নভে ৭, ২০২০ / ০১:১৯অপরাহ্ণ
১০টাকার চিনাবাদামেই স্বাস্থ্যর গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে!

শীতের এই সিজনকে খাবার ও পানীয়ের সময় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই সময়ে অনেকেই বাদাম খায়। এতে রয়েছে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান। একে সস্তা বাদামও বলা হয়। আসলে এই বাদামের মধ্যে স্বাস্থ্যর গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে। আসুন জেনে নিই কেন শীতে চিনাবাদাম খাওয়া উচিত।

প্রোটিন সমৃদ্ধ – বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় যা শারীরিক বৃদ্ধির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি কোনও কারণে দুধ পান করতে না পারেন তবে চিনাবাদাম খাওয়া আরও ভালো বিকল্প।

ওজন কমে – চিনাবাদাম ওজন কমাতে খুব সহায়ক। চিনাবাদাম খাওয়ার পরে অনেকক্ষণ তা পেটে থাকে। যার ফলে অনেকক্ষণ খাবার খেতে হয় না, ফলে ওজন কমে।

হৃদরোগ দূর করে- চিনাবাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজগুলি পরিপূর্ণ থাকে। এটি স্ট্রোক এবং হার্টের সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করে। চিনাবাদামে উপস্থিত ট্রাইপটোফান হতাশা থেকে মুক্তি পেতেও সহায়ক।

ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস – চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্টেরল থাকে যা বিটা-সিটোস্টেরল নামে পরিচিত। এই ফাইটোস্টেরল ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে কার্যকর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার চিনাবাদাম খাওয়া নারী এবং পুরুষদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে – বাদামে প্রচুর মাত্রায় খনিজপদার্থ থাকে। এই খনিজগুলি ফ্যাট, শর্করা, বিপাক, ক্যালসিয়াম শোষণ এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে, চিনাবাদাম খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমে যায়। তবে যদি কারোর আগে থেকে ডায়বেটিস থাকে, তবে কিন্তু বাদাম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি।

চেহারায় গ্লো- ত্বকের পাশাপাশি চিনাবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। চিনাবাদামে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকে গ্লো এনে দেয়।

05/04/2019

জীবনের নির্মম পরিণতি!

আব্দুর রাজ্জাক ঘিওর (মানিকগঞ্জ) ০৫ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

ড. মোজাফফর হোসেনের দুঃসহ জীবন; ইনসেটে মোজাফফর : নয়া দিগন্ত -

মানিকগঞ্জ শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পথ পেরুলেই নির্জন কান্দা পৌলি গ্রাম। এ গ্রামের অহঙ্কার ছিলেন বিজ্ঞানী ড. মোজাফফর হোসেন। বাড়ি গিয়ে দেখা গেল এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। একটি ঘরের বারান্দায় চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছে তাকে। জিজ্ঞেস করা হলো কেমন আছেন? কোনো উত্তর নেই। ফ্যাল ফ্যাল করে শুধু তাকিয়ে থাকেন। এরপর নিজেই শুরু করলেন এলোমেলো গান আর কবিতা। তার দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন রোকেয়া বেগম নামে এক কাজের মহিলা। প্রতি মাসে ঢাকা থেকে কিছু টাকা পাঠান ড. মোজাফফর হোসেনের স্ত্রী লিপি। অসুস্থতার জন্য কোনো ওষুধ সেবন করানো হয় না। শুধু ২৫ পাওয়ারের একটি করে ট্রিপটিন খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। গায়ে ভালো কোনো পোশাক নেই, দু’বেলা খাবারও ঠিকমতো জোটে না।
মূল্যবান জীবনের কী নির্মম পরিণতি! সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য একজন মানুষ কত কিছুই না করে। আর সুখে থাকার জন্যই সোনার হরিণ সরকারি চাকরির খোঁজে অস্থির হয়ে যান শিক্ষিতরা। এই বিসিএস ক্যাডার বিজ্ঞানী ড. মোজাফফর হোসেনের কী অবস্থা দেখুন! একটা শূন্য বাড়িতে দড়িতে বাঁধা তার জীবন। অথচ স্ত্রী-সন্তান, সহায়-সম্পদ কোনো কিছুরই অভাব নেই তার। কিন্তু এখন আর সেসব কোনো কাজেই আসছে না তার। মানসিক ভারসাম্য হারানোর কারণে তার আজ এ অবস্থা।
ঢাকা শহরে যার থাকার কথা ছিল বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সুখে আনন্দে কাটানোর কথা ছিল জীবনের শেষদিন পর্যন্ত। কিন্তু আজ তিনি বড়ই অভাগা। চিকিৎসাসেবা তো দূরের কথা দুবেলা খাবারও জোটে না ঠিকমতো। স্ত্রী-সন্তানরাও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ঢাকা শহরের রঙিন দুনিয়া থেকে বোঝা মনে করে পাঠিয়ে দিয়েছেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার কান্দা পৌলির নির্জন গ্রামে। একটি ঘরের মেঝেতেই চলছে তার থাকা-খাওয়া সব কিছু। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে কখনো গান, কখনো কবিতা আর কখনো উচ্চস্বরে হাসেন এবং কাঁদেন।
একজন কাজের মহিলা আর গ্রামের প্রতিবেশীরাই তার বেঁচে থাকার অবলম্বন। মানুষটি আর কেউ নন, তিনি হচ্ছেন দেশের অহঙ্কার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার বিজ্ঞানী ড. মোজাফফর হোসেন। দায়িত্বে থাকা রোকেয়া বেগম নিজে খেয়ে না খেয়ে তার মুখে খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। কথা হয় রোকেয়া বেগমের সাথে। ড. মোজাফফর হোসেনের সেবা করতে করতে তিনিও ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। জানালেন, তিন মাস ধরেই বাচ্চা ছেলেমেয়েদের মতো তার সেবা করতে হচ্ছে। পায়খানা-প্রস্রাবের সবই এক হাতেই করতে হয়। মানুষটির স্ত্রী-সন্তানরা যে এত পাষাণ হবে তা ভাবতে কষ্ট হয়। ঢাকা থেকে যেদিন তাকে গ্রামে দিয়ে গেল- মানুষটির দিকে তাকানো যেতো না। মনে হয় পেটে-পিঠে লেগে গেছে। মুখখানি কালো ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। তারা যে কয় টাকা দেয় তা দিয়ে একজন রোগীর খাওয়া-দাওয়া ও সেবা-যতœ করা কঠিন। সব সময়ই খেতে চায়। ওই টাকার মধ্যে আমি যতটুকু পারি তা দিয়েই খাবার জোগাড় করি। মানসিক ভারসাম্য হারালেও মৃত মা-বাবার কথা মনে করে প্রায় রাতেই চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন। থামানো যায় না। পাড়াপ্রতিবেশীরা সব সময়ই সহযোগিতা করেন। তা না হলে মানুষটিকে লালন পালন করা যেত না। মানুষটির ভালো চিকিৎসা হলে ভালো হয়ে যেতো। খুব কষ্ট লাগে তার জন্য। তাই নিজের বাবার মতোই দেখার চেষ্টা করি।
ড. মোজাফফরের বাল্যবন্ধু ডাক্তার সাঈদ আল মামুন জানান, সম্ভবত মোজাফফর অ্যালজেইমার রোগে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্তদের স্মরণশক্তি কমে যায়। অতীত-বর্তমানের কথা ভুলে যায়। কাউকে চিনতে পারে না। অনেক সময় উচ্চস্বরে চিৎকার করে। কিন্তু এভাবে বিনা চিকিৎসায় তাকে নিঃসঙ্গভাবে ফেলে রাখা হলে অবস্থা আরো বেশি খারাপের দিকে যাবে। তাই তাকে পরিবারের সদস্যদের সময় দেয়া উচিত। পাশাপাশি তাকে ভালো নিউরোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে।
তবে ড. মোজাফফরের স্ত্রী লিপির সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ভিন্ন কথা বলেন। তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, মোজাফফর জটিল রোগে আক্রান্ত। ঢাকায় থাকাকালীন আশপাশের প্রতিবেশীরা প্রতিদিনই তার পাগলামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিত। সে কারণে তাকে গ্রামের বাড়ি রাখা হয়েছে। স্বামীর সেবা-যতেœর জন্য গ্রামের এক নারীকে বেতন দেয়া হয়। চিকিৎসাসেবাও দিয়ে যাচ্ছি। ডাক্তার বলেছে, তার স্বামী কখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না। সব সময়ই পাগলের মতো আচরণ করেন। ওষুধ কি খাওয়াচ্ছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মনে হয় ওষুধ শেষ হয়ে গেছে, আমি ঢাকা থেকে দিয়ে আসব। তিনি জানান, দুই ছেলে লেখাপড়া করছে। তাই সন্তানদের সাথে আমি ঢাকায় থাকছি।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন বিজ্ঞানী ড. মোজাফফর হোসেন। পিএইচডি করেন রসায়নের ওপর। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার থাকাকালীন তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। ২০১৪ সালে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর মানসিকভাবে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় এককালীন অর্ধ কোটি টাকা পেলেও সবই স্ত্রীর জিম্মায় চলে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু দিন চিকিৎসা করানো হলেও সুফল পাননি। বড় ছেলে অর্ণব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ছোট ছেলে আরিয়ান এইচএসসিতে লেখাপড়া করছে। মায়ের সাথে দুই ছেলে ঢাকায় থাকে। আর গ্রামে অযতœ-অবহেলা এবং বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরছেন ড. মোজাফফর হোসেন।

Address

Department Of Neurology, Rangpur Medical College, Rangpur
Rangpur
5400

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangladesh Dementia Research Institute and Hospital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Bangladesh Dementia Research Institute and Hospital:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category