10/06/2025
শয়তানের ভাষা
Language নিয়ে অনেক সমস্যা। এক এক দেশের ভাষা একেক রকম। ফিরিঞ্চি, চায়না, রাশান, জাপানিজ, জর্মন আরো বড় বড় ভাষায় কথা বলে মানুষ। তবে মনে হয় ভাষার দূরত্ব যতটা না এফেক্ট করে তার চেয়ে বেশী করে নিজের ভাষাটাকে ভদ্র-উন্নত আর কুলি-মজুর-কৃষকের ভাষাকে খেত-বাজে-অভদ্র মনে করা। বাংলায় যে ক্যালকাটান ভার্সন মার্জিত হিসাবে কালার দেওয়া হয় বাংলাদেশের গ্রামীন মুসলিম দরিদ্র জনগোষ্ঠী তা বলে না। বঙ্গীয়,আরবী-উর্দু-ফার্সীর এক কথ্য ভার্সন তাদের যেটা হারিয়ে যায় ভাষা আন্দোলনের তোড়ে। সিরাজুদ্দৌলা বাংলা জানতো না।তাছাড়া শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, বেগম রোকেয়া, শেখ মুজিবদের পারবারিক ভাষা সহ, ঢাকা-বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র খাস উর্দু চলতো, মোর দেন ফিফটি পারসেন্ট।তবে ইংরেজী ছিল উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম। সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের চেষ্টা অন্ততঃ মেডিকেল শিক্ষায় কখনই সফল হয়নি।
মুসলিম দেশ হিসাবে পাকিস্তান ভাইরাস আক্রমন করে দাদাদের। ভারতের সব দেশীয় মুসলিম রাজ্য খেয়ে হজম করে ফেলে তা যার পরিমান পাকিস্তানের কয়েকগূণ। খোদ পাকিস্তান খেয়ে হজম করবার জন্য চেষ্টার ত্রুটি করে নাই। বৃটিশরাজ শেষে ভারতে মুসলমানদের উপর মালুরা যে হত্যাযঞ্জ চালায় তার কাছে হালাকু নস্যি। মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলো মুসলিম শূণ্য হয়ে পড়ে, অধিকাংশই মারা পড়ে। কিছু পালিয়ে এপার এসে উর্দূভাষী বিহারী হিসাবে থাকে। মুক্তি যূদ্ধের কালে তারা আবার কচুকাটা হয় আর অবশিষ্টরা বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তারা হয়ে যায় আটকে পড়া পাকিস্তানী।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম সফল মালুয়ানী এজেন্ডা ছিল ভাষা আন্দোলন। পুরোটাই ছিল মালুদের সুপরিকল্পিত সাবোটাজ, পুলিশ যখন মিছিলকারীদের মারলো না তা দেখে মালুদের এক চর হাইকোর্ট মাজার থেকে বের হয়ে দ্রুত এলোপাথারী বন্দুক চালনা করে বেশ কয়েকজন পথচারীকে হত্যা করে ও সেই বিষয়টি নিউজ হবার আগেই ঘাঘু মালুরা সেটা সংসদে প্রকাশ করে – চলমান সংসদ অধিবেশন বন্ধ হয়ে যায়। সরকার জানবার আগেই তারা জানলো কেমনে যদি না কাজটা তারা নিজেরা করতো!!! অতঃপর দেশের রাজনীতিতে ভাষানী মুজিবদের সাবোটাজের প্রাকটিস চলতে থাকে পাকিস্তান ভারতের নিকট সারেন্ডার পর্যন্ত। পহেলী কি এন্ড তক ওহী ইন্ডিয়ান হামলা ছিল তাতে কুছ ভুল নেহী।
ভাষাশহীদের মিনার তৈরী হলো দেশব্যাপী-পূজাও শুরু হয় নূতন আদলে। কেউ বলুক না শহীদ কারে কয় আর শহীদের সম্মান কেমনে দিতে হয়!! আর তাকে ঘিরে শেষতক তথাকথিত স্বাধীনতার আর এক গগনচুম্বী স্তম্ভ বানায় সাভারে যা ছিল হিন্দু বিজয়ের এক কুতুব মিনার। কিন্তু ওগুলোর সবটিই যে ইন্ডিয়ান প্রোগ্রাম ছিল তা মনে হয় এখনও কেউ বুঝে নাই।
হযরত ইবরাহিম (আঃ) এর জন্মের আগে নমরূদকে এক গণক জানায় তার পতন হবে যে শিশুর দ্বারা তার আগমনের। নমরূদ সব পুরুষ শিশুকে হত্যা করতে থাকে কিন্তু তার মূর্তি নির্মাতা প্রধান আজরের ঘরে জন্মে যে শিশু তা আজর লুকিয়ে ফেলে দূর মরুভুমির এক গর্তে। সেখানে একাকী বড় হলেও তাঁর মুখে জন্মায় নতুন এক ভাষা আর মনে এক নতুন ভাব। সে অনেক কথা – পরে তাঁর বিয়ে হয় বিবি সারার সাথে যার কোন বাচ্চাকাচ্চা হচ্ছিল না। বিবি সারা চাইলেন দত্তক নিতে তাতে হযরত ইবরাহিম (আঃ) রাজী না হওয়ায় তাঁর এক দাসী হাজেরাকে দিয়ে বিয়ে দেন স্বামীকে আর তাতে জন্ম নেন এক পুত্র সন্তান। তবে ইতোমধ্যে ঐশ্বরিক কৃপায় সারাও গর্ভবতী হয়ে জন্ম দেন আর একছেলে। এসব কাহিনী চলতে থাকে হাজেরার আরবে নির্বাসন, কাবাঘর নির্মাণ, পুত্রের কোরবানী যা মুসলমানেরা গরূছাগল দ্বারা সম্পন্ন করে থাকে। ইহুদীদের মাঝে এ প্রথা না থাকলেও কপট ইহূদীরা আজো ছোট ছেলে ইসহাককে জাবীহুল্লাহ দাবী করে থাকে। আর তাদের জমজ হিন্দুরা নরবলী দিতে থাকে।
আরবের মরুভুমিতে ভাষা শিক্ষার কোন স্কুল কলেজ ভার্সিটি হয় নাই। কিন্তু তারা অটোমেটিক যে শব্দগুলো বলতো তাই কালক্রমে একটি সুন্দর স্বভাবজাত ভাষায় রূপ নেয় যাকে বলে ক্লাসিক আরবী ভাষা। তবে সৌদীদের দ্বারা এটি প্রচুর কাটছাঁটের পর মডার্ন আরবীতে রূপ নিয়েছে। তারা কোরআনের ভাষাকে মাতৃভাষা রাখেনি। রাসুল (সাঃ) এর জন্মের পর আরবের মরুভুমিতে মা হালিমার কোলে লালিত পালিত হবার কারণে এই মরুর ভাষাই হয়ে যায় তাঁর মাতৃভাষা।
এ ভাষার স্বভাবজাত বৈশিষ্ট প্রতিটি শব্দ প্রাকৃতিক যাকে আমরা বলি আল্লাহর দেয়া। তার অর্থ ও বিন্যাস সর্বদাই একটি মূল বা মসদর থেকে উদ্গত হয়, একটি গাছের শিকড়, কানড, শাখা-প্রশাখা, পাতা, ফুল ফলের মত অভিন্ন উৎস নির্দেশ করে। পৃথিবীর সব অঞ্চলেই গ্রামের দূর কর্ণারে মানুষের মুখের ভাষা ছিল একই রকম। কিন্তু শহর গুলোতে এসে তা বদলে যেত। মানুষ ওই ভাষাতে নিরুৎসাহিত হতো কারণ শহরেরা ওসব কথাকে বলতো কথ্য বা অসভে্যের ভাষা। বাংলার মুসলমানদের কথ্য ভাষাতেও বিস্তর আরবী শব্দ বিদ্যামান কিন্তু শহিদ মিনারীরা সেগুলো মারিয়ে কেলকাটান ভাষা চালু করে। কথ্য ভাষা নিয়ে আমাকে ও আামার মা বাবাকে সহ বাংলার সাধারন মুসলমানকে যত অপমান করা হয়েছে তা দিয়ে অনেক বড় গ্রন্থ লেখা যাবে।
আজতক ভাষা নিয়ে অরাজকতা শেষ হয় নাই। তবে জেনে রাখা প্রয়োজন আরবী হলো সর্বত্র বিরাজিত প্রাকৃতিক ভাষা যা আয়ত্ব করতে বেশীদূর যাওয়া লাগবে না। কারণ ইহাই মানুষের মনের ভাষা, সহজ ও সুন্দর। তবে তার আগে বাবুদের দাদাদের ভাষা বর্জন করতে হবে। মিনারগুলো ও স্তম্ভ ধুলায় পরিণত করতে হবে, কোরআনের তথা নামাজের ভাষাকে নিজের ভাষা হিসাবে কবুল করতে হবে। শুরু থেকেই যারা মুসলমান হয়েছিল তারা কোরআনের ভাষাকেই মাতৃভাষা হিসাবে গ্রহন করেছিল, তাই কুরাঈশ কুরা বা পাড়ার ভাষা আজ পঞ্চাশটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্র ভাষা। আর আমাদের পাকভারতে, তুর্কিয়ে, মালয়ের আরবী স্ক্রিপ্ট বদলে কামাল-পাশার মত যে শয়তানগুলো অন্যরকম স্ক্রিপট চালু করেছিল তা সংশোদন খুবই জরুরী।
শয়তানের ভাষা থেকে বের হয়ে আল্লাহর ভাষায় যেতে না পারলে আল্লাহর রাজ্যে বোবা হয়ে যেতে হবে। আমার কথা আপনার ভাল না লাগলে কিচ্ছু করার নেই। আমি সত্য বলে যাব। আর সত্য হলো সবচেয়ে অপ্রিয় ও তিতা জিনিস। কিন্তু খারাপ লাগলেও রোগের ঔষধ খেতে হয়, সেলাইন, ইন্জেকশন দিতেই হয় বাঁচার তাগিদে।
এম আই রাইট?