
16/03/2025
নারীদের মাসিক চক্র সাধারণত ২৮-৩৫ দিনের হয়ে থাকে এবং এটি চারটি ধাপে বিভক্ত। প্রতিটি ধাপের নির্দিষ্ট কার্যপ্রক্রিয়া রয়েছে, যা গর্ভধারণের সক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে।
১. মেনস্ট্রুয়াল ফেজ (Menstrual phase) – ৩-৭ দিন
এটি মাসিক চক্রের প্রথম ধাপ, যেখানে জরায়ুর ভেতরের আস্তরণ (এন্ডোমেট্রিয়াম) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে রক্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। এই ধাপে কিছু নারী পেটব্যথা, মাথাব্যথা ও ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।
২. ফলিকুলার ফেজ (Follicular phase) – ১১-২৭ দিন
এই ধাপে ডিম্বাশয়ে এক বা একাধিক ডিম্বাণু (Egg) পরিপক্ক হতে শুরু করে। এ সময় শরীরে এস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বাড়ে, যা জরায়ুর আস্তরণকে আবার গঠন করতে সাহায্য করে, যাতে গর্ভধারণ সম্ভব হয়।
৩. ওভুলেশন ফেজ (Ovulation phase) – ২৪ ঘণ্টা
এই ধাপে ডিম্বাশয় থেকে পরিপক্ক ডিম্বাণু নির্গত হয় এবং এটি ফ্যালোপিয়ান টিউবে প্রবেশ করে। সাধারণত মাসিক চক্রের ১৪-১৬তম দিনে এটি ঘটে এবং এই সময় গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
৪. লুটিয়াল ফেজ (Luteal phase) – ১১-১৭ দিন
ডিম্বাণু নিষিক্ত হলে এটি জরায়ুর আস্তরণে সংযুক্ত হয় এবং গর্ভধারণ শুরু হয়। যদি নিষেকDrsayen
, তবে প্রোজেস্টেরন হরমোনের স্তর কমতে থাকে এবং কিছুদিন পর মাসিক শুরু হয়, যা আবার নতুন চক্রের সূচনা করে।
প্রত্যেক নারীর মাসিক চক্র আলাদা হতে পারে, তবে এই ধাপগুলো সব নারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। নিয়মিত চক্র বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, পর্যাপ্ত পুষ্টি ও মানসিক চাপ কমানো গুরুত্বপূর্ণ। যদি মাসিক চক্রে অনিয়ম দেখা দেয় বা দীর্ঘদিন গর্ভধারণে সমস্যা হয়, তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
'sHealth #বাংলা_স্বাস্থ্য #মাসিক_চক্র #নারীর_স্বাস্থ্য #গর্ভধারণ