25/04/2018                                                                            
                                    
                                                                            
                                            =====   িশ্ব_ম্যালেরিয়া_দিবস।======
ম্যালেরিয়ার প্রধান লক্ষণ কাঁপুনি দিয়ে তীব্র জ্বর। এছাড়া মাথা ব্যথা, বমি এমনকি ডাইরিয়াও হতে পারে। বিশ্বে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
কিন্তু আশার কথা হচ্ছে, এটি সম্পূর্ণ প্রতিকার এবং প্রতিরোধযোগ্য।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, পৃথিবী ম্যালেরিয়ামুক্ত করার ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কারণে গত এক দশকে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল ড. মার্গারেট চ্যান।
স্ত্রী এনোফিলিস মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া জীবাণু ছড়ায়। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কোন লোককে যখন মশা কামড়ায় তখন তখন মশার দেহে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রবেশ করে। পরে ঐ মশা যখন অন্য কাউকে কামড়ায় তখন তার দেহেও ম্যালেরিয়া ছড়ায়। রোগীর দেহের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া সনাক্ত করা যায়।
২০১৪ সালে ৯৭টি দেশে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, আর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে ৩.৩ বিলিয়ন মানুষ। বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়া সংক্রমণে মৃত্যুর ৯০ শতাংশই হয়েছে আফ্রিকায়। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হার ৫৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে সেখানে। গত এক যুগে আক্রান্তের সংখ্যা তিন চতুর্থাংশে নেমে এসেছে।
২০১৩ সালে আজারবাইজান ও শ্রীলঙ্কা ম্যালেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, মিশর, ইরাক, কিরগিজিস্তান, মরক্কো ও ওমান ম্যালেরিয়া সংক্রমণের হার শূন্যে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
বলা হয়ে থাকে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভাল। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে সহজেই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করা যায়। যেমন:
  মশারী ব্যবহার করা এবং ঘরের দেয়ালে  কীটনাশক ঔষধ ছিটানো।
  বাড়ির আশেপাশে কোন ঝোপ জঙ্গল থাকলে তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
  ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার দুই-তিন মাস আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজন হলে ঔষধ খেতে হবে।
 সেখান থেকে ফেরার চার সপ্তার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিষেধক ঔষধ সেবন করতে হবে।
কিছু ঔষধ গ্রহণ করে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা করা যায়। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। মুখে বা শিরাপথে ঔষধ গ্রহণ, যেমন-ক্লোরোকুইন, কুইনিন সালফেট, হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন, মেফ্লোকুইন, সালফাডক্সিন এবং পাইরিমেথামাইন এর যে কোন একটি অথবা কয়েকটি ঔষধ সেবন করে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।