
24/08/2025
তানভির ৮ বছরের একটি ছেলে, বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন। একটি মাদ্রাসায় পড়েন। সে হতে পারতেন একজন বিজ্ঞ আলেম, হতে পারতেন মসজিদের ইমাম যার পিছনে নামায পড়তেন সহস্র মানুষ। তবে এগুলা কিছুই হয়তো হবে না, হয়ে ওঠেনি।
গত ২২ এপ্রিল তানভির জ্বরে আক্রান্ত হলে তার পিতা জনাব মোসলেম উদ্দিন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে, হাসপাতাল গেটে থাকা আকিব ফার্মেসির আকিব তাকে তার ফার্মেসির ভালো চিকিৎসক কে (!) দেখানোর কথা বলে, আদতে যিনি ভুয়া চিকিৎসক!
যার ডা লিখবার অধিকার নাই, যোগ্য না। সে এই ছেলেকে অপচিকিৎসা করেন, ফলশ্রুতিতে এই ছেলের বর্তমানে প্রাণ সংশয়। ২ হাত ২ পা কেটে ফেলতে হয়েছে! নিউজ করলো চিকিৎসকের ভুলে এরকম হয়েছে নিউজ করলো আদতে যে এই অপচিকিৎসা দিয়েছে স্যাকমো শফিকুল, সে চিকিৎসকই না ( সে আইনত অন্যায়ভাবে ডা লিখে প্রতারনা করেছে, এবং এই বাচ্চার সারাজীবন নষ্ট করলো) । আর যেই আকিব ফার্মেসির আকিব তার প্রতিষ্ঠানে নিয়ে দেখালো তার প্রতিষ্ঠানে টেস্ট করালো, এরা মূলত দালাল। এখন এসব নিয়ে লিখি না৷ শুধু লিখছি আমার নিজের এলাকার আরেকজন তানভির যাতে অপচিকিৎসার শিকার না হয়, সাধারণ মানুষ জন যাতে জানতে পারে কে দালাল! কে চিকিৎসক!
আমরা যারা চিকিৎসক, আমি অনেক ক্ষুদ্র জ্ঞানের মানুষ, তবু একটা নাপা ( প্যারাসিটামল) কাউকে দেওয়ার আগেও কত ভাবি, কত কিছু জানতে হয়। অথচ পাড়া মহল্লায় আমরা অহরহ যা ইচ্ছা ওষুধ খাচ্ছি, কিনছি, আমরা একটু সচেতন হই। আমরা আগে জানি কে চিকিৎসক, কে প্রতারক!
আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।
Salman Hridoy