07/02/2025
শ্যামনগরে বেড়েছে সরিষার চাষ, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি
এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে \ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় বেড়েছে সরিষার চাষ, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, কৃষকের মুখে দেখা যাচ্ছে আনন্দের হাসি। মৌমাছি মৌমাছি, কোথা যাও নাচি নাচি… কবিতার এই পঙক্তির মতো মাঠে মাঠে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছির দল। দিগন্তজোড়া মাঠে হলুদের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। সরিষার হলুদ ফুলে শীতের সোনারাঙা রোদের ঝিকিমিকি মৌমাছিকে হাতছানি দেয়। মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে ছুটে যায়। অন্যদিকে হলুদ—সবুজের মিতালি মাখা সরিষা ক্ষেত, কৃষকের চোখে—মুখে নতুন স্বপ্নের রং ছড়িয়ে দেয়। সারা দেশের ন্যায় দেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল শ্যামনগর উপজেলা জুড়ে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে রাঙা হাসি। এবছর শ্যামনগর উপজেলায় সরিষার আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে এবং ফলন বেশ ভাল হয়েছে। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। সয়াবিন তেলের মূল্য নিয়ে চলছে তেলেসমাতি। এ জন্য কৃষক এবার সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছে। উপজেলা ব্যাপী টরি ৭, বারি ১৪, বীনা ৯ সহ বিভিন্ন সরিষা আবাদ অনেক বেশি হয়েছে ফলনও ভাল হয়েছে। দেশে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার সিংহভাগই আমদানিনির্ভর। আমদানিতে এগিয়ে সয়াবিন ও পাম অয়েল। এতে বছরে অনেক টাকা ব্যয় হচ্ছে সরকারের। তবে সরিষার উৎপাদন বাড়িয়ে এ ব্যয় অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। দেশে উৎপাদিত তেলের মধ্যে সরিষা শীর্ষে। এছাড়া সয়াবিন, সূর্যমুখীসহ দু’—একটি অপ্রচলিত তেলবীজের চাষ হয় সামান্য। দেশের ভোজ্যতেলের প্রায় ৬০ ভাগ আসে সরিষার তেল থেকে এবং এটিই আমাদের ভোজ্যতেলের প্রধান ফসল। বিভিন্ন জাতের সরিষা বীজে ৩৮ থেকে ৪৪ শতাংশ তেল থাকে আর বাকিটা খৈল। এই খৈলে থাকে ২৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ আমিষ। এই খৈল গৃহপালিত পশুর জন্য পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশে প্রতি হেক্টরে সরিষার ফলন হয় ৬০০ থেকে ৭২৫ কেজি। আমন ও বোরো চাষের মাঝের সময়ে বড় অংশ জমি পতিত থাকে। এ পতিত জমি ব্যবহার করে দেশে তেলবীজের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানিনির্ভরতা কমানো যাবে। বেশ কিছু তেলজাতীয় ফসলের সঙ্গে সরিষার আবাদ ব্যাপকভাবে বাড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। আর তাতে সুফলও মিলতে শুরু করেছে। এ বছর সারাদেশের ন্যায় শ্যামনগর উপজেলায়ও ব্যাপকভাবে বেড়েছে সরিষার চাষাবাদ। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক