14/04/2025
https://www.facebook.com/share/p/19Eu8SDaGW/
শিশুকে ছোট থেকে শাসন করা এবং সুশিক্ষা দেওয়া দুইটা দুই রকমের জিনিস।অতিরিক্ত শাসন করতে নিষেধ করা হয় তবে সুশিক্ষা দিতে তো মানা নেয়।
যে মা-বাবা নিজে গোছানো তিনি অবশ্যই সন্তানদেরও গুছানো কাজ শিখান।
অনেকে বলে,সারাদিন বাচ্চা আকাবুকি করবে, খেলনা ছড়াবে, সব মেঝেতে পড়ে থাকবে। তাকে যেন ডাক দেয়া না হয়।
কেন?
খেলনা যখন খেলা শেষ হয়ে যাবে একটা কর্নারে ঝুরি থাকলে সে ওখানে রেখে দিবে। মা শিখিয়ে দিবেন। বাচ্চা শিখতে না চাইলে মা বাচ্চার সামনে দেখিয়ে দেখিয়ে গুছাবেন।যেন বাচ্চা সেটা দেখে তার ভিতরেও সেটা আসে।
আঁকা বুকির জন্য সব দেয়ালেই কেনো?
তাকে একটা স্লেট দেয়া যেতে পারে। খাতা ,কাগজ অথবা বোর্ড দেওয়া যেতে পারে।বা যখন দেয়ালে আকবে তখন মা মুছবেন বাচ্চাকে সহ সাথে নিয়ে। এতে তার মধ্যে খানিক হলেও সহমর্মিতা আসবে।
শিশুরা কিছু বুঝে না।এই কথাটা
টোটালি ফালতু একটা কথা, ১ বছর পার হয়ে গেলেই সবকিছু অল্প অল্প বুঝতে শুরু করে হয়তো প্রকাশ করতে পারে না।
অনেকে বলে ছোট মানুষ ছেড়ে দাও,বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে।বিশ্বাস করুন এটা প্রায় সময়ই মিলেনা।যে বাচ্চারা ছোটবেলা থেকে রাগ,জেদ,স্বার্থ হাসিল,সবকিছু নিজের করে পাওয়ার প্রব'নতা নিয়ে বড় হয়,তারা দেখবেন বড় হতে হতে বিষয়টা আরও বড় পর্যায়ে চলে যায়।তারা বড় হয়ে স্বার্থপর,জেদি হয়ে উঠে।হয়তো কিছু বাচ্চা বড় হতে হতে চেঞ্জ ও হতে পারে।তবে তার গ্যারান্টি দেওয়া যায়না।
বাচ্চা ছোট বেলায় ভুল করলে তাকে সঠিক শিখাবেন না কেন? এখন ও তো সবকিছু ঠিক করে আস্তে আস্তে শিখানো যায়।
কিন্তু না...
কিছু মা আছেন যারা বাচ্চাকে ভুল করতে দেখলেও,অন্য বাচ্চাকে মা'রতে দেখলেও, বেড়াতে গেলে তাদের ঘরের জিনিসপত্র ন'ষ্ট করতে দেখলেও দেখেই থাকে।একটা সিঙেল ডাক পর্যন্ত দেয়না।
Well trained একদিনে হয় না।
কিন্তু অতিরিক্ত দূরন্ত বাচ্চা কেউ পছন্দ করে না।
অমনি পর্দা ধরে ঝুলবে,
দেয়ালে একে দিলো,
বিছানায় খেতে বসে ঝোল পানি সবকিছু ফেলে দিলো।
মেঝেতে ফেলে একাকার।
না ভাই, এটা অনেকের পক্ষে সম্ভব না এত আপ্যায়নের পর আবার মেহমান বিদায় দিয়ে এগুলা পরিস্কার করার।
একটা বাচ্চার সাইকেল নিয়ে অন্য বাচ্চা যা তা অবস্থা, মা গুলা চুপ। চরম বিরক্ত লাগে।
বাচ্চা নাকি কথা শোনে না।
তা না শুনলে বাপু বাসায় বেড়াতে আসতে হয় কেনো?বেশি দুষ্টু ,কথা শুনেনা তো বাসায় ই থেকে যেতেন।
কোথায় যাবেন তাহলে? যারা বাচ্চাদের বেয়ারামি পছন্দ করে,
বাসার দেয়ালে উল্টা পাল্টা ছবি আকলেও কিছু বলে না সেখানে যাবেন।
বাচ্চা কথা শুনে না, এটা একান্ত ট্রেইনিং এর একটা পার্ট।
আজকে শুনবে না, কালকে শুনবে না, কিন্তু শুনবে একসময়।
কারো বাসায় গেলে তবদা মেরে থাকবেন না।
বাচ্চারা অন্যদের ড্রয়ার কেনো ঘাটবে?
সাথে সাথে বাঁধা দিন।
প্রতি টা মানুষের কাছে বাসাটা একটা প্রাইভেসি থাকে।
সেখানে কেউ গিয়ে এলোমেলো করুক
কারোর ই কাম্য না।
নিজের বাচ্চা দুষ্টুমি করে না?
হ্যা করে কিন্তু ভুল দেখলে মানা করা হয়।
মনে কষ্ট না নিয়ে বাচ্চাকে ট্রেইন করুন। ছোট থেকেই গ্রো আপ করান।
অনেকেই বলবেন, উনার বাসায় যাবো না বাচ্চা দেখতে পারে না।
শুনুন, আপনি না আসলে তাদের কিছু আসবে যাবে না। দিন যেমনে চলছে চলবে।
সারমর্ম - সন্তান কে ঘর থেকেই শিখাতে হবে। বড় হয়ে শিখবে এসব ওর সামনে বলা যাবে না। এটা বললে বাচ্চা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে।বাইরে কারো বাসায় গেলে চোখে চোখে রাখুন। তাদের শখের জিনিস যেন ন'ষ্ট না করে।
©️বেবি-টাইমস-স্ট্যাশন