আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট

আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট তাবিজ-তুমার ও শিরক কুফর মুক্ত কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক একটি চিকিৎসা কেন্দ্র


Raqi Mufti Abdul Malek

আজ সারাদিন রুকইয়াহ হোম সার্ভিসে থাকবো বগুড়া এবং নওগাঁ জেলায়। অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন - পেজ- আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়...
06/09/2025

আজ সারাদিন রুকইয়াহ হোম সার্ভিসে থাকবো বগুড়া এবং নওগাঁ জেলায়। অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন -

পেজ- আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট
প্রোফাইল- Raqi Abdul Malek
ওয়াসআপ- 01974-151654

আমরা যারা রুক্বইয়্যাহ করি আমাদের রাকি ভাইদের বিষয়টা একটু ভেবে দেখুন তো আমাদের কত সচেতন ভাবে জীবন যাপন করতে হয়। (লিখেছ...
05/09/2025

আমরা যারা রুক্বইয়্যাহ করি আমাদের রাকি ভাইদের বিষয়টা একটু ভেবে দেখুন তো আমাদের কত সচেতন ভাবে জীবন যাপন করতে হয়।

(লিখেছেন- Raqi Abdullah Al-Mamun ভাই)

প্রশ্নঃজিন, যাদুর সমস্যায় অনেক হুজুর নিজের সাথে থাকা জিন দিয়ে জবাব নিয়ে দেয়। অনেক সময় এই জিন দিয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় সমস্যা ...
05/09/2025

প্রশ্নঃ

জিন, যাদুর সমস্যায় অনেক হুজুর নিজের সাথে থাকা জিন দিয়ে জবাব নিয়ে দেয়। অনেক সময় এই জিন দিয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় সমস্যা ভালোও করে দেয়। এদের কাছ থেকে সাহায্য নেয়া যাবেনা কেন? হুজুর দাবী করেছেন উনার সাথের জিনটি মুসলিম জিন।

উত্তরঃ

জিনরা প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। যদি ধরে নেয়া যায় যে সত্যিই জিনটি মুসলিম তাহলে আপনি তার সাহায্য নিবেন কেন? আল্লাহ তো আছেন সাহায্য করার জন্য! সুলাইমান (আ)কে আল্লাহ জিনদের উপর কর্তৃত্ব দিয়েছিলেন। জিনরা তাঁর কথা মেনে চলত।

সুরা ছোয়াদের ৩৫ থেকে ৩৮ নাম্বার আয়াতে এটা উল্লেখ আছে,

সে বলল, হে আমার মালিক, তুমি আমাকে ক্ষমা করো, তুমি আমাকে এমন এক সাম্রাজ্য দান করো, যা আমার পরে আর কেউ কোনদিন পাবে না, নিশ্চয়ই তুমি মহাদাতা। (৩৫) তখন আমি বাতাসকেও তার অধীন করে দিলাম, তা তার ইচ্ছানুযায়ী সেখানেই নিয়ে যেতো যেখানেই সে যেতে চাইতো। (৩৬) শয়তান(জিন)-দেরও, যারা ছিল প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী। (৩৭) শৃংখলিত অন্য আরো অনেককেও। (৩৮)

সুলাইমান (আ) দোয়া করেছিলেন যেন তাঁর পরে আর কেউ এই সাম্রাজ্য না পায়। আল্লাহ জিনদের কন্ট্রোল করার ক্ষমতা সুলাইমান (আ)কে দিয়েছিলেন। তাঁর পরে অন্য কাওকে নয়।



সম্পূরক প্রশ্নঃ তাহলে মসজিদের হুজুর, বড় আলেম, কবিরাজ, যাদুকর যারাই দাবী করে তারা জিনদের কন্ট্রোল করতে পারে তারা কি মিথ্যা বলছে?

উত্তরঃ হ্যাঁ, মিথ্যা কথা বলছে। মূলত জিনরাই তাদেরকে কন্ট্রোলে রাখে।



আরেকটা প্রশ্নঃ জিনদের দিয়ে তারা সবাই অনেক কাজ করে। এটা তাহলে কিভাবে?

উত্তরঃ সহজ, কন্ট্রোল যেহেতু করতে পারছেনা তারমানে এখানে একটা চুক্তি হচ্ছে। তুমি আমাকে খুশি করবে, তাহলে আমি তোমার কাজ করে দিব। এই খুশি করে দেয়ার নামে যাদুকরকে অনেক কিছুই স্যাক্রিফাইস করতে হয়। শয়তান সবচেয়ে খুশি হয় কখন? যখন আল্লাহর আইন অমান্য করা হয়। শয়তান চায় আমরাও যাতে তার সাথে জাহান্নামের চিরস্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাই। তাই ইসলামকে অবমাননা করলেই শয়তান সবচেয়ে বেশি খুশি হয় এবং নানান কাজ করে দেয়।



আবারও প্রশ্নঃ আমাদের হুজুরের জিন মুসলমান এবং হুজুর ইসলাম অবমাননার কোন কাজই করেনা। সে হুজুরকে তাহাজ্জুদ পড়তে বলে, তসবি পড়তে বলে, নামাজ পড়তে বলে। হুজুর জিন দিয়ে অনেক ভালো কাজ করেন। ভালো তদবির করেন।

উত্তরঃ আপনিতো আর জানেন না সে কিভাবে কি করছে। কিছু রিচুয়াল সে অবশ্যই লুকিয়ে করে। সবকিছু আপনার সামনে করবেনা। তাহলে সে যে একান্ত গোপনে শয়তানকে খুশি করার জন্য আল্লাহর অবাধ্য হচ্ছেনা সেটা আপনি কিভাবে বুঝবেন? জিনদের সাহায্য নিলে কি হবে সেটা আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলে দিয়েছেন। সুরা আন’আমের ১২৮ নাম্বার আয়াত দেখুন,

সেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন, বলবেন, হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা তো অনেক মানুষকেই গোমরাহ করেছো, মানুষের মধ্যে থেকে (যারা) তাদের বন্ধু (তারা) বলবে, হে আমাদের মালিক, আমরা এক একজন এক একজনকে (ব্যবহার করে) দুনিয়ার জীবনে প্রচুর লাভ কামাচ্ছিলাম, আর এভাবেই আমরা চুড়ান্ত সময়ে এসে হাজির হয়েছি, যা তুমি আমাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছিলে; তিনি (আল্লাহ তায়ালা) বলবেন, তোমাদের ঠিকানা আগুন, সেখানে তোমরা চিরকাল থাকবে, অবশ্য আল্লাহ তায়ালা যা কিছু চাইবেন (তা আলাদা); তোমার মালিক অবশ্যই প্রজ্ঞাময়, সম্যক অবহিত।



প্রশ্নঃ আচ্ছা তাহলে এসব জিন, যাদুর চিকিৎসা করব কিভাবে?

উত্তরঃ কোরআন দিয়ে। আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে কোরআন পড়বে অথবা অন্য কেউ তার সামনে পড়বে। কোরআন পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে সেটা দিয়ে গোসল করবে, খাবে। সুন্নাহসম্মত কিছু দোয়া আছে এগুলোও পড়বে। সুন্নাহসম্মত কোরআন দিয়ে ঝাঁড়ফুককে বলা হয় রুকইয়াহ শারইয়্যাহ।



প্রশ্নঃ দীর্ঘদিন রুকইয়াহ করেও দেখা যায় অনেকের সমস্যা ভালো হয়না। একটু ভালো হলে দেখা যায় জীন, যাদুর সমস্যা আবার ফিরে আসছে। এর স্থায়ী সমাধান কি হতে পারে?

উত্তরঃ এই সমস্যাগুলো আসলে আমাদের জীবনের অন্যান্য সমস্যার মতই। এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। দুনিয়া একটা ফিতনার জায়গা। আপনি আল্লাহর উপর ভরসা ছেড়ে অন্য কারো উপর ভরসা করলেই পরীক্ষায় ফেল করবেন। তাই ইসলামসম্মত সকল বৈধ উপায়ে চিকিৎসা করার পরেও যদি আপনার কোন সমস্যা ভালো না হয় তাহলে নিরাশ না হয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে টাইট হয়ে বসেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করেন আর চিকিৎসা চালিয়ে যান। আল্লাহ চাইলে ভালো হয়ে যাবেন।

©️

04/09/2025

🔴 রুকইয়াহ লাইভ অডিও শোনার সঠিক নিয়ম ও প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ।

রুকইয়াহ (আল্লাহর কালাম দ্বারা চিকিৎসা) শোনার সময় নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করলে ইনশাআল্লাহ উপকার পাওয়া যাবে:

✅ রুকইয়াহ শোনার নিয়ম

1️⃣ নিয়ত ঠিক করুন: আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে মনে মনে বলুন:
“হে আল্লাহ! আমার শরীর, মন ও জীবনে যেসব জাদু, জ্বিন, বদনজর বা হিংসার প্রভাব রয়েছে, আপনি তা ধ্বংস করে দিন। একমাত্র আপনিই শিফা দানকারী। আপনার বাইরে কেউ শিফা দিতে পারে না।”

2️⃣ পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিন:

ওজু করে একটি পরিচ্ছন্ন স্থানে বসুন
সম্ভব হলে কিবলামুখী হন
ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে একান্ত পরিবেশ তৈরি করুন

3️⃣ শোভাবদ্ধ বসার ভঙ্গি:

শান্ত হয়ে চেয়ারে বা বিছানায় বসুন
শুয়ে পড়া থেকে বিরত থাকুন (ঘুমিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে)

4️⃣ হেডফোন ব্যবহার করুন:

শব্দে মনোযোগ ও হৃদয়যোগ নিশ্চিত করতে ভালো মানের হেডফোন ব্যবহার করুন। (তবে হেডফোন ছাড়াও শুনতে পারবেন)

5️⃣ চোখ বন্ধ রাখুন ও কল্পনা করুন:

চোখ বন্ধ করে ভাবুন:
“আল্লাহর কুরআনের আলোয় সমস্ত জিন, যাদু, হিংসা পুড়ে যাচ্ছে, শরীর ও মন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।”

⚠️ রুকইয়াহ শোনার সময় সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া

১. শারীরিক প্রতিক্রিয়া:

➡️শরীর কাঁপা বা হিম অনুভব
➡️বমি, বমি ভাব, পেটব্যথা
➡️শ্বাসকষ্ট বা বুক চেপে ধরা
➡️মাথা ঘোরা বা চোখ জ্বালা
➡️শরীর অবশ হয়ে যাওয়া বা ঝিমুনি আসা
➡️ঘাড়-পিঠে ব্যথা বেড়ে যাওয়া
➡️অতিরিক্ত গরম/ঠান্ডা অনুভব
➡️কানে চাপ, শব্দ, সুঁই ফোটার মতো অনুভূতি

২. মানসিক-আবেগজনিত প্রতিক্রিয়া:

➡️হঠাৎ ভয় পাওয়া, আতঙ্ক বা কান্না আসা
➡️মাথা ভার, ঘুম ঘুম ভাব
➡️অস্থিরতা, রাগ, বিরক্তি
➡️অদ্ভুত চিন্তা বা মনের মধ্যে আওয়াজ
➡️চোখ খুলে রুকইয়াহ বন্ধ করতে মন চাইবে

৩. জিনের প্রকাশের লক্ষণ:

➡️শরীর অস্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করা
➡️গলা আটকে যাওয়া, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন
➡️ভেতর থেকে কেউ কথা বলছে মনে হওয়া
➡️চিৎকার, দৌড়ে পালাতে চাওয়া, জ্ঞান হারানো

৪. ঘুম ও স্বপ্নে প্রতিক্রিয়া:

➡️দুঃস্বপ্ন দেখা বা ঘুম ভেঙে ওঠা
➡️স্বপ্নে সাপ, কুকুর, মৃত মানুষ, ছায়া দেখা
➡️ঘুম থেকে ধাক্কা খেয়ে উঠে বসা

৫. ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া (শিফার আলামত):

➡️শরীর হালকা লাগা, প্রশান্তি আসা
➡️ঘুম ভালো হওয়া
➡️যন্ত্রণা ও চাপ কমে আসা
➡️ধীরে ধীরে আরাম ও সুস্থতা অনুভব

অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

✅ প্রতিক্রিয়া মানেই আপনি সংক্রমণের স্থানে আঘাত করেছেন। ভয় না পেয়ে নিয়মিত রুকইয়াহ চালিয়ে যান।

✅ কিছুক্ষণ পর পর থেমে পানি পান করুন (রুকইয়াহ পড়া পানি হলে উত্তম)।

✅ বমি হলে ভয় পাবেন না, মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন ও শুকরিয়া আদায় করুন।

✅ প্রতিদিন ১-২ বার রুকইয়াহ শোনা চালিয়ে যান, প্রয়োজনে বাড়াতে পারেন।

✅ পরিবারের অন্যদের বিরক্ত না করে সময় ও স্থান নির্ধারণ করুন।

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

দীর্ঘস্থায়ী বা জটিল সমস্যার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ শরয়ী রাকীর সাথে পরামর্শ করুন।

জাদু/জিনের চিকিৎসায় ধৈর্য, নিয়মিত আমল ও ঈমানই মূল চাবিকাঠি।

🔁 শেয়ার করে অন্যদেরও সচেতন করুন। আপনি জানেন না, আপনার একটা শেয়ার কারো মুক্তির মাধ্যম হতে পারে।

01974-151654
Raqi Abdul Malek
আশ-শিফা রুকইয়াহ সেন্টার সাভার

পানির অদ্ভূত রহস্য! রুকইয়াহ'র পড়া পানি কিভাবে কাজ করে??আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল এর অদ্ভুত এক সৃষ্টি। জন্মের পর আমাদের শরীরের...
03/09/2025

পানির অদ্ভূত রহস্য! রুকইয়াহ'র পড়া পানি কিভাবে কাজ করে??

আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল এর অদ্ভুত এক সৃষ্টি। জন্মের পর আমাদের শরীরের ৭০% ই থাকে পানি, প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর তা হয় ৬০%। আমাদের মস্তিষ্কের ৭৫% পানি, হাড়ে ২২% পানি, মাংসপেশীর ৭৫% পানি, আর রক্ত যা আমাদের দেহের ভাইটাল লিকুইড তাতে ৯০% ই পানি আছে। পানির উপর জমিনে আমরা যা দেখি তার চেয়ে কয়েক গূন আছে পানির নিচেই, যা সবই অদেখা।

তবে আজকে অন্য ইন্টারেস্টিং টপিকে বলবো। আমরা যারা মোটামুটি সাধারণ বিজ্ঞানও পড়েছি আমরা জানি পানি দুটি হাইড্রোজেন এটম এবং একটি অক্সিজেন এটমের সমন্বয়ে তৈরি। কিন্তু ১৯৯৪ সালে জাপানিজ বিজ্ঞানী মাসারু ইমোতো পানির কিছু অদ্ভুত প্রকৃতি বের করেন। উনি দেখলেন আকাশ থেকে নেমে আসা snowflake/তুষারখন্ডের ক্রিস্টাল ( যাতে শত শত ice crystal বা frozen crystal থাকে এবং একেকটি ক্রিষ্টাল জিওমেট্রিক শেইপ নিয়ে থাকে) নানান জিওমেট্রিক শেইপের। অর্থাৎ সহজ ভাষায়, তুষারপাতের বরফের কণাকে মাইক্রোস্কোপিক লেন্সে(অণুবীক্ষণযন্ত্র) দেখলে এর কিছু জ্যামিতিক আকৃতি(একাধিক ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ বা ষড়ভূজ ইত্যাদি) ফুটে উঠে(কমেন্টে কিছু ছবি দেয়া হলো), এটাই ক্রিস্টাল বা স্নোফ্ল্যেক্স।¹ ইমোতো দেখলেন একেক স্নোফ্ল্যেক একেকরকম আকৃতির যদিও দুটি হাইড্রোজেন আর একটি অক্সিজেনই বিদ্যমান। তিনি কৌতুহল হলেন। কিভাবে আকাশ থেকে পড়া একই তুষারখন্ড বা স্নোফ্যেক্স একেক আকৃতির হয় অথচ সকল পানির পরমাণু একই! তার বৈজ্ঞানিক প্রবৃত্তি তা মানতে পারলো না।

এই থিওরী মিথ্যা প্রমাণের জন্য তিনি ল্যাব নির্মাণ করলেন। সেখানে কক্ষ তাপমাত্রা রাখলেন -৭° সেলসিয়াস এবং এমন প্রক্রিয়া যাতে পানি খুব ধীরে ধীরে বরফে পরিণত হয়, কারণ ক্রিস্টালাইজড শেইপ(বরফে পরিণত হবার সময়কালে যে জ্যামিতিক আকৃতি) হতে হলে দ্রুত বরফ করা যাবে না।² তিনি বিভিন্ন উৎস(ঝর্ণা, নদী, কূপ, হ্রদ) থেকে পানি সংগ্রহ করে দেখলেন একেক পানি থেকে একেক রকম স্নোফ্ল্যেক তৈরি হচ্ছে।

রহস্য আরো বাকি...

ইমোতো বলেন, পানি তার পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং পানির মেমোরি(স্মৃতি) রয়েছে। পানি মানুষের চিন্তাভাবনা ও নি:সৃত শব্দের দ্বারা প্রভাবিত হয়। পানি আমাদের অনুভূতি, শব্দ, কথার প্রতি সংবেদনশীল। কারণ এসবের মাধ্যমে পানির মলিকুলার স্ট্রাকচার বা জ্যামিতিক আকৃতি পরিবর্তিত হয়।

কিভাবে?

ইমোতো বিভিন্ন পানির পাশে বিভিন্ন রকম শব্দ ছেড়ে দিয়ে ধীরে ধীরে পানি ফ্রিজ করতে লাগলেন এবং দেখলেন একেক পানি একেক শব্দের প্রতিক্রিয়া জানায়। অর্থাৎ পানির পাশে কোনো শব্দ থেকে আসা শব্দতরঙ্গ পানির ওপর প্রভাব ফেলে আর এতে পানি ভিন্ন ভিন্ন ক্রিস্টাল শেইপে রূপ নেয়।

কেউ যদি পানির কাছে পজিটিভ কিছু বলে বা ভাবে তখন সেই পানি থেকে তৈরি ক্রিস্টাল স্বচ্ছ এবং সুন্দর, সুবিন্যস্ত আকৃতি নেয়, আর যদি কোনো নেগেটিভ কথা উচ্চারিত করা হয় তাহলে ক্রিস্টাল অসুন্দর এবং বিদঘুটে আকৃতিতে চলে আসে (কমেন্টে)।

আবার পানির কাছে Heavy metal music ছেড়ে দিলে দেখা যায় ক্রিস্টালের আকৃতি খুবই অসুন্দর এবং আকৃতিগুলো অবিন্যস্ত, আনঅর্গানাইজড। এবং এই পানি খাওয়া বা ব্যবহারেও শরীর, মন অনুরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাবে। অর্থাৎ সেই পানি আপনার শরীর বা মনেও তার প্রকৃতি এবং ক্রিস্টাল শেইপ অনুযায়ী প্রভাব ফেলবে।

এরপর ইমোতোর এক মুসলিম ফ্রেন্ড তাকে বললো পাশে কুরআনের তিলাওয়াত ছেড়ে দিতে। ইমোতো দেখলো, কুরআন তিলাওয়াত ছেড়ে দেয়ার পর মাইক্রোস্কপিক লেন্সে পানি বরফে পরিণত হবার মুহূর্তে এমন ক্রিস্টালে পরিণত হয়েছে যা পৃথিবীর অন্য কোনো শব্দে হয় না। এবং দুই হাজার উৎস থেকে নিয়ে আসা পানির ক্রিস্টালও সেরূপ আকৃতির হয় নি। ইমোতো পানির পাশে বিভিন্ন ইতিবাচক শব্দ Thank you, Wisdom, Hope, Peace ইত্যাদি শব্দ বললেন আর ক্রিস্টালের সুন্দর আকৃতি দেখলেন, আর মন্দ শব্দ Evil, You fool, I hate you ইত্যাদি বলতেন আর সেই ক্রিস্টাল দেখতেন অসুন্দর। কিন্তু কুরআন তিলাওয়াত ছেড়ে দেয়ায় যেই ক্রিস্টাল শেইপ, তা অন্য কোনো শব্দে তিনি পান নি। এভাবে "বিসমিল্লাহ" বলেও তিনি পরীক্ষা করেছেন, এবং দেখলেন "বিসমিল্লাহ" বলায় যেই পানির ক্রিস্টাল ফর্ম তৈরি হয় তা এমন গুণসম্পন্ন যা একই আকৃতির ক্রিস্টালে পরিণত করতে "বিসমিল্লাহ"র বিকল্প কোনো শব্দ নেই!

যথেষ্ট অবাক হবার নয় কি?? আরো আশ্চর্য হবার বাকি আছে।

ইমোতোর মুসলিম বন্ধু তাকে পরিচয় করালেন জমজম পানির সাথে, দেখতে চাইলেন জমজম পানির ক্রিস্টাল। কিন্তু ইমোতো জমজম পানিকে ক্রিস্টালাইজ করতে পারছিলেন না, সাধারণ পানির সাথে মিশ্রিত করেও সম্ভব হচ্ছিলো না। অবশেষে এক ফোটা জমজম পানিকে এক হাজার ফোটা ডিস্টিল্ড পানির সাথে মিশ্রিত করে ক্রিস্টালাজড করে অনন্য এবং অতুলনীয় শেইপ পেলেন!! উনি দুটি ক্রিস্টাল পেলেন(কমেন্টে ছবি দেয়া আছে), যেখানে অন্যান্য সকল পানিতে দেখা যায় একটি ক্রিস্টাল। ইমোতো বলেন, আমার মুসলিম কলিগ বললো জমজম পানির উপর ক্বুরআন তিলাওয়াত ছেড়ে দিতে। ইমোতো কিছু আয়াত ছেড়ে দিলেন, এরপর পেলেন এমন ক্রিস্টাল যা সবচাইতে নিখুঁত আকৃতির।

ইমোত বলেন মুসলিমরা পানি খাবার আগে বিসমিল্লাহ বলে পান করে। এবং এই রীতি দেড় হাজার বছর ধরে চলমান। বিসমিল্লাহ বললে পানির গঠন ও গূণমান বেড়ে যায়।

সাধারণ পানিতে এক ফোটা জমজম পানি মেশালেও পানির যেরূপ গুণাগুণ বৃদ্ধি পায়, ইমোতো দেখলেন অন্য পানির ক্ষেত্রে তা হয় না।

পাঠকবৃন্দ! এতক্ষন লিখা পড়তে পড়তে নিশ্চই অবাক হচ্ছিলেন, দৃঢ় হচ্ছিলেন কালামুল্লাহর স্বচক্ষে উদাহরণ দেখে। এই বস্তুবাদী ব্যাখ্যা দেখে! তাই না? বিজ্ঞানের কিছু আবিষ্কার দেখে!

কিন্তু আমাদের উচিৎ ছিলো সাহাবীদের মত বিশ্বাস করেই দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরা। বিজ্ঞানের এই পরীক্ষা যদি ভুলও প্রমাণিত হয় তবুও আল্লাহর কালাম ভুল হবে না। এই ক্বুরআন আল্লাহর কালাম, এই জমজম আল্লাহর বিশেষ নি'আমত যাতে তিনি মু'জিযা রেখেছেন এবং অতুলনীয় করেছেন।

একবার চিন্তা করি তো?? পানির কাছে ক্বুরআন ছেড়ে দিলেই যদি এত পরিবর্তন হয় তাহলে আপনি যদি দীর্ঘক্ষন ক্বুরআন, দু'আ পড়ে পানিতে নাফছ (সুন্নাহ অনুযায়ী থুথুসহ ফু দেয়া) করেন তাহলে পানি কিরূপ হবে? এবং সেই পানি দিয়ে গোসল, পান করার মাধ্যমে অই ব্যক্তির মাঝেই কি পরিবর্তন হবে?? শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে, শিরায় যাদু, বদনজরের প্রভাবে অসুস্থতা থাকলে সেই পানি ব্যবহারে কি আল্লাহ তা বিনষ্ট করে দিবেন না??

আবার কোনো যাদুকর যদি পানির সামনে দীর্ঘক্ষণ যাদু মন্ত্র পড়ে ফু দিয়ে সেই পানি ছিটিয়ে (সিহরুল মারশুশ) দেয় বা কাউকে স্পর্শ (সিহরুল মাস) করায় বা পান (সিহরুল মাশরূব) করায় তাহলে কি ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না যাদুর মাধ্যমে?

[সংগৃহীত ]

03/09/2025

জিনের সমস্যা থাকার কারণে যারা জীবনে ব্যর্থ হয় তাদের মাঝে নিম্নে উল্লেখিত সমস্যা গুলো অনেক বেশি দেখা যায়।

১/ সবসময়ই টেনশন ফিল হয়।
২/ মাথায় একটা কিছু ডুকলে সহজে বের হতে চায় না।
৩/ সারারাত সপ্ন দেখা। এবং মস্তিষ্ক জেগে থাকা।
৪/ সব কাজে তাড়াহুড়ো করা।
৫/ কাজে মনোযোগ না বসা।
৬/ শরীর ব্যাথা হয়ে থাকা।
৭/ নামাজে অমনোযোগী।
৮/ সবসময়ই চিন্তাশীল মনে হয়।
৯/ সবসময়ই অস্তিরতা
১০/ ঘুম আসে না অনেক চেষ্টা করলেও।

আপনার মাঝে উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলো থাকলে পরিত্রাণের জন্য ভালো রাকির থেকে রুকইয়া করুন।

এই ছবি গুলা দিবার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত কিন্তু সচেতন করতে দিতে হচ্ছে।পোষ্টটি আরব রাকির তার কয়েকটি কেসের এই মেয়ে...
03/09/2025

এই ছবি গুলা দিবার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত কিন্তু সচেতন করতে দিতে হচ্ছে।
পোষ্টটি আরব রাকির
তার কয়েকটি কেসের
এই মেয়েগুলো কেও নববিবাহিত কেও কুমারি

তাদের অন্তর্বাস নিয়ে কালো জাদু করা হয়েছিল

বিবাহিতদের সংসার ভেঙ্গে গেছে
কারো জরায়ু কারো ব্রেষ্ট ক্যান্সার কারো মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া কারো জীন দ্বারা রেপ করা কারো স্বামী সহবাসের অনুপযোগী হ‌ওয়া

এদের জাদু কবরস্থান থেকে বের করা হয়েছে।

আপনারা আপনাদের পরনের কাপড় টুকরা টুকরা করে ফেলে দিবেন পরিচিত কাওকে দিবেন না দিতে হলে কিনে দিবেন। আজকাল শত্রু চিনা মুস্কিল।

আল্লাহ আমাদেরকে মানুষ শয়তান এবং জ্বীন শয়তানের থেকে রক্ষা করুন। আমিন

আশ-শিফা রুকইয়াহ সেন্টার সাভার
01974-151654
Raqi Abdul Malek

02/09/2025

সাভার টু দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ

01/09/2025
31/08/2025

শাইখুনা মুফতি হারুন ইজহার (হা.)

রাক্বী ফ্রেন্ডস সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত রাক্বী চা আড্ডা পোগ্রামে নসিহা পেস করছেন।

29/08/2025

🔴 রুকইয়াহ হোম সার্ভিস নিয়ে বর্তমানে আছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা চায়ের শহরে।

Raqi Abdul Malek
01974-151654
আশ-শিফা রুকইয়াহ সেন্টার সাভার

Address

Rangpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram