07/09/2024
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
"বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস
এবারের দিবসটির আন্তর্জাতিক প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ
"কোমর ব্যথার চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপির ভূমিকা।" "Low back pain (LBP) and the role of Physiotherapy in its management and prevention."
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নতুন কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি নয়। প্রাচীন গ্রিসে হিপোক্রেটিস ম্যাসাজ ও ম্যানুয়াল থেরাপির মাধ্যমে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার সূচনা করেছিলেন। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬০ সালে হেক্টর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার একটি শাখা ব্যবহার করতেন, যাকে বর্তমানে হাইড্রোথেরাপি বলা হয়।
ফিজিওথেরাপির প্রথম নথিভুক্ত, আধুনিক ফর্ম ছিল সুইডিশ পার হেনরিক লিং। তিনি 1813 সালে "রয়্যাল সেন্টার ইনস্টিটিউট অফ জিমন্যাস্টিকস" প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে ম্যাসেজ এবং ব্যায়ামের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। 1887 সালে, সুইডিশ ফিজিওথেরাপিস্ট সুইডিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জনসাধারণের অনুমোদন পান।
এর কিছুদিন পরেই, যুক্তরাজ্য (চার্টার্ড সোসাইটি অফ ফিজিওথেরাপি, 1894 সালে প্রতিষ্ঠিত), নিউজিল্যান্ড (ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি স্কুল, 1913) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (পোর্টল্যান্ডের রিড কলেজ, 1914) অনুসরণ করে।
তথ্য-উপাত্ত অনুসারে ১৮৯৪ সালে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার বর্তমান ধারা অর্থাৎ ম্যানুয়াল থেরাপি, ম্যানিপুলেটিভ থেরাপি, এক্সারসাইজ থেরাপি, হাইড্রোথেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি প্রভৃতি প্রবর্তন করা হয়। নিউজিল্যান্ডে ১৯১৩ এবং আমেরিকায় ১৯১৪ সালে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শুরু হয়।
"
১৯৯৬ সালে ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপি ৮ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিবসটি পালন করে আসছে।
বিশ্বের ১২৮টি দেশে একযোগে এই দিনে ফিজিওথেরাপি দিবস পালন করা হয়। প্রতিটি দেশে এবার ৩০তম বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালিত হচ্ছে।
এবারের দিবসটির আন্তর্জাতিক প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ
"কোমর ব্যথার চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপির ভূমিকা।"
"Low back pain (LBP) and the role of physiotherapy in its management and prevention."
বিশ্বব্যাপী কোমর ব্যথায় একটি মহামারী।
বিশ্বব্যাপী কোমর ব্যথা অক্ষমতার একটি প্রধান কারণ।
সারা বিশ্বের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এমন দশটি রোগের মধ্যে প্রধান একটি হচ্ছে কোমর ব্যথা।
১৯৯০ সালের পর থেকে কোমর ব্যথার হার ৬০% হারে বেড়ে যায়।
২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ৬১৯ মিলিয়ন মানুষ কোমর ব্যথায় আক্রান্ত। প্রতি ১৩ জনে একজন কোমর ব্যথায় ভোগেছে।
বাংলাদেশে এর হাড় আরো অনেক বেশি প্রতি ৪জনে ১ জন কোমর ব্যথায় ভোগেন।
একজন ফিজিওথেরাপিস্ট হলেন কোমর ব্যথা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
কোমর ব্যথা যে কোন বয়সে যে কোনো কারো হতে পারে। জীবনে কোন না কোন সময় প্রত্যেক মানুষই কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন।
৯০% কোমর ব্যথার নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। জয়েন্ট, লিগামেন্ট, ট্যান্ডন, মাসেল, ডিস্ক সবকিছু নরমাল থাকার পরও কোমর ব্যথা হতে পারে। এ ধরনের কোমর ব্যথাকে নন স্পেসিফিক লো ব্যাক পেইন বলা হয়।
তিন মাসের বেশি কোমর ব্যথা থাকলে তাকে ক্রনিক লো ব্যাক পেইন বা দীর্ঘমেয়াদী কোমর ব্যথা বলে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকগন কোমর ব্যথার বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিকনির্দেশনা এবং চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।
যেকোনো ধরনের কোমর ব্যথা, যে কোনো পর্যায়ে থাকুক না কেন কোমর ব্যথা থেকে সুস্থ হতে এবং কর্মক্ষেত্রে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় ব্যায়াম হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। কোমর ব্যথার ধরনের উপর নির্ভর করে ব্যায়াম পরামর্শ দেওয়া হয়। ধরন এবং পর্যায় অনুসারে প্রত্যেকেরই ভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে হতে পারে।
তাই কোমর ব্যথায় অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হবে।
কপিড।