15/06/2025
যে রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ছিল, সুপরিকল্পিতভাবে একের পর এক সেগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।
ইরাককে ধ্বংস করা হয়েছে, ইরাকি সামরিক সক্ষমতাকে দুইটি যুদ্ধের মাধ্যমে পুরোপুরি বিধ্বস্ত করা হয়েছে এবং ইরাকি রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হুসেইনকে খুন করা হয়েছে।
লিবিয়াকে ধ্বংস করা হয়েছে, রাষ্ট্রটিকে টুকরো টুকরো করা হয়েছে এবং লিবীয় নেতা মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফিকে খুন করা হয়েছে।
সিরিয়াকে ধ্বংস করা হয়েছে, রাষ্ট্রটিকে খণ্ডবিখণ্ড করা হয়েছে এবং সিরীয় রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদকে অপসারণ করা হয়েছে।
সুদানকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে, সুদানি রাষ্ট্রপতি ওমর আল-বশিরকে অপসারণ করা হয়েছে এবং এরপরেও রাষ্ট্রটিকে নতুন এক গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
ইরানকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। যদি ইরানকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়, পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু হবে মিসর ও উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলো।
মিসর যতই ইসরায়লের সাথে ‘শান্তি’তে থাকার চেষ্টা করুক না কেন, মিসরের সামরিক সক্ষমতা ইসরায়েলের জন্য একটি কৌশলগত হুমকি। আগে হোক আর পরে হোক, মিসরকেও আক্রমণ করা হবে।
একই ভাগ্য অপেক্ষা করছে সৌদি আরবের জন্য।
আরো দূরবর্তী মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যারা এখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং যাদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সামরিক সামর্থ্য আছে, তাদেরকেও আক্রমণ করা হবে।
আলজেরিয়াকে মরক্কোর মাধ্যমে।
পাকিস্তানকে ভারতের মাধ্যমে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া কার্যত ইহুদি পুঁজিপতিদের উপনিবেশে পরিণত হয়েছিল এবং এখনো রাশিয়ার উপর সেই প্রভাব বিদ্যমান। তদুপরি, ইউক্রেনের ইহুদি নেতৃবৃন্দ রাশিয়ার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ প্রলম্বিত করে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়কে ক্ষতবিক্ষত করছে। ভুলে গেলে চলবে না, রাশিয়া আর ইউক্রেনে ঐতিহাসিকভাবে ইহুদিবিদ্বেষ প্রবল ছিল।
এক হাজার বার মার্চ ফর গাজা বা ফ্রিডম ফ্লোটিলার আয়োজন করেও বিন্দুমাত্র এই গতিপথে পরিবর্তন আনা যাবে না। সামরিক শক্তিকে কেবল সামরিক শক্তি দিয়েই মোকাবিলা করা সম্ভব, আর কোনোভাবেই না।
(সাংবাদিক খালিদ মহিউদ্দিন লেখা থেকে সংগৃহীত)