18/09/2022
ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।
♦ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষ্মণ ও প্রতিকার♦
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষ্মণঃ
♦ নিরন্তর জ্বর, ব্যথা, সারা শরীরেই ব্যথা, চোখের ওপরে ব্যথা, পেছনে পিঠে ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, পায়ে ব্যথা, ডেঙ্গুর আর এক নাম হাড়ভাঙ্গা জ্বর।
♦ র্যাশ : সারা শরীরে লাল লাল ছোপ ছোপ র্যাশ। সঙ্গে চুলকানি। সাধারণত র্যাশ বের হয় ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে। জ্বর কমার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত র্যাশগুলো বের হয়।
♦ চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ হতে পারে। হতে পারে ইনজেকশনের জায়গা থেকে। রক্তক্ষরণ হতে পারে নাক-মুখ দিয়ে। কালো রক্ত রঞ্জিত মল ত্যাগ করতে পারে রোগী। মূত্রের সঙ্গেও কিন্তু রক্তক্ষরণ হতে পারে।
♦ কাশি-শ্বাসকষ্ট হতে পারে। হতে পারে পাতলা পায়খানা, বমি এবং পেটের ব্যথা। পেটে পানিও জমে যেতে পারে।
♦ কখনও কখনও রোগীর জ্ঞানও লোপ পেতে পারে।
♦ডেঙ্গু জ্বর কোন লক্ষণ ছাড়াও হতে পারে। শুধুমাত্র জ্বর।
♦ ডেঙ্গুতে কমে যেতে পারে ব্লাড প্রেসার।
শরীর হয়ে যেতে পারে ঠান্ডা বরফের মত।যেটা কিনা খারাপ লক্ষণ।
♦ কখনও কখনও ডেঙ্গুতে বুকে ও পেটে পানি জমে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
কি পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা তেমনটি নেই।
♦ রক্তের সম্পূর্ণ গণনা যা কিনা রক্তের শ্বেতকণিকা ও অনুচক্রিকা কমে যেতে পারে। আর এই অনুচক্রিকা কমাতে রক্তক্ষরণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। কমে যায় রক্তের জলীয় অংশ। ফলে রক্ত লোহিত কণিকার ঘনত্ব বাড়তে থাকে।
♦ আর তাছাড়া ডেঙ্গু এন্টিবডি করে সাধারণত রোগের ৫ দিন পর থেকে।
ডেঙ্গু এন্টিবডি আইজিএম পজিটিভ হলে (৫ দিন থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত) ধরে নেব সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ইনফেকশন।
আর যদি আইজিজি বেড়ে যায় তবে ধরে নেব পূর্বতন ইনফেকশন।
♦যকৃতের ইনজাইম এসজিপিটি ও এসজিওটিও বেড়ে যায় অল্প পরিমাণে।
♦অনেক সময় বুক ও পেটের এক্সরে ও আলট্রাসনোগ্রাম করা লাগতে পারে। বুক ও পেটের পানির পরিমাণ দেখার জন্য।
♦ সাধারণত চিকিৎসা তেমনটি লাগে না। কোন অসুবিধা না হলে বাসায় চিকিৎসা দিলেই চলে।
♦পর্যাপ্ত বিশ্রাম
♦ সিরাপ/বড়ি প্যারাসিটামল
♦ অধিকতর পানীয় খাদ্য যেমন: পানি, খাওয়ার স্যালাইন, ডাবের পানি ইত্যাদি বেশি বেশি খাওয়া উচিত।
♦যদি অনুচক্রিকা ব্যাপকভাবে কমে এবং রক্তক্ষরণ হয় অথবা রোগী শকে যায়। তবে হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দেয়া হয়।
♦ বেশি রক্তক্ষরণ হলে এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে আমরা রোগীর শরীরে রক্ত সঞ্চালন করতে হয়।
♦ অনুচক্রিকা (প্লাটিলেট) (১,৫০,০০০ থেকে ৪,৫০,০০০ নরমাল)
ডেঙ্গু রুগীর প্লাটিলেট ক্রমাগত কমতে থাকে। ডেঙ্গু রুগীর রক্তের দরকার হয়। তবে একেবারেই যদি অনুচক্রিকা (প্লাটিলেট) ১০,০০০ এর নিচে কমে যায় তবে রক্তক্ষরণ তাৎক্ষণিক রোধ করতে আমরা অনুচক্রিকা (প্লাটিলেট) দিতে হবে।
এসিড মশার বংশবিস্তার রোধ করা এবং মশারী ব্যবহার করে ডেঙ্গু দমন করা যেতে পারে।
জনসচেতনতায়ঃ রক্তের সন্ধানে সিরাজগঞ্জ (R.S.S)