29/09/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            আজ ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘একটা স্পন্দনও যাতে মিস না হয়’। অর্থাৎ যত্ন নিতে হবে প্রতিটা হৃৎস্পন্দনের। সেজন্য এ দিবসটি ঘটা করেই উদযাপন করা হয়, যেন মানুষ সচেতন হতে পারে, নিজেদের যত্ন নিতে পারে।
হঠাৎ কারও হার্ট অ্যাটাক হলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হন। তবে এমন সমস্যা থেকে মোকাবেলারও উপায় রয়েছে। এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. অশোক দত্ত।
ডা. অশোক দত্ত বলেন, হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে বুঝতে অসুবিধা হয়—আসলেই কি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না। আবার কারও বয়স বেশি থাকায় ডায়াবেটিস বা প্রেসার থাকে কিংবা বংশগতভাবে হার্টের সমস্যা থাকে। আবার বুকে ব্যথা হচ্ছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, ঘাম হচ্ছে ও প্রেসার কমে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় অনেকেই ধরেই নেন যে হার্ট অ্যাটাক অথবা কনফিউশন হতে পারে যে গ্যাসের ব্যথা বা অন্য কোনো সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, এখানে দুইটা জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ ও বাড়তে না পারে সেজন্য ব্লাড থিনার হিসেবে অ্যাসপিরিন বা ক্লোপিডগ্রেল গ্রুপের ওষুধ অনেকেই সেবন করেন। এমনকি অলরেডি যাদের হার্টের অসুখ আছে তারাও সেটা খান। সঙ্গে সঙ্গে একটা বা দুইটা এই ট্যাবলেট খেয়ে নিতে পারেন। ডাক্তাররা সাধারণত চারটাও খেতে দেন।
ডা. অশোক দত্ত বলেন, আরেকটা ওষুধ আছে যেটা রক্তের কোলেস্টেরল কমানোর জন্য অ্যাটোরভাস্ট্যাটিন বা রোসুভাস্ট্যাটিন। এটা দেখা যাচ্ছে যে শুধু কোলেস্টেরল কমানো নয়, এটা হার্ট অ্যাটাক যখন হয় তখন অ্যাটোরভাস্ট্যাটিন বা রোসুভাস্ট্যাটিন খেলে অ্যাটাক না বাড়িয়ে আরও কমিয়ে দিতে পারে।
সুতরাং গ্যাসের ব্যথা হলেও এই দুইটা ওষুধ খাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে গ্যাস হয়তো একটু বাড়বে, কিন্তু সেটা জীবননাশের কারণ হবে না। ওই গ্যাসের জন্য কেউ মারা যাবে না। সঙ্গে যদি একটু গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বা এন্টাসিড খেলে কিংবা গ্যাসের অন্য কোনো ট্যাবলেট নিলে তাতেও সমস্যা নেই। কিন্তু এই ওষুধটা জীবন রক্ষা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আরেকটা বিষয় হলো—যদি মনে হয় কারও হার্ট অ্যাটাক হয় তাহলে হাঁটাহাঁটি করে বা পরিশ্রম করে প্রমাণ করতে যাওয়া উচিত না যে সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না। তাড়াহুড়ো না করে বরং বিশ্রাম নিতে হবে এবং নিকটস্থ কোনো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এ ছাড়াও অনেকেই হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার কথা ভাবেন যেটা ঠিক নয়। নিকটস্থ পাশে যে ডাক্তার আছেন, তিনিই সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা দিতে পারেন। ঢাকায় যাওয়ার পথে আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে যায়, হার্ট দুর্বল হয়ে যেতে পারে, হার্ট ফেইলিওর হতে পারে।
সুতরাং, আপনার পাশে যে ডাক্তার আছেন—তিনি এমবিবিএস হোন বা কার্ডিওলজিস্ট—যারাই থাকুন না কেন, তার কাছেই যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
Blood Donation Sirajganj-BDS