15/06/2025
কাঁচ কলার উপকারিতা ও গুণাগুণ অনেক। কলা আমাদের সকলের নিকট পরিচিত একটি ফল। কলা খেতে পছন্দ করেন না এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কলা যেমন সুস্বাদু তেমনি এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। আসুন জেনে নেই কাঁচ কলার উপকারিতা ও গুণাগুণ সম্পর্কে-
কাঁচ কলার উপকারিতা ও গুণাগুণঃ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ
কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। বরং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই ফলটি। তাই তো ডায়াবেটিক এর রোগীরা নিশ্চিন্তে কাঁচা কলা খেতে পারেন।
ওজন কমাতেঃ
কাঁচা কলায় উপস্থিত রেজিস্টেন্স স্টার্চ হজম হতে সময় নেয়। ফলে বহুক্ষণ ক্ষুধা পায় না। আর ক্ষুধা না পেলে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমতে শুরু করে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ ঘটে কম। আর এমনটা দীর্ঘ দিন ধরে যখন হতে থাকে, তখন ওজন কমতে সময় লাগে না।
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতেঃ
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত একটি করে কাঁচা কলা খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানের মাত্রা যেমন কমে যায়, তেমনি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
পেটের রোগেঃ
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই শুধু পেট খারাপ নয়, যারা প্রায়শই গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা কাঁচা কলাকে কাজে লাগাতে পারেন।
পুষ্টির ঘাটতি দূর করতেঃ
খাবারে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদানগুলি যাতে ঠিক মতো শরীরের কাজে লাগতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে কাঁচা কলায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান। ফলে নিয়মিত এই ফলটি খেলে অনায়াসেই পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। আর এমনটা হওয়া মাত্র শরীরের কর্মক্ষমতা যে বৃদ্ধি পায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে নাব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতেঃ
গবেষণায় দেখা গেছে কাঁচা কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম, শরীরে প্রবেশ করার পর ব্লাড ভেসেলের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে শিরা-উপশিরার ভেতরে তৈরি হওয়া প্রেসারকেও কমিয়ে ফেলে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেঃ
পাকা কলার মত কাঁচ কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের তাই কাঁচ কলা পরিমাণমতো খাওয়া দরকার।