17/12/2023                                                                            
                                    
                                                                            
                                            "বিষয়টি খুবই  জরুরি"
এন্টিবায়োটিক  আবিষ্কার করেছিলেন  স্যার আলেকজান্ডার  ফ্লেমিং। ফ্লেমিং  স্যার বলেছিলেন, 
"এই এন্টিবায়োটিকের কারনে আজ কোটি কোটি  লোক বেচে যাবে, অনেক  বছর পরে  এই গুলো আর কাজ করবে না।  তুচ্ছ  কারনে কোটি  কোটি লোক  মারা যাবে আবার। "
এন্টিবায়োটিক  খাবার কিছু  নিয়ম আছে। একটি  নিদিষ্ট  ডোজে,একটি নিদিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক  খেতে হয়।  না হলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয়, " এন্টিবায়োটিক  রেজিসটেন্স"।
মনে করি, আমার দেহে এক লক্ষ  ব্যাকটেরিয়া আছে, এগুলো  মারার জন্য আমার ১০ টি এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার।  এম্পিসিলিন এক প্রকার  এন্ট্রিবায়োটিক। খেলাম আমি ৭ টি বাকী রাখলাম  ৩ টি।  ৭ টি ঔষধে আমার ৭০,০০০ ব্যাকটেরিয়া  মারা গেল,  আমি সুস্থ হয়ে গেলাম। কিন্তু  ৩০,০০০ ব্যাটটেরিয়া রয়ে গেল ৩ টি  ঔষধ  না খাওয়ার কারনে।  এগুলো  শরীরে  ঘামটি মেরে বসে জটিল  এক কান্ড করলো নিজেরা নিজেরা।  তারা ভাবলো যে এম্পিসিলিন  দিয়ে আমদের ৭০,০০০ ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।  
অতএব, আমাদেরকে এম্পিসিলিন গ্রুপ  জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকে না এরা। বরং সত্যি  সত্যি  জ্যাকেট তৈরী  করে ফেলে এই ব্যাকটেরিয়া গুলো। এরা বাচ্চা কাচ্চাও তৈরি  করে  একই সময়ে। বাচ্চাদেরও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়। এর ফলে যেটা হয়, পরের  বার আর এম্পিসিলিন নামক  এন্টিবায়োটিকে আর কাজ করে না। 
সবচেয়ে  ভয়ংকর  বিষয়  হচ্ছে,  জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়া গুলো কেবল ঐ লোকের শরীরেই বসে থাকেনা। তিনি হাঁচি দেন,কাশি দেন,ব্যাকটেরিয়া গুলো ছরিয়ে পরে পুরো এলাকায়।
এক সময় দেখা যাবে,
আমাদের  বড় বড় হসপিটাল  থাকবে, সেখানে  এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তারা থাকবেন।  কিন্তু  কারোরেই কিছু  করার থাকবে না। কারন তখন আমাদের  হাতে যথেষ্ট  পরিমান এন্টিবায়োটিক  থকবে না। তখন সামান্য  সর্দি কাশিতেই রোগী  মরে সাফ হয়ে যাবে।  
উন্নত  বিশ্বের চিকিৎসা  ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের  পরামর্শ মতো ঔষধ  খায়। 
বিপেদ আছি  আমরা।  
টিভি  পত্রিকায় নানান বিষয়ে  মানুষকে  সচেতন করা হয়। বাতরুম  করে হাত ধুতে হবে।  কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে হবে।  নিরাপদ  পানি পান করতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। 
কিন্তু  এন্টিবায়োটিক  নিয়ে কোন কিছু  আজও চোখে  পড়েনি,  অথচ এটা অন্যগুলোর চেয়ে জরুরি। এন্টিবায়োটিক  যখন কাজ করবে না তখন আর এই সচেতনতা  দিয়েও কাজ হবে না। 
আগুু নিয়ে  খেলছে ফার্মেসিওয়ালারা। রোগী  ফার্মেসিতে গিয়ে একটু জ্বরের কথা বললেই,  ফার্মেসিতে বসে থাকা সেই লোক টি দিয়ে দিচ্ছে,Ezithromycin or, Cefixime or, Cefuroxime or Levofloxacin  নামক কিছু  নামকরা এন্টিবায়োটিক। কিন্তু  কত দিন খেতে হবে সেটা না জানিয়ে সুন্দর  করে  নলে দেয়, এই ঔষধ ১ ডোজ খাবেন সব রোগ  ভলো হয়ে যাবে।  আর এই ভাবেই আস্তে আস্তে Resistance  হচ্ছে  সব এন্টিবায়োটিক।  
যারা চিকিৎসা  ব্যাবস্থার সাথে  জরিত  তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে  এন্টিবায়োটিক  এর সঠিক  ব্যাবহার বিষয়ে সচেতনতা  বাড়াতে হবে।  না হলে আমাদের  ভবিষ্যত সত্যি  একদিন এন্টিবায়োটিক  এর জন্য অন্ধকার  হবে।(collected)..