Sirajganj Online Homoeopathic School

Sirajganj Online Homoeopathic School Online Homeopathy Learning Center Homeopathy Learning Centre

অভিজ্ঞতার ফল—মূত্রনলীর সরু ছিদ্রের মধ্য দিয়া পাথরী ( stone ) নির্গমনকালে যে কি একপ্রকার অব্যক্ত যন্ত্রণা হয়, ভুক্তভোগী...
22/07/2025

অভিজ্ঞতার ফল—
মূত্রনলীর সরু ছিদ্রের মধ্য দিয়া পাথরী ( stone ) নির্গমনকালে যে কি একপ্রকার অব্যক্ত যন্ত্রণা হয়, ভুক্তভোগী রোগীমাত্রেই তাহা অবগত আছেন । এলোপ্যাথগণকে সেই যন্ত্রণা নিবারণার্থে প্রায়ই তখন বাধ্য হইয়া মর্ফিয়াদি অজ্ঞানকারক কোনও ঔষধের সাহায্য গ্রহণ করিতে হয়। আমরা হোমিওপ্যাথিতে শুধু আভ্যন্তরিক ঔষধ সেবন করাইয়া অনেকস্থলে অল্প সময়ের মধ্যে ঐ যন্ত্রণা নিবারণ করিতে সমর্থ হই।
আমি পূর্ব্বে উক্ত পাথরী পীড়ার যন্ত্রণা নিবারণের নিমিত্ত—বার্ব্বেরিস, লাইকো, ক্যালকেরিয়া, কার্ডয়াস, থ্যাম্পি, চায়না, ডায়স্কোরিয়া প্রভৃতি কতকগুলি ঔষধই সচরাচর ব্যবহার করিতাম ; কিন্তু যে দিন পূজ্যপাদ ফ্যারিংটনের “ক্লিনিক্যাল মেটিরিয়া মেডিকায়” নিম্নলিখিত মন্তব্যটি প্রাপ্ত হই, সেই দিন হইতে মূত্র-পাথরীর ( Renal-colic ) যন্ত্রণায় প্রপীড়িত কোনও রোগীকে ছটফট করিতে দেখিলে প্রায় কোনও দিক লক্ষ্য না করিয়া সর্ব্বাগ্রে— ক্যান্থারিস—৬ষ্ঠ শক্তির ৫/৬ মাত্রা, ১০/১৫ মিনিট অন্তর ব্যবস্থা করি এবং তাহাতে কত রোগীকে যে অত্যল্প সময়ের মধ্যে ভীষণ যন্ত্রণার হাত হইতে অব্যাহতি দিতে সমর্থ হইয়াছি তাহার ইয়ত্তা নাই । এই ঔষধের প্রায় ৩/৪ মাত্রা সেবনের পরই রোগী নিদ্রিত হইয়া পড়ে।

ডাঃ ফ্যারিংটন—“Cantheris is a valuable remedy in the passage of renal-calculi, specially when the pain are very violent. It has been stated in controversy that it was nonsense to talk about reliving the pains from the passage of renal-calculi by Homoeopathic medication. The ureter is a narrow tube and the stone is frequently large, and it is said that this can not be passed without pain. This is a mistake. The indicated remedy may so lesson local irritability that the pain attendant on the passage of renal-calculi may be greatly modified."

উক্ত ঔষধে কেবলমাত্র যে মূত্র-পাথরীর যন্ত্রণা নিবারিত হয় তাহা নহে— প্রস্রাবের পরিমাণ ও বেগ বৰ্দ্ধিত হইয়া বড় বড় পাথরী নিষ্ক্রান্ত হইতেও বহুবার দর্শন করিয়াছি। অতএব যাঁহারা এই পীড়ায় কেবলমাত্র— বার্ব্বেরিস, লাইকোপোডিয়ম ইত্যাদি ঔষধগুলি শিখিয়া রাখিয়াছেন, তাঁহাদিগকে একবার ক্যান্থারিস ব্যবহার করিতে অনুরোধ করি ।
ডাঃ ফ্যারিংটন আরও বলেন—ছেলেদের পাথরীরোগে যখন প্রদাহ লিঙ্গ পর্য্যন্ত পরিচালিত হয় এবং ছেলে কেবল লিঙ্গ ধরিয়া টানে, তখন ক্যান্থারিসে বিশেষ উপকার হয়।

কম্পারেটিভ মেটেরিয়া মেডিকা-(পৃষ্ঠা-২১২)
ডা, এন সি ঘোষ প্রনীত
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

ধ্বজভঙ্গ, লিঙ্গ শিথিল ও ক্ষুদ্র হইয়া যাওয়া- লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। যে সকল যুবক অল্প বয়সে হস্তমৈথু...
15/07/2025

ধ্বজভঙ্গ, লিঙ্গ শিথিল ও ক্ষুদ্র হইয়া যাওয়া-
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। যে সকল যুবক অল্প বয়সে হস্তমৈথুন হেতু বা অস্বাভাবিক উপায়ে ইন্দ্রিয় চালনা করিয়া মেরুদণ্ড মস্তিষ্ক ও লিঙ্গে অত্যাধিক দুর্বলতা বোধ করে, তাহাদের পক্ষে লাইকোপোডিয়াম উত্তম। অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জন্য অত্যধিক ধাতুক্ষয়ে যাহাদের লিঙ্গ শিথিল, ক্ষুদ্র ও বক্র হইয়া গিয়াছে, কিন্তু সঙ্গমে ইচ্ছা পূর্বের ন্যায় প্রবল আছে বা পূর্ব হইতেও বেশী হইয়াছে অথচ শক্তি থাকেনা তাহাদের পক্ষে এই ঔষধ অধিকতর ফলপ্রদ । যে সকল ব্যক্তির অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ ও অসাড়ে শুক্রক্ষয় হইয়া ক্রমশঃ পুরুষত্বহীনতা উপস্থিত হয়, এমনকি লিঙ্গের উত্থান পর্যন্ত হয়না অথবা যদিও হয় পরক্ষণেই নিস্তেজ হইয়া পড়ে এবং লিঙ্গ সর্বদাই শীতল বোধ করে তাহাদের জন্য লাইকো একমাত্র ঔষধ। উপরোক্ত লক্ষণ সমূহে উচ্চশক্তির লাইকো উপযুক্ত সময় অন্তর প্রয়োগ করিলে আশ্চর্য্য ফল দর্শিয়া থাকে। বৃদ্ধদিগের ধ্বজভঙ্গেও ইহা খুব উপকারী। বৃদ্ধ স্বামীর পুরুষত্বহীনতা জন্য তরুণী স্ত্রীর মনন্তুষ্টি করিতে না পারিলে উচ্চ শক্তির লাইকো সেবন করিতে দিলে সে অভাব দূর হওয়া সম্ভব।
কামেচ্ছা অত্যধিক কিন্তু ক্ষমতার সম্পূর্ণ অভাব লক্ষণে সেলিনিয়াম উপকারী।
মানসিক অবসাদ, লিঙ্গ শিথিল কিন্তু সঙ্গমের ইচ্ছা ও উত্তেজনা আছে লক্ষণে ক্যালাডিয়াম উপযোগী।
ধ্বজভঙ্গের সহিত কামেচ্ছা না থাকিলে এগ্নাস ক্যাষ্ট ভাল ঔষধ।
অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় করিয়া যে সকল যুবক অল্পবয়সে বৃদ্ধের মত অবস্থাপ্রাপ্ত হইয়াছে তাহাদের পক্ষে এগ্নাস পরম বন্ধু।
লিঙ্গ এত দুর্বল ও শিথিল যে, স্ত্রীলোক লইয়া নানা প্রকার চেষ্টা বা কল্পনা করিয়াও লিঙ্গ খাড়া হয় না লক্ষণে এগারিকাস বা কোনিয়াম ভাল কাজ করে।

ডা, আবু হোসেন সরকার
হোমিও কম্পারেটিভ মেটেরিয়া মেডিকা (পৃষ্ঠা-৬৫৫)
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

যাদের এনাটমি ও ফিজিওলজি সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান খুবই কম তাদের জন্য মানবদেহের বিভিন্ন সিস্টেম এবং তাদের কাজগুলো নিচে সংক্ষে...
29/06/2025

যাদের এনাটমি ও ফিজিওলজি সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান খুবই কম তাদের জন্য মানবদেহের বিভিন্ন সিস্টেম এবং তাদের কাজগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো: (নীচে পিডিএফ ফাইল লিংক দেওয়া হলো)

১. পরিপাকতন্ত্র: খাদ্য গ্রহণ, হজম এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। এই তন্ত্রে মুখ, খাদ্যনালী, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্র, যকৃত, অগ্ন্যাশয় এবং পিত্তথলি অন্তর্ভুক্ত।
২. সংবহনতন্ত্র: হৃদপিণ্ড, রক্তনালী (ধমনী, শিরা, কৈশিক জালিকা) এবং রক্তের সমন্বয়ে গঠিত। এটি শরীরের চারপাশে অক্সিজেন, পুষ্টি, হরমোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে।
৩. শ্বাসতন্ত্র: ফুসফুস, শ্বাসনালী, এবং বায়ুপথের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড (বর্জ্য গ্যাস) অপসারণ করে।
৪. স্নায়ুতন্ত্র: মস্তিষ্ক, সুষুম্নাকাণ্ড এবং স্নায়ুর সমন্বয়ে গঠিত। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এবং সংবেদী অঙ্গ থেকে আসা সংকেত গ্রহণ ও প্রেরণ করে।
৫. রেচনতন্ত্র: কিডনি, মূত্রথলি, এবং মূত্রনালীর সমন্বয়ে গঠিত। এটি শরীরের বর্জ্য পদার্থ (যেমন: মূত্র) নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
৬. অন্তঃস্রাবী তন্ত্র: হরমোন নিঃসরণের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এই তন্ত্রে গ্রন্থি (যেমন: পিটুইটারি, থাইরয়েড, অ্যাড্রেনাল) অন্তর্ভুক্ত।
৭. কঙ্কালতন্ত্র: হাড়, তরুণাস্থি, এবং লিগামেন্ট দ্বারা গঠিত। এটি শরীরের কাঠামো গঠন করে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সুরক্ষা দেয় এবং নড়াচড়ায় সহায়তা করে।
৮. পেশীতন্ত্র: পেশী দ্বারা গঠিত, যা নড়াচড়া, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
৯. প্রজননতন্ত্র: পুরুষ এবং মহিলার প্রজনন অঙ্গ নিয়ে গঠিত, যা বংশবৃদ্ধি এবং প্রজননে সহায়তা করে।
১০. ত্বক তন্ত্র: ত্বক শরীরের বাইরের আবরণ তৈরি করে যা বাইরের পরিবেশ থেকে রক্ষা করে।
১১. লসিকা তন্ত্র: লসিকা তন্ত্র শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই প্রতিটি তন্ত্র একে অপরের সাথে সম্পর্কিত এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে একসাথে কাজ করে।
---------------------------------------
১. পরিপাকতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলি হলো মুখ, খাদ্যনালী, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, এবং মলদ্বার। এছাড়াও, যকৃত, অগ্ন্যাশয় ও পিত্তথলি পরিপাক কার্যে সহায়তা করে।
পরিপাকতন্ত্রের অঙ্গসমূহ:
মুখ ও মুখবিবর: খাদ্য গ্রহণ ও চর্বণ করা হয় এখানে। লালা গ্রন্থি থেকে লালা নিঃসৃত হয়ে খাদ্যকে ভিজিয়ে নরম করে এবং কিছু খাদ্য উপাদান হজম হতে শুরু করে।
অন্ননালী: মুখ থেকে খাদ্য পাকস্থলীতে পৌঁছানোর পথ।
পাকস্থলী: খাদ্য জমা থাকে এবং এখানে খাদ্য আরও হজম হয়। এখানে অ্যাসিড ও এনজাইম খাদ্যকে ভেঙে তরল অবস্থায় নিয়ে যায়।
ক্ষুদ্রান্ত্র: এখানে হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং খাদ্য থেকে পুষ্টি উপাদান শোষিত হয়। ক্ষুদ্রান্ত্রের তিনটি অংশ রয়েছে: ডিওডেনাম, জেজুনাম এবং ইলিয়াম।
বৃহদন্ত্র: এখানে পানি ও কিছু পুষ্টি উপাদান শোষিত হয় এবং মল তৈরি হয়।
মলদ্বার: মলের নিঃসরণের স্থান।
যকৃত, অগ্ন্যাশয় ও পিত্তথলি: এগুলো পরিপাকতন্ত্রের আনুষঙ্গিক অঙ্গ। যকৃত পিত্তরস তৈরি করে যা চর্বি হজমে সাহায্য করে। অগ্ন্যাশয় বিভিন্ন পাচক রস তৈরি করে। পিত্তথলি পিত্তরস জমা রাখে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষুদ্রান্তে সরবরাহ করে।
---------------------------------------------------------
২. সংবহনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী (ধমনী, শিরা, কৈশিক জালিকা) এবং রক্ত। এই অঙ্গগুলো সম্মিলিতভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন, পুষ্টি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে।
সংক্ষেপে, সংবহনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
হৃৎপিণ্ড: এটি সংবহনতন্ত্রের পাম্পিং যন্ত্র, যা রক্তকে পাম্প করে শরীরের বিভিন্ন অংশে পাঠায়।
রক্তনালী: ধমনী: হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত বহন করে নিয়ে যায়।
শিরা: শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে রক্তকে হৃৎপিণ্ডে ফিরিয়ে আনে।
কৈশিক জালিকা: ধমনী ও শিরার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এবং টিস্যুগুলোর চারপাশে জাল তৈরি করে, যেখানে গ্যাস, পুষ্টি এবং বর্জ্য পদার্থের আদান-প্রদান ঘটে।
রক্ত: এটি একটি তরল মাধ্যম যা পুষ্টি, অক্সিজেন, হরমোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদার্থ বহন করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে।
এছাড়াও, সংবহনতন্ত্রের সাথে লসিকা সংবহনতন্ত্রও জড়িত, যা লসিকা, লসিকা নালী এবং ল্যাকটিয়াল নিয়ে গঠিত। এটি ইমিউন সিস্টেমের সাথেও সম্পর্কিত।
----------------------------------------------------
৩. শ্বাসতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলি হলো: নাক (নাসারন্ধ্র ও নাসাপথ), গলবিল (ফ্যারিংক্স), স্বরযন্ত্র (লারিংস), শ্বাসনালী (ট্রাকিয়া), ব্রঙ্কাস, ব্রঙ্কিওল এবং ফুসফুস। এছাড়াও, মধ্যচ্ছদা (ডায়াফ্রাম) শ্বাসকার্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই অঙ্গগুলির বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
নাক (নাসারন্ধ্র ও নাসাপথ): বাতাস ফুসফুসে প্রবেশের প্রধান পথ। এটি বাতাসকে ফিল্টার করে, গরম করে এবং আর্দ্র করে।
গলবিল (ফ্যারিংক্স): এটি খাদ্যনালী এবং শ্বাসনালীর একটি সাধারণ পথ।
স্বরযন্ত্র (লারিংস): এটি "ভয়েস বক্স" নামেও পরিচিত, যা শব্দ উৎপাদনে সহায়তা করে।
শ্বাসনালী (ট্রাকিয়া): এটি একটি লম্বা নালী যা স্বরযন্ত্র থেকে ফুসফুস পর্যন্ত বিস্তৃত।
ব্রঙ্কাস: শ্বাসনালী দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত হয়ে ডান এবং বাম ফুসফুসে প্রবেশ করে।
ব্রঙ্কিওল: ব্রঙ্কাস আরও ছোট ছোট শাখায় বিভক্ত হয়ে ফুসফুসের ভেতরে প্রবেশ করে, এগুলোকে ব্রঙ্কিওল বলে।
ফুসফুস: এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রধান অঙ্গ, যেখানে গ্যাস বিনিময় (অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ) ঘটে।
মধ্যচ্ছদা (ডায়াফ্রাম): এটি একটি প্রধান শ্বাস-প্রশ্বাসের পেশী যা বক্ষ গহ্বর এবং পেটের গহ্বরকে পৃথক করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় এটি সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়ে ফুসফুসের আয়তন পরিবর্তনে সাহায্য করে।
------------------------------------------------------------
৪. স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো মস্তিষ্ক, সুষুম্নাকাণ্ড, এবং স্নায়ু। এই অঙ্গগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করে শরীরের বিভিন্ন কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
মস্তিষ্ক: এটি স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ এবং শরীরের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি স্মৃতি, বুদ্ধি, ভাষা এবং অন্যান্য মানসিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে।
সুষুম্নাকাণ্ড: এটি মস্তিষ্ক থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে বার্তা প্রেরণ করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
স্নায়ু: স্নায়ু হলো স্নায়ুতন্ত্রের মৌলিক উপাদান, যা মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ড থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে বার্তা বহন করে। স্নায়ু প্রধানত দুই প্রকার: করোটি স্নায়ু এবং মেরুরজ্জুর স্নায়ু।
এছাড়াও, স্নায়ুতন্ত্রকে দুটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়:
১) কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (Central Nervous System): এটি মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ড নিয়ে গঠিত।
২) প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র (Peripheral Nervous System): এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বাইরে অবস্থিত স্নায়ু এবং গ্যাংলিয়া নিয়ে গঠিত, যা শরীরের বিভিন্ন অংশের সাথে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সংযোগ স্থাপন করে।
-------------------------------------------------------------------
৫. মানবদেহের রেচনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো: বৃক্ক (কিডনি), ইউরেটার (সংগ্রহী নালী), মূত্রথলি (ইউরিনারি ব্লাডার) এবং মূত্রনালী (ইউরেথ্রা)। এই অঙ্গগুলো একসাথে কাজ করে শরীরের বর্জ্য পদার্থ (যেমন: ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড) নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
রেচনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গসমূহ:
বৃক্ক (Kidney): এটি প্রধান রেচন অঙ্গ, যা রক্ত পরিশোধন করে এবং মূত্র তৈরি করে।
ইউরেটার (Ureter): এটি বৃক্ক থেকে মূত্রথলিতে মূত্র বয়ে নিয়ে যায়।
মূত্রথলি (Urinary Bladder): এটি মূত্র জমা করে রাখে।
মূত্রনালী (Urethra): এটি মূত্রথলি থেকে মূত্র শরীরের বাইরে বের করে দেয়।
--------------------------------------------------------------------
৬. অন্তঃস্রাবী তন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো: হাইপোথ্যালামাস, পিটুইটারি গ্রন্থি, পাইনাল গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি, প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি, থাইমাস গ্রন্থি, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং অগ্ন্যাশয়। এই অঙ্গগুলো হরমোন নিঃসরণের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
এখানে প্রধান অঙ্গগুলির একটি তালিকা দেওয়া হলো:
1. হাইপোথ্যালামাস (Hypothalamus): মস্তিষ্কের একটি অংশ যা পিটুইটারি গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ঘুম এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
2. পিটুইটারি গ্রন্থি (Pituitary Gland): একে মাস্টার গ্রন্থি বলা হয়, যা অন্যান্য গ্রন্থিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের বৃদ্ধি, প্রজনন এবং বিপাক সহ বিভিন্ন কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে।
3. পাইনাল গ্রন্থি (Pineal Gland): মস্তিষ্কের একটি ছোট গ্রন্থি যা মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ করে, যা ঘুম এবং জাগ্রত হওয়ার চক্র নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
4. থাইরয়েড গ্রন্থি (Thyroid Gland): ঘাড়ে অবস্থিত একটি গ্রন্থি যা থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ করে, যা বিপাক এবং শরীরের অন্যান্য কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
5. প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি (Parathyroid Glands): থাইরয়েড গ্রন্থির সাথে সংযুক্ত ছোট গ্রন্থি যা প্যারাথাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ করে, যা ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
6. থাইমাস গ্রন্থি (Thymus Gland): বুকের মধ্যে অবস্থিত একটি গ্রন্থি যা শ্বেত রক্তকণিকা (টি-কোষ) তৈরিতে সহায়তা করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ।
7. অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি (Adrenal Glands): কিডনির উপরে অবস্থিত গ্রন্থি যা অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসলের মতো বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ করে, যা স্ট্রেস মোকাবেলা, বিপাক এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
8. অগ্ন্যাশয় (Pancreas): এটি একটি মিশ্র গ্রন্থি যা হজমে সহায়তা করার জন্য এনজাইম এবং ইনসুলিন ও গ্লুকাগন এর মতো হরমোন নিঃসরণ করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
এই গ্রন্থিগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন বৃদ্ধি, প্রজনন, বিপাক, মানসিক এবং শারীরিক চাপ মোকাবেলা, ঘুম, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহায়তা করে।
-------------------------------------------------------------------
৭. মানব কঙ্কালতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো অস্থি (হাড়), তরুণাস্থি (cartilage), এবং লিগামেন্ট। কঙ্কালতন্ত্রের প্রধান কাজগুলো হলো দেহের কাঠামো তৈরি করা, অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া, এবং নড়াচড়া করতে সহায়তা করা।

কঙ্কালতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
অস্থি (Bone): মানবদেহের মূল কাঠামো তৈরি করে এবং বিভিন্ন অঙ্গকে সুরক্ষা দেয়।
তরুণাস্থি (Cartilage): অস্থিসন্ধিগুলোতে থাকে এবং ঘর্ষণ কমিয়ে নড়াচড়া সহজ করে।
লিগামেন্ট (Ligament): অস্থিসন্ধিগুলোকে একসাথে ধরে রাখে এবং অস্থির নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অস্থিসন্ধি (Joint): যেখানে দুটি বা তার বেশি অস্থির মিলন ঘটে, সেগুলোকে অস্থিসন্ধি বলে।

কঙ্কালতন্ত্রকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়:
1. অক্ষীয় কঙ্কাল (Axial Skeleton): করোটি, মেরুদণ্ড, এবং বক্ষপিঞ্জর নিয়ে গঠিত।
2. উপাঙ্গীয় কঙ্কাল (Appendicular Skeleton): হাত, পা, এবং এদের সাথে সংশ্লিষ্ট অস্থিচক্র (যেমন: স্ক্যাপুলা, কলারবোন, পেলভিস) নিয়ে গঠিত।
কঙ্কালতন্ত্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ:
করোটি (Skull): মস্তিষ্ককে রক্ষা করে।
মেরুদণ্ড (Vertebral column): দেহের মূল কাঠামো তৈরি করে এবং স্নায়ুকে সুরক্ষা দেয়।
বক্ষপিঞ্জর (Rib cage): হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসকে রক্ষা করে।
হাত ও পায়ের অস্থি (Bones of limbs): অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে সাহায্য করে।
পেলভিস (Pelvis): শরীরের নিচের অংশকে সমর্থন করে এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে।
কঙ্কালতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ:
কঙ্কালতন্ত্র শরীরের কাঠামো তৈরি করে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সঠিক অবস্থানে রাখে।
পেশী এবং অস্থির সংযোগের মাধ্যমে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে সাহায্য করে।
গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে রক্ষা করা:-করোটি মস্তিষ্ককে, বক্ষপিঞ্জর হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসকে রক্ষা করে।
রক্তকণিকা উৎপাদন করা:
কিছু অস্থির মধ্যে অস্থিমজ্জা লোহিত রক্তকণিকা এবং শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করে।
-------------------------------------------------------
৮. পেশীতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো কঙ্কালের পেশী, হৃদপেশী এবং মসৃণ পেশী। এই অঙ্গগুলো শরীরের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে, যেমন নড়াচড়া, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন, এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গের কার্যক্রম।
পেশীতন্ত্রের অঙ্গসমূহ:
কঙ্কালের পেশী: এগুলি হাড়ের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং স্বেচ্ছায় নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। যেমন, হাত ও পায়ের পেশী।
হৃদপেশী: হৃদপিণ্ডের প্রাচীরে অবস্থিত এই পেশী হৃদযন্ত্রকে সংকুচিত ও প্রসারিত করে রক্ত পাম্প করতে সাহায্য করে।
মসৃণ পেশী: খাদ্যনালী, পাকস্থলী, অন্ত্র, মূত্রাশয় এবং রক্তনালীর মতো অঙ্গের প্রাচীরে মসৃণ পেশী পাওয়া যায়। এগুলি অনৈচ্ছিক নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে খাদ্যবস্তু সঞ্চালন।
পেশীতন্ত্রের কাজ:
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে সহায়তা করা।
শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করা।
রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করা।
পরিপাক, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা।
দেহের গঠন এবং সুরক্ষা প্রদান করা।
পেশী বিভিন্নভাবে কাজ করে, যেমন:
ঐচ্ছিক পেশী (যেমন কঙ্কালের পেশী) আমাদের ইচ্ছানুযায়ী নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
অনৈচ্ছিক পেশী (যেমন হৃদপেশী এবং মসৃণ পেশী) আমাদের ইচ্ছার বাইরে স্বাধীনভাবে কাজ করে।
পেশী ও কঙ্কালতন্ত্র একসাথে কাজ করে দেহের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।
--------------------------------------------------------------
৯. প্রজননতন্ত্র মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এটি প্রধানত দুই প্রকার: পুরুষ প্রজননতন্ত্র এবং স্ত্রী প্রজননতন্ত্র। উভয় প্রজননতন্ত্রেই কিছু প্রধান অঙ্গ এবং সহযোগী অঙ্গ থাকে।
প্রজননতন্ত্রের প্রকারভেদ:
পুরুষ প্রজননতন্ত্র: এটি শুক্রাণু তৈরি, পরিবহন এবং যৌন মিলনের জন্য দায়ী।
স্ত্রী প্রজননতন্ত্র: এটি ডিম্বাণু তৈরি, নিষেক, ভ্রূণের বিকাশ এবং প্রসবের জন্য দায়ী।
এই অঙ্গগুলো একে অপরের সাথে মিলিতভাবে কাজ করে এবং প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

পুরুষ প্রজননতন্ত্রের অঙ্গসমূহ:
শুক্রাশয় (Te**es): এখানে শুক্রাণু তৈরি হয়।
এপিডিডাইমিস (Epididymis): এখানে শুক্রাণু জমা ও পরিপক্ব হয়।
শুক্রনালী (Vas deferens): শুক্রাণু এখান থেকে শরীরের বাইরে বের হয়ে আসে।
পুরুষাঙ্গ (P***s): যৌন মিলনের সময় সঙ্গমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
শুক্রথলি (Seminal vesicles): গ্রন্থি যা বীর্য তৈরিতে সাহায্য করে।
প্রোস্টেট গ্রন্থি (Prostate gland): গ্রন্থি যা বীর্য তৈরিতে সাহায্য করে।
কাওপার্স গ্রন্থি (Cowper's gland): গ্রন্থি যা সঙ্গমের সময় পিচ্ছিল পদার্থ ক্ষরণ করে।

স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের অঙ্গসমূহ:
ডিম্বাশয় (O***y): ডিম্বাণু তৈরি হয়।
ডিম্বনালী (Fallopian tube/Oviduct): ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে জরায়ুতে যায়।
জরায়ু (Uterus): এখানে ভ্রূণ বৃদ্ধি পায়।
যোনি (Va**na): যৌন মিলন এবং প্রসবের পথ।

সহযোগী অঙ্গ:
ভালভা (V***a): বাইরের অঙ্গ, যার মধ্যে রয়েছে মনস পিউবিস, ল্যাবিয়া মেজোরা, ল্যাবিয়া মাইনোরা, ক্লিটোরিস ইত্যাদি।
স্তন (Breasts): যা সন্তান জন্মের পর দুধ তৈরি করে।
-------------------------------------------------------------
১০. ত্বক (Skin) মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ এবং এটি আচ্ছাদন তন্ত্রের একটি অংশ। ত্বক প্রধানত তিনটি স্তরে গঠিত: এপিডার্মিস, ডার্মিস এবং হাইপোডার্মিস। এই স্তরগুলো ছাড়াও, ত্বকের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য অঙ্গ যেমন - চুল, নখ, এবং বিভিন্ন গ্রন্থি (যেমন ঘর্মগ্রন্থি ও তৈলগ্রন্থি) রয়েছে।
ত্বক তন্ত্রের অঙ্গসমূহ:
ত্বক (Skin): মানবদেহের বৃহত্তম অঙ্গ, যা বাহ্যিক পরিবেশ থেকে অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে।
এপিডার্মিস (Epidermis): ত্বকের সবচেয়ে বাইরের স্তর, যা সুরক্ষা প্রদান করে এবং ত্বকের রঙ নির্ধারণে সাহায্য করে।
ডার্মিস (Dermis): এপিডার্মিসের নিচে অবস্থিত স্তর, যা চুলের গোড়া ধারণ করে এবং এপিডার্মিসে পুষ্টি সরবরাহ করে।
হাইপোডার্মিস (Hypodermis): ত্বকের সবচেয়ে ভেতরের স্তর, যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
চুল (Hair): ত্বক থেকে উৎপন্ন এক ধরনের আঁশযুক্ত পদার্থ, যা ত্বককে উত্তাপ থেকে রক্ষা করে এবং সংবেদনশীলতা প্রদান করে।
নখ (Nails): হাতের আঙুল এবং পায়ের আঙুলের ডগায় অবস্থিত শক্ত প্লেট যা আঙুলকে রক্ষা করে।
গ্রন্থি (Glands): ত্বকের গ্রন্থিগুলির মধ্যে
১) ঘর্মগ্রন্থি (sweat glands) : ঘর্মগ্রন্থি ঘাম নিঃসরণের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
২) তৈলগ্রন্থি (sebaceous glands) : তৈলগ্রন্থি তেল নিঃসরণের মাধ্যমে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
এই অঙ্গগুলো সম্মিলিতভাবে ত্বক তন্ত্র গঠন করে এবং শরীরের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
--------------------------------------------------------------
১১. লসিকা তন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো লসিকা, লসিকা বাহ, এবং লসিকা গ্রন্থি। এছাড়াও, টনসিল, থাইমাস, প্লীহা, অস্থিমজ্জা এবং কিছু নির্দিষ্ট টিস্যু লসিকা তন্ত্রের অংশ হিসেবে কাজ করে।
লসিকা তন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো:
লসিকা (Lymph): এটি এক ধরনের স্বচ্ছ তরল যা রক্ত থেকে উৎপন্ন হয় এবং টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং রোগ প্রতিরোধকারী কোষ বহন করে।
লসিকা বাহ (Lymph vessels): এগুলি লসিকা বহনকারী নালী যা সারা শরীরে জালকের মতো বিস্তৃত।
লসিকা গ্রন্থি (Lymph nodes): এগুলি ছোট ছোট বিন্যাস্ত গ্রন্থি যা লসিকা নালীর পথে অবস্থিত এবং লসিকা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
টনসিল (Tonsils): এটি হল গ্রন্থি যা মুখ ও গলার পেছনের দিকে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
থাইমাস (Thymus): এটি বুকের মধ্যে অবস্থিত একটি গ্রন্থি যা লিম্ফোসাইট (এক ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা) তৈরিতে সাহায্য করে।
প্লীহা (Spleen): এটি পেটের বাম দিকে অবস্থিত একটি অঙ্গ যা রক্ত পরিশোধন করে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
অস্থিমজ্জা (Bone marrow): এটি হাড়ের ভিতরে অবস্থিত একটি নরম টিস্যু যা লিম্ফোসাইট সহ বিভিন্ন ধরণের রক্তকণিকা তৈরি করে।
কিছু নির্দিষ্ট টিস্যু (Certain tissues): অন্ত্রের (intestine) লসিকা কলা- যা MALT (mucosa-associated lymphoid tissue) নামে পরিচিত, এরাও লসিকা তন্ত্রের অংশ।
এই অঙ্গগুলো collectively, লসিকা তন্ত্র গঠন করে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ এবং তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(ছবিগুলো অনলাইন থেকে সংগৃহীত)
পিডিএফ ফাইল-৩এমবি
https://drive.google.com/file/d/1WTyry7S47D_Yxy2NX9oIne7LEfX3Z5YT/view?usp=sharing

ডাঃ মোঃ ফারুক আহমেদ
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

আর্কটিয়াম লাপ্পা (Arctium Lappa), অপর নাম-লাপ্পা মেজরঃএই ঔষধটি রক্তশোধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। জরায়ু-চ্যুতি, বন্ধ্যাত্ব ও ...
27/06/2025

আর্কটিয়াম লাপ্পা (Arctium Lappa), অপর নাম-লাপ্পা মেজরঃ
এই ঔষধটি রক্তশোধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। জরায়ু-চ্যুতি, বন্ধ্যাত্ব ও দুধের মত মূত্র রোগেও ঔষধটি বহু পূর্বে হইতে ব্যবহৃত হয়।
ডাঃ বার্ট বলেন- আর্কটিয়াম বৃক্ষের পাতার ক্বাথ কিছুদিন ব্যবহার করার পর উগ্রজাতীয় চর্মরোগ আরোগ্য হয়।
ডাঃ হেল্ বলেন– যাদের বারংবার ফোঁড়া হয় তাহাদিগকে এই ঔষধ সেবন করতে দিলে ফোঁড়া হওয়ার প্রবণতা দূর হয়ে থাকে।
ডাঃ ফ্যারিংটন বলেন-যে সকল একজিমা সর্বদা রসে ভিজে থাকে এবং উপরে সাদা সাদা মামড়ি পড়ে সেইসঙ্গে গ্রন্থি ফোলে তাতে এই ঔষধটি উপযোগী।
টিনিয়া-স্ক্যাপিটিস নামক চর্মরোগ যখন শিশুদের কানের পাশে বা মুখে আরম্ভ হয়ে মাথায় ছড়িয়ে পড়ে ও ঘায়ের উপর সাদা চটা পড়ে, তখন ডাঃ বার্ট আর্কটিয়াম প্রয়োগ করতে উপদেশ দেন।

আর্কটিয়াম গ্রীষ্মকালীন ফোঁড়ার জন্যও ফলপ্রদ ঔষধ। গ্রীষ্মকালে একটি একটি করে অনেকগুলি ফোঁড়া হয়ে পেকে শুকিয়ে গিয়া আবার নূতন করে ফোঁড়া বের হওয়া এটার নির্দেশক।

সদৃশ—আর্ণিকা – গ্রীষ্মকালীন ছোট ছোট ফোঁড়ায় আর্ণিকা উৎকৃষ্ট ঔষধ। উপকার না হলে আর্কটিয়াম দিবেন।
এম, ভট্টাচার্য
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

আর্ণিকার রোগীলিপি-১৯১৪-১৯১৮ সালের মধ্যে বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন একজন ফরাসি মহিলা টাইফয়েডের ভীষণ খারাপ অবস্থায় আমাদের হাসপাতা...
26/06/2025

আর্ণিকার রোগীলিপি-
১৯১৪-১৯১৮ সালের মধ্যে বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন একজন ফরাসি মহিলা টাইফয়েডের ভীষণ খারাপ অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আসেন। তার রোগ বেড়েই চলল। রোগের চরম অবস্থায় তিনি বলা শুরু করলেন-"আমি খুব ভাল আছি"। তাকে আর্ণিকা দেওয়া হল।
আর্ণিকায় একথাটির জন্য দুটি চমত্কার রুব্রিক আছে- Delusion, well he is (সে সুস্থ আছে/ভাল আছে এরূপ ভ্রান্তবিশ্বাস)।
Well, says he is when very sick (অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায়ও বলে সে ভালো/সুস্থ আছে)।
ডিলিরিয়ামও থাকতে পারে। রুব্রিক : Delirium, well declare she is (প্রলাপ, দাবি করে সে ভালো আছে)।
আর্ণিকার আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিক :
Fear, paralysis of (পক্ষাঘাতের ভয়)।
Fear, hurt of being (আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ভয়)।
Fear, touch of (স্পর্শের ভয়)।
Fear of being hurt (আঘাত বা চোট লাগার ভয়)।
Refuses, to take the medicine (ঔষধ খেতে অস্বীকার করে)।
Mood, repulsive, to take medicine (ঔষধ খেতে মেজাজ খারাপ হয়)।
Obstinate, headstrong , declares there nothing wrong with him (একগুয়ে, দাবি করে তার কিছু হয়নি)।
Irritability, send the doctor home, says he is not sick(খিটখিটে, ডাক্তারকে বাড়ি যেতে নির্দেশ দেয়,বলে সে অসুস্থ নয়)
Praying, quietly (নীরবে, অনুরোধ/প্রার্থনা/মিনতি করে)।
Dictatorial, command talking with air of (একনায়কসুলভ, কর্তৃত্বপরায়ণ/আদেশের সুরে কথা বলে)।
Flatterer (চাটুকার)।
Mood, repulsive (মেজাজ, বিরক্তিকর)।

কেন্ট আর্নিকা সম্পর্কে বলেছেন-"এটি একটি আশ্চার্যজনক ঔষধ কিন্তু এর সম্পর্কে ভুল বোঝা হয় এবং এটি অপব্যবহার হয়। কারণ এটি প্রায় কালশিরা চিকিত্সায় সীমিত ব্যবহার। রেপার্টরিতে আর্নিকার প্রায় ৫৯৪-টি রুব্রিক আছে। তাই এটিকে শুধু আঘাতের ঔষধ হিসেবে চিন্তা না করে আরো ব্যাপকভাবে চর্চা করা ও ব্যবহার করা উচিত।

আর্ণিকার রোগী বিষন্ন, সে একাকী থাকিতে চায়, সে চায় না যে কেহ তাহার সহিত কথা বলুক; কেহ তাহার কাছে আসুক। সে কাহাকেও কাছে আসিতে দিতে চায় না দুই কারণে, প্রথম তাহার মানসিক অবস্থা—সে কাহারও সহিত কথাবার্তায় প্রবৃত্ত হইতে চায় না, দ্বিতীয়তঃ তাহার দেহে অত্যন্ত ক্ষতবৎ বেদনা থাকার জন্য, সে চাহে না যে, কেহ তাহাকে স্পর্শ করুক। এই ঔষধে এই দুইটি বিশেষ লক্ষণীয় ব্যাপার। উত্তেজনাপ্রবণ, বিষন্ন, দুঃখিত, ভয়পূর্ণ, সহজেই ভীত; নানারূপ কল্পনা করে, বিশেষতঃ ভাবে যে, তাহার কোন হৃৎরোগ হইয়াছে অথবা তাহাকে পচনশীল ক্ষতরোগে মরিতে হইবে অথবা তাহাকে কোন গভীরমূল রোগে আক্রমণ করিয়াছে। সে বুকচাপা স্বপ্ন দেখে, ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখে, কর্দমাক্ত জল, দস্যু প্রভৃতির স্বপ্ন দেখে। রাত্রিকালে ভয় পায়। মাঝে মাঝেই সে রাত্রে জাগিয়া উঠে, হৃৎপিন্ডস্থানে হাত দিয়া চাপিয়া ধরে, অত্যন্ত ভয় পাওয়ার ন্যায় চেহারা হয়, ভয় করে, যেন কোন সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার ঘটিবে। এই সময় অকস্মাৎ তাহার মৃত্যুভয় দেখা দেয়, সে জাগিয়া উঠে, হৃৎপিন্ডস্থানটি চাপিয়া ধরে। এবং মনে করে যে, সে মরিতে চলিয়াছে। তাহার দুঃসহ কষ্ট হয়, কিন্তু অবশেষে সে প্রকৃতিস্থ হয়, শুইয়া পড়ে এবং ভীতিপূর্ণ নিদ্রা যায়, আবার অকস্মাৎ মৃত্যুভয়ে লাফাইয়া উঠে এবং বলেও “এখনই একজন ডাক্তার ডাকিয়া আন।” এই সকল লোক দিনের বেলায় বেশ ভাল থাকে, কিন্তু রাতের পর রাত এইরূপ চলিতে থাকে; ইহারা অপরের সহানুভূতি হারায়; কারণ, মনে হয় যে, তাহাদের বাস্তবিক কোন রোগ নাই, এটি তাহাদের মানসিক অবস্থা মাত্র। যে সকল লোক কোন রেল দুর্ঘটনায় পড়িয়াছিল অথবা কোন আকস্মিক সঙ্ঘাতের ফলে আহত হইয়া বেদনা ও চোট পাইয়াছিল, তাহাদের মধ্যেও এরূপ অবস্থা দেখা যায়। তাহারা রাত্রিকালে অকস্মাৎ মৃত্যুর ভয়ে জাগিয়া উঠে, চেহারাটি ভীতিপূর্ণ হইয়া উঠে এবং পূর্বে তাহারা যেরূপ ভয় পাইয়াছিল, সেইরূপ অবস্থারই পুনরাবির্ভাব হয়। ইহা ‘ওপিয়াম সদৃশ অবস্থা, কেবলমাত্র ‘ওপিয়ামের ক্ষেত্রে ভয়টি দিনের বেলাতেই থাকে আর আর্ণিকা উহার স্বপ্ন দেখে।
J.T. Kent
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

Child nature feel through observation:আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা আপনাদেরকে বলি ---Phosphorus child are very happy go lu...
01/03/2024

Child nature feel through observation:
আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা আপনাদেরকে বলি ---

Phosphorus child
are very happy go lucky, enjoys, company, irrespective of any age, caring loving and affectionate. মা ও বাবা যখন থাকবে না তখন সে দিদার খুব প্রিয়পাত্র হয়ে থাকে এবং দিদার সাথে Continuously attached হয়ে থাকবে। যেই তার মা বাড়ীতে আসবে, তখনই সে মার কাছে চলে আসবে এবং তার কাছ ছাড়বে না। দিদাকে তখন চিনবেই না। মা না থাকলে দিদার এত প্রিয় হয়ে থাকবে যে, তখন দিদার মনে হবে, সে দিদাকে ছাড়া থাকতেই পারে না । এটাই হলো Hypocrisy ( when someone pretends to believe something that they do not really believe or that is the opposite of what they do or say at another time / ভন্ডামি )
Waiting room এ অন্য সবার সাথে (যে কোন বয়সেই হোক না কেন) খেলবে, মিশবে, হাসবে, মজা করবে। সে Doctor কে constantly watch করবে।
(1) MIND PHENOMENA WATCHFULNESS - children are on the lookout for every gesture.
(2) MIND - PHENOMENA - WATCHFULNESS - movement in the vicinity or every movement of the doctor, of every.
Hyoscyamus ও watch করে suspiciousness and fear injury -র জন্য (injectionএর ভয়ের জন্য) ।
Phosphorus, Watch করে simple watchfulness এর জন্য ( MIND - ALERT - movement; of every doctor; of ) I

Tuberculinum এবং Carcinosinum child রা যখন আমাদের কাছে আসে তাদের চারিত্রিক লক্ষণ গুলো প্রায়ই একই রকম দেখায় এবং তাদেরকে তফাৎ করাটা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। একটা উদাহরণের মাধ্যমে তাদেরকে পৃথক করি – একটা ৪বৎসরের বাচ্চা জ্বর নিয়ে এসেছে। হাতে বাবার মোবাইল, সেটাকে নিয়ে সে খেলে যাচ্ছে (Amusement desire for ) I বাবা তার হাত থেকে সেটা নেওয়ার চেষ্টা করতেই সে প্রচন্ড রেগে গেল এবং বাবাকে মারতে উদ্ধত হলো । রুব্রিক -
MIND - ANGER contradiction; from.
MIND - THREATENING.
MIND CONTRADICTION - intolerant of contradiction.
MIND-CONTRARY - parents; with.
হাতের কাছে যা পাবে সবই ছুড়ে ফেলে দিল। (MIND - ANGER- throwing things around / MIND BEHAVIOR PROBLEMS - children; in)। বাবা তাকে এর জন্য বকা মাত্রই, রাগে বাবাকে মারতে শুরু করলো (MIND STRIKING - children; in reprehended; when ) । সে একটা জিনিষ নিয়ে খেলতে খেলতে আর একটা জিনিষ নিয়ে খেলতে চাইবে (MIND CHANGE - desire for)! This is Tuberculinum child.

Sometime in doing so he may even damage the mobile as Tuberculinum cannot survive without a change (MIND - DESTRUCTIVENESS - children; in). Lachesis child will play with the mobile for a long time without any destruction of the play things and will deeply engaged with the mobile and cannot be diverted from the play without any change of the play things (Amusement desire for) ---- this is the main difference between Lachesis and Tuberculinum child is their amusement.
We will notice in Carcinosinum, Tuberculinum, and Lachesis, the energy label of the child which is so high that you will become astonished seeing his energy label as his mother will complain that in home too he is very energetic. Parents cannot imagine from where he get it (GENERALS ENERGY - excess of energy - children; in).

Carcinosinum এর শিশুরাও Tuberculinum এর মত Destructive/ Contradiction intolerance to Change desire
GENERALS - ENERGY - excess of energy - children; in, কিন্তু এদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল Carcinosinum, harmony চায় (MIND HARMONY - desire for, MIND PLEASING - desire to please others), এর জন্য সে বাবাকে কখনই মারবে না। Carcinosinum is not present in the rubric "MIND STRIKING - children ; in reprehended; when”, কখনই সে বাবার মতের বিরুদ্ধে যায় না । কারণ সে Mild and Yielding (In the rubric "contrary parents to " Carcinosinum is absent) । এরা কখনো রাগে জিনিষ পত্র ছুড়ে ফেলবে না। এবং বাবাকে Threat বা শাসানি দেবে না।

এবার ভালো করে বুঝে নেবো -
The basic difference between Lycopodium, Veratrum album, Platinum and Lachesis child through some observations only. কেবল মাত্র পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রোগীর ঔষধ নির্বাচন করবো -
প্রথমেই নিচের রুব্রিকটাকে ভালো করে বুঝে নিই এরপর এদের মধ্যে যে যে ঔষধ আছে (Lycopodium, Veratrum album, Platinum and Lachesis) আলোচনার মাধ্যমে এদের তফাৎগুলো বর্ণনা করবো।
MIND HARD for inferiors and kind for superiors (lycopodium, Veratrum album, Platinum and Lachesis).
“ঘরমে বাঘ লেকিন বাহারমে চুহা”
(ঘরে বাঘ বাইরে ইঁদুর)
রোগীর থেকে যারা দুর্বল বা ছোট, তাদের প্রতি সে দৃঢ় মানষিকতা দেখাবে । আর যারা শ্রেষ্ঠ, উচ্চতর তাদের কাছে সে খুব দয়ালুভাব দেখাবে । অর্থাৎ একরকম ব্যক্তি, দুক্ষেত্রে দুরকম ব্যবহার প্রকাশ করবে। যাদেরকে সে চেনে, জানে এবং মনে করে তার থেকে নিম্নমানের বা কোন ক্ষতি করতে পারবে না তাদের প্রতি এরা খুব রুঢ় মনমানসিকতা প্রকাশ করবে, আর যারা তার থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি তাদের সামনে এরা ইঁদুরের মতো হয়ে থাকবে। এই রুব্রিকের একটা সরল অর্থ আপনাদের কাছে বলতে চাই সেটা হল এরা ঘরের মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করে কিন্তু বাইরের লোকের সামনে এরা নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখবে।
Lycopodum child -
(3) In our clinic we observe the child will sit on stool but his mother will stand beside him.
(২) Doctor এর সাথে এরা soft behavior প্রকাশ করবে at the same time parents এর দিকে harsh look করবে।
(৩) বাবা ও মায়ের সাথে Rude behavior করবে।
(৪) যখনই আমি তার ব্যবহার সম্পর্কে তার বাবার কাছে জানতে চাইবো আমার দিকে তাকিয়ে সে একটু ছোট্ট হাসি দেবে। তখন আমরা দেখতে পাবো তার মুখের colour change হয়ে গেছে।
(৫) তার নাম জিজ্ঞাসা করলে সে কোন উত্তর না দিয়ে মাকে বলবে তুমি বলো (Dictatorial)। মনে রাখবেন lycopodium child, power চায়, সেই জন্য সে অন্যকে dictate করবে। নিজে কোন উত্তর দেবে না_(MIND - DICTATORIAL - power, love of) I Dictatorial person will only speak but could not listen অর্থাৎ শুধু বলবে শুনবে না।
(৬) অচেনা মানুষের সামনে সে Calm, simple, humble কারণ, MIND FEAR - strangers, of এর জন্য।
(৭) Lycopodium হাসে তখনই যখন সে নিজেকে helpless মনে করে। হাসিটাও প্রাণহীন (MIND-LAUGHING-joyless)। এই প্রসঙ্গে জেনে নেওয়া ভালো, কখন Lycopodium হাসে যখন তার ভিতরের দুর্বলতা, ভীরুতা বাইরে প্রকাশ পায় এবং যখন সে নিজেকে helpless মনে করে তখন সে হাসে ( MIND LAUGHING - joyless এবং MIND - LAUGHING - silly)। আগেই বলেছি joyless হলো প্রাণহীন হাসি আর silly হলো বোকার মত (foolish) বিচার বুদ্ধিহীন, ভাবনাহীন lack of thought or judgments.
(৮) রোজ রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে কিন্তু আপনার সামনে তার মা যেই এই ব্যপারে অভিযোগ করে তখন তার মুখে থাকবে বোকার মত হসি (MIND - LAUGHING - silly) কারণ যখনই তার দুর্বলতা প্রকাশ পাবে তখনই সে বোকার মতো হাসি দেবে। এটা আপনারা লক্ষ্য করবেন।
(৯) Lycopodium কিছু পাবার জন্য flattering (কোন কাজ হাসিল করার জন্য মিষ্টি কথা বলা) করে bend down(মাথা নত করবে) হবে এবং মুখে একটা মিষ্টি হাসি দেবে।

Lachesis child --
(1) এরা নতুন কোন ডাক্তারের কাছে যাবে না। সে চায় তার পুরানো ডাক্তারের কাছে যেতে। যার কাছে সে ছোট বেলা থেকে দেখাচ্ছে (MIND DELUSIONS charmed and cannot break the spell) |
(2) সে খুব cartoon দেখতে ভালোবাসে যখন সে cartoon দেখে তখন সে totally become unaware of the surroundings । অর্থাৎ আশপাশের প্রতি তার কোন খেয়ালই থাকে না (MIND AMUSEMENT desire for ) I
(3) মাকে কোন serial দেখতে দেয় না। সেই শুধু cartoon দেখবে।
(4) He is very much caring about his parent's. মা বাবার খুব যত্ন নেয়।
(5) Lach will behave harshly to their parents in home but at the same time they are very caring boy to their parents unlike Lycopodium.
MIND - CARES, full of others, about.
MIND - CARES, full of relatives, about.
Lachesis এক দিকে যেমন মা বাবার প্রতি যত্নশীল, আবার অন্যদিকে তাদের প্রতি খুব কর্কশ এবং রূঢ় ব্যবহার প্রকাশ করবে।
(6) এরা ভীষণ প্রাণবন্ত (Vivacious) ।
খেলাধুলা পছন্দ করে (Playful)।
(7) Lach-এর শিশুরা cartoon-এর মতন নকল পোষাক পরতে চাইবে। যেমন Spiderman এর পোষাক পরবে (MIND IMITATION, mimicry)
(8 ) সে এক জায়গায় কিছুতেই স্থির হয়ে বসবে না (MIND - SITTING aversion to sit)। যেইমাত্র তার কাঙ্খিত Amusement পাবে তখনই সে trance (Sleep like state without response to stimuli) হয়ে পড়বে এবং সে Amusement-এ deeply engaged হয়ে পড়বে এবং চুপ করে বসে থাকবে। Trance হল - মোহগ্রস্থ অবস্থা, ঘুমের মত অবস্থা, যখন বাইরে থেকে ডাকলেও সাড়া দেবে না।
(9) গলায় ব্যাথা হলে সে আইসক্রিম খাবেনা (Careful, Cautious ) I
(10) যে খেলায় খুব মজা আছে সেই খেলাই সে খেলতে চাই ( Antic playing ) I

Verat. Alb. Child --
(1) In our clinic when the parents are complaining about their child to the doctor, we will observe the child as if not hearing the conversation or as if the conversation is not related to him (MIND DEAFNESS; pretended) যেন মনে হবে সে কিছুই শুনতে পাচ্ছে না, কানে কালা এমন একটা ভাব।
(2) তাকে যদি কোন কিছু করতে বলা হয় তবে সেটা সে শোনেইনি এমন একটা ভাব করবে
(MIND - DEAFNESS; pretended) |
(৪) যেটা সে চাইবে তাকে সেইটা তখনই দিতে হবে, না দিলে সে চেঁচাবে (Carried desire to be fast)।
(৫) যদি তার বাবা একজন সাধারণ পুলিশ কনস্টেবল হয় তবে সে সবাইকে বলবে, তার বাবা একজন পুলিশ অফিসার (MIND - LIAR lies, never speaks the truth, does not know what she is saying)।
(৬) স্কুল থেকে এসে সে সামনে না ঝুঁকে জুতো জোড়া, পা দিয়ে খুলবে, মোজা জোড়া পায়ের উপর পা দিয়ে খুলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলবে, সে জানে এগুলো তার মা এসে গুছিয়ে রাখবে। যেন তার মা তার চাকর। যেহেতু সে নিজেকে প্রিন্স ভাবে তাই সে সামনে ঝুঁকে জুতো খুলবে না। (MIND-REVERENCE for those around him - lack of) I
(৭) নিজের মনের মতো কিছু করতে গিয়ে বাবা বা মাকে গালাগাল দেবে (MIND REVERENCE for those around him - lack of + Abusive ) I
(৮) এরা কখনও Simple food, like dal, veg পছন্দ করে না, সে চাইবে দামী জিনিষ খেতে কারণ সে প্রিন্স।
(৯) সে দামী জামা কাপড় ও বেল্ট (বাবার মত) পড়া পছন্দ করে কারণ সে মনে করে সে বাবার মতো বড়।
(১০) নিজের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য কারো কাছে সে মাথা নত করবে না । কারণ সে প্রিন্স।

Platinum child -
(১) এরা তাদের নামের Title বলবেনা (MIND DELUSIONS - belong to her own family; she does not ) ।
(২) এরা কখনও অন্যের কাছে যাবে না, অন্যেরা তার কাছে আসুক সেটা সে চায়। সবার সাথে মিশতে চায় না। কারণ অন্যেরা তো তার থেকে অনেক ছোট, এটাই সে মনে করে।
(৩) এরা সব সময় সব কিছুতে শ্রেষ্ঠ হতে চায় বা শ্ৰেষ্ঠ থাকতে চায়।
ডা, কল্যান কুমার সুর
Insight (A feeling of understanding)
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

Address

Sirajganj
6700

Telephone

+8801736945626

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sirajganj Online Homoeopathic School posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Sirajganj Online Homoeopathic School:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category