
30/05/2025
ঈগল সিনড্রোম:
স্টাইলয়েড প্রসেস নামক একটি হাড়ের (গলার টনসিলের গভীরে) সূচালো অংশ অস্বাভাবিকভাবে লম্বা হয় বা স্টাইলোহয়েড নামক একটি লিগামেন্ট শক্ত হয়ে যায়। এতে আশেপাশের স্নায়ু, রক্তনালি বা টিস্যুতে চাপ পড়ে, ফলে মুখ, গলা ও ঘাড়ে তীব্র ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়।
এই রোগটি সাধারণত ৩০–৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
মহিলাদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় এটি একটু বেশি সাধারণ।
প্রধান লক্ষণসমূহ:
১. গলা বা কানের গভীরে ধারালো ব্যথা (বিশেষত গিলতে, কথা বলতে বা মাথা ঘোরালে গেলে)।
২. কানে বাজা বা চাপ অনুভব হওয়া।
৩. গিলতে কষ্ট হওয়া।
৪. জিভে বা গলার ভেতরে কিছু আটকে আছে মনে হওয়া
৫. ঘাড়ে বা চোয়ালের নিচে ফোলা ফোলা অনুভূত হওয়া।
৬. মাথা, ঘাড়ের ব্যথা বা মাইগ্রেনের মতো ব্যথা।
৭. মাঝে মাঝে মুখের একপাশ অবশ লাগা বা ব্যথা
কারণ:
জন্মগত ত্রুটি: স্টাইলয়েড প্রসেসের অস্বাভাবিক দৈর্ঘ্য বা আকৃতি।
আঘাত বা সার্জারি: টনসিলেক্টমি বা গলা/ঘাড়ের অপারেশনের পর।
বয়সজনিত পরিবর্তন: লিগামেন্টের ক্যালসিফিকেশন (বিশেষত ৪০+ বয়সে)।
রোগ নির্ণয়:
শারীরিক পরীক্ষা: ডাক্তার গলার ভিতরে স্টাইলয়েড প্রসেস স্পর্শ করে ব্যথা যাচাই করেন।
এক্স-রে, সিটি স্ক্যান বা এমআরআই-এর মাধ্যমে হাড়/লিগামেন্টের দৈর্ঘ্য ও অবস্থান নির্ণয়।
চিকিৎসা:
১. ওষুধ: ব্যথানাশক, স্টেরয়েড ইনজেকশন বা মাসেল রিলাক্স্যান্ট।
২. ফিজিওথেরাপি: ঘাড় ও চোয়ালের স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ।
৩. সার্জারি: যদি ব্যথা খুব বেশি হয় এবং ঔষধে উপশম না হয়, তাহলে হাড়টি আংশিক বা সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়।
ব্যথা বা উপসর্গ থাকলে একজন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।