Wafi health

Wafi health আর যেতে হবেনা সিলেট , এখন থেকে সব টেস্ট হবে সুনামগাঞ্জ

খিঁচুনি বা কনভালোশনখিচুনি আমাদের দেশের শিশুদের খুব পরিচিত সাধারণ রোগ। বিভিন্ন কারণে খিঁচুনি হতে পারে। শিশুদের নান কারণে ...
07/12/2022

খিঁচুনি বা কনভালোশন

খিচুনি আমাদের দেশের শিশুদের খুব পরিচিত সাধারণ রোগ। বিভিন্ন কারণে খিঁচুনি হতে পারে। শিশুদের নান কারণে খিঁচুনি বেশি হলেও বড়দের যে একেবারেই হয় না তা কিন্তু নয়। বড়দের মৃগীরোগ, মস্তিষ্কের টিউমার মস্তিষ্কের ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগে সাধারণত খিঁচুনি হয়।

খিঁচুনি (Convulsion) : খিচুনি হলে রোগীর সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গে ঝাঁকুনিসহ কাঁপতে থাকে। কখনো কখনো সা শরীরে খিঁচুনি না হলে কোনো একটি বিশেষ অঙ্গে খিঁচুনি হতে পারে। খিঁচুনি হলে রোগীর শরীর শক্ত হয়ে যেতে পারে। খিঁচুনি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন- কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে রোগের তীব্রতা ও ধরণের ও ভিত্তি করে কয়েক ঘণ্টা বা দিনে পর্যন্ত খিঁচুনি হতে পারে।

কারণ (Cause) :

* নবজাতকের শ্বাসরুদ্ধতা * শরীরের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেড়ে গেলে প্রধানত শিশুদের (জ্বর খিচুনি) সেপটিসেমিয় (সংক্রমণের ফলে রক্ত আক্রান্ত হলে) * মস্তিষ্কের প্রদাহ (এনকেফালাইটিস) * মস্তিষ্কের আবরক ঝিল্পীর প্রদর (মেনিনজাইটিস) * ধনুষ্টংকার রক্তে শর্করা ও খনিজ লবণের কম-বেশি হওয়া শিশুর নিউমোনিয়া হলে উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃগীরোগ (Epilepsy) মস্তিষ্কে আঘাত মস্তিষ্কের টিউমার।

চিকিৎসা (Treatment) : শিশুর খিঁচুনি হলে অস্থির না হয়ে ঠান্ডামাথায় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য হবে-

(ক) খিচুনি চলাকালীন সময়ে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস যেন বাধা প্রাপ্ত না হয়, সে ব্যবস্থা নেয়া। দাঁত দিয়ে যেন জিহ্ব না কাটে এবং শ্বাস নেয়ার সুবিধার্থে এয়ারওয়ে টিউব মুখে দেয়া যেতে পারে।

(খ) যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি খিঁচুনি বন্ধ করা। (গ) খিঁচুনির কারণ উদঘাটন করে যথাযথ চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা হাসপাতালে প্রেরণ ।

শিশুর খিঁচুনির সময় যা করা উচিত : * শিশুর গায়ের কাপড় ঢিলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা হাসপাতালে প্রেরণ। শিশুর খিঁচুনির সময় যা করা উচিত : * শিশুর গায়ের কাপড় ঢিলা করতে হবে * শিশুকে একপাশে কাৎ করে শোয়ানো উচিত, * শিশুর নাক ও মুখ উন্মুক্ত রাখা যাতে সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে ও মুখের লালা বা বমি ইত্যাদি বেরিয়ে আসতে পারে * প্রয়োজনবোধে শিশুর নাক-মুখ থেকে বেরিয়ে আসা শ্লেষ্মা মুছে দিতে হবে * শিশুর খিঁচুনি বন্ধের জন্য তার মলদ্বারে ডায়াজিপাম ইনজেকশন (০.৫ মিঃগ্রাম/প্রতি কেজি হিসেবে) বাটারফ্লাই নিডল সেটের প্লাস্টিকের টিউবের সাহায্যে দেয়া জ্বর থাকলে কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শিশুর সারা শরীর। স্পঞ্জ করা * শিশুকে নিকটস্থ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নেয়ার ব্যবস্থা করা।

শিশুর খিচুনির সময় যা করা নিষেধ : দাঁতে দাঁতে খিচুনি কমানোর জন্য শিশুকে চেপে ধরা যাবে না শিশু পা ধরে মাথা নিচু করে ঝুলিয়ে রাখা যাবে না দাঁতে দাঁতে বাড়ি খাওয়া বা জিহ্বা কামড়ানো বন্ধ করার জন্য দুপাটি দাঁতের ফাঁকে চামচের ডাঁট, কাঠ বা বাঁশের কাঠি ঢুকিয়ে রাখা যাবে না। কেননা এতে কোন লাভ হয় না। বরং ক্ষতি হয় বাচ্চাকে কোন কিছু খেতে দেবেন না বা খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না, তা ঔষধ, পানীয় বা খাদ্য যাই হোক না কেন। এমতাবস্থায় শিশুকে খেতে দিলে মারাত্মক অবস্থান হতে পারে শিশুকে নাকে মুখে কিছু শুকতে দেয়া যাবে না। অনেকেই লোহা, ফুল, সাবান, ধূপ-ধূনা, জুতো-স্যান্ডেল এসময় শুঁকতে দিয়ে থাকেন, এটা খিঁচুনি থামাতে কোন উপকারই করে না। খিচুনি তার স্বাভাবিক নিয়মেই কিছুক্ষণ পর থামে আর কৃতিত্বটা পায় সেই জুতো-স্যান্ডেল।

খিচুনি সম্পর্কে সতর্কতা : * শিশুর খিঁচুনিকে কখনোই আলগা বাতাস, উপরি আছর, ভূত-প্রেতের নজর, কৃমির উস্কানী, নতুন দাঁত ওঠা, পেটের ব্যথা, রাগ বা জেদ মনে করা যাবে না। কারণ এসব কারণে কখনোই শিশুদের খিঁচুনি হয় না শিশুর খিঁচুনি কে সর্বদা গুরুতর রোগ মনে করতে হবে শিশুর খিঁচুনি যতই ক্ষীণ বা ক্ষনিকের হয়ে থাকুক না কেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এক বছর বয়সের কম বয়সী শিশুর জীবনের প্রথম খিঁচুনিতে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করতে হবে অনেকক্ষণ ধরে খিঁচুনি হলে মস্তিস্কের ক্ষতি হতে পারে, তাই শিশুকে খিঁচুনি মুক্ত করতে তাড়াতাড়ি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

জটিলতা (Complication) : খিঁচুনি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে তা থেকে মস্তিষ্কের ক্ষতি পরে যা শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি এবং মেধার বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে। ধীরে ধীরে এ থেকে মৃগীরোগ হতে পারে ।

দাদ/দাউদ দাদ ছত্রাক ঘটিত একটি সাধারণ চর্ম রোগ। ইহা সকল বয়সের লোকদেরই হইতে পারে। ইহা ছোঁয়াচে এবং দ্রুত একজনের দেহ থেকে ...
06/12/2022

দাদ/দাউদ

দাদ ছত্রাক ঘটিত একটি সাধারণ চর্ম রোগ। ইহা সকল বয়সের লোকদেরই হইতে পারে। ইহা ছোঁয়াচে এবং দ্রুত একজনের দেহ থেকে অন্য দেহে যায়। ইহা মানুষের চামড়ার মধ্যে থাকে। ইহারা নিচে যায় না। ইহা শরীরের যে কোন স্থানে চামড়া আক্রান্ত হইয়া উহার চারিদিকে গোলাকার হইয়া ছড়াইয়া পড়ে। উহা দেখিতে আংটির মত হয় বলিয়া উহাকে রিং ওয়ার্ম বলে। শরীরের স্থান অনুসারে দাদের বিভিন্ন নাম হয়

১। টিনিয়া কেপিটিস (Tinea Capitis) : মাথার দাদ । ইহা সাধারণত : ছোট ছেলে-মেয়েদের মাথায় হইয়া থাকে।

২। টিনিয়া করপরিস (Tinea Coporis) : শরীরের দাদ। সাধারণত : ট্রাইকোফাইটন (Trichophyton) দ্বারা সংঘটিত হয়।

৩। টিনিয়া ক্রুরিজ (Tinea Cruris) : বগল বা কুচকিতে দাদ। ঘামাচির মত ফুস্কুড়ি হয়। ইহা আরও মারাত্মক। ইহা দ্রুত বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়।

৪ । টিনিয়া বারবেয়ী (Tinea Barbae ) : দাড়ির দাদ। ইহা সচরাচর উপরের ঠোঁটে হয় না। ৫। টিনিয়া পেডিজ (Tinea Pedis ) : কোমর, পায়ের আঙ্গুলী, পায়ের পাতা, পায়ের তলার দাদ।

৬। টিনিয়া সারসিনিটা (Tinea Sarsineta) : হাত, পা, বুক, পিঠও পেটের দাদ।

লক্ষণ

১। প্রথমে আক্রান্ত স্থান খুব চুলকায়। তারপর ছোট ফুস্কুড়ি বাহির হয়।

২। দাদ গোলাকার আকারে ছড়ায়। গোলভাবে ছড়ায় বলিয়া ইহার নাম রিং ওয়ার্ম (Ringworm) |

৩। চুলকানোর পর এক ধরনের কষ বাহির হয়। ঐ কষে দাদের জীবাণু থাকে বলিয়া ইহা শরীরের অন্য অংশে ছড়ায়।

৪ ইহা পাকে না বা পুঁজও পড়ে না। ইহা কেবলই চুলকায় এবং কষ বাহির হয়। মামড়ি পড়ে পরে চুলকানোর সময় তাহা উঠিয়া যায় ।

৫ । ইহা সারা শরীরে হইতে পারে। মুখে বেশি হয় না। বেশি হয় দেহে, কোমরে হাতে, পাছায় এবং কুচলিতে। ৬। মাথাতেও দাদ হয়, তবে পরিমাণে নিতান্ত কম।

৭। বিনা ঔষধে ভাল হইতে চায় না। দ্রুত আরোগ্যের ব্যবস্থা না করিলে বিখাউজে (Eczema) পরিণত হয়।

খোঁস-পাঁচড়াস্কেবিস অত্যন্ত ছোঁয়াচে বা সংক্রামক চর্ম রোগ এবং এটি আমাদের দেশে খুব বেশি মাত্রায় হয়ে থাকে। বাড়িতে একজনে...
05/12/2022

খোঁস-পাঁচড়া

স্কেবিস অত্যন্ত ছোঁয়াচে বা সংক্রামক চর্ম রোগ এবং এটি আমাদের দেশে খুব বেশি মাত্রায় হয়ে থাকে। বাড়িতে একজনের হলে আস্তে আস্তে অন্য সদস্যরাও এর শিকার হন।

কারণ (Cause) : Sarcopties scabies নামক মাইট (এক প্রকার পরজীবি কীট) এ রোগের মূল কারণ। এ কীটগুলো চামড়ার নীচে ঢুকে নালী-গর্ত করে বাস করে এবং বংশবৃদ্ধি করে। শিশু কীটগুলো গর্তের চামড়া ভেদ করে উপরে উঠে আসে এবং আশে পাশের লোমকুপের ভেতর ঢুকে পড়ে এবং নূতন নালী ও গর্ত করে। আর এ থেকেই শুরু হয় চুলকানি ।

কিভাবে ছড়ায় (How spread) : অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা এ রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ * রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা করলে, তার পোশাক পড়লে, তার বিছানায় শুলে, তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র (গামছা, তোয়ালে ইত্যাদি) ব্যবহার করলে যৌন সংস্রবসহ যে কোন প্রকার সংস্পর্শ থেকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের হোস্টেলে বা মেসে এবং বাচ্চাদের মধ্যে খোঁস-পাঁচড়া বেশি দেখা যায়।লক্ষণ ও উপসর্গ (Symptom & Sign) :

১. চুলকানি : এ রোগে সাংঘাতিক চুলকায়, বিশেষ করে রাতে বিছানায় যাবার পর বেশি হয়। প্রথম দিকে চুলকালে একটু আরাম বোধ হলেও পরে জ্বলতে থাকে।

২. চুলকানির জায়গা : ত্বকে পানিপূর্ণ ফুসকুড়ি উঠে, যা হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে, হাতের তালুর প্রান্তে, কনুই, বগলের সামনেও পিছনের ভাঁজে, স্তনের বোটায়, স্তনের নিচের ভাঁজে, নাভীর আশে পাশে, তলপেটে, কুঁচকিতে, পুরুষাঙ্গে, যোনীপথের আশেপাশে হাটুর ভাঁজে চুলকানি দেখা যায়। পায়ের তলায়, মাথা, মুখমন্ডল ও গলায় চুলকানি সাধারণত বড়দের দেখা যায় না তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এসব জায়গায়ও চুলকানি হতে পারে । কব্জির সামনে,

৩. জীবাণু সংক্রমন : চুলকানির জায়গায় লোমকূপের গোড়ার জন্য জীবাণুর সংক্রমন হলে অনেক সময় পুঁজ, ফোড়া ও ঘা ইত্যাদি হয়। জীবাণু আক্রান্ত স্থান চুলকানোর ফলে কখনো কখনো চামড়া উঠে যায়। সাধারণত একই পরিবারের একাধিক এবং একই বিছানার সঙ্গীর দেখা যায়।

জটিলতা (Complication) : ইমপেটিগো, পায়োডার্মা, হাইপো ও হাইপার পিগমেনটেশন ফলিকুলাইটিস ফারানকল, কার্বাঙ্কল, স্কার হওয়া একিউট গ্লোমেরুলো নেফ্রাইটিস- (যদি রোগী ১ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা না পায়) নেফ্রোটিক সিনড্রোম এক্সফলিয়েটিভ ডার্মাটাইটিস।

কুষ্ঠরোগ (Leprosy) )ইহা মাইকোব্যাকটোরিয়াম লেপিরি নামক জীবাণু ঘটিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে একত্রে বেশিদিন বা...
05/12/2022

কুষ্ঠরোগ (Leprosy) )

ইহা মাইকোব্যাকটোরিয়াম লেপিরি নামক জীবাণু ঘটিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে একত্রে বেশিদিন বাস করিলে এই রোগ সংক্রামিত হয়। এই রোগে প্রথমে চামড়ার উপর কিছুটা হলদে ও লাল রং মিশ্রিত এক প্রকার দাগ পড়ে। ধীরে ধীরে আক্রান্ত স্থানটুকু ফুলিয়া উঠে এবং শেষ পর্যন্ত ঘায়ে পরিণত হয়। অনেক সময় পিতা-মাতা হইতে সন্তান এই রোগে আক্রান্ত হইয়া থাকে ।

কুষ্ঠরোগ দুই প্রকার : যথা- ১। লেপ্রোমেটাস টাইপ। ২। টিউবারকিউলয়েড টাইপ ।

১। লেপ্রোমেটাস টাইপ সংক্রামক : প্রথম দিকে আক্রান্ত স্থান লাল হয় এবং গোটা হয়। এই গোটাগুলি ধীরে ধীরে দুরারোগ্য ঘায়ে পরিণত হয়। ইহা কপালে, কানে, হাতে, পায়ে কিম্বা শরীরের যে কোন স্থানে হইতে পারে। হাতে হইলে হাত পচিয়া যায়, নখে হইলে নখ খসিয়া পড়ে, নাকে হইলে নাক বসিয়া যায় ।

২। টিউবারকিউলয়েড টাইপ অসংক্রামক : এই ধরনের কুষ্ঠরোগে প্রথমে ছোট ছোট গোটা হয় ও পরে তাহা শক্ত হইয়া যায়। আক্রান্ত স্থান হইতে রোগ জীবাণু ধীরে ধীরে স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে ঢুকিয়া তাহার ক্ষতি সাধন করে। আক্রান্ত স্থান অসাড় হয়, কখনও স্পর্শ শক্তি অত্যন্ত বেশি হয়। গরম ও ঠান্ডা অনুভুতি শক্তি নষ্ট হইয়া যায়। ধীরে ধীরে হাত ও পায়ের মাংস শুকাইয়া যায় ও হাত পা বিকৃত চেহারা ধারণ করে।

বিশেষ লক্ষণ :

১। অসাড়তা-গরম, ঠান্ডা স্পর্শ ও ব্যথা বোধ সম্পূর্ণ রহিত হয়।

২। গোটা দেখা দেওয়া-ছোট ছোট গোটা হয় বা বড় বড় গোটা হয়।

৩। হাত ও পায়ের পাতার মাংসগুলি আড়ষ্ট হয় এবং শুকাইয়া যায়।

৪। সংশ্লিষ্ট স্নায়ু তার- মোটা হয় ও টিপিলে ব্যথা করে।

৫। নাকে হইলে-নাকের চুড়া শেষ পর্যন্ত বসিয়া যায়।

৬। ভুরুতে হইলে-ভুরু পড়ে যায়।

৭। চোখের পাতা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারে না।

O টিউবার কিউলয়েড কুষ্ঠ রোগ ছড়ায় না, লেপ্রোমেটাস কুষ্ঠ রোগ ছড়ায়। তাই সকলের দূরে থাকা উচিত। ছোঁয়াচ লাগিলে কমপক্ষে দুই বছর যাবত ঔষধ খাওয়াইতে হইবে।

সুখবর,  সুখবর,  সুখবর, আগামী 9 ডিসেম্বর ২০২২ সিলেট থেকে আগত বাত ব্যথা স্পেশালিস্ট নর্থইস্ট মোডিকেল কলেজ হাসপাতালের  কনসা...
04/12/2022

সুখবর, সুখবর, সুখবর,
আগামী 9 ডিসেম্বর ২০২২ সিলেট থেকে আগত বাত ব্যথা স্পেশালিস্ট নর্থইস্ট মোডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডাক্তার নিঃসর্গ দাস অন্ত ওয়াফি হেলথ (বুবির পয়েন্ট হাসননগর) এ রোগী দেখবেন। সিরিয়াল এর জন্য কল করুন 01913 11 70 13

হাম জ্বর ( Measles)কারণ : হামজ্বর একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত (Paramyxo virus) রোগ। এটি বাতাসের সাহায্যে ছড়ায়। এট...
20/11/2022

হাম জ্বর ( Measles)

কারণ : হামজ্বর একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত (Paramyxo virus) রোগ। এটি বাতাসের সাহায্যে ছড়ায়। এটি শিশুদের বেশি হয়। যেসব মায়েদের হামজ্বর হয়েছিল তাদের শিশুদের জন্মের পর ছয় মাস পর্যন্ত হামজ্বর হবার সম্ভাবনার নেই ।

বাড়ির একটি শিশুর হলে এটি সহজেই অন্যান্যদের ভিতর ছড়িয়ে পড়ে । সংক্রমণের কাল (Incubation Period) প্রায় দশ দিন।

কারণ

১. প্রথমে সর্দি জ্বরের মতো শুরু হয় (Catarrhal stage)। হাঁচি, কাশি, নাক ঝরা, চক্ষু থেকে পানি পড়া, কনজাংটিভা লাল হয়ে যায়।

২. 8. তার সাথে গলার স্বর ভেঙে যায় (Hoarseness), আলোক অসহনীয় ইত্যাদি দেখা দেয় দ্বিতীয় দিনে ৷ এই সময় হামজ্বর নির্ণয় করা যায় মুখের ভিতর 'Kopliks spot দেখে, এগুলো সাদা দাগের চারদিকে লাল বর্ণ । শিশুরা এই সময় অত্যন্ত সংক্রামক (Infectious) এবং খিটখিটে থাকে ।

৫. ৩-৪ দিন পর 'kopliks spot' মিলিয়ে যায় আর ত্বকে গাঢ় লাল rash দেখা দেয়। প্রথম কানের পিছন দিক এবং চুল ও কপালের সংযোগ লাইনে দেখা যায় ।

2) ৬. কয়েক ঘন্টার মধ্যে সারা শরীরে rash উঠে যায়।

9. ২-৩ দিনের মধ্যে rash মিলিয়ে যায় এবং ত্বকের আস্তরণ খসে পড়ে।

গায়ে হাম বের হলে জ্বর ধীরে ধীরে কমে যায়। অনেক সময় ১০২-১০৩°F. জ্বর উঠে। রোগী প্রলাপ বকে ও তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে ।

নিউমোনিয়া বা ব্রংকাইটিস দেখা দিলে রোগীর প্রাণ সংশয় থাকে ।
জটিলতা (Complications)

হাম ভাইরাসজনিত রোগ হলেও অত্যন্ত অসাড় করা রোগ এবং নানা রকম জটিলতার সৃষ্টি হয়ে শিশুর মৃত্যু হতে পারে।

১. মুখে ঘা (Stomatitis)

অস্ত্রের প্রদাহ (Gastroenteritis)।

৩. নিউমোনিয়া (Pneumonia)

৪. কর্নিয়ার প্রদাহ (Keratitis)।

৫. এনকেফালাইটিস

৬. ব্যাকটেরিয়াজনিত- ওটাইটিস মিডিয়া, ব্রংকোনিউমোনিয়া, কনজাঙ্কটিভাইটিস ।

৭. অপুষ্টিজনিত ওজন হ্রাস, কোয়াশিয়রকর (Kwashiorkor), কর্নিয়ায় ঘা ।

নিউমোনিয়া (Pneumonia) সাধারণত : শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ অত্যন্ত বেশি হয় এবং এ রোগে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি...
19/11/2022

নিউমোনিয়া (Pneumonia)
সাধারণত : শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ অত্যন্ত বেশি হয় এবং এ রোগে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি (প্রায় ২০. ২৫%)। নাক থেকে ফুসফুস পর্যন্ত যে কোন সংক্রমণকেই শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (এআরআই) বলা হয়, ফুসফুসের সংক্রমনকে নিউমোনিয়া বলে। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ফুসফুসে প্রবেশ করে নিউমোনিয়া রোগের সৃষ্টি করে। আমরা জানি ফুসফুস হচ্ছে মৌচাকের মতো ছোট ছোট ফাঁপা এলভিওলাসের সমষ্টি। এগুলো স্পঞ্জের মতো নরম ও স্থিতিস্থাপক। নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের সংক্রমণ হলে ফুসফুসের এই এলভিওলাস গুলো স্পঞ্জের মতো আর নরম থাকে না। যকৃত বা কলিজার মতো শক্ত হয়ে যায়। ফলে শ্বাস প্রশ্বাসের সময় সংকোচন ও প্রসারণে বাধা পায় এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সব বয়সের মানুষেরই নিউমোনিয়া হতে পারে। তবে শিশুদের বেলায় নিউমোনিয়া বেশি হয়। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা করা না গেলে এ রোগে শিশুর মৃত্যুর সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
কারণ (Cause) ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া (নিউমোকক্কাস, স্টেফাইলোকক্কাস, স্ট্রেপটোকক্কাস, ক্লেবশিয়েলা ইত্যাদি) দ্বারা সংক্রমণের ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান (Risk Factor) : * কম ওজনের শিশুর জন্মগ্রহণ (জন্মকালীন ওজন ২-১/২ কেজির কম) * সঠিকভাবে বুকের দুধ না খাওয়ানো * অপুষ্টি : ৬টি রোগের প্রতিষেধক টিকা না দেয়া * ভিটামিন এ'র অভাব * ঠান্ডা স্যাতস্যাতে পরিবেশ ঘনবসতি ও দূষিত পরিবেশ বিড়ি, সিগারেট, কলকারখানা বা রান্নার ধোয়া।
উপসর্গ (Symptom) : এই রোগের প্রধান উপসর্গ হচ্ছে কাশি, বমি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর। শিশুদের বেলায় জ্বরের সাথে খিঁচুনি হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে শরীর ম্যাজম্যাজ, ক্ষুধামন্দা, অবসন্নভাব ইত্যাদি উপসর্গও থাকতে পারে। রোগের প্রথম দিকে বুকে সামান্য ব্যথা হতে পারে, এবং কাশির সাথে বুকের ব্যথা বেড়ে যায়। রোগীর শ্বাস- প্রশ্বাস স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি পূর্ণ বয়স্কদের মিনিটে ১২-১৮ বার এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ২৫-৪০ বার। এক বছরের কম বয়সের শিশুর শ্বাসের গতি মিনিটে ৫০ বারের বেশি বয়সের শিশুর শ্বাসের গতি মিনিটে ৪০ বারের বেশিডিকশনারি হলে মারাত্মক নিউমোনিয়া হয়েছে বুঝতে হবে। রোগীর নাড়ীর গতিও সাথে সাথে বেড়ে যায়। রোগীর বেশ শ্বাসকষ্ট হয় এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সময় নাকের পাতা উঠানামা করে। এ ছাড়াও রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে ঘড়ঘড় শব্দ শোনা যায় । রোগটি মারাত্মক হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাবে চামড়া নীল হয়ে যায়। তাই নিউমোনিয়া চিকিৎসায় এক্ষেত্রে রোগীকে অক্সিজেন দিতে হয়। এ সময় অক্সিজেন দেয়া না গেলে রোগী মারা যেতে পারে ।
ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, Chronic Bronchitis

শ্বাসনালী বা ব্রংকাস এর দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমনকে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বলে। কোন ব্যক্তির এক নাগারে তিন মাসের মধ্যে বেশীর ভাগ দিন কফ যুক্ত কাশি যদি পরপর দুই বছর থাকে তবে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের কথা প্রথমেই চিন্তা করা যেতে পারে ।
কারণ (Cause) :
* দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষাক্ত বায়বীয় পদার্থ শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে ফুসফুসে প্রবেশ করলে।
* ধূমপান- অন্যতম প্রধান কারণ (ধূমপান ও ব্রঙ্কাইটিস- দু'জনের দু'জনার)।
* মিল-কারখানা এলাকায় ধূলাবালি ও ধোঁয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন বসবাস করলে। * মিল-কারখানা এলাকায় ধূলাবালি পরিবেশ বা ধূমপানের কারণে শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা উৎপাদনের ফলেই অতিরিক্ত কফ হয় এবং শ্বাসকষ্ট হয়।

লক্ষণ ও উপসর্গ (Symptom & Sign) : রোগের প্রাথমিক অবস্থায় কাশি থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয় এবং বুকে অস্বস্তিকর চাপ অনুভব হয়। কাশির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো : সকালে ঘুম থেকে উঠার পর বারবার কাশি হতে থাকে এবং শ্বাসকষ্ট হয়। কাশির সাথে সামান্য শ্লেষ্মা বের হয়ে আসে এবং রোগী কিছুটা আরাম বোধ করে। রোগের শুরুতে শুকনো কাশি হয়। কফ খুব একটা বের হয় না। কিন্তু রোগ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ফলে কফের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ঘন পুঁজের আকার ধারণ করে। তখন রোগীর জ্বর বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায়। শুরুতে রোগী কেবল পরিশ্রমের কাজ করলে হাঁপিয়ে যেতো। ধীরে ধীরে রোগ যখন বাড়তে থাকে রোগী বসা অবস্থায়ও হাঁপাতে থাকে । এ কারণে অনেক সময় পুরনো কাশি বা ব্রঙ্কাইটিসে হাঁপানি বলে ভুল হতে পারে।চিকিৎসা (Treatment) : * রোগীকে ধূলাবালি, ধোঁয়া, গ্যাস ইত্যাদি পূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে।
* ধূমপান সম্পূর্ণরূপে বাদ দিতে হবে।
* জীবাণু সংক্রমন প্রতিরোধের জন্য এন্টিবায়োটিক দিতে হবে।

পোলিও পক্ষাঘাত, Polio Myelitisপোলিও ভাইরাস (Polio virus a type of Entero virus) দ্বারা সংক্রমণের ফলে পোলিও-মাইলাইটিস রোগ...
18/11/2022

পোলিও পক্ষাঘাত, Polio Myelitis

পোলিও ভাইরাস (Polio virus a type of Entero virus) দ্বারা সংক্রমণের ফলে পোলিও-মাইলাইটিস রোগ হয়। সংক্ষেপে এ রোগকে পোলিও বলে। পোলিও আক্রান্ত রোগীর পায়খানার মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় এছাড়া রোগীর ছোয়া থেকে মাছির সাহায্যে ও পানির মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে। এই রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশের ৭-১৪ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণসমূহ দেখা দেয়। শিশু ও ছোট বাচ্চাদেরই এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। পোলিও রোগে আক্রান্ত হলে শিশু সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়। ১৫ বছরের কম বয়সের শিশুর হঠাৎ করে এর বা একাধিক অঙ্গ থলথলে অবশ হয়ে গেলে (Acute Flaccid Paralysis) এ এফ পি বলে। এ এফ দি পোলিওসহ বিভিন্ন রোগের কারণে হয়ে থাকে। কোন এ এফ পি রোগী পাওয়া গেলে সাথে সাথে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রিপোর্ট করতে হবে।
লক্ষণ ও উপসর্গ (Symptom & Sign) : শ্বাস তন্ত্রের অসুখের ন্যায় সর্দি কাশি সেই সাথে জ্বর, মাথা ব্যথা ও সারা শরীর ব্যথা হয়। এছাড়া দুর্বলতা, গলা ব্যথা, বমিবমি ভাব, পাতলা পায়খানা বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে । অনেক ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ এরই মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এরপর ঘাড় ও পিঠ শক্ত হয়ে আসে এবং শরীরের মাংসপেশীতে ব্যথা হয়। প্রাথমিক লক্ষণগুলো কেটে যাওয়ার কিছুদিন পর এক বা একাধিক হাত বা পা অবশ (প্যারালাইসিস) হয়ে যেতে পারে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পা অবশ হয়। কিন্তু চর্মে স্পর্শ অনুভব করা যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে প্যারালাইসিস নাও হতে পারে, তবে অবসন্নতা থাকতে পারে। যদি মস্তিস্ক আক্রান্ত হয় তবে ঢোক গিলতে ও শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, মুখের একপাশও অবশ হতে পারে। শ্বাসকার্যে নিয়োজিত মাংসপেশী আক্রান্ত হলে বিপর্যয় ঘটতে পারে। একবার পক্ষাঘাত হলে কিছু না কিছু দুর্বলতা ঐ অংশে থেকেই যায় । চিকিৎসা (Treatment) : * বিশ্রাম নিতে হবে-যতদিন জ্বর ও ব্যথা থাকে, ততদিন পর্যন্ত। * এ ধরনের

ব্যথার উপশমের জন্য প্যারাসিটামল খেতে হবে প্রাথমিক পর্যায়ে হাত-পা অবশ হলে গরম সেঁক দিতে হবে *

কোন ইনজেকশন এ সময়ে দেয়া যাবে না (পোলিও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোন এন্টিবায়োটিক বা ঔষধ আবিষ্কৃত

হয়নি) * ব্যথা ভালো হবার পরে ফিজিওথেরাপি নিতে হবে, এটা সাধারণত ২-৩ সপ্তাহ পরে দেয়া হয়। প্রতিরোধ (Prevention) : এ রোগের তেমন কোন চিকিৎসা না থাকলেও এর প্রতিরোধ সহজ। সরকারের টিকদান কর্মসূচী অনুযায়ী সকল শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়াতে ও দিতে হবে। এছাড়া সকল কাজে নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং যেখানে সেখানে মল ত্যাগের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং বাচ্চার মলযুক্ত কাপড় পুকুরে ধোয়া উচিত নয় যে অঞ্চলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি, সেই সকল অঞ্চলে শিশু জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে অতিরিক্ত ১ ডোজ পোলিও খাওয়াতে হবে কোথাও এ এফ পির লক্ষণযুক্ত প্রাগী দেখা গেলে থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা সিভিল সার্জন বা পৌরসভা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানাতে হবে প্রয়োজনীয় অবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে পোলিও রোগের বিস্তার প্রতিরোধ করার জন্য ।

ধনুষ্টঙ্কার (Tetanus টিটিনাস) ইহা একটি জীবাণু ঘটিত মারাত্মক ব্যাধি। "বেসিলাস টিটানি” অন্য কথায় Clostridium Tetani (কট্র...
18/11/2022

ধনুষ্টঙ্কার (Tetanus টিটিনাস)
ইহা একটি জীবাণু ঘটিত মারাত্মক ব্যাধি। "বেসিলাস টিটানি” অন্য কথায় Clostridium Tetani (কট্র্যাডিয়াম টিটানি নামক জীবাণু দ্বারা এই রোগের উৎপত্তি হয়। শরীরের কোন অংশ কাটিয়া গেলে ঐ স্থানে। সামান্য ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং সেখানে রোগ জীবাণু বাসা বাধে। অতঃপর ক্ষতস্থান হইতে টক্সিন নামক এক প্রকার পদার্থ সৃষ্টি হইয়া সারা শরীরে ছড়াইয়া পড়িয়া ধনুষ্টঙ্কার রোগ সৃষ্টি করে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হইবার পরে বা এবোর্শন হইলেও মা এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হইতে পারে। জীবাণুপূর্ণ ছুরি, চাকু বা ব্লেড দ্বারা সদ্যজাত শিশুর নাড়ী কাটিবার সময় শিশুর ঐ ক্ষতস্থানে রোগ জীবাণু লাগিয়া গেলে শিশু ধনুষ্টঙ্কার রোগে আক্রান্ত হয়। সিরিঞ্জ উত্তমরূপে ধৌত না করিয়া লইলেও এই রোগ হইতে পাবে। আবার জুতার তলা ছিদ্র করিয়া পায়ে পেরেক ঢুকিলে কিম্বা কোন অপারেশনের পরেও এই রোগ হইতে পারে। হাসপাতালে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে কোন রোগীর ধনুষ্টঙ্কার থাকিলে উহা অন্য রোগীর দেহেও সংক্রামিত হইতে পারে।

ইহা একটি প্রতিরোধ যোগ্য রোগ। ঠিকভাবে Vaccine (ভ্যাকসিন) দিলে টিটেনাস হয় না। বর্তমানে ই. পি. আই (E.P.I) কর্মসূচীর মাধ্যমে মা ও শিশুকে টিটেনাসের টীকা দেওয়া হইতেছে। মাকে টিকা দিলে গর্ভের সন্তানের ঐ ধরনের টিটেনাস হইবার সম্ভাবনা থাকে না। বর্তমানে ১১/২ মাস বয়স হইলে তাহাকে আবার টিকা দিতে হয় (DPT একত্রে দেয়া হয়)।

লক্ষণ

১। প্রথম অবস্থায় চোয়াল লাগিয়া (Lockjaw) যায়, মুখ খোলা যায় না-ইহাকে লক্জ বলে। বেশি মুখ খুলতে পারে না, চিবাতে পারে না। চিবাতে পারে না।

২। রোগীর ঘাড় শক্ত হইয়া যায়।

৩। ধীরে ধীরে হাত পায়ের মাংসপেশী এবং সমস্ত শরীরের মাংসপেশী শক্ত হইয়া যায় এবং খিঁচুনী হইতে থাকে।

৪। রোগীর খিঁচুনি শুরু হয় এবং ঘাড় পিছনের দিকে ধনুকের ন্যায় বাঁকিয়া যায়। খিঁচুনির পর বিরতি হয়, আবার

খিচুনি শুরু হয়।

৫। খিঁচুনির সময় রোগী গোঙাইতে থাকে। রোগ যত কঠিনের দিকে যায় ততই রোগীর ঘন ঘন খিঁচুনি হয়। ৬। কপালের মাংসপেশী কুচকাইয়া যায় ।

৭। নাড়ীর গতি স্বাভাবিক থাকে কিম্বা বৃদ্ধি পায়।

৮। কাহারও কাহারও জ্বর হয়, কাহারও হয় না। রক্তচাপ (B.P) বাড়িতে পারে।

প্রতিষেধক চিকিৎসা :

শরীরের কোন জায়গা কাটিয়া গেলে, পায়ে পেরেক ফুটিলে, অপারেশন করিবার পর কোথাও ঘা হইলে, বাচ্চা হইবার পর প্রসুতির নবজাত শিশুর নাড়ী কাটিবার পরে, আগুনে পুড়িলে ধনুষ্টঙ্কার হইবার সম্ভাবনা থাকে। তাই পূর্ণ বরদের জন্য A.T.S 1500 Unit (এন্টিটিটেনাস সিরাম ১৫০০ ইউনিট) চামড়ার নীচে ইনজেকশন দিতে হইবে। কম বয়স্কদের জন্য কম মাত্রা দিতে হইবে। তবে বর্তমানে A.T.S-এর ব্যবহার নাই। এখন Inj. Tatanus Toxiod (টিটেনাস টক্সোয়ড T.T) 0.5ml ( Medimpex / Sclavo) বা Inj. Tetavax

(টিটাভেক্স) 0.5ml (R. Poulenc) মাত্রা : ১টি মাংসে ইনজেকশন দিতে হয়। এইজন্য কোন Skin Test-এর প্রয়োজন হয় না। আবার ১ মাস পর পর আরও ২টি ইনজেকশন দিতে হয়।

উপদেশ

হইবার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে কোলাহলহীন অন্ধকার ঘরে শোয়া অবস্থায় রাখিতে হইবে। অতঃপর তৎক্ষণাৎ ডাকিয়া চিকিৎসা হইবে। যত দেরীতে চিকিৎসা হইবে রোগীর প্রাণের আশা তত কমিতে থাকিবে। কাজেই মঙ্গ সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করাই শ্রেয়।

হাঁপানি (Bronchial Asthma)মিয়া এ্যাজমা সকল বয়সের লোকের হইতে পারে তবে, পৌঢ় বয়সের লোকদের এই রোগ বেশি হয়। ইহা শ্বাসকষ্...
18/11/2022

হাঁপানি (Bronchial Asthma)
মিয়া এ্যাজমা সকল বয়সের লোকের হইতে পারে তবে, পৌঢ় বয়সের লোকদের এই রোগ বেশি হয়। ইহা শ্বাসকষ্টের একটি ব্যাধি। এ্যাজমা বা হাপানি নানা কারণে হইয়া থাকে। বছরের সকল চতুর মধ্যে একমাত্র শীতকালে ইহার প্রকোপ বেশি হয়। মানসিক দুশ্চিন্তা, ফুসফুসের ইনফেকশন কিংবা এলার্জি হইতে হাপানি রোগ হইয়া থাকে। কোন কারণ শ্বাস-প্রশ্বাস যাতায়াতের নলগুলি সংকীর্ণ হইয়া যায় বা ঐ নলে কফ জমিয়া বাতাস যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি করিলেই হাঁপানি (Bronchial: Asthema) রোগ হয়। কখনও বা রক্তে Eosinophil বৃদ্ধি হইয়া এই রোগ হয়, আবার অনেক সময় Allergy এই রোগের কারণ বলিয়া দেখা গিয়াছে। অনেক সময় বংশগত কারণেও এই রোগ দেখা গিয়েছে।
ইডিওপ্যাথিক এ্যাজমা ইহার কোন সঠিক কারণ খুঁজিয়া পাওয়া যায় না। কোন কোন ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির পিতৃ বা মাতৃকুলে হাঁপানি রোগের ইতিহাস জানা যায়। তবে এই রকম হইবে তাহা নির্দিষ্ট করিয়া বলা যায় না। (খ) সেকেন্ডারি এ্যাজমা : ইসনোফিল বাড়িলে বা পুরাতন TB রোগী বা পুরাতন ব্রোঙ্কাইটিসের রোগী বা ফুসফুসের ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীর এ্যাজমা হইলে উহাকে সেকেন্ডারি এ্যাজমা বলে।
কার্ডিয়াক এ্যাজমা : উচ্চ রক্তচাপের রোগী বা, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এ্যাজমায় আক্রান্ত হইতে পারে, ইহাই কার্ডিয়াক এ্যাজমা। (খ) রেনাল এ্যাজমা : কিডনীর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি বহুদিন ভোগার পর শেষ অবস্থা হাঁপানির মত শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হইতে পারে। ইহা ছাড়াও ডিপথেরিয়া, শ্বাসনালীতে কিছু ঢুকা, এলার্জি ইত্যাদি কারণে হাঁপানির মত শ্বাসকষ্ট হইতে পারে। আবার, এমন কতকগুলি খাদ্য, যেমন গরু, হাঁসের মাংস, হাঁসের ডিম, চিংড়ি মাছ, বোয়াল মাছ ইত্যাদি আহার করিলে শ্বাসনালীর মাংসপেশীর খিঁচুনীতে বাতাস যাতায়াতের পথ সরু হয় এবং ঐ খানোর ক্রিয়া বিলুপ্ত হইলে সাবেক অবস্থায় ফিরিয়া আসে। অতি দুর্বলতা ও নিঃশ্বাসের বাহুতে উপযুক্ত পরিমাণ অক্সিজেনের অভাবের জন্য এই রোগ হয়। অনেক সময় বিড়াল বা কুকুরের লোম মানব নিঃশ্বাসের সহিত ঢুকিলে শ্বাসনালীতে প্রদাহ হইতে পারে এবং শ্বাসনালী সরু হইয়া এ্যাজমায় আক্রান্ত হইতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী পুরাতন হাঁপানী রোগীদের নিরাশ হওয়া উচিত নয়। যদিও সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করিবার ক্ষমতা নাই, তবে কিছু সংখ্যক রোগী অনেকটা নাটকীয় ভাবে রোগমুক্ত পাইয়া থাকে। যে সমস্ত খাদ্য খাইলে, কোন কিছুর গন্ধ শুকিলে বা ধুলা প্রশ্বাসে টানিলে হাঁপানীর আক্রমণ হয়, সেই সমস্ত কাজ না করিবার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। পুরাতন রোগীদের রাতে হালকা খাবার খাওয়া উচিত। হঠাৎ করিয়া যেন ঠাণ্ডা না লাগে সেইজন্য আবহাওয়ার উপযুক্ত পোশাক পরিধান করা কর্তব্য। শ্রমজনিত অবসাদ পরিহার করিতে সচেষ্ট থাকতে হইবে। উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ, দুঃশ্চিন্তা, মানসিক পীড়ন উপশমের জন্য প্রশান্তিকর ঔষধ হাঁপানির চিকিৎসায় একটি সহায়ক ঔষধ । নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস সংশ্লিষ্ট ব্যায়াম পুরাতন রোগীদের বক্ষ পিঞ্জরের বিকৃতি প্রতিরোধ করে।
লক্ষণ
১। হঠাৎ এই রোগে আক্রান্ত হইয়া দম বন্ধ হইবার উপক্রম হয়।

২। ঘুমের ঘোরে এই রোগ শুরু হইলে রোগী হঠাৎ উঠিয়া বসে এবং অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট অনুভব করে। ৩। শ্বাস ফেলিবার সময় রোগী কষ্ট অনুভব করে। পুরাতন রোগী এই অবস্থা এড়ানোর জন্য ঘর হইতে বাহিরে মুক্ত স্থানে আসে।
৪। শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ ও ফেলার কাজ দূর হইতে বুঝা যায়।
৫। মাঝে মাঝে জ্বর হয়। জ্বর হইলে শ্বাস-কষ্ট বৃদ্ধি হয়। ৬। রোগীর কাশ থাকে, তবে কফ সহজে বাহির হয় না।
৭। ২/৩ ঘণ্টা কষ্ট অনুভব করিবার পর রোগী হঠাৎ ভাল হইয়া ৮। অনেক ক্ষেত্রে ইহা বিরামহীনভাবে চলে, ইহাকে স্টেটাস এ্যাজমাটিকাস বলে। ক। অনেক ক্ষেত্রে মৃদুভাবে হাঁপানি, চলিতে থাকে। এই অবস্থায় রোগী চলাফেলা করে, তবে বেশি যায়। হাঁপাইয়া পড়ে, ইহাই হইল ক্রোণিক এ্যাজমা।
১০। শ্বাস টানিতে বলিলে পাঁজরের মাংসপেশী ও গলার গোড়ার মাংসপেশী নীচ দিকে যায় এবং নিঃশ্বাস ছাড়িবার ১১। বুকে কান পাতিলে গলায় ও বুকে শাঁই শাঁই শব্দ শোনা যায়।
লক্ষ্যনীয় : অনেক সময় ছোট ছেলেমেয়েদের ব্রঙ্কাইটিস বা ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া হইলে কাশির সঙ্গে হাঁপানি দেখা যায়। মূলতঃ উহা হাঁপানি নহে। রোগ আরোগ্যের সঙ্গে ঐ টান থাকে না।

Address

Bubir Point, Hasannagar, Sylhet
Sunamganj
3000

Opening Hours

Monday 09:00 - 09:15
Tuesday 09:00 - 09:15
Wednesday 09:00 - 09:15
Thursday 09:00 - 09:15
Friday 09:00 - 09:15
Saturday 09:00 - 09:15
Sunday 09:00 - 09:15

Telephone

+8801913117013

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Wafi health posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Wafi health:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram