21/08/2023                                                                            
                                    
                                                                            
                                             #মেশিনের মাধ্যমে অপারেশন 
 #মেশিন ছাড়া অপারেশন
অদ্য ২১/০৮/২৩ ইং তারিখে  আরোগ্য পলি ক্লিনিকে
@২ টি লেপারোস্কপিক  পিত্তথলির অপারেশন
@ ১টি লেপারোস্কপিক এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন 
@ ২ টি হার্নিয়া
@ ১ টি পায়ু পথের  ফোড়া অপারেশন 
@২ টি  খতনা অপারেশন 
সফল ভাবে হয়েছে।
আমাদের উপর আস্তা রাখুন # সেবা নিন।
 #এপেন্ডিসাইটিস
এপেন্ডিসাইটিস হলে অপারেশন জরুরি (Urgent Surgery)। কিছু ক্ষেত্রে পুঁজ ছড়িয়ে পড়ে, পেট বড় করে কেটে অপারেশন করতে হয় (Lower midline incision)। ল্যাপারোস্কপিক অপারেশন (পেট না কেটে ছিদ্র করে মেশিনের সাহায্যে অপারেশন) এক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আশীর্বাদ স্বরূপ। ছোট ছিদ্রপথেই সকল পুঁজ অপসারণ করা এবং পুরো অপারেশন সম্পন্ন করা যায়।
এমনই একজন রোগীকে ল্যাপারোস্কপিক অপারেশনের পর একইদিনে ছুটি দেয়া সম্ভব হয়েছে (23 hour stay surgery)।
ল্যাপারোস্কপিক অপারেশন একইসাথে তুলনামূলক কম ব্যথা, কম রক্তপাত, স্বল্প সময় হাসপাতালে অবস্থান, দ্রুত আরোগ্য এবং কাজে ফেরা, সর্বোপরি চিকিৎসার সামগ্রিক খরচ কমিয়ে আনে।
 #পিত্ত_পাথর
জরুরিভাবে ছাড়া গতানুগতিক ভাবে যে সকল কারণে অপারেশন করা হয় পিত্তথলিতে পাথর তার অন্যতম। শরীরের অন্যান্য অঙ্গে পাথর থেকে পিত্তথলিতে পাথর ব্যতিক্রম, কারণ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন শুধু পাথর অপসারণ করা হয় এখানে তা না করে পিত্তথলিকে পাথর সমেত অপসারণ করা হয়। এর কারণ হল পিত্তথলি ফেলে না দিলে পুনরায় পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, একইসাথে পিত্তথলি পরিপাক ও শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও অত্যাবশকীয় নয়। 
পিত্তথলিতে যেমন পাথর হয় তেমনি পিত্তনালীতেও হতে পারে, তবে পিত্তনালীর পাথরে সাধারণত জন্ডিস (চোখ/ত্বক হলুদ রঙের হওয়া) হয় যা পিত্তথলির পাথরে হয় না।
পিত্তথলির পাথরে কি সমস্যা হয়?
১) সাধারণত উপর পেটে (মাঝখানে/ডানদিকে) মৃদু থেকে তীব্র ব্যথা হয়, বিশেষত তৈলাক্ত/চর্বি জাতীয় খাবার (যেমন, বিরিয়ানি,  ভাজাপোড়া ইত্যাদি) ব্যথার উদ্রেক করে।
এর সাথে বমি ভাব/বমি হতে পারে।
২) জ্বর, অনেকক্ষণ (ঘন্টা-দিন) তীব্র ব্যথার কোনো পরিবর্তন না হওয়া, জন্ডিস ইত্যাদি জরুরি অবস্থা নির্দেশ করে, যার জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিতে হয়।
তবে অনেক সময় নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ দেখা যায় না, অন্য কোনো রোগের জন্য কিংবা  অনির্দিষ্ট উপসর্গের জন্য আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় ধরা পড়ে। এরকম রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। 
পিত্তথলিতে পাথরের কারণে উপসর্গ হলে (ব্যথা/জ্বর/জন্ডিস) অপারেশনের মাধ্যমে পাথরসহ পিত্তথলি অপসারণ করাই আদর্শ চিকিৎসা। 
কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকে না, ঘটনাক্রমে আল্ট্রাসাউন্ড করে ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে কি করণীয়? 
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ডায়াবেটিস ও থ্যালাসেমিয়া (কিংবা এধরণের রক্ত রোগ) থাকলে পিত্তথলিতে পাথর কোনো উপসর্গ না থাকলেও অপারেশন করে অপসারণ করতে হবে।
পিত্তথলির অপসারণ ২ ভাবে করা হয়ঃ
১) প্রথম এবং পছন্দনীয় পদ্ধতি হল পেট না কেটে ছিদ্র করে ল্যাপারোস্কপ মেশিনের সাহায্যে (কম রক্তপাত হয়, রোগীর ব্যথা ও কাটা তুলনামূলক অনেক কম থাকে, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন)।
এটিই পিত্তথলির পাথরের আধুনিক এবং আদর্শ পদ্ধতি। 
২) গতানুগতিক পেট কেটে অপারেশন। তবে এক্ষেত্রে কাটা ও ব্যথার পরিমাণ বেশি হয়, রোগীর সুস্থ হতে অধিক সময় নেয় এবং স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে দেরি হয়। যেখানে ল্যাপারোস্কপিক পদ্ধতি সুলভ নয়/রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয় সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে অপারেশন করা হয়।
পিত্তথলির পাথর সম্পর্কে এই স্বল্প কিছু কথা মনে রাখলে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি করণীয়! 
তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসক, বিশেষত শল্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
পুনশ্চঃ কিছু ক্ষেত্রে পিত্তথলির স্বাভাবিক গঠন বিনষ্ট হয়ে যায়, এটি পুরু, ছোট এবং পাথরে পূর্ণ থাকতে পারে, সেক্ষত্রে বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
সংযুক্ত ছবিগুলো এমনই একটি অপারেশন থেকে নেয়া যা ল্যাপারোস্কপিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হয়েছে।