Dr. Iqbal Ahmed, Skin & Sexual Health Specialist, Sylhet.

  • Home
  • Dr. Iqbal Ahmed, Skin & Sexual Health Specialist, Sylhet.

Dr. Iqbal Ahmed, Skin & Sexual Health Specialist, Sylhet. skin consultations.
skin conditions by screening for disease.

Dr. Iqbal Ahmed is a board-certified, practicing dermatologist and sexual health physician with over 10 years of experience who specializes in the diagnosis and treatment of conditions related to the skin, hair and nails; as well as the sexual health of men and women. Dr. Iqbal believes that patients deserve to get the best care possible and it's important to have a doctor who truly listens to them, understands their concerns, and can help them find what works for them.

☀️ গরমে ত্বকের যত্ন☀️✍️ ডা. ইকবাল আহমদ🩺 চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞবাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে...
13/06/2025

☀️ গরমে ত্বকের যত্ন☀️
✍️ ডা. ইকবাল আহমদ
🩺 চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ

বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে আমাদের ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক ত্বকের যত্ন না নিলে এসব সমস্যার পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই আজকের আলোচনার বিষয় – “গরমে ত্বকের যত্ন”।

🔎 গরমে ত্বকে যে সমস্যা বেশি দেখা দেয়:

১. ঘামাচি (Miliaria)
২. ফাংগাল ইনফেকশন (যেমন Tinea corporis, Tinea cruris)
৩. সানবার্ন ও সানট্যান
৪. অ্যালার্জিক র‍্যাশ
৫. ব্রণের সমস্যা

📌 ত্বকের সমস্যা থেকে বাঁচতে করণীয়:

✅ ১. প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
• দিনে অন্ততপক্ষে ২ বার গোসল করুন।
• Antibacterial বা pH balanced soap ব্যবহার করুন

(Reference: Bolognia JL, Schaffer JV, Cerroni L. Dermatology, 4th edition, Chapter 14 – Hygiene & Skin Care)

✅ ২. হালকা ও ঢিলেঢালা কাপড় পরুন
• সুতির কাপড়ের তৈরি ঢিলেঢালা পোশাক পরলে ঘাম কম হবে এবং ত্বকে ঘষা কম লাগবে।

(Reference: Rook’s Textbook of Dermatology, 9th edition, Volume 1, Chapter – Skin and the Environment)

✅ ৩. রোদ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন
• বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন।
• Broad-spectrum sunscreen (SPF 30 বা বেশি) ব্যবহার করুন।
• রোদে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতি ২ ঘণ্টা পর পুনঃপ্রয়োগ করতে হবে।

(Reference: Fitzpatrick’s Dermatology, 9th edition, Chapter – Photoprotection and Sunscreens)

✅ ৪. ত্বক শুষ্ক রাখতে চেষ্টা করুন
• ঘাম জমা হয় এমন জায়গাগুলো (গলা, বগল, কুঁচকি) শুষ্ক রাখুন।
• ট্যালকম পাউডার বা মেডিকেটেড ডাস্টিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

(Reference: Habif TP. Clinical Dermatology: A Color Guide to Diagnosis and Therapy, 6th edition, Chapter – Superficial Fungal Infections)

✅ ৫. খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতা অবলম্বন করুন
• অতিরিক্ত তেল-ঝাল খাবার পরিহার করুন।
• পর্যাপ্ত পানি পান করুন (কমপক্ষে ২.৫–৩ লিটার/দিনে)
• তাজা ফল ও সবজি খান, যেমন শসা, তরমুজ, খেজুর, ইত্যাদি

📛 যেসব লক্ষণ থাকলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন:
• ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ কয়েকদিনেও ভালো না হলে।
• তীব্র চুলকানি ও লালচে ফোস্কা দেখা দিলে।
• ত্বকে পুঁজ হলে।

💬 গরমে ত্বকের যত্ন নেওয়া মানে শুধু ফর্সা থাকার চেষ্টা নয়, বরং সুস্থ ত্বক বজায় রাখা। সঠিক সময় সঠিক যত্নই পারে গ্রীষ্মকালীন ত্বকের সমস্যা থেকে আমাদের রক্ষা করতে।

আপনি যদি গরমের সময় ত্বক নিয়ে সমস্যায় পড়েন, তাহলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।



📍 চেম্বার: AL HARAMAIN HOSPITAL, Kali Tower, Samata-30, Chali Bandar, Sylhet
🕔 সময়: প্রতিদিন বিকেল ৫টা – রাত ৮:৩০ (শুক্রবার বন্ধ)
📞 হটলাইন: +8801911717104
📧 Email: info@haramainhospital.com

 #হাইড্রাডেনিটিস_সাপুরাটিভা (Hydradenitis Suppurativa)হাইড্রাডেনিটিস সাপুরাটিভা (HS) এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত চর...
11/11/2024

#হাইড্রাডেনিটিস_সাপুরাটিভা (Hydradenitis Suppurativa)

হাইড্রাডেনিটিস সাপুরাটিভা (HS) এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত চর্মরোগ, যা ত্বকের নিচে ছোট ছোট ফোঁড়া বা নোডিউলস তৈরি করে। এই ফোঁড়াগুলো সাধারণত কুঁচকির ভাঁজ, বগল, স্তনের নিচে এবং ত্বকের অন্যান্য ভাঁজে দেখা যায়। এটি একটি অটোইমিউন রোগ হিসাবে বিবেচিত এবং মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

#কারণসমূহ

এই রোগের সঠিক কারণ জানা যায়নি।

তবে কিছু ফ্যাক্টর রোগটি বৃদ্ধি করতে পারে, যেমন:

ক) অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া:
শরীরের ইমিউন সিস্টেম অস্বাভাবিকভাবে ত্বকের নিচে প্রদাহ সৃষ্টি করে।

খ) হরমোনের পরিবর্তন:
প্রজনন হরমোনের পরিবর্তন, বিশেষত মাসিক চক্রের সময়, HS বৃদ্ধি করতে পারে।

গ) জিনগত প্রভাব:
কিছু জিনগত প্রভাব HS-এর কারণ হতে পারে, যার ফলে এটি বংশগতভাবে সংক্রমিত হতে পারে।

ঘ) ধূমপান ও স্থূলতা: ধূমপান ও স্থূলতা এই রোগকে বৃদ্ধি করতে পারে।

#লক্ষণসমূহ

- ক্ষত এবং ব্যথাযুক্ত ফোঁড়া।

- ত্বকের ভাঁজে দানাদার মাংসপিণ্ড বা নোডিউল তৈরি হওয়া।

- দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত যা সহজভাবে নিরাময় হয় না।

- ক্ষত থেকে পুঁজ নিঃসৃত হওয়া।

- ত্বকে ফাইব্রোসিস বা কঠিন এবং পুরু চামড়া গঠিত হওয়া।

#রোগনির্ণয়

এই রোগের নির্ণয়ের জন্য ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন এবং রোগীর মেডিক্যাল হিস্ট্রি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও আক্রান্ত স্থানের বায়োপসি করা লাগে।

#চিকিৎসা

হাইড্রাডেনিটিস সাপুরাটিভার কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে বিভিন্ন উপায়ে এর লক্ষণগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

চিকিৎসার পদ্ধতিগুলো:

ক) এন্টিবায়োটিক থেরাপি:
ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমণ হলে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।

খ) ইনজেকশন থেরাপি:
স্টেরয়েড ইনজেকশন প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে।

গ) বায়োলজিক থেরাপি:
হাইড্রাডেনিটিস সাপুরাটিভা রোগীদের জন্য ফার্মাকোলজিক্যাল থেরাপি খুবই কার্যকর হতে পারে। অ্যান্টি-টিএনএফ ড্রাগ এবং অন্যান্য ইমিউনোমডুলেটরি ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।

ঘ) সার্জারি:
রোগটি গুরুতর হলে সার্জারি করা হয়।

রেফারেন্স বইসমূহ

1. "Fitzpatrick's Dermatology in General Medicine"
2. "Rook's Textbook of Dermatology"

(কপিরাইট ডা: ইকবাল আহমদ)

01/11/2024

(ধাত সিন্ড্রোম)

- ধাত সিন্ড্রোম দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতিতে পাওয়া একটি মানসিক অবস্থা, যা মূলত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, এবং শ্রীলঙ্কায় দেখা যায়।

- এটি সাধারণত যুবকদের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা যায়, যারা মনে করে তাদের যৌন রস বা “ধাতু” প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যাচ্ছে।

- এটি মূলত Semen বা বীর্যের ক্ষতি নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগের কারণে হয়ে থাকে। এর ফলে তারা শারীরিক দুর্বলতা, ক্লান্তি, বিষণ্ণতা এবং বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।

#কারণ:

ধাত সিন্ড্রোম সাধারণত সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। দক্ষিণ এশীয় সমাজে যৌনতা নিয়ে বিভিন্ন ভুল ধারণা প্রচলিত আছে, যেমন বীর্যের ক্ষয় শরীরের ক্ষতি করে। এই সংস্কৃতিগত বিশ্বাসের কারণে অনেকেই মনে করেন, বীর্যের ক্ষতি হলে তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রচলিত হিন্দু আধ্যাত্মিকতায় বীর্যকে "জীবনীশক্তির তরল" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই "জীবনীশক্তির তরল" হস্তমৈথুনের মাধ্যমে নিঃসৃত হলে, এর সাথে প্রায়ই প্রবল উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার অনুভূতি জড়িত থাকে। প্রায়শই রোগী প্রস্রাবের সাথে একটি সাদা তরল বের হওয়ার কথা বলে থাকেন। আবার, অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের জন্য রোগীর মধ্যে তীব্র অপরাধবোধ দেখা যায়, যা তাদের মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে।

#লক্ষণ:

- প্রস্রাবের সাথে বীর্য বেরিয়ে যাওয়ার ভয়।

- শরীরে দুর্বলতা অনুভব করা।

- মাথা ব্যথা ও ঘুমের সমস্যা।

- মনঃসংযোগে সমস্যা ও বিষণ্ণতা।

- ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং ক্লান্তি।

#চিকিৎসা:

ধাত সিন্ড্রোম শরীরের বড় কোন স্বাস্থ্য সমস্যা নয়, রোগীরা যখন এই বিষয়গুলো নিয়ে অত্যাধিক চিন্তাগ্রস্ত হন, তখন চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে আসেন।

সাধারণভাবে চিকিৎসার জন্য যে পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয়:

1. মানসিক কাউন্সেলিং: রোগীর ভুল ধারণাগুলি সংশোধন করার জন্য সঠিক পরামর্শ প্রদান করা।

2. সাইকোথেরাপি: রোগীর উদ্বেগ ও হতাশা দূর করতে সাহায্য করা।

3. শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি: যৌনতা এবং বীর্যের ক্ষয় নিয়ে সঠিক ধারণা প্রদান।

ধাত সিন্ড্রোমের চিকিৎসা সহজেই সম্ভব যদি রোগীরা সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেয় এবং এই সমস্যার সাথে যুক্ত ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্ত হয়।

(কপিরাইট ডা: ইকবাল আহমদ)

 #অ্যাকানথোসিস_নিগ্রিকানস (Acanthosis Nigricans)অ্যাকানথোসিস নিগ্রিকানস হলো ত্বকের এমন একটি অবস্থা যেখানে ত্বক ঘন, কালো ...
30/10/2024

#অ্যাকানথোসিস_নিগ্রিকানস (Acanthosis Nigricans)

অ্যাকানথোসিস নিগ্রিকানস হলো ত্বকের এমন একটি অবস্থা যেখানে ত্বক ঘন, কালো ও মোটা হয়ে যায়, দেখতে অনেক সময় ভেলভেট এর মত মনে হয়। এটি সাধারণত ঘাড়, বগল, কুঁচকি এবং অন্যান্য ভাঁজযুক্ত জায়গায় দেখা যায়।

লক্ষণসমূহ:

- ত্বকের রঙ কালো হয়ে যায় এবং গাঢ় বাদামি বা কালো দাগ দেখা যায়।

- ত্বকের উপরিভাগে পুরুত্ব ও মোটা ভাব দেখা যায়।

- প্রায়শই ত্বকটি মসৃণ ও নরম থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে শুষ্ক হতে পারে।

#কারণসমূহ:

১. ইনসুলিন প্রতিরোধ:

এটি মূলত টাইপ ২ ডায়াবেটিস বা স্থূলতা সাথে সম্পর্কিত, যেখানে শরীরে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

২. হরমোনজনিত পরিবর্তন:

এটি সাধারণত হরমোনের সমস্যার কারণে হতে পারে, যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)।

৩. জেনেটিক প্রভাব:

পারিবারিক ইতিহাস বা বংশগত কারণে অ্যাকানথোসিস নিগ্রিকানস দেখা দিতে পারে।

৪. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

কিছু স্টেরয়েড বা জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধের কারণে ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

৫. ক্যান্সার:

কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যখন এটি খুব দ্রুত দেখা দেয়, এটি শরীরের কোনো অজানা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

#চিকিৎসা :

চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ,

১. ওজন নিয়ন্ত্রণ: শরীরের ওজন কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য ওষুধের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।

৩. ত্বকের যত্ন: রেটিনয়েড, ইউরিয়া, বা ল্যাকটিক এসিড সমৃদ্ধ ক্রিম ত্বকের উপর মাখানো যেতে পারে।

৪. ব্লিচিং এজেন্ট: কিছু ক্ষেত্রে ত্বকের রঙ হালকা করার জন্য ব্লিচিং এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়, তবে এগুলি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।

৫. লেজার থেরাপি: কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যখন ত্বকের মোটা ভাব অনেক বেশি থাকে, লেজার থেরাপি কার্যকর হতে পারে।

#রোগীদের_প্রতি_পরামর্শ:
যদি আপনার ত্বকে হঠাৎ করে এই রকম পরিবর্তন দেখা যায়, তবে অবশ্যই একজন ডার্মাটোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন। কারণ এটি ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

(কপিরাইট ডা: ইকবাল আহমদ)

25/10/2024

ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ERECTILE DYSFUNCTION)

ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ED) বা যৌন অক্ষমতা হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পুরুষের যৌন উত্তেজনার সময় যৌনাঙ্গে যথেষ্ট রক্ত প্রবাহ না হওয়ার কারণে তা দৃঢ় অবস্থায় থাকে না বা তা ধরে রাখা সম্ভব হয় না।

ইরেকটাইল ডিসফাংশন একধরনের যৌন স্বাস্থ্যের সমস্যা, যা অনেক পুরুষের জীবনে মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে।

ইরেকটাইল ডিসফাংশনের কারণসমূহ:

ইরেকটাইল ডিসফাংশন বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সাধারণ কিছু কারণ হল:

1. শারীরিক কারণ:

* হৃদরোগ

* ডায়াবেটিস

* উচ্চ রক্তচাপ

* স্থূলতা (অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া)

* হরমোনের সমস্যা

2. মানসিক কারণ:

* উদ্বেগ

* মানসিক চাপ

* বিষণ্নতা

* সম্পর্কের সমস্যা

3. জীবনধারার কারণ:

* ধূমপান

* অতিরিক্ত মদ্যপান

* অতিরিক্ত শর্করা ও চর্বি খাওয়া

#লক্ষণসমূহ:

ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:

- যৌনমিলনের সময় দৃঢ়তা ধরে রাখতে না পারা।

- যৌন আগ্রহ কমে যাওয়া।

- যৌনমিলনের সময় অল্প সময়েই সংবেদনশীলতা হারানো।

#চিকিৎসা:

ইরেকটাইল ডিসফাংশনের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে।
কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি হলো:

1. ওষুধ: যেমন সিলডেনাফিল (ভায়াগ্রা), যা রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে যৌনাঙ্গ দৃঢ় করতে সহায়ক।

সতর্কতামূলক:
ভায়াগ্রা সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি আপনার হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যার মতো কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে। অতিরিক্ত ডোজ নেওয়া কখনোই উচিত নয়, কারণ এটি শরীরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

2. সাইকোথেরাপি: মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে কাউন্সেলিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

3. লাইফস্টাইল পরিবর্তন: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ।

#প্রতিরোধ:

ইরেকটাইল ডিসফাংশন প্রতিরোধে জীবনধারার কিছু পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে,
যেমন:

_স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ।

_নিয়মিত ব্যায়াম।

_মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ।

#পরিশেষে:

ইরেকটাইল ডিসফাংশন একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর কারণে অনেক পুরুষ মানসিকভাবে প্রভাবিত হতে পারেন। সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।

(কপিরাইট ডা: ইকবাল আহমদ)

24/10/2024

অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিকারিয়া (Aquagenic Urticaria)

অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিকারিয়া কী?
অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিকারিয়া হলো এক ধরনের চর্মরোগ যেখানে পানি (Water) এর সংস্পর্শে ত্বকে অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই অবস্থায় শরীরের যেকোনো অংশে পানি লাগার কয়েক মিনিটের মধ্যে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি এবং লালচে ভাব দেখা যায়।

আমাদের দেশে রোগীরা সাধারণত গোসলের/স্নানের পরে চুলকানি নিয়ে চর্ম রোগের বিশেষজ্ঞের কাছে আসেন।

লক্ষণসমূহ:

১. পানির সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি বা দাগ দেখা দেয়।
২. আক্রান্ত স্থানে জ্বালা ও চুলকানি অনুভূত হয়।
৩. অনেক সময় ত্বকের আক্রান্ত অংশে ফুলে যাওয়া।
৪. ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ব্যথাও অনুভূত হতে পারে।
৫. এই আর্টিকারিয়া সাধারণত কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিকারিয়ার কারণ:

এই রোগের প্রকৃত কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পানি ত্বকের প্রোটিনের সাথে বিক্রিয়া করে এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তাছাড়া জেনেটিক কারণ এবং ইমিউন সিস্টেমের কিছু অস্বাভাবিকতা এই অবস্থার জন্য দায়ী হতে পারে।

যাদের বেশি হয়:

১. অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিকারিয়া সাধারণত নারীদের মধ্যে এর প্রকোপ তুলনামূলক বেশি। ২. সাধারণত বয়ঃসন্ধির সময় এ রোগের লক্ষণগুলো শুরু হয় এবং পরবর্তী জীবনে এটি বাড়তে পারে।

নির্ণয় পদ্ধতি:

১. চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ত্বকের লক্ষণ দেখে এবং রোগীর ইতিহাস জেনে এই রোগের নির্ণয় করতে পারেন।
২. এর জন্য কোন ল্যাবরেটরী পরীক্ষার প্রয়োজন সাধারণত পড়ে না।

চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:

এই রোগের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে কিছু ব্যবস্থার মাধ্যমে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
যেমন:
১. অ্যান্টিহিস্টামিন: ত্বকের ফুসকুড়ি ও চুলকানি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২. ফিজিক্যাল বারিয়ার: পানি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে প্রতিরোধী পোশাক পরা বা ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রতিরোধের উপায়:

১. অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিকেরিয়ায় আক্রান্ত হলে, যতটা সম্ভব পানি এড়িয়ে চলা।
২.খুব বেশি শীতল বা খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।
৩. ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা, যাতে ত্বক শুষ্ক না হয় এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

পরিশেষে:

অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিকারিয়া বিরল একটি চর্মরোগ, তবে এটির প্রভাব জীবনযাপনের ওপর ব্যাপক হতে পারে। যদিও স্থায়ী চিকিৎসা এখনো নেই, কিছু প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

(কপিরাইট ডা: ইকবাল আহমদ)

24/10/2024

মাইক্রোপেনিস সিন্ড্রোম:

মাইক্রোপেনিস (Micropen*s) হল পুরুষের লিঙ্গের একটি শারীরিক অবস্থা, যেখানে লিঙ্গের দৈর্ঘ্য সাধারণের তুলনায় অনেক ছোট থাকে। সাধারণত, এটি একটি জন্মগত ত্রুটি, যা শিশুর জন্মের সময় থেকেই লক্ষ্য করা যায়। মাইক্রোপেনিস তেমনই একটি অবস্থা যেখানে লিঙ্গের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৫ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশনের চেয়ে কম হয়। অর্থাৎ, গড় আকারের তুলনায় এটি বেশ ছোট থাকে, তবে গঠনগতভাবে বা কার্যকারিতায় এটি স্বাভাবিক।

মাইক্রোপেনিস কিভাবে নির্ণয় করা হয়?

মাইক্রোপেনিস নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসক সাধারণত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করেন। সদ্যোজাত শিশুর ক্ষেত্রে, উত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ১.৯ ইঞ্চির (৪.৮ সেমি) কম হলে তাকে মাইক্রোপেনিস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, উত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৩ ইঞ্চির (৭.৬ সেমি) কম হলে মাইক্রোপেনিস ধরা হয়।

মাইক্রোপেনিসের কারণসমূহ:

মাইক্রোপেনিস মূলত জন্মগত এবং হরমোনজনিত কারণগুলোর ফল। এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

1. হরমোনের সমস্যা: শিশুর গর্ভধারণের সময় অ্যান্ড্রোজেন নামক পুরুষ হরমোনের ঘাটতি হলে শিশুর লিঙ্গের বৃদ্ধি যথাযথভাবে হয় না। অ্যান্ড্রোজেন লিঙ্গের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

2. জেনেটিক সমস্যা: কিছু নির্দিষ্ট জেনেটিক সমস্যা যেমন ক্রোমোসোমাল ত্রুটি মাইক্রোপেনিসের কারণ হতে পারে। এই ধরনের সমস্যার কারণে শিশুর শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়।

3. এনডোক্রাইন সমস্যা: এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের (হরমোন উৎপাদনকারী গ্রন্থি) সমস্যার কারণেও মাইক্রোপেনিস হতে পারে। বিশেষ করে পিটুইটারি বা থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা মাইক্রোপেনিসের জন্য দায়ী হতে পারে।

4. প্রসবকালীন ও পরবর্তী জটিলতা: কিছু ক্ষেত্রে, গর্ভাবস্থার সময় মায়ের মধ্যে হরমোনজনিত জটিলতা থাকলে বা প্রসবকালীন সময়ে জটিলতা দেখা দিলে এটি শিশুর লিঙ্গের আকারে প্রভাব ফেলতে পারে।

মাইক্রোপেনিসের প্রভাব:

লিঙ্গের আকার ছোট হওয়ার কারণে সাধারণত যৌন জীবনে এবং মানসিক স্বাস্থ্যে কিছু প্রভাব পড়তে পারে। তবে, মাইক্রোপেনিস থাকা মানেই লিঙ্গের কার্যকারিতায় কোনো ঘাটতি থাকবে তা নয়। প্রজনন ক্ষমতা বা যৌনক্রিয়ায় সাধারণত তেমন কোনো বাধা থাকে না।

তবে মাইক্রোপেনিস নিয়ে যারা মানসিক সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য মনস্তাত্ত্বিক সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। লিঙ্গের আকার নিয়ে সামাজিক এবং মানসিক চাপের কারণে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিতে পারে, যা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

চিকিৎসা পদ্ধতি:

মাইক্রোপেনিসের চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যার তীব্রতার ওপর এবং এটি কখন নির্ণয় করা হয়েছে তার ওপর। সাধারণত নিচের পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করা হয়:

1. হরমোন থেরাপি: শিশু জন্মের পরপরই যদি মাইক্রোপেনিস শনাক্ত হয়, তবে হরমোন থেরাপি (বিশেষত টেস্টোস্টেরন থেরাপি) করা যেতে পারে। এটি লিঙ্গের আকার কিছুটা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

2. অপারেশন: কিছু ক্ষেত্রে লিঙ্গের আকার বাড়ানোর জন্য সার্জারি করা হয়, একে ফ্যালোপ্লাস্টি বলা হয়। তবে এই ধরনের অস্ত্রোপচার সবসময় কার্যকর হয় না এবং জটিলতাও থাকতে পারে।

3. মানসিক সহায়তা: যেসব পুরুষ মানসিকভাবে মাইক্রোপেনিস নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাদের জন্য সাইকোলজিকাল থেরাপি বা কাউন্সেলিং অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। এর মাধ্যমে তারা তাদের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করতে পারেন।

সামাজিক ও মানসিক দৃষ্টিকোণ:

মাইক্রোপেনিস থাকা মানে জীবনযাত্রায় বড় কোনো সমস্যা হবে এমন নয়। তবে, অনেক সময় সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্যক্তিগত চাপের কারণে এ অবস্থায় থাকা ব্যক্তিরা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। লিঙ্গের আকার নিয়ে সামাজিক ধ্যান-ধারণার প্রভাব ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস এবং সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়া যায়।

পরিশেষে:

মাইক্রোপেনিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যা জন্মগত বা হরমোনজনিত সমস্যার কারণে ঘটে থাকে। এটি সাধারণত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য কম থাকার সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও, কার্যকারিতার কোনো বড় সমস্যা তৈরি করে না। চিকিৎসা এবং মানসিক সহায়তার মাধ্যমে মাইক্রোপেনিস নিয়ে জীবনযাপন করা সম্ভব, এবং এটি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন যাতে সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো যায়।

(কপিরাইট ডা: ইকবাল আহমদ)

01/10/2024

চুল পাকার কারণ এবং এর প্রতিকার:

চুল পাকা একটি সাধারণ সমস্যা যা বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘটে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কম বয়সেও চুল পাকতে দেখা যায়।

চুল পাকার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১. বয়স এবং জেনেটিক্স:

বয়স বৃদ্ধির সাথে শরীরের মেলানিন উৎপাদন কমে যায়, যা চুলের রঙকে প্রভাবিত করে। এছাড়া, পারিবারিক ইতিহাসও একটি বড় ভূমিকা পালন করে। যদি পরিবারের সদস্যদের আগেই চুল পাকা হয়ে থাকে, তাহলে আপনারও সেই ঝুঁকি বেশি।

২. পুষ্টির অভাব:

ভিটামিন বি১২, আয়রন, এবং অন্যান্য পুষ্টির অভাব চুল পাকার একটি কারণ হতে পারে। পুষ্টির অভাবে চুলের রঙের জন্য দায়ী মেলানিন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়।

৩. মানসিক চাপ:

অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের নানা ক্ষতির মধ্যে চুল পাকার কারণ হতে পারে। মানসিক চাপের ফলে অকালে চুল পাকা শুরু হতে পারে।

৪. জীবনধারা এবং পরিবেশগত কারণ:

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, দূষণ, ধূমপান, এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন চুলের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং চুল পাকার হার বাড়িয়ে দেয়।

প্রতিকার:

১. পুষ্টিকর খাদ্য:

খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল যুক্ত করুন। বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, পালংশাক, এবং বাদাম খাওয়া উচিত।

২. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:

যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, এবং নিয়মিত ব্যায়াম চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৩. প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার:

প্রতিদিন চুলে নারকেল তেল বা আমলা তেল ব্যবহার করলে চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি পায় এবং চুল পাকার হার কমানো সম্ভব হয়।

৪. চুলের যত্ন:

চুলকে রাসায়নিক মুক্ত রাখতে হালকা শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত হিট বা স্টাইলিং এড়িয়ে চলুন।

৫. চিকিৎসা:
যদি চুল পাকার সমস্যা বেশি হয়, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

(কপিরাইট ডা: ইকবাল আহমদ)

অ্যালোপেসিয়া আরিয়াটা (Alopecia Areata):অ্যালোপেসিয়া আরিয়াটা (Alopecia Areata) হলো একটি অটোইমিউন রোগ, যেখানে শরীরের ই...
01/10/2024

অ্যালোপেসিয়া আরিয়াটা (Alopecia Areata):

অ্যালোপেসিয়া আরিয়াটা (Alopecia Areata) হলো একটি অটোইমিউন রোগ, যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম চুলের ফলিকল আক্রমণ করে, যার ফলে মাথা বা শরীরের অন্যান্য অংশে হঠাৎ করেই চুল পড়ে যায়। সাধারণত এটি গোলাকার ছোট ছোট টাকের মতো স্থানে দেখা যায়, তবে সময়ের সাথে সাথে এই টাকের পরিধি বাড়তে পারে। এই রোগটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যেই হতে পারে এবং যেকোনো বয়সে শুরু হতে পারে, তবে এটি সাধারণত ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

কারণ:

এই রোগের সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এটি একটি অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার ফল, যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম নিজের চুলের ফলিকলগুলিকে আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করতে থাকে।
কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত দেয় যে, জেনেটিক বা বংশগত ফ্যাক্টর এবং পরিবেশগত কারণগুলো এর জন্য দায়ী হতে পারে।
এছাড়া মানসিক চাপও এই রোগের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করতে পারে।

লক্ষণ ও উপসর্গ:

অ্যালোপেসিয়া আরিয়াটার প্রধান লক্ষণ হলো হঠাৎ করে চুল পড়ে যাওয়া।
এটি সাধারণত মাথার ত্বকে ছোট ছোট গোলাকার টাকের দাগ হিসেবে শুরু হয়। অনেক সময় চোখের পাতা, ভ্রু, বা শরীরের অন্যান্য অংশের চুলও পড়ে যেতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে সমস্ত মাথার চুল পড়ে যেতে পারে, যা অ্যালোপেসিয়া টোটালিস নামে পরিচিত। আবার, পুরো শরীরের চুল পড়ে গেলে তাকে অ্যালোপেসিয়া ইউনিভার্সালিস বলা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুল কিছু সময় পর আবার গজাতে শুরু করে।

রোগ নির্ণয়:

অ্যালোপেসিয়া আরিয়াটা রোগ নির্ণয় করার জন্য সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা এবং রোগীর ইতিহাস মূল্যায়ন করা হয়।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চুলের নমুনা পরীক্ষা করতে পারেন এবং প্রয়োজন হলে স্কাল্প বায়োপসি করতে পারেন।
এছাড়াও রক্ত পরীক্ষা করা হতে পারে, বিশেষ করে যদি চিকিৎসক মনে করেন যে রোগী অন্য কোন অটোইমিউন সমস্যায় ভুগছেন।

চিকিৎসা:

অ্যালোপেসিয়া আরিয়াটার কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে চুল গজানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা যায়। কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে:

1. **স্টেরয়েড থেরাপি**: স্টেরয়েড ইনজেকশন বা ক্রিম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা ইমিউন সিস্টেমকে দমিয়ে রাখতে সহায়ক।

2. **মিনোক্সিডিল**: এই ঔষধটি সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা হয় এবং এটি চুল গজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

3. **লাইট থেরাপি**: এই চিকিৎসায় অতিবেগুনি আলো ব্যবহার করা হয়।

মানসিক প্রভাব

অ্যালোপেসিয়া আরিয়াটা অনেকের জন্য মানসিক চাপের কারণ হতে পারে, কারণ এটি আত্মবিশ্বাসের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। হঠাৎ চুল হারানো ব্যক্তির মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা বা লজ্জাবোধ তৈরি করতে পারে। এজন্য রোগীদের মানসিক সমর্থন ও পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যালোপেসিয়া আরিয়াটা একটি জটিল রোগ, তবে এটি জীবন-হুমকিস্বরূপ নয়।
চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকক্ষেত্রে চুল আবার গজানো সম্ভব, তবে চুল পুরোপুরি ফিরে আসবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
যারা এই রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য সহায়ক চিকিৎসা এবং মানসিক সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শ নিয়ে এই অবস্থার সাথে মানিয়ে চলা সহজ হতে পারে।

26/12/2022
 #কুনিনখ (Ingrown Nail)কুনিনখ আপাতদৃষ্টিতে ছোট সমস্যা, কিন্তু বড়ই বেদনাদায়ক। আমাদের হাতে ও পায়ের নখ বাড়ে বাইরের দিকে, অন...
10/05/2022

#কুনিনখ (Ingrown Nail)

কুনিনখ আপাতদৃষ্টিতে ছোট সমস্যা, কিন্তু বড়ই বেদনাদায়ক। আমাদের হাতে ও পায়ের নখ বাড়ে বাইরের দিকে, অনেক সময় সেটা না হয়ে উল্টো দিকে নখ বাড়তে থাকে অর্থাৎ নখের গ্রোথ হয় ভিতরের দিকে। একেই কুনিনখ বা ইনগ্রোন টো নেল (Ingrown Toenail) বলে। যেহেতু পায়ের নখেই এটি বেশি হয়, তাই টো নেল (Toenail) বলা হচ্ছে। অবশ্য মাঝে-মাঝে হাতের নখেও এই সমস্যা দেখা দেয়। আজকের এই লেখায় আলোচনা করা হবে কুনিনখ কেন হয় এবং তার নিরাময়ের উপায় নিয়ে।

কী কারণে কুনিনখ হয়? (Ingrown Toenail Causes)

মহিলা ও পুরুষ, উভয়েরই কুনিনখর সমস্যা হতে পারে। তবে গবেষণা বলছে, টিনএজার ও বয়স্ক মানুষদের মধ্যে কুনিনখ হওয়ার প্রবণতা বেশি। যাঁদের পা খুব ঘামে, তাঁদেরও কুনিনখ বেশি হওয়ার চান্স থাকে। বয়স বাড়লে নখ মোটা হয়ে যায়। তখন কুনিনখর (Ingrown Toenail) সমস্যাও বাড়ে। যে যে কারণে কুনিনখ হয় সেগুলি হল

১) ভুলভাবে বা বেঁকিয়ে নখ কাটলে। বেঁকিয়ে নখ কাটলে নখের সেদিকে গ্রোথের একটা প্রবণতা দেখা দিতে পারে। পরে সেটাই কুনিনখর সমস্যা তৈরি করতে পারে।

২) নখ যদি সমানভাবে কাটা না হয় বা কার্ভড হয়ে যায়।

৩) জুতো, মোজা ও স্টকিংসের কারনেও কুনিনখ হয়। যদি খুব টাইট জুতো বা মোজা পরা হয়, নখের বৃদ্ধিতে সেটা বাধা সৃষ্টি করে। নখ তখন স্বাভাবিকভাবে না বেড়ে উল্টোদিকে বাড়তে শুরু করে।

৪) টোনেল বা পায়ের নখে কোনও ইনজুরি বা ব্যথা পেলেও কুনিনখ হতে পারে। যদি অসাবধানতা বশত কেউ পায়ে আঘাত করে, পায়ের উপর যদি ভারি কিছু পড়ে যায়, তাহলেও কুনিনখ হওয়ার আশঙ্কা আছে। যারা ফুটবল খেলেন তাঁদের কুনিনখ হওয়ার চান্স খুব বেশি। কারণ তাঁরা পা দিয়ে ক্রমাগত ফুটবলে আঘাত করেন। এছাড়াও পায়ের পাতায় ক্রমাগত চাপ পড়ে এমন কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁদেরও কুনিনখ বেশি মাত্রায় হয়ে থাকে। যেমন যারা ব্যালে নৃত্যশিল্পী হন, যারা কিকবক্সিং করেন বা ফুটবলার হন এঁরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন।

৫) আপনার হাঁটা চলা বা বসার পোজ যদি ঠিক না হয়, তা হলেও কুনিনখ হয়।

৬) পা ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে, নিয়মিত না ধুলেও কুনিনখ দেখা দিতে পারে।

৭) কুনিনখর সমস্যা বংশগত হতে পারে। অর্থাৎ পরিবারের কারও এই সমস্যা থাকলে সেটা জিনবাহিত হয়ে আপনারও হতে পারে।

কুনিনখর লক্ষণগুলি কী-কী? (Ingrown Toenail Symptoms)

প্রথম-প্রথম কুনিনখ দেখা দিলে তার লক্ষণ অতটা স্পষ্ট হয় না। কিন্তু দীর্ঘদিন পরেও এই সমস্যা না কমলে তার লক্ষণ প্রকট হয়।
প্রথমদিকে কুনিনখর যে লক্ষণগুলি দেখা যায় (Early Symptoms of Ingrown Toenail)

১| কুনিনখ যেখানে হয়েছে, তার আশেপাশের ত্বক নরম হয়ে যায়।
২| নখে চাপ পড়লে ব্যথা করে।
৩| নখের চারপাশে তরল জমাট বেঁধে থাকে।

পরিণত স্তরে যখন কুনিনখ থেকে সংক্রমণ হয়, তখন এই লক্ষণগুলি দেখা যায় (Final Symptoms of Ingrown Toenail)

১| রক্ত পড়া
২| কুনিনখর পাশে পুঁজ জমে যাওয়া
৩| চামড়া মোটা হয়ে গিয়ে নখ ঢেকে দেওয়া।

কুনিনখ রোধ করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ? (Ways To Treat Ingrown Toenail)

যেহেতু সমস্যাটা নখের তাই কুনিনখ রোধ করতে সবার আগে নখের যত্ন নিতে হবে।
বিশেষ করে নখ কাটার সময় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। দেখে নিতে কীভাবে কুনিনখ হওয়া বন্ধ করা সম্ভব।

১| নখ খুব ছোট অবস্থায় কাটবেন না। নখ কাটার সময় নখের কোনার দিকে বিশেষ যত্ন নেবেন। খেয়াল রাখবেন নখের কোনা যেন বেঁকে না যায়। নখ সব সময় সোজা করে কাটবেন।

২| জুতো বা মোজা বেশি টাইট পরবেন না। এমন জুতো বেছে নেবেন যেখানে আপনার টো বা পায়ের পাতা নড়াচড়া করার জন্য যথেষ্ট জায়গা পায়।

৩| খেলাধুলো করার সময় সাবধান থাকবেন যেন পায়ে চোট না লাগে।

কুনিনখ থেকে সংক্রমণ হলে কী করা উচিত?

কুনিনখ থেকে সংক্রমণ হলে সেখান থেকে রক্ত বেরোবে, নখ ফুলে উঠবে এবং পুঁজ জমা হবে। এরকম কিছু হলে ঘরোয়া উপায়ের (Home Remedies) উপর ভরসা না করে সত্বর চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। হতে পারে আপনার সার্জারির প্রয়োজন আছে।

 #ভাইরাল_ওয়ার্টস (আঁচিল)ভাইরাল ওয়ার্টস বা আঁচিল এক ধরনের টিউমারের মত গ্রোথ। ত্বকের অংশ বিশেষ শক্ত, মোটা, খসখসে দানার মত ...
05/05/2022

#ভাইরাল_ওয়ার্টস (আঁচিল)

ভাইরাল ওয়ার্টস বা আঁচিল এক ধরনের টিউমারের মত গ্রোথ।
ত্বকের অংশ বিশেষ শক্ত, মোটা, খসখসে দানার মত বৃদ্ধি পায়।
ভাইরাল ওয়ার্টস HPV বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দ্বারা শরীরে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শেও এই ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট আঁচিল অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আঁচিল বা ভাইরাল ওয়ার্টস-এ চুলকায়। তখন আক্রান্ত স্থান চুলকালে বা ঘসলে এই ভাইরাস ত্বকের স্বাভাবিক স্থানেও ছড়াতে পারে। শুরুতে আঁচিলগুলো ছোট, দানারমত থাকে এবং প্রাথমিক অবস্থায় তুলে ফেলা হলে আঁচিলের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

আঁচিল গুলো সাধারনত: শক্ত ও খসখসে (ওয়ার্টি) থাকে। শরীরে নানা ধরণের ভাইরাল ওয়ার্ট হতে পারে। সাধারনত: আঙ্গুলের পিছনের দিক, বুড়ো আঙ্গুলের সামনেরর দিক, হাঁটু, পায়ের পাতায় আঁচিল দেখা দেয়। মুখে সাধারণত প্লেন ওয়ার্টস বেশী থাকে। যা শেভ করার সময় কেটে গিয়ে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে। এছাড়া নখের পাশে পেরিঅঙ্গুরাল, আঁচিল, ঠোটের ওপরে ও মুখেও আঁচিল হতে পারে। আর জেনিটাল ওয়ার্টস বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড হয়। ওয়ার্টস বা আঁচিল অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে এবং বিব্রতকর হতে হয়। বিশেষ করে কালো খসখসে বড় আকৃতির শক্ত আঁচিলের ক্ষেত্রে।

#আঁচিলের_চিকিৎসা

বেশির ভাগ আঁচিলের চিকিৎসার দরকার হয়না এবং নিজের থেকেই চলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে, শরীর সেগুলোর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে প্রবণ হয়, এবং সেগুলো উধাও হয়ে যায়। যাই হোক, কখনও কখনও এটা কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক বছর সময় নিতে পারে।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আঁচিলের চিকিৎসা কেউ করতে চায়না। ফলে আঁচিল একদিকে যেমন বড় হয় অন্যদিকে তেমনি বড় আঁচিলের চিকিৎসায় ত্বকে ক্ষত তৈরী হতে পারে।
সাধারণত: কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, ক্রায়োথেরাপি, ইলেকট্রথেরাপি, লেজার দিয়ে আঁচিলের কার্যকর চিকিৎসা করা যায়। অনেক সময় কম্বিনেশন চিকিৎসারও প্রয়োজন হতে পারে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসায় আঁচিল সম্পূর্ণ ভালো হয় এবং ভবিষ্যতে আর দেখা দেয়না। তবে অসম্পূর্ণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আঁচিল আবার দেখা দেয়। তাই আঁচিলের যথাযথ চিকিৎসা নিতে একজন চর্মরোগবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Address


Opening Hours

Monday 17:00 - 19:30
Tuesday 17:00 - 19:30
Wednesday 17:00 - 19:30
Thursday 17:00 - 19:30
Saturday 17:00 - 19:30
Sunday 17:00 - 19:30

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Iqbal Ahmed, Skin & Sexual Health Specialist, Sylhet. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Iqbal Ahmed, Skin & Sexual Health Specialist, Sylhet.:

Shortcuts

  • Address
  • Opening Hours
  • Alerts
  • Contact The Practice
  • Claim ownership or report listing
  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share