06/05/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হলে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটলে স্ট্রোক হতে পারে। একজন রোগীর স্ট্রোক-পরবর্তী শারীরিক সমস্যা দূর করে স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রয়োজন। স্ট্রোকের পর যত দ্রুত রোগীর ফিজিওথেরাপি শুরু করা যাবে, রোগীর কার্যক্ষমতা ফিরে আসার সম্ভাবনাও তত বেশি। ত্বরিত চিকিৎসা ও বিভিন্ন ওষুধ রোগীর জীবন বাঁচানোসহ স্থিতিশীল করতে পারলেও তাঁর শরীরের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘদিন লেগে যায়। এই ক্ষেত্রেই শুরু ফিজিওথেরাপি। একজন ফিজিওথেরাপিস্টের মূল লক্ষ্যই হলো স্ট্রোক-পরবর্তী সমস্যাগুলো নির্ণয় করে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে নিয়ে আসা। এর জন্য দরকার সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। 
স্ট্রোকের পর রোগির যেসব সমস্যা দেখা দেয়ঃ 
১. শরীরের এক পাশ অথবা অনেক সময় দুই পাশ অবশ হয়ে যেতে পারে।
২. মাংসপেশির টান বা স্থিতিস্থাপকতা প্রাথমিক পর্যায়ে কমে যেতে পারে, পরে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।
৩. হাত-পায়ের নড়াচড়া আংশিক বা সম্পূর্ণ কমে যেতে পারে।
৪. মাংসপেশি শুকিয়ে যেতে পারে, শক্ত হয়ে যেতে পারে।
৫. হাঁটা-চলা, উঠাবসা, বিছানায় নড়াচড়া কমে যেতে পারে। এমনকি প্রস্রাব-পায়খানা নিয়ন্ত্রণজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৬. অনেক সময় নড়াচড়া কমে যাওয়ার ফলে শুয়ে থাকার জন্য চাপজনিত ঘা দেখা দিতে পারে।
৭. কাঁধের জয়েন্ট সরে যেতে পারে।
৮. পোশার সিনড্রোম দেখা দিতে পারে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় প্রথমে রোগীর রোগ বর্ণনা, শারীরিক পরীক্ষাসহ, বিভিন্ন রেডিওলজিক্যাল ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে কী ধরনের স্ট্রোক, কী ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে তা নির্ণয় করা হয়। এরপর রোগীর সমস্যা অনুযায়ী স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি এভিডেন্স বেইজড ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার পরিকল্পনা করা হয়। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করা, সঠিক পজিশনিং ও মাংসপেশির স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে মাংসপেশির স্বাভাবিক টান ফিরিয়ে আনা, হাত ও পায়ের শক্তি ফিরিয়ে আনা, শরীরের স্বাভাবিক অ্যালাইনমেন্ট ফিরিয়ে আনা, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির নড়াচড়া করার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা, ব্যালেন্স ও কো-অর্ডিনেশন উন্নত করা, স্বাভাবিক হাঁটার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা এবং সর্বোপরি রোগীর কর্মদক্ষতা বাড়ানো হয় ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে। 
ভুল ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা রোগীর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। বর্তমানে অত্যাধুনিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব॥॥ 
জীবন অনেক মূল্যবান॥ তার থেকেও বেশি মূল্যবান সুস্থ্য জীবন॥ সুস্থতা আল্লাহর বড় নেয়ামত॥ 
H.S.PhysioCare Home Service  প্রধান লক্ষ্য একজন মানুষকে সুস্থ্যভাবে বেচে থাকতে সহায়তা করা॥ বাকিসব তো মহান আল্লাহরাব্বুল আল-আমীনের হাতে॥