Raqi johirul islam

Raqi johirul islam জিন,যাদু,বদনজর এবং শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কোরআন সুন্নাহ নির্ভর চিকিৎসা।

24/07/2025

কোন সমস্যাগুলো আপনার সাথে মিলে? যা জীবনকে শেষ করে দিচ্ছে?

রুকইয়াহ কেন্দ্রিক সমস্যা ও অসুস্থতাগুলো ছড়িয়ে পড়েছে ঘরে ঘরে। মহামারীর ন্যায়....

আমাদের সমাজে পারিবারিক, শারীরিক ও মানসিক অসংখ্য সমস্যার অন্যতম কারণ বদনজর যাদুতে আক্রান্ত হওয়া। দীর্ঘদিন বদনজর যাদুতে আক্রান্ত হলে একজন ব্যক্তি পদে পদে বাঁধা ও অসুস্থতার কারণে জীবনের অধিকাংশ সফলতা ও সুখগুলোকে হারিয়ে ফেলে। এ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও চিকিৎসা গ্রহণের বিকল্প নেই।

🛑 একজন ব্যক্তি বদনজর যাদুতে আক্রান্ত কিনা তা মৌলিকভাবে কয়েকটি লক্ষণ থেকে প্রাথমিক ধারণা করা যায়–

🎯 মানসিকভাবে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়া। যেমনঃ
1. মানসিকভাবে বিভিন্ন প্রকারের তীব্র কষ্ট যন্ত্রণায় ভোগা, যা ব্যখ্যা করেও বুঝানো যায় না।
2. খিটখিটে মেজাজ বা বদমেজাজ।
3. অস্থিরতা কাজ করা, ডিপ্রেশনে ভোগা, দীর্ঘ সময় মন খারাপ থাকা, ভয়, ফোবিয়া বা প্যানিক অ্যাটাকের সমস্যা থাকা, একটুতেই নার্ভাসনেস কাজ করা।
4. শুচিবায়ু বা ওসিডিতে আক্রান্ত হওয়া।
5. ভেতর থেকে প্রায়ই কান্না পাওয়া বা অস্বাভাবিক হাসতে/ চিৎকার করতে মনে চাওয়া।
6. অস্বাভাবিক রাগ, জেদ, অভিমান কাজ করা। একটুতেই কান্না, হতাশা বা আভিমান কাজ করা।
7. মনের ভেতর থেকে গালাগাল, ভাঙচুর বা পাগলামি করতে মনে চাওয়া।
8. বাজে কিছুর প্রতি এমন আসক্তি যা চেষ্টা করেও ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না।
9. নামাজ ইবাদতে কোনো স্বাদ না পাওয়া। অন্তরের আবেগ অনুভূতি শক্তি কমে যাওয়া।
10. মানুষ দেখলে বিরক্ত লাগা। সামাজিকতা ও দায়িত্ব থেকে পালিয়ে বেড়ানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া।
11. অন্তরে আনন্দ- খুশি, ভালো লাগা কিছুই কাজ না করা।
12. দুনিয়ার প্রতি বিতৃষ্ণা থেকে কোনো কিছুই ভালো না লাগা।
13. পুরুষের ভেতর পুরুষালি দৃঢ়তা, ব্যক্তিত্ব হ্রাস পাওয়া এবং নারীদের ভেতরে নারীসুলভ কোমলতা, লাজুকতা কমতে শুরু করা।

🎯 বিভিন্ন শারীরিক লক্ষণ দেখা দেওয়া। যেমনঃ
14. সবসময় দুর্বল লাগা, ক্লান্ত, অবসাদ লাগা।
15. বিভিন্ন অস্বাভাবিক কষ্ট যেমন- বুকে চাপ, জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট, প্রায়ই অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মৃগীরোগ, খিঁচুনি ইত্যাদি হওয়া।
16. পেট কেন্দ্রিক সমস্যা যেমন– দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস্ট্রিক, পেট ফোলা, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, ঘন ঘন ঢেঁকুর, পেটে ব্যথা জ্বালাপোড়া, আইবিএস, দীর্ঘমেয়াদি পেট কেন্দ্রিক রোগ বা সমস্যা হওয়া যা সমাধান হচ্ছে না।
17. খাবারের রুচি কমে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া।
18. দীর্ঘসময় মনোযোগ দিতে না পারা, কাজ করতে গেলে বা পড়তে গেলে মাথা কাজ না করা, শরীর চলতেই চায় না ইত্যাদি।
19. অকারণে বিভিন্ন ব্যথা যেমন- মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, মাইগ্রেন ইত্যাদি।
20. শারীরিক জ্বালাপোড়া, অস্থিরতা, জ্বর ভাব, শরীরে অনুভূত অস্বাভাবিক বিভিন্ন অনুভূতি।
21. রাতে ঘুম না হওয়া বা অত্যাধিক ঘুম বেড়ে যাওয়া।
22. গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা বা কাজ করতে গেলেই মাথা কাজ না করা বা শরীর চলতে না চাওয়া। কোনো কারণ ছাড়াই কাজে ভুল হওয়া বা কাজ করতে গেলে অসুস্থ/ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।

🎯 শরীরের নার্ভগুলো অতি সংবেদনশীল হয়ে যাওয়া বা সংবেদন হারিয়ে ফেলা। ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার ফলে তা তার ইন্দ্রীয়গুলোকে প্রভাবিত করে। যেমনঃ
23. কাজে অতিমাত্রায় তাড়াহুড়ো প্রবণতা বা অস্বাভাবিক ধীরতা।
24. অল্প কাজ করলে বা দায়িত্ব নিলেই স্ট্রেস লেভেল বেড়ে যাওয়া।
25. সামান্য আঘাতেই প্রচুর ব্যথা যন্ত্রণা হওয়া। স্কিন অতিরিক্ত সেন্সিটিভ বা ভোতা অনুভূতিহীন হয়ে যাওয়া।
26. একটুতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলা।
27. উজ্জ্বল আলো সহ্য না হওয়া।
28. উচ্চ শব্দ সহ্য না হওয়া।
29. পরিশ্রম করা ও ধৈর্য্য ধরার শক্তি হারিয়ে ফেলা।
30. ঘ্রাণ/ গন্ধের ক্ষেত্রে অথবা খাবার পছন্দের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া।

🎯 জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঁধাগ্রস্থ হওয়া বা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়া। যেমনঃ
31. বিয়ে অকারণে বাঁধাগ্রস্থ হওয়া।
32. অস্বাভাবিকভাবে রিযিক/ ইনকাম/ ব্যবসার বরকতে ধ্বস নামা।
33. পড়তে গেলে মাথা কাজ না করা।
34. কাজ করতে গেলে একটুতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়া, কাজে অনীহা ও মন না বসা, অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া।
35. গুরুত্বপূর্ণ কাজ, পড়াশুনা বা দায়িত্ব আসলে শারীরিক অসুস্থতা/ বাঁধা, মানসিক অনীহা, অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া।
36. স্বাভাবিক চেষ্টার পরও সন্তান না হওয়া বা মিসক্যারেজ হওয়া।
37. অদৃশ্য বলয়ে জীবন আটকে যাওয়া। যেমনঃ যাদু/ বদনজরের প্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তি এক অদৃশ্য লাইফস্টাইলে আটকে যান। ফলে অলসতা উদাসীনতা ও ডিপ্রেশনের সাথেই ব্যক্তির জীবন চলে যায়।

🎯 বিভিন্ন প্রকার আসক্তি। যাদু বদনজরের সমস্যা যেকোনো স্বাভাবিক আসক্তির তীব্রতাকে বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণহীন করে ফেলে। যেমনঃ

38. আসক্তি এত গভীর হওয়া যে চেষ্টা সত্ত্বেও বের হওয়া যাচ্ছে না। এটা হতে পারে কোনো বাজে কাজ– ম|স্ট|রবেশন, পর্ণগ্র|ফি, বিকৃত যৌনত|, সমক|মিত| বা অন্যান্য অশ্লীলতার প্রতি আসক্তি।
39. কোনো হারাম কাজ অথবা ব্যক্তির প্রতি অস্বাভাবিক আসক্তি।
40. শত চেষ্টা এবং পরিকল্পনা করেও, কোনোভাবেই এই অভ্যাসময় আসক্তিগুলো থেকে বের হতে না পারা।

🎯 ব্যক্তিত্ব বা আচরণে পরিবর্তন। যাদু/ বদনজরের প্রভাবে ব্যক্তির আচরণ, রাগ, ধৈর্য্যশক্তি, স্থিরতা, চিন্তাশক্তি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। যেমনঃ
41. ব্যক্তির ভেতর তাড়াহুড়ো প্রবণতা বা অতিরিক্ত ধীরতা বাড়তে পারে।
42. নিয়মিত গোসল করতে না চাওয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অনীহা।
43. কোনো কিছু গুছিয়ে না রাখা এবং এব্যাপারে জেদ প্রদর্শন করা।
44. কাজে প্রোএক্টিভনেস এবং প্রোডাক্টিভিটি কমে যাওয়া।
45. মানুষের স্বাভাবিক ফিতরাত বিরুদ্ধ আচরণ করা। পুরুষের ভেতর মেয়েলি আচরণ, চিন্তা, ব্যক্তিত্ব চলে আসা। নারীর ভেতর পুরুষালি আচরণ প্রকট হতে থাকা।

🎯 রোগ হওয়া। যাদু/ বদনজরের প্রভাবে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। যেমনঃ
46. এমন অসুস্থতা মেডিকেল টেস্টে যার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
47. এলার্জি, থাইরয়েড, PCOS, ক্যান্সার, চর্মরোগ, যৌনবাহিত রোগ, IBS, মেটাবলিক ডিজিজ সহ বিভিন্ন হরমোনাল রোগ যাদু/ বদনজরের প্রভাবে হতে পারে।
48. বিভিন্ন যৌন রোগ ও অক্ষমতা যাদু, বদনজরের প্রভাবে হতে পারে।

🎯 সৌন্দর্য ও ফিটনেসের উপর প্রভাব। যেমনঃ
49. যাদু/ বদনজরের প্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির চেহারা ক্লান্ত- বিধ্বস্ত, অসুস্থ লাগতে পারে।
50. শরীর অস্বাভাবিকভাবে শুকিয়ে যাওয়া কিংবা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যাওয়া।
51. চেহারায় ও আচরণে কনফিডেন্স লেভেল কমতে থাকা।
52. মুখে ব্রণ হওয়া, গোঁটা হওয়া।
53. চেহারায় কালচে দাগ কিংবা আস্তরণ পড়া।
54. অস্বাভাবিকমাত্রায় চুল পড়া।
55. শরীরে তীব্রমাত্রায় দুর্গন্ধ হওয়া।
56. শরীরের তাপমাত্রা প্রায়ই বাড়তি থাকা কিংবা শীতল থাকা।
57. সুষম খাবার খাওয়ার পরও শরীর শুকিয়ে যাওয়া, স্বাস্থ্য না হওয়া। ক্ষেত্রবিশেষে যৌক্তিক কারণ ব্যতীতই অত্যাধিক স্বাস্থ্য বেড়ে যাওয়া।

🎯 যাদু/ বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন স্বপ্ন দেখতে পারেন। যেমনঃ
58. অশ্লীল স্বপ্ন, ঘনিষ্ঠ হওয়ার স্বপ্ন দেখা।
59. ভীতিকর জন্তু আকৃতির কিছু ধাওয়া করার স্বপ্ন দেখা।
60. স্বপ্নে প্রায়ই কিছু না কিছু খেতে দেখা।
61. স্বপ্নে খেতে দেখে ঘুম থেকে উঠার পর মুখের ভিতর বালু, মাটি, চুল ইত্যাদি জিনিস পাওয়া।
62. স্বপ্নে বিভিন্ন প্রাণী বারবার দেখা। যেমন- সাপ, কুকুর, নেকড়ে, চিল, কাক, শকুন, বাজপাখি, টিকটিকি, ইঁদুর, বিচ্ছু, বিষাক্ত পোকা ইত্যাদি।
63. পরিচিত/ অপরিচিত কোনো ব্যক্তিকে স্বপ্নে বারবার দেখা।
64. বিভিন্ন স্থান বা অবস্থা দেখা। যেমন- কবর, লাশ, পানি, জলাভূমি, ভূমিকম্প, ঘরবাড়ি ধ্বসে যাওয়া, নিজেকে উড়তে দেখা ইত্যাদি।

🎯 ঘর কেন্দ্রিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়া। যেমনঃ
65. ঘরে বিভিন্ন প্রাণীর উপদ্রব বেড়ে যাওয়া। যেমন- মাছি, টিকটিকি, ইঁদুর, বিচ্ছু, বিষাক্ত পোকা, তেলাপোকা, পিঁপড়া, সাপ, কাক ইত্যাদি।
66. ঘর থেকে প্রায়ই বিভিন্ন কিছু চুরি হওয়া। যেমন- জামা-কাপড়, প্রয়োজনীয় কাগজ, চিরুনী, দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী ইত্যাদি।
67. ঘর থেকে খাবার গায়েব হয়ে যাওয়া। যেমন- মাছ, মিষ্টি ইত্যাদি।
68. প্রায়ই জামা-কাপড়ের কিছু অংশ কাটা অবস্থায় পাওয়া।
69. ঘরের সদস্যদের এবং ছোট বাচ্চাদের চুল কেটে নেওয়া।
70. ঘরে উৎকট দুর্গন্ধ হওয়া।
71. ঘরের মেঝেতে রক্ত, প্রস্রাব ছিটানো অবস্থায় পাওয়া।
72. ঘরে ঢুকলে শরীর ভারী লাগা, মন অবসাদ লাগা।
73. ঘরের ভিতর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অকারণে ঝগড়াঝাটি হওয়া, কিন্তু বাইরে গেলে ভালো থাকা।
74. ঘরে ঢোকা মাত্র অসুস্থ হয়ে যাওয়া এবং ঘরে অস্বাভাবিক গরম লাগা।
75. ঘরে অদৃশ্য কোনো কিছুর উপস্থিতি অনুভব করা, ফিশফিশ আওয়াজ কিংবা অদৃশ্য প্রাণীর ডাক শোনা।
76. ঘরের ছাদ থেকে গভীর রাতে বিভিন্ন আওয়াজ শোনা।
77. ঘরের দরজা বন্ধ করা সত্ত্বেও নিজে থেকে খুলে যাওয়া।
78. ঘরের ভিতর কারণ ছাড়াই জিনিসপত্র পড়ে যাওয়া।
79. ঘরে থাকলেই তীব্র অশান্তি কাজ করা এবং ঘর থেকে বের হয়ে যেতে চাওয়া।

🎯 উদ্দেশ্য কেন্দ্রিক সমস্যা ও লক্ষণ। যেমনঃ কাউকে যদি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে যাদু করা হয় অথবা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বদনজর, যাদু কাজ করে তাহলে তার সেই সংক্রান্ত সমস্যাগুলো বেশি হতে পারে।

80. কেউ বিচ্ছেদের যাদুতে আক্রান্ত হলে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক দ্রুত অবনতি ঘটতে পারে। অহেতুক সন্দেহপ্রবণতা, রাগ ঝগড়া বেড়ে যাওয়া, শারীরিক সম্পর্ক কমে যাওয়া বা সম্পর্কের পর যন্ত্রণার ব্যথা অনুভূত হওয়া, সৌন্দর্য কমতে শুরু করা, কোমর ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি হতে পারে।

81. কেউ তীব্র নজর বা অসুস্থতার যাদুতে আক্রান্ত হলে তিনি একের পর এক রোগ, জ্বর, ব্যথা ও অসুস্থতায় ভুগতেই থাকেন।

82. কেউ পড়াশোনার উপর যাদুতে আক্রান্ত হলে তিনি পরীক্ষার আগে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, পড়তে গেলে চিন্তা ঘোলা হয়ে যাওয়া, অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া, পড়া মাথায় না ঢোকা সহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে থাকেন।

83. কেউ পাগল করার যাদুতে আক্রান্ত হলে তার মানসিক ভারসাম্যহীনতা, বাইপোলার ডিজঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া সহ বিভিন্ন মানসিক রোগ বেড়ে যেতে পারে।

84. কেউ সিহরুল কতলে আক্রান্ত হলে তার মাঝে আত্মহত্যা প্রবণতা, নিজের ক্ষতি করা, তীব্র আচরণগত প্রতিক্রিয়া দেখানো, মানসিকভাবে মৃত্যু যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়া, ক্যান্সারের মত মরণঘাতি রোগসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

85. কারো সন্তান না হওয়ার উপর যাদুর সমস্যা থাকলে তার বন্ধ্যাত্বের সমস্যা, গর্ভপাত হওয়া, সহবাসে বাঁধা সৃষ্টি, জরায়ুতে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে।

86. কেউ বাঁধাগ্রস্থ করার যাদুতে আক্রান্ত হলে তার বিয়ে, ইনকামসহ বিভিন্ন কাজে কোনো কারণ ছাড়াই একের পর এক বাঁধা আসতে পারে।

উপরোল্লেখিত কারণগুলো ছাড়াও বিভিন্ন উদ্দেশ্যে যাদু বা নজর বিভিন্ন লক্ষণ সৃষ্টি করে।

রুকইয়াহ শারইয়্যাহর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করে এই সমস্যাগুলো থেকে সুস্থতা লাভ করা সম্ভব।

রুকইয়াহ সেবা নিতে যোগাযোগ করুন
📞01316475820 WhatsApp

08/07/2025

যাদের পেটে যাদু আছে,তারা সুরা সাফফাত এবং সুরা দুখান জয়তুন তেলের উপর পড়ে,সেই তেল সকালে খালি পেটে তিন চামচ পান করবেন।টানা তিন দিন।তেল পান করার পর এক ঘন্টা অন্য কিছু খাবেন না।

যত শক্তিশালী যাদু হউক বের হয়ে যাবে বি-ইযনিল্লাহ।
জয়তুন তেল অবশ্য ভালো মানের নিবেন।

07/07/2025

জিন মানুষের উপর যেসব কারণে পজেস হয়-

১. ভালোবাসা (ভালোবাসার কারণে পজেস হওয়া):

এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং সবচেয়ে ভয়ংকর কারণ।

একজন পুরুষ জিন কোনো নারী মানুষকে ভালোবাসে, বা কোনো নারী জিন কোনো পুরুষ মানুষকে ভালোবাসে — এমনকি কোনো পুরুষ জিন আরেকজন পুরুষ মানুষকে ভালোবাসে।
ভালোবাসা এমন একটি শক্তিশালী বন্ধন, যা ভেঙে ফেলা অত্যন্ত কঠিন।

২. প্রতিশোধ:

“তুমি গরম পানি ঢেলে দিয়েছো আমার সন্তানের উপর,তুমি আমার আত্মীয়কে মেরে ফেলেছো, আমি তার প্রতিশোধ নিচ্ছি।”
রাসূলুল্লাহ ﷺ এই ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও দোয়া আমাদের শিখিয়েছেন।

৩. কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই

একটি এলোমেলো আক্রমণ।যদি কোনো মানুষ যথাযথ ইসলামী সুরক্ষা গ্রহণ না করে, তবে সে জিনের আক্রমণের জন্য উন্মুক্ত লক্ষ্য হয়ে যেতে পারে।

রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি সহিহ হাদীসে বলেছেন (বুখারী ও মুসলিমে সাফিয়্যা (রাঃ) হতে বর্ণিত):

"শয়তান মানুষের দেহে রক্ত চলাচলের মতো ঘুরে বেড়ায়।"

ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বালের (রহ.) পুত্র আবদুল্লাহ বলেন:

“আমি আমার পিতাকে বললাম, কিছু লোক বলে জিন কখনো মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে না। তিনি বললেন:

‘হে আমার পুত্র! তারা মিথ্যা বলছে। শয়তান এমনকি কোনো মানুষের জিহ্বার মাধ্যমে কথাও বলতে পারে যখন সে তাকে ভর করে।’

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহ.) বলেন:

“ইমাম আহমাদের এই কথা সুস্পষ্ট প্রমাণ। জিন কারো শরীর ভর করে এমন ভাষায় কথা বলাতে পারে যা সে নিজে জানে না।

ভর-করা ব্যক্তি এমন মার খায় যা একটি উটও সহ্য করতে পারবে না, তবুও সে কিছুমাত্র অনুভব করে না বা সে কী বলছে তাও জানে না।

এমনকি সে অন্য কাউকে টেনে নিয়ে যেতে পারে, বা মাট বা জিনিসপত্র স্থানান্তর করতে পারে — যা দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত হয় যে, এই কাজ মানুষ করছে না বরং অন্য কিছু করছে।”

ইবনে হাযম (রহ.) বলেন:

“জিন বাস্তব এবং তারা আল্লাহর সৃষ্টি। তাদের মধ্যেও কাফের ও মুমিন রয়েছে।

তারা আমাদের দেখতে পায় কিন্তু আমরা তাদের দেখতে পাই না। তারা খায়, সন্তান জন্ম দেয় এবং মারা যায়।”

আল্লাহ বলেন:

“হে জিন ও মানব জাতি!”
(সূরা আন-আম ৬:১৩০)

“আর জিনদের আমি আগেই সৃষ্টি করেছি আগুনের ধোঁয়াহীন শিখা থেকে।”
(সূরা হিজর ১৫:২৭)

জিন থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়:

ধারাবাহিকভাবে এবং ধৈর্যের সাথে যা পালন করতে হবে-

১. আল্লাহর কাছে জিন থেকে আশ্রয় চাওয়া

২. সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করা

৩. আয়াতুল কুরসি পাঠ করা

৪. সূরা আল-বাকারা পাঠ করা

৫. সূরা বাকারা’র শেষ আয়াতসমূহ পাঠ করা

৬. “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ও হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদির” পাঠ করা

৭. আল্লাহর জিকিরে লিপ্ত থাকা

৮. আযান দেওয়া

৯. কুরআন তিলাওয়াত করা কারণ কুরআন শয়তানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে।

Sukunlife

01/07/2025

বিয়ে বন্ধের যাদুতে আক্রান্ত মেয়েদের বিয়ের কথা শুরু হলেই চেহারা নষ্ট হয়ে যায় এবং শরীর খারাপ হতে শুরু করে। বিশেষ করে মাথা ব্যাথা বৃদ্ধি পায়।

26/06/2025

জিন, যাদু ও কুদৃষ্টির জন্য কার্যকর রুকিয়া-

ঠাণ্ডা পানির রুকিয়া এবং কুস্তুল হিন্দ ব্যবহারে চিকিৎসা:

১. ঠাণ্ডা পানি দিয়ে রুকিয়া-

১ লিটার পানি নিন এবং এতে বরফ কুচি মিশিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।

এরপর নিচের আয়াতগুলো পানির উপর পড়ে হালকা ফুঁ দিন-

সূরাহ আল-ফাতিহা

আয়াতুল কুরসি

সূরাহ আল-বাকারাহ-এর শেষ দুই আয়াত

তিন কুল (সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস)

এরপর ঐ পানি থেকে তিন চুমুক খান তারপর মাথা ধুয়ে ফেলুন ঐ পানি দিয়ে।

উস্তাদ বলেন-
"বিশ্বাস করুন, আপনি এই ঠাণ্ডা পানির প্রভাব দেখতে পাবেন। আমি বহু মানুষকে চিকিৎসা করেছি, এবং ঠাণ্ডা পানি জিনদের জন্য ফিতনা হয়ে দাঁড়ায়।"

প্রতিদিন এটি করুন—বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে,ঘুম থেকে উঠে।বাসায় থাকলে দিনে যেকোনো সময় করলেও ভালো।

"এটা অত্যন্ত কার্যকর ইন শা আল্লাহ—বিশেষ করে কুদৃষ্টির ক্ষেত্রে।"

২. কুস্তুল হিন্দ গুঁড়া ব্যবহার-

অল্প একটু (এক চিমটি) কুস্তুল হিন্দ গুঁড়া হাতে নিন।চোখ বন্ধ করে, গভীরভাবে নাকে টেনে নিন, যেন ওজুর সময় পানি টানেন ঠিক সেভাবে।এটা ভালো লাগবে না—কারণ এটা তিতকুটে কিন্তু ইন শা আল্লাহ এটা মাথায় থাকা জিন ধ্বংস করে দেয়।

উস্তাদ বলেন-
"আমি এই পদ্ধতিতে বহু জিন বের করে দিয়েছি, আল্লাহর ইচ্ছায়।"

প্রতিদিন সকালে ও রাতে এই দুটো পদ্ধতিতে রুকইয়াহ করুন-

১. বরফ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে রুকিয়া
২.কুস্তুল হিন্দ নাকে টানা

আল্লাহর ইচ্ছায় এটি অত্যন্ত উপকারী ও প্রভাবশালী হবে।

-উস্তাদ সাঈদ রাহনা লেকচার থেকে সংগৃহীত

SukunLife

21/02/2025

শরীরে থাকা অবাধ্য জ্বীনকে জ্বালিয়ে দেওয়ার রুকইয়াহ।

এই রুকইয়াহ তখন করবেন,যখন জ্বীন কোনো ভাবেই যেতে চায়না,ওয়াদা করে গিয়েও আবার চলে আসে।এবং রুগীর উপর জুলুম করে।

সুরা বুরুজ সকাল সন্ধ্যা ১ঘন্টা করে পড়ুন জ্বীনকে জালিয়ে ধবংস করার নিয়তে। সামনে পানি রাখুন,সেই পানিতে ফু দিয়ে পান করুন এবং চেহারা ধৌত করুন।
এই নিয়ম টানা ৪০ দিন ফলো করুন।যত শক্তিশালী জ্বীন হোক জ্বলেপুড়ে ধবংস হয়ে যাবে বি-ইযনিল্লাহ।

09/02/2025

#ছিটানো_যাদু কি?
ছিটানো যাদু হলো এক ধরনের কালো জাদু বা অন্য যাদুর সহযোগী যাদু, যেখানে কোনো নাপাক যাদুর জিনিস বা ক্ষতিকর বস্তু (যেমন: গুঁড়ো, পানি, তেল, সুগন্ধি, রক্ত, হলুদ পানি, কোন কিছুর চূর্ণ বা অন্য কোনো জিনিস) নির্দিষ্ট স্থানে ছিটিয়ে দেওয়া হয়, যাতে ওই জায়গায় থাকা ব্যক্তি বা পরিবারের ওপর এর প্রভাব পড়ে। এটি সাধারণত বাসার দরজা, উঠান, বিছানা, পোশাক, বা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিটানো হতে পারে যেখানে বা যেটা টার্গেট করা ব্যাক্তি প্রায়ই ব্যাবহার করে।
---

ছিটানো যাদুর লক্ষণ:

ঘরে অস্বাভাবিক নেগেটিভ পরিবেশ তৈরি হওয়া

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হঠাৎ বেশি ঝগড়া বা অসন্তোষ

অসুস্থতা, অবসাদ, বা মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া

দুঃস্বপ্ন বা ভয় পাওয়া

হঠাৎ আর্থিক ক্ষতি বা কাজে বাধা সৃষ্টি হওয়া

ঘরে অদ্ভুত গন্ধ বা অস্বাভাবিক শব্দ অনুভব করা

আগের সমস্যা বেড়ে যাওয়া

---

ছিটানো যাদু নষ্ট করার উপায়

✅ কুরআন তেলাওয়াত ও দোয়া:

সূরা আল-বাকারা (বিশেষ করে আয়াত ১-৫ এবং ২৫৫-২৮৬) প্রতিদিন পড়ুন।

সূরা ফালাক, সূরা নাস, সূরা ইখলাস (৩ বার করে) সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন।

আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা ২৫৫) ঘরে ও দরজার সামনে পড়ুন। এছাড়া রুকইয়াহ এর জন্য কুরআন থেকে অন্যান্য সুরা ও আয়াত পড়তে পারেন।

বিসমিল্লাহ বলে ঘরের সব কোণে ফুঁ দিন।

✅ রুকইয়াহ পানি ও লবণ:

ঝাড়ু দেওয়ার পানি বা ছিটানোর জন্য এক বালতি পানিতে সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে ফুঁ দিন।

এতে একটু লবণ বা কস্তুরী মিশিয়ে নিন।

এই পানি দিয়ে ঘর মোছা এবং দরজা-জানালার সামনে ছিটিয়ে দিন।

✅ কালো জাদুর বস্তু ধ্বংস করা:

যদি সন্দেহ হয় যে কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় যাদু ছিটানো হয়েছে, তাহলে প্লাস্টিক গ্লাভস পরে বা কাপড় দিয়ে সেটি তুলে নিন।

যাদুর বস্তু মাটিতে পুঁতে ফেলা, অথবা সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে পুড়িয়ে ফেলা উত্তম।

ফেলে দেওয়ার সময় "বিসমিল্লাহ" বলে দিন।

✅ হলুদ বা লেবুর পানি ব্যবহার:

এক গ্লাস পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে, তাতে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে দরজার সামনে ও বিছানায় ছিটিয়ে দিন।

হলুদ গুঁড়ো ও পানি মিশিয়ে সেই পানি দরজার সামনে ছিটালেও নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।

যদিও এই দুই পদ্ধতি অপরীক্ষিত, তাও জানানোর জন্য এখানে যুক্ত করা।

---

২. ঘরের ও বিছানার যাদু কাটানোর উপায়:

✅ বিছানার কাপড় ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
✅ সূরা বাকারা ২৫৫, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে বিছানায় ফুঁ দিন।
✅ বিছানার চারপাশে বরই পাতা বা সুগন্ধি/লবঙ্গ রাখুন, এটি যাদুর প্রভাব দূর করতে সহায়তা করে।
✅ ঘরের দরজা-জানালায় তাবিজ বা যাদুর বস্তু বা দাগ বা রঙ বা ছবি বা অতিরিক্ত বালু ইত্যাদি পাওয়া গেলে সেটিকে দোয়া পড়ে ধ্বংস করুন।
✅ সকাল ও সন্ধ্যায় ঘর রুকইয়াহ পানি (সাথে আতর বা বখুর) দিয়ে সুগন্ধি করুন, কারণ ভালো সুগন্ধ খবিশ জিন শয়তানকে দূর করে। লবন ও সুগন্ধি সহ রুকইয়াহ পানি দিয়ে ঘর মুছুন ও আসবাব মুছুন মাঝে মাঝে এবং কাপড় রুকইয়াহর পানি দিয়ে ধৌত করবেন।

---

৩. সুরক্ষা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

✅ প্রতিদিন সূরা বাকারা তেলাওয়াত করলে ঘরে শয়তানি শক্তি বা জিন প্রবেশ করতে পারে না।
✅ প্রতিদিন মাসনুন আমল করবেন।
✅ প্রতিদিন ৩ বার করে রুকইয়াহ এর পানি স্প্রে করবেন। ঘরে প্রবেশের ইসলামের নিয়ম মেনে চলুন। ঘরে নোংরা বা নাপাকি শিরকি কিছু রাখবেন না।
✅ গোসলের পানিতে ৭টি বরই পাতা পিষে এবং মিশিয়ে, তাতে সূরা ফাতিহা ও আয়াতুল কুরসি পড়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন।
✅ নতুন কিছু বাসায় আনলে তাতে "বিসমিল্লাহ" বলে ঢোকান।

---

বিশেষ পরামর্শ:

যদি সমস্যা গুরুতর হয় বা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তবে অভিজ্ঞ ইসলামিক আলেম বা হক্কানি রুকইয়া শায়েখের পরামর্শ নিন। নিজেদের ঈমান ও আমল মজবুত রাখার চেষ্টা করুন, কারণ আল্লাহর ওপর ভরসা রাখলে কোনো কালো যাদু ক্ষতি করতে পারবে না।

16/12/2024

আশীক জীনে আক্রান্তরা অশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়ে বেশি, রাতে ঘুম কম হয় এবং অশ্লীল ভিডিও দেখার চাহিদা কোনোভাবেই কমাতে পারেনা!

03/12/2024

আয়াতুল হিফজ

জ্বীন যাদু বদনজর হাসাদ থেকে নিরাপত্তার জন্য সকাল সন্ধ্যা পাঠ করুন।

﴿وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ﴾
﴿فَاللَّهُ خَيْرٌ حَافِظًا ۖ وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ﴾
﴿وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ﴾
﴿وَحَفِظْنَاهَا مِن كُلِّ شَيْطَانٍ رَّجِيمٍ﴾
﴿وَحِفْظًا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ﴾
﴿إِنْ كُلُّ نَفْسٍ لَمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ﴾
﴿بَلْ هُوَ قُرْآنٌ مَّجِيدٌ * فِي لَوْحٍ مَّحْفُوظٍ﴾
﴿وَهُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهِ ۖ وَيُرْسِلُ عَلَيْكُمْ حَفَظَةً﴾
﴿فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا﴾
﴿وَمَا أَنَا عَلَيْكُمْ بِحَفِيظٍ﴾
﴿إِنَّ رَبِّي عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَفِيظٌ﴾
﴿لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّه﴾
﴿إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ﴾
﴿وَكُنَّا لَهُمْ حَافِظِينَ﴾
﴿وَرَبُّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَفِيظٌ﴾
﴿اللَّهُ حَفِيظٌ عَلَيْهِمْ وَمَا أَنتَ عَلَيْهِم بِوَكِيلٍ﴾
﴿وَعِندَنَا كِتَابٌ حَفِيظٌ﴾
﴿لِكُلِّ أَوَّابٍ حَفِيظٍ﴾
﴿وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ﴾
আল্লাহ ভালো জানেন

28/11/2024

আশীক জ্বীনে আক্রান্ত মহিলা পেশেন্টদের স্বামীদের মধ্যে ৩ টা জিনিস পরিলক্ষিত হয়:

১. পরকীয়া,
২. যৌন দূর্বলতা বা অক্ষমতা,
৩. রিজিকে প্রতিবন্ধকতা বা আয় উন্নতিতে বাঁধা।

যেহেতু আশীক জ্বীনের লক্ষ্যই থাকে বিচ্ছেদ বা সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করা। সুতরাং,তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য উপরোক্ত বিষয়গুলো খুবই কার্যকরী।

বি:দ্র: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের যাদু থাকলেও এই সমস্যাগুলো পরিলক্ষিত হয়।

19/11/2024

প্রসাব-পায়খানা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যায় পরামর্শ
------------------
[ক]
ইউরিন ইনফেকশন এই সময়ে খুবই কমন একটা সমস্যা, এই সমস্যার জন্য অনেকে দীর্ঘদিন ঔষধ খেয়েও সমস্যা যায় না। কিছু পরামর্শ কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ -
১. অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক পরিমাণ পানি খাবেন না। শরীর স্বাভাবিক রাখতে যতটুকু প্রয়োজন হয় ততটুকু খাবেন।
২. বাইরের হাবিজাবি, ভাজাপোড়া, জাঙ্কফুড খাওয়ার অতিরিক্ত অভ্যাস থাকলে কমাতে চেষ্টা করুন। চিনি অথবা চিনিওয়ালা খাদ্য-পানীয় পারলে একদম এড়িয়ে চলুন। বিকল্প খুজে নিন।
৩. অনেকের প্রসাবের সমস্যা-ই ইনফেকশনের জন্য হয় না, বরং নিচের পেলভিক ফ্লোর দূর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। এক্ষেত্রে ইনফেকশনের জন্য ঔষধ খেয়ে বিশেষ কোনো লাভ পাবেন না। বরং কেগেল ব্যায়ামের ব্যাপারে ভালোভাবে জেনে নিন, এটা প্রতিদিন করতে পারেন। যথেষ্ট উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।
৪. পর্ণ-মাস্টারবেশন জাতীয় গুণাহে আসক্ত হলে অবশ্যই এটা ছাড়তে হবে। নইলে শুধু প্রসাবের সমস্যা না, আরও কতরকম ক্ষতি যে হতে পারে আপনার কল্পনাতেও নাই।
এবিষয়ে "মুক্ত বাতাসের খোজে" বই এবং "পর্নোগ্রাফি: মানবতার জন্য হুমকি" পেইজের লেখাগুলো সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
৫. ইউরিন ইনফেকশনের জন্য একটা রুকইয়াহ করতে পারেন, এটা শুধু ইউরিন না, অন্যান্য রোগের ইনফেকশনেও অনেক উপকারী -
"সুরা ফাতিহা, বাকারার ১০৬-১০৭ নং আয়াত, সুরা আলাম নাশরাহ" এগুলো ৩/৭বার। "আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস এবং ৬টি আয়াতুশ শিফা" - ৩বার করে পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে রাখুন। (বৃষ্টি বা জমজমে পানি হলে বেশি ভালো)। প্রতিদিন ২-৩ বেলা কয়েক সপ্তাহ এই পানি আল্লাহর নামে পান করুন। তলপেটে হাত রেখে মাঝেমাঝে আয়াতগুলো পড়ুন। ইনশাআল্লাহ অনেক উপকার হবে।
৬. টয়লেটে ঢোকা এবং বের হওয়ার দোয়া পড়ুন।
৭. গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না। ডাক্তার দেখান, ব্যায়াম করুন, রুকইয়াহ করুন আর আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকুন। যাদের সমস্যা ভালো হতে দেরি হচ্ছে, তারা অবশ্যই আলেমদের থেকে প্রসাব সংক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কি কি মাসয়ালা আছে জেনে নিন।
আল্লাহ যেন আপনাকে শিঘ্রি সুস্থতা দান করে। আমিন।
[খ]
অনেক সময় বাচ্চাদের প্রসাব বন্ধ হয়ে থাকে, কয়েকদিন যাবত প্রসাব হয় না। এক্ষেত্রে সুরা ফাতিহা এবং আয়াতে শিফা পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে খাইয়ে দেয়া উপকারী।
(আয়াতে শিফা হচ্ছে— সূরা তাওবাহ:১৪, সূরা ইউনুস:৫৭, সূরা নাহল:৬৯, সূরা বনি ইসরাইল:৮২, সূরা শুআরা:৮০, সূরা হা-মীম সাজদা:৪৪ নং আয়াত।)
অনেকের ক্ষেত্রে মানসিক একটা ট্রিকস উপকারী হয়, প্রথমত বাচ্চাকে টয়লেটে বসাবেন। এরপর পানির ট্যাপের দিকে তাকাতে বলে আস্তে করে ট্যাপ ছেড়ে দিবেন। বাচ্চাকে বলবেন এদিকে তাকিয়ে থাকতে, ওইটা দেখতে দেখতে আল্লাহ চায়তো কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাচ্চার ট্যাপও চালু হয়ে যাবে!!
[গ]
এটা বড় ছোট সবার জন্যই, অনেকের পায়খানা বন্ধ হয়ে থাকে। পেটব্যাথা ও গ্যাস করতে থাকে, কিন্তু পেট পরিস্কার হয় না। এক্ষেত্রে "রাতে ঘুমের আগে প্রথমে একগ্লাস গরম দুধ, এরপর এক গ্লাস স্বাভাবিক পানি খেলে" আল্লাহ চায়তো ঠিক হয়ে যায়। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ল্যাক্সেটিভ হার্বস-মেডিসিন গ্রহণ করুন।
জাদু সংক্রান্ত সমস্যার জন্য এরকম হলে বরই পাতার গোসল দিতে পারেন পরপর ৩দিন, ইনশাআল্লাহ যথেষ্ট ফায়দা পাবেন।
(গোসলের নিয়ম: ৭টা বরই পাতা শিল-পাটাতে ভালোভাবে বেটে সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, ফালাক্ব, নাস- সব তিনবার করে পড়ে ফুঁ দিন, সেটা গোসলের পানিতে গুলিয়ে তিনঢোক পান করুন, আর গোসল করুন। এভাবে পরপর কয়েকদিন গোসল করা যেকোনো জাদুর সমস্যায় খুব উপকারী। সালাফে সালেহীনদের সময় থেকেই বরই পাতার গোসল অনেক প্রসিদ্ধ।)
[ঘ]
edited
ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে বলা যাক, এটা অনেক সময় বদনজরের জন্য হতে পারে। বিশেষত যদি দেখেন ডায়রিয়া হওয়ার মত তেমন কিছুই হয়নি, তবুও সমস্যা হচ্ছে, অথবা সমস্যা হওয়ার পর ঔষধ খাচ্ছেন, তবুও ভালো হচ্ছে না। এমন ক্ষেত্রে সপ্তাহখানেক বদনজরের রুকইয়াহ করা উচিত।
বদনজরের রুকইয়ার নিয়ম:
১. বদনজর evil eye - রুকইয়াহ শোনা (রুকইয়াহবিডি.অর্গ ওয়েবসাইটে আছে)
২. সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, তিনকুল, দরুদ - সব ৩/৭বার করে পড়ে পানি খাওয়া আর গোসল করা।
এভাবে সপ্তাহখানেক করলে উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।.
দোয়া করি, আল্লাহ আমাদের এধরণের সকল সমস্যা থেকে দূরে রাখুক, যারা এসব সমস্যায় ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে কষ্ট পাচ্ছেন, আল্লাহ তাদের পূর্ণ সুস্থতা দান করুক। আমিন।

সংগ্রহঃ মাহমুদ ভাই।

16/11/2024

৪০ দিনে জীবন পরিবর্তনের ২০টি চ্যালেঞ্জ-

১. ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ত করা।
২. ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া পড়া, মেসওয়াক করা।
৩. ওযুর করার পড়ে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা।
৪. রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
৫. গোসল ফরজ হলে ফযরের আগে গোসল করা।
৬. আযান শোনা ও আযানের উত্তর দেওয়া।
৭.ফযরের সুন্নত ও ফরজ আদায় করা।
৮. সূর্যোদ্বয়ের আগে কোরআন তিলাওয়াত করা।
৯. সূর্যোদ্বয়ের পরে ইশরাকের নামাজ আদায় করা।
১০. প্রতিদিন ১২ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করা।
১১. সালাতুল দোহা আদায় করা।
১২. সময়মতো ফযর, যোহর, আছর,
মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করা।
১৩. প্রতি ফরয নামাজের পর আয়াতুল কুরসি, ৩ কুল পাঠ করা।
১৪.প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নত রোজা রাখা।
১৫. প্রতিমাসে আইয়ামে বীজের রোজা রাখা।
১৬. প্রতি শুক্রবার সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।
১৭. প্রতিদিন সূরা ওয়াকিয়াহ ও সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা।
১৮. প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে সূরা মূলক ও
সূরা বাক্কারার শেষ ২ আয়াত তিলাওয়াত করা।
১৯.প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে আল্লাহর কাছে
ক্ষমা চাওয়া। আর সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া।
২০. দিনে অন্তত ৭০ বার ইস্তেগফার করা।

আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন এবং সবাইকে
বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন। আ-মীন।

Address

Sylhet

Telephone

+8801316475820

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raqi johirul islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Raqi johirul islam:

Share