Shahporan Eye Center

Shahporan Eye Center Shahporan, Sylhet

ডায়াবেটিক ম্যাকুলার ইডিমা (DME) হলো:কারণ: অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে চোখের রেটিনার রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তরল ...
20/06/2025

ডায়াবেটিক ম্যাকুলার ইডিমা (DME) হলো:

কারণ: অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে চোখের রেটিনার রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তরল রক্তনালী থেকে বেরিয়ে আসে (লিক করে)।
স্থান: এই জমা তরল চোখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ম্যাকুলা-তে জমে ও ফুলে যায়।
প্রভাব: ম্যাকুলা ফুলে গিয়ে কেন্দ্রীয় দৃষ্টি ঝাপসা, বাঁকা দেখা বা দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার প্রধান কারণ।
সংক্ষেপে: ডায়াবেটিসে রেটিনার ক্ষতি হলে ম্যাকুলায় পানি জমে ফুলে যায়, ফলে কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নষ্ট হয়। দ্রুত চিকিৎসা জরুরি।

ডায়াবেটিক ম্যাকুলার ইডিমার (DME) ব্যবস্থাপনা ও পূর্বাভাস (Prognosis):

ব্যবস্থাপনা (Management):

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
HbA1c ৯০% ক্ষেত্রে): দৃষ্টিশক্তি স্থিতিশীল বা উন্নত হয়।
উপেক্ষা করলে: ক্রমাগত দৃষ্টিহীনতা (Legal Blindness) হতে পারে।
সফলতার শর্ত:
ডায়াবেটিস অত্যন্ত কঠোর নিয়ন্ত্রণ।
চোখের ইনজেকশন/চিকিৎসা নিয়মিত নেওয়া।
সতর্কতা: চিকিৎসার পরও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করলে DME পুনরায় ফিরে আসে।
ভালো খবর: আধুনিক চিকিৎসায় (অ্যান্টি-ভিজিএফ) দৃষ্টিশক্তি বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেক বেড়েছে।
পরামর্শ: ডায়াবেটিস থাকলে বার্ষিক রেটিনা স্ক্রিনিং অপরিহার্য!

16/06/2025

চোখ আমাদের শরীরের সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। এটি দেখতে ছোট হলেও এর গঠন অনেক বিস্ময়কর ও কার্যকর। নিচে চোখের গঠন ও কাজ সম্পর্কে কিছু কথা।

👁️ চোখের প্রধান অংশসমূহ ও কাজ
🔹 1. কর্নিয়া (Cornea - কর্নিয়া)
চোখের সবচেয়ে বাইরের স্বচ্ছ স্তর
আলো প্রবেশের প্রথম দরজা
এটি চোখকে রক্ষা করে এবং আলোর ফোকাসে সাহায্য করে।

🔹 2. অগ্নিস্বরূপ বা আইরিস (Iris - আইরিস)
চোখের রঙিন অংশ (যেমন: বাদামী, নীল)
এটি পিউপিল (ছিদ্র) এর আকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে
আলো কম হলে পিউপিল বড় হয়, বেশি হলে ছোট হয়।

🔹 3. পিউপিল (Pupil - পিউপিল)
আইরিসের মাঝখানে একটি গোল ছিদ্র
এর মাধ্যমে আলো চোখে প্রবেশ করে
ক্যামেরার লেন্সের মতো কাজ করে

🔹4. লেন্স (Lens - লেন্স)
চোখের ভেতরে স্বচ্ছ ও নমনীয় এক ধরনের গঠন
এটি আলোকে ফোকাস করে রেটিনার উপর স্পষ্ট চিত্র তৈরি করে
বয়স বাড়লে এটি শক্ত হয়ে যায়, যাকে বলে প্রেসবায়োপিয়া (Presbyopia)

🔹 5. রেটিনা (Retina - রেটিনা)
চোখের পেছনের স্তর
এতে রয়েছে আলোর সংবেদনশীল কোষ (Rods ও Cones)
রেটিনা আলোকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তর করে।

🔹 6. অপটিক নার্ভ (Optic Nerve - অপটিক নার্ভ)
রেটিনা থেকে মস্তিষ্কে তথ্য (চিত্র) পাঠায়
এর মাধ্যমে আমরা "দেখি"

🔹 7. স্লেরা (Sclera - স্ক্লেরা)
চোখের সাদা অংশ
এটি চোখের গঠন ধরে রাখে এবং রক্ষা করে

🔹 8. কনজাংকটিভা (Conjunctiva - কনজাংকটিভা)
কর্নিয়া ও চোখের ভিতরের পাতা ঢেকে রাখে
এটি চোখকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে

🔹 9. ভিট্রিয়াস হিউমার (Vitreous Humor - ভিট্রিয়াস তরল)
চোখের পেছনের বড় গহ্বর ভর্তি জেলির মতো পদার্থ
চোখের আকৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করে

🔹 10. আকোয়াস হিউমার (Aqueous Humor - অ্যাকোয়াস তরল)
কর্নিয়া ও লেন্সের মাঝে তরল
পুষ্টি সরবরাহ করে এবং চাপ নিয়ন্ত্রণ করে (যদি চাপ বাড়ে, গ্লুকোমা হয়)

🧠 চোখ কীভাবে কাজ করে?
আলো কর্নিয়া দিয়ে চোখে প্রবেশ করে
আইরিস পিউপিলের আকার ঠিক করে আলো নিয়ন্ত্রণ করে
লেন্স সেই আলো ফোকাস করে রেটিনার উপর চিত্র ফেলে
রেটিনার কোষ আলোকে সংকেতে রূপান্তর করে
অপটিক নার্ভ সেই সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায়
মস্তিষ্ক সেই সংকেত বিশ্লেষণ করে – আর তখনই আমরা দেখি!

📌 চোখ সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্য:
চোখ প্রতি সেকেন্ডে ১০০০ বারও বেশি নড়াচড়া করতে পারে
মানুষের চোখ প্রায় ১০ মিলিয়ন রঙ চিনতে পারে
চোখের পেশিগুলো শরীরের সবচেয়ে সক্রিয় পেশিগুলোর মধ্যে একটি

🟠 কেরাটোকোনাস হলো সাধারণত হলো চোখের কর্নিয়ার একটি রোগ। কেরাটোকোনাসে কর্নিয়া (চোখের স্বচ্ছ স্তর) অস্বাভাবিকভাবে পাতলা ও ...
15/06/2025

🟠 কেরাটোকোনাস হলো সাধারণত হলো চোখের কর্নিয়ার একটি রোগ। কেরাটোকোনাসে কর্নিয়া (চোখের স্বচ্ছ স্তর) অস্বাভাবিকভাবে পাতলা ও কোণ আকৃতির হতে থাকে। তাই এরকম অবস্থায় ল্যাসিক করা কষ্টসাধ্য। যদি কেরাটোকোনাস অল্প পরিমাণে থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতে ল্যাসিক করা যেতে পারে। তবে যদি বেশি পরিমাণে হয় সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার এর বিকল্প কোন সার্জারি করে চশমার ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আপনার চোখের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।

23/03/2025
👁️ এই দশকের সবচেয়ে বেশি দেখা দেওয়া চোখের রোগ ও বাঁচার উপায়! 🌿এই দশকে লাইফস্টাইল ও প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে চো...
23/03/2025

👁️ এই দশকের সবচেয়ে বেশি দেখা দেওয়া চোখের রোগ ও বাঁচার উপায়! 🌿
এই দশকে লাইফস্টাইল ও প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে চোখের রোগের প্রকোপ বেড়েছে। 📱💻 দূষণ, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ও দীর্ঘ স্ক্রিন টাইম এর ফলে আমরা প্রতিদিনই নানা চক্ষু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। আসুন জেনে নিই, সবচেয়ে সাধারণ চোখের রোগ, লক্ষণ ও বাঁচার উপায়! 👇

🔹 ১. শুষ্ক চোখের সমস্যা (Dry Eye Syndrome)
🧐 কেন হয়? অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম, দূষণ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বেশি সময় থাকা।
⚠ লক্ষণ: চোখে জ্বালাপোড়া, লালচে ভাব, ঝাপসা দেখা।
✅ বাঁচার উপায়: চোখের ব্যায়াম করুন, পর্যাপ্ত পানি পান করুন, স্ক্রিনের বিরতি নিন (20-20-20 নিয়ম)।

🔹 ২. ক্যাটার্যাক্ট (Cataract - ছানি পড়া)
🧐 কেন হয়? বয়স বৃদ্ধি, সূর্যালোকের অতিরিক্ত সংস্পর্শ, ডায়াবেটিস।
⚠ লক্ষণ: দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়া, আলোতে সমস্যা, রাতের বেলায় কম দেখা।
✅ বাঁচার উপায়: নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করুন, সানগ্লাস পরুন, প্রয়োজন হলে ফ্যাকো সার্জারি করান।

🔹 ৩. গ্লুকোমা (Glaucoma - চোখের চাপজনিত রোগ)
🧐 কেন হয়? বংশগত, চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ।
⚠ লক্ষণ: ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, চোখ লাল হওয়া, মাথাব্যথা।
✅ বাঁচার উপায়: চোখের নিয়মিত পরীক্ষা করুন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নিন।

🔹 ৪. ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (Diabetic Retinopathy)
🧐 কেন হয়? অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে রেটিনার ক্ষতি।
⚠ লক্ষণ: চোখের সামনে কালো দাগ দেখা, ঝাপসা দৃষ্টি, রাতের বেলায় কম দেখা।
✅ বাঁচার উপায়: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন, চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

🔹 ৫. মায়োপিয়া (Myopia - কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখা, দূরের অস্পষ্ট)
🧐 কেন হয়? দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন দেখা, পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলোতে না থাকা, বংশগত।
⚠ লক্ষণ: দূরের জিনিস ঝাপসা দেখা, চোখের ক্লান্তি, মাথাব্যথা।
✅ বাঁচার উপায়: চশমা বা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করুন, চোখের ব্যায়াম করুন, স্ক্রিন টাইম কমান।

🔹 ৬. কনজাংটিভাইটিস (চোখ ওঠা)
🧐 কেন হয়? ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, এলার্জি, দূষণ।
⚠ লক্ষণ: চোখ লাল হওয়া, পানি পড়া, চুলকানি, চোখ ফুলে যাওয়া।
✅ বাঁচার উপায়: হাত ধুয়ে চোখ স্পর্শ করুন, চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকুন, প্রয়োজনে ওষুধ নিন।

🔹 ৭. ব্লু লাইট সিনড্রোম (Blue Light Syndrome)
🧐 কেন হয়? দীর্ঘক্ষণ মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভির স্ক্রিন দেখা।
⚠ লক্ষণ: চোখের ক্লান্তি, মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা।
✅ বাঁচার উপায়: ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করুন, প্রতি ২০ মিনিট পর চোখ বিশ্রাম দিন।

👀 🔹 চক্ষু বিশেষজ্ঞরা যা বলেন:
✅ নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করান।
✅ স্বাস্থ্যকর খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
✅ চোখের যত্ন নিন, চোখকে বিশ্রাম দিন।
✅ সূর্যের আলো ও ধুলাবালি থেকে চোখ রক্ষা করুন।

আপনার চোখ আপনার ভবিষ্যৎ! ❤️ চোখের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন!
📌 শেয়ার করুন, সবাইকে সচেতন করুন!

📢 বয়সজনিত চোখের রোগ থেকে সচেতন থাকুন! 👀বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চোখেও বিভিন্ন পরিবর্তন আসে, যা দৃষ্টিশক্তিতে প্রভাব ...
19/03/2025

📢 বয়সজনিত চোখের রোগ থেকে সচেতন থাকুন! 👀

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চোখেও বিভিন্ন পরিবর্তন আসে, যা দৃষ্টিশক্তিতে প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে সাধারণ বয়সজনিত চোখের রোগগুলো হলো—

🔹 ক্যাটারাক্ট (Cataract): চোখের লেন্স ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে যায়, ফলে দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়। চিকিৎসা: লেন্স পরিবর্তন করে সার্জারি।

🔹 গ্লকোমা (Glaucoma): চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ বেড়ে গিয়ে অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা জরুরি!

🔹 এজ-রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন (AMD): এটি চোখের কেন্দ্রীয় দৃষ্টি দুর্বল করে, বিশেষ করে ৫০ বছরের পর বেশি দেখা যায়।

✅ প্রতিরোধ ও করণীয়:
✔ নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করুন
✔ স্বাস্থ্যকর খাবার খান
✔ পর্যাপ্ত আলোতে কাজ করুন
✔ চোখে অতিরিক্ত চাপ এড়িয়ে চলুন

চোখ আমাদের অমূল্য সম্পদ, তাই যত্ন নিন এবং সময়মতো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। 💙

13/03/2025
ড্রাই আই সিনড্রোম (Dry Eye Syndrome) বা শুষ্ক চোখের রোগ কী?ড্রাই আই সিনড্রোম হলো  চোখ প্রয়োজনীয় পরিমাণে অশ্রু (টিয়ার) উৎ...
13/03/2025

ড্রাই আই সিনড্রোম (Dry Eye Syndrome) বা শুষ্ক চোখের রোগ কী?

ড্রাই আই সিনড্রোম হলো চোখ প্রয়োজনীয় পরিমাণে অশ্রু (টিয়ার) উৎপন্ন করতে পারে না বা উৎপন্ন অশ্রু দ্রুত শুকিয়ে যায়। এটি চোখের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে দেখা দেয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হলে অস্বস্তি, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা এমনকি চোখের ক্ষতিও হতে পারে।

ড্রাই আই কেন হয়?
ড্রাই আই হওয়ার মূল কারণ হলো অশ্রুর অপর্যাপ্ত উৎপাদন বা অতিরিক্ত বাষ্পীভবন। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে –

১. বয়সজনিত কারণ
বয়স বাড়ার সাথে সাথে (বিশেষত ৫০ বছরের পর) চোখের অশ্রু উৎপাদন কমে যেতে পারে।
২. ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার
কম্পিউটার, মোবাইল বা টিভির দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখ কম পলক ফেলে, ফলে চোখ শুকিয়ে যায়।
৩. পরিবেশগত কারণ
অতিরিক্ত ধুলাবালি, ধোঁয়া, শুষ্ক আবহাওয়া বা এয়ার কন্ডিশনারের বাতাস চোখের অশ্রু দ্রুত বাষ্পীভূত করে।
৪. কিছু নির্দিষ্ট রোগ ও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
রোগ: ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা, শোগ্রেন সিনড্রোম, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি।
ওষুধ: অ্যান্টিহিস্টামিন, ডিপ্রেশনের ওষুধ, রক্তচাপের ওষুধ ইত্যাদি।
৫. কনট্যাক্ট লেন্সের অতিরিক্ত ব্যবহার
দীর্ঘদিন ধরে কনট্যাক্ট লেন্স পরলে চোখের অশ্রু স্তর নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৬. হরমোনের পরিবর্তন
বিশেষত মহিলাদের মেনোপজ বা গর্ভাবস্থার সময় ড্রাই আই হতে পারে।

ড্রাই আই হলে কী করণীয়?
১. চোখের আর্টিফিশিয়াল টিয়ার ড্রপ ব্যবহার
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লুব্রিকেটিং আই ড্রপ (অশ্রু প্রতিস্থাপনকারী ড্রপ) ব্যবহার করা যেতে পারে।
2. চোখের পলক ফেলার হার বাড়ানো
স্ক্রিনের সামনে দীর্ঘক্ষণ থাকলে ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার পলক ফেলতে হবে।
3. পর্যাপ্ত পানি পান করা
শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে চোখের আর্দ্রতাও কমে যেতে পারে, তাই প্রচুর পানি পান করা উচিত।
4. ডিজিটাল স্ক্রিন ব্যবহারের সময় ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলা
প্রতি ২০ মিনিট পর পর ২০ সেকেন্ড দূরের কিছু দেখা উচিত, যা চোখের আরাম দেয়।
5. চোখে গরম পানির সেঁক দেওয়া
প্রতিদিন ২-৩ বার হালকা গরম পানির কাপড় দিয়ে চোখে সেঁক দিলে অশ্রু গ্রন্থি সচল থাকে।
6. সঠিক ডায়েট মেনে চলা
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার (মাছ, বাদাম, চিয়া সিড, অলিভ অয়েল) চোখের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।

কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
✅ ডিজিটাল স্ক্রিনের ব্যবহার সীমিত করুন বা নিয়ম মেনে চলুন।
✅ শুষ্ক বা ধুলাবালি জায়গায় থাকলে চোখ রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
✅ এসি বা ফ্যানের সরাসরি বাতাস থেকে চোখ দূরে রাখুন।
✅ পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
✅ ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন, কারণ এগুলো চোখ শুকিয়ে দেয়।
✅ চোখে কোনো অস্বস্তি হলে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ড্রাই আই সমস্যাটি অবহেলা না করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদে চোখের ক্ষতি করতে পারে। 👁️

Address

Sylhet
3100

Telephone

+8801748406404

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shahporan Eye Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram