Khan Homeo Chamber

Khan Homeo Chamber Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Khan Homeo Chamber, Doctor, Sylhet.

꧁ প্রতিষ্ঠাতা : মরহুম ডাঃ নজমুল হক খান ꧂

꧁ ডাঃ এনায়াত হক খান ꧂
ডি.এইচ.এম.এস

꧁ডাঃ রাহেনা বেগম খান ꧂
ডি.এইচ.এম.এস

꧁ সেবাই পরম ধর্ম। ꧂

(ডায়াবেটিস সম্পর্কে কিছু কঠিন সত্য কথা)যদিও এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য বিরাট আলিশান এক হাসপাতালই তৈর...
15/07/2025

(ডায়াবেটিস সম্পর্কে কিছু কঠিন সত্য কথা)

যদিও এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য বিরাট আলিশান এক হাসপাতালই তৈরী করে ফেলেছেন, তথাপি সত্যি কথা হলো এলোপ্যাথিতে ডায়াবেটিসের কোন চিকিৎসাই নাই। তারা যা করেন অথবা বলা যায় তারা যা পারেন, তা হলো ডায়াবেটিসের তীব্রতা বা উৎপাত কমিয়ে রাখা, নিয়ন্ত্রণে রাখা। ডায়াবেটিস নির্মুল করা বা পুরোপুরি ভালো করার ক্ষমতা এলোপ্যাথিক ঔষধের নাই। তবে ডায়াবেটিস সৃষ্টি করার ক্ষমতা এলোপ্যাথিক ঔষধের আছে। আপনি যদি ইন্টারনেটে একটু খোঁজাখুঁজি করেন, তবে এমন হাজারো গবেষণা রিপোর্টের সন্ধান পাবেন, যাতে নিরপেক্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, টিকা/ ভ্যাকসিন (vaccine) নেওয়ার কারণেই মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। যখন থেকে মানুষকে পাইকারী হারে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে, তখন থেকেই পাইকারী হারে ডায়াবেটিস হওয়া শুরু হয়েছে। আগে জন্মের পর থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হতো আর এখন শিশুরা মায়ের পেটে থাকতেই তাদের গর্ভধারীনী মাকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে প্রকারান্তরে শিশুদেরকেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে মায়ের পেট থেকেই শিশুরা বিষাক্ত দেহ-মন নিয়ে দুনিয়ায় আগমণ করছে। তাই ইদানীং শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।

ভ্যাকসিন/ টিকা (vaccine) ছাড়াও ভয়ঙ্কর হাই-পাওয়ারের (?) ক্ষতিকর সব এন্টিবায়োটিক, সড়ক দুর্ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক আঘাত, ঘনিষ্ট কারো মৃত্যু বা পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মাধ্যমে বড় ধরণের মানসিক আঘাত ইত্যাদির কুপ্রভাবে মানুষের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে, রোগ প্রতিরোধ শক্তির (immune system) বারোটা বেজে যায় ; ফলস্রুতিতে মানুষ ডায়াবেটিসের মতো জঘন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, ডায়াবেটিস আসলে কোন রোগ নয় বরং এটি একটি বিরাট লাভজনক ব্যবসা। দিন-রাতের অধিকাংশ সময় শুয়ে-বসে কাটানো শহরের অলস (এবং অন্যদিকে অতিমাত্রায় টিকা/ভ্যাকসিন ভক্ত) মানুষদের মধ্যে এই রোগ মহামারী আকারে দেখা না দিলে এ যুগের ডাক্তারদের পক্ষে এতো সহজে বাড়ি-গাড়ি-ব্যাংক ব্যালেন্স করা খুবই কঠিন হতো। ডায়াবেটিস থেকে প্রথমত সবচেয়ে বেশী লাভবান হয় ডায়াবেটিসের ঔষধ এবং ইনজেকশান উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। কারণ ডায়াবেটিসের রোগীরা প্রায় সবাই কোন না কোন ঔষধ-ইনজেকশন নিয়ে থাকেন। ঔষধ কোম্পানীর মালিক এবং তাদের সমর্থক ডাক্তাররা যোগসাজস করে ঘোষণা করেছে যে, রক্তে সুগারের মাত্রা ছয়ের চাইতে বেশী হলেই বিপদ।

আপনাকে ঔষধ খেতে হবে, ইনজেকশন নিতে হবে, নিয়মিত টেস্ট করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে এগুলো হলো মাল কামানোর ব্যবসায়িক পলিসি, ধাপ্পাবাজি। বাস্তবে দেখা যায়, কারো কারো সুগার ছয়-সাতে উঠলেই নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় আবার কেউ কেউ দশ-বারো নিয়েও স্বাভাবিক জীবনযাপন করে। একেকজন মানুষের শারীরিক গঠন একেক রকম আর তাই একই থিওরী সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য হতে পারে না। দ্বিতীয়ত ডায়াবেটিস থেকে সবচেয়ে বেশী লাভবান হয় প্যাথলজীষ্টরা, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকরা, এসব টেস্টের মেশিন-পত্র এবং রিয়েজেন্ট প্রস্তুতকারী কোম্পানিরা। কারণ ডায়াবেটিসের রোগীরা সাধারণত ঘনঘন বিভিন্ন প্যাথলজীক্যাল টেস্ট করে থাকে। তৃতীয়ত সবচেয়ে বেশী লাভবান হয় ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। চতুর্থত সবচেয়ে বেশী লাভবান হয় কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞরা (urologist), কারণ ডায়াবেটিসের রোগীদের সাধারণত কিডনীর রোগ বেশী হয়ে থাকে। পঞ্চমত সবচেয়ে বেশী লাভবান হয় চক্ষু বিশেষজ্ঞরা (oculist), কারণ ডায়াবেটিসের রোগীদের চোখের সমস্যা লেগেই থাকে। চর্ম-যৌন বিশেষজ্ঞরাও বেশ লাভবান হয়, কারণ ডায়াবেটিসের রোগীদের অনেকেরই যৌন দুর্বলতা/ ধ্বজভঙ্গ দেখা দিয়ে থাকে।

ডায়াবেটিস থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরাও (cardiologist) কম লাভবান হন না, যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীদের হার্টের সমস্যা বেশী হতে দেখা যায়। এমনকি হরমোন বিশেষজ্ঞরাও বেশুমার রোগী পেয়ে থাকেন যারা দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিসে ভোগছেন তাদের মধ্যে থেকে। সার্জনরাও প্রচুর লাভবান হয়ে থাকেন, কেননা ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই হাত-পায়ে গ্যাংগ্রিন (gangrene), মারাত্মক আলসার (ulceration) ইত্যাদি দেখা দিয়ে থাকে। স্মায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ (neurologist) এবং মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরাও (psychiatrist) ডায়াবেটিস থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন, কেননা দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভোগলে স্মায়ুঘটিত রোগ এবং মানসিক রোগ দেখা দিবেই। ডায়াবেটিসের কারণে কবিরাজরাও যথেষ্ট লাভবান হয়, কেননা অনেক রোগীরই কবিরাজি-ইউনানী-আয়ুর্বেদী চিকিৎসার প্রতি ভীষণ ভক্তি দেখা যায়। ডায়াবেটিসের কারণে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তাররাও বেশ লাভবান হয়, কারণ অনেকেরই হোমিও ঔষধের প্রতি অন্ধভক্তি আছে। তাছাড়া অনেকে দশ-বিশ বছর প্রচলিত চিকিৎসা করেও ডায়াবেটিসমুক্ত হতে না পারার কারণে হোমিও চিকিৎসা শুরু করে দেয়।

ডায়াবেটিসের প্রচলিত এলোপ্যাথিক চিকিৎসার বিষয়টি গত ৮০ বছরে ধীরে ধীরে সারাবিশ্বের মানুষদের মধ্যে এমনভাবে শিকর গেড়েছে যে, এটি বতর্মানে মানুষের কাছে ধর্ম বিশ্বাসে (religion) পরিণত হয়েছে। আর কোন একটি বিষয় যখন মানুষের কাছে অন্ধবিশ্বাসে পরিণত হয়, তখন তাকে আর যুক্তি-তর্ক দিয়ে বুঝানো যায় না। ঔষধ কোম্পানীগুলোর নীতি হলো শিশু থেকে বুড়ো পযর্ন্ত সবাইকে ঔষধ খাওয়াতে হবে, ভ্যাকসিন দিতে হবে। যেভাবেই হোক বছর বছর লাভের মাত্রা বাড়াতে হবে। চিকিৎসার নামে দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে সারাজীবনের জন্য তাদের ওপর নিভরর্শীল করে রাখতে হবে। ডায়াবেটিসের সংক্রান্ত সমস্ত গবেষণায় এসব ঔষধ কোম্পানী অর্থ যোগান দেয় এবং এভাবে তারা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে নিজেদের ইচ্ছেমতো পরিচালিত করে থাকে। ডাক্তাররা মেডিক্যাল কলেজে কি শিখবে এবং কিভাবে ডাক্তারী করবে, তার সবই এসব ঔষধ কোম্পানীর পরিকল্পনা মতো হয়ে থাকে। বহুজাতিক ঔষধ কোম্পানীগুলোর এই পৈশাচিক লোভের শিকারে পরিণত হয়ে বহুল প্রচলিত এলোপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ মানবজাতির জন্য গযবে পরিণত হয়েছে।

আপনার ডাক্তার কখনও আপনাকে বলবে না যে, রক্ত সঞ্চয়জনিত হৃদরোগ (ischaemic heart diseases), স্মায়ুঘটিত হার্ট ফেইলার (neuropathic heart failure), করোনারি হৃদরোগ (coronary heart diseases), মেদভূড়ি সমস্যা (obesity), রক্তনালীতে চর্‌বি জমা (atherosclerosis), উচ্চ রক্তচাপ (elevated blood pressure), কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি (elevated cholesterol), ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি (elevated triglycerides), যৌন অক্ষমতা (impotence), চোখের রেটিনার রোগ (retinopathy), কিডনী ফেইলুর (renal failure), লিভার ড্যামেজ (liver failure), ডিম্বাশয়ের টিউমার (polycystic o***y syndrome), রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি (elevated blood sugar), ক্যানডিডা সংক্রমণ (systemic candida), ত্রুটিপূর্ণ শ্বেতসার বিপাক (impaired carbohydrate metabolism), ঘা শুকাতে দেরি হওয়া (poor wound healing), ত্রুটিপূর্ণ চর্‌বি বিপাক (impaired fat metabolism), প্রান্তীয় স্মায়বিক রোগ (peripheral neuropathy) ইত্যাদিকে এক সময় ডায়াবেটিসেরই লক্ষণ মনে করা হতো। আপনি যদি কোন এলোপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে ডায়াবেটিসের নিমূর্ল বা ডায়াবেটিস থেকে ১০০ ভাগ মুক্তির ব্যাপারে জানতে চান, তবে তিনি বিরক্ত হবেন। কারণ তাকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে ডায়াবেটিসের “চিকিৎসা আছে কিন্তু কোন স্থায়ী মুক্তি (বা নিরাময়) নাই”। অথচ ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য (curable) একটি রোগ। কিন্তু এজন্য (ডায়াবেটিস) রোগ এবং রোগী দুটোর চিকিৎসা করতে হবে একত্রে বা সামগ্রিকভাবে (holistic)। কিন্তু বতর্মানে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস রোগীদের সুগারের চিকিৎসা করেন একজন বিশেষজ্ঞ, খাদ্যাভাসের চিকিৎসা করেন আরেকজন, চোখের জটিলতার চিকিৎসা করেন একজন, কিডনীর জটিলতার চিকিৎসা করেন আরেকজন, লিভারের সমস্যার চিকিৎসা করেন একজন, হার্টের পীড়ার চিকিৎসা করেন আরেকজন, চর্মরোগের চিকিৎসা করেন একজন, রক্তের অসুখের চিকিৎসা করেন আরেকজন ইত্যাদি ইত্যাদি। মোটকথা, মরা গরুর লাশ নিয়ে যেমন শুকুনদের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়, ডায়াবেটিস রোগীদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়েও বিশেষজ্ঞদের (?) মধ্যে তেমনটা লক্ষ্য করা যায়।

আমার মূল বক্তব্য হলো, অন্যান্য জটিল রোগের (chronic disease) মতো ডায়াবেটিসেরও সবচেয়ে ভালো এবং সেরা চিকিৎসা আছে একমাত্র হোমিওপ্যাথিতে (Homeopathy)। নতুন আর পুরাতন দু’ধরণের ডায়াবেটিসেরই সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে আছে। ডায়াবেটিস হওয়ার মুল কারণ কি ? সাধারণ মানুষের বুঝার মতো ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়, আমাদের শরীরের হজম শক্তি কমে যাওয়াই হলো ডায়াবেটিসের মুল কারণ। সাধারণ মানুষ যদিও মনে করে আমাদের খাদ্য-দ্রব্য পাকস্থলী বা পেটে হজম হয় কিন্তু তা একেবারেই ভুল ধারণা। পাকস্থলী এবং নাড়িভুড়িতে খাদ্য-দ্রব্য হজম হয় না বরং বলা উচিত শোষণ (absorb) হয়। সেখান থেকে শোষণ হয়ে রক্তের মাধ্যমে প্রতিটি কোষে কোষে পৌঁছে যায়। আমাদের শরীরে যে কোটি কোটি কোষ আছে, খাদ্য-দ্রব্য হজমের কাজটি হয় সেই কোষগুলোতে। ডাক্তারী ভাষায় একে বলা হয় বিপাক ক্রিয়া (metabolism)। ইহার পরিমাপকে বলা হয় বিপাক ক্রিয়ার হার (BMR-basal metabolic rate)।

কোষগুলোতে খাদ্য-দ্রব্য হজম হয়ে শক্তি তৈরী হয় যা দিয়ে আমাদের শরীরের সমস্ত কাজ-কর্ম চলে। তাই ডায়াবেটিস সমপুর্ণরূপে নির্মুল করতে চাইলে আমাদেরকে শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে হবে অর্থাৎ কোষের বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়াতে হবে। আর সত্যি কথা হলো, শরীরের বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়ানোর ক্ষমতা কেবল হোমিও ঔষধেরই আছে। আয়োডিয়াম (Iodium), ক্যালকেরিয়া কার্বনিকাম (Calcarea carbonica), ফিউকাস ভেসিকোলোসিস (Fucus vesiculosis), ফাইটোল্যাক্কা ডেকানড্রা (Phytolacca decandra) ইত্যাদি হোমিও ঔষধগুলি শরীরের বিপাক ক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করতে পারে। বিশেষত আর্সেনিকাম ব্রোমেটাম (Arsenicum Bromatum), সিজিজিয়াম (Syzygium), এসিড ফস (acidum Phosphoricum), জিমনেমা সিলবাস্টা (Gymnema sylvestra) ইত্যাদি হোমিও ঔষধগুলো যে-কোন ডায়াবেটিস রোগী খেয়ে উপকার পাবেন । তবে ডায়াবেটিসের মূল কারণসমূহ দূর করা এবং শরীরকে বিষমুক্ত করার কাজে হোমিও স্পেশালিষ্টের পরামর্শ দরকার।

যদিও শারীরিক-মানসিক-পারিবারিক-জলবায়ুজনিত লক্ষণ সমষ্টির উপর ভিত্তি করে প্রদত্ত যে-কোন হোমিও ঔষধেই ডায়াবেটিস সমপুর্ণ নির্মুল হয়ে যায়। তবে এই দুইটি ঔষধ হলো একেবারে স্পেসিফিক। সত্যি বলতে কি ডায়াবেটিস আসলে একটি রোগ নয় ; বরং বলা যায় এটি অনেকগুলি রোগের সমষ্টি (group of diseases)। অথবা বলা যায় ডায়াবেটিসের পেছনে অনেকগুলো কারণ (Link) থাকে। ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নির্মূল করার জন্য প্রথমে এই কারণগুলিকে একটি একটি করে দূর করতে হয়। কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন পন্থী ডাক্তাররা এই কারণগুলো সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং এই কারণগুলো দূর করার ক্ষমতাও তাদের ঔষধের নাই। তাদের একমাত্র টার্গেট হলো রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে রাখা। ইদানীং আবার সে-সব ডাক্তাররা পেটুক রোগীদের শরীরে অপারেশন করে পাকস্থলী কেটে ছোট করে দিচ্ছে যাতে বেশী খেতে না পারে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ! এসব কাণ্ডকারখানা চিকিৎসার নামে ববরর্তা ছাড়া কিছুই না। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, খেজুর গাছের গোড়া না কেটে যতই অপারেশন-মলম-ট্যাবলেট-ইনজেকশান প্রয়োগ করা হউক না কেন, তাতে কিন্তু খেজুরের রসের উৎপাদন বন্ধ করা যাবে না।

রক্তে সুগারের মাত্রা কেন বাড়ে তা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নাই বরং সুগারের মাত্রা কিভাবে কমানো যায় তাই নিয়ে ব্যস্ত। ফলে অস্বাভাবিক পথে শরীরের ওপর জবরদস্তি করে সুগারের মাত্রা কন্ট্রোল করার জন্য তারা যে-সব ঔষধ/ ইনজেকশান রোগীদেরকে দেন, সেগুলো দুয়েক বছর কাজ করলেও তারপর আর কোন কাজ করে না। আমাদের শরীর এমনই অদ্ভূত ক্ষমতার অধিকারী যে, বিষাক্ত ঔষধকেও এক সময় সে হার মানিয়ে দেয়। ফলে ডাক্তাররা ধীরে ধীরে ঔষধ/ ইনজেকশানের মাত্রা বাড়িয়ে দেন কিন্তু তারপরও সুগারের মাত্রা আর কন্ট্রোলে আনা যায় না। মাঝখানে এসব বিষাক্ত ঔষধের ধাক্কায় ধীরে ধীরে ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনী নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। আর কিডনী যেহেতু নষ্ট হওয়ার কারণে ঠিকমতো রক্ত পরিষ্কার করতে পারে না, ফলে রক্ত বিষাক্ত হয়ে পড়ার কারণে রক্ত চলাচলের সাথে বেশী সম্পর্ক আছে, এমন অঙ্গগুলোও ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়তে থাকে (যেমন- হৃদপিন্ড, ব্রেন, স্নায়ু, চোখ ইত্যাদি)।

ডায়াবেটিসের প্রচলিত চিকিৎসা অনেকটা এরকমই। প্রথমে ডাক্তাররা কয়েক বছর ডায়েট কন্ট্রোল এবং হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা করেন কিন্তু ব্যর্থ হন। তারপর কয়েক বছর ট্যাবলেট-ক্যাপসুল দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হয়ে শেষে ইনসুলিন (insulin) ইনজেকশান দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা করেন। প্রথমে কিছুদিন কাজ হলেও শেষে আর ইনসুলিন ইনজেকশানেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। ডায়াবেটিসের অশুভ গতি ফেরাতে না পারার কারণে ধীরে ধীরে কিডনী, হৃদপিন্ড, ব্রেন, চক্ষু ইত্যাদিতে নানান জটিলতা দেখা দিতে থাকে। ফলে এই সকল রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা বস্তা বস্তা ঔষধ খাওয়াতে থাকেন। ফলে কয়েক বছরের মধ্যেই ডায়াবেটিসের উৎপাত এবং ভয়ঙ্কর বিষাক্ত ঔষধগুলির বিষক্রিয়ায় কিডনী দুটি নষ্ট হয়ে ডায়াবেটিস রোগীরা কবরে চলে যান।

এই প্রসংগে বলতে হয় যে, হাত-পায়ের পচঁন বা গ্যাংগ্রিনেরও (gangrene) সবচেয়ে উৎকৃষ্ট চিকিৎসা আছে হোমিওপ্যাথিতে। অথচ অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে ডাক্তাররা গ্যাংগ্রিন হলে ঔষধে ভালো করতে না পেরে প্রথমে আঙুল কেটে ফেলে দেন, তারপর গ্যাংগ্রিন বাড়তে থাকলে সে-সব পন্থী ডাক্তাররা পায়ের গোড়ালি পযর্ন্ত কেটে ফেলে দেন। তারপর গ্যাংগ্রিন আরো বাড়তে থাকলে হাঁটু পযর্ন্ত এবং শেষে কোমড় পযর্ন্ত পা কেটে ফেলে দেন। এভাবে দেখা যায় যে, দুই-তিনটি অপারেশনের ধাক্কা সামলাতে না পেরে গ্যাংগ্রিনের রোগীরা দুয়েক বছরের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। অথচ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কেবল মিষ্টি মিষ্টি ঔষধ মুখে খাওয়ার মাধ্যমেই খুবই কম সময়ে এবং কম খরচের মাধ্যমে গ্যাংগ্রিন সারিয়ে দেওয়া যায়।

রোগী অতীতে কি কি ঔষধ খেয়েছেন/ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, কি কি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেগুলো তার স্বাস্থ্যকে কিভাবে-কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, ইত্যাদি নিয়ে সাধারণত অন্যান্যপন্থী ডাক্তাররা মাথা ঘামান না। পক্ষান্তরে একজন হোমিও ডাক্তার রোগীর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পযর্ন্ত, তার অতীত থেকে বর্তমান পযর্ন্ত, শরীরের বাহ্যিক রূপ থেকে মনের অন্দর মহল পযর্ন্ত সকল বিষয় বিবেচনা-পযার্লোচনা করে হাজার হাজার হোমিও ঔষধ থেকে রোগীর জন্য সবচেয়ে মানানসই ঔষধ খুঁজে বের করে প্রয়োগ করেন। আর এই কারণেই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় সবচেয়ে সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল করা যায়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিমূর্ল করতে প্রথমে সেই ব্যক্তি জন্মগতভাবে (Genetics) যে-সব দোষত্রুটি নিয়ে জন্মেছেন, সেগুলোর সংশোধন করতে হয়। তারপর বিষাক্ত এলোপ্যাথিক বা কবিরাজি ঔষধ খেয়ে শরীরের যে-সব ক্ষতি করেছেন, শরীর থেকে সে-সব বিষ দূর করতে হয়। তারপর টিকার (vaccine) মাধ্যমে শরীরে যতটা প্রলয়কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তার ক্ষতিপূরণ করতে হয়। তারপর অপারেশন / একসিডেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরের যতটা ক্ষতি হয়েছে, সেগুলোর সংস্কার করতে হয়। আপনজনের মৃত্যু, প্রেমে ব্যথর্তা, বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতা, চাকুরি / ব্যবসায়ের পতন ইত্যাদি দুবির্পাকে সৃষ্ট মানসিক বেদনা থেকে শরীরের যেটুকু ক্ষতি হয়েছে, তাহা মেরামত করতে হয়। মোটকথা, বিভিন্ন ভাবে আমাদের দেহ-মনে যত বিষ ঢুকেছে, আমাদের শরীরকে সে-সব বিষ থেকে মুক্ত করতে হয়।

আসলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা হলো বিষমুক্তির (detoxification) চিকিৎসা। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের দেহ-মনকে বিষাক্ত (poisoning) করে আর হোমিও চিকিৎসা আমাদের দেহ-মনকে বিষমুক্ত করে। হ্যাঁ, বিষমুক্ত হওয়ার পরে আমাদের শরীর আবার তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে শুরু করে। আমাদের দেহ-মনকে বিষমুক্ত করতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক থেকে দুই বছরের মতো লাগতে পারে। আবার অবিশ্বাস্য মনে হলেও একথা সত্য যে, অনেক সময় রোগীর শরীরের বিষের উৎপাত কম থাকলে এবং রোগীর একশভাগ লক্ষণ মিলিয়ে দিতে পারলে মাত্র এক ফোটা হোমিও ঔষধেই ডায়াবেটিস নির্মূল হয়ে যায়। তবে হোমিওপ্যাথির ওপর যাদের বিশ্বাস কম, তারা ইচ্ছে করলে কিছুদিন হোমিও ঔষধের সাথে অন্যান্য ঔষধও চালিয়ে যেতে পারেন।

হোমিও ঔষধ সাধারণত অন্যান্য ঔষধের সাথে রিয়েকশান করে না। পরিশেষে ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞসহ সকল মেধাবী ডাক্তারদের নিকট আমাদের অনুরোধ থাকবে, ডায়াবেটিসের অভিশাপ থেকে মানবজাতিকে মুক্ত করতে তাঁরা যেন হোমিও ঔষধ প্রেসক্রাইব করেন।

নীচে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় বেশী ব্যবহৃত কয়েকটি হোমিও ঔষধের লক্ষণ বর্ণনা করা হলো-

Phosphoricum Acidum : শোক, দুঃখ, বিরহ, প্রেমে ব্যর্থতা, অত্যধিক যৌনকর্ম করে দুর্বল হয়ে পড়া, মারাত্মক ধরণের অসুখে (যেমন-টাইফয়েড) ভোগে শরীরের বারোটা বেজে যাওয়া ইত্যাদি কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে ফসফরিক এসিড খেতে হবে। প্রস্রাব করার জন্য রাতে কয়েকবার উঠতে হয়, রোগীর বোধশক্তি কমে যায়, তার চারপাশে যা কিছু ঘটছে সেদিকে তার কোন খেয়াল থাকে না, রোগী কথা বলতে চায় না ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।

Arsenicum Bromatum : আরস-ব্রোম ডায়াবেটিসের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। এটি যে-কোন ডায়াবেটিসের রোগীকে খাওয়ানো যায়। এতে নিদির্ষ্ঠ কোন লক্ষণের দরকার হয় না।

Syzygium : কালো জামের বিচি থেকে তৈরী করা এই ঔষধটি যে-কোন ডায়াবেটিসের রোগীকে খাওয়ানো যায়। এতে নিদৃষ্ট কোন লক্ষণের খোঁজাখুঁজির দরকার নাই।

Iodium : আয়োডিয়াম ঔষধটি অধিকাংশ ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রেই উপকার করে থাকে। আয়োডিয়ামের লক্ষণ হলো রাক্ষসের মতো ক্ষুধা, প্রচুর খায় কিন্তু তারপরও দিনদিন শুকিয়ে যেতে থাকে এবং গরম সহ্য করতে পারে না।

Aceticum Acidum : এসিটিকামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, দুরবলতা, রক্তশূণ্যতা, মোমের মতো ফ্যাকাসে মুখমণ্ডল, ভীষণ পিপাসা, গলায় জ্বালাপোড়া, বমিবমি ভাব ইত্যাদি।

Calcarea Carbonica : ক্যালকেরিয়া কার্বের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এরা খুব সহজে মোটা হয়ে যায়, শরীরের চাইতে পেট মোটা থাকে, থলথলে নরম শরীর, প্রস্রাব-পায়খানা-ঘাম সব কিছু থেকে টক গন্ধ আসে, হাতের তালু মেয়েদের হাতের মতো নরম (মনে হবে হাতে কোন হাড়ই নেই), মাথা ঘামায় বেশী, মুখমন্ডল ফোলাফোলা ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব লক্ষণ কারো মধ্যে পাওয়া গেলে তাকে ক্যালকেরিয়া খাওয়াতে হবে।

Natrum Sulphuricum : নেট্টাম সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর শরীরে পানির পরিমাণ বেশী (hydrogenoid constitution), ভিজা বা ভ্যাপসা আবহাওয়ায় রোগের মাত্রা বেড়ে যায়, গোসল করলে বা পানিতে জন্মানো খাবার খেলে রোগের মাত্রা বেড়ে যায়, বেশী আলো সহ্য হয় না, জলাবদ্ধ স্থানে বসবাসকারী ব্যক্তি, রোগের আক্রমণ সবসময় একটি নিদৃষ্ট সময়ে হয়ে থাকে, শরীরে আঁচিল (excrescences) থাকা, সকালবেলা রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, বিশ্রামে রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে রোগের সৃষ্টি হওয়া, সঙ্গীত অসহ্য লাগা, গলায় চাকার মতো কিছু আটকে আছে মনে হওয়া ইত্যাদি।

Lacticum Acidum : ল্যাকটিকামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো বমিবমি ভাব, বমি, জ্বালাপোড়া এবং শরীর ভার ভার লাগা। তবে ডায়াবেটিসের সাথে যদি বাতের ব্যথা এবং বদহজম থাকে, তবে চোখ বন্ধ করে ল্যাকটিকাম খেতে পারেন।

Arsenicum Bromatum : আরস-ব্রোম ডায়াবেটিসের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। এটি যে-কোন ডায়াবেটিসের রোগীকে খাওয়ানো যায়। এতে নিদৃষ্ট কোন লক্ষণের দরকার হয় না।
Kali Phosphoricum : সাধারণত কঠোর পরিশ্রমের কারণে, অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রমের ফলে, দীর্ঘদিন শোক-দুঃখ-আবেগ-উত্তেজনায় ভোগার কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তাতে ক্যালি ফস ঔষধটি সুফল দিবে। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কোন কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, মানসিক পরিশ্রমে মাথাব্যথা, প্রচুর ঘামানো, সহজে সর্দি লাগা, রক্তশূণ্যতা, নিদ্রাহীনতা, বদহজম, নার্ভাস, শরীরের অবস্থা বেশ খারাপ, ভীষণ বদমেজাজী, অত্যন্ত সেনসিটিভ, হঠাৎ স্পর্শ করলে চমকে ওঠে, যৌনমিলনের পরে দুর্বল হয়ে পড়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Moschus : অল্পতেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে, সবসময় শীতে কাঁপতে থাকে এবং যৌন শক্তি দুরবল ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ডায়াবেটিসে মস্কাস খেলে উপকার পাবেন।

Thyroidinum : ডায়াবেটিসের সাথে যদি গলগণ্ড বা থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকে, চোখের সমস্যা বা হারটের সমস্যা থাকে, শরীর ফোলা ফোলা থাকে, মেদভূঁড়ি থাকে, মাসিকে গণ্ডগোল থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি, তবে থাইরয়েডিনাম খেতে হবে।

Uranium Nitricum : মাত্রাতিরিক্ত পিপাসা, ঘনঘন প্রস্রাব, শুকনা জিহ্বা ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ইউরেনিয়াম নাইট্রিকাম দারুণ উপকার করে থাকে।

Lac Defloratum : ঘনঘন তীব্র মাথাব্যথা, সাংঘাতিক কোষ্টকাঠিন্য, মাত্রাতিরিক্ত পিপাসা, ওজন কমে যাওয়া, বিষন্নতা, বমিবমিভাব, বুক ধড়ফড়ানি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ল্যাক ডিফ্লোরেটাম খেতে হবে।

ব্রেইন ইমেইজিং:-মনের ভেতরকার এক ভ্রমণ ...🔹 এক্স-রে (X-RAY): একেবারে বেসিক! এটি মস্তিষ্ক নয়, বরং খুলি (হাড়) ভালোভাবে দেখা...
13/07/2025

ব্রেইন ইমেইজিং:-

মনের ভেতরকার এক ভ্রমণ ...

🔹 এক্স-রে (X-RAY): একেবারে বেসিক! এটি মস্তিষ্ক নয়, বরং খুলি (হাড়) ভালোভাবে দেখায়। তাই ব্রেইনের টিস্যু বোঝার জন্য এক্স-রে যথেষ্ট নয়।

🔹 এমআরআই (MRI): ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং শক্তিশালী চুম্বক আর রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে মস্তিষ্কের সফট টিস্যুর অত্যন্ত স্পষ্ট ছবি দেয়। টিউমার, স্ট্রোক কিংবা অস্বাভাবিকতা ধরার জন্য দারুন কার্যকর।

🔹 এমআরএ (MRA): ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স অ্যাঞ্জিওগ্রাফি রক্তনালীগুলোর দিকে ফোকাস করে। এটি ব্রেইনের ধমনী-শিরার বিস্তারিত ছবি দেখায় — সার্জারি ছাড়াই এনিউরিজম, রক্ত জমাট বা অন্যান্য সমস্যা শনাক্ত করা যায়।

🔹 সিটি স্ক্যান (CT): একাধিক এক্স-রের সমন্বয়ে তৈরি ক্রস-সেকশনাল ছবি দেয়। জরুরি অবস্থায় দ্রুত ব্লিডিং, ফ্র্যাকচার বা ব্রেইন ফুলে যাওয়ার মতো জটিলতা ধরতে সাহায্য করে।

🔹 পিইটি স্ক্যান (PET SCAN): পজিট্রন ইমিশন টোমোগ্রাফি দেখায় ব্রেইনের কার্যকারিতা। রঙিন ছবি ব্রেইনের মেটাবলিক অ্যাক্টিভিটি প্রকাশ করে, যা আলঝেইমার, মৃগী বা ক্যান্সার শনাক্তে ব্যবহৃত হয়।

🧩 প্রতিটি ইমেজিং প্রযুক্তি ব্রেইনের একেকটা রহস্য উন্মোচন করে — চিকিৎসকদের রোগ শনাক্ত, চিকিৎসা ও জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে।

০১- সূরা আল-ফাতিহা   (৭ আয়াত, মাক্কী)রহমান, রহীম আল্লাহর নামে بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ০১. সমস্ত প্রশংসা আ...
21/06/2025

০১- সূরা আল-ফাতিহা (৭ আয়াত, মাক্কী)

রহমান, রহীম আল্লাহর নামে

بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

০১. সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের রব।

০২. পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

০৩. বিচার দিবসের মালিক।

০৪. আপনারই আমরা ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকট আমরা সাহায্য চাই।

০৫. আমাদেরকে সরল পথের হিদায়াত দিন।

০৬. তাদের পথ, যাদের উপর আপনি অনুগ্রহ করেছেন। যাদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন। যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।

ভিটামিন কে-র অভাব (Vitamin K Deficiency)(ভিটামিন কে-এর অভাব কি)?ভিটামিন কে হলো ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিন, অর্থাৎ এই রকমের ভ...
16/06/2025

ভিটামিন কে-র অভাব (Vitamin K Deficiency)

(ভিটামিন কে-এর অভাব কি)?

ভিটামিন কে হলো ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিন, অর্থাৎ এই রকমের ভিটামিন মানব শরীরে শোষণের জন্য ফ্যাটের দরকার পড়ে। ভিটামিন কে দু’টি রূপে বিদ্যমান – ভিটামিন কে1 (ফাইলোকুইনন), যার উৎস হলো উদ্ভিদ এবং কে2 (মেনাকুইনন), যা প্রাকৃতিকভাবে অন্ত্রের মধ্যে সংশ্লেষিত হয়। ফাইলোকুইনন ভিটামিন কে-এর প্রধান খাদ্য উৎস এবং পালংশাক, ব্রোকোলি ও বাঁধাকপির মতো সবুজ পাতাওয়ালা সব্জিতে পাওয়া যায়। আর মেনাকুইনন সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু পশুজাত খাদ্য এবং ফারমেন্টেড বা গাঁজানো খাদ্যবস্তু থেকে পাওয়া যায়। গাঁজানোর জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়াই মূলত এটি উৎপাদন করে এবং অধিকাংশ ব্যক্তির ক্ষেত্রেই শরীরের অন্ত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয়।
ভিটামিন কে শরীরে গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন তৈরি করে, যা রক্তপাত নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী। ভিটামিন কে-এর অভাব হলো এমন একটি অবস্থা যাতে শরীর এই রকমের গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন তৈরিতে অক্ষম হয়ে পড়ে, যা রক্তপাতের ঝুঁকি হিসেবে দেখা দেয়।

(এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গ কি)?

নিচে তালিকাভুক্ত কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ এই ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়:

• অত্যধিক রক্তপাত।
• সহজে কালশিটে পড়া।
• নখের তলার চামড়ায় রক্তপাত।
• পাচননালীর যেকোনও স্থান থেকে রক্তপাত।
• ফ্যাকাসেভাব ও দুর্বলতা।
• গাঢ় রঙয়ের মল অথবা রক্ত পায়খানা।
• হাড় দুর্বল।
• ফুসকুড়ি।
• দ্রুত হৃদস্পন্দন।

ভিটামিন কে-এর অভাব যে কোনও বয়সে হতে পারে, কিন্তু সদ্যোজাতদের মধ্যে এর ঝুঁকি বেশি। ভিটামিন কে-এর ঘাটতির অন্যান্য কারণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

• অপুষ্টি।
• লিভারের রোগ।
• অপর্যাপ্ত খাদ্যগ্রহণ।
• ফ্যাটের শোষণে দুর্বলতা।
• সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এবং
• অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট ওষুধ।

(এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়)?

ভিটামিন কে-এর অভাব চিহ্নিত করতে রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত ইতিহাস জেনে নেওয়া হয়। রক্তপাতের সময় চিহ্নিত করার জন্য কোয়াগুলেশন টেস্ট করা হয়। ভিটামিন কে-এর ঘাটতির প্রভাবের মূল্যায়ন করার জন্য অন্যান্য পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে প্রোথ্রম্বিন টাইম, ব্লিডিং টাইম, ক্লটিং টাইম এবং অ্যাক্টিভেটেড পার্শিয়াল প্রোথ্রম্বিন টাইম।

চিকিৎসা পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত:

• ভিটামিন কে সম্পূরক খাওয়ার ওষুধ অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ।

•ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ, যেমন – সবুজ পাতাওয়ালা সব্জি, সর্ষে, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি।

ডায়ালাইসিসের সময় লাল নল দিয়ে শরীর থেকে রক্ত বের করে বিশেষ যন্ত্রে পরিশোধন করে, নীল নল দিয়ে আবার শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া...
16/06/2025

ডায়ালাইসিসের সময় লাল নল দিয়ে শরীর থেকে রক্ত বের করে বিশেষ যন্ত্রে পরিশোধন করে, নীল নল দিয়ে আবার শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিটি সেশন সাধারণত ৪ ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং রোগীদের সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এটি করতে হয়।

অথচ যাদের কিডনি সুস্থ, তাদের শরীরে এই জটিল কাজ প্রতিদিন প্রায় ৩৬ বার স্বাভাবিকভাবেই ঘটে যায়, কোনো কষ্ট ছাড়াই, পুরোপুরি স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারি না—আল্লাহ আমাদের জীবনে কত অগণিত নিয়ামত দান করছেন, যা আমরা নীরবে ভোগ করছি। তাই সর্বদা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিত।

“তোমরা তোমাদের প্রভুর কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?” — এ আয়াত যেন আমাদের হৃদয়ে বারবার প্রতিধ্বনিত হয়।

এই পবিত্র ঈদুল আযহায় ত্যাগের মহান শিক্ষায় উদ্ভাসিত হোক প্রতিটি হৃদয়। কুরবানির বরকত ভাগ করে নিয়ে ছড়িয়ে দিই ভালোবাসা ও আনন...
06/06/2025

এই পবিত্র ঈদুল আযহায় ত্যাগের মহান শিক্ষায় উদ্ভাসিত হোক প্রতিটি হৃদয়। কুরবানির বরকত ভাগ করে নিয়ে ছড়িয়ে দিই ভালোবাসা ও আনন্দে, গড়ে তুলি ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির এক অটুট বন্ধন। দেশ-বিদেশের সব মুসলিম ভাইবোনকে জানাই ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ঈদ মোবারক।

اَللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ
اَللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ وَللهِ الْحَمْدُ

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

Sol Duc Valley region of Olympic National Park, Washington.The source of the Sol Duc River lies within Olympic National ...
19/05/2025

Sol Duc Valley region of Olympic National Park, Washington.

The source of the Sol Duc River lies within Olympic National Park on the Olympic Peninsula of Washington State. Coursing down from the Olympic mountain range, it twists and turns through the old-growth forest of the park, creating tranquil scenes like this one, as the Sol Duc makes its way toward the Pacific Ocean. And as National Park Week comes to a close, we encourage you to get out and visit some of the amazing spaces our national parks have to offer. Maybe soon you’ll find yourself in the Sol Duc Valley, enjoying this moss-covered landscape and listening to the river’s song in person.

জিংক এর অভাব (Zinc Deficiency)(জিঙ্কের অভাব কাকে বলে)?জিঙ্ক একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ যা আমরা খাদ্য এবং খাদ্যে বরাদ্দ ...
12/05/2025

জিংক এর অভাব (Zinc Deficiency)

(জিঙ্কের অভাব কাকে বলে)?

জিঙ্ক একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ যা আমরা খাদ্য এবং খাদ্যে বরাদ্দ সম্পূরক থেকে সংগ্রহ করি। প্রোটিন ও ডিএনএ সংশ্লেষণ, গর্ভাবস্থা ও শৈশবকালীন বৃদ্ধি ও বিকাশ, উপযুক্ত স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি, ক্ষতের নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধের মতো একাধিক শারীরিক ক্রিয়াকলাপে জিঙ্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক শরীরে গ্রহণ করা প্রয়োজন কারণ মানুষের দেহে এর কোন সঞ্চয় ব্যবস্থা নেই। শরীরে জিঙ্ক গ্রহণ ও জিঙ্কের উপস্থিতি কমে যাওয়ার সমস্যাকে জিঙ্কের অভাব বলে।

(এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি)?
জিঙ্কের অভাবজনিত সবথেকে পরিচিত উপসর্গগুলি হল:

• খিদে কমে যাওয়া।
• বিলম্বিত বৃদ্ধি।
• এই সমস্যার বিরল ও গুরুতর উপসর্গগুলি হল:
• ডায়রিয়া বা অতিসার।
• যৌন অক্ষমতা।
• বিলম্বিত বয়ঃসন্ধি।
• ত্বক ও চোখের ক্ষত।
• পুরুষদের মধ্যে হাইপোগোনাডিজম।

ক্ষত সারতে বেশি সময় লাগা, ওজন হ্রাস, লেথার্জি বা অতিরিক্ত আলস্য, স্বাদের অনুভূতি কমে যাওয়া প্রভৃতি উপসর্গও জিঙ্কের অভাবে ঘটতে পারে।

জিঙ্কের অভাব ঘটার প্রধান কারণগুলি হল:

• পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক গ্রহণ না করা।
• ত্রুটিপূর্ণ শোষণ।
• শরীরে জিঙ্কের চাহিদা বৃদ্ধি।
• শরীর থেকে অতিরিক্ত জিঙ্ক বেরিয়ে যাওয়া।

নীচে দেওয়া বিষয়গুলি জিঙ্কের অভাবের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়:

• অপর্যাপ্ত খাদ্যগ্রহণ।
• মদ্যপান।
• পৌষ্টিক তন্ত্রের বিভিন্ন রোগ যা খাদ্য থেকে জিঙ্কের শোষণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, যেমন ক্রোন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, ট্রপিক্যাল স্প্রূ ইত্যাদি।
• গর্ভাবস্থা ও দুগ্ধক্ষরণ যার ফলে শরীরে জিঙ্কের চাহিদা বেড়ে যায়।

(এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়)?

রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে উপস্থিত জিঙ্কের মাত্রা দেখে শরীরে জিঙ্কের গুরুতর অভাব নির্ণয় করা হয়। এলকালাইন ফসফাটেজ এঞ্জাইম ও এলবুমিনের মাত্রাও এই নির্ণয়করণে সাহায্য করে।
জিঙ্কের অভাবের মূল চিকিৎসা হল কমে যাওয়া জিঙ্কের সরবরাহ করা। সমস্যাটির অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ডোজের জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়।

ফসফরাসের অভাব (Phosphorus Deficiency)(ফসফরাসের অভাব কি)?ফসফরাস আমাদের শরীরে দ্বিতীয় আধিক্যপূর্ণ উপাদান যার প্রচুর কার্যক...
11/05/2025

ফসফরাসের অভাব (Phosphorus Deficiency)

(ফসফরাসের অভাব কি)?

ফসফরাস আমাদের শরীরে দ্বিতীয় আধিক্যপূর্ণ উপাদান যার প্রচুর কার্যকারিতা আছে। আমাদের খাদ্যে এই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টটির অভাবের ফলে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরে ডিএনএর মতো বিভিন্ন আনুবিক উপাদাণগুলির মধ্যে, এটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, আবার আমাদের শরীরে যে শক্তির আনবিক এককগুলি উৎপন্ন হয় তাতেও এটি বর্তমান থাকে। শরীরে বেশিরভাগ ফসফরাস থাকে হাড়ের মধ্যে, বাকি ফসফরাস শরীরের নরম টিসু বা শরীরকলার মধ্যে বন্টিত থাকে। আমাদের শরীরে কোষের বিকাশ এবং খাদ্যকে ভেঙে শক্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য ফসফরাসের প্রয়োজন হয়। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও অতীব প্রয়োজনীয় উপাদান।

(এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি)?

ফসফরাসের অভাবের ফলে নীচে দেওয়া উপসর্গগুলি দেখা যায়:

• হাড়ের উন্নয়নে বা গঠনে সমস্যা।
• দুর্বলতা।
• অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা।
• মুখের ভিতরে সংক্রমণ।
• হাড়ের সন্ধিস্থলে ব্যথা।
• খিদে কমে যাওয়া।
• শিশু এবং বেড়ে ওঠা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ফসফরাসের অভাব হাড়ের বিকৃতি এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার মতো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

(এর প্রধান কারণগুলি কি কি)?

প্রাথমিকভাবে জাঙ্ক ফুডের মতো স্বল্প পুষ্টির খাবার বা নিম্নমানের খাদ্য খাওয়ার ফলে ফসফরাসের ঘাটতি দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানের মধ্যে ফসফরাস থাকায় এর অভাব খুব একটা দেখা যায় না।

নিয়মিত নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খেলে ফসফরাস শরীরে শোষিত হতে সমস্যা দেখা দেয়। এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টাসিড বা অম্লনাশক ওষুধ।

তবে, ম্যাগনেসিয়ামের অভাবের ফলেও শরীরে ফসফরাস শোষিত হতে সমস্যা হয়, ফলে ফসফরাসের অভাব দেখা যায়। (আরডিআই অনুসারে) প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত 1000 এমজি ফসফরাস গ্রহন করা জরুরী।

(কিভাবে এটি নির্ণয় করা হয় ও এর চিকিৎসা কি)?

রক্ত পরীক্ষা করে ও বর্তমান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি দেখে চিকিৎসক ফসফরাসের ঘাটতি সম্পর্কে নিশ্চিত হন।

ফসফরাসের অভাব কাটিয়ে উঠতে, চিকিৎসক খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন। যে খাদ্যগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস থাকে সেগুলি হল :

• বাদাম।
• বিনস।
• খোসাযুক্ত দানাশস্য।
• চীজ।
• দুধ।
• শুঁটি বা কলাই বা শিম জাতীয় শস্য।
• কুমড়োর দানা।
• মাছ।

স্বাভাবিকভাবে খাদ্যাভাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ফসফরাস অভাব নিয়ন্ত্রন সবচেয়ে ভালো উপায়। তবে, প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসক মাল্টিভিটামিন সম্পূরক গ্রহনের পরামর্শও দিতে পারেন।

পটাশিয়ামের অভাব (Potassium Deficiency)(পটাশিয়ামের অভাব কি)?পটাশিয়ামের অভাব বা ঘাটতি একটি বিরল অবস্থা, যা চিকিৎসা বিজ্ঞান...
11/05/2025

পটাশিয়ামের অভাব (Potassium Deficiency)

(পটাশিয়ামের অভাব কি)?

পটাশিয়ামের অভাব বা ঘাটতি একটি বিরল অবস্থা, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হাইপোক্যালেমিয়া নামে পরিচিত। এই অবস্থায় শরীরে নির্দিষ্ট লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখা দেওয়ার মতো পটাশিয়ামের অভাব তৈরি হয়।

পটাশিয়াম অভাবের প্রথম এবং সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হল সারা শরীরে দুর্বলতা এবং ক্লান্তি। এই অভাবের অন্যান্য বিশেষ উপসর্গগুলি হল:

• খাবার হজমে সমস্যা।
• পেশীতে টান এবং আড়ষ্ঠতা।
• বুক ধড়ফড়ানি (লক্ষণীয়ভাবে দ্রুত, অনিয়মিত এবং জোরালো হৃদস্পন্দন)।
• শ্বাস নিতে সমস্যা।
• অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অসাড় অথবা ঝিঁঝিঁভাব।

(এর প্রধান কারণগুলি কি কি)?

নানান চিকিৎসাজনিত অবস্থা এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে পটাশিয়ামের অভাব হতে পারে। কিছু কারণ নিচে তালিকাভুক্ত করা হল:

• ডায়রিয়া এবং বমির গুরুতর ঘটনা।
• বিপুল পরিমাণে রক্ত হ্রাস।
• কিডনি খারাপ বা কিডনির বিকলতা।
• হাঁপানি এবং এমফিসেমার ব্যবহৃত ওষুধের ফলে
• পটাশিয়ামের ঘাটতি হতে পারে।

(এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়)?

উপরে উল্লেখিত উপসর্গগুলি নিয়ে হাজির হলে চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিতে পারেন, যেমন – রক্ত পরীক্ষা, এর সাহায্যে রক্তপ্রবাহে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদানের মাত্রা দেখা যেতে পারে।

হৃদপিণ্ডের অনিয়মিত স্পন্দনের ক্ষেত্রে, ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রামের (ইসিজি) পরামর্শ দেওয়া হতে পারে, কারণ পটাশিয়ামের ঘাটতি হৃদস্পন্দনে প্রভাব ফেলতে পারে।

এই অবস্থার চিকিৎসা সহজ এবং উপসর্গের দ্রুত উন্নতি দেখা যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অবস্থা এবং উপসর্গের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে চিকিৎসক বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পরামর্শ দেবেন। যদি রক্তপ্রবাহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বিপদজ্জনকভাবে কম না হয়, তাহলে চিকিৎসক নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ অথবা পটাশিয়াম লবণ যুক্ত সিরাপ দিতে পারেন পটাশিয়ামের ভারসাম্যতা ফেরাতে।

যদি অবস্থা গুরুত্বর হয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি দ্রুত হৃদস্পন্দনের সমস্যা অনুভব করেন, তবে তার (পুরুষ অথবা মহিলা) শিরায় পটাশিয়ামের সম্পূরক প্রদান করা হয়।

পটাশিয়ামের ঘাটতির বিপদ এড়াতে যতটা সম্ভব মদ্যপান কম করা উচিত এবং সুষম খাদ্যতালিকা মেনে চলা উচিত।

Address

Sylhet

Opening Hours

Monday 08:00 - 12:00
16:00 - 21:00
Tuesday 08:00 - 12:00
16:00 - 21:00
Wednesday 08:00 - 12:00
16:00 - 21:00
Thursday 08:00 - 12:00
16:00 - 21:00
Friday 08:00 - 12:00
16:00 - 21:00
Saturday 08:00 - 12:00
16:00 - 21:00
Sunday 08:00 - 12:00
16:00 - 21:00

Telephone

+8801600356186

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Khan Homeo Chamber posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Khan Homeo Chamber:

Share

Category