11/11/2025
🎁 নিরাপদ প্রসবের জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
▶️ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ডাক্তারের পরামর্শ: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা (antenatal check-up) করানো, ডাক্তারের দেওয়া ভিটামিন ও অন্যান্য ওষুধ খাওয়া এবং তার পরামর্শ মেনে চলা মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে যেকোনো জটিলতা আগে থেকেই শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
▶️পুষ্টিকর খাবার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: গর্ভাবস্থায় মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সুষম খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকা আবশ্যক। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত বিশ্রামও জরুরি।
▶️প্রসবের স্থান নির্বাচন:
নিরাপদ প্রসবের জন্য এমন একটি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র বেছে নেওয়া উচিত যেখানে দক্ষ ডাক্তার, প্রশিক্ষিত নার্স এবং জরুরি সেবা দেওয়ার মতো সব ব্যবস্থা রয়েছে।
▶️প্রসবকালীন জরুরি অবস্থার প্রস্তুতি:
প্রসবের সময় যেকোনো জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন। যেমন: প্রসবের তারিখের কাছাকাছি সময়ে যানবাহনের ব্যবস্থা রাখা, হাসপাতালে যোগাযোগ করা এবং কিছু জরুরি কাগজপত্র ও জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা। রক্তের গ্রুপ জেনে রাখা এবং রক্তদানের ব্যবস্থা করাও অনেক সময় জরুরি হয়ে পড়ে।
▶️প্রসব-পরবর্তী যত্ন (Postnatal Care):
প্রসবের পর মায়েদের রক্তপাত, সংক্রমণ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রসব-পরবর্তী সময়েও নিয়মিত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, তার দেওয়া পরামর্শ মেনে চলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যক। একইসঙ্গে নবজাতকের যত্নের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে।