Aahban Psychotherapy and Counselling Center

Aahban Psychotherapy and Counselling Center সাইকোথেরাপি এবং কাউন্সেলিং এর জন্য সিলেট শহরের একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান

"আহবান সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার"-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি সিলেট বিভাগে অভিজ্ঞ চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী দ্বারা পরিচালিত প্রথম বেসরকারি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।

মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন সমস্যা নিরসন ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নই "আহবান সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার"-এর মূল উদ্দেশ্য।

⚽🏀🏈খেলা কেন জরুরি 🏏🏸🎳শিশুর সামগ্রিক বিকাশে খেলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলা শুধুমাত্র আনন্দের মাধ্যম নয়, বরং এটি শিশুর শারীরি...
27/11/2024

⚽🏀🏈খেলা কেন জরুরি 🏏🏸🎳

শিশুর সামগ্রিক বিকাশে খেলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলা শুধুমাত্র আনন্দের মাধ্যম নয়, বরং এটি শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আবেগিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের বিকাশের বিভিন্ন দিক খেলার মাধ্যমে অর্জিত হয়। এগুলো হলো:

🌿শারীরিক বিকাশ:
খেলার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ে। দৌড়ানো, লাফানো, খেলনা নিয়ে খেলা ইত্যাদি শিশুর পেশী শক্তি, হাত-পা সমন্বয় (মোটর স্কিল) এবং শারীরিক ভারসাম্য রক্ষা করার দক্ষতা উন্নত করে।

🌿মানসিক বিকাশ:
খেলা শিশুর সৃজনশীলতা এবং চিন্তাশক্তি উন্নত করে। যেমন, পাজল দিয়ে খেলা, ব্লক দিয়ে খেলা, ধাঁধা সমাধান বা নির্মাণ জাতীয় খেলা শিশুদের যুক্তিবোধ ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতাকে বাড়ায়। খেলার মাধ্যমে তারা নতুন ধারণা তৈরি করতে এবং নতুন নতুন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে শিখে।

🌿সামাজিক বিকাশ:
খেলার মাধ্যমে শিশুর মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মাধ্যমে শিশুরা একে অপরের সাথে মিলেমিশে খেলা, দলগত কাজ, নিয়ম-কানুন মেনে চলা এবং সহানুভূতিশীল হওয়া শেখে। এটি তাদের মাঝে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি করে। নতুন নতুন সামাজিক পরিবেশে মানিয়ে নিয়া শেখে এই খেলার মাধ্যমে।

🌿আবেগিক বিকাশ:
খেলার মাধ্যমে শিশু তার আবেগকে বোঝে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে। জয় বা পরাজয়ের অভিজ্ঞতা গুলো, আনন্দ বা দুঃখের অনুভূতিগুলো শিশুকে নিজস্ব আবেগ সম্পর্কে সচেতন করতে এবং সেই আবেগগুলি স্বাস্থ্যকরভাবে প্রকাশ করার দক্ষতা শেখাতে সহায়তা করে।

🌿ভাষাগত বিকাশ:
খেলা শিশুদের ভাষাগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক। বন্ধুদের সাথে কথা বলে, গল্প শুনে বা খেলার সময় নতুন নতুন শব্দ শেখা এবং ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পায় এবং তাদের যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হয়।

তাই শিশুকে খেলতে বারন করবোনা, বরং বেশি বেশি খেলতে উৎসাহিত করবো। শিশুর ঘরে এবং বাইরে পর্যাপ্ত খেলার সুযোগ তৈরি করবো।

========
🖋️আব্দুল্লাহ জিয়াদ
এম এস (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাবি)
এম এস (সাইকোলজি, ঢাবি)
বি এস (সাইকোলজি, ঢাবি)

চাইল্ড সাইকোলজিস্ট
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল
মৌলভীবাজার।

📞01684340534

10/11/2024

🌿🌿🌿হ্যাবিট রিভার্সাল ট্রেনিং🌿🌿🌿

হ্যাবিট রিভার্সাল ট্রেনিং (এইচআরটি) হল একটি মনস্তাত্ত্বিক কৌশল যা মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত অভ্যাসগুলো কমাতে বা দূর করতে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, বিশেষ করে যে অভ্যাসগুলো পুনরাবৃত্তিমূলক বা স্বয়ংক্রিয়, যেমন নখ কামড়ানো, চুল টানানো বা মোটর/ভোকাল টিক।

এটি মূলত Tourette Syndrom এবং Trichotillomania (চুল-টানার ব্যাধি) এর জন্য তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু তারপর থেকে এটি অন্যান্য বিভিন্ন আচরণগত সমস্যার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়েছে।

➡️কৌশলটিতে বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে:

1. সচেতনতা প্রশিক্ষণ:
প্রথম ধাপ হল অনাকাঙ্ক্ষিত অভ্যাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এর মধ্যে ব্যক্তিকে কখন এবং কোথায় অভ্যাসটি ঘটে, কত ঘন ঘন এবং কোন পরিস্থিতিতে ঘটে তা সনাক্ত করতে সহায়তা করা হয়। এই ধাপে ব্যক্তি ট্রিগারগুলো সনাক্ত করতে শিখে যা তাকে অভ্যাসের দিকে পরিচালিত করে।

2. বিকল্প প্রতিক্রিয়া:
অভ্যাসটি শনাক্ত হয়ে গেলে, থেরাপিস্ট ব্যক্তিকে একটি বিকল্প প্রতিক্রিয়া গড়ে তুলতে সাহায্য করে। বিকল্প প্রতিক্রিয়া হলো এমন একটি আচরণ যা অনাকাঙ্ক্ষিত অভ্যাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি নখ কামড়ানোর অভ্যাস হয়, তাহলে ব্যক্তিকে তাদের নখ কামড়ানোর তাগিদ অনুভব করলে তাদের মুষ্টি আঁকড়ে ধরতে বা হাতে কিছু ধরতে শেখানো হতে পারে বা মুখে কিছু চাবাতে হতে পারে।

3. সাপেক্ষ পুরস্কার প্রদান:
এই ধাপে একটি ইতিবাচক পুরস্কার নির্ধারণ করা হয় যা প্রদান করা হয় যখন ব্যক্তি সফলভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের পরিবর্তে বিকল্প প্রতিক্রিয়া ব্যবহার করে। এটি নতুন, কাঙ্খিত আচরণকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

4. রিলাক্সেশন প্রশিক্ষণ (ঐচ্ছিক কিন্তু প্রায়শই ব্যবহার করা হয়): যদি অনাকাঙ্ক্ষিত অভ্যাসটি না করার ফলে ব্যক্তির মাঝে চাপ বা উদ্বেগ তৈরি হয়, তবে অনাকাঙ্ক্ষিত অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি না করে ব্যক্তিকে এই চাপ বা উদ্বেগের অনুভূতিগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা ধারাবাহিক পেশী শিথিলায়নের ব্যায়ামের মতো শিথিলকরণ কৌশল শেখানো যেতে পারে।

হ্যাবিট রিভার্সাল ট্রেনিং অনাকাঙ্ক্ষিত পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণের জন্য অত্যন্ত কার্যকর এবং ধারাবাহিকভাবে অনুশীলন করলে দীর্ঘমেয়াদী অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ পরিবর্তন হতে পারে।

=====================
✒️আব্দুল্লাহ জিয়াদ

এসিস্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এন্ড সাইকোথেরাপিস্ট
এম ফিল, পার্ট-১ (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাবি)
এম এস (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাবি)
এম এস (সাইকোলজি, ঢাবি)
বি এস (সাইকোলজি, ঢাবি)

📞01684-340534

26/10/2024

🧩🧩🧩ডিভোর্স পরবর্তী সময়ে সন্তানের লালন-পালনে পিতা-মাতার করণীয়🧩🧩🧩

১. সন্তানের মঙ্গল সবসময় অগ্রাধিকার দেয়া। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

২. সন্তানের সামনে ঝগড়াঝাটি বা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করা থেকে বিরত থাকা।

৩. পিতা বা মাতা একে অপরের ব্যাপারে সন্তানের কাছে নালিশ বা নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা।

৪. পিতা এবং মাতা উভয়েরই সন্তানের বিষয়গুলোতে আলোচনার সুযোগ রাখা। যাতে করে উভয়ই সন্তানের লালন-পালনে অংশগ্রহণ করতে পারে।

৫. সন্তানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয়ে সমঝোতা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং একে অন্যের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো।

৬. পিতা-মাতা উভয়ই সন্তানের অনুভূতির প্রতি মনোযোগ দেয়া। তাদের সমস্যা গুলো শোনার চেষ্টা করা। যাতে সন্তান অনুভব করতে পারে যে, বাবা-মা উভয়ই তাকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন।

৭. পিতা এবং মাতা উভয়েরই সন্তানের সঙ্গে কোয়ালিটি সময় কাটানো নিশ্চিত করা। এতে তারা অনুভব করবে যে পিতা-মাতা উভয়ই তাদের কাছে আছেন।

৮. সন্তান বিচ্ছেদের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে সন্তানের বয়স বিবেচনা করে তাকে বুঝিয়ে বলা যে, একে অন্যের সম্মান বজায় রাখতে বাবা-মা আলাদা থাকছে।

উপরোক্ত করনীয় গুলো বিবেচনায় রাখলে আশা করা যায় ডিভোর্স পরবর্তী সময়ে সন্তানের উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তা অনেকাংশে কমে আসবে এবং সর্বোপরি সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ, স্নেহময় এবং ভালোবাসাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হবে।

================

✒️আব্দুল্লাহ জিয়াদ

এসিস্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এন্ড সাইকোথেরাপিস্ট
এম ফিল, পার্ট-১ (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাবি)
এম এস (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাবি)
এম এস (সাইকোলজি, ঢাবি)
বি এস (সাইকোলজি, ঢাবি)

📞01684-340534

22/10/2024

🎭ক্ষমা নাকি প্রতিশোধ?🎭

ক্ষমা এবং প্রতিশোধ দুটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি। কারো কাছ থেকে আঘাত বা কষ্ট পেলে, রাগ বা ক্ষোভের জন্ম নেয়। সেই রাগ বা ক্ষোভের পরে নিজেক মনকে শান্ত করতে আমাদের সামনে দুইটি রাস্তা খোলা থাকে। একটি হচ্ছে ক্ষমা আরেকটি হলো প্রতিশোধ।

ক্ষমা মানে অন্যের ভুল বা অপরাধকে স্বীকার করে নিয়ে তাকে মাফ করে দেয়া এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। অন্যদিকে, প্রতিশোধ হলো প্রাপ্ত আঘাতের বদলা হিসেবে প্রতিপক্ষ কে পালটা আঘাত করা, তাকেও কষ্টের বদলে কষ্ট ফেরত দেয়া।

ক্ষমা আমাদের মনকে প্রশান্তি দেয়া এবং প্রতিপক্ষকে অনুতপ্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। অন্যদিকে, প্রতিশোধ দীর্ঘমেয়াদে ঘাত-প্রতিঘাতের রাস্তা তৈরি করে দেয়।

আপনি কোনটি বেছে নিতে চান?

🖋️আব্দুল্লাহ জিয়াদ
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এন্ড সাইকোথেরাপিস্ট
=====================

আপনার যেকোন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় সাইকোথেরাপি সেবা নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার-
📞 +8801684-340534

আমাদের ঠিকানা-
আহবান সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার
🏪 ব্লক-এ, রোড ৪, বাসা ১১, শাহ্জালাল উপশহর, সিলেট।
📬 Email: aahban.org@gmail.com
🌐 www.aahban.org
https://www.facebook.com/aahbancounselingcenter/

🌿🌿🌿খারাপ সময় নিজেকে স্থির রাখার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল🌿🌿🌿===================================1. **শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়...
12/07/2024

🌿🌿🌿খারাপ সময় নিজেকে স্থির রাখার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল🌿🌿🌿
===================================

1. **শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন**: ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে পারেন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং আপনার মনকে শান্ত করতে পারে।

2. **ইতিবাচক চিন্তা করুন**: নেতিবাচক চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। আপনার জীবনের ভালো দিক এবং মূহুর্ত গুলো নিয়ে ভাবুন এবং সেগুলোকে মূল্যায়ন করুন।

3. **ধ্যান বা মাইন্ডফুলনেস**: প্রতিদিন কিছুক্ষণ ধ্যান বা মাইন্ডফুলনেস অভ্যাস করলে মানসিক চাপ কমে। মাইন্ডফুলনেস মানে হলো বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ দেয়া এবং চিন্তা ও অনুভূতিগুলোকে নিরপেক্ষভাবে গ্রহণ করার একটি কৌশল যা মনকে প্রশান্ত করে।

4. **নিজেকে সময় দিন**: নিজের জন্য কিছু সময় বের করুন এবং সেই সময়টি নিজেকে ভালোবাসার কাজে ব্যয় করুন। প্রিয় বই পড়া, গান শোনা বা প্রিয় পছন্দের কাজে সময় কাটানো যেতে পারে।

5. **সামাজিক সহায়তা গ্রহণ করুন**: আপনার বিশ্বস্থ বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের সঙ্গে আপনার সমস্যাগুলো শেয়ার করুন। তাদের থেকে মানসিক সহায়তা ও পরামর্শ গ্রহণ করুন।

6. **ব্যায়াম করুন**: নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম আপনার মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি আপনার শরীরের পাশাপাশি মনের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

7. **পর্যাপ্ত ঘুম**: পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন ঘুম নিশ্চিত করুন। ঘুমের অভাবে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে পারে।

8. **স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস**: সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ আপনার মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

9. **কৃতজ্ঞতার অভ্যাস**: প্রতিদিন আপনার জীবনের জন্য আপনি যে সমস্ত বিষয়ের জন্য কৃতজ্ঞ তা লিখুন। এটি আপনার মনকে ইতিবাচক দিকে পরিচালিত করবে।

10. **পেশাদার সাহায্য গ্রহণ করুন**: প্রয়োজনে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। পেশাদার সাহায্য আপনার মানসিক চাপ ও উদ্বেগ মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে।

এসব কৌশলের ব্যবহার আপনার খারাপ সময়ে নিজেকে স্থির রাখতে এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।

===================================
✒️আব্দুল্লাহ জিয়াদ
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এন্ড সাইকোথেরাপিস্ট
এম এস (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাবি)
এম এস (সাইকোলজি, ঢাবি)
বি এস (সাইকোলজি, ঢাবি)
📞01684-340534

10/05/2024
⭕⭕⭕ডিভোর্সের আগে জানা জরুরি⭕⭕⭕===================================🖋️আব্দুল্লাহ জিয়াদএম.এস. (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাবি)এম...
11/10/2023

⭕⭕⭕ডিভোর্সের আগে জানা জরুরি⭕⭕⭕
===================================
🖋️আব্দুল্লাহ জিয়াদ
এম.এস. (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাবি)
এম.এস. (সাইকোলজি, ঢাবি)
বি.এস. (সাইকোলজি, ঢাবি)
===================================

বিবাহ বন্ধন একটি আবেগঘন সামাজিক বন্ধন। প্রতিটি বিয়েই শুরু হয় আজীবন সম্পর্কটিকে টিকিয়ে রাখার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। কিন্তু কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কখনো কখনো এই আবেগঘন বন্ধনের ইতি টানতে হয়। নিতে হয় ডিভোর্সের মত কঠিন এবং জটিল সিদ্ধান্ত। কখনো কখনো এই কঠিন এবং জটিল সিদ্ধান্তই হয়ে যায় জরুরি যখন সম্পর্কের মাঝে নিরাপত্তা জনিত কোন সমস্যার উদয় হয়। এই কঠিন এবং জটিল সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে ভুল করে ফেলার সম্ভাবনা আছে ব্যাপক। তাই কিছু পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলা যাক, যা এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে।

📌১. চিন্তা ও আবেগ উভয়কেই গুরুত্ব দেয়া:
কোন বিষয়গুলো আপনাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী করছে? এমন কি ঘটেছিলো, যার পর থেকে মনে হলো এই সম্পর্কে টিকে থাকা আর সম্ভব নয়? এই সম্পর্কের মাঝে এমন কিছু কি আছে কিনা যার জন্য এই সম্পর্ক ধরে রাখা যায়? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলে আপনার সিদ্ধান্তের পেছনে আপনার চিন্তা ও আবেগ সম্পর্কে আপনি সচেতন থাকবেন।

📌২. উন্মুক্ত যোগাযোগ:
আপনার উদ্বেগ এবং অনুভূতি সম্পর্কে আপনার পার্টনারের সাথে খোলামেলা এবং সততার সাথে কথা বলুন। এ পর্যায়ে একটু বিবেচনা করা দরকার, আপনি কি আপনার ইচ্ছে গুলো বা যে সকল পরিবর্তন আপনি চান তা স্পষ্টভাবে আপনার পার্টনারের নিকট তুলে ধরেছেন কিনা। অথবা কি হলে আপনি এই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতেন তা কি আলোচনা করেছেন কিনা। এই সম্পর্কের সন্তোষ এবং অসন্তোষের জায়গাগুলো কি স্পষ্ট করে উপস্থাপন করেছেন কিনা।

📌৩. পেশাদার মনোবিজ্ঞানীর সহায়তা গ্রহণ:
উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে কোন সুরাহা না হলে একজন পেশাদার মনোবিজ্ঞানীর সহযোগিতা নিন। একজন পেশাদার মনোবিজ্ঞানী আপনাকে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবেন যেখানে আপনি নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো একটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে পারবেন।

📌৪. পুনর্মিলন বাস্তবসম্মত কিনা বিবেচনা করা:
আপনার বর্তমান পার্টনারের সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত সময়, প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতি ব্যয় করতে ইচ্ছুক কিনা তা ভেবে দেখুন। একটি বৈবাহিক সম্পর্ক কখনও কখনও পুনরুজ্জীবিত হতে পারে যখন স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ই এনিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক থাকে। অনেক দম্পতি নিজেদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের পার্থক্যগুলো মেনে নিয়েই সম্পর্ক পুনর্নির্মাণে এগিয়ে আসে। আবার অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

📌৫. দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করা:
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকা অথবা ডিভোর্সে চলে যাওয়ার সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি কী হতে পারে? ডিভোর্সর সিদ্ধান্তটি আপনার ভবিষ্যতের মানসিক সুস্থতা, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সামগ্রিক সুখকে ইতিবাচকভাবে নাকি নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে চিন্তা করে তবেই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া দরকার। প্রয়োজনে নিজেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে, "আগামী পাঁচ বছরে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলে আপনাকে কি কি অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে আর সম্পর্কের ইতি টানলে কি কি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে?" আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আপনার সম্পর্ক চলাকালীন সময়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারেন। আর এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখে রাখবেন।

📌৬. পরিবার এবং বন্ধুদের মাঝে বিশ্বস্তদের পাশে রাখা:
আপনার পরিবার এবং বন্ধু মহলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মানুষদের এই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়টিতে আপনার পাশে থাকতে বলুন। তাদের প্রত্যেকের কাছে পরামর্শ না চেয়ে বরং তাদেরকে এমন একটি সাপোর্টিভ পরিবেশ আপনার জন্য তৈরি করতে বলুন যাতে করে আপনি একটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কারণ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হতে হবে একান্তই নিজের, সেখানে অন্য কারো প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে।

📌৭. নিজের যত্নকে অগ্রাধিকার দেয়া:
আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনি একটি মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আর এই সময়টাতে নিজের যত্নের ব্যাপারে আমাদের বেখেয়ালি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে প্রতিদিন নিজের যত্নের বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। নিজের যত্ন মানেই হলো নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে কিছু করা। তাই প্রতিদিনের কার্যতালিকা এমন কিছু রাখতে হবে যা আপনাকে শারীরিকভাবে প্রশান্তি দেয়া এবং মানসিক ভাবেও আনন্দ দেয়।

পরিশেষে বলতে চাই, বিবাহ বিচ্ছেদ যেহেতু একটি জটিল এবং কঠিন সিদ্ধান্ত, সেহেতু শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারলেই এই সময়ে তুলনামূলক কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। আর এই কঠিন সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাড়াহুড়ো না করে কিছুটা সময় নেয়াই শ্রেয়।

🟰🟰🟰🟰🟰🟰🟰🟰

আপনার যেকোন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় সাইকোথেরাপি সেবা নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার-
📞 +8801684-340534

আমাদের ঠিকানা-
আহবান সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার
🏪 ব্লক-এ, রোড ৪, বাসা ১১, শাহ্জালাল উপশহর, সিলেট।
📬 Email: aahban.org@gmail.com
🌐 www.aahban.org
https://www.facebook.com/aahbancounselingcenter/

আপনার যেকোন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় সাইকোথেরাপি সেবা নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।আমাদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার-📞 +880...
10/10/2023

আপনার যেকোন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় সাইকোথেরাপি সেবা নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার-
📞 +8801684-340534

আমাদের ঠিকানা-
আহবান সাইকোথেরাপি এন্ড কাউন্সেলিং সেন্টার
🏪 ব্লক-এ, রোড ৪, বাসা ১১, শাহ্জালাল উপশহর, সিলেট।
📬 Email: aahban.org@gmail.com
🌐 www.aahban.org
https://www.facebook.com/aahbancounselingcenter/

Address

Sylhet
3100

Opening Hours

Monday 16:00 - 21:00
Tuesday 16:00 - 21:00
Wednesday 16:00 - 21:00
Thursday 16:00 - 21:00
Saturday 16:00 - 21:00
Sunday 16:00 - 21:00

Telephone

+8801647068864

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Aahban Psychotherapy and Counselling Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Aahban Psychotherapy and Counselling Center:

Share